আসক্ত পর্ব ১

আসক্ত🔥
জান্নাত
পর্ব : ১

রুমের সাথে এ্যাটাচ’ড মিনি ছাদটার রেলিং এর পাশের বেঞ্চিতে টায়রা দু পা দু দিকে দিয়ে বসে পা দুলিয়ে মনের সুখে ডেইরিমিল্ক খাচ্ছে!
এটা তার সব থেকে প্রিয় জিনিস! যখন সে এটা খায়! মনে হয় স্বর্গে আছে! মাঝে মাঝে তো ভাবে এই ডেইরিমিল্ক গুলো বাসায় পুষবে! কিন্তু পর মুহূর্তে ভাবে,
– ইসস! ঘোড়া ঘাসের সাথে বন্ধুত্ব করলে খাবে কি?

টায়রা তার স্বর্গীয় মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে এলো রুমের ভেতর থেকে কারোর থাই গ্লাসটা সরিয়ে ছাদে আসার শব্দে!
সেদিকে তাকাতেই দেখলো তিতলি হাপাচ্ছে!

– টায়রা ভাই চলে এসছে! জলদি যা, নয়তো কপালে তোর দুঃখ্য আছে!

তিতলির কথা শুনে আর এক সেকেন্ডও দাড়ালো না! সাধের ডেইরিমিল্ক গুলো সে খানেই ফেলে দিয়ে দৌড়! সোজা রান্না ঘরে, সেখান থেকে উইথআউট সুগারের এক কাপ কফি নিয়ে এক ছুটে দাড়ালো লাজুকের রুমের সামনে!
এই ঘরটা টায়রা জমের ঘর বলে মনে করে! আর জমটা যে লাজুক সেটাও সে মনে প্রানে বিশ্বাস করে!

দরজায় নক করতেই, ভেতর থেকে ভারী আওয়াজ এলো!
– কাম!

সূরা পরে বুকে ফু দিয়ে ধীর পায়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলো টায়রা! তার হাত পা কাপছে, সাথে হাতের মগটাও! যে কেউই দেখলে ভাববে টায়রা অকারনে এতো ভয় পাচ্ছে! কিন্তু না, ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারন আছে!
টায়রার মনে হয় কোনো একদিন এই ঘরে লাজুকের বিকট গর্জনে হার্ট ফেল করে সে প্রান হারাবে!

হঠাৎ এক গর্জনের আওয়াজে টায়রা সটাং করে সামনে তাকালো!
সয়ং জমরাজ রক্ত চক্ষু নিয়ে দাড়িয়ে আছে তার সামনে!

– কি হলো কফিটা না দিয়ে কোন ভাব নায় আছো?

কিছু না বলে ঢোক গিলে কাপা কাপা হাতে মগটা লাজুকের কাছে এগিয়ে দিয়ে মাথা নিচু করে দাড়ালো! দু পা দিয়ে শক্ত করে ফ্লোর চেপে ধরে আছে! কারন যে কোনো সময় কাপতে কাপতে ও পরে টরে যেতে পারে! আর তার প্লাইজ সরুপ লাজুকের ঐ শক্ত হাতের একটা চর!

– আ..আমি কি এখ..খন যা…

কথাটা শেষ করার আগেই লাজুকের ভারী আওয়াজ শোনা গেলো!
– ক্লাস শেষে কোথায় যাওয়া হয়েছিলো আজ?

ব্যাস হয়ে গেলো! এটারই ভয় পাচ্ছিল সে!নির্ঘাত লাজুক খবর পেয়ে গেছে ক্লাস শেষে যে সে বন্ধুর বাসায় গেছিলো!

– নি..নি..নিহার এ…এর বার্থডে ছিছ…ছিলো..তাই গিয়েছি..ছি..ছিলাম!

কথাটা বলেই, ভয়ে চোখ খিচে, ঠোট চেপে হাত পা শক্ত করে দাড়িয়ে পরলো! এই বুঝি লাজুক বিকট জোরে চিৎকার করে তার গালে ঠাস ঠাস চর বসাবে!
কিন্তু তার ধারনা পুরোপুরি ভুল প্রমানিত করে দিয়ে লাজুক বললো,
– আগে থেকে যেনো কখনো কাউকে না যানিয়ে বন্ধুর বাড়ি না যাওয়া হয়!

নিচের দিক তাকিয়ে ঘাড় নারলো টায়রা!

টায়রার দিকে নিরবে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে লাজুক বললো,
– নাও ইউ গো!

টায়রাকে আর পায় কে! তরিৎ গতিতে লাজুকের রুম থেকে বেরিয়েই বুকে থুরথুরি দিলো! আর জোরে জোরে কয়েকটা শ্বাস ফেললো!
হাত পা ভিষন রকমের কাপছে তার! এই মুহূর্তে কোথাও বসাটা খুব প্রয়োজন তার! কখন না যানি অজ্ঞান হয়ে যা!

নিজের রুমে গিয়ে ধপাস করে বিছানায় হাত পা ছরিয়ে শুয়ে পরলো! আর তার সাথে সাথেই তাকে ঘীরে বিছানায় বসলো, রিমপি-রিমি, তিতলি,নিশু!

রিমপি বলে উঠলো,
– টায়রা ভাই কি বকেছে আজও?

চোখ বন্ধ অবস্থাই মাথা নাড়ালো! আর তা দেখে ভুত দেখার মত হুমরি খেয়ে টায়রার উপরে পরলো সব গুলো!

লাফ দিয়ে উঠে বসে চোখ মুখ কুচকে বিরক্তি চাহনিতে তাকালো তাদের দিকে!
– আমাকে কি চ্যাপটা পাপর বানেতে চাইছিস নাকি রে! একে তো তোদের ভাই জমরাজের রুম থেকে প্রান হাতে করে বেরিয়েছি! কোথায় একটু পানি টানি খাওয়াবি তা না চিরে চ্যাপটা করে দিলো রে!

– হ্যারে শোন না, আমরা তো ভেবে ছিলাম ভাই আজ তোর বারোটা বাজাবে! কিন্তু তুই তো বললি কিছুই করেনি! এমনটা কেমনে হলো?

নিশুর কথা শুনে চোখ উল্টে ওর দিকে তাকিয়ে বললো,
– কেন রে আমাকে সুস্থ ভাবে দেখে কি তোদের হজম হচ্ছে না নাকি? [ মুখ বেকিয়ে ] যেমন খাটাশ ভাই তেমনি তার বোনেরা!

তিতলি হাসতে হাসতে বললো,
– এই কথাটা পারলে ভাইয়ের সামনে বলিশ তুই!

তিতলির কথা শুনে সবাই হিহি করে হেসে উঠলো!
টায়রা অসহায় মুখ করে তাকিয়ে রইলো তাদের দিকে! কারন সেও জানে বকা দেওয়া তো দূরে থাক জীবনেও লাজুকের চোখে তাকিয়েও কথা বলতে পারবে না!

এখানে জবে থেকে এসেছে তবে থেকে লাজুকের রাগের শিকার হয়েছে সে! লাজুকের সব রাগ যেনো টায়রাকে দেখেই বেরিয়ে আসে!
আর আজ যেমন লাজুক অফিস থেকে ফিরতেই তাকে কফি নিয়ে দিতে হলো এটা টায়রা যখন এখানে এসেছে তখন থেকেই করছে! কিন্তু নিজের ইচ্ছেই না লাজুক বলেছে তাই!
আর এরকম অনেক কটা ধারা তার উপর বর্ষিত হয়েছে, যা তাকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয়!
না করলেই শেষ, তখন আর দেখতে হবে না!

লাজুকের সাথে প্রথম দেখা হয়েছিলো যখন টায়রা ক্লাস নাইন এর গন্ডী পেরিয়ে টেনে উঠবে!
উঠতি বয়সে তখন প্রথম বার লাজুক কে দেখে জীবনের প্রথম বড় সড় ক্রাশ টা খেয়েছিলো!
কিন্তু তখন যদি জানতো এই ভয়ংকর সুন্দর চেহারার পিছনে ভয়ংকর রাগি একটা মানুষ আছে তাহলে সে জীবনেও এমন ভুল করতো না!

টায়রার মনে হয় সেই প্রথম দেখার দিনটাই ছিলো তার জীবনের সব থেকে খারাপ-ভালো সময়! সেই দেখার পর থেকেই তাকে লাজুকের এই ভয়ংকর রাগ সহ্য করতে হচ্ছে!
আর ভালো দিকটা হলো, এর পর থেকে জীবনে অনেক সুন্দর কিছু পরিবর্তন এসেছে! সুন্দর একটা পরিবার পেয়েছে! ভালো বন্ধু পেয়েছে! আর কি চাই?
_________ পুরোনো সেই দিনের কথা মনে পরে গেলো টায়রার!

মৃনাক্ষী নদীর কোল ঘেসে ছোট গ্রামটার নামটাও নদীর নামেই নাম রাখা হয়েছিলো, মৃনাক্ষী গ্রাম!
সেই গ্রামের মেয়েই টায়রা! নাইনের পরিক্ষা শেষ হয়েছিলো তখন তার! ক্লাস টেনে উঠবে তখন! গরমী কাল পেরিয়ে যেমন শীতের কুয়াশায় চারপাশ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে, তেমনি টায়রার মধ্যেও বাচ্চা বাচ্চা সভাব টা পেরিয়ে কিশোরী বয়সের একটা আমেজ চলে এসেছে!

আজ কাল সব কিছুই একটু অন্যরকম অদ্ভুত ভালো লাগে! উঠতি বয়সের নজিরা বোধহয় এটাই! নতুন নতুন অনুভূতির সাথে পরিচিত হচ্ছে সে! দক্ষিনা বাতাস, শীতের কুয়াশা ভেত করে যে রোধের সোনালী রশ্মি এসে গায়ে পরছে তাতেও সে অন্যরকম ভালো লাগা খুজে পাচ্ছে!
চেনা পরিবেশটাকেই কেমন যেনো নতুন করে চিনতে শিখেছে সে!
এভাবে সে কখনো অনুভবই করেনি তার চারপাশটাকে!

মৃনাক্ষী নদীর কিছুটা পাশেই টায়রাদের বাড়ি! গ্রামের ভীড় এরিয়ে কিছুটা দূরে, নিরিবিলি পরিবেশে! চারপাশে খোলা ধান খেত! সবুজ গাছ-পালা, পাখির কিচিরমিচির শব্দে মোহনিয় পরিবেশ!

বাড়ির পাশে ওদের যাতায়াতের রাস্তাটা ছিলো খেতের মধ্য দিয়ে চিকন পায় চলা ইটের পথ! সেটাকেই নতুন করে পাকা রাস্তা বানিয়েছে! টায়রাদের বাড়ি থেকে কিছুটা এগোতেই বড় একটা কম্পানি তৈরী হচ্ছে! তাই নাকি এই রাস্তাটা বানিয়েছে!

ধান খেতের মধ্যের এই পথটা ভিষন পছন্দের টায়রার, কোনো গাড়ি চলাচল শুরু করেনি এখান থেকে, আর মানুষেরও খুব একটা যাতায়াত নেই!

রাস্তাটার পাশ দিয়ে কিছু গাছ লাগানো হয়েছে, তাদের মধ্যে কিছু ফুল গাছও আছে! টায়রা অবাক চোখে দেখে যাচ্ছে সেই গাছ গুলো! হাত দিয়ে ছুয়ে দিচ্ছে আলতো করে!
শিরির গুলো হাতে লেগে ভিজিয়ে দিচ্ছে! শিরশিরে বাতাসটা গায়ে মৃদু কাপনিও ধরাচ্ছে!
আজ অদ্ভুত ভালো লাগছে সব কিছু যেনো! প্রকৃতির এই মায়াজালের ঘোরে আটকে গেছে টায়রা!

হঠাৎ গাড়ির হর্নের শব্দে সোজা হয়ে তাকাতেই দেখলো একটা সাদা গাড়ি খুব দ্রুত তার দিকে এগিয়ে আসছে! এই ধাক্কা লাগলো বলে!
ভয়ে দু হাত দু দিকে উচু করে তুলে দিলো! ঠোট চেপে, চোখ খিচে বন্ধ করে নিলো!

গাড়িটা থেমে যাওয়ার শব্দ হতেই, প্রথমে একচোখ খুললো তার পর আর একটা মেলে তাকিয়ে দেখলো গাড়িটা কিছুটা দূরেই থেমে গেছে!
বুক চেপে ধরে জোরে জোরে শ্বাস ফেললো! আজকের মত প্রানটা বেচে গেলো!

গাড়ির দিকে তাকাতেই দেখলো দরজা খুলে কেউ বাইরে বেরিয়ে আসছে! প্রথমেই নজর গেলো পায়ের দিকে!
হোয়াইট স্নিকাস পায়ে, ব্লাক প্যান্ট, হোয়াইট শার্ট! হাতা কনুই পর্যন্ত গোটানো, ফর্সা হাতে একটা ট্যাটু আকা, বুকের কাছের দুটা বাটন খোলা!
ধব ধবে ফর্সা মুখ!চোখে ব্লাক সানগ্লাস, ডান কানে কালো একটা টপ, চুল গুলো কিছুটা বড় বড়, বাট বেশ সফ্ট! হালকা বাতাসেই এলো মেলো হয়ে উড়ছে!

চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে বুকের কাছে শার্টে লাগিয়ে টায়রার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো! চোখ যেনো চোখ নয় একটা সমুদ্র ! ঘোলাটে হালকা সবুজ চোখ দুটো দেখতেই যেনো হার্টবিট বন্ধ হয়ে গেছে টায়রার!
সব মিলিয়ে আস্তো একটা আইটাম যাকে বলে!

একটা ভারী আওয়াজ আসতেই চমকে নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো টায়রা!
– এই যে পিচ্চি আহান সাখোয়াতের বাড়ি কোনটা চেনো?

পিচ্চি শব্দটা শুনতেই অটোমেটিক মুখ বেকিয়ে গেলো টায়রার! এই শব্দটার ওর একদমই পছন্দ না! ওকে কেউ পিচ্চি বলুক এটা ওর মোটেও পছন্দ না!
কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু বলতেও পারবে না!

– এই রাস্তা নিয়ে সোজা চলে যান, ডান দিকের যেই প্রথম বাড়িটা সামনে পরবে সেটাই আহান সাখোয়াতের!

– ওকে!
টায়রার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে চোখে সানগ্লাসটা লাগিয়ে আবার গাড়িতে উঠে চলে গেলো!
গাড়িটার দিকে স্থির সৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সে কিছুটা মুহূর্ত!
তারপর সেও ধীর পায়ে বাড়ির দিকে হাটা শুরু করলো!
_____________
বাড়িতে ঢুকতেই উঠোনে সেই সাদা গাড়িটা নজরে এলো টায়রার! তারপর ঘরের ভিরতে যেতেই টায়রার মা বেরিয়ে এসে বললো,
– আরে টায়রা তুই কোথায় ছিলি বলতো? দেখ তোর ফুল মা এসেছে!

টায়রা তার মায়ের কথা শুনে অবাক চোখে তাকালো তার দিকে!
– যা তোর বাবার ঘরে আছে তারা!

মায়ের কথার সায় দিয়ে মাথা নাড়িয়ে ধীরে ধীরে বাবার রুমের দিকে গেলো! ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পেলো বিছানার পাশে চেয়ারে সেই হোয়াইট শার্ট ওয়ালা লোকটা বসা! টায়রার দিকে স্থীর দৃষ্টি তার! সে দিক থেকে নজর সরিয়ে বাবার দিকে তাকাতেই দেখলো এক জন মাঝ বয়সি মহিলা তার বাবার পাশে বিছানায় বসে!

– ঐ তো টায়রা এসে গেছে!

টায়রার বাবার কথা শুনে সেই মহিলা টায়রাকে দেখে হেসে উঠে এসে জরিয়ে ধরলো ওকে! কপালে চুমু খেয়ে বললো,
– আমাকে চিনতে পারছিস? আমি ফুল মা তোর!

তার কথার বিনিময়ে মৃদু হাসলো টায়রা!

ফুল মা বললো,
– ঐ হলো লাজুক, আমার ছেলে! মানে তোর ভাই!

ফুল মার কথা শুনে পাশে বসা মানুষটার দিকে তাকিয়ে দেখলো, এখনো সে সেই শীতল চাহনি তে তাকিয়ে!
– কে..কেমন আছেন ভাভ..ভাইয়া!

টায়রার প্রশ্নের জবাবে শান্ত স্বরে জবাব দিলো,
– ভালো, তুমি?

– জী আমিও ভালো আছি!

লাজুকের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সে তার ফুল মার সাথে কথায় মেতে উঠলো!

দীর্ঘ বহু বছর তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই টায়রাদের! সবার অমতে টায়রার ফুল মা মানে আহানের এক মাত্র ছোট বোন পালিয়ে বিয়ে করছিলো! তার পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয় নি!
কিন্তু আজ টায়রার ফুল মা খবর পেলো তার ভাই অসুস্থ ,তাই সব ভুলে ছুটে এসেছে!

কিছু দিন আগেই আহানের একটা মিনি স্ট্রোক হয়! গ্রামেই ছোট একটা চাকুরী করে সে, অত্তন্ত সাদা সিদে তাদের জীবন! বড় মেয়ের দু বছর আগে বিয়ে হয়েছে, ছোট টায়রা!
টানাটানির সংসারে হঠাৎ করে আহানের আবার এরুপ দসা! তাই সংসারের অবস্থা দিন দিন খারপ হচ্ছে !

টায়রা তার ফুল মার সাথে কথা বলে যানতে পারলো লাজুক এক বছর আগেই ফ্রান্স থেকে ফিরেছে! নাম করা ফ্যাশান ডিজাইনার সে! এখন নাকি বাবার ব্যাবসা সামলাচ্ছে!
– ফ্যাশান ডিজাইনার..? তাই তো বলি এতো স্টাইলিশ কেনো!
মনে মনেই কথাটা আওড়ালো টায়রা!

টায়রার মা ভেতর থেকে চেচিয়ে বলে উঠলো,
– টায়রা তোর ফুল মা কে আমাদের আশেপাশটা ঘুরিয়ে দেখা, কত বছর পর এলো!

মার কথায় সায় দিয়ে সে লাজুকের মাকে নিয়ে বাবার রুম থেকে বেরিয়ে এলো সাথে লাজুকও!

To ba continue…..
– Shuchona Zannat…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here