#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৩৯
.
.
🦋
চোখে মুখে পানির ছিটে পড়তে প্রাণোর জ্ঞান ফিরে আসে ৷ চোখ মেলে পিট পিট করে তাকিয়ে প্রাণো তার সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে চমকে যায় অস্পষ্ট গলায় প্রাণো বলে ওঠে….” স্ম,, স্মরণ! ”
ফ্লাশব্যাক……
প্রাণো যখন সিএনজি ছেড়ে গাড়িতে করে যাচ্ছি তখন ওই একই রাস্তা দিয়ে স্মরণ ফিরছিলো তখনি হঠাৎ প্রাণোকে একটা ছেলের সাথে দেখে স্মরণ প্রাণোর পিছু নেয়৷ প্রাণো যখন জীবন মাহমুদ কে টর্চার করছিলো তখন স্মরণ অফিসে ঢুকতে চাইলে সিকিউরিটি গার্ড স্মরণকে আটকে দেয়৷ তাই বাধ্য হয়ে স্মরণ অফিসের পেছনের গেট দিয়ে ঢুকার চেষ্টা করে কিন্তু তার আগে পেছনের দিকে চিৎকার এর আওয়াজ শুনে সেখানে গিয়ে স্মরণ কিচ্ছু দেখতে না পেয়ে চলে যেতে নিলে প্রাণোর গলার আওয়াজ শুনতে পায়৷ স্মরণ প্রাণোর গলার আওয়াজ ফলো করে সেই ছোট্ট জানালার কাছে পৌছে যায়৷ তখনি স্মরণ প্রাণোর ভয়ংকর রুপটা দেখে চমকে যায়৷ সব থেকে বেশি চমকে যায় এটা দেখে প্রাণো অন্য কাউকে নয় বরং তার ড্যাডকেই টর্চার করছে৷
এতোটুকু দেখেই স্মরণের যেন পুরো পৃথিবীটাই নরে গেল৷ স্মরণ সে সময় জীবন মাহমুদ কে বাঁচানোর জন্য অফিসের পেছন গেটের ভিতর ঢুকতে সিকিউরিটি এলার্ম বেজে ওঠে ৷ আর সাথে সাথে অনেক গার্ড সেখানে আসতে শুরু করে দেয় যার কারণে স্মরণ আর ভিতরে ঢুকতে পারে না ৷ স্মরণ বাইরে দাড়িয়ে প্রাণোর জন্য অপেক্ষা করছিলো স্মরণ৷
প্রাণো যখন অফিস থেকে বেড়িয়ে গাড়িতে উঠতে নেয় তখনি স্মরণ পেছন থেকে প্রাণোকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে আসে৷
বর্তমানে……
স্মরণ কিছু বলছে না রক্তিম চোখে প্রাণোর দিকে তাকিয়ে আছে স্মরণ ৷
প্রাণো চোখ বন্ধ করে কিছু একটা ভেবে চোখ মেলে স্মরণের দিকে তাকিয়ে বলে , ” আমি জানি স্মরণ তুমি কেন আমাকে এভাবে তুলে নিয়ে এসেছো?”
” হুয়াই প্রাণো হুয়াই ?” স্মরণ রাগে পাশে কাঠের চেয়ার টা তুলে আচার মারে৷ প্রাণো এটা দেখে মটেও বিচলিত হয় না ৷ স্মরণ হুট করে প্রাণোর গাল শক্ত করে চেপে ধরে বলে, ” তুই আসলে কে ? আমার প্রাণো নাকি অন্য কেউ? ”
” স্ম,, স্মরণ আমি তোমার প্রাণো এটা যেমন ঠিক তেমনি আমার আরো একটা পরিচয় আছে ৷”
” কি সে পরিচয়?” প্রাণোর গাল ছেড়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো স্মরণ৷
” ব্লাকরোজ ৷ ”
” ব্লাকরোজ!”
” হ্যাঁ, আমাকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে সবাই ব্লাকরোজ হিসেবে জানে তবে আমাকে আজ পর্যন্ত দেখেনি কেউ আর না ধরতে পেরেছে৷”
” ড্যাড এর সাথে এমনটা কেন করলে ব্লাকরোজ?”
স্মরণের মুখে ব্লাকরোজ নাম টা শুনে চমকে যায় প্রাণো ৷ তবুও নিজেকে সামলে স্মরণকে বলে, ” আমার কাজ টা কি জানো স্মরণ! আমি দেশের হয়ে আড়ালে কাজ করি৷ যে কাজ গুলো দেশের প্রশাসন করতে পারে না সে কাজ গুলো আমি আর আমার টিম করে থাকি৷ নারী পাচারের দল , হিরোইন ব্যবসায়ী , কালো বাজারিদের শাস্তি দিয়ে থাকি৷ ইভেন এই মাসে শহরে যতো গুলো ফ্যাক্টরি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সব গুলো ফ্যাক্টরি আমি পুড়িয়েছি৷”
প্রাণোর কথা শুনে স্মরণ চমকে ওঠে৷
স্মরণ কে চমকাতে দেখে প্রাণো রহস্যময় হাসি দিয়ে আবার বলতে লাগলো , ” আজ তোমার ড্যাড এর সাথে যা করেছি তা দেখে হয়তো তুমি নিশ্চয়ই আমাকে ভুল বুঝবে বাট আই ডোন্ট কেয়ার ৷ জীবন মাহমুদ এর মতো জঘন্য নিকৃষ্ট বিকৃত মস্তিষ্কের লোক কখনো মানুষ হতে পারে না৷ ”
” প্রাণো ভুলে যাচ্ছো উনি আমার ড্যাড ৷ আমার জন্মদাতা৷”
” ওহ রেইলি তাহলে তোমার জন্মদাতার কেস হিস্ট্রি তোমার জানা অত্যান্ত জরুরী স্মরণ ৷ তোমার জন্ম মাকে তুমি জন্মের পর হাড়িয়েছো কার জন্য জানো? তোমার ড্যাড জীবন মাহমুদ এর জন্য , তোমার জন্মের পর পর জীবন মাহমুদ নিজের হাতে তোমার মাকে খুন করে৷”
” স্টপ প্রাণো স্টপ ৷ নিজেকে বাঁচাতে আমাকে আমার ড্যাড এর বিষয়ে মিথ্যে বলো না৷ তুমি কি ভেবেছো এগুলো বললে আমি বিশ্বাস করে নিবো? তোমাকে ছেড়ে দিবো আমি? ”
স্মরণের কথা শুনে প্রাণো জোরেই হেসে ফেলে বলে, ” ইউ নো ওয়াট স্মরণ আমি জানতাম তুমি একটা বুদ্ধিমান ছেলে বাট আই ওয়াজ রং ৷ তুমি আসলে ওই সাজিত তোমার সৎ ভাইয়ের মতো বোকা ৷ একি বাড়িতে থেকে আজ পর্যন্ত তুমি তোমার বাবার আসল চেহারা টা চিনতে পারো নি৷ তুমি জানোই না ৷ এতো বছর পুলিশ যে JM কে খুজছে সে আসলে জীবন মাহমুদ ৷ এই লোকটা অন্ধকার দুনিয়ার কিং ৷ দেশের যতো বড় বড় কেস আছে সব গুলো এই JM এর নামে৷ নারী শিশু পাচার, হিরোইন কোকো সাপলাই, বেআইনি কন্সট্রাকশন করা, বেআইনী কারখানা চালানো, বেআইনী অস্ত্র পাচার , দেশের টাকা পাচার আর সব চেয়ে বড় কথা সে এক জন খুনি এক জন ধর্ষক আর এই সবটাই করে তোমার বাবা জীবন মাহমুদ অরফে JM, আর আমার উপর দায়িত্ব পড়েছে এই লোকটার গোড়া থেকে উপড়ে ফেলার৷ বাই দ্য ওয়ে আমি পুলিশের সাহায্য নিয়ে কাজ গুলো এতো বছর করে আসছি স্মরণ ৷ এই শহরের পুলিশ কমিশনার আব্বাস আলী শান এর বাবা আমাদের সাহায্য করছে৷
“আমি বিশ্বাস করি না প্রাণো৷ ”
” বিশ্বাস করা না করা তোমার বেপার, ওহ তোমার জন্মের একটা গল্প আছে তুমি নিশ্চয়ই সে সব বিষয় জানো না স্মরণ জানলে হয়তো আমাকে এখানে তুলে আনতে না৷”
” আমার জন্মের গল্প!”
” হ্যাঁ, তাহলে শোন সিমি আপু আর কেউ নয় তোমার মায়ের পেটের মেয়ে আর তোমার বড় বোন৷”
” আমার বড় বোন সিমি?”
” হ্যাঁ স্মরণ , সিমির আপুর জন্মের চার মাস পরে আশিক খান এর বিজনেসে কোটি কোটি টাকা লস হয়৷ হঠাৎ এতোটা লস করে ওনার কোম্পানি পথে বসে যায়৷ ঠিক সে সময় জীবন মাহমুদ বন্ধু হয়ে সাহায্য করার জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়৷ সিমির বাবা আশিক খান সরল মনে তাকে বিশ্বাস করে ওর থেকে সাহায্য নি৷ বিজনেসের পার্টনার হয়ে যায়৷ বাড়িতে যাতায়াত বাড়তে থাকে৷ সিমি আপুর মা এর সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার কিন্তু হঠাৎ একদিন জীবন মাহমুদ আঙ্কেলকে জঘন্য প্রস্তাব দেয় ৷ সিমি আপুর মা (রুমি) কে বিয়ে করতে চায়৷ কথাটা শোনা মাত্র আঙ্কেল প্রচন্ড রেগে ওই জঘন্য লোকটাকে মারধর করে আর সেটাই আমার ওনার কাল হয়ে দাড়ায় তার পরের দিনসিমি আপুর মাকে( রুমি ) কে তুলে নিয়ে যায়৷ আর আঙ্কেলকে হুমকি দেয় যদি পুলিশ কে জানাই তাহলে সিমি আপুর মাকে মেরে ফেলবে সাথে সিমি আপুকেও মেরে ফেলবে …তারপর সে দিন আন্টিকে নিয়ে যাওয়ার পর আর আন্টির কোন খোজ পায়নি আঙ্কেল দেখতে ৷ তার ঠিক দু বছর পর আন্টি আঙ্কেলকে লুকিয়ে ফোন করে জানায় তাকে সে জোর করে বিয়ে করে নিয়েছে আর ওই ঘরে তার আর একটি পুত্র সন্তান হয়েছে৷ সে পুত্র সন্তান কে ছিলো জানো? তুমি ! সে দিনই ছিলো আঙ্কেল আন্টির সাথে শেষ কথা ৷ সবাই জানে তোমাকে জন্ম দেওয়ার পর আন্টি মারা গেছে কিন্তু এটা মিথ্যে ছিলো জীবন মাহমুদ এর নজর তখন সাহারা মামুনির উপর পরেছিলো তিনি সুন্দরী সাথে বড়লোকের মেয়ে ওনাকে বিয়ে করলে রাজ্য এবং রাজ কন্যা দুটোই পাবে কিন্তু সমস্যা ছিলো তোমার মা তাকে নিয়ে , এই জন্য প্লান করে একদিন আন্টিকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলে কিন্তু সবাইকে জানায় স্টোক করে মারা গেছে৷ ”
প্রাণো একটু দম নিয়ে আবার বলতে লাগলো, ” তো মিস্টার ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ ৷ এখনো কি আমার কথা আপনি বিশ্বাস করেন নি?”
স্মরণ কিছু বললো না ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়ে ৷ প্রাণো তার টেকনিক খাটিয়ে হাতের বাধন খুলে ফেলে স্মরণের পাশে গিয়ে বসে ৷
স্মরণ ঠান্ডা গলায় প্রাণোকে বললো,” তুমি শুরু থেকে যা যা বলেছো তা সত্যি প্রাণো?”
” স্মরণ আমি আমার কথার প্রমান তোমাকে দিতে পারি ৷ যদি তুমি দেখতে চাও৷
” নাহ আমি কিছু দেখতে চাই না প্রাণ ৷ ওই ওই লোকটাকে তুমি কঠিন শাস্তি দিয়ে ভুল করোনি ৷ আমি তোমাকে ভুল বুঝেছি আমাকে ক্ষমা করো প্লিজ৷”
” স্মরণ তোমার জায়গায় অন্য কেউ হলেও এই সেম কাজটাই করতো তাই ক্ষমা তোমাকে চাইতে হবে না কিন্ত আমি আজ তোমার বাবার করা জঘন্য কাজ তোমাকে দেখাবো চলো আমার সাথে…”
প্রাণোর পিছু পিছু রোবটের মতো যেতে লাগলো স্মরণ৷ কথায় আছে না অল্প শোকে কাতর আর অধিক শোকে পাথর৷ স্মরণের ক্ষেত্রেও সেম ঘটনাটাই ঘটেছে৷ হসপিটালে কণার কেভিনের সামনে দাড়িয়ে আছে স্মরণ ৷ তার বাবা যে তার মেয়ের বয়সি একটা মেয়ের সাথে এমন জঘন্য আচরন করতে পারে তা কখনো ভাবেনি৷ স্মরণ যেন পাথরের মতো হয়ে গেছে৷ স্মরণের ইচ্ছে করছে তার বাবা নামক নরপশুটাকে কেটে কুচি কুচি করে ফেলতে৷ স্মরণ এখন চোখ মেলে প্রাণোর দিকে তাকাতে পর্যন্ত পারছে না৷ একেক পর এক শক্টড পেয়ে স্মরণ নিস্তব্ধ হয়ে গেছে৷
হঠাৎ সিমি হসপিটালে এসে প্রাণো স্মরণকে কণার কেভিনের বাইরে একসাথে দেখে চমকে যায়৷ স্মরণ আর সিমি সামনাসামনি দাড়িয়ে আছে৷ সিমি স্মরণের এখানে আসার কারণ টা স্পষ্ট না হওয়া প্রাণোকে জিজ্ঞাসা করলো,” প্রাণো স্মরণ এখানে?”
” সিমি আপু স্মরণ সবটা জেনে গেছে ৷ আর এটাও জেনে গেছে তুমি ওর বড় বোন৷”
প্রাণোর কথা শুনতে সিমি স্মরণের দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে থেকে বলে উঠলো ,” কিরে ভাই একবারও কি আপু বলে আমাকে ডাকা যায় না? আমি কি আপু হিসেবে এতোটাই খারাপ?”
স্মরণ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না সিমিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললো৷
” আপু! আপু আমি তোমার ভাই হওয়ার যোগ্য নই ৷ ”
” হুস একদম বাজে কথা বলবি না ভাই৷ তুই আমার মায়ের পেটে জন্মেছিস তুই খারাপ হতেই পারিস না৷”
” আপু বাবা কোথায়?”
” বাবা!”
” কেন তোমার বাবা কি আমার বাবা নয় আপু?”
সিমি স্মরণের কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলে বলে, ” চল তোকে ড্যাড এর কাছে নিয়ে যাই ৷ আর একটা কথা আমাকে ক্ষমা করিস তুই ৷ ”
” ক্ষমা তুমি কেন চাইছো আপু?”
” ভুল করেছিলাম ভাই৷ অতিতে তোকে আর প্রাণোকে আলাদা করার জন্য আমি অনেক জঘন্য কাজ করেছি কিন্তু তুই বিশ্বাস কর আমি সবটা না জেনে করেছিলাম ৷ যখন ড্যাড আমাকে সবটা জানিয়ে দেয় সেদিন থেকে আমি তোর আর প্রাণোকে আলাদা করার চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছি৷ ”
প্রাণো বিরক্ত হয়ে সিমি কে বলে উঠলো , ” আহ! আপু পুরনো কথা তুলনা প্লিজ৷ তুমি স্মরণকে নিয়ে শশুর বাবার কাছে যাও আমি কণার সাথে দেখা করে আসছি৷”
স্মরণ প্রাণোকে নিতে চাইলে ও প্রাণো জোর করে পাঠিয়ে দেয়৷ প্রাণো এটা ভেবে স্বস্থি পায় স্মরণ তাকে ভুল বোঝার আগেই প্রাণো তার বাবার কৃতকর্ম গুলো সামনে তুলে ধরে৷ প্রাণো মনে মনে বলতে থাকে, ” স্মরণ যেহেতু সবটাই জেনে গেছে তখন আর লুকোচুরি কিসের? এবার জীবন মাহমুদ এর সাথে সাথে তার পার্টনারকেও শেষ করে দিবে৷ কিন্তু ভাবনার বিষয় হলো JM কে অন্ধকার জগতে সবাই জানলেও তার পার্টনার কে কেউ চেনে না ইভেন দেখেনি তাহলে খুজে বের কি করে করবো আমি! নাহ আমাকে এমন কিছু একটা করতে হবে যাতে সাপ গর্ত দিয়ে বের হতে বাধ্য হয়৷ আর এই সাপকে বের করতে JM এর পিএ রানাকে কাজে লাগাতে হবে ৷ ” প্রাণো নিজের মনে মনে প্লান করতে করতে কণার কেভিনের ঢুকে পড়ে৷
কণা প্রাণোকে দেখে উঠে বসার চেষ্টা করতে নিলে প্রাণো কণাকে আটকে দিয়ে বলে,” একদম উঠবি না শুয়ে থাক কণা৷”
” শুয়ে থাকতে আর ভালো লাগছে না প্রাণো৷”
প্রাণো কণার হাত ধরে মাথা নিচু করে বলে উঠলো ,” আ’ম স্যরি কণা৷ আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দে৷ আমি পারি নি তোকে রক্ষা করতে ৷ পারেনি বাচাঁতে তোকে ওই জানোয়ারদের থেকে….”
” প্রাণো আমি ওই দিনের ঘটনা ভুলে যেতে চাই আর আমিও আশা করবো তুই ও ভুলে যাবি ৷ আর এখানে তোর কোন দোষ নেই তুই নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ কর৷ শুধু একটা কথাই বলবো ওই জানোয়ারদের কঠিন শাস্তি দিয়েছিস আমি খুশি হয়েছি ৷”
” ভিডিওটা দেখেছিস?”
” হুম দেখেছি”
কণা আর প্রাণো দুজন কথা বলার মাঝে হঠাৎ RV ছুটে এসে প্রাণোকে বলে, ” প্রাণো JM এর পার্টনার এর খোজ পেয়েছে কমিশনার ৷ উনি এখুনি তোর ফোনে ছবি সহ পুরো ডিটেইলস পাঠিয়ে দিয়েছে চেক কর প্লিজ৷”
প্রাণো দ্রুত উঠে দাড়িয়ে ফোন বের করে দেখে কমিশনার সত্যি ছবি সহ ডিটেইলস পাঠিয়েছে৷ প্রাণো ছবিটার উপর ক্লিক করে দেখতেই প্রাণোর পায়ের নিচের মাটি যেন নরে গেল৷ প্রাণো ধপ করে টুলে বসে পরে ৷ RV প্রাণোর এমন অবস্থা দেখে প্রাণোর হাত থেকে ফোন টা নিয়ে নেয় ছবিটা দেখার জন্য , RV ছবি টা দেখে প্রচন্ড রকমের অবাক হয়ে প্রাণো দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে , ” প্রা,,প্রাণো এতো তোমার ব……..”
.
.
.
#চলবে……………………🙃#গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৪০
.
.
🦋
প্রাণো দ্রুত উঠে দাড়িয়ে ফোন বের করে দেখে কমিশনার সত্যি ছবি সহ ডিটেইলস পাঠিয়েছে৷ প্রাণো ছবিটার উপর ক্লিক করে দেখতেই প্রাণোর পায়ের নিচের মাটি যেন নরে গেল৷ প্রাণো ধপ করে টুলে বসে পরে ৷ RV প্রাণোর এমন অবস্থা দেখে প্রাণোর হাত থেকে ফোন টা নিয়ে নেয় ছবিটা দেখার জন্য , RV ছবি টা দেখে প্রচন্ড রকমের অবাক হয়ে প্রাণো দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে , ” প্রা,,প্রাণো এতো তোমার বাবা! জুনাইদ কবির ৷ ”
প্রাণো যেন এক প্রকার শক্টড এর ভিতর আছে৷ তার বাবা যে জীবন মাহমুদ এর মতো জঘন্য লোকের সাথে পার্টনারশিপে থাকতে পারে এটা সত্যি প্রাণো কখনো ভাবতে পারেনি৷
প্রাণোর অবস্থা দেখে RV আর কণা দুজনে প্রাণোর হাত শক্ত করে ধরে বলে, ” প্রাণো তুমি যা সির্ধান্ত নিবে তাই হবে৷ “(কণা)
” হ্যাঁ প্রাণো তুমি যদি চাও তোমার বাবাকে শাস্তি না দিতে তাহলেও আমরা তোমার সাথে আছি৷ তোমার বাবার নাম লিস্ট থেকে সরিয়ে দিবো? তাহলে আর কোন….” RV বাকিটা শেষ করার আগে প্রাণো কঠিন গলায় বলে উঠলো , ” জুনাইদ কবির তার প্রাপ্য শাস্তি পাবে RV . আমার আদালতে প্রত্যেকে সমান সে হোক আমার বাবা তবুও সে একজন অপরাধী ৷ তার অপরাধের লিস্ট ও ছোট নয় জীবন মাহমুদ এর আড়ালে থেকে নোংরা কাজ গুলো চালিয়ে গেছে আর আমি! আমি সব জেনে ছেড়ে দিবো RV! যদি তাই হবে তাহলে তো জীবন মাহমুদ কে ছেড়ে দিতে পারতাম কারণ ওই লোকটা আমার স্বামীর জন্মদাতা পিতা ৷ আমি যখন তাকে ছেড়ে দেয় নি তখন জুনাইদ কবির কে ছেড়ে দেওয়ার কোন প্রশ্নই আসছে না৷ ”
প্রাণো RV কণার হাত ছাড়িয়ে উঠে দাড়িয়ে বলে , ” জুনাইদ কবির কে আগামি দুঘন্টার ভিতর আমি আমার টর্চার সেলে দেখতে চাই RV.”
” দু’ঘন্টার ভিতর জুনাইদ কবির টর্চার সেলে পেয়ে যাবে ৷”
প্রাণো আর কিছু না বলে কেভিন থেকে বেড়িয়ে যায়৷
___________
এদিকে সিমি স্মরণকে আশিক খানের কাছে নিয়ে গিয়ে সবটা বলে ৷ আশিক খান স্মরণকে নিজের ছেলে বলে মেনে নেয় কারণ স্মরণকে তার স্ত্রী জন্ম দিয়েছে হোক না পিতা অন্য কেউ তবুও স্মরণের শরীরে যে রুমির রক্ত বইছে৷
কিছুটা মুহূর্ত সিমি স্মরণ আর আশিক খান খুব আনন্দে কাটিয়ে হসপিটালে যাওয়ার জন্য বের হতে নিলে সেখানে শান এসে উপস্তিত হয়৷ শান কে দেখে সিমি স্মরণ দুজনে চমকে ওঠে…
” শান তুমি এখানে?”
” কেন তোমার বাড়িতে আসা কি আমার বারণ সিমি?”
সিমি কিছু বলতে যাবে তখনি স্মরণ বলে ওঠে , ” আরে দুলাভাই বারণ হতে যাবে কেন? এটা তো আপনারও বাড়ি৷ বাই দ্য ওয়ে কেমন আছেন দুলাভাই? ”
স্মরণের মুখে দুলাভাই ডাক শুনে হচকিয়ে স্মরণের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে শান বলে, ” মিস্টার স্মরণ আপনি আমাকে দুলাভাই কেন বলছেন?”
” কি বলেন দুলাভাই , বোনের স্বামী ভাইয়ের দুলাভাই হবে তাই না? আর সিমি আপু যেহেতু আমার বড় বোন সেহেতু আপনার আমার ওয়ান এন্ড ওয়ানলি দুলাভাই ৷ আর আমি আপনার একমাত্র সালা ৷”
শান যেহেতু আগে থেকে সবটা জানতো তাই এবার আর অবাক হলো না বরং হাসি মুখে স্মরণের সাথে কথা বললো তবে সিমি পুরো সময়টা মুখ ভার করে ছিলো৷ বিষয়ট স্মরণের চোখে পড়তে বলে, ” আপু আজ তোকে আমার সাথে যেতে হবে না আমি একাই চলে যেতে পারবো তার চেয়ে বরং তুই দুলাভাইয়ের সাথে চলে যা ”
” কিন্তু তু..” বাকিটা বলার আগে শান সিমিকে কোলে তুলে নিয়ে স্মরণের উদ্দেশ্য বলে থ্যান্কিউ সালাবাবু ৷ আমি তোমার ঘাড় তেরা জিদ্দি বোনটাকে নিয়ে যাচ্ছি ৷ ভিষণ রেগে আছে আমার উপর সেদিন কার ঘটনাটা নিয়ে, তাই আজ আর আড্ডা দিতে পারলাম না অন্য কোন দিন না হয় সালা দুলাভাই আড্ডা দেওয়া যাবে৷”
” একদম তবে দেখেন আমার বোনটার চোখ দিয়ে যেন এক ফোঁটা পানি বের না হয় ৷”
” সে দায়িত্ব আজ থেকে আমার সালা বাবু ৷ তোমার বোন আর আমার জিদ্দি বউটার চোখ থেকে কখনো এক ফোঁটা পানি বের হতে দিবো না৷ আজ তাহলে আসি৷ ভালো থেকো৷”
শান সিমিকে কোলে নিয়ে বেড়িয়ে গেল৷ এদিকে স্মরণ হেসে দিয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷ স্মরণ প্রাণোকে হসপিটালে না পেয়ে RV কাছে প্রাণোর কথা জানতে চাইলে RV জানায় প্রাণো অনেকক্ষণ আগে হসপিটাল থেকে বেড়িয়ে গেছে৷
স্মরণ প্রাণোকে একের পর এক কল করে কিন্তু প্রাণো কোন রেসপন্স করে না৷ প্রাণোর এভাবে কল রিসিভ না করায় স্মরণ ভিষণ ভয় পেয়ে যায়৷ কারণ প্রাণোর যে কাজ করে তাতে করে প্রাণোর যে শত্রুর কোন অভাব নেই সেটা স্মরণ খুব ভালো করে জানে৷ স্মরণ প্রাণোর ফোন নম্বর লোকেশন ট্রাক করে জানতে পারে প্রাণো বাড়িতে , স্মরণ বাড়ি ফিরে এসে দেখে পুরো বাড়ি ফাঁকা, স্মরণ দৌড়ে নিজেদের রুমে গিয়ে দেখে প্রাণো বেডের এক কোনে হাটু গেরে বসে কাঁদছে ৷ স্মরণ প্রাণোর কাছে গিয়ে প্রাণোর কাঁধে হাত রাখতে প্রাণো মাথা তুলে তাকিয়ে স্মরণ কে দেখে স্মরণের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদতে লাগলো৷ স্মরণ এখনো বুঝতে পারছে না প্রাণোর মতো এতো শক্ত মেয়ে এমন ভাবে পাগলের মতো কেন কাঁদছে! স্মরণ কিছু একটা ভেবে প্রাণোকে কাঁদতে আর বাধা দেয় না৷ প্রাণো ঘন্টাখানিক কেঁদে স্মরণের বুক থেকে মাথা তুলে তাকায় স্মরণ এর দিকে , স্মরণ প্রাণোর মাথায় হাত বুলিয়ে প্রাণোকে কোলে তুলে বেডে বসিয়ে জড়িয়ে ধরে বলে, ” কি হয়েছে আমার প্রাণপাখির? এভাবে বাচ্চাদের মতো কেন কাঁদছে?”
” স্ম,, স্মরণ আমার জীবনের ব থেকে ইম্পটেন্ট সৎ মানুষ যার আদর্শে বড় হয়েছি আমরা , আর আজ এতো বছর পর জানতে পারলাম সে মানুষটা আসলে সৎ না অসৎ ৷ ভালো মানুষির মুখোশ পড়ে এতো বছর আমাদের ঠকিয়ে গেছে স্মরণ৷”
” তুমি কার কথা বলছো প্রাণ?”
” জুনাইদ কবির ”
” জুনাইদ কবির! মানে তোমার বাবা?”
” নাহ তিনি আমার বাবা কখণো হতে পারে না স্মরণ৷ এই লোকটা আমাদের ঠকিয়েছে স্মরণ৷ জীবন মাহমুদ এর অন্ধকার জগতের পার্টনার এই জুনাইদ কবির ৷ অন্ধকার জগতে সবাই এদের এই জুটিকে JM বলে চিনে স্মরণ৷ তোমার বাবার প্রত্যেকটা অনৈতিক কাজের সাথে এই লোকটা জরিত৷ ”
” এখন কি করবে প্রাণ?”
” যেটা তোমার বাবার সাথে করেছি ঠিক সেটাই করবো জুনাইদ কবির এর সাথে , কারণ আমার আদালতে সব ক্রিমিনাল এক , ক্রিমিনালরা কখনো কারো আপন হয়না স্মরণ ৷”
” তুমি পারবে নিজের হাতে নিজের বাবাকে শাস্তি দিতে?”
কথা শুনে প্রাণো অন্যদিকে মুখ ঘুড়িয়ে বলে, ” না পারবো না ৷ তবে ভেবো না সে কোন কম শাস্তি পাবে! জীবন মাহমুদকে ঠিক যেভাবে কষ্ট দিয়ে শাস্তি দিয়েছি ঠিক সেভাবে একই শাস্তি জুনাইদ কবির পাবে এন্ড আই মিন ইট৷”
স্মরণের মনে জীবন মাহমুদ এর জন্য যতোটুকু ভালোবাসা বরাদ্দ ছিলো তা সবটাই খুন হয়ে গেছে যখন জীবন মাহমুদ এর নোংরা মুখোশ টার সম্পর্কে জানতে পেরেছে৷ কিন্তু প্রাণোর মনে তার বাবার জন্য সন্মান ভালোবাসা সবটাই ভরপুর ছিলো কিন্তু হঠাৎ এই ধাক্কাটা প্রাণোর মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে এটা স্মরণ বুঝতে পারছে৷ তাই প্রাণোকে একটু নরমাল করার জন্য স্মরণ বলে,” প্রাণ তুমি এখনো বাইরের পোশাকে কেন ? শাওয়ার নেও নি? প্লিজ শাওয়ার না নিলে দ্রুত শাওয়ার নিয়ে এসো তারপর আমি নিবো ৷ গরমে ঘামে ভিজে একদম নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে দেখেছো?”
প্রাণো স্মরণের মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চোখের পানি মুছে বেড থেকে নেমে কাপবোর্ড থেকে ড্রেস নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেল৷ প্রাণোর শাওয়ার নেওয়ার ফাঁকে স্মরণ কিচেনে গিয়ে দুজনের জন্য একপ্লেটে খাবার নিয়ে আসে রুমে৷ ততোক্ষণে প্রাণো শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে আসে ৷
” স্মরণ তুমি শাওয়ার নিয়ে এসো ততোক্ষণে আমি নিচে ডাইনিংয়ে খাবার সার্ব করছি৷”
প্রাণোর কথা শুনে স্মরণ প্রাণোর দু’গালে হাত রেখে বলে, ” তার কোন প্রয়োজন নেই প্রাণপাখি ৷ আমি অলরেডি খাবার রুমে নিয়ে এসেছি ৷ আমাকে যাস্ট দশমিনিট দেও আমি এখুনি শাওয়ার নিয়ে আসছি৷”
স্মরণ প্রাণোর নাকে নাক ঘষে প্রাণোর হাত থেকে তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়৷ প্রাণো টি-টেবিল এর উপর প্লেটে খাবার দেখে মলিন হাসে৷
প্রাণোর হঠাৎ মাথায় আসে বাড়িতে ঢুকে কাউকে দেখতে পাইনি তারমানে বাড়ির লোকজন সবাই কোথায় গেলো? ভাবতে ভাবতেই প্রাণোর প্রিয়ার নম্বরে কল দিতে দপবার রিং বাজতে ওপাশ থেকে প্রিয়া কল রিসিভ করে কাঁপা কাঁপা গলায় প্রাণোকে বলে উঠলো , ” আ,, আপু তুই কোথায়?”
” বাড়িতে কিন্তু বাড়ির বাকিরা কোথায়? আর তুই কোথায়?”
” আ,, আপু আমরা সবাই সিটি হসপিটালে আমাদের শশুর স্যরি সাজিত এর বাবাকে পাওয়া গেছে ওনাকে সিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে জানিস আপু ওনার অবস্থা খুব ক্রিটিকাল মামুনি মিহু সাজিত খুব কাঁদছে ৷ ” চাপা গলায় বললো প্রিয়া….
” ওখানে আর কে কে আছে প্রিয়া?”
” সবাই রে আপু আব্বু আম্মু দাভাই মিহু সাজিত সাগর নিলয় আকাশ ভাইয়ারা সাথে তোর বান্ধবীরাও আছে৷ ”
” আমার বা স্মরণের কথা কেউ জিজ্ঞাসা করেছে?”
” হ্যাঁ, আব্বু অনেকবার তোর আর দুলাভাইয়ের কথা জানতে চেয়েছে আমি বলেছি তোরা শশুর না মানে সাজিতের বাবা কে খুজতে গেছিস৷”
” ঠিক আছে ৷ শোন কেউ আমাদের কথা জানতে চাইলে বলবি আমরা জীবন মাহমুদ কে খুজছি ৷ যদি ওনার খবর জানাতে ফোন করতে চায় তো করবি ওকে”
” ঠিক আছে ৷ কিন্তু আপু এদিকে তো বিশাল ঝামেলা হয়ে গেছে৷ জার্নালিস্টরা নিউজ পেয়ে হসপিটালে ঝামেলা করছে ৷”
” পুলিশকে বল আর শোন জীবন মাহমুদ এর খবর আমাকে আপডেট করবি ঘন্টায় ঘন্টায়৷”
” ওকে আপু আমি রাখছি তাহলে?”
” হুম , নিজের খেয়াল রাখিস প্রিয়ু ”
প্রাণো কল কেটে টিভি অন করে ৷ প্রতেকটা নিউজ চ্যালেনে জীবন মাহমুদ এর নিখোজ হয়ে যাওয়া সাথে মারাত্মক জখম অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় ডাসবিনে খুজে পাওয়া নিজে ভিষণ জল ঘোলা হচ্ছে৷ জীবন মাহমুদ এর হাতে বুকে যে ‘আমি ধর্ষক’ লেখা এটা বার বার রিপোটাররা হাই লাইট করে দেখাচ্ছে৷ কেউ কেউ ধারনা করছে জীবন মাহমুদ কোন গোপন শত্রু এই কাজ করেছে ৷ আবার কেউ কেউ ধরনা করছে জীবন মাহমুদ নিশ্চয়ই কাউকে ধষর্ণ করেছে নাহলে এভাবে কেন জীবন মাহমুদ কে টর্চার করে হাতে বুকে লিখে দিবে ‘আমি ধর্ষক’ ৷ জীবন মাহমুদ যে এখন হসপিটালে আই সি ইউতে ভর্তি এবং তার বর্তমান অবস্থা দেখে ডক্টর কিছু বলতে পারছে না বাঁবে কিনা? আর যদি বেঁচে ও যায় তাহলে কোন দিন নিজের পায়ে হাটতে পারবে না আর না কথা বলতে পারবে৷
প্রাণো নিউজ দেখে টিভি অফ করে দিয়ে বেডে বসে তখনি প্রাণোর ফোনটা বেজে ওঠে , প্রাণো ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে RV কল করেছে৷ প্রাণো কল রিসিভ করে কানে ধরতে ওপাশ থেকে RV শান্ত গলায় বলে ওঠে,” প্রাণো তোমার কথা মতো জুনাইদ কবির কে টর্চার সেলে রাখা হয়েছে৷ আর একটা সমস্যা হয়েছে প্রাণো ”
” কি সমস্যা?”
” জুনাইদ কবির কে হসপিটালের বাইরে থেকে তুলে আনার সময় সাদমান আমাকে দেখে ফেলেছে৷ ”
প্রাণো RV কথা শুনে কিছু বলতে যাবে তখনি ছো মেরে প্রাণোর ফোনটা কেউ কেড়ে নিয়ে স্বজোরে প্রাণোর গালে থাপ্পড় মারে ……
.
.
.
#চলবে………..