মেঘের আড়ালে পর্ব ১৩

#মেঘের_আড়ালে 💞
#পর্ব__১৩
#লেখিকাঃফাতেমা_জোহরা_নাভিলা
২৭.
জোৎস্না বিলাস করতে গিয়ে যে ঠ্যান্ডায় জ্বরে অবস্থা করুনাময় নাজেহাল হয়ে যাবে আমার তা জানলে এই জিন্দিগিতে ভুলে ও আর যাইতাম না ছাদে ফ্রি সার্ভসিতে বিডিতে বরফ এর বিলাস করতে। আমার অতি সামান্য ঠ্যান্ডায় হলেই আমার ট্রুউউউউউ লাভ টন্সিলের এন্টি রটে যায় গলা ফুলে। অতি ভালোবাসে আমাকে তাই তো এই জিন্দেগীতে আমার পিছ আর ছাড়ল না এই বেটা টন্সিল।।। এভার ও ব্যতিক্রম কিছু হলো না আমার সাথে,গলা ফুলে গলার সুর যেমন বরফে হয়ে আটকে আছে যা আদৌ অাদৌ বাক্যতে ও কিছুতেই বের হচ্ছে না গলা দিয়ে।। ইয়াদ আপির থেকে আমার সমস্যা কথা জানতে পেরে খুব রাগারাগি করেছেন কথা ও বলছেনা সাইকোটা ঠিক করে আমার সাথে। আমি কথা বলতে চাইলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু একঝাক টেনশন ও ছিলেন বটে আমার ৪ দিন পর পরীহ্মা এর মধ্যে আমি এতো অসুস্থ পরীহ্মা এটেন্ড করবো কিভাবে।।। এই চারদিন উনি আর অফিসে যাইনি রাহাত ভাইয়াকেও আসতে না করেছেন। আমার সাথে কথা না বললে ও হিতলার গুনোধর জামাই আমার পড়ার নামক টর্চার ঠিকই চালিয়ে গেছেন আমার উপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০ ঘন্টায় বই এর মধ্যে মুখ গুঁজে থাকতে হয়েছে এক প্রকার বাধ্য হয়ে।।।।
.

.
আজ ফাইনালি পরীহ্মা নামক প্যারা থেকে পিছা ছুটলো আমার।।।ইয়াদ আমাকে বাসায় দিয়ে ঢাকার বাহিরে গেছেন। কোথায় গিয়েছেন বলে যাইনি।কথা বলতে গেলেই পান সাপ এর মতো অতি ফোস ফোস করে উঠেন বেটা বজ্জাত।।। ছোবলার খাওয়ার ভয়ে কিছু আর জিজ্ঞাস করেনি। এমনি ও অকালে ছোবলা খেয়ে থোবলা হওয়ার কোন ইচ্ছা নেই আমার।।।আমাকে আর আগের মতো করে এই বাসায় কেউ ভালোবাসে না সবাই খালি আমাকে ধমকাই বিশেষ করে ইয়াদ আর আপু। ইয়াদ বাসায় নাই সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাগপত্র গুছাচ্ছি আজ বাপের বাসায় চলে যাবো। ১৫ দিনেও এই চাঁদখানা মুখ এর দশন দেখাচ্ছিনা। বেটা সাইকো মে মাইকে চালি জাওঙি আব তুম দেখতে রাহিও হুহ।।।। আমি কেনো একলা একলা বিরহে পুরবো ,,,,,, এভার বুঝ এই নূর এর বিরহে কেমন লাগে বেটা।বহুত তেল খরচ করেছি এমনেই তেলের দাম বারসে ১৩০ টাকা হয়ে গেছে মুখের কথা।।।। এভার আপনি তেল দেন আমার বোতল এর তেল শেষ।।।।।

২৮.
এইকি মামনি,,,,,,,, কোথায় যাচ্ছিস এই ব্যাগপএ সাথে নিয়ে?
.

তোমার কাছেই আসছিলাম মামনি।।।বাসায় যাচ্ছি আব্বুর কথা খুব মনে পরছে (ডাহা মিসা কথা)। সেই বিয়ের পরের দিন যে বাসায় গিয়েছি আর তো যাইনি আর এই তিন মাসেও আব্বুর সাথে তেমন দেখা হয়নি(ন্যাকা কান্না জুড়ে)। আজ যেহেতু পরীহ্মা শেষ হয়েছে তাই আমি বাসায় যাচ্ছি আব্বুর কাছে গিয়ে কিছুদিন থাকবো।।।। জানো তো মামনি কিছুদিন ধরে আব্বুকে বড্ড সপ্নেও দেখছি।।।এই তো কাল দেখলাম আব্বু খুব রাগ করে আছে আমার উপর আমি কেন তার সাথে দেখা করিনা কান্না মিশিত সুরে।।। আমি কি বাসায় যাবো মামনি???

.
হ্যা, সেই যা মামনি পিঠে হাত বুলিয়ে।।।কিন্তু একা যাইবি ইশারা যাবেনা!!!চিন্তিতো সুরে।।।।
.
নিজে এনতে পালাইতে পারলে আমার মিরজাফর বাবার নাম বিড়বিড় করে।।।।
.
কিছু বললি মামনি??
.
আপু পরে যাবে মামনি,আমি এখন যাই মামনি প্লিজজজজজজ আর না করোনা।।। কাছে এসে ইনোসেন্ট ফেশ করে।।।

.
দেখো মেয়ের কান্ড আমি কি তোকে না করেছি এক বারো।।। সেই যাবি জা ইয়াদ জানে।।।
.
হ্যা,জানে(ডাহামিথ্যে)
.
তাহলে আমি আর কি বলবো যা।।।।
.
লাভ উ মামনি।।।।উম্মম্মাহহহহ।। গলা জড়িয়ে।।
.
বাসায় আপাতত কোনো গাড়ি নেই। দুইটোই গাড়ি আছে একটা ইয়াদ নিয়ে বের হয়েছে আর একটা দিয়ে জিজু আর বাবা অফিসে গিয়েছেন।তাই আমি বাসায় থেকে বের হয়ে ডাইরেক্ট রিক্সা নিলাম। মিনিট বিশ এর মধ্যে বাসায় এসে পৌছালাম ভাড়া মিটিয়ে পিছে তাকাতেই আমি পুরো শুদ্ধ ।।।।আম্মু, আব্বু, আমার ছোট খালামনি আর কাজিন মহল ব্যাগ পএ বুস্কা বাস্কি সাথে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।।
.

.
এই কি আম্মু আমি আজ বাসায় আসলাম আর তোমরা পালাচ্ছো।।।।।। এই ছিলো তোমাদের মনে।।।।
এই দিন ও দেখার ছিলো আমার।।। আল্লাহ মাটি একটু ফাক করো আমি একটু ঢুকে দুঃখো প্রাকাশ করে আসি ।।।

.
” হঠাৎ এমন কথায় সবায় সামনে নূর এর দিকে গুরে তাকালো। নূরকে এইভাবে দেখে তার আম্মু অনেকটা অবাক হয়ে যায়। নূর যে আজ আসবে তা বলেনি একবারো তার থেকে বেশী অবাক হয় নূর এর হাতে ব্যাগ দেখে আর একা আসতে দেখে।।কিন্তু নূর এর খালামনি আর কাজিনরা অকে দেখে অনেকটাই খুশি হয়েছে।।।তাদের মুখের হাসির ঝলক দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

.

.
আম্মুঃ নূর তুই একা কেন!!! জামাই, ইশারা কোথায়??আর হাতে ব্যাগ কেন? ঝগড়া করে এসেছিস!! তুই কি বড় হইবিনা।।।দেখো তোমার মেয়ের কান্ড।।।কি ঘটিয়ে এসেছে কে জানে।।। তাইতো এভাবে না বলে চলে এসেছে।।।।হাইপার হয়ে।।।।

.
২৯
আব্বুঃ আহা থামবা তুমি।।।মেয়েটা না আসতেই তুমি তোমার প্রশ্ন ফসাদ করা শুরু করে দিয়েছো।।।বাবাইটা আজ না তোমার পরীহ্মা ছিলো। কেমন হয়েছে??
.
নূরঃ ভালো হয়েছে আব্বু।।

.
আব্বুঃ আলহামদুলিল্লাহ, তা বাবাই তুমি একা কেন!! ইশারা ইয়াদ কোথায় আসেনি তোমার সাথে।।

.
নূরঃ আমাকে দেখে কি আব্বু তুমি খুশি হওনি!!আমি কি এখন নিজের বাসায় আসতে পারবো না?আমি কি এতোটা পর হয়ে গিয়েছি এখন(অভিমান এর শুরে)তোমাদের কাছে। তোমার আম্মুর কথা খুব মনে পরছিলো কিছুদিন ধরে তাইতো আজ পরীহ্মা শেষ হতেই চট করে চলে আসলাম তোমাদের কাছে।কিন্তু এখন তো দেখছি ভুল করেছি এসে।।।
.
আব্বুঃ দেখসো তোমার জন্য আমার বাবাইটা কতো কষ্ট পেয়েছে ইশারা আম্মু সব সময় তুমি একটু বেশি রিয়েক্ট করো।।।আর বাবাই আমাকে দেখে কি তোমার মনে হচ্ছে আমি খুশি হইনি তোমাকে দেখে।।।দিনকাল অব্যস্থা জা বাজে যাচ্ছে এর মধ্যে তুমি একা আসছো এইভাবে না বলে ভয় হয়তো তোমার জন্য তাইতো তোমার আম্মু টেনশনে কথাগুলো বলছে।।।মাথায় হাত বুলিয়ে।।
.
নূরঃ স্যরি আব্বু, আর হবেনা।।তা তোমরা কোথায় যাচ্ছো এভাবে পোঁটলাপুটলি নিয়ে।।কোথায় ও নির উদ্দেশ হচ্ছো।ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাস করল।

.
দিপ্তঃ তেমন কিছু নারে পুচকি।অনিক ভাইয়া তো ঘটনা রটে ফেলসে তাইতো চ্রটগ্রাম যাচ্ছি।তোর পরীহ্মা বলে কিছু জানাইনি তোকে কিন্তু ইশারা সাথে কথা হয়েছিলো ও বলছে পরশুদিন তুই ইশারা ইয়াদ ইরফান একসাথে আসবি চ্রটগ্রাম তাইতো তোকে দেখে এক প্রকার ভূত দেখার মতো করে তাকিয়ে আছি সবায়।

.
নূরঃ মানে!!! আমার অতি ভোলা ভালা ভাইয়া এমন কি করলো যে ঘটনা রটে ফেললো ইতিমধ্যে যে আমি খবরই পেলাম না।আর আমি এভেরেস্ট জয় করতে বসিনি যে আমাকে গরম গরম নিউজ থেকে দূরে ঠেলে দিবা।মুখ গোমরা করে।।।

.
” এখন মানে টানে পরে কর বনু ব্যাগ কাধে তুলতে তুলতে গাড়ি চলে এসেছে বাকি কথা নাহ হয় গাড়িতে বসে বলি।।।।।
চলবে,,,,,,
[ভুলগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন আসা করি।শুক্রবার ফেক্ট তাই লেট হলো দিতে।।। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here