কাব্য গোলাপ পর্ব -০৯+১০ ও শেষ

#কাব্য_গোলাপ

#Neel

কাব্য হাতে গোলাপ নিয়ে একবার রৌজী , একবার নিজের নেওয়া হাতে গোলাপ আর একবার মিতুর লজ্জা মাখা মুখে তাকাচ্ছে। কাব্য একটু বেশি ই হচকচিয়ে উঠলো। রৌজীর চোখ দুটো অশ্রুতে ভরে গেল। হাতের বা পাশ দিয়ে অশ্রু মুছে দ্রুত গেইট পার করে হাঁটা শুরু করলো।

কাব্য পড়লো মহাবিপদ এ। কাব্য নিজের হাতের গোলাপ ফুল টা মিতুকে ফিরিয়ে দিয়ে বলল – আমি সরি মিতু। তুমি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মেয়ে। দেখতে ও সুন্দর, পড়াশোনায় ও ভালো। আমি মনে করেছিলাম তোমার আমার পড়া ভালো লেগেছে বলে তুমি আমাকে ফুলটা দিয়েছো। আমি দুঃখিত, আমার মনে তোমার জন্য এরকম কোন ফিলিংস নেই। আমি আগে থেকেই অন্য কেউ কে ভালোবাসতাম।

মিতুর দুচোখ জুড়ে অশ্রুর বন্যা বইছে। হয়তো এমন ই হয়। যখন কৈশোরী বয়সের আবেগে কাউকে পছন্দ হয় আর তা প্রকাশ করলে বিরহের দ্বন্দ্বে দ্বন্ধিত হয়।

কাব্য হয়তো মিতুর পরিস্থিতি বুঝতে পারছে।
কাব্য বলল- ভুল সময়ে ভুল মানুষ এর প্রতি এই অনুভূতি আসতেই পারে তবে তা বলে ভেঙে পড়া যাবে না,মিতু। তুমি খুব ভালো একটা মেয়ে , পড়াশোনা করো , জীবনে বড় হও,দোয়া করি। আর সঠিক মানুষটার জন্য অপেক্ষা করো।(রাইটার -নীল)

মিতু হয়তো বুঝতে পারলো কাব্যের কথা গুলো। মিতু মুচকি হেসে চোখের পানি মুছে নিল। আবার ও কাব্যের দিকে ফুলটা এগিয়ে দিয়ে বলল – আপনার ভালোবাসার মানুষটির জন্য শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
মিতু নিজের গন্তব্যে হাঁটা শুরু করলো।

মিতুর যাওয়ার পানে তাকিয়ে আছে কাব্য। এই গোলাপ ফুলের জন্য কাব্য কতজনকে ই রিফিউজ করলো। গোলাপ ফুল!!ইরেএএ,তার গোলাপ ফুল তাকে ভুল ভেবেছে। দ্রুত গোলাপ ফুলের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করলো।

অন্যদিকে রৌজী বাসায় এসে নিজেকে রুম বন্ধি করে ফেলে। ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো করে ফেললো। কান্না করতে করতে সেখানে ই বসে পড়লো।
কাব্য সারা রাস্তা তার গোলাপ ফুল কে খুঁজলো কিন্তু পেল না। অবশেষে রাতকে কল দিলো, আর সব কিছু খুলে বলল।রাত কাব্য কে চিন্তা করতে মানা করলো। বললো সে সামলে নিবে।

২দিন পর, রৌজীর রুমের বারান্দায় কাব্য আর রৌজী দাঁড়িয়ে আছে। দুজন ই চুপচাপ। কাব্য আড়চোখে একবার তার গোলাপ ফুলের দিকে তাকালো, তার গোলাপ ফুল অনেক টাই শুকিয়ে গেছে। নিরবতা ভেঙ্গে কাব্য তার গোলাপ ফুল কে বলল – গোলাপ ফুল?
গভীর ভয়েস, রৌজী একটু কেঁপে উঠল। রৌজী আড়চোখে কাব্যের দিকে তাকালো, দুজনের চোখাচোখি হতেই রৌজী আবার ও মাথা নিচু করে ফেলল।

কাব্য – গোলাপ ফুল, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম মনে আছে? কাব্য_গোলাপ!!আজ তোমাকে কাব্য_গোলাপের কথা জানাবো , শোনাবা।(কি নিদারুন প্রস্তাব)

রৌজী আড়মোড়া ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ালো।অর্থাৎ রৌজী শোনার জন্য প্রস্তুত।

কাব্য – দিনটা ছিল ভার্সিটির প্রথম। গেইটে প্রবেশ করার সময় পনের বছর বয়সী এক মেয়ের তার ভাইয়ের নিকট হাজারো মুখের বুলি তে চাওয়ার আবদার, দেখে আমি নিজের গন্তব্যে হাঁটা ভুলে অন্য পথে হাঁটতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেলাম। সেদিন কী লজ্জা টা না পেয়েছিলাম। আশেপাশের সবাই হাসতেছিল কিন্তু আমি সেই পঞ্চদশী মেয়ের নজরে পরলাম না।
আফসোস এর বুলিতে নিজেকে ধাতস্থ করলাম, কতটা বেকুব আমি, সবে কৈশোরে পা দেয়া মেয়েটির জন্য আমি ২১ উর্ধ্বো ছেলে হুঁশ হারিয়ে ফেললাম।
সব কিছু পেরিয়ে উঠলাম হলে। ভাগ্য কতটা সহায় ছিল, সেই মেয়ের ভাই আমার সাথে ই আমার হলে রুমমেট হয়ে উঠলো। তার পর থেকে সেই মেয়েকে আমি চোখে আর দেখি নাই। তবে মোবাইল এর ফটোতে সর্বদাই সে আমার মনে ছিল। ছেলেটির সাথে বন্ধুত্ব হলো ,তার মুখে সবসময় তার বোনের কথা, বোন এটা ,বোন সেটা। আমার কী যে ভালো লাগতো। আস্তে আস্তে বন্ধুকে তার বোনের সম্পর্কে আমার মনোভাব পোষণ করলাম। বন্ধু ও খুশিতে রাজি হয়ে গেল।

রৌজ (কাঁপা কাঁপা গলায়)- আপনার সেই প্রথম প্রেম সে কি…

কাব্য – তুমি, গোলাপ ফুল।

রৌজ চমকে তাকালো। বলল- তার মানে আপনি ই shk । ভাইয়ের প্রিয় বন্ধু। আর আজ আমাদের বাসায় আমাকে দেখতে যারা এসেছে তারা…

কাব্য – হুম। আমার ফ্যামেলি। (মুচকি হেসে) তুমি জানো কি, যেদিন‌ আমাদের প্রথম দেখা, আমি রেস্টুরেন্টে এ যাওয়ার পথে তোমাকে দেখতে পাবো ভাবতে পারি নাই। সেদিন গাউন এ তোমাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। আমি তোমাকে বলতে চাচ্ছিলাম, তুমি রৌজী কি না? কিন্তু তুমি যে আমাকে প্রথম এভাবে স্পর্শ করবে জানতাম না।

রৌজী লজ্জায় লাল হয়ে গেল। সত্যি ই তো সেদিন, সে যে কী করে ছিল।

কাব্য – এই গোলাপ ফুল? তুমি কি অন্য কেউ কে ও এরকম ভাবে কিস করেছো ,আগেও।

রৌজী চমকে উঠল কাব্যের কথায় ‌। মুখ ফুলিয়ে বলল-আমি করি নাই, করি নাই। সেদিন তো (আরেক টু হলে কেঁদে ফেলতো)

কাব্য এক টানে তার গোলাপ ফুল কে বুকের মাঝে বন্ধ করে ফেললো। দুহাত দিয়ে গোলাপ ফুলের মুখ ধরে বলল- হে গোলাপ ফুল, তুমি কান্না করছো কেন? আমি তো ফান করেছি । তোমার বন্ধু রা আমাকে এ সম্পর্কে বলেছে আগে থেকেই।

রৌজী কাব্যের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো – আপনি মিতুর প্রস্তাব গ্রহণ করলেন কেন? আপনি ফুলটি নিয়েছিলেন কেন? জানেন, আমার কি কষ্ট হয়েছিল, কতটা কষ্ট। আমি আরেকটু হলেই আত্মহত্যা করে ফেলেছিলাম।

কাব্য চমকে উঠল সাথে সাথে তার গোলাপ ফুল কে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে ফেললো। যেন একটু হলে , গোলাপ ফুলের মুখে আত্নহত্যার কথা শুনে কলিজা উড়ে যেত।

কাব্য হঠাৎ রৌজী কে ছেড়ে দু কদম পিছনে গেল, কাব্য রৌজীর থেকে দূরে সরে গেল দেখে রৌজী ভুরু কুঁচকে কাব্যের দিকে তাকালো, হঠাৎ….
#কাব্য_গোলাপ
১০(অন্তিম পর্ব)
#Neel

কাব্য হঠাৎ রৌজী কে ছেড়ে দু কদম পিছনে গেল, কাব্য রৌজীর থেকে দূরে সরে গেল দেখে রৌজী ভুরু কুঁচকে কাব্যের দিকে তাকালো, হঠাৎ কাব্য এক হাঁটু গেড়ে ফ্লোরে বসে পড়লো মাথা উঁচু করে, কোর্টের ভেতর থেকে, লাল কালো গোলাপ ফুলের গুচ্ছ বের করে রৌজীর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল – আমি তুমি হতে চাই গোলাপ ফুল, তুমি কি আমার হবে?

রৌজী মুখ ফুলিয়ে কাব্যের সামনে ফ্লোরে পা ছড়িয়ে বসে পড়লো। বলল-আগে আমি মিতুর সম্পর্কে জানতে চাই!! তারপর , ভেবে দেখবো। তবে যা বলার এভাবেই হাঁটু মুড়ে বসে বলবেন।হু।(রাইটার -নীল)

কাব্য তার গোলাপ ফুলের পাগলামি দেখে মুচকি হাসলো। বলল – আমি জানতাম না, সেদিন মিতু আমাকে প্রোপজ করবে। আর ফুল টা ও প্রথমে দিয়েছিল যখন, তখন বলে নাই ভালোবাসার কথা।
(কাব্য সমস্ত ঘটনা টা রৌজী কে খুলে বলল)
রৌজীর মনে হয় রাগ টা উবে গেছে, মুচকি হেসে কাব্যের হাত থেকে ফুলটা নিয়ে বলল – আমি ও তুমি হতে চাই কাব্য।

আকাঙ্ক্ষার ডায়েরিতে আক্ষেপের অন্ত নেই!!
… একটা না হয় সঠিক প্রিয় মানুষ হোক!!
… প্রাপ্তির ডায়েরিতে জীবনের চাওয়া পাওয়া শূন্য!!
… দুহাত পেতে চাওয়ার আগে…
…সব আবদার না হয় দূর করুক!!
…. উষ্ণতায়…
মন খারাপ দূর হোক!!
…..পরশের বুলিতে…
আঁখিদ্বয়ের অশ্রু থামুক!!
…… আবেশে….
ওষ্ঠদ্বয়ে বিজয়ের রেখা ফুটুক!!

… খুব করে হোক না একটা সঠিক মানুষ!!
…. একান্তই ব্যক্তিগত প্রিয় ….
…সিক্ততার আর্শীবাদে , আবার আমির এক নতুন পুনর্জন্ম হোক!!

#Noor

কাব্য মুচকি হেসে উঠলো আর রৌজী কাব্যর উপর আনন্দে ঝাঁপিয়ে পড়লো। কে বলবে এই রৌজী কাল আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলো।সময় মতো রাত না এলে অনেক কিছু হয়ে যেতে পারতো।

জীবনে সঠিক মানুষ দরকার। সত্যি ই দরকার। খুব করে হোক আগলে রাখার মানুষ। এই যে, কাব্যের মতো প্রত্যেক মেয়েই তার ভবিষ্যৎ পার্টনার চায় আর রৌজীর মতো ভাগ্য।

কাব্য আর রৌজী নিচে নামতেই সোফায় বসে থাকা কাব্যের মা বাবা,রৌজীর মা বাবা হাসিমুখে তাকিয়ে আছে।

কাব্যের মা – আমার খুব পছন্দ হয়েছে, আমার ঘরের লক্ষী কে ।
(এগিয়ে এসে দুহাতে দুটো বালা পরিয়ে দিল)
আবার বলতে লাগলো – জানিস মা তোর জন্য আমার পাগল ছেলের কি কান্না । মাঝরাতে আমার পা ধরে কান্না, সে তোকে চায়। তাহলে আমি মা হয়ে কি করে তা আপত্তি করি। শত রাজনৈতিক কাজ ফেলে এসেছি আমার ঘরের লক্ষী কে দেখতে।একদম রাজ লক্ষীর মতো।

আজ সবার মুখে হাসি ফুটে উঠলো। কাব্য আর গোলাপের বিয়ে ঠিক বলে কথা। রৌজীর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ধুম ধাম করে বিয়ে হবে। এটাই বড়রা ঠিক করে গেল।

৬ মাস পর…

রাতটা পোহালেই কাব্য_গোলাপ একসাথে এক বন্ধনে আবদ্ধ হবে। কিন্তু রৌজীকে ইমার্জেন্সি কাব্য দেখা করতে বলেছে। রৌজীর চোখে মহা ঘুম আর বিরক্ত ও , কাব্য কেন তাকে আজ রাতে এই মধ্যরাতে দেখা করতে বলল।ধেৎ । বাধ্য হয়ে রাতের দেওয়া স্থানে অর্থাৎ গেইটের বাইরে এসে দাঁড়ায়। রাত গাড়ি নিয়ে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে।রৌজী বিনা বাক্যে গাড়ির ফ্রন্ট সিটে বসে পড়লো।(রাইটার -নীল)
ইদানিং রৌজীর একটা বাজে স্বভাব হয়েছে, চুপচাপ থাকলেই ঘুমিয়ে পরে। বসে বসে ফ্রন্ট সিটে ই ঘুমিয়ে পড়লো।

কাব্য রৌজীকে দেখে নিজের মাথায় হাত দিয়ে বলল-কি ঘুমখোড় মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছি রে। বিয়ের পর আদর করতে গেলে ও বলবে, একটু ঘুমিয়ে নেই।হাহ্।

কাব্য নিজের গন্তব্যে পৌঁছে গেল। রৌজীকে জাগাতেই ধরফরিয়ে উঠল।
কাব্য বলল-চল এখন। আমার পিছু পিছু।

রৌজী কাব্যের আদেশ মেনে কাব্যের পিছনে পিছনে হাঁটছে। রৌজীর কাব্যের উপর এতোটাই বিশ্বাস আশেপাশে তাকিয়ে দেখছে ও না, সে কোথায় এসেছে। অথবা এই জায়গাটা কোথায়? হাঁটছে আর ঝিমুচ্ছে রৌজী।

কাব্য একটা রুমের কাছে এসে থমকে গেল। ভেতর এ প্রবেশ করলো। রৌজী ও কাব্যের পথ অনুসরণ করলো। হঠাৎ একটা কথা শুনে রৌজীর ঘুম ছুটে গেল, দৌড়ে এসে কাব্যের বুকে মাথা গুজলো।

কথাটি, “তুই তো অনেক বড় হয়ে গেছিস গোলাপ ফুল, তোর পিছনে অনেক ভোমরা, আমি তোকে বিয়ে করবো, তুই বিয়ে করবি, এই দাঁড়া তোকে বিয়ে করবো।”

কাব্যের বুক থেকে মাথা উঁচু করে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল – এ এটা লায়ন লায়ন পাগলা??

কাব্য মুচকি হেসে বলল – চলো , আমার সাথে, আমি তো আছি ,তাই না। আমি গোলাপ আমার কাছে থেকেও ভয় পায়। চলো…

একপ্রকার জোর করেই কাব্য রৌজীকে বিছানার পাশে নিয়ে গেল।লাইট অন করে দিল। বিছানায় অসুস্থ অবস্থায় লায়ন পাগলা শুয়ে আছে। তাকে দেখে বোঝা ই যাচ্ছে না এই সেই লায়ন পাগলা। লায়ন পাগলা হাতের ইশারায় কাব্য আর রৌজী কে বসতে বলল।(রাইটার -নীল)

রৌজীর ভয় কিছুটা কমেছে। লায়ন পাগলার পাশে এসে বসেছে কিন্তু এক হাতে কাব্যকে ধরে রেখেছে।

লায়ন পাগলা মুচকি হেসে বলল – আমি তোকে ভয় দেখানোর জন্য তোর পিছু নিতাম না রে গোলাপ ফুল। তুই সত্যিই একটা গোলাপ ফুল। তোকে আমি নজরে নজরে রাখতাম,যেন তোর পিছনে লাগা ভোমরা গুলো তোকে ছুঁতে না পারে। আমার কি এখন বিয়ে করার বয়স আছে, যে তোকে বিয়ে করবো।

একটু থেমে বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে বলল – তুই অনেক দুষ্টু আমার প্রিয়তমার মতো। সেদিন আমি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি নাই বলে ওকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি ও ওদের মেরে ফেলেছি। ছাড় দেই নাই। এই কাব্য (কাব্য মাথা উঁচু করে তাকালো) আমার দেখা দ্বিতীয় গোলাপ ফুলের সারাজীবন খেয়াল রাখবি কিন্তু।

কাব্য মুচকি হেসে বলল – আমি রাখব কথা দিলাম।

লায়ন পাগলা রৌজীর হাত ধরে বলল- আমি সেদিন তোর শাড়ি ধরে না আটকালে মেম্বার এর পোলা সেদিন তোর জীবনটা আমার প্রিয়তমার মতো নষ্ট করে দিত। পরে আমি তোর বন্ধুদের বলেছিলাম, ওরা ওর ব্যবস্থা করেছিল।এই গোলাপ ফুল বন্ধুদের কখনো ভুলে যাবি না। আমাকে ভয় পাস নে, পারলে ক্ষমা করে দিস।

রৌজী কি বলবে ভাষা হারিয়ে ফেললো। কীভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে জানা নেই।

লায়ন পাগলা – কাল তোদের নাকি বিয়ে, এই কাব্য আর লেইট করিস না, যা গোলাপ ফুল কে নিয়ে যা। আর এই উপহার টা আমার পক্ষ থেকে।

কাব্য আর রৌজী হাসি মুখে উপহার নিল। আর ও কিছু ক্ষন কথা বলে চলে গেল।
এই দেওয়ানা লায়ন পাগলা মুচকি হেসে বলল – প্রতিটা মেয়েই গোলাপ ফুল। প্রত্যেক এর উচিত কাব্যের মতো সঠিক মানুষ।
আমি ও আসছি খুব শীঘ্রই প্রিয়তমা তোমার নিকট, যেখান‌ থেকে আমাদের কেউ আর আলাদা করতে পারবে না।

…………..সমাপ্ত……..

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here