#ক্যাসিনো ©লেখিকা_(মায়া)
#পর্ব_২১
নাগরদোলা থেকে নামার পরও নিশানের শরীরের থরথর কাঁপুনি বন্ধ হয়নি। সাধারণ নাগর দোলায় উঠার পর কোন ছেলের এমন হাল হতে পারে তা শাহানার ভাবনায় ছিল না । নিশানের এমন হাল দেখে মেহমেতের হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ।
পার্কে কিছু ক্ষন ঘুরাঘুরি করে। প্ল্যান করা হলো সিনামা দেখতে যাবে। নিশান আর কোথাও যাইতে নারাজ। নাছোরবান্দার মত বলতেই আছে তাকে মেসে রেখে এসে ঘুরাঘুরি করতে। শাহানা চোখ গরম করে তাকিয়ে রয়েছে নিশানের দিকে। নিশান ছোট বাচ্চাদের মত ভয়ে চুপসে গেল আর কিছু বলল না।
শাহানা নিশান কে আচমকা প্রশ্ন করে বসে,এই তুমি ঢাকায় কি জন্য পড়তে এসেছো! এতো ভীতু হয়ে?? নিজের গ্রামের কোন কলেজে B.A পাস করতে!!
নিশান সরল ভাষায় জবাব দেয় মা বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে,পড়া শুনা করে ভালো একটা চাকরি করবো, বাবা মাকে ছোট একটা ঘর করে দিবো। যেন বর্ষার সময় ঘরের ভিতরে মা বাবা আরাম করে ঘুমাতে পারে। বৃষ্টি এসেছে টিনের ফুটা দিয়ে সারা ঘর পানি পড়ে বলে এমন অনেক রাত দেখেছি মা বাবা কে নির্ঘুম রাত পার করতে। দুবেলা পেট পুরে যেন মা বাবা কে খাওয়াতে পারি । যেভাবে আমাকে আর বোন কে খাবার খাইয়ে দিয়ে নিজেরা অভুক্ত থেকেছে সেই কষ্ট টা একটু লাঘব করতে চাই। আর বোন কে তার সখের জিনিস গুলো কিনে দিতে চাই। যা অর্থের অভাবে দিতে পারেনি।
নিশানের কথা গুলো সেদিন মুগ্ধ করেছিল মেহমেত কে। ভাষাহীন ভাবে তাকিয়ে ছিল সেদিন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের হয়তো এটাই সব থেকে বড় স্বপ্ন । যখন সে বড় হবে
মা বাবাকে ভালো রাখবে এক সময়।
শাহানা নিশানের কথায় খুব লজ্জা পায় আর খানিক টা কষ্ট ও লাগে। ইশ্ কি দারুন ইচ্ছা তার। মা বাবাকে ভালো রাখবে বোনের ইচ্ছে পূরণ করবে।
সিনেমা হলে গিয়ে দেখে সব টিকেট শেষ । মিনাল মেহমেত আর শাহানার মন খারাপ হয়ে গেল। নিশানের কোন ভাবান্তর দেখা গেল না। সে মনে মনে খুশিই হলো এখন ফিরে যাওয়া হবে।শাহানা তখন মুখ ভার করে বলে,,মেহমেত প্লিজ কিছু কর,, আমি গোস্ট টাউন সিনামা টা দেখবো। তুই কিছু কর নাহলে আমি কিন্তু কেঁদে ফেলবো। আমি এখন কি করতে পারি তুই বল। দেখতেই তো পারছিস টিকিট শেষ আরো আগে আসা লাগতো। শাহানা মন ভিষন খারাপ হয়ে গেল। তখন মিনাল বলে উঠে,,মন খারাপ কেন করছিস তুই?? আয়নায় গিয়ে তুই নিজেকেই দেখে নিস হরর ফিল্ম তোকে আর দেখা লাগবে না। তোর নিজের চেহারা দেখেই মন ভরে যাবে পেত্নী একটা।
শাহানা রাগে গজগজ করতে করতে বলল কি বললি তুই এখনি দেখাচ্ছি তোকে আমাকে পেত্নি বলিস তুই তো নিজেই একটা শাকচুন্নির বর। কথা শেষ করেই মিনালের পিঠে কয়েক টা কিলঘুষি দিয়ে দেয় শাহানা। মিনাল শাহানার চুল টেনে বলে। পেত্নী রে তুই আমার পিঠ টা জ্বলে ফেললি,শাহানা তখন আও করে উঠে চিল্লিয়ে বলে আমি পেত্নি না তুই হলি একটা শাকচুন্না। মেহমেত আর নিশান মিটিমিটি হাসছে ওদের কান্ডকারখানা দেখে।
নিশান তখন মুচকি হেসেই বলে, এই শাকচুন্না টা আবার কি?? শাহানা তখন ভাব নিয়ে বলে শাকচুন্নির male version শাকচুন্না । কথা টা বলেই হিহি করে হেসে উঠে সবাই।
মেহমেত হাসি থেমে বলে ,
আচ্ছা বাদ দে এখানে যখন এসেছি তো কোন সিনেমা দেখেই যায় কি বলিস তোরা ??
মিনাল তখন বলে অন্য কোন হলে কি ফিল্ম হচ্ছে এইটা খোঁজ কর তুই। শাহানা উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠে তাহলে দেখ আর কোথাও হরর ফিল্ম হচ্ছে কি না?? নিশানের মুখ টা দেখে শাহানা ভ্রু কুঁচকে তাকালো, কেমন অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছে। এই নিশান কি হয়েছে তোমার?? নিশান আমতা আমতা করে বলতে থাকে অন্য কোন মুভি দেখা যায় না?? কেন?? আসলে আমি ভুতে খুব ভয় পায়,মেসের রুমে আমি একা থাকি টয়লেট বাহিরে আমাকে রাতে কে উঠাবে??! নিশানের এমন কোথায় বাকি সবাই হাসবে না কি কাঁদবে বুঝে উঠতে পারলো না। কিছু না ভেবেই উচ্চস্বরে হেসে ফেলে সবাই। ওদের হাসি দেখে নিশানের মন টা খারাপ হয়ে গেল। মনে মনে ভাবছে, সব কিছু তেই সবার হাসি। এদের সাথে না আসলেই হতো। আমার ভয় করে তো আমি করবো।
শাহানা তখন বলে এই কমেডি মুভি দেখবো কি বলিস। মজাও হবে,আর নিশানের ও ভয় করবে না।
সিনেমা শুরু হলো বিকেল তিনটায়, শেষ হলো সিনেমা ৬টায় । সন্ধ্যা হয়ে গেল,, সিনেমা হল থেকে বের হয়ে ক্ষুধা পেয়েছে সবার হালকা পাতলা খাবার খাওয়ার জন্য রেস্তোরাঁয় যায় তারা। রেস্তোরাঁয় গিয়ে শাহানা আর নিশান অবাক হয়ে যায়। কারন সেখানে আগে থেকেই আকাশ,মুমিন, রায়হান, শান্তা, সামিরা কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শাহানা দাঁত বের হেসে মেহমেত আর মিনাল কে পিঠে থাপ্পর দিয়ে বলল, মনে আছে তাহলে সবার?? সবাই জোরে বলে উঠে হ্যাপি বার্থডে টু ইউ শাহানা। নিশান চরম ভাবে অবাক হয় । আজ শাহানার জন্মদিন,,
শাহানা হেসে ধন্যবাদ জানায়। তার পর বলে, তোদের এই প্ল্যান ছিল?? তার কারনে সাজ সকালে ভার্সিটি বাদ দিয়ে ঘুরতে বের করে নিয়ে এসেছিস জোর করে?? মেহমেত শাহানার মাথায় গাট্টা মেরে বলে আমার স্কুল জীবনের ১০ টা নয় ৫টা নয় ২টা মাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড বেঁচে আছে, একটা শাকচুন্না আর একটা শাকচুন্নি হি হি হি তার জন্য যদি না করি তো করবো কার জন্য। শাহানা কমড়ে হাত দিয়ে বলে আবার মেহমেতের বাচ্চা। মেহমেত কান ধরে বলে সরি সরি চল এবার কেক কাটবি।
এক প্রকার ছোট খাটো পার্টি হয়ে গেল সেই রেস্তোরাঁয়। পুরো রেস্তোরাঁ বুকিং নিয়েছে মেহমেত।
সবাই দামী দামী গিফট করেছে। নিশানের খুব খারাপ লাগছে। বুক পকেটে হাত দিয়ে দেখে ৫০ টাকা আছে,পেন্টের পকেট চেক করে দেখে আর একটাও নেই। ৫০টাকা দিয়ে কি হবে?? টাকা টা সযত্নে আবার পকেটে ঢুকিয়ে রাখলো। নিশান একটা চেয়ার নিয়ে একটু দূরে বসে আছে। সবাই কেক মেখে ভুত সেজেছে। নিশানের এই জিনিসটা মাথায় ঢুকলো না। খাবারের জিনিস কেন গালে মুখে মাখামাখি করতে হবে। কত মানুষ খেতে পায় না আর এরা খাবার নষ্ট করতে ব্যস্ত।
শাহানা এলোমেলো চোখ করে নিশান কে খুঁজতিছে। তার পর দেখে একটু দূরে গুটিসুটি হয়ে চেয়ারে বসে আছে। একটা কেকের পিস হাতে নিয়ে নিশানের দিকে যায় শাহানা।
এই তুমি এখানে একা একা কি করছো ওখানে সবাই আনন্দ করছে। নাহ আমি এখানেই ঠিক আছি। তুমি যাও,ওমম যাবো না,তোমায় কি একটু কেক মাখিয়ে দেয়, নিশান সহজ গলা করে বলে খাবার নষ্ট করা আমার পছন্দ নয়। কৃষকের ছেলে আমি,তাই এক মুঠো চাল করতে যে কি পরিমান খাটুনি করতে হয় তা আমি বুঝি। শাহানা মলিন করে হাসলো। তার পর সরি বলে,কেকটা নিশানের মুখে ধরলো। নিশান হাসলো তারপর কেকটার এক সাইটে খেল। বাকি টুকু শাহানার মুখে দিলো। অন্য দিকে মেহমেত ছাড়া সবাই বিরক্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে তাদের উপর।
রাত ৮টা বেজে গেছে,রাতের খাবার রেস্তোরাঁ থেকেই খেয়ে যাবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেয়। খাওয়ার বিল শাহানা দিবে। বার্থ ডের ট্রিট হিসেবে। খাবার দাবারের পর্ব টাও কেন জানি পছন্দ হলো না নিশানের। আধা খাওয়া করে যে যার মত উঠে যাচ্ছে ফ্রেশ হওয়ার জন্য। শাহানা আর নিশান এখন খাবারের টেবিলে বসে আছে। নিশান খাওয়া বন্ধ করে অন্যান্য প্লেট গুলো কে পর্যবেক্ষণ করছে। ভিতরে ভিতরে খুব রাগ হচ্ছে তার। নিজেকে সংযত রেখে নিজের খাবার শেষ করলো সে। এবং শাহানা কে প্রশ্ন করলো টেবিলের বাকি বাটির খাবার গুলো কি করবে এখন!! শাহানা খাবার গুলো কে দেখে আমতা আমতা করে বলে আসলে এখন এসব ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে। নিশান তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে তোমার জন্মদিনের ট্রিট কিছু অসহায় মানুষদের দিলে ভালো হতো অন্তত এক বেলা ভর পেট খেতে পারতো আর খাবার ও নষ্ট হতো না।
সবাই ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে নিশান ওয়েটার কে দিয়ে খাবার গুলো প্যাক করছে। তা দেখে সামিরা, শান্তা, আকাশ মুমিন কেমন করে তাকিয়ে আছে যেন জ্যামের মধ্যে কোন পথিক বিরক্তিকর চেহারা টেনে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। সামিরা তখন বলে উঠে এই খাবার গুলো প্যাক কেন করা হচ্ছে কি হবে এসব??
নিশান তখন বলে উঠে এসব আমি নিয়ে যাব। শান্তা ও সামিরা মুখ ভেংচিয়ে বলে উঠে, জীবনে তো এমন খাবার চোখে দেখেনি তার জন্য এখন এই খাবার গুলোর আর লোভ সামলাতে পারছে না বলে ফকির দের এঁটু খাবার বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে। কথা টা শেষ করতেই মেহমেত আর শাহানা বাদে সবাই হেসে উঠে।
শাহানার রক্ত গরম হয়ে গেল যেন সে কিছু বলার আগেই মেহমেত বলে উঠে কি বলছিস কি তোরা!! মানুষ দের সম্মান দিতে পারিস না কি ভাবে কথা বলতে হয় এটা কি তোরা জানিস না???
নিশান মুচকি হেসে খাবার গুলো হাতে নিলো তার পর বলল,,এবার ধানের সময় আমাদের গ্রামে চলো তোমরা । কিভাবে চাল থেকে ভাত হয় তা নিজের চোখে দেখে আসো। ৯০দিন এক জন কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর ধান উঠানো হয়,তার পর মা চাচিদের রোদে পুড়ে সেই ধান শুকাতে হয় বানতে হয় তার পর তা ধান থেকে চাল হয় এবং পরিশেষে
সকলের ঘরে সেই চাল পৌঁছায় । এতো খাবার নষ্ট করো তোমরা অথচ কোন দরিদ্র পরিবারের ঘরে এক দিন থেকে এসো তাহলে বুঝতে পারবে সারাদিন রোদ বৃষ্টিতে পুরে টাকা রোজগার করে চাল কিনে বাড়িতে আসে তার পর সেই ভাত রান্না করে খায় তারা। এমন দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলে বুঝতে এক মুঠো খাবারের মূল্য কত খানি।
নিশানের কথা গুলো তাদের মস্তিষ্কে কত টা পৌঁছিয়েছে তা সে জানে না। কিন্তু কথা গুলো বলা সে প্রয়োজন মনে করেছিল তাই বলেছে। শাহানা মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে নিশানের দিকে। কত সহজ সরল ছেলে টা।
নিশানের মুখে এতো কথা শুনে বাকিরা হতভম্ব হয়ে গেছে। পড়া শুনা ছাড়া ব্যাতিত
দু একটা কথা যার মুখ থেকে তারা কখনো পায়না সে আজ এতো কথা শুনালো তাদের।
নিশান আর কারো তোয়াক্কা না করে খাবারের ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেল শাহানা নিজেও পিছনে পিছনে বেরিয়ে গেল। নিশান কিছু পথ বাচ্চা এবং বৃদ্ধ মানুষ দের খাবার টা দিল এবং শাহানা কে দেখিয়ে বলছে,আজ উনার জন্ম দিন ছিল,তাই তার পক্ষ থেকে আপনাদের এই খাবার উনার জন্য দোয়া করবেন। যেন সব সময় হাসি খুশি থাকে।
শাহানার সেই কথা টাই এতো ভালো লাগছিল। সে অবাক দৃষ্টিতে শুধু চেয়ে ছিল নিশানের দিকে। নিশান আশেপাশে তাকিয়ে দেখে একটা ফুলের দোকান। সে শাহানা কে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে বলে দৌড়ে সেই দোকানে যায়। শাহানা নিজের ব্যাগ থেকে মুঠোফোনটা বের করে কানে ইয়ারফোন দিয়ে তার প্রিয় গান শুনছে। আজ তার মন খুব ফুরফুরে লাগছে কেন এতো ভালো লাগছে তার জানা নেই। ফাঁকা রাস্তা তেমন কোন গাড়ি নেই,দু একটা রিক্সা যাতায়াত করছে। শাহানা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়ায় আকাশে বাঁকা চাঁদ উঠেছে, কোন তারা নেই । শাহানা হাত বাড়িয়ে এক চোখ বন্ধ করে আরেক চোখ দিয়ে চাঁদ টাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করছে। এক চোখ দিয়ে চাঁদ টাকে মনে হচ্ছে সে ছুঁতে পারবে। আচমকা কেউ তাকে হেঁচকা টানে নিজের কাছে টেনে নেয়। কানের ইয়ারফোন টা খুলে যায়। তার পর দেখে একটা গাড়ি তাদের ক্রোস করে চলে গেল। নিশানের দিকে চেয়ে দেখে সে রাগি চোখে তাকিয়ে আছে,কন্ঠে কঠোর ভাব নিয়ে এসে বলে,এই তুমি কি পাগল?? এখনি যদি কোন কিছু হয়ে যেতো তোমার?? আর কানে কি দিয়েছো এটা, কত ক্ষন ধরে ডাকছিলাম তোমায়, রাস্তার মাঝখানে এভাবে আর কখনো দাঁড়িয়ে থাকবে না বুঝেছো। শাহানা বিস্মিত চোখে নিশানের চোখের গভীরে তাকিয়ে আছে। নিশানের এই শাসন যেন তার হৃদয় ছুঁয়েছে। ছোট বাচ্চাদের মত শুধু মাথা নাড়ল।
নিশান একটা বেলি ফুলের মালা শাহানা কে দিল,বেলি ফুলের মাঝখানে একটা লাল গোলাপ ও রয়েছে। শুভ জন্মদিন,, আল্লাহ তোমার সকল আশা পূরণ করে যেন দোয়া করি। আমি জানি আমার এই উপহার তোমার কাছে ঠুনকো মাত্র। আমার সামর্থ্য এতো টুকুই ছিল।
শাহানা বেলি ফুলের মালা টার দিকে এমন ভাবে চেয়ে আছে মনে হচ্ছে কোন মুনি মুক্ত খচিত গহনা দেখছে। অনেক ধন্যবাদ নিশান। আমার কাছে বেস্ট গিফট এটা । আমার হাতে পরিয়ে দিবে?? নিশান মুচকি হেসে শাহানার হাতে বেলীর মালা টা পরিয়ে দেয়। শাহানা এক ধ্যানে মালাটার দিকে তাকিয়ে আছে
তার মুখের ভাব দেখে মনে হচ্ছে
যেন এর চেয়ে খুশি সে আগে কখনো হয়নি।
হাত টা নাকের কাছে এনে জোরে শ্বাস নিয়ে বেলীর সুগন্ধি নেয়। ইশ্ এই বেলী আমার এতো প্রিয় তুমি জানো না নিশান।
চলবে _____???