#একটি_নির্জন_প্রহর_চাই
৩৫
#WriterঃMousumi_Akter.
‘তোমার থেকে কম বয়সী অনেকে মারা গিয়েছে,সেই হিসাবে দীর্ঘায়ু তোমার।এতদিন কীভাবে বেঁচে আছো?বিশেষ কোনো শক্তি পেয়েছ?দৈব পাওয়ার?’
কথাটা আমি টেনে টেনে বলে বাঁকা হাসলাম।আমি যে ওনাকে অপমান করতেই বলেছি ওনি সেটা বুঝতে পেরেছেন।আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,
”ফুপি দেখলে এই মেয়েটা কেমন বেয়াদব।কী-সব বলছে।এতো ডিরেক্ট আমার মৃত্যু কামনা করছে!”
আমিও মনে মনে প্রস্তুত হয়ে আছি।কিছু বলুক যোগ্য জবাব আমার রেডি আছে।শাশুড়ি আমাকে কিছু বলার আগেই বললাম,
”জিনাত আপু আহা!তোমার ফুপিকে টানছো কেন এখানে?যা বলার আমাকে তুমিই বলো না।”
‘সারাহ তোমার মাঝে ভদ্রতার লেশমাত্র নেই।তুমি কি মানুষ না অন্য কিছু?একটা মানুষ হয়ে কীভাবে অন্য আরেকটা মানুষের মৃত্যু কামনা করতে পারো?’
‘কেন? আমি কি কোনো পির,ওলি-আউলিয়া? যে আমার মুখের কথা ফলে যাবে তাই তুমি এত উত্তেজিত হয়ে পড়ছো।তুমি যে এতক্ষণ দাদুর আয়ুষ্কাল নিয়ে কথা বললে তখন কি নিজেকে খুব ভালো একজন মানুষ বলে মনে হচ্ছিল তোমার?শোনো আপু আমি বেপরোয়া হতে পারি; কিন্তু অমানুষ নই।তাছাড়া তোমার তো চরিত্রেরও ঠিক নেই।এখনও রোশান ভাইয়ার অপেক্ষায় আছো? অন্যর জামাই নিয়ে টানাটানি করে নিজেকে মানুষ বলে মনে করো?রোশানকে নিয়ে টানাটানি করতে আসলে আমি তোমাকেই টানাটানি করে ছি** ড়ে ফেলব।ওনি আমার মানে আমার।যতক্ষণ আমি জীবিত আছি ওনি আমার।আমি মরে গেলেও ওনি আমার।ইহকাল-পরকাল,সব কালেই ওনি আমার।আমি অত ভাল নই বুঝলে যে জীবনে কোনো ঝড় আসলে বলব, ‘ওগো আমি তো মরেই যাব তুমি আরেকটা বিয়ে করে নিয়ো, একা থেকো না।আমি স্রেফ বলে দেব যদি আমি মরার পরে বিয়ে করেন তাহলে আমার আত্মা এসে শান্তিতে সংসার করতে দেবে না।’
আমার কথা বোধহয় একটু বেশিই সাংঘাতিক শোনাল।জিনাত আপু কেমন বড়ো বড়ো চোখে তাকালেন আমার দিকে।রাগী চোখে তাকিয়ে চোয়াল শক্ত করে বলল,
”সারাহ মাইন্ড ইওর ল্যাঙ্গুয়েজ! তুমি কিন্তু একটু না অনেক বেশি বলছো!ভেবো না আমি তোমাকে কিছু বলব না!ছিঃ!মানুষের মুখের ভাষা এমন হয়!”
‘আরে ইংলিশ আপ্পা আবার ইংলিশ বলছেন।আপনার না উচিত ছিল রোশান নয় ওশানের পিছে লাগা।তাহলে এতদিন কাজের কাজ হতো।রোশানের তো চরিত্রে কোনো সমস্যা নেই। নিজের এমন সুন্দরী,গুনবতি, ঝ*গ*রু*টে বউ রেখে অন্যর দিকে নজর দেবে না।ওশানের চরিত্রে অনেক সমস্যা আছে।তুমি একবার বললেই রাজি হয়ে যাবে।এতদিনে বিয়ে হয়ে ওশানের সন্তানের মা হয়ে যেতে পারতে।এত্ত পরিশ্রম করা লাগত না।’
‘কীহ!কী বললে?তুমি ভাবলে কীভাবে?আমি একটা ম্যারেড ছেলের সাথে!আমাকে এত্ত সস্তা লাগে তোমার?এত্ত ন্যারো মাইন্ডেড কেন তুমি?’
‘তাই নাকি?বিবাহিত পুরুষের প্রতি এত ঘৃণা তোমার?ওশান বিবাহিত সমস্যা আর রোশান,ওনি কি অবিবাহিত ?’
শাশুড়ি এবার অতিরিক্ত রেগে গিয়ে বললেন,
”সারাহ! তোমার মা-বাবার কাছে আজ ফোন দেব আমি।কী শিক্ষা দিয়েছেন তোমাকে? শ্বশুর বাড়ি এসে গুরুজনদের সাথে অশান্তি করতে কী তোমার মা-বাবা শিখিয়ে দিয়েছেন?”
‘এখানে মা -বাবা টানছেন কেন আম্মা?আপনি আমার গুরুজন তাই বেশি কিছু বলব না।আপনিই না কিছুক্ষণ আগে বলছিলেন, দাদুকে তার মেয়ের বাড়িতে গিয়ে কিছুদিন থেকে আসতে?তো আপনার তো মেয়ে নেই?আপনার এমন দিন আসলে কার বাড়িতে গিয়ে থাকবেন?একটা বয়স্ক মানুষকে এমন অপমান করলেন কীভাবে?’
ওশান পাশ থেকে বিরক্ত হয়ে বলল, ”আম্মা চা কী পাওয়া যাবে?না-কি এসব নাটক দেখে যেতে হবে?কতদিন ঠিকভাবে চা-নাস্তা পাওয়া যায় না এ বাড়িতে।তরী যাওয়ার পরে একদিনও ঠিকভাবে খাওয়া হয়নি আমার।আর যাইহোক তরী আমার খাবার তিনবেলা গুছিয়ে রাখত।’
শাশুড়ি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ”যাও ওশান আর জিনাতকে চা দাও।”
‘আপনার ছেলে অত্যাচার করে বউ তাড়াবে আর আমি তার চা বানিয়ে খাওয়াব।যেখানে আমি আপনাদের রান্না করেই খাওয়াচ্ছি না সেখানে চা খাওয়ার আশা করাটা একটা বিলাসিতা মাত্র!’
এর-ই মাঝে রোশান স্যার রুম ছেড়ে বেরিয়ে এলেন।গায়ে গেঞ্জির হাতা ভরতে ভরতে এসে বললেন,
”আম্মা এ বাড়িতে কী শান্তিতে ঘুমানোও যাবে না?বাড়িটা হাট বাজার বানিয়ে ফেলছো না?সমস্যা কী তোমাদের?এটা কোনো সভ্য মানুষের বাড়ি?”
‘বাবা সারাহ আমার সাথে যে ব্যবহার করছে তা বলতে চাচ্ছি না।ছেলে মানুষ করেছিলাম কী এই দিন দেখার জন্য?সামান্য চা দিতে বলায় সারাহ যা যা বলল!’
জিনাত আপু বলল, ”রোশান ভাইয়া এটা কী বিয়ে করেছেন আপনি?এতো আমার মৃত্যু কামনা করছে।”
ওনি বিরক্ত চোখ-মুখ নিয়ে ওনার মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ”আমাকে এখন কী করতে হবে আম্মা?না মানে তুমি আমাকে নালিশটা ঠিক কী জন্য দিচ্ছো?আর আমার কী করা উচিত বলে মনে হচ্ছে?”
‘বাবা এই মেয়ে আমাকে যাচ্ছে তাই অপমান করে যাচ্ছে।তুমি এর বিচার করো না বলেই এত সাহস বেড়েছে।’
‘চা কেন দিবে সারাহ।ও কি এ বাড়িতে জিনাত আর ওশানের চা বানাতে এসেছে?তুমি যদি ভেবে থাকো তোমার কথায় ওশানের মতো বউ-এর সাথে খারাপ ব্যবহার করব এটা ভুল ধারণা।যে তিনবেলা যত্ন করত তাকে তো মা-ছেলে মিলে তাড়িয়েছ।এখন যত্নের আশা করো কীভাবে?তুমি যদি তরীকে আগলে রাখতে তাহলে আজ আমার ওয়াইফ তোমাকে কিছু বললে আমি তার যোগ্য বিচার করতাম।আর জিনাত তুমি বাড়িতে যাওয়া আসা করো ভালো কথা।কিন্তু সারাহ তোমার হুকুমের গোলাম নয়।নেক্সট টাইম যদি ও-কে কিছু বলো ও তোমকে মারলেও আমি শুনতে আসব না।আমি সবটা শুনেছি আর শুনেই এসেছি এখানে।’
জিনাত আর কিছুই বলার সুযোগ পেল না। শাশুড়ি ও বেশি একটা হুকুম চালাতে পারে না বড় ছেলের প্রতি।দাদু মিটিমিটি হাসছেন।আমি রান্নাঘরে প্রবেশ করে চা গরম করে রোশান স্যারের জন্য ঢেলে নিয়ে রুমে গেলাম।রুমে গিয়ে দেখি ওনি রুমে নেই।আমি এদিক-সেদিক উঁকি দিয়ে দেখলাম কিন্তু কোথাও নেই ওনি।হঠাৎ ওয়াশরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ শুনতে পেলাম।আমি ওয়াশ রুমের দরজায় থাকা ছোট্ট ছিদ্র দিয়ে উঁকি দিতেই ওনি সাথে সাথে দরজা খুলে আমাকে হাত ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে গেলেন।আর একটু হলে প* রা* ণ উড়ে যেত।ইশ কী ভ–য় টা-ই না পেয়েছি!মাথার উপর পানি পড়ছে।শরীরে আচমকা পানি পড়তেই কেমন শিরশির করে উঠল।সামনে তাকিয়ে দেখি শ্যামসুন্দর পুরুষের পরনে টাওয়াল।খালি গায়ে ভেজা শরীরে দাঁড়িয়ে আছেন,ঠোঁটের কোনে দুষ্টু হাসি।ওনি ওনার দুই হাতে আমার কোমর জড়িয়ে ধরে রেখেছেন।ওনার হাত সরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ব্যার্থ হচ্ছি।আমি যত চেষ্টা করছি ওনি তত শক্তভাবে আমাকে ধরছেন।প্রায় ভিজে গিয়েছি।ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘আমার লজ্জা লাগছে ছাড়ুন আমাকে।ভিজে যাচ্ছি কিন্তু।’
ওনি আমাকে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললেন, ‘বার্থডে গিফটটা এখনও পেলাম না কিন্তু?দাও ছেড়ে দিচ্ছি।’
‘কী অসভ্য কথা-বার্তা!ছাড়ুন আগে।’
‘আগে দাও তারপর ছাড়ছি।’
‘কী দেব?’
ওনি আমাকে এবার রীতিমতো চমকে দিলেন।কিছু না বলে হঠাৎ জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে ঠোঁট ডুবিয়ে কানের কাছে ফিসফিস করে বললেন, ‘চুমু দাও।’
ইয়া মাবুদ এই মানুষ টা এত নির্লজ্জ!লজ্জায় এখনি ম* রে যাব আমি।যে ভাবে জড়িয়ে ধরে রেখেছে আর হুট হাট চুমু দিচ্ছে তাতে বেশিক্ষণ লাগবে না অজ্ঞান হতে।ওনার হাত থেকে রক্ষা পেতে বললাম, ‘পরে দেব ছাড়ুন এখন।’
‘এই দারুণ মোমেন্ট রেখে পরে?’
‘হ্যাঁ পরে এখন আমার লজ্জা লাগছে।ছাড়ুন এবার।’
‘না ছাড়ব না।’
‘বললাম না দেব?’
‘টাইম বলো।’
‘আমার কিন্তু পড়া বাকি অনেক।কিছুই পড়িনি।এভাবে ধরে রাখলে ফেল করব।’
ওনি ছেড়ে দিয়ে বললেন, ‘তুমি এখানেই থাকো।একবারে গোসল শেষ করে বের হও।আমি তোমার ড্রেস নিয়ে আসছি।’
ওনি ভেজা শরীরেই বেরিয়ে গেলেন।কিছুক্ষণ পর এসে দরজায় উঁকি দিয়ে আমার ড্রেস দেওয়ার সময় বললেন, ‘সারাহ!তোমাকে আজ যে রুপে দেখলাম, ট্রাস্ট মি! আমি খু**ন হয়ে যাব।’
ওনার এই কথাটায় যেন আমি নিজেই খু**ন হয়ে গেলাম।ওয়াশ রুমের ওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে লজ্জারাঙা মুখটা লুকালাম ওনার থেকে।
আমি ড্রেস চেঞ্জ করে বেরিয়ে এসে দেখি ওনি কমন ওয়াশরুম থেকে গোসল শেষ করে ট্রাউজার পরে মাথার চুল মুছতে মুছতে ঘরে প্রবেশ করলেন।আমি চুপ করে চেয়ার টেবিলে পড়তে বসলাম।মন বড়োই অস্থির আমার।”উড়ো চিঠি”পেইজে ওনাকে নিয়ে একটা চিঠি লিখি দিয়ে এসেছি।তারা সেটা ওনাকে মেনশন করেই পোস্ট দিয়েছে।ওনি কখন দেখবেন সেই অপেক্ষায় আছি।ওনি ফোন নিয়ে বিছানায় বসলেন পা মেলে বালিশ হেলান দিয়ে।ফোন স্ক্রল করে যাচ্ছেন মনোযোগ দিয়ে।বিভিন্ন মানুষ ওনাকে মেনশন দিয়েই যাচ্ছে।আমি পড়ার ফাঁকে খেয়াল করছি কে কি কমেন্ট করছে।
ওনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ”আচ্ছা তুমি কি জানো কে আমাকে চিঠি দিয়েছে?”
আমি সরল মুখভঙ্গীতে বললাম, ”কই না-তো?”
‘শিওর তুমি নাহ?’
‘নাহ!আমি চিঠি লিখতে পারি না।’
‘ওহ আচ্ছা!যেই লিখুক তার অনুভূতি প্রকাশের ধরণ টা সুন্দর। ‘
‘তাই?’
‘হুম বাট এখন আমাকে চিঠি লিখে লাভ কী?বিয়ের আগে যদি লিখত তাহলে ভেবে দেখা যেত।’
‘বিয়ের আগে লিখলে কী ভেবে দেখতেন?’
‘ভেবে দেখতাম যে এত সুন্দর চিঠির মালিককে বিয়ে করলে নিশ্চয়ই রেগুলার এমন দারুণ দারুণ সব চিঠি পাব।এক বাক্যে বিয়ে করে নিতাম।’
বই খুব জোরের সাথে বন্ধ করে ওনার দিকে ঘুরে বসে বললাম, ”কেন খুব আফসোস হচ্ছে?”
‘তা হচ্ছে একটু।’
‘তাহলে যান এখনই গিয়ে বিয়ে করুন।”
‘হুম আমিও সেটাই ভাবছিলাম কিছুক্ষণ আগে।’
‘কী ভাবছিলেন? ‘
‘বিয়ের কথা।এত সুন্দর চিঠি যে লিখেছে তাকে বিয়ে করা-ই যায়।’
রেগে রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ওনি চট জলদি উঠে এসে আমার হাত টেনে ধরে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে থুতনি ঠেকিয়ে বললেন, ”যার অনুভূতি প্রকাশের ধরণ এত সুন্দর তাকে একবার নয় একশ বার বিয়ে করতে রাজি আমি।চিঠিটা যে তোমার লেখা সেটা খুব ভালো করেই জানি আমি।’
সাথে সাথেই আনন্দে চোখ-মুখ স্নিগ্ধ হয়ে উঠল আমার ।চিঠিটা ছিল,
প্রিয় শ্যামসুন্দর পুরুষ,
কখনো আমার হৃৎস্পন্দনের অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করেছেন,যখন আমি আপনার আশেপাশে থাকি?আপনি কাছাকাছি এলে কেন জানি আমার হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক গতিতে বেড়ে যায়।আমি লজ্জায় কুঁকড়ে যাই,যদি আপনি সেই ঢিপঢিপ শব্দ শুনে ফেলেন!আপনি নিজেও জানেন না, আপনার প্রতি আমার অনুভূতি কী ভয়ানক!কতটা সুন্দর মানব আমার চোখে সেটা আপনি জানেন না। আপনি যে অনিন্দ্যসুন্দর। আমার শ্যামসুন্দর আপনি।আপনি যখন একপলক আমার দিকে তাকান,আমার পৃথিবী যেন থমকে যায়।কখনো হঠাৎ স্পর্শে আমি আবেশে জড়িয়ে যাই।বলতে পারেন কী যাদু আছে আপনার মাঝে যা আমায় ক্ষণে-ক্ষণে আপনার প্রতি মোহাবিষ্ট করে রাখে!আপনার হাসি আমার হৃদয়ে ভালোবাসার ঢেউ সৃষ্টি করে,আমি ভেসে যাই সে ঢেউ-এ।আপনি যে পুরোটাই অভিনব।আমার স্বপ্নের শ্যামপুরুষ।আপনাকে ভেবে কতশত রাত আমার স্বপ্নের মতো কেটে যায় জানেন প্রিয়তম?আপনি প্রেমময়, আমি সেই নেশায় আসক্ত।আপনি যে অনিন্দ্যসুন্দর।ভালোবাসার অনুভূতি কীভাবে প্রকাশ করতে হয় জানি না আমি,শুধু জানি আমি আপনাতে বিভোর, আমি আপনার নেশায় ডুবে যাই,আমি আপনাতে নিজেকে খুঁজে পাই।ভালোবাসি! ভীষণ!ভীষণরকম প্রিয়!আপনি আমার! একান্তই আমার!আপনাকে পাওয়ার দাবি আমার আজন্মকাল শ্যামসুন্দর পুরুষ।
আপনি আমার এক জীবনের সাধনা।আপনাকে পাওয়ার দাবি মৃ*ত্যু*র পরেও আমি ছাড়ব না!
ইতি
আপনার প্রনয়ীণী।
চলবে,,?
(