এক্সিডেন্টলি পর্ব ১৫

#এক্সিডেন্টলি_প্রেম♥
#পার্ট-১৫♥
#Ayanaa_Jahan(Nusraat)♥

সন্ধ্যে ৬ টা বেজে ৪৬ মিনিট,

পশ্চিমাকাশে সূর্যের ডুবন্ত ভাবের আভায় কমলাটে বর্ণের বিচরণ খেলা করছে, এই বুঝি সময় ফুরিয়ে এলো বলে বলে। অরুণের এই আলো নেভার নির্মম খেলার সময়ে চৌরাস্তার মোরে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত চোখে রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশে চোখ বুলিয়ে ক্লান্ত হয়ে চলেছে অন্বিতা। কপালে ক্লান্তি ও গরমের উত্তাপে জমেছে বিন্দু বিন্দু ঘাম, সূর্যের আলো ক্ষীণ হওয়ায় যা স্পষ্ট নজরে পড়ছে না সেভাবে।

অন্বিতা চোখে মুখে বিরক্তর ছাপ ফেলে মোবাইল স্ক্রিনে নজর ফেললো। এখন সময় ৬ঃ৫০ মিনিট! সময়টা দেখা মাত্রই কপালের ভাঁজটা দৃঢ় হয়ে এলো তার। গুনেগুনে ঠিক ১৫ মিনিট যাবৎ তাকে একই ভাবে দাঁড়িয়ে রেখেছে “শিখা”। যেখানে ৬ টা ৩০ এর মধ্যেই দুজনের এক জায়গায় উপস্থিত থাকার কথা সেখানে ৬ টা বেজে ৫০ মিনিট অর্থাৎ বিশ বিশটা মিনিট পেড়িয়ে গেলো কোনো খবর নেই তার। অথচ অন্বিতা যখন বাড়ি থেকে তাড়াহুড়ো করে বেড় হচ্ছিলো তখন ৫ মিনিট দেড়ি হবে ভেবেই নিজের প্রতি চরম বিরক্তবোধ করছিলো। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছার পর তার ভাবমূর্তির পরিবর্তন হয়েছে বেশ, তার মনে হচ্ছে শুধু ৫ মিনিট কেনো আরোও বোধহয় আধঘন্টা লেইট করে আসাই উচিত ছিলো তবে।

অন্বিতা আকাশ পানে দীপ্তিহীন চোখে তাকালো, আযান দিতে হয়তো আর ১ কি দু মিনিট বাকি! তাই চটজলদি ওড়না টেনে খোপা করে রাখা চুলগুলো ঢাকতে উদ্যত হওয়া মাত্রই হাঁপাতে হাঁপাতে সামনে এসে দাঁড়ালো শিখা। হাতে তার লম্বা ফিতা যুক্ত হ্যান্ড ব্যাগ। দৌড়ে এসে থামার ফলে ঘনঘন বার কয়েক তীব্র শ্বাস ফেললো সে। অন্বিতা সরু চোখে তাকাতেই বললো,

—- রাগ করিস না প্লিজ! আই এম সো সরি দোস্ত! বাট বিশ্বাস কর এতে আমার কোনো দোষ ছিলো না। সামনে এতো গ্যাঞ্জাম চলছে যে এক চুল পরিমাণ নড়বার ও জায়গা ছিলো না, একেবারে চিপায় পরে চিপকে গেছিলাম বাপ!

লম্বা দম নিয়ে কথাগুলো এক নাগাড়ে বলে বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস ফেললো শিখা। কোমড়ে হাত রেখে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ওপর হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে কপাল বেয়ে গড়িয়ে পরা ঘামগুলো মুছে নিলো। অন্বিতা সরু চোখে তাকালো, প্রশ্নোক্ত গলায় ভ্রু কুঁচকে বললো,

—- ক্যাচাল মানে? কিসের ক্যাচাল?

—- আর বলিস না, কোন জানি এক ছেলে তার বৃদ্ধ বয়সী বাবার গায়ে হাত তুলেছিলো, একের পর এক মেরেই চলেছিলো তাও আবার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাস্তার ধারে এসে। তুই ই বল ওরকম একটা মুহুর্তে আশেপাশের মানুষ কি চুপ থাকবে? কেউ কেউ ব্যাটাকে থামাতে আসলেও বাকিরা এসেছিলো তামাশা দেখতে। আর আমি মাঝখান থেকে ফেসে কেস খেয়ে গেলাম শুধু শুধু! না পারছিলাম বের হতে আর না পারছিলাম ওখানেই স্টিল দাঁড়িয়ে থাকতে, দেখ কি হাল হয়েছে আমার!

বলেই নিজের খোঁচা লাগা পা দুটো একধাপ এগিয়ে দিয়ে উঁচু করে ধরলো শিখা। তবে ফলাফল এলো একেবারেই অপ্রত্যাশিত! সহানুভূতি পেয়ে যেখানে মুখটা ছোট করে ঠোঁট উল্টানোর কথা ছিলো সেখানে হতাশার চরম সীমায় পৌঁছে কপাল চাপড়াতে হলো তাকে। অন্বিতা “বৃদ্ধ কোনো বাবার গায়ে তারই ছেলে হাত তুলেছে” বাক্যটা শ্রবণগোচর হতেই চোখ বড়বড় করে কপালে কঠিন চিন্তার ভাঁজ ফেললো। উদ্বিগ্ন গলায় কামিজের হাতা গোটাতে গোটাতে বললো,

—- কোন জানোয়ার এই জঘন্যতম কাজটা করছে? বেহুদা! চল এক্ষুনি যাবো আমি, নিয়ে চল আমায় ওখানে। একেবারে থাপড়াইতে থাপড়াইতে ওই ছেলের পিন্ডি চটকাবো আমি!

শিখা অন্বিতার কথায় চটজলদি দু হাত মেলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো। ব্যস্ত স্বরে বলে উঠলো,

—- আরে আরে মামলা ঠিক হয়ে গেছে এখন, দুটো ভাইয়া মেইবি গিয়ে সিচুয়েশন সামলেছে, ওদের দেখাদেখি এগিয়েছিলো অনেকে। তোর বাড়তি প্যারা নেওয়ার দরকার নেই সোনা, এমনিতেই সন্ধ্যে গড়িয়ে পরেছে। এই নে ধর তোর হ্যান্ড নোট! বাবলীকে পিকচার সেন্ড করে দিস নাহয়।

বলেই ব্যাগ থেকে নোটবুকটা বের করে অন্বিতার সামনে এগিয়ে ধরলো শিখা। অন্বিতা রাগে ফোসফাস করতে করতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এলো। শিখার হাত থেকে নোটবুকটা ছিনিয়ে নিয়ে চোখমুখ কুঁচকে ছোট্ট শ্বাস ফেললো। শিখা ব্যাগের চেইন লাগাতে লাগাতে বললো,

—- বইন যাই আমি, দেখ অন্ধকার হয়ে আসছে। তুইও জলদি জলদি বাসায় যা। ওকে? টাটা!

বলেই ছুট লাগালো শিখা। যেতে যেতে উল্টো দিকে ফিরে হাত নেড়ে আবারও “টাটা” দেখালো সে। অন্বিতাও বিপরীতে হাত নাড়িয়ে উত্তর পাঠালো। অন্ধকারাচ্ছন্ন ময় আকাশের পানে মোহিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মৃদু হাসলো। হঠাৎই নিশান্তের চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠতেই হকচকিয়ে উঠলো সে৷ সাথে মনে পরে গেল আজ দুপুরের সেই অনাকাঙ্ক্ষিত বিশ্রী মুহুর্তটা! অন্বিতার দু গালে হাল্কা গোলাপি আভা ফুটে উঠলো৷ আনন্দর নিশান্তকে ধরে উঠতে সাহায্য করা, নিশান্তের যেতেই নিজ হাতে ভাইয়ের পাকামোর দরুন ধোলাই দেওয়া সব স্মৃতিই একে একে ফুটে উঠতে শুরু করলো তার মনের খাতায়। অন্বিতা নিজ মনে হাসলো, উল্টো দিকে ফিরে তার ফ্লাট জুতো পরিহিত পা দুটো ছোট্ট ছোট্ট ধাপ ফেলে এগিয়ে চললো নিজ গন্তব্যকে লক্ষ্য বানিয়ে।

_________________________

—- হালায় দেখছোস কি পরিমাণ খচ্চর! শালা যে ওরে জন্ম দিলো তারই গায়ে হাত!

রিভানের কথায় মাথায় ঝাঁকালো নিশান্ত৷ ফোল্ড করে রাখা শার্টের হাতা ছাড়াতে ছাড়াতে বললো,

—- বুঝলি তো রিভান, যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, চারপাশে শুধু পঁচা নর্দমা জমছে। মানুষ আর মানুষ নেই, আবর্জনায় পরিণত হচ্ছে। এসব আবর্জনা ছাটাই না করলে পরবর্তীতে মানবকুল বোধহয় মানুষের হাতেই নিঃশেষ হয়ে যাবে!

নিশান্তের যুক্তি সংবলিত কথাগুলো গভীর ভাবনায় ডুবে বুঝতে চেষ্টা করলো রিভান। ভাবার্থ পুরোপুরি বুঝতে পেরে হতাশাগ্রস্ত চোখে তাকালো৷ হঠাৎ কিছু মনে পড়ায় ব্যস্ত হয়ে সে জিজ্ঞেস করলো,

—- আচ্ছা সবই বুঝলাম বাট তুই কবে থেকে সমাজের প্রতি এতোটা খেয়াল রাখছিস? আর আজ সরাসরি ছেলেটার গায়ে হাত তুলে ফেললি। আগে তো এসব মারামারি টাইপ সিন দেখলেই ১০ হাত দূরে থাকতি!

নিশান্ত সচেতন চোখে তাকালো। নিজের পরিবর্তনে নিজেই কনফিউজড হয়ে ভাবলো,

—- “আরে আসলেই তো, আমি আজ নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে কাউকে প্রহার করেছি, সমাজের বাজে কর্মকান্ডগুলোর প্রতি নজর ফেলছি।”

নিশান্ত পলক ঝাপটালো, রিভানের প্রশ্নে আরোও গভীরে উত্তর খুঁজবার চেষ্টা চালাতেই হুট করে মনের কোণে প্রতিধ্বনির ন্যায় বেজে উঠলো একটি নাম। নামটা হলো “অন্বিতা”! হ্যাঁ অন্বিতাই তো, সেই তো তাকে সাহস সঞ্চার করে অন্যায়ের মোকাবেলা করাতে শিখিয়েছে। সেই তো নিজের রং এ তাকে রাঙিয়েছে।
উত্তরটা নিজে থেকেই উঠে আসায় চমকালো নিশান্ত। চোখ পিটপিট করে রিভানের উত্তরের আশায় ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকা মুখে তাকালো। রিভান কুঁচকে রাখা ভ্রু যুগল আরো খানিকটা কুঁচকাতেই গলা খাঁকারি দিয়ে উঠলো, বুক ফুলিয়ে কৃতিত্ব অন্যকে না দেবার চরম প্রচেষ্টায় তটস্থ হয়ে বললো,

—- কেনো পরিবর্তনটা ভালো নয় নাকি? সারাজীবন বইয়ে মুখ গুঁজে রেখে আশেপাশে তাকাবার সুযোগটাই তো হয়নি আমার। এখন বুঝছি একঘেয়েমিতায় অনেকটা সময় হাড়িয়ে ফেলেছি জীবনের।

রিভান নিশান্তের কাধে দুবার চাপড়ালো। সান্ত্বনা দিয়ে বললো,

—- যাক, এতোদিনে অন্তত তোর সুবুদ্ধি হলো বল, চল বাড়ি যাই আন্টিকে এতো বড় খুশির খবরটা দিতে হবে তো নাকি? এর তো রীতিমতো সেলিব্রেশন হওয়া উচিৎ!

নিশান্ত চোখমুখ কুঁচকালো। ফোসফাস করতে করতে হাতের কুনুই দিয়ে সোজা পেট বরাবর গুঁতো মারলো তার। রিভান ” আউউউয়াম্মায়া…!” বলে চেঁচাতেই হু হা করে হেসে ফেললো নিশান্ত। বাইকে চরে বসে স্টার্ট দিয়ে চোখের ইশারায় তাকে পেছনে বসতে বললো। চোখ ছোটছোট করে তাকালো রিভান, পেট চেপে ধরে কোনো রকমে এগিয়ে এলো সে।

_____________________________

সামান্য ভয়ে মাখা চোখে আধার কালো রাস্তার সোডিয়াম লাইটের আলোকে অনুসরণ করে হেটে চলেছে অন্বিতা। এই গলি টাতে আজকে আবারও পা রাখতে হয়েছে তাকে। ঠিক এই গলটাতেই অন্বিতা-নিশান্তের প্রথম দেখা, প্রথন কথা বলা, এবং প্রথম দূর্ঘটনা! আনসপেক্টেড এক্সিডেন্ট! যার কথা হয়ত বা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবার পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত মনে থাকবে তার।

“রাস্তার ধারে একটি কুকরছানা ডাষ্টবিনে কিছু একটা খুঁজছে” এরকম দৃশ্য চোখে ভাসতেই মায়াভরা চোখে তাকালো অন্বিতা। কুকুরছানাটা খুব বেশি ছোট না আবার বড়ও না, মাঝবয়সী! রোগা-পাতলা হাড্ডিসার দেহ তার, ছোট্ট ছোট্ট উজ্জ্বল চোখ, বাঁকানো লেজ, সাথে হাজারো ধূলিকণার ক্রন্দন! অন্বিতা ঠোঁট কামড়ে ধরে কিছু একটা ভাবলো। গলিতে কেউ নেই আর না আছে কোনো দোকান, যা দেখে হতাশ হলো। হঠাৎই মনে হলো তার ঘাড়ে ঝুলানো কাপড়ের ওপর সুতোর খেলা করা ব্যাগটার কথা। আজ আনন্দর জন্য বন রুটি কিনেছিলো সামনের মোড় থেকে অন্বিতা। এরকম আরোও সামনে এগোলে পাওয়া যাবে এই ভেবেই ব্যাগ থেকে পাউরুটির প্যাকেটটা বের করে,

—– “আ..আ…চু….চু…! এদিকে আয় এদিকে আয়…..!”

বলেই হাতের ইশারায় কুকুরছানাটিকে ডাকলো সে। কুকুরছানাটি ভয়ার্ত চোখে তাকালো। ভয়ে কুকরে দু ধাপ পিছিয়ে অন্বিতার মুখে লেগে থাকা মিষ্টি হাসির সাথে হাতে থাকা পাউরুটি দেখে চোখে খুশির ঝিলিক দিয়ে উঠলো তার। সাহস জুগিয়ে গুটিগুটি পায়ে দু-তিন ধাপ এগোতেই, পাউরুটি টা তিন টুকরো করলো অন্বিতা। খেতে সুবিধে হবে ভেবে নিচে এক কোণায় রাখলো। কুকুরছানাটি জ্বলজ্বল চোখে তাকালো এক ছুটে সেই পানে গিয়ে তীক্ষ্ম স্বরে “কু…কু…কু…!” আওয়াজ করে লেজ নাড়াতে নাড়াতে খেতে লেগে পড়লো। অন্বিতা নিজ মনে হাসলো। তার অস্পষ্ট, ভাষাহীন ডাকেও ভালোবাসার সাথে কৃতজ্ঞতা খুঁজে পেলো। ব্যাগের চেইন লাগিয়ে ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে কয়েক ধপ এগোতেই থমকে দাঁড়াতে হলো তাকে। একদল হ্যাংলা, বাজে দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা চোখ জোড়ার সম্মুখীন হলো সে। তাদের মাঝেই কেউ একজন বিশ্রী ভাবে হেসে উঠলো। লোভাতুর চোখে অন্বিতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে দেখতে বললো,

—- একিরে এই সন্ধ্যে বেলায় মেঘ না চাইতেই জলের আগমন হলো কি করে?

তার সাথে সাথে দলের বাকি তিনজন ছেলেও শব্দ করে হাসতে শুরু করলো। অন্বিতা ঘৃণাভরা চোখে তাকালো। এড়িয়ে যাবার ভান করে পাশ কাটিয়ে যেতে নিতেই ওড়নায় টান পড়ায় অগ্নিমূর্তি রূপ ধারণ করে পেছন ফিরে তাকালো।

________________________

—- ওই হলো তোর? হিশু করতে গেছোস নাকি ২ নাম্বার ও সাড়তাছোস? অসময়ে তোর এই প্রাকৃতিক চাপ না আসলে কি পেটের ডিম অমলেট হয় না?

নিশান্তের কথায় ঠোঁট উল্টে উঠে দাঁড়ালো রিভান। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে প্যান্টের চেইন লাগিয়ে নিশান্তের বাইকে চেপে বসে বললো,

—- দেখ দোস্ত! এটা কোনো যেমন তেমন চাপ না বুঝোস না কেন? যখন তখন যেকোনো টাইমে যেকোনো পরিস্থিতিতে চলে আসতে পারে। এখন তুই বল! আমার প্রাকৃতিক চাপ, এতে তোর ভোলাভালা বাইকটার কি দোষ, যে ওরে ভিজামু?

রিভানের কথায় বিরক্তির চরকম সীমায় পৌঁছে বাইক টান দিলো নিশান্ত। তবে বেশিদূর যেতে হলো না তাকে। দূরে কোনো এক অযাচিত কর্মকান্ড নজরে পড়তেই জোরেশোরে ব্রেক কষলো সে। রিভান টাল সামলাতে না পেরে ধুপ করে পড়লো রাস্তার ধারে। “অন্বিতাকে ঘিরে কিছু ছেলে বাজে মন্তব্যে বেশামাল হয়ে রয়েছে” এরকম পরিস্থিতি নিজ চোক্ষে দেখতেই চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়ে এলো তার। রিভান গোঙাতে গোঙাতে কোমড় চেপে ধরে উঠে দাঁড়ালো। দূরে অন্বিতাকে নিয়ে অসভ্যতামি করা ছেলেগুলো কে দেখেই চোখমুখ থেকে উত্তপ্ত আভা ছড়তে শুরু করলো তার। সে ব্যস্ত স্বরে নিশান্ত কে ঝাঁকিয়ে অনেকটা চিৎকার করেই বললো,

—- ওই চুপ করে আছিস কেন? চল…..! শি নিড হেল্প নিশান্ত!

নিশান্ত সুক্ষ্ম চোখে তাকালো। মুহুর্তেই ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো তার। সিনেমা দেখতে এসেছে এমন একটা ভাব নিয়ে হাত ভাঁজ করে আরাম করে বসলো সে। রিভান হতবাক হয়ে বোকা চোখে তাকালো। অবশেষে একাই অন্বিতাকে বাঁচাবে মনে মনে ঠিক করে এক ধাপ ফেলতে চোখ ফুটবলের আকার ধারণ করলো তার। এটা কে? এ মেয়ে নাকি কোনো রেসলার! বুঝে উঠতে পারছে না সে।
.
.
.
.
চলবে………………💕

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here