জ্বীন_লাভার
Writer: Shabnaj Hossain Moon
Part_07
(সবাইকে ধোকা দিলাম..বলেছিলাম 11_15 পর্যন্ত থাকবোনা বাট আমি 15 তারিখ এসে একটা পার্ট দিয়ে আবার চলে গিয়েছিলাম ..এখন এলাম আর এসেই গল্প দিলাম..)
.
বালিবে সোফায় বসে আছে আর মেহেরিমা দাড়িয়ে আছে…মেহেরিমা কিছু বলছেনা…বালিবে হঠাৎ উঠে দাড়িয়ে মেহেরিমাকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ধরলো..
মেহেরিমা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো..
.
.
.
বালিবে নিজের কোর্ট খুলে শার্টের হাতা কুনই পর্যন্ত ফোল্ড করলো.
মেহেরিমা এটা দেখে দৌড়ে রুম থেকে পালাতে চাচ্ছিলো তখনই বালিবে বাতাসের বেগে মেহেরিমাকে পেছন থেকে ঝরিয়ে ধরলো…মেহেরিমা র নিঃশ্বাস ঘন ঘন পড়ছে..
.
.
.
বালিবে তখনই মেহেরিমার ঘারে গলায় ভালবাসা পরশ একে দিলো…
রাতে মেহেরিমার কি যেনো হয় সব সময় কেমন ঘুম নামে চোখে …মেহেরিমা বারান্দায় দাড়িয়ে ঝিল দেখতে লাগলো.
তখনই সে খেয়াল করলো কে যেনো ঝিলে নামছে…মেহেরিমা ক্লিয়ারলি দেখলো সকালের ঐ লোকটা ...
তার বেশ অবাক লাগছে এটা দেখে…
মেহেরিমা ভাবলো ওখানে গেলে কেমন হয় …
বালিবে তো এখন নেই তাই ওখানে যাওয়ায় যায়.
.
.
.
বালিবে সেই গোপন কক্ষে যাচ্ছে…
বালিবের পরনে সাদা ধবধবে পাজামা পান্জাবি…
সে যেতেই সামনের দিকে একটা স্বর্ণের সিংহাসন উদয় হলো…
বালিবে সেখানে বসতেই আরো শত শত লোক সাদা পোষাক পরে হাজির হলো…
সবাই বলতে লাগলো…জয় জয় জ্বীনের বাদশা তাশলে আলি বালিবের জয়…
.
.
.
অতঃপর শুরু হলো বালিবের বিচার সভা…সভায় বালিবের রক্ষিরা একজন একজন করে অপরাধী আনছে আর বালিবে বসে বসে বিচার করছে
তখনি একজন বললো…,জ্বীনের বে তাজ বাদশা এই হলো সেই বেয়াদব জ্বীন যে আমাদের রাণিকে দুদিন আগে ভয় দেখিয়ে ছিলো.
বালিবে উঠে দাড়িয়ে এক তোলয়ার হাতে নিয়ে সেই জ্বীনটার ধর থেকে মাথা আলাদা করে ফেললো…
বাকি সব জ্বীনেরা ভয় পেয়ে গেলো…
.
.
.
বালিবে আবার নিজের আসনে বসলো…
সে বসে আছে কিছু হুরের মতো সুন্দরি পরি তাকে পাখা দিচ্ছে..
.
.
.
তখনই বালিবের দুটো রক্ষি জ্বীন জানালো তাদের রাণি মেহেরিমা হাবেলি থেকে বাহিরে বের হচ্ছে…বালিবে জোরে হুঙ্কার দিয়ে মেহেরিমা যেখানে আছে সেখানে গেলো…
.
.
.
ঝিলের দিকে লোকটা ক্রমশ নেমে যাচ্ছে
.
মেহেরিমা যখনই ঝিলে নামবে তখনই বালিবে তাকে ধরর ফেললো..মেহেরিমা বালিবের দিকে তাকিয়েই বললো তাশলে..সাথে সাথে সে জ্ঞান হাড়ালো..
.
.
.
বালিনে মেহেরিমাকে কোলে নিয়ে বাতাসের বেগে উড়ে গেলো…
.
.
.
ঝিলের লোকটা বালিবে কে দেখে ঝিলে ডুব দিয়েছিলো….এখন সে উঠে এলো ঝিল থেকে…তারপর নিজের রুপে ফিরে এলো…
তারপর জোরে জোরে বলতে লাগলো …
_তাশলে তুই আমার থেকে সিংহাসন কেড়ে নিয়েছিস…আবার আমার মেহেরিমাকেও কেড়ে নিয়েছিস…
এটা হতে দেবোনা
..মেহেরিমাকে আমি চাই যে কোনো মূল্যে….
মনে রাখিা আমিও ইফিস্দ্রিস জ্বীন রুস্তম..
.
.
.
একই মায়ের পেটে আমাদের জন্ম…
আমার সব জিনিসেই তুই ভাগ বসিয়েছিস.
..কিন্তু এখন আর না…
.
.
.
মেহেরিমা শুয়ে আছে সেন্সলেস অবস্থায়..
বালিবে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কয়েক বছর আগের কথা ভাবলো.
.মেহেরিমা যখন খুব ছোট তখন গ্রামের বাড়িতে তাদের বাগানে সে খেলতো…
হঠাৎ একদিন বালিবে আর রুস্তুম এই বাগানে আাসে ঘুরতে তখন এক তান্ত্রিক তাদের ধরে ফেলে..
একটা বোতলে ভরে গাছে ঝুলিয়ে রাখে…মেহেরিমা খেলার ছলে সেই বোতলটা ভেঙে ফেলে.
.
বালিবে আর রুস্তম মুক্তো হয়ে যায়…
সেদিন থেক বালিবে রুস্তম মেহেরিমার সাথে থাকতো মেহেরিমার আড়ালে…
.
.
.
মেহেরিমা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে আর বালিবে রুস্তম তার প্রেমে পড়তে থাকে…
.
.
.
রুস্তম আর বালিবে একটা চুক্তি করে..
বড় ছেলে জ্বীন বাদশা হয়
.রুস্তম বড় জ্বীন আর বালিবে ছোট জ্বীন…
রুস্তম তার সিংহাসন মেহেরিমার বিনিময়ে বালিবে কে দিয়ে দেয়…
কথা ছিলো বালিবে মেহেরিমার থেকে দূরে থাকবে…
.
.
রুস্তম মেহেরিমার ভার্সিটিতে প্রফেসর হয়ে যায় মেহেরিমার মন জয় করতে…
.
.
.
বালিবে ধোকা করে রস্তমের সাথে….বাদশা হয়ে সে শক্তি দিয়ে রুস্তমকে বন্ধি বানিয়ে ফেলে আর মেহেরিমাকে বিয়ে করে ফেলে…
.
বালিবে মেহেরিমার মাথায় হাত রেখে বলে…
নিজের ভাইকে তোমার জন্য ধোকা দিলাম কারণ যুদ্ধে আর ভালোবাসায় সবকিছু জায়েয
.
.
.
মেহেরিমা যদি ওদের প্রাণ না বাচাতো তাহলে আর কিছুদিন গেলেই ওদের প্রাণ চলে যেতো..
ওরা দুজন মেহেরিমার কেনা গোলাম হয়ে গিয়েছিলো সেদিন থেকে…
মেহেরিমাকে দুজনই ভালোবাসে খুব…
বালিবে মেহেরিমাকে ছোটবেলায় আম পেড়ে দিতো…
.
.
একটা ছেলে মেহেরিমাকে ভুলিয়ে জঙগলে নিয়ে গিয়েছিলো..
সেদিন ছেলেটা মেহেরিমার গায়ে হাত দিয়েছিলো আর জামা ছিড়ে ফেলেছিলো…মেহেরিমা ভেবেছিলো আম না দেওয়াে জন্য ছেলেটা তাকে মারছে…
ঘটনা অন্য ছিলো সেটা সে বুঝতে পারেনি..
.
.
.
বালিবে লেট করলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো মেহেরিমার ।
মেহেরিমা কে সেদিন বালিবে বাচিয়ে ছিলো…
বালিবে ছেলেটা মেরে নাড়ি ভুড়ি সব বের করেছিলো..
তারপর ফাসি দিয়ে রেখেছিলো গাছে..
.
.
.
বালিবে বুঝতে পাচ্ছে রুস্তম আশে পাশে কোথাও আছে…
সামনে সব জ্বীনেদের নিয়ে একটা উৎসব আছে.
.
.সেখানে রুস্তম ঝামেলা করবে মেহেরিমাকে নিয়ে…
রুস্তমকে বালিবে বোতলে ভরে রেখেছিলো…বাট এখন সে মুক্তো হয়ে গিয়েছে…
.
.
.
বালিবে মেহেরিমার দিকে তাকিয়ে ভাবছে মেহেরিমা যদি জানে তার স্বামী জ্বীন তাহলে কি হবে…
মেহেরিমা ভয় পেয়ে দূরে সরে যাবে…
কখনো বালিবেে মুখ দেখতে চাইবেনা…
বালিবে মেহেরিমাকে জরিয়ে ধরে রাখলো…
সকালে বাহারি সব মিষ্টি দিয়ে মেহেরিমাকে নাশতা করিয়ে দিলো বালিবে..
বালিবে আজকে মেহেরিমাকে বাহিরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাবেলির বাহিরে বের হলো…তখনই এক ভিখারি রক্ত মাখা হাত নিয়ে মেহেরিমার হাত ধরলো…মেহেরিমা ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো…
ভিখারি লোকটা বললো..
_তোর জিবনে অন্ধকার নেমেছে.
.তোর জিবনে দুজন প্রবথশ করেছে…একটা ভালো অন্যটা মন্দ।
একটা তোকে বেছে নিতে হবে…
খুব সাবধান থাক …
বালিবে আসতেই ভিখারি ভয়ে দৌড়ে পালালো…
বালিবে মেহেরিমাকে বললো পাগলো লোকজন ..
ভয় পেয়োনা আমি আছি
.
কেউ একজন গাছের আড়ালে তাদের দেখছে আর রাগে ফুলছে…
.
.
চলবে….. ..