হবে কি আমার পর্ব -৩০

#হবে_কি_আমার (২)
#writer_Ruhi_mondal
#পর্ব__30

সময় প্রবহমান সে কারো জন্য থেমে থাকে না সে তার নির্দিষ্ট নিয়মে এগিয়ে চলে। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে অনেক কয়টি দিন,হাসি-কান্না খুনশুটি মিলে অতিবাহিত হচ্ছে অনু অরিন্দমের জীবন। গ্রাম থেকে ফিরে আবার নির্দিষ্ট নিয়মে তাদের দিন যাচ্ছে, অরিন্দম আগের মতোই নিয়মিত অফিসে যাচ্ছে বাড়ি ফিরে অনুর নানারকম বায়না আবদার পূরণ করছে। অনু এখন অনেকটাই সুস্থ অরিন্দম নিজের কথা রাখছে অনুর যতনের কোন কমতি রাখছে না সে। রাগ আউট অফ কন্ট্রোল হয় না আর,অনু ও যথেষ্ট কুল রাখতে শিখেছে নিজেকে, কিন্তু পড়াশোনা ব্যাপারে অরিন্দম স্ট্রিক্ট। অনুর পড়ালেখায় মন না থাকলে অরিন্দমের বকা দেয়। তার ধমকের ভয়ে অনুকে বাধ্য হয়ে পড়তে হয়। কিন্তু তিশা অনুরাগ কে ছাড়া তার ভালো লাগছে না আর তাদের দুজনের সাথে কনট্রাক হচ্ছে না বেশ কিছু দিন হলো। কিন্তু অরিন্দম এখন তাকে মামীর বাড়ী নিয়ে যাবে না। সে প্রচুর ব্যাস্ত তাছাড়া অনুর ও দুতিন মাস পর সেমিস্টার। তাই এখন পড়াশোনা মন দিয়ে করতে হবে।

কলেজে ইংলিশ ক্লাস শেষে নতুন এক বান্ধবী মিলি সাথে অনু কথা বলতে বলতে করিডোর দিয়ে হেটে যাচ্ছে তখনই মিলি বলল,
__”আচ্ছা অনু তোর বিয়ে হয়েছে অনেক দিন হলো তাই না রে?”
অনু হেসে বলল,
__” হুম! ”
___’তোরা হানিমুনে কোথায় গিয়েছিলি?’

অনু হাঁটতে হাঁটতে দাঁড়িয়ে পড়ে, মুখ গোমরা করে বলল,
___”দূর হানিমুন যাওয়া হয়নি আর আমার মনে ও ছিল না!”

___”কি তোর হানিমুনে যাওয়া কথা মনে ছিল না, সিরিয়াসলি…”
__”হ্যাঁ একটু হেল্থ প্রবলেম ছিল তাই বরবাবু বলেছিল আমি ফিট এন্ড ফাইন হয়ে গেল দূরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবে!”
__’এখন তুই সুস্থ! না-কি না?’
__”এখন পুরো সুস্থ!”
__”তাহলে চলে যা!”

অনুর মাথায় ভূত চেপে গেল হানিমুনে যাওয়ার সে এক্সাইটেড হয়ে বলল,
__”ঠিক বলেছিস এখনি যাবো এক্সাম তো দুমাস লেট আছে তাহলে এখন যাওয়া যায় কিন্তু কোথায় যাব বলতো?”
__’সেটা তোরা ঠিক করবি! এখন চল ক্যান্টিনে যাই!’

অনু একনাগাড়ে বকবক করে চলেছে মিলি ও হুম হ্যাঁ বলছে সে বুঝে পায় না এ এত কি করে কথা বলতে পারে, কিন্তু তার বেশ ভালো লাগে তাই সবসময় অনুর বকবক শোনে,তারা ক্লাস করছে আজ দুমাসের বেশি, কিন্তু অনু তার সাথে এমন ভাবে মিশে গেছে যে তারা যেন ছোটবেলা থেকে একসাথে আছে। অনু কথা বলতে বলতে হঠাৎ থেমে গেল মিলি তা দেখে কিছু বলতে যাবে অনু চিল্লিয়ে বলল,
__”তিশাআআআ…”

তিশা ক্যান্টিনে একটা কোনায় চুপ করে বসে ছিল মাথা নিচু করে। সে কলকাতা শহরে এসেছে আজ এক মাস হল এডমিশনের নিয়েছে তিন সপ্তাহের বেশি কিন্তু আজ সে প্রথমবার ক্লাস করতে এসেছে কিন্তু ক্লাস করতে এসে ও সে ক্যান্টিনে চুপ করে বসে আছে, ক্লাসে যায়নি তার মন ভালো নেই অনুরাগ তার সাথে যোগাযোগ প্রায় এক মাস বন্ধ করে দিয়েছে তার কারণেই মনে বিষন্ন দেয় আছে। সে বারবার ফোন করে সুইচ অফ পেয়েছে শেষে অনুরাগের পিসিমণিকে কল করতে তিনি রিসিভ করার পরেই তা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সুইচ অফ হয়ে গিয়েছে,তার বুঝতে বাকি নেই যে অনুরাগ তার সাথে যোগাযোগ রাখতে চায় না। সে প্রচুর রেগে আছে তার ওপর।

তিশা অনুকে দেখে চট করে উঠে দাঁড়ালো। ও জানতো না অনু এখানেই পড়ে। অনু দৌড়ে গিয়ে তিশাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
__”তিশু তুই এখানে আমি ভাবতেও পারিনি তুই এখানে,ও মাই গড আ’ম সোওও হ্যাপি,আমার যে কি আনন্দ হচ্ছে না তোকে বলে বোঝাতে পারবো না।” কথাগুলা একনাগাড়ে বলে তারপর তিশা কে ছাড়লো। তিশা মলিন হেসে বলল,
___” আমিও ভাবতে পারিনি তুই এই কলেজে এডমিশন নিয়েছিস, তোকে ফোন করেও তোর নাম্বারে ফোন লাগেনি, সেইজন্য বলা হয়নি যে আমি এখানে আছি!”

__”তুই কবে কোলকাতা এসেছিস?আর কেন?”

তিশা অনুকে ওর বাবার ট্রান্সফারের কথা বলল শুধুমাত্র অনুরাগের কথা ছাড়া। অনু এবার মিলির দিকে তাকিয়ে বলল,
__”মিলি তোকে বলেছিলাম না আমার বেস্টুর কথা, এই হচ্ছে সে তিশা! আর তিশা ও হচ্ছে মিলি আমাদের নতুন ফ্রেন্ড! মিলি তিশার সাথে কথা বলে তাদের দুজনকে একা রেখে সে চলে গেল।”

অনু এক্সাইটেড হয়ে বলল,
__’রাগী কোথায়, দেখছি না?”

তিশা হঠাৎ করে কেঁদে উঠলো অনু হকচকিয়ে গেল! সে এমন কি বলে ফেলল,সে আশেপাশে তাকিয়ে দেখল অনেকেই তাদের দিকে তাকাচ্ছে তা দেখে সে তিশার হাত ধরে ক্যান্টিন থেকে বাহিরে এনে একটা ফাকা ক্লাস রুমে প্রবেশ করল কিন্তু তখনও তিশা কেঁদে চলেছে। অনু বুঝে উঠতে পারেনা তাঁর এত কাঁদার কারণ কি? ঝগড়া তো তারা টম এন্ড জেরির মতো করে কিন্তু কখনো কষ্ট পায় না! কিন্তু আজ?… অনু আর না ভেবে তিশাকে একটা বেঞ্চে বসিয়ে তার দু কাঁধ ধরে নম্র গলায় বলল,
___’কি হয়েছে তোর? ওই গাধা তোর সাথে ঝগড়া করেছে তাই না! তুই বল ও কোথায় দেখাচ্ছি মজা!’

তিশা ভেজা গলায় বলল,
__”ও এখানে নেই!”
___”কোথায় ও বাহিরে নিশ্চয়ই ঘুরছে..”
__’ও এখানে আসেনি!’

__”দেখ তিশু মিথ্যা বলবি না, রাগী তোকে ছেড়ে গ্রামে একা থাকবে আমি ভাবতে ও পারবো না! তাই তুই মিথ্যা বলা বন্ধ কর! আচ্ছা তোরা দুজন মিলে আমার সাথে প্রাঙ্ক করছিস তাই না?”
__”ও সত্যি আসেনি!”

__মানে কিন্তু ও তো তোকে ছাড়া..
__ও আমাকে ছাড়া থাকতে শিখে গিয়েছে! সেই দিন আমি চলে আসার পর আমি ভেবেছিলাম হয়তো ও একটু রাগ অভিমান করবে কিন্তু ক্ষনিক পর থেকে ও আমার সাথে বেশি যোগাযোগ রাখবে কিন্তু না আমার ধারণা ভুল। ও আমার সাথে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি ফোনটা বন্ধ করে রেখেছে, আমার ওপর এত রেগে আছে যে এক মাস আমার সাথে কথা না বলে আছে আমার মুখ না দেখে আছে। আমাকে এত কষ্ট দিচ্ছে।

অনু হতভম্ব হয়ে যায় তিশার কথা শুনে। অনুরাগ এমন নয় সে একদিন তিশাকে না দেখে কিছুতেই থাকতে পারত না। আর যখন এতটা দূরে আছে তার সাথে ফোনে কন্টাক্ট করা ও বন্ধ করে দিয়েছে। অনুরাগে এতো রাগ কিন্তু সে জানে যে তিশা যেহেতু এখানে এসেছে অনুরাগ নিশ্চয়ই তার টানে আসবেই,আসবে। সে অনুরাগ কে ভালো করে চেনে অনুরাগ তিশাকে একদিন না দেখে থাকতে পারবে না বলে বাবা কলকাতায় থাকলেও সে গ্রামের পড়েছিল শুধুমাত্র তার জন্য। এখন যেহেতু তিশা কলকাতা , অনুরাগও নিশ্চয়ই তার বাবার কাছে থাকতে চলে আসবে তিশার জন্য। এখন হয়ত মাথা গরম রাগের বশে যোগাযোগ বন্ধ করেছে কিন্তু ও জানে আর কিছুদিনের মধ্যে অনুরাগ আসবেই আসবে।

অনু তিশার চোখের জল মুছে দিয়ে বলল,
__”তুই টেনশন করিস না! আমি জানি ও আসবেই! রাগের বশে এমন করছে, আসলে কি বলতো রাগী পুরো আমার এই মতো রাগের মাথায় এমন এমন কাজ করেন যা পড়ে মাথা ঠাণ্ডা হলে নিজের উপরই রাগ ওঠে, আমি ওকে খুব ভাল করেই চিনি। রাগ কমবে দেখবি কেমন দৌড়ে দৌড়ে তোর কাছে আসবে। একটু ওয়েট কর।

____

ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা সাতটা তিরিশ, অরিন্দম এইমাত্র অফিস থেকে ফিরে ওয়াশরুমে গিয়েছে ফ্রেশ হতে। অনু তার জন্য নিচ থেকে কফি এনে ব্যালকনি ছোট্ট টি’টেবিলে রেখে আসে। অরিন্দমের এটা রোজকার অভ্যাস, সে অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে আধাঘন্টা ব্যালকনিতে বসে কফি খাবে আর ম্যাগাজিন দেখবে। অনু নিয়মমাফিক তা রেখে আবার পড়তে বসে গেল, কিন্তু পড়ায় তার মন নেই সে অরিন্দম কে কিছু বলতে চায়। তার মন এখন অনেকটাই ফ্রি আছে, মামীকে দিয়ে অনুরাগ কে বোঝানোর দায়িত্ব দিয়েছে সে। সে জানে মামী এ কাজে সফল হবেই। তাই সে এখন নিশ্চিন্ত।

অরিন্দম ওয়াশরুম থেকে বার হয় পরনে তার ব্লাক ট্রাউজার আর ওয়াইট চিকন গেঞ্জি,সে চুল মুছতে মুছতে ঘাটের দিকে তাকিয়ে দেখল অনু তার দিকে তাকিয়ে আছে, অরিন্দম মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
__’ কি হয়েছে বউ,বসে আছো কেন? পড়ো!’ বলে সে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

অনু খাট থেকে নেমে অরিন্দমের পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো, অরিন্দম চুলে ব্রাশ চালাতে লাগল, অনু পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে পিঠে মাথা রাখলো। অরিন্দম ভ্রু কুঁচকে আয়নার দিকে তাকালো। কিয়ৎক্ষণ পর সে অনুর হাতে হাত রেখে বলল,
__’কি হয়েছে আজ এমন করছ কেন? পড়তে ভালো লাগছে না বুঝি!’

অনু আহ্লাদী কন্ঠে বলল,
__’বরবাবু তুমি না খুব ভালো!’

অরিন্দম হাসলো সে অনুকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলল,
__’কি হয়েছে বলো বউ,এমন করে বলছ কেন? কি চাই, দেখ এখন হালকা শীত পড়েছে এই মুহূর্তে তোমাকে আমি বাহিরে আইসক্রিম খাওয়াতে নিয়ে যেতে পারবো না, আর তোমার এক্সামে বেশি বাকি নেই তাই এসব বায়না করার জন্য এখন যদি তুমি আমাকে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মন গলাতে চাও তাহলে বলছি সেসব কাজে লাগবে না। চুপচাপ গিয়ে পড়তে বস!’

অনু চোখমুখ কুঁচকে গেল সে ভালো করেই জানে অরিন্দম কে রাজি করানোর প্রচুর মুস্কিল কিন্তু তাকে রাজী করাতেই হবে যেকোন উপায়ে, ব্যাস। সে দুহাতে অরিন্দমের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
__’ তুমি না সবসময় বোকা বোকা কথা বল, আমি কখন বললাম আজকে খেতে যাব। আজকে খাবার কথা বলতে আসিনি বুঝেছ!’
__’তা কি বলতে এসেছ,আচ্ছা যাই বলতে আসো না কেন,সে কথা পরে বলবে আগে পড়া কমপ্লিট করো!’

অনু বিরক্ত হয়ে চোখ লাল করে বলল,
__’আমি তোমার বউ না তোমার স্টুডেন্ট, যে এভরি টাইম পড়ার কথা বলো, কই কখনো তো রোমান্সের কথা বলোনা!’

অরিন্দম অনুর কোমড় জড়িয়ে ধরে তাকে চাগিয়ে ব্যালকনিতে নিয়ে যায়,অনু একগাল হেসে দেয়, অরিন্দম প্রায় তাকে এভাবেই উঁচিয়ে ব্যালকনিতে নিয়ে আসে। অরিন্দম তাকে ব্যালকনিতে এনে দাঁড়ালো, ভরা পূর্ণিমায় ব্যালকনিতে সুন্দর মোহনীয় আলো ছড়িয়েছে, অনু চট করে লাইট অফ করে দিয়ে বলল,
__ইলেকট্রিক বিল বাড়িয়ে লাভ নেই!

অরিন্দম হেসে বললো,
__’দুষ্টু মেয়ে! অনু হেসে দিল, অরিন্দম তাকে নিয়ে বেতের চেয়ারে বসে বলল,
__’নাও আজকে পড়াতে মন চাইছে না, তাই এখন তুমি আমার বউ!’

অনু অরিন্দমের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,
__’সত্যি তো আজ পড়তে বলবে না?’
অরিন্দম তার নাক টেনে বলল,
__’আজকে পড়তে বলব না, কিন্তু কাল থেকে নিয়মিত পড়তে হবে, সামনেই তোমার সেমিস্টার সেটা যেন মাথায় থাকে।’

অনু মাথা নাড়িয়ে তার বক্ষে এলিয়ে গেল, অরিন্দম তাকে আলিঙ্গনে নিয়ে ডান হাতে কফির মগ নিয়ে তাতে চুমুক দিল। ক্ষনিক প্রহর কেটে যায় নিভৃতেই আকাশে মস্ত বড় চাঁদের দিকে তাকিয়ে। তারা দুজনে দুজনকে পেয়ে খুশি, খুব খুশি, তাদের সুখ তাদের চোখেমুখে সব সময় প্রকাশ পায়।

অনু উসখুস করে অরিন্দমের মুখপানে একবার তাকিয়ে দেখল সে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে। এইটাই মোক্ষম সময় যেটা বলতে চায় সেটা বলে ফেলা উচিত তাই সে অরিন্দমের বুকে আঁকিবুকি কাটতে কাটতে বলল,
__’বরবাবু আমার একটা কথা ছিল!’

অরিন্দম চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলল,
__’ জানি! ‘
অনু ভড়কে গেল সে কি বলতে চাইছে অরিন্দম কি করে জানবে, তাই সে বলল,
__’ আমি কি বলতে চাইছি তুমি কি করে জানলে?’
__’আমি জানি তুমি কিছু বলতে চাইছো, কিন্তু কি, সেটা জানিনা! কি সেটা তুমি বলো?’
__’বরবাবু আমরা হানিমুনে যাব না?’

অরিন্দম কথাটা শ্রবন করতেই হকচকিয়ে গেল, বিষম খেতে খেতে ও খেলো না,সে নিজের বক্ষের কাছে গুটিশুটি মেরে তার দিকে তাকিয়ে থাকা অনুর মুখপানে চোখ বড় বড় করে তাকালো, এই মেয়ের মাথার রোমান্স, হানিমুন ছাড়া কিছুই থাকেনা না-কি?
অনু তার রিয়াকশন দেখে আগেই উত্তেজিত কণ্ঠে বলল,
__”আমি জানি না যেতে হবে মানে যেতেই হবে, আমি কিচ্ছু শুনতে চাই না। এ্য্য বলতে বলতে কান্না শুরু করে দিল সে।’

অরিন্দম কিংকর্তব্যবিমূঢ় সে তো এখনো কিছুই বলেনি তবে এই মেয়ে কাঁদছে কেন? অরিন্দম দ্রুততার সঙ্গে ডান হাত নিয়ে অনুর চোখের জল মুছে দিতে দিতে বলল,
__’আমি কখন বললাম যাব না, তুমি কাঁদছ কেন?’

অনু চট করে কান্না থামিয়ে বলল, “সত্যি যাবে তো! আমি প্যাকিং করি?”

অরিন্দম হতভম্ব এই কাঁদছিল এই কান্না ভুলে প্যাকিং করা শুরু করে দিতে চাইছে?
__’ যাব কখন বলেছি? যে তার জন্য তুমি প্যাকিং করা শুরু করে দিচ্ছ।’

অনু বাম হাত মুঠো করে চোখের জল মুছলো। অরিন্দম তা দেখে নিশব্দে হাসলো,মেয়েটা সেই বাচ্চা বাচ্চা সমস্ত কিছু অভ্যাস,অনু নাক টানতে টানতে বলল,
__’তুমি তো বললে যাবে!’
অরিন্দম নিজ হাতে তার চোখের জল যত্ন সহকারে মুছে দিতে দিতে বলল,
__’আমরা যাব কিন্তু এখন না! তোমার সেমিস্টার শেষে! এখন শুধু পড়া!’

অনু রেগে গেল সে অরিন্দমের ডান হাত টেনে তিনটে আঙ্গুলে জোরে কামড় দিয়ে, চিল্লিয়ে বলল,
__’বিয়ের পর হানিমুনে যেতে হয়, তুমি কি বাচ্চা হয়ে গেলে হানিমুনে যাবে?’

#চলবে
[

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here