#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_০৬
সকালে,
মিষ্টি রোদ এসে মেঘের মুখের উপর পরেছে,
মেঘ ঘুমিয়ে আছে।
মায়াবী ঘুমন্ত চোখ দু’টো আমানের বুকের মাঝে আছে।
এটা কি সর্গ?
পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কালিন যে শুখ টুকু প্রাপ্য সেটাই এটা।
আমান চোখ সরাতে পারছে না মেঘের থেকে।
মিষ্টি এই মেয়েটা বাংলাদেশি হলেও কিছুটা কোরিয়ান দের মতোই।
হ্যাঁ আলাদা একটা মায়া আছে এই চেহারার মধ্যে যা আমানের ভিশন কাছের।
সেই মায়ার সাগরে ডুবে মরতে রাজি হাজার বার।
লক্ষ বার।
এমনকি সারা জীবন এই মেয়েটার নিষ্পাপ মুখটা দেখে কাটিয়ে দিতে রাজি।
আমানের দৃষ্টি মেঘের দিকে স্থির
কিন্তু হটাৎ ফোন বেজে ওঠায় আমানের ধ্যান কাটে।
মেঘকে আস্তে শুইয়ে দিয়ে ফোন হাতে ওয়াসরুমে চলে যায়।
আমান যেতে মেঘের ঘুম ভেঙে যায়,
পাশে আমান কে না দেখে উঠে বসে,
আজ রিমির জাবার কথা ছিল।
তাই মেঘ উঠে রিমির ঘরে চলে যায়।
রিমি এখনো ঘুম।
মেঘ রিমির ঘরের ওয়াসরুম টা ব্যবহার করে ফ্রেশ হবার জন্য।
তার পর চুল ঠিক করে নিচে গিয়ে চা বানিয়ে নিয়ে আসে।
রিমি আর মেঘের খুব পছন্দ এক সাথে বসে চা খাওয়া।
মেঘ চা টা খুব সুন্দর বানাতে পারে।
শুধু মেঘ না রিমিও।
মেঘ চা বানিয়ে নিয়ে রিমির ঘরে আসে,
–রিমি পরি।
আমার গুলুমুলু।।
ও রিমি।
সকাল সকাল পুরোনো দিনের মতো মেঘের কন্ঠ পেয়ে রিমি বলল,
–উহু আরেকটু ঘুমাই না প্লিজ।। —
–তোমার ফ্লাইট এর কি হবে?
সেটা ত উড়ে যাবে তোমায় না নিয়ে বনু।
–আআ…….
আপু।
–কি!
–আরেকটু।
–নাহ উঠো।
–কেন?
–চা নিয়ে আসছি আর কথা বললে দুই টাই খেয়ে নিবো আমি।
মেঘের মুখে চায়ের কথা শুনে রিমি উঠে পরে,
–হুম।।
চা…
–হুম চা
–তোর বিয়ে হয়ে গেছে?
–হুম।
-তুই পর হয়ে গেছিস (কাঁদো শুরে)
–ওরে আমার নাটক রে উঠবি নাকি মার খাবি?
–মার খাবো না চা খাবো
রিমি মেঘের থেকে চা নিয়ে খেতে শুরু করে।
–আপু।
–হুম।
–তুই চল তোরে নিয়ে যাই।
–হুম চল।।
–সত্যি?
–হুম সত্যি।
–না তুই চলে গেছে ভাইয়া ত একা হয়ে যাবে।
–হুম।। —
(মেঘ জানে রিমি এমনি একটু পাগলামি করে আসলে ও ত কখনো মেঘকে ছাড়া থাকে নি তাই ও এমন সব অদ্ভুত কথা বলবে।
আরো কি কি যে করবে তা শুধু মেঘ ই জানে)
–কি হুম। (রিমি)
–তুই ত বললি। (মেঘ)
–তুই ত ভিশন খারাপ।
–আমি কি করলাম
–তুই জাবি না আমার সাথে হুম
আমি বুঝি।
–আরে পাগল।
–হয় আমি পাগল
–রিমি।
–মেঘ,
–চল উঠে সাওয়ার নিবি।
–হুম নিবো।
শেষ করে চা টা।
রিমি আর মেঘ চা শেষ করে।
রিমি ওয়াসরুমে চলে যায়।
আর মেঘ বাইরে চলে আসে,
,
মেঘ সোজা নিজের রুমে চলে আসে,
আমান একটা হালকা আকাশি রঙের সার্ট ইন করে পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছে।
পাশে কিছু মেয়ে দাঁড়িয়ে,
একটা আলনা তে অনেক গুলো কোর্ট রাখা,
আমান আয়নার ভেরতে মেঘকে দেখে,
মেঘের কোমড় জড়িয়ে তাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে,
–কোথায় ছিলে মিসেস.খান।
–আরে এতো মানুষের সামনে এগুলা কি ব্যবহার।
–কই কি ব্যবহার আমি আমার বউকে কাছে টেমেছি ওদের ভেরত কাউকে না।
–আরে,
–আরে,
–ছাড়ুন।
–না।
–আজব।
–টাই বেঁধে দেও,
মেঘ পেছনে ফিরে আমান কে টাই বেঁধে দেয়,
–এবার দেখ এর ভেতর কোন কোর্ট টা তোমার পছন্দ।
সেটা আমাকে পরিয়ে দেও
–আমি কি করে বুঝবো এগুলো।
–বুঝা লাগবে না যা ইচ্ছে,
মেঘ গিয়ে একটা কালো কোর্ট নিয়ে পরিয়ে দিলল আমান কে
আর মেয়ে দুটো আলনা টা নিয়ে বেরিয়ে গেল।
–তুমি না থাকলে এগুলো ওরাই করতো।
–মানে কি আপনার সব কাজ কি এই মেয়েরা করে নাকি?
–হ্যাঁ।
মেঘ চোফ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে পরে আমানের দিকে,
আমান মেঘের রিয়াকশন দেখে হেসে দেয়,
–ও মিসেস.খান you feel jealous.?
–no.
মেঘ সরে আসে,
–চলো নিচে চলো
মেঘ আমান কে নিয়ে নিচে আসে রিমি রেডি হয়ে নিচে নামে
–যাবার সময় হয়ে গেছে।
তোমার সাথে ত সব সময় এই লোকটা থাকবে
তোমায় প্লেনে উঠিয়ে দিয়ে তার পরেই সে আসবে।
আর এয়ারপোর্ট থেকে তুমি ত বাসা চিনবে?
–হ্যাঁ ভাইয়া।
–মন খারদপ করো না রিমি তোমার জন্য পার্মানেন্ট কোরিয়ার ব্যবস্থা করছি আমি শুধু পরিক্ষা টা ভালো করে দেও।
–(যেখানে আমি এখানে মাত্র ২ বছর সেখানে এ লোক আমার বোনকে কেন পার্লামেন্ট এর ব্যবস্থা করতে চাইছে মেঘ মনে মনে)
–হ্যাঁ ভাইয়া।
মেঘ আমান আর রিমি এক সাথে ব্রেকফাস্ট করে নেয়।
আমান আর রিমি বেরিয়ে যায়
মেঘের মনটা ভিশন খারাপ হয়ে যায়।
আমান রিমিকে নিয়ে সোজা এয়ারপোর্টে এ যায়।
আর মেঘ রুমে চলে আসে,
সত্যি একা একা ভালো লাগছে না।
পুরো বাড়িতে সব সার্ভেন্ট যার যার কাজে
শুধু মেঘ বসে বসে বোরিং সময় কাটাচ্ছে।
,
মেঘ ওয়াসরুমে গিয়ে গোসল করে বেরিয়ে আসে,
মাথায় তোয়ালে পেচিয়ে সব জায়গায় ঘুরাফেরা করতে থাকে
বাড়িটা ভিশাল বড়ো
হাঁটতে হাঁটতে সব নতুন কিছুর সাথে পরিচিত হচ্ছে মেঘ।
আমানের ড্রেস একটা রুমে রাখা
আমানের জুতা আরেকটা রুমে রাখা।
এবং আরেকটা রুমে গিয়ে মেঘ ত অবাক।
এখানে সব স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট।
–আল্লাহ এরা এতো সুন্দর তাও এদের এগুলো লাগে।
হাম।
কি করা যায়?
মেঘের মাথায় একটা বুদ্ধি আসে
–আরে আগে ত ভেবে দেখি নি।
আমি ত রান্না করতে পারি।
মেঘ সোজা কিচেন রুমে চলে যায়।
মেঘ সুন্দর করে রান্না শুরু করে।
রান্না শেষে রুমে এসে দেখে ২ টো বাজে।
বেশ অনেকটা সময় কেটেছে রান্না করে
মেঘ ওজু করে নামাজ পড়ে নেয়।
আর কিছু সময় পরে আমান আসে,
–তুমি রান্না করেছো কেন?
মেঘ জায়নামাজ রাখছিল হটাৎ আমানের কন্ঠ শুনে মেঘ পেছনে তাকায়,
–আপনি কি করে জানলেন,
–কেন তোমায় ত আগেই বলেছি এই বাড়িতে কি হবে না হবে সবি আমার জানা।
–সময় কাটছিলো না।
–সমস্যা নেই তোমার সময় কাটার ব্যবস্থা করছি ভার্সিটিতে ভর্তি হবা কাল থেকে
আর এখানে না টুইটাই পড়ালেখা না।
ভর্তি হয়ে তার পর বুঝো কেমন লাগে
মেঘ অবাক হয়ে আমানের দিকে তাকিয়ে আছে।
লোকটা রান্না করেছি বলে রেগেছে কেন
এতে রাগার কি হলো।
আজব ত।
–হ্যাঁ ভালো হবে আমার সময় কেটে যাবে
–হ্যাঁ দেখো কেমন মজা।
–আপনি কি রেগে আছেন?
–কেন?
–মনে হচ্ছে।
তাহলে তাই।
মেঘকে কাছে টেনে নিয়ে,
–আরে এটা কেমন রাগ।
–ভালোবাসার রাগ।
–মানে।
–মানে ভালোবাসা বুঝতে পেরেছো
মেঘের গলায় মুখ গুজে।
মেঘ অবাক হয়ে আমানের দিকে তাকিয়ে আছে,
–কি আজব।
–কোথায় আজব।
–ত ফ্রেশ হয়ে আসুন খাবার খান
–তুমি যা রান্না করেছো তা কি বাংলাদেশি খাবার।
–অবশ্যই।
–তাহলে চলো।
চলবে,