#I_m_Mafia_lover
#Part_1
#sabiha_kh
৩০ তলা বিল্ডিং এর একটি ভবন।। ২৮ তলার ড্রইং রুমের সোফায় বসে ম্যাগাজিন পরছে ইসান৷ পাশের রুম থেকে চিৎকারের শব্দ আসছিলো। কারণ পাশের রুমে একজন লোকের উপর টর্চার চলছিলো। ইসান রেগে ম্যাগাজিন থুয়ে টেবিলের উপর থেকে রিভলবার নিয়ে সেই রুমে ঢুকে শুট করে সেই লোকটাকে।৷ বুলেট গিয়ে লোকটার মাথার এপার ওপার হয়ে যাই।
সবাই ইসানের দিকে একটু অবাক হয়ে তাকায়।।।
ইসান- এভাবে কি দেখছো তোমরা?? লোকটা যদি ভালোকথার মানুষ হতো তাহলে এতো টর্চার সহ্য না করে আগেই বলে দিতো।।।
বলতেই মারা যাওয়া লোকটির ফোনে কল আসে।।
ইসান- আকাশ কে ফোন করেছে দেখো। (আকাশ ইসানের বডিগার্ড বা ডান হাত বলা যায়)
আকাশ লোকটির ফোন পাশে থাকা টেবিলের উপর থেকে নিলো ফোনের ইস্ক্রিনে নাম লিখা ইমা।।
আকাশ- ইমা!!!!!
ইমা নাম শুনেই ইসানের বুকের ভিতর কেপে উঠে। ইসান আকাশের হাত থেকে ফোন কেরে নিয়ে ফোনের ইস্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে ইমা লিখা।। ইসানের হার্ডবিট জোরে জোরে ধুক ধুক করতে লাগলো।। ইসান রেগে ফোনটা সজরে মেঝের উপর আছাড় মারে।। সবাই ইসানের এই কান্ড দেখে অবাক চোখে ইসানের দিকে তাকায়। ইসান দ্রুত হেটে সেই রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় গিয়ে দাড়িয়ে রেলিং ধরে চোখ বন্ধ করে একটা জোরে শ্বাস ছেড়ে মনের গভীর থেকে ইমা বলে ডাকে।।।
এমন সময় ইসানের ফোনে কল আসে। ফোন আকাশের কাছে থাকায় আকাশ পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে তাদের বড় স্যার “মিঃ জহির চৌধুরী” ইসানের বাবা কল করেছে।। আকাশ তারাতারি বারান্দায় গিয়ে বললো-
আকাশ- স্যার বড় স্যার ফোন দিয়েছেন।।
ইসান আরিফের হাত থেকে ফোন নিয়ে কানে ধরলো।। এবং হাত দিয়ে ইসারা করে আকাশ কে চলে যেতে বলে।
ইসান- হম বলো বাবা।।
জহির – কিছু বলেছে??
ইসান- না বাবা।। তবে যেটা কাজের ছিলো সেটা করে নিয়েছি। কাগজ পত্র তোমাকে পাঠিয়ে দিবো।।।
জহির – লোকটা বেচে আছে?? নাকি মেরে ফেলেছো??
ইসান- মেরে ফেলেছি।
জহির- ওহ্ ইসান,,,ওর মুখ থেকে কথাটা শুনার দরকার ছিলো না!!! তুমি,,,,,
বলতেই ইসান বললো-
ইসান- বাবা আমি খুব ক্লান্ত। এখন রাখি।। (একটু বিরক্তি নিয়ে)
বলে ইসান ফোন কেটে দিয়ে রুমের ভিতরে গিয়ে বললো-
ইসান- আমি বাসায় যাচ্ছি। আশা করি আমার কিছু বলতে হবে না।।
আকাশ- স্যার আপনি চিন্তা করবেন না।। আমরা জানি কি করতে হবে। আপনি বাড়ি যান।।
ইসানের সাথে দুইজন ছেলে রুম থেকে হয়ে লিফ্টে করে নিচে গেলো।। ভবনের সামনে গাড়ি দাড়িয়ে আছে দুইজন ছেলের মধ্যে একজন গিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিলে ইসান গাড়িতে উঠে বসে।। ছেলেটি গাড়ির দরজা লাগিয়ে দিলো।।।
ইসান- চলো ড্রাইবার।।
ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো।।।
ইসান গাড়ির সিটের সাথে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে ইমার কথা ভাবতে লাগে।।
৬ বছর আগে,,,,,,,
ইমা – ইসান তুমি কখনো ভালো হবে না এটা আমার আগেই বুঝা উচিত ছিলো।। আজ তোমার জন্য আমি বাবার কাছে ছোট হয়ে গেলাম।।। আজ থেকে তুমি আমার কেও না আমি তোমার কেও না।। এই সম্পর্ক আমি ইমা এখানেই ইতি টানলাম।।। (রাগান্বিত সুরে)
ইসান- ইমা,,, আমার কথা শুনো ইমা,,,, ইমা,,, !!!!
ইসান চমকে উঠে এদিক ওদিক তাকালো দেখে সে গাড়িতে বসে আছে।।।
ইসান মুখে হাত দিয়ে বাইরে তাকিয়ে মনে মনে বললো- ৬ টা বছর কেটে গেছে। আমি আজো তোমাকে ভুলিনি ইমা।।। এবং তোমার বলা কথাও ভুলিনি। সব কিছুই আমার মনে আছে।।।
ভাবতেই ড্রাইভার গাড়ির হ্রন দিলো।। ইসান সামনের দিকে তাকালে দেখে সে বাড়ি চলে এসেছে।।।
ইসানের বাড়িটা শুধু বাড়ি বললে ভুল হবে ইসানের বাড়ি একটা রাজপ্রাসাদের থেকে কম কিছু না।। বিশাল বড় বাড়ি। বাড়ির ভিতর টা আরো সুন্দর।।। আলিসান এক রাজমহল বলা যায়।। বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে লোক জন পাহারা দেয়।।। তার বাড়িতে কাজের মানুষ সবাই ছেলে। ইসান তার বাড়িতে কখনো কনো মেয়েকে ঢুকতে দেয়নি। সে চায় তার এই রাজপ্রাসাদে যদি কনো মেয়ে ঢুকে সেটা হলো এক মাত্র ইমা৷।।
ইসানের গাড়ি হ্রন দিতেই বাড়ির কাজের মানুষরা যে যেখানে আছে সবাই ছুটে এসে দরজার সামনে লম্বা লাইনে সাড়ি হয়ে দাড়ায়।। ইসান গাড়ি থেকে বের হয়ে ভিতরে আসলে একজন বয়স্ক কাজের লোক যিনি সব কাজের মানুষকে ডিরেকশন দেয়।। তিনি ইসানকে সালাম জানিয়ে
বলে-
করিম- ওয়েলকাম স্যার।।।
ইসান কনো কথা বললো না। সোজা হেটে তার রুমে চলে গেলো।। করিম কাজের মানুষদের দিকে তাকিয়ে বললো- যে যার কাজে যাও।।।
সবাই চলে গেলে করিম ইসানের রুমে গিয়ে নক করে।।।
ইসান- কামিন।।
করিম ভিতরে গেলো।।
করিম- স্যার রাতে আপনি কি খাবেন???
ইসান- কিছুই খাবো না।। মিঃ করিম আপনি এখন যেতে পারেন আমি খুব ক্লান্ত এখন বিশ্রাম নিতে চায়।
করিম- ওকে স্যার।।
বলে করিম রুম থেকে বের হয়ে গেলো।। ইসান পোশাক চেঞ্জ করে ফ্রেস হয়ে এসে বিছানায় বসলো৷ কিছুখন চুপ করে বসে থাকার পর উঠে তার বেটটেবিলের ডয়েরের লক খুলে ডয়ের থেকে এক পুরানো ডায়েরি বের করলো।। ইসান ডায়েরি খুলতেই শুকনো মরমরা একটা গোলাফ ফুল।।। ইসান গোলাপ ফুলের উপর আলতো ভাবে স্পর্শ করে বললো-
ইসান- আজকে এক মুহুর্তের জন্য মনে হয়েছিলো আমি তোমাকে খুজে পেয়েছি।। কিন্তু খুব রাগ হচ্ছিলো আমার।।
বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছারলো।।।
”
”
”
”
”
এতোখনে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছে ইসান কে!!! ইসান হলো এই গল্পে নায়ক। এবং সে একজন মাফিয়া।। মাফিয়া ইসানের মনের গভীরে লুকিয়ে রাখা ইমা আসলে কে?? । মাফিয়া ইসান চৌধুরী কেন ইমার জন্য পাগল আবার এতো রাগ ও বা কিসের ইমার উপর?? আসতে আসতে সব জানতে পারবেন। চলুন গল্পে ফিরা যাক।।
”
”
”
২ মাস পর,,,,,,,
ইসান বাইরে গার্ডেনে বসে ল্যাপটপে কাজ করছে ।৷ এমন সময় জহির চৌধুরী ইসানকে কল করলো।।
ইসান ফোন রিসিভ করে কানে ধরে-
জহির- ইসান তুমি ব্যাস্ত??
ইসান- হমম একটু ব্যাস্ত।।। কিছু কাজ বাকি ছিলো সেগুলোই করছিলাম।।
জহির- এখন ওগুলো কাজ রাখো আর আমার কথা শুনো।। কাল তোমাকে (,,,,,,,,,,,,,) শহরে যেতে হবে। ওখানে আমরা যেই হসপিটাল বানাতে চেয়েছি সেটার কাজে কেও বাধা দিচ্ছে। ওখানে আসল যে মাথা সেটা তুলে ফেলতে হবে তোমাকে।। তুমি তো জানো আমি আমার কাজে কনো রকম বাধা পছন্দ করি না।।
ইসান- বুঝেছি।। আমি কালকেই যাবো তুমি চিন্তা করো না।।।
জহির- আরেকটা কথা ওখানে আরেকটা নাম করা প্রাইভেট হসপিটাল আছে।। আ,, RK হসপিটাল।। খুব নামি দামি হসপিটাল ওইটা।। ওরা জেনেছে আমরা ওখানে হসপিটাল তৈরি করছি তাই ওরা আমাদের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।।
ইসান- হমম এটা ভালো।। যেহেতু নাম করা হসপিটাল আমরা ওদের সাথে সু সম্পর্ক রাখলে আমাদেরই লাভ হবে।
জহির- হমম তুমি ঠিক বলেছো।। এই জন্য আমি ঠিক করেছি পরশুদিনের কনফারেন্স তুমি যাবে।। ওরা কনফারেন্স রেখেছে।। আমি চায় আমার বদলে তুমি যাও।।
ইসান- কিন্তু বাবা,,,,
বলতেই জহির চৌধুরী বললো-
জহির- ইসান তুমি DW কম্পানির সিও। সেই সাথে আমার ছেলেও। বুঝেছো।।। কিছু দায়িত্ব তো নিতেই পারো।। হম!!!
ইসান- ওকে বাবা।। এখন রাখি।। (একটু ভারী সুরে)
বলে ইসান ফোন কেটে দিলো।।। ইসান আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো-
ইসান- আকাশ জনি কে ফোন দিয়ে বলো হেলিকপ্টার তৈরি রাখতে কাল আমরা (,,,,,,,,,,) শহরে যাবো।।।
আকাশ- ওকে স্যার।।।
,,,,,,,,,,,,,continue,,,,,,,,,,,