#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_০৮
রিমি।
–হ্যাঁ মা।
–মেঘ কেমন আছে?
–আলহামদুলিল্লাহ মা খুব ভালো আছে।
–তুই কি জানিস ওরা কোথায় থাকছে এখন।
–কেন মা কোরিয়া।
–না মানে কোরিয়ার কোথায়?
–না গো মা এটা ত শুনি নি।
–আমার মেয়েটা হুট করে কি থেকে কি হয়ে গেল।
–যা হয়েছে ভালো হয়েছে ভাইয়া ভিশন ভালো।
কথাটা বলে রিমি ঘরে চলে যায়।
আর মাহিমা রহমান সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু একটা ভাবতে থাকে,
তার পর নিজের রুমে চলে যায়।
মেঘের বাবা অসুস্থ। হুটাৎ করে স্টোক করার কারনে তিনি উইক চেয়ারে বসে থাকেন। কথা বলতে পারেন না।
ঠোঁট বেকিয়ে যায়।
মাহিমা রহমান।
আজিজ রহমান কে খাবার খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে দিলেন।
আজিজ রহমান সব কিছু থেকে দুরে আছেন।
মেঘের কথা সে জানেন না।
তবে ইসারায় সব সময় মেঘের কথা শুনতে চেষ্টা করেন।
আর মাহিমা রহমান সেটাকে এভোয়েট করে,
কিন্তু আজ যেন আজিজ রহমান একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে গেছেন।
মাহিমা রহমান সেটা বুঝতে পারে।
পাশে থেকে ফোনটা বের করে রিমি কে কল করে,
রিমি পাশের রুম থেকে চলে আসে,
–কি হয়েছে মা?
–তোর বাবা কেমন করছে দেখ।
–বাবা কি হয়েছে।
আজিজ রহমান সমানে চেষ্টা করছে মেঘের কথা বোঝানোর।
–তুমি আপুকে দেখবে?
আজিজ রহমান সম্মতি জানায়,
রিমি ফোন বের করে মেঘকে কল করে,
,
মাত্র নিন্দ্রা এসেছিল মেঘের।
কিন্তু হটাৎ ফোনের শব্দে তা কেটে যায়।
চোখ মুছতে মুছতে ফোন রিসিভ করে,
–হ্যালো আপু।
–রিমি।
–হ্যা।
মেঘ আমানের হাতটা সরিয়ে উঠে বসে,
–এতো রাতে ভিডিও কল?
–বাবা তোকে দেখবে আপু।
–বাবা দেখবে কই বাবা বাসায় এসেছে?
–হ্যাঁ আজ সকালে এসেছে।
–আমাকে বলিস নি কেন?
–আমি ত একটু আগে আসলাম
–ওহ।
কোথায় বাবা।
–এই যে দেখ,
আজিজ রহমান এর দিকে ফেনটা ধরে,
মেঘ বাবাকে দেখে কেঁদে দেয়,
চোখের কোনে জমে থাকা পানি গুলো টুপ টুপ করে বেয়ে পরছে অনবরত।
মেঘের কান্নার শব্দ শুনে আমান উঠে বসে,
আমান কিছু বলতে যাবে তখন ফোনে মেঘের বাবাকে দেখে থমকে যায়।
–বাবা তুমি কেমন আছো?
আজিজ রহমান কাঁদছেন।
তিনি খুবি শক্ত মানুষ ছিলেন।
তার জীবনে অনেক বড়ো বড়ো ঝড় বয়ে গেলেও তিনি কখনো কাঁদেন নি।
কিন্তু আজ মেয়েটার জন্য যেন বুকের ভেতর টা হাহাকার করছে,
সন্তান বুঝি একেই বলে।
–তুমি কাঁদছো কেন?
তুমি ত বলতে যে আমার মেয়ে এক দিন স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে যাবে আমার মেয়ে।
তাহলে কান্না করছো কেন বাবা।
খুব তাড়াতাড়ি আমি তোমার কাছে আসবো বাবা৷। তুমি চিন্তা করো না।
মেয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে আজিজ রহমান কিন্তু শব্দ টা ঠিক করে বের হচ্ছে না।
–বাবা তুমি কষ্ট করো না।
আমাদের খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে।
আজিজ রহমান এর সাথে কথা বলে ফোনটা কেটে দেয় মেঘ।
ভিশন কান্না পাচ্ছে বাবাকে ভিশন মনে পড়ছে।
সত্যি বাবাকে কতোটা ভালোবাসে তা দুরে না আসলে মেঘ বুঝতেই পারতো না।
–আর কেঁদো না।
কতো কাঁদবে?
আমান মেঘের চোখ মুছিয়ে দিয়ে বললো।
মেঘ আমান কে আনমনে জড়িয়ে ধরলো।
আমান মেঘকে শান্তনা দিতে চেষ্টা করছে।
কিন্তু নিজে আমান ও জানে এই কষ্ট কতোটা যন্ত্রণা দেয়।
তাই কিছুতেই মেয়েটাকে সামলাতে পারছে না।
সত্যি মা বাবার ভালোবাসার কোন তুলোনা হয়না।
কখনো হয় না।
–মেঘ।
–হুম (হেঁচকি তুলে)
–তোমার জন্য একটা গিফট আছে।
–কিসের গিফট। (হেঁচকি তুলতে তুলতে)
আমান পাশে থেকে একটা প্যাকেট বের করে দেয় মেঘ কে।
মেঘ কান্না বন্ধ করে বলে,
–কি এটা?
–দেখ কি।
মেঘ প্যাকেট খুলে বের করে দুইটা র ্যাপিং করা প্যাকেট।
মেঘ দুইটাকে খুলে।
একটা এলবাম আর একটা army bumb,
মেঘ চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে পরে আমনের দিকে,
–আপনি কি করে জানলেন এগুলো?
–তোমারি ত আমি আমারি তুমি।
তোমার পছন্দ অপছন্দ সবি আমার জানা।
–আপনিও পছন্দ করেন বিটিএস?
–তেমন একটা না।
–ও।
ধন্যবাদ।
মেঘ কিছুটা খুশি হয়।
আমান মেঘের কপালে হাত বুলিয়ে দেয়,
–(এই হাসি টাই ত দেখতে চাই আমি সব সময়, মনে মনে)
–আমান।
–হুম।
–বাবার সাথে দেখা করবো আমরা।
–হুম খুব তাড়াতাড়ি।
আজ মেঘের আমান কে যেন ভিশন কাছের বলে মনে হচ্ছে।
কোন বাঁধা নেই কোন দুরত্ব নেই।
সত্যি ভিশন কাছের বলে মনো হচ্ছে।
রাতে দু’জন ওভাবেই ঘুমিয়ে যায়।
,
,
সকালে,
বাংলাদেশ,
একটা মহিলা তার পেছনে কিছু লোক।
মহিলা একটা গুপ্ত আস্তনায় আছে।
তার মুখ দেখা যাচ্ছে না।।
–আমান হতে পারে প্রভাবশালি।। কিন্তু সেটা কোরিয়ায়৷
বাংলাদেশে ওর শক্তি আমার সমান সমান।
ওকে এক বার কোরিয়া থেকে টেনে আনতে পারলে মেঘকে আমি মেরে দিতাম।
আর ওকে আবার ওর ছোট কালের মতো নিশ্ব করে দিতাম।
কিন্তু কি করে করব আমি।
কিছুই বুঝতে পারছি না।
–ম্যাম আপনি ত ওনাদের খুব সহজেই নিয়ে আসতে পারেন।
–কি করে?
–কেন আপনি,
–তুমি যা বলতে চাইছো আমি বুঝতে পেরেছি।। কিন্তু আমার রিমির উপর সন্দেহ আছে ওদের সাথে ওভাবে কিছুই করা জাবে না।
–ম্যাম আপনি যা ঠিক বুঝেন।
,
,
কোরিয়া,
মেঘ সকাল সকাল উঠে আমানের জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করে আমান কে ডাকতে এসে দেখে মহাসয় নিজে উঠে গেছেন।
–রেডি হয়ে নিন।
–তুমিও।
–আমিও কেন?
–ভার্সিটি যাবো তাই।
–আমি?
–আমি ত এখন আবার আমার কম্পিলিট করা কোর্চ করতে পারবো না মেঘ।
আমান কথায় মেঘ ভ্রু কুঁচকে দেয়,
আমান মেঘের ভঙ্গি দেখে হেঁসে দেয়,
–তুমি জাবে৷।
বলেই ওয়াসরুমে চলে যায় আমান।
মেঘ আমানের কথা মতো রেডি হয়ে নেয়।
একটা টপ আর জিন্স পরে নেয়,
আমন বেরিয়ে আসে।
মেঘ আমানের টাই বেঁধে ব্লেজার পরিয়ে দেয়,
মেঘ পাক্কা গিন্নি হয়ে গেছে
দু’জন খাবার খেয়ে বেরিয়ে পরে,
গাড়িতে,
— ভার্সিটি ছুটির পর আমি না আসতে পারলে,
আমার ড্রাইভার তোমার গিয়ে নিয়ে আসবে।
কখনো একা আসার রিস্ক নিবে না কখনো না।
তোমার জন্য সব সময় দুইটা বডিগার্ড থাকবে তোমার কখনো কিছুর সমস্যা হলে ওদের বলবে।
দেখ কোরিয়ার রাস্তায় একটা খুবই সুন্দর জিনিস আছে।
যদি কখনো তোমার মনে হয় তুমি বিপদে।
মনে হতেই পারে তোমার উপর কারোর রাগ না থাকলেও আমার শুত্রে তোমার উপর কখনো হামলা হতেই পারে তুমি যদি মনে করো কেউ তোমার পেছনে আছে তাহলে রাস্তায় দেখাবা প্রোজেক্ট এর মতো লাইট জ্বলছে ওর তলে গিয়ে দাঁড়াবে।
মানে তখন তুমি সেফ ২৪ ঘন্টা একটা সিসিটিভি তোমায় রেকর্ড করছে তোমার কোন ভয় নেই কেউ তোমার উপর হামলা চালাতে পারবে না।
ফোন বের করে আমায় ফোন করবে
তার পর কোরিয়ায় মানুষ গুলো খুবই স্টেড হয় মানে মনে যা আসে সোজা সুজি বলে দেয়।
এটা এখানের নিয়ম সো কেউ যদি তোমায় কখবো প্রপোজ করে দেয় নর্মাল রিয়াক্ট করবে ওকে?
–হুম ওকে
–প্রথম দিন হয়ত একটু সমস্যা হবে কিন্তু এখানে তোমায় নিজের জন্য নাম গড়তে হবে বুঝতে পেরেছো।
আমান মেঘের হাত ধরে বলে,
মেঘ হেসে সম্মতি জানায়।
আমান মেঘের কপালে চুমু দিয়ে মেঘকে নামিয়ে দেয়।
মেঘ ভেতরে চলে আাসে,
চলবে,
(আসসালামু আলাইকুম।,
আমি এক দিন গল্প না দেওয়ার জন্য দুঃখিত।
আমায় ক্ষমা করবেন।
আমি আমার কর্ম জীবন নিয়ে একটু ব্যাস্ত হয়ে পরেছি প্লিজ কেউ কিছু মনে করবেন না।
আজকের পর্ব টা ভিশন ব্যাস্তার মধ্যে দিয়েও লিখেছি।
তাই হয়ত বানানা ভুল হতে পারে।
তার জন্য ক্ষমা প্রর্থি।
ধন্যবাদ)