#তবুও চাই তোকে⭐
#রিয়া বিশ্বাস অনিন্দা ( আভিরা রয়)⭐
#part 2⭐
🍁
রোজ:সরিরে কলটা করা হয়নি আমি এখুনি সুম্পিকে(দিদু) কল করে আসছি। তোরা যা আমি আসছি।
.
হৃদি: হু তুই যা আমরা ক্লাস এর দিকে যাচ্ছি।
.
কেয়া:তা তো যাবো কিন্তু আর ২টা কই??? আসু আর নিরা ওরা ২জন তো এখনো আসলো না। রিয়ুর ড্রামার জন্য তো ওদের কথা আমরা সবাই ভুলেই গেছি😆😆
.
হৃদি: ইসরে বেচারা ২জন গো মজাটাই মিস করে গেল😂😂। পরে দেখবি আফসোস করবে আর আমাদের বলবে আমরা কেন ওদের জন্য ওয়েট করলাম না
.
রিয়া: আরে আসুর কথা বলছিস তো দেখ ও ওর সানশাইন এর পিছনে ঘুর ঘুর করছে আর মেয়েটাকে জালিয়ে মারছে। বলেই ওরা সবাই হুহু করে হেসে দিলো আর তখনই পিছন থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো…..
.
কীরে কী নিয়ে এতো হাসাহাসি করছিস আমাকেও তো বল??
.
কেয়া:এইতো এসে পরেছে তোকে নিয়েই কথা কথা হচ্ছিলো তো কই ছিলি এতো খন?? একদিনও কী রোদেলাকে না জালিয়ে থাকতে পারিস না??
.
রিয়া: আরে বুঝিস না ভয় পায় তো । যদি ছেড়ে চলে যায় 😂😂😂। তাই তো সবসময় সানশাইন এর পিছনে স্পাই লাগিয়ে রেখেছেন। তাদেরই হয়তো বলে আসলো যাতে ওর রোদপাখিকে দেখে রাখে😂😂
.
আসু: 😒😒বল বল আমারও একদিন সময় আসবে। সেইদিন আমিও বলবো দেখিস তোর কপালে থাক আর বলবো না
.
হৃদি: আচ্ছা একটা তো আসলো আর একটা কই?? আর রোজই বা এখনো আসছে না কেন?? এতো খনে তো চলে আসার কথা
.
রিয়া:দেখ হয়তো ওর মেঘরোদ্দুর কল করেছে ওর সাথেই হয়তো কথা বলছে😂😂 এদের তো আর কোনো কাজ নাই একটা তো সারাদিন রোদপাখি রোদপাখি করে আর সাদি তো পারলে সারাদিন ফোনেই লাগে থাকে 😒😒এইসব আমার কপালেই জুটছিলো
.
রোজ : আরে আরে কী হচ্ছেটা কী এতো কীসের কথা হচ্ছে এখানে???
.
রিয়া:🤫🤫 না না তেমন কিছু না তো হলো মেঘরোদ্দুর থুরি দিদুর সাথে কথা হলো😰😰
.
রোজ: হুম হইছে কীরে সবাই তো আছে কিন্তু এন্ডি কই ও এখনো আসে নাই???
.
এন্ডি: এইতো চলে আসছি😁😁😁।।সরি রে আসলে আসার পথে একটা সাদা হনুমান এর সাথে ধাক্কা খাইছি তার সাথে…..
.
হৃদি:হ বুঝছি তার লগে ঝগড়া করতে দেরি হয়ে গেছে তাই তো?? তোরা আর পাল্টালি না। চল এবার ক্লাসে না হলে এবার সত্যিই ১ম ক্লাসটা মিস করে ফেলবো।
.
হুম চল সবাই ক্লাসে যাই
[চলুন এবার এদের পরিচয়দান করা যাক। এরা ৬জন হলো টিম সাইক্লোন। যেখানেই যাবে কিছু না কিছু করবেই। আর এদের লিডার হলো রিয়া বিশ্বাস অনিন্দা(রিয়ু,অনি) আরে রিয়াকে আবার ভুলে গেলেন নাকি রিয়া হলো সেই অদ্ভুদ সেজে আসা মেয়েটা মনে থাবে তো। আর এই গ্রুপের বাকি সদস্যরা হলো সাদিয়া চৌধুরী রোজ (সাদি), কেয়া রহমান( আফি), নাহিদা আক্তার নাবিলা(হৃদা), নন্দিতা রয়চৌধুরী(এন্ডি) & আসরাফুল আলম( আসু)।এরা যেমন দুষ্টু তেমনি ভালো নিজেরা একটা অনাথাশ্রম খুলেছে।ওকে পরে এদের ব্যাপারে সবটা জানতে পারবেন। দেখলেন তো কথা বলতে বলতে ক্লাসে চলে এসেছি ]
.
ক্লাসে ঢোকর পর সবাই আবারও অবাক হয়ে ওদের দিকে দেখছে। সবার মাথায় এখন একটাই প্রশ্ন এটাই কী সেই মেয়েটা যাকে তারা কিছুখন আগেও দেখেছিল😵😵???
.
সবার অবস্থা বুঝে রিয়া বলে উঠলো হ্যাঁ তোমরা ঠিকই ভাবছো আমিই সেই। এখন যদি আমাকে দেখা হয়ে গিয়ে থাকে তো আমারা কী বসতে পারি আর তোমারও নিজেদের কাজে মন দেও???ওর কথা শুনে যে যা করছিলো তাতে মনোযোগ দিলো আর টিম সাইক্লোন এর মেম্বার্সরা গিয়ে বসলো সবার লাস্টের বেঞ্চএ কারন তারাই সবার শেষে প্রবেশ করেছে তাই সবাই মিলে এন্ডি কে গালি দিচ্ছে। এর মাঝেই ক্লাসে একটা লোক এসে প্রবেশ করলো কিন্তু আমাদের আবার ঐ দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় নেই। আমরা তো আমাদের মতো গল্প করেই চলেছি। কিন্তু অন্যদের অবস্থা তো দেখার মতো মেয়েগুলো যেন হাতে চাঁদ পেয়ে গেছে এমন করছে বুঝি না এমন করার কী আছে??
.
লোকটি:হেলো স্টুডেন্টস আমি হলাম আবরার আগুন আহম্মদ তোমাদের টিচার কিছুদিন আগেই জয়েন করেছি। সো আজ তোমাদের ফাস্ট ডে সো আজ নো লেকচার। আজ আমরা সবাই নিজেদের intro দিবো। তো একে একে সবাই বলা শুরু করো।।
.
এতোখন ধরে সব মেয়েরা স্যারকে যেন চোখদিয়ে গিলে ফেলছিলো আর আমরা তা দেখছিলাম এবার আমরা সবাই একে ওপরের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম আর। আর ও দিকে স্যারের নজর যে কারো উপর গিয়ে আটকে গেছে সেই দিকে কারো মনোযোগ নেই কারণ সবাই তো স্যারকে দেখতেই ব্যস্ত আর নিজেদের পরিচয় দিতে এইসবের মধ্যে পাশে তাকিয়ে দেখি হৃদি ঘুমিয়ে পরেছে বুঝলাম না কখন ঘুমালো কিছুখন আগেই তো আমাদের সাথে কথা বলছিলো!! আমারও আবশ্য ওকে দেখে ঘুম পাচ্ছিলো তবুও নিজের ইচ্ছাটাকে একপাশে রেখে হৃদিকে ডাক দিলাম কারণ অনেক খন ধরে দেখছি স্যার ওর দিকে তাকিয়ে আছে তাই ওর সাধের ঘুমটার বারোটা বাজাতেই হলো নেকামো দেখাবার চেয়ে এটা করাই ভালো হয়তো তারপরও ক্লাসে ঘুমানো খুব একটা ভালো কথা নয় তাই ওকে ডাক দিলাম কিম্তু মহারানী তো ঘুমেই বিভর তাই এবার ব্যাগ থেকে পানির পটটা বের করে তার থেকে একটু পানি নিয়ে ওর মুখে দিতেই কাজ হয়ে গেলো ও বেচারীর মুখটা তখন দেখার মতো ছিল।। আর ওর এইসব কানন্ড দেখে স্যার তো আপন মনে হেসেই চলেছেন। অতোপর সবার পরিচয় পর্ব শেষ করে ক্লাস শেষ হলো এতোখনে যেন আমরা সবাই হাপ ছেড়ে বাচলাম 😅😅।
.
সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি তাই সবাই মিলে ক্যান্টনি এ গেলাম আর এন্ডি যেহেতু দেরী করে এসেছে তাই ঠিক হলো ও আমাদের খাওয়াবে। যেই ভাবা সেই কাজ সবাই সবার মনের মতো খাবার ওডার করলো ও ভালো করেই বুঝতে পারছে আজ আর রক্ষা নাই।।
.
এন্ডি : ভাই কম করে খা খাবার তো আর পালিয়ে যাবে না। বেঁচে থাকলে অনেক খেতে পারবি আমার কথাটা ভেবে ওডার করিস
.
আসু:আরে এমন করছিস জানো আমরা কতো খাই।
.
কেয়া: ঠিকি তো বলছে এইতো সামান্য কিছু তাতেই এমন করছিস ছি ছি ছি ( ন্যাকা করে)
.
রোজ: আচ্ছা তোরা কী খেয়াল করেছিস কিছু?? স্যার যেন কেমন করে আমাদের হৃদির দিকে তাকিয়ে ছিলো আমার তো সন্দেহ হচ্ছে 😏😏ডালমে কুছ কালা হে
.
রিয়া : হ রে ভাই ঠিক কইছোস আমিও দেখছি স্যার ওরে দেইখা কেমন যেন হাসছিলো
.
হৃদি: হ ওনার তো আর কোনো কাম নাই যে উনি আমারে দেখবো এমনিতেই ক্রাস খাইয়া ফেলছি তার উপর তোরও শুরু করছিস। আর ঐ সব লুচু মেয়ে গুলোকেও বলি হারি এমনে চোখ দিয়ে ওনারে গিলে খাওয়ার কী আছে?? মানছি পোলাডা থুক্কু স্যারডা সেই পরিনানের হেন্ডু তাই বইলা এমন করতে হইবো। আচ্ছা চল এইসব বাদে খাই অনেক খুদা লাগছে।
.
এন্ডির বেশ অনেক গুলো টাকাই গচ্ছা গেছে।সবাই মিলে ক্যান্টিন থেকে বের হচ্ছিলো ঠিক তখনি ঘটলো কাহিনীটা……
চলবে………..?????????!!
