চাঁদ হয়ে রবো”
~খাদিজা বিনতে হক
পর্ব-১৬
পৌষীর ভেজা চুপ চুপে চুল দিয়ে টপ টপ করে বৃষ্টি ধারার মতো পানি পরছে।
সেটা থেকে।ওর পরনের।চীকন।পারের মিষ্টি রঙা শাড়ীটা ভিজে কেমন লাল লাল দেখতে লাখছে।
সেদিকটা খেয়াল না করে পৌষী গুটি সুটি মেরে কাউচে শুয়ে পরলো।না বলতে চোখ দুটো বন্ধ করে রাখলো।ওর মাথায় এখনও অনেক চিন্তা।
,
তুষারের ইদানীং একটাই কথা তার বেবি চাই।
তোয়ালে হাতে এনে চুল মুছে দিলো তুষার।
পৌষীর কোনো রিয়াকশন না পেয়ে ভাবলো ঘুমিয়ে পরেছে।তাই কোলে নিতে যাবে ভেবে।ওর গালে একটা শীতল উষ্ণ মিক্সিট অদভুদ পরস ছুয়ে দিলো।তখনি পৌষী চোখ খুলে দেখলে।
তুষার ওর খুব কাছে।এতোটা কাছ থেকে কখনও হয়তো দেখা হয়নি।তাইতো ওর ছোটো ছোটো চোখের ভয়ংকর মাদকতা মেসানো দৃষ্টি থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলো।এমন ভাবে কখনও দেখে নি হয়তো দেখেছে।নিজেও বুজতে পারেনি যেটা আজ বুজলো।
,
হঠাতি এমন করে তাকানো পৌষীকে দেখে বেস একটা লজ্জা জনক পরিস্থিতিতে পরলো ও।
ওর লুকোনো অনুভুতি কাউকে দেখাতে চায় না ও যে পুরুষ।পুরুষ মানুষের একটু সংযম থাকতে হয় নাহলে।মেয়েরা।মানে বউ তাদের বসে থাকে না।
,
লজ্জায় হাসবে না কি ভেবে পেলো না।তবুও হাসলো।যেনো এই মহা কাজটার জন্য ওকে পৌষীর কাছে কৌফত দিতে হবে সেই হাসি।
,
তুষার বলল।
“তুমি ঘুমাও নি।আমি ভেবেছি ঘুমিয়েছো।তাই বেডে নিতে এসেছি।”
পৌষী লাল চোখ দুটো মেলে বলল
“আপনি ঘুমান নি কেনো।প্রাইভেট কাজ শেষ”
তুষার বলল
“হ্যা শেষ চলো লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পরি”
“হুমম”
,
পৌষীর কাছ থেকে আরো কিছু শুনতে চেয়ে ছিলো ও।কিন্তু পৌষী কিছু না বলাতে বেস আহতো হলো।
পৌষীর এখন কিছুই ভালো লাগছে না।তাই উঠে শুতে যেটুকে সময় লাগলো এসে আবার শুয়ে পরলো।
,
তুষারের বলা কথা গুলো খুব ভাবাচ্ছে ওকে।
বেশি একটা চিন্তা করলে।ওর বুকে হৃদস্পন্দন টা বেরে যায়।এর আগেও এমন হয়েছে।তাই বুজতে পারলো কেনো এমনটা হলো।আগে যখন ভাবত ওর কি করা উচিৎ।সেই সব নিয়ে এক সময়।সব ভাবনা ময়লার মতো বিনে ফেলে দিয়ে।নিশ্চিন্ত হয়ে ছিলো।আজ।কিছু তেই হতে পারছে না।
এতো দিন যেটা ছিলো শুধু ওর উপর দিয়ে গিয়েছে।আজ ওর মাত্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তুষার এখন আর আগের মতো করে না।
তবুও যেটুকু করে সে থাক না বললেই হলো।
আর বলতে পারছি না।তুষাররাতো এমনই
তাদের শুধু বাহানা চাই।
,
এসব কথা ভাবতে ভাবতে।ওর হৃদস্পন্দন থেকে তৈরি হওয়া অসহ্য যন্ত্রনা এখন পুরো শরীরে।
শীরায় উপশীরায় গিয়ে মস্তিষ্কে গিয়ে একটা ব্যথা সৃষ্টি হলো।সেটা এখন মাথা ব্যথা।
ইচ্ছে করছে হাতুরি দিয়ে মাথাটা পিটাতে।
তাহলে বাপ বাপ করে পালাবে।
কিন্তি দু আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে মনে হলো।
কুঠার দিয়ে আঘাত করছে।এখনি।মাথাটা টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
ধিম লাইটের আলো অসহ্য লাগছে ওর কাছে তুষারকে মৃধূ স্বরে বলল
“শুনছেন ওই লাইট টাও নিভিয়ে দিন”
,
তুষার কিছু না বলে উঠে বন্ধ করে ফোনের ফ্লাস লাইটের আলো জালিয়ে বিছানায় শুয়ে অবাক হলো না।
মৃধূ হাসলো।ওর সব কিছুতে বাহানা খোজা।
লাইট অফ করার মতলবে পৌষী অন্যপাশে গিয়ে শুয়ে পরলো।
ও জানে কেনো শুয়েছে কারণ ওর এখন ওর বা পাশে শুতে হবে কিছুখন পর ওকে জরিয়ে ঘুমবে।
মেয়েটা অদভুত সব নিয়ম এর মানতে হবে।ওর ধারনা স্বামী স্ত্রীর মাঝে ফাক থাকলে সেখানে শয়তান প্রবেশ করে তাই এক চিলতি ফাক না রেখে ওকে ওর ডান পাশে শুয়িয়ে জরিয়ে রাখবে।তবে এটা চিরন্তর সত্য
,
তুষার হাসলো না এবার।ওর ভাবনার আগে পৌষী ওকে জরিয়ে ঘুমিয়েছে।
,
সকাল সকাল তুষারের ফোনে একটা ফোন আসে ও তরিঘরি করে বেরিয়ে যায়।
জাবার আগে পৌষী হালকা করে জানতে চাইলো কোথায় যাচ্ছেন।অন্য কোনো সময় হলে তুষার বলতো।
“বললে চিনবে।আমি কোথায় যাই?
কোনো দিনও গেছো সেখানে?
কিছুই তো চিনো না?
নেও এবার বললাম।বলে যাবে সেখানে?
যত্তোসব উদকুটে কাজকর্ম?”
,
তবে সেরকম কিছু না বলে বলল
” মা আবার এ্যটাক করেছে”
তুষারের মুখটা দেখে বুঝাচ্ছে সে বেস আঘাত প্রাপ্ত।মায়ের অসুস্থতায় সে বেস।মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে আছে।
তুষার বেরিয়ে গেলো।অন্য কোনো সময় হলে পৌষী।কান্নায় ভাসিয়ে দিতো অথবা মোন খারাপ করে বসে থাকতো তেমটা কিছুই করলো না।
কারণ এ নিয়ে তিন বার এমনটা হয়েছে।
ওরা গিয়ে দেখে এসেছে লিজা বেগম।একদম সুস্থ।তাই এবারও ভ্রুক্ষেপ করলো না।
ওট ধারনা।।
এটা লিজা বেগমের বাহানা।ছেলেকে দেখার।
আলাদা হবার পর তুষার তেমন একটা যায় না তাই এই ব্যবস্থা।
,
পৌষীএকটা দির্ঘস্বাস ফেলে আবার চিন্তা করতে লাগলো।তুষারের কথা।একটা বেবির কতা।নিজের।এক না পাওয়া অথবা এক পাওয়া সত্ত্বা খুজে বেরানো।
সেই দিন তো এসেছিলো।,
,
,
চলবে,,,
,
(ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন