৫+৬+৭
#তুমি~হলেই~চলবে 🍁
#writer~হাফসা~আলম🍂
৫.
.
.
ঘুমের মাঝেই মনে ইচ্ছে কেউ অতি মনযোগ দিয়ে আমাকে দেখছে।এমনটা মনে হওয়ার কারন আছে কারন রুমের লাইটা জ্বালানো।রাতে ত তেমন ঘুম হল না ওই আযমান বান্দরের কথা ভাবতে ভাবতে আর যা একটু এসেছে তাও এই কান্ড। বুঝিনা বাপু আমি কার ক্ষতি করেছি যে এতটা বিরক্ত করতে হয়।আহহহহ্…. আমি ঘুমঘুম চোখে উঠে বসি..চোখ না খুলেই বলে উঠি………
.
ভাইয়া আমি জানি তুমি…কেন বিরক্ত করছ??আমি ঘুমাবো.. যাও তুমি…
.
যেতে ত আসি নি.. সেহেরি খেতে এসেছি…আর তুমি কি রোযা রাখবে না??সময় বেশি নেই উঠ…….
.
.
হঠাৎ এমন কথা শুনে আমি ঠাসস করে নিজের চোখগুলো খুলে সামনে তাকাতেই চেয়ারে হেলান দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকা আযমান ভাইয়াকে দেখতে পাই।আমি কি স্বপ্নে দেখছি না.কি??…উনি এখানে কেন??আর এমন সাদা পান্জাবি কেন পরেছে???আমি কাঁথাটা আরো টেনে উঠে বসি..ভালো করে দিখতে চাচ্ছি আসলেই উনি এসেছে কি না।হুমম উনিইত কিন্তু এখানে কেন??
.
তুমি কি আজকে রোযা না রাখার ধান্ধা করেছ না কি??
.
.
আমি বিছানা থেকে নেমে পড়লাম। উনি অবাক হয়ে আমাকে দেখছে।কিন্তু কেন??আমি নিজের দিকে তাকিয়ে হালকা হাসলাম।তিন বছর আগেও আমি লং টিশার্ট আর ডিলা প্লাজু পড়তাম। এখনও পরি কিন্তু অল্প..এখন বেশি লং স্কার্ট আর ফতুয়া পড়ি।আজকে আমার পড়নে কালো স্কার্ট আর লাল ফতুয়া।উনি বোদ হয় এটা দেখেই অবাক হল।আমি সোজা তার সামনে দিয়ে ওয়াসরুম চলে গেলাম।আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি আযমান ভাইয়া আজ তিন বছর পরে আমাদের বাসায় সেহেরি খেতে এসেছে।এটা আমাদের পরিবারের নিয়মের মত আসলে আমাদের আত্নিয় বলতেই তারা আছে তাও আসল না।কিন্তু তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা এমনই।এই যেমন রমজানের ১৫ দিন তারা আমাদের বাসায় সেহেরি আর ইফতার করে আর বাকি ১৫ দিন আমরা তাদের বাসায়।তারা মাএ তিন জন তাই একাএকা করতে ভালো লাগে না তাই এই নিয়ম।কিন্তু এই তিন বছরে এই নিয়ম পাল্টে গেছিল। তারাও আসলনা সাথে আমরাও গেলাম না।আম্মুকে কারন জিগ্যেস করেছিলাম।সে বলেছে জানে না।কিন্তু আমার মনে হয় তারা জানে শুধু আমি বাদে।আজ থেকে আবার সব বদলে যাবে আগের মত হয়ে যাবে।ভালোই…কিন্তু ওনাকে এত সামনে থেকে দেখে যদি আমার সুপ্ত অনুভতি জেগে উঠে তবে….তার কথা শুনে মনে হয় সে আমাকেই বলছে কিন্তু সে ত সাদা তোয়ালে পরা মেয়েকে বলেছে আচ্ছা আমি কি তার সামনে তোয়ালে পরে গিয়েছিলাম??ছিই….. না ত….
.
.
আমি আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছি।ভালোই লাগে এখানে দাড়াতে।কেমন যেন মনে হয় এখানে আমি একা না দুজন আছে।সে অবিকল আমার মতই দেখতে।কিন্তু সে কথা বলতে পারেনা।বললেও আওয়াজ আসে না।নবনীও এমন করেই আয়না দেখত….হি!হি!
.
.
বাবা মা ও এসেছে বাবা আয়েশ করে সোফায় বসে আছে আর মা আম্মুর সাথে রান্নাঘরে।ও বলাই হয় নাই আমি তাদের ছোট থেকেই বাবা মা ডাকি…আমাকে আসতে দেখে বাবা এগিয়ে এসে জোড়িয়ে ধরলেন।ওনার সাথে তো আমার দুদিন পরপরই দেখা হয়।তবুও ওনার হাবভাব দেখে মনে হবে বহু বছর পরে দেখা হয়েছে।🤣এত বড় লোক এরা কেউ বলবে??? না।মা ত এখনো তাতেঁর শাড়ি পরে আর বাবা আব্বুর দেওয়া শার্ট বা পান্জাবি আব্বুও সেম… তাদের মাঝে এত আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলার বাহিরে।ভাইয়া আযমান ভাইয়ার দুই বছরের বড়।আযমান ভাইয়া তাকে দেখলে কেমন যানি লজ্জা লজ্জা ভঙ্গিতে কথা বলে।ব্যাপারটা হাস্যকর…. মা বাবা তো আমাকে মনের মাধুড়ি মিশিয়ে চুমু খাওয়াল এখন সেহেরি খাওয়ার জায়গাও নাই পেটে………….🤣
.
.
আমি ছাদের সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে আছি।উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।নামাজ পরেই উনি বলে উঠে ছাদে যাবে…আমার তো প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে আর এই অবস্থায় উনি ছাদে যাবে।আরে বাপু যান না।আমারে নিয়ে কেন টানাটানি করেন।সিঁড়ির দিকে তাকাতেই কষ্ট লাগছে ইসসসস এটা বেয়ে বেয়ে উঠতে হবে এখন… কি যে কষ্ট..আমি একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে একটা সিঁড়িতে পা রাখতে যাব হঠাৎ আমি উপড়ে ভাসতে শুরু করলাম।আমি তো ভয়ে চোখবুজে নিয়েছি…উনি কানের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠে…..
.
আমি থাকতে তোমার কিসের এত কষ্ট আয়ু??আমিই না হয় তোমার হয়ে সব পাড়িদিব…তুমি শুধু পাশে থেক… এভাবে..(আরও শক্ত করে জড়িয়ে)
.
.
আমি সটাং করে চোখ জোড়া খুলে তাকিয়ে অবাক হয়ে দেখছি… উনি হালকা হাসছে আর মাথা সরু করে সিঁড়ি দিয়ে উঠছে…উনি আবার বলে উঠে…..
.
গলাটা জড়িয়ে ধরলে কি ভয়ঙ্কর কিছু হবে??
.
.
আমি আবার নিজের হাত দিয়ে ওনার গলা জড়িয়ে ধরেছি…ওনাকে ইদানীং খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয় উনি..ওনার এই খোঁচা খোঁচা দাড়ি, টকটকে লাল ঠোঁট,সরু নাক আর অদ্ভুত মায়ার চোখ…ইশশশ কি সুন্দর এই ছেলে।সাদা পান্জাবিতে তাকে ভায়াবহ টাইপের সুন্দর লাগে।যাকে বলে চোখ ধাঁদা নো।সে হাটঁছে তবে ধির গতিবেগে। তাকে দেখে মনে হয় একটা সিঁড়ি সে দুই ঘন্টা লাগাচ্ছে উঠতে।আশ্চর্য.. এত ধিরে উঠার কি আছে।তার হৃদপিন্ড প্রচণ্ড দ্রুত ধাকধাক করছে।আমি গভীর ভাবে তা শুনছি…আমারটাও করছে। এটা কি সে শুনছে?? জানি না।আমি তো মুগ্ধতার সাথে শুনছি….কিছু জিনিস অনেকের কাছে সাধারন মনে হলেও কারো কারো কাছে তা অসাধারণ… কথাটা ব্যাপক ভাবে আমাকে ভাবাচ্ছে।নিজের বেলায় হচ্ছে তাই…..
.
.
আযমান ভাইয়া ছাদের দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে আর আমি রেলিং ধরে আকাশ দেখছি…আকাশটা এখন অন্ধকারে ডাকা।সূর্য মামা নিজের আলো এখনও পৃথিবীতে ফেলে নি।হয়ত তৈরি হচ্ছে।এখনই ফেলবে ফেলবে ভাব।পাখির কিচকিচ শব্দে মনে হচ্ছে গান বাজছে।পাখিরা উড় চিঠির মত উড়ছে….কৃষ্ণচূড়া গাছে পাখিরা আনাগোনা করছে।এক মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির আলাপআলোচনা চলছে।হালকা শীতল হওয়া নিজের শীতলতা দিয়ে শরীরকে ঘায়েল করছে।চারপাশে ফুলের ঘ্রাণের ছড়াছড়ি…..
.
তোমার ছাদেত সাদা গোলাপের মহল করে তুলেছ দেখছি…
.
.
উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আগে কিন্তু এমন অদ্ভুত কান্ড তিনি করত না।কিন্তু এখন উনি এত কি দেখে আমার মাঝে??… দেয়ালের সাথে ঘেঁষে বুকে হাত গুঁজে আছে।দৃষ্টি তার আমাকে ঘিড়ে..পান্জাবির হাতাটা ভাজঁ করা।ধবধবে সাদা হাতে কালো কালো পশমগুলো খুব মানিয়েছে…..ছেলেটা এত সুন্দর কেন কে জানে…একটু ছুঁয়ে দিলে কেমন হয়??ভয়ঙ্কর কিছু হবে কি?? আকাশও কিন্তু সুন্দর তাকেও ত ছোঁয়া যায় না।কিন্তু তাকে নিয়ে কত লেখালেখি কত বলাবলি…আমি না হয় ওনাকে নিয়ে একটু ভাবা ভাবি করি!!ক্ষতি কি……
.
চল তোমাকে আজ দারুন একটা সিক্রেটসস বলি। তোমার আব্বু আম্মু আর বাবা মা প্রেম করে বিয়ে করেছে যান??
.
.
এই ছেলে কি পাগল হল নাকি??কি আজগোবি কথা বলছে??মাথা ঠিক আছে ত??আমি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছি।আমি নিশ্চিত উনি মজা করে বলছে।আব্বু আম্মু তো আমাকে বা ভাইয়াকে কাউকেই প্রেম করতে কাটকাট নিষেধ করে দিয়েছে। সেই বাচ্চা আমলে।তার চাইতেও ভয়ঙ্কর ব্যাপর আম্মু প্রতি ভ্যালেন্টাইন ডেতে আমাকে আর ভাইয়াকে গিফট দেয়।শর্ত একটাই কোন মেয়ে বা ছেলের কাছ থেকে গিফট নিতে পারবে না।তার এই শর্ত পুরন করতে গিয়ে আমি আর ভাইয়া হাজারো গিফট বলি দিয়েছি…তারা কি করে এমন ভায়াবহ কাজ করতে পারে।এটা অসম্ভব। হতেই পারে না।উনি ফাউলল কেন বকছে কে জানে??আমার এমন বিস্মিত চাহনি দেখে উনি বলে উঠে…..
.
বিশ্বাস হচ্ছে না??না হওয়ারই কথা।কিন্তু কিছুই করার নেই তারা সত্যিই এই অসাধারণ কাজটা করেছে।আরো একটা ইন্টেরেস্টিং কথা আছে শুনবে??
.
.
আমি জবাব দিলাম না শুধু তাকিয়ে ছিলাম উনি নিজে নিজেই আবার বলে উঠে…..
.
আঙ্কেল আর আন্টি কিন্তু ফুফাত মামাত ভাই বোন…ডেন্জারাস না?? হুম আর আমার বাবাই আর আঙ্কেল বাচ্চা কালের বন্ধু দুজনেই প্রেম করেছে দুই বান্ধুবির সাথে।বুঝলে কি ড্যায়ারিং ব্যাপার।আমি ত আগে জানতাম না ওনারা এমন কিছু করেছে…. তাইত বলি এত তাড়াতাড়ি কি ভাবে আমার প্রথম দেখায় এক চিলতি ভালোবাসা তারা সাধরে মেনে নিয়েছে।তার উপর আরো ডেন্জারাস কাজ করেছে জানি শুনলে বিশ্বাস করবে না আমিও করতে পারিনি।কিন্তু সত্য এটাই যে তারা পালিয়ে বিয়ে করেছে।তোমার নানাজান প্রচণ্ড টেড়া পার্সোনালিটির লোক।আঙ্কেলকে ওনি মেয়ে নিল না। আন্টিকে তারই আর এক চাচাত ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছে।উপায় না পেয়ে তাদের সাথে সাথে আমার বাবাইও মাম্মাম কে নিয়ে পালিয়েছে।হা হা হা…আমি কিছু দিন আগেই এই ভয়ঙ্কর ভালোবাসার গল্প শুনেছি….
.
কার কাছে???
.
বাবাই আর কে।উনিই বলেছে।যাই হক দেখ কত সুন্দর সূর্য উঠছে……..
.
.
আমি তাকিয়ে আছি সূর্যের দিকে আর উনি অবাক নয়নে আমাকে দেখছে।এত দেখার কি আছে??আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেছে।কিন্তু আমার মনটা খারাপ হয়ে গেছে। ইশশশ ভালোবাসার জন্যে তারা পরিবার ছেড়ে চলে কেন এসেছে……….
.
কিছু কিছু ক্ষেএে সেল্ফিস হতে হয় বুঝলে আয়ু.. তা না হলে নিজের সাথে সাথে অন্য কে ও ভালো রাখা যায় না।তোমার আম্মুর না হয় অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়ে যেত কিন্তু সেখানে ভালোবাসা থাকত না।এখন তার কাছে তার পরিবার নেই পরিবারের ভালোবাসা নেই কিন্তু তোমার আব্বুর ভালোবাসা আছে।ভালোবাসাই ভালোবাসাকে ভালো রাখতে পারে…….
.
.
আমি এবার তার দিকে তাকিয়ে আছি সূর্যের প্রথম লাল কিরণ তাকে লাল করে তুলেছে……
.
.
.
🍂
আমি হতভম্ভ নজরে তাকিয়ে আছি সামনের দিকে।কি ভয়ঙ্কর একটা কান্ড আমার সামনে হচ্ছে। দিলের উপড়ে সারফারাজ নামের ভাইয়ার কারবনকপি আরামছে পরে আছে।ভয়ে আমার হাতপা ঠান্ডা হয়ে আসছে।সবাই ভাবে আমি ভয় পাচ্ছি ছেলেটার জন্যে ব্যাপারটা মোটেও সেটা না আমি ভয় পাচ্ছি দিলের উপরে রোজ দিল আফরোজকে।ও নিশ্চিত আজকে ওর স্টাইলে এই কারবনকপিকে ধুয়ে দিবে।দোয়া টোয়া পরা উচিত ভাইয়াটার কিন্তু সে ত জানে না এই মেয়েত মেয়ে না ভয়ঙ্কর কিছু।আল্লাহ এই নিরিহ সারফারাজকে বাঁচান।ভার্সিটির ওয়াসরুমের পাশের খালি জায়গাটাতে ওকে দাড়াতে বলেছিলাম।আমি ওয়াসরুম থেকে বেড়িয়ে এসেই এই ভয়ঙ্কর কান্ড দেখতে পাই।ভাগ্যিস আশেপাশে কেউ নেই ক্লাস টাইম চলছে তাই।কিন্তু এই সারফারাজ ভাইয়া এখনো নড়ছে না কেন??আজব.. বিগত অনেক সময় থেকেই এভাবে পরে আছে।দিল তো কাচুমাচু করেই চলেছে। কিন্তু যতই হক এই পোলার সাথে ও পারবে না।যাই হেল্প করি…..
.
.
আমি বহু কষ্টে ওনার নজর নিজের দিকে আকর্ষণ করাতে পেরেছি এবং দিলকেও দাড় করাতে পেরেছি।কিন্তু অবাক করা ব্যাপার ও কিছুই করল না।উল্টা কাচুমাচু হয়ে আমার পিছনে দাড়াল।আজাইরা মাইয়া।কিন্তু এই ভাইয়া উল্টা হেসেঁ হেসেঁ বলে উঠে…..
.
লিটেল পরী তোমার জন কোথাই??
.
মানে??
.
মানে নিজের জনকে রেখে কাবা মে হাড্ডি হওয়া কি খুব প্রয়োজন?? (আবার মাথা ঝুঁকিয়ে হাঁসল।অবিকল ভাইয়ার মত..আচ্ছা ওনি কি আমার জমজ ভাইয়া নাকি??ওই আসাবার জন্যে আম্মুকে ও বলা হল না এর কথা।কিন্তু এটা কিভাবে হবে।একে দেখে ত ভাইয়ার থেকে দুই বছরের ছোট মনে হয় যেহেতু আযমান ভাইয়ার বন্ধু প্লাসস ক্লাস মিট…আজকেই আম্মুকে বলতে হবে….)
.
.
দিলবার আমাকে টানতে টানতে নিয়ে এল। কেন কে জানে।তবে ভাইয়াটা সুন্দর আমার ভাইয়ের মত বলে কথা।যাই হক আগে বাসাই যাই তবেই এর একটা ব্যবস্থা হবে…..
.
.
বাসায় ডুকতেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরেছে।আমার রুমে যে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় হানা এনেছে এটা বেশ ব্যাপক ভাবে আমি অনুধাবন করতে পারছি।আর এই কান্ডটা আমার এক মাএ মাতা জি করেছে।কিন্তু বিস্মিত হওয়ার বিষয় এটা যে আম্মুর মত এত গোছালো মানুষ এমন কেন করছে।তাও আমার আলমারির সাথে…. কেন??হোয়াই???…..তার সাথে আবার চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম মনের ঠিকানা টাইপেরও ব্যাপার করছে…কিছু হলেই ভ্যাঁ ভ্যাঁ করার মেয়ে তিনি না।শুধু আমার কিছু হলেই এই কাজটা সে করে কিন্তু আজ কেন????……….
.
#চলবে……………….🍁
সবার মনে হচ্ছে নায়িকা বোকা.. আমারো তাই মনে হয়.. চলেন সবাই ইাই প্যাই করি🖐🖐কিন্তু ব্যাপারটা সেটা না।ব্যাপারটা হল আমরা মেয়েরা এটাতো বুঝি ছেলেটা আমাকে পছন্দ করে কিন্তু ডিরেক্ট না বললে সিউর হওয়া যায় বলুন??না ত।তার উপড়ে..নায়ক না কি তোয়ালে পরা মেয়ের প্রেমে পাগল..এটা আবার মন খুলে নায়িকার সামনে ব্যক্ত করছে…ফাউলল একটা.. এবার বলেনন কি করবে বোকা নায়িকা… তবে মেয়েরা খানিকটা বোকা হওয়া ভালো..কিছু বোকা বোকা আবেগ.. কিছু বোকা বোকা কথা..আর..আর না হয় গল্প পরেই জানতে পারবেন…….কমেন্ট বক্স আপনাদের জন্যে এখানে মনের মাধুড়ি মিশিয়ে গালি দেন ভালোবাসা দেন আপনাদের বিষয় তবে তা সুন্দর ভাষায় দিবেন।সুন্দর ভাষার গালিও সুন্দর যেমন….তুই একটা মিথ্যুক আর তোমার বলা কথাটা সঠিক নয়…দুটোর মানে কিন্তু এক বলার ধরন ভিন্ন…আমার আব্বুর কথা এটা.. এটা কিন্তু আমি নিজের জন্যে বলছি না।আমার পাঠক ভাইয়া আপুরা অনেক ভালো এবং আমাকে ভালোবাসে বলে আমার মনে হয়।কিন্তু কিছু আপুর গল্প পড়ে তাদের নিচের কথাগুলো দেখে বুঝতে পারি মানুষ কত ভাবেই না মানুষকে হ্যারেস করে।তাই এটা বললাম………
ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন…………………………🍁
#তুমি~হলেই~চলবে 🍁
#writer~হাফসা~আলম 🍂
৬.
.
.
আমি এক সুন্দর সত্যের সামনে দাড়িয়ে আছি..ভাবতেও পারি নি এত সুন্দর একটা পরিবার আছে আমাদের…আমি দাড়িয়ে আছি.. আম্মু ত ভ্যাঁ ভ্যাঁ বিলাপ করছে আসলে আজ বহু বছর পরে নিজের ভাই আর দুই বোনকে পেয়েছে ফিলিংসটা কান্না ছাড়া বুঝানো মশকিল। আমি আব্বুর সাথে দাড়িয়ে আছি আর আমার সামনে একজন মধ্য বয়স্ক লোক।তাকে দেখে আমার মনে হচ্ছে ভাইয়া ৩০ বছর পেরিয়ে বৃদ্ধা হয়ে গেছে।আহারে..কিন্তু আসলেই এটা ভাইয়া না।আমার এবং ভাইয়ার একমাএ মামা।ভাইয়া যে মামার কারবনকপি হয়েছে এটা আর বলে বুঝানো যাবে না।আমার শুধু মামা না খালামনি এবং এক আন্টিও আছে।মানে আম্মুরা চার ভাই বোন।আমি আমার আম্মুর বহু বছর আগের একটা সাদা জামা পরে আছি।হাস্যকর হলেও আমার বেশ ভালো লাগছে।এটা পরার ইচ্ছা বহু দিনের।জামাটা এত এত সুন্দর যে এখন কার সবচাইতে মডেল ড্রেসটাও এটার কাছে হার মানবে।আজ ভার্সিটি থেকে এসে আমি যে ঘূর্ণিঝড় দেখেছি তা হল এই জামাটা খুঁজার জন্যে।আম্মু এই জামা আমার এই ছোট জীবনে একবারও পরতে দেয় নি।কিন্তু আজকে দিয়েছে।আর তার কারন আমার সামনে। আমাদের হারানো পুরনো পরিবার নতুন করে পাওয়া।সবার সাথে সবার আলাপ হল কিন্তু আমার সাথে কেউ আলাপই করল না।ব্যাপারটায় আমার কান্না পাচ্ছে আব্বুর হাত ধরে কাঁদো কাঁদো চোখে তাকিয়ে আছি।আচ্ছা এরাকি আমার সাথে কথা বলবে না??নাকি মেয়ে বলে পাত্তা দিচ্ছে না??ভাইয়ার সাথে ত সবাই হেসেঁ হেসেঁ কথা বলছে..আর আমি যে আম্মুর আর একটা বাচ্চা এটাত আম্মুই ভুলে গেছে…….
.
.
আমার আম্মুর বোদ হয় আমার প্রতি এবার দয়া হল..সে অশ্রুসিক্ত চোখে আমার আর আব্বুর সামনে এসে দাড়ায়..সবাই তার পিছু পিছু এসে হাজির।অবাক করা ব্যাপার এখানে ওই সারফারাজ ভাইয়াও আছে সাথে আরো তিনজন ছেলে…সবাই আমার দিকে প্রচণ্ড উঁচ্ছুক হয়ে তাকিয়ে আছে।আমি একটু বিস্মিত হলাম…..আম্মু এবার আমার হাত ধরে সামনে এনে বলে উঠে…….
.
ও আমার মেয়ে আয়ানা হায়াত…আমরা হায়াতই ডাকি..
.
মামা আমার দিকে একবার তাকিয়ে পিছনের চার ছেলেকে উদ্যেশে করে বলে উঠে…..তোদের বোন…
.
.
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।ছেলেগুলোর চেহারা কেমন চকচক করছে।তারা একপ্রকার দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে বলে উঠে…….
.
তুমি আমাদের বোন আল্লাহ এটা ত বিশ্বাসই হচ্ছে না।আমরা তো খুশিতে পাগল হয়ে যাবো।কত বছরের সখ একটা বোনের।আর আল্লাহ তা এভাবে পুরোন করবে ভাবতেও পারিনি উই আর সো এক্সাইটেড…. তুমি দেখতে একদম গোলুমোলু আর পরীর মত সুন্দর ইসসস….
.
.
আমি হতভম্ভ হয়ে দাড়িয়ে আছি।আর তারা একজন এক এক কথা বলছে।আমি এটা ত বুঝতে পারছি বোনের জন্যে এরা পাগল কিন্তু এদের কি বোন নেই।আমি তো কিছুই বুঝলাম না।এবার একজন সুন্দর মহিলা সম্পর্কে আমার মামি হবে সে এগিয়ে এসে আমাকে ছাড়িয়ে বলে উঠে….
.
এই তোরা ওকে কি আজই আলুর ভর্তা বানাবি নাকি??আর তুমি কিছু মনে করিও না আসলে এই বাড়ির ছেলেদের বড় একটা সখ ওদের বোন হবে কিন্তু দুঃখ জনক হলেও এটা সত্য ওদের বোন নেই…আর তুমি একমাএ বোন যদিও খালাত বা ফুফাত বোন… বোনত বোনই…আচ্ছা পরিচয় করিয়ে দি ও রেদোয়ান তোমার খালামনির বড় ছেলে ওই মুলত বোনের জন্যে বেশি পাগল তা না হয় পরেই বুঝতে পারবে।আর ও সারফারাজ তোমার মামাত ভাই..মামার বড় ছেলে আর ও তায়েফ তোমার ছোট আন্টির একমাএ ছেলে।আর বাকি দুই জনের মধ্যে ও হাসান তোমার খালামনির ছোট ছেলে আর বাকি একজন আমার মানে তোমার মামার ছোট ছেলে জাহেদ…….
.
.
আমি হা করে দেখছি পাচঁ পাচঁটা ভাইয়ের একটা বোনও নেই আহারে… তবে ভালোই হয়েছে ওরা যেভাবে হুমরি খেয়ে জড়িয়ে ধরেছে ইসসস কি যে ভালো লাগছে কি বলবো…আমার এখন ছয় ভাই ইসস আর এক ভাই হলেই সাত ভাই চম্পা।আজ এখানে ইফতারের বিরাট আয়োজন হচ্ছে.. এই প্রথম নিজের পরিবারের সাথে ইফতার করবো ব্যাপারটা ভাবতেই ভালো লাগছে…কিন্তু নানাজান আর নানুজান থাকলেও ভালো হত তারা নাকি গ্রামে থাকে…. তবে সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই সাপ্তাহ পরে আমরা সবাই গ্রামে যাবো তাদের আনতে…আমি কখনো গ্রামে যায় নি তাই সবার থেকে একটু বেশিই এক্সাইটেড… ভাইয়াত নানা জায়গায় বন্ধুদের নিয়ে ঘুড়তে যায় কিন্তু আমি তো বাসায় থাকি তেমন একটা ঘুড়তে যাওয়াও হয় না।মাঝে মাঝে দিলের সাথে একটু বের হোই………
.
.
আমি বসে আছি ছয় ভাইয়ের সাথে.. তাদের মধ্যে রেদোয়ান ভাইয়ার আসলেই আমার প্রতি বেশি কেয়ারি ভাব..ওনি তো বকবক করেই চলেছে।তার ছোট ভাই হওয়ার আগে তিনি ভেবেছেন সে বোন হবে।উনি নাকি আলাদা রুমও রেডি করেছিল তার জন্যে তবে শেষে সেও ছেলে হল…হা!হা!আমি ভাইয়ার পাশে বসেছি আর একপাশে রেদোয়ান ভাইয়া…..হঠাৎ ঝড়ের গতিতে কেউ হাত টেনে দাড় করি দেয়..আকর্ষিক এমন ঘটনায় রেদোয়ান ভাইয়াও রেগে দাড়িয়ে পরে।আমি ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখি আযমান ভাইয়া।উনি এখানে কি করে??হত সারফারাজ ভাইয়া আসতে বলেছে…রেদোয়ান ভাইয়া রাগি গলায় বলে উঠে…..
.
আযমান এগুলো কোন ধরনের ব্যবহার?? ওকে এভাবে টানার মনে কি??
.
ওকে আপনার পাশে বসানোর মানে কি??বড় দেখে আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলবো না…আর আপনি ওকে এক হাতে জড়িয়ে ধরার মানে কি??আপনি ত এমন ছেলে না জানতাম। আর আজিম ভাই এটা কি আপনিও দেখছেন আয়ু একটা চেনানেই জানা নেই ছেলের সাথে এভাবে বসে আছে??আর তুমি…তোমাকে ত পরে দেখব..
.
.
আমি ঢোক গিলে নিচের দিকে তাকাললাম।ওনার মুখ সাদা থেকে লাল হয়ে গেছে..কপালের রগ নীল হয়ে ফুটে উঠেছে..চোখমুখ শক্ত করে এক হাত মুঠ করে দাড়িয়ে আছে সে।তাকে দেখে আমারই ভয় করছে কিছু কি বলব..
.
ওই শালা তুই যে মাইন্ডে বলছিসস সেটা ঠিক না।রেদোয়ান ভাইয়া কিন্তু অন্য ভাবে ওকে জড়িয়ে ধরেছিল…(সারফারাজ ভাইয়া বলে উঠে)
.
মানে
.
আরে হায়াত আমাদের বোন যাকে বলে আপন ফুফাত বোন আর ওর খালাত বোন..যানোস ত ভাই কত পাগল বোনের জন্যে আর এবার তো রহমতের মাসে তাকে তা দিয়ে দিচ্ছে আল্লাহ…তাই একটু আদর করে বোনকে জড়িয়ে ধরেছে..আর ভাইয়া আযমান কিন্তু এখন আর বন্ধু না অন্য কিছু হয়……
.
সরি ভাই আমি আসলে বুঝতে পারি নি।আর তুমি হাবার মত দাড়িয়ে ছিলে কিছু বললেনা কেন??
.
আশ্চর্য আপনি বলার সুযোগ কই দিলেন এসেই নিজের হিরপান্তি দেখানো শুরু…
.
কি বললে আমি হীরপান্তি করি??এগুলো কেমন ধরনের কথা??তুমি বেশি বলছ না??
.
মোটেও না আপনি বেশি করছেন।আপনি কি একটু মানুষের মত এন্ট্রি নিতে পারেন না??।তবেইত আমরাও পিপারেশন নিতে পারি..ঘূর্ণিঝড় আসার আগেও পাচঁ, ছয়,….বিপদ সংকেত দেয় আর আপনি তো তাও দেন না।কিভাবে বুঝব আপনি আসছেন….
.
আমি বিপদ???কি উল্টা পালটা বকছ??তোমার মুখে এত খোই কথা থেকে আসছে??
.
ওটা আসছে হবে না ফুটছে হবে…
.
ওই হল আর কি..তুমি কবে থেকে এত ঝগড়াটে হয়ে গেছ আয়ু..
.
এই এখন থেকে.. এই মুহূর্ত থেকে আমি কারনে অকারণে ঝগড়া করবো হল….
.
.
আমি হাটা দিলাম আম্মুর কাছে।এই লোকের এত এত বকবক ভালো লাগে না।এই সব ওনার ওই তোয়ালে পড়া প্রেমিকাকেই দেখাক।সব জোড় খাটাবে আমার উপর আর ভালোবাসি ভালোবাসি বলে বেড়াবে তোয়ালে আলিকে যতসব।বুঝলাম না আমি হঠাৎ এত রেগে গেলাম কেন??কে যানে।না তাকিয়েও বুঝতে পারছি আযমান ভাইয়া বিস্ময়ের চরম সিমায় আছে।আমার কি।এখন থেকে ওনার সাথে এমনই করবো।দূরে দূরে থাকবো।ওনাকে ত আমার সুবিধার মনে হচ্ছে না।প্রেম একজনের সাথে আর টর্চার আর একজনকে না এটা হতে দিবনা।আম্মুর কাছে এসে বসলাম।অদ্ভুত আম্মুর ভাব এমন যে সে আমাকে চিনেই না।খালামনির সাথে আর আন্টির সাথে তার সে কি কথা।জনমের কথা এক দিনেই শেষ করবে মনে হয়।না এখানে বসা মানে নিজের প্রতি অন্যায় করা।আমি আবার হাটা দিলাম।বাড়ির ভিতরে ডুকার আগে খুব সুন্দর বাগান দেখেছি ওই দিকেই যাই…………
.
.
আমি দাড়িয়ে আছি প্রকাণ্ড বাগানের মাঝে।কি সুন্দর বাগান।গোধূলি বেলা চলছে।সূর্য নিজের হলুদ রশ্মি দিয়ে বাগানটাকে আলোকিত করে রেখেছে।মৃদূ বাতাস হচ্ছে। আমি ঘুড়ে ঘুড়ে বাগান দেখছি..প্রকৃতি বড়ই সুন্দর… বাগানে অনেক ফুলগাছ ফলগাছ আছে…আর একটা বেতের চেয়ার টেবিলের সেট……মামা,খালামনি, আন্টি সবাই একসাথে থাকে আম্মুকেও থাকতে বলেছে কিন্তু আমাদের ত আলাদা বাসা আছে।ভাঙ্গা হলেও নিজের মহল হলেও নিজের…আমি আলত হাতে ফুল গুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে দিচ্ছি..সুন্দর ফুলল…
.
আপনি কি ফুল নিয়ে গবেষণা করছেন???
.
.
আমি পিছনে ঘুড়ে তাকালাম… অপরিচিত ছেলে.. এমন অপরিচিত ছেলেদের সাথে আমি সচরাচর কথা বলি না।এবারও বলবো না বলেই সামনে পা বাড়ালাম.. সে আবার বলে উঠে……..
.
আমি ইফত্তি…রেদোয়ানের চাচাত ভাই….আপনি???
.
হায়াত..ভাইয়ার খালাত বোন…
.
আমার এমন বিরক্তি ভঙ্গিতে কথা শুনেও সে হেবলার মত দাতঁ কেলিয়ে বলে উঠে……
.
খুব সুন্দর নাম আপনার মতই…তো কিসে পরেন??মানে কোন ক্লাসে??
.
ক্লাস ১৩ তে পড়ি…
লোকটা আবার হাসল..হাসা ছাড়া কি কাজ নেই নাকি..আমার মনে হল যাওয়া উচিত..আবার পা বারাতে যাবো সে বলে উঠে…..
.
চল চেয়ারে বসে কথা বলি।চেয়ার গুলো সুন্দর না??ও এখানের কাজের মেয়ে রাহেলাকে বলি চা দিতে..
.
আমি চা খাইনা..আর আমি রোজাও রেখেছি আপনি রাখেন নি??
।
ওও সরি মিস্টেক.. তুমি কিছু মনে কর না।এমনেই ভুল হয়ে গেছে।আমিও রোজা রেখেছি…..
।
আশ্চর্য জনক লোক.. আপনি থেকে বলা নেই কওয়া নেই ডিরেক্ট তুমি…আমারও ত বলতে ইচ্ছে করছে আমি চা খাইনা তুই খা তোর চা…আজিব লোক তাকিয়ে তাকিয়ে হাসে যেন আমার এই বিরক্তি মুখ তার দারুন লাগছে…..
.
বসোনা প্লিজজ..একটুত পরিচিত হতেই পারি??দুজনেই আত্নিয়.. সো বস..
.
.
আমি অতিব মাএায় বিরক্তি নিয়ে বেতের একটা চেয়ারে বসে পরলাম।উনি আমার পাশের টাতেই বসতে যাচ্ছিল কিন্তু কোথা থেকে আযমান ভাই টপকে পরছে কে জানে।উনি মোবাইল টিপতে টিপতে সোজা আমার পাশ ঘেঁষে বসে পরে.. ইফত্তি নামের ভদ্র লোকের মুখটা দেখার মত…. উনি কাঁদো কাঁদো ভঙিতে বলে উঠে……..
.
আপনি এটাতে বসেন??
.
কেন??এনি প্রবলেম??
.
নো..
।
ইফত্তি নামের লোকটা কাচুমাচু করে বসে পরেছে সামনের চেয়ারে ..আমি ভ্রু কুঁচকে সন্দেহ সন্দেহ চোখে আযমান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। ওনার সে দিকে বিন্দু মাএ ইন্টেরেস্ট নাই বলেই চলে..
।
তো তোমার নামটা যেন কি বলে ছিলে??
।
আয়ানা (মোবাইলের স্কিনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে)
।
কিন্তু ও ত বলেছে হায়াত
।
মনে যখন আছে আবার জিগ্যেস কেন করলেন??
।
লোকটার অবস্থা এখন বেশ করুন থমথমে মুখে বসে আছে আর আমাকে দেখছে..আমি এবার উনার দিকে তাকিয়ে বলে উঠি……….
।
আযমান ভাইয়া আপনি এখানে কি করছেন??
।
তোমাকে বলতে হবে??
।
আযমান তুমি বুঝতে পারছনা ওর সাথে আমার একটু পার্সোনাল কথা আছে তুমি যদি একটু ও দিকে যেতে…(লোকটি বলে উঠে)
।
ওর সব পার্সোনাল কথা আমার সাথে ছাড়া আর কারো সাথে নেই সো আমার সামনেই বলেন কি বলবেন ইফত্তি ভাই…
।
মানে
।
মানে সিম্পল ও আমার একমাএ পার্সোনাল সম্পদ তাই ওকে কিছু বলতে হলে ত আমার সামনেই বলতে হবে নাকি??আর যাই হোক আয়ু ইফতারের সময় হয়েছে চল..আমার মনে হয় না ইফতারের চাইতে আপনার কথা বেশি ইম্পরট্যান্ট। কি বলেন ভাই??
।
উনি কিছু বললেন না।কিন্তু আযমান ভাইয়া সটাং হয়ে দাড়িয়ে মোবাইলটা পকেটে ডুকিয়ে আমার হাত ধরে হাটা দিলেন।আর জনাব ইফত্তি আমাদের দিকে হাবার মত তাকিয়ে আছে।আমি তাকিয়ে আছি আযমান ভাইয়ার দিকে তিনি হেঁটেই চলেছে।মনে হচ্ছে তার গন্তব্য আমাতে শুরু আমাতে শেষ…………
.
#চলবে…………..🍁
ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন…………………………🍁
#তুমি~হলেই~চলবে 🍁
#writer~হাফসা~আলম 🍂
৭.
.
.
টেরেসের উপড় এভাবে দাড়িয়ে থাকতে আমার যে কি পরিমান ভয় লাগছে বলে বুঝানো মশকিল… আমি শুধু যে দাড়িয়ে আছি তা কিন্তু নয় হাত মুখটাও বেধে দেওয়া হয়েছে।কেমন নির্দয় আযমান বেটা আল্লাহ… আমি ভেবে ছিলাম ওই পোলা ভালো হয়ে গেছে… ভালো ত দুর এখন দেখি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে। আশ্চর্য সামান্য একটা কথার জন্যে এভাবে ঝুলাবে মানে কি?? আমি কি সখে বলেছি নাকি??উনিইত প্রেম করবে একজনের সাথে আর শাসন করবে আমাকে… যতসব। নিশ্চিত আমাকে আজ এই ভয়ঙ্কর জায়গা থেকে ফেলে দিবে এই আযমানের বাচ্চা…নিচের দিকে তাকাতেই ভয়ে হাত পা কাপঁছে… কি এমন বলে ছিলাম শুধুত………..
।
আযমান ভাইয়া আমার হাত টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তার ভাব দেখে মনে হয় কত অধিকারারে অধিকারি সে।কিসের এত আলগা পিরিত..??সব পিরিতিত ওই মালিহার জন্যে…তার সাথেত জনাবের বিয়েও ঠিক আর আমার সাথে টানাটানি করতে আসছে সে… সে দিন ভার্সিটি শেষে মালিহা আপু জরুলি ভাবে তলব করে আমাকে কেন্টিনে যেতে বলেছে।আমিও আবুলের আবুল নাচতে নাচতে গিয়ে হাজির… সে গম্ভীর ভাবে তার শর্ট স্কার্ট পড়া আবস্থায় পা দুলাছে। পা দুলানি দেখেত আর বুঝা যায় না কার মনে কি চলছে।আমি ও ওনার সামনে গিয়ে বসতেই সে সরু গলায় বলে উঠে…..
।
কেমন আছ আয়ানা হায়াত..??
।
ভালো
।
আজ অনেক বছর পরে দেখা বড় হয়ে গেছ দেখছি??
।
অনেক বছর যেহেতু পার হয়েছে বড় হওয়া কি সাভাবিক নয়??
।
অবশ্যই। কিন্তু অন্যের জিনিসে হাত দেওয়া সাভাবিক না
।
মানে
।
খুব সহজ কথা আযমান আগেও আমার ছিল এখনও আছে।তুমিই বার বার উড়ে এসে জুড়ে বসছ।মানে ভার্সিটিতে এসেই ওর পিছনে পরা শুরু করে দিয়েছ। কেন বলত??ছেলের কি ভাবাব পরছে নাকি??বল খুজে দিব।
।
আপু বয়সে বড় বলে আপনি যা নয় তাই বলতে পারেন না।আমি কিন্তু আযমান ভাইয়ের পিছনে মোটেও পরি নি।
।
তাই না কি।তবে আযমান আমাকে সরিয়ে তোমার কাছে কেন যাচ্ছে। তার উপড় ও তোমাকে গাড়ি করে নিয়ে ঘুড়ে বেড়ায়।
।
এগুলো আপনি তাকে জিগ্যেস করেন শুধু শুধু আমার সাথে এভাবে কথা বলার মনে কি??
।
আমি তোমার সাথে কথা বলতে মোটেও ইচ্ছুক নয়। যাই হক ওর সাথে আমার রিলেশন আছে।আর আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবো।সো দূরে থাকবে।
.
.
কথাগুলো শুনেই মাথা খারাপ।তারপর থেকেই এই রাগ ওনার উপড় ছাড়ার অনেক ইচ্ছা আমার এবার ছাড়মু তাই হাত ঝেড়ে বলে উঠি….
।
সমস্য কি??এভাবে কথায় কথায় হাত ধরেন কেন??আর এখনো অনেক সময় আছে ইফতারের আমি ওনার সাথে কথা বলতে চাই….
।
তুমি চাইলেই হবে না কি??
।
অবশ্যই। যেহেতু আমি কথা বলবো তবে আমি চাওয়াই ইম্পরট্যান্ট
।
তাই না কি?? তা আর কি কি চাও শুনি??
।
আপাতত ওনার সাথে একটু গল্প করতে চাই। আপনি বরং মালিহা আপুর সাথে গল্প করেন।কেমন??আমি যাই..
।
আয়ু ভালো হচ্ছে না।ফাইজলামি বন্ধ কর।(আবার হাত ধরে)
।
এই কথায় কথায় হাত কেন ধরেন যতসব।এভাবে অন্যের বউ এর হাত ধরা ঠিক না।
।
অন্যের বউ মানে??
।
অবশ্যই আমি অন্যের বউ। আপনি বরং নিজের বউ এর হাত ধরেন।শুধু শুধু অন্যের জিনিসে অধিকার ফলানো ভালো না।যতসব…
।
ব্যাসস আর কি ইফতারের পরেই উনি হাত বেধে মুখে কস্টেব মেরে আমাকে এই বিশাল টেরেসের উপড়ে এনে রেখে চলে গেলেন।কি অন্ধকার এই টেরেসটা আল্লাহ।আমি এবার বসে পরলাম।এত সময় হয়েছে এখনো উনি এলেন না।ভয়ে আমি ঘামছি……
।
।
আমি প্রায় ঘুমিয়ে পরেছিলাম।হঠাৎ লাইটের আলো চোখে পড়ায় সামনে তাকিয়ে অবাক হলাম।এই জায়গাটা এত সুন্দর লাইটিং কে করেছে আর কখন বা করেছে।আমি এলোমেলো ভাবে এদিক ওদিক তাকাচ্ছি।আযমান ভাইয়া এক কোনায় দাড়িয়ে আছে।তার হাত পিছনের দিকে।সাদা শার্টে সুন্দর লাগছে।উনি ধির পায়ে আমার কাছে এসে মুখের কস্টেব আর হাতের বাঁধন খুলে দিলেন।আমি অবাক হয়ে তাকে দেখছি।এবার আমার সামনে হাটুগেড়ে বসে বলে উঠে……..
।
অধিকারের কথা বলে ছিলে না??তুমি কি যানো তোমার প্রতি সবচাইতে বেশি আমারই অধিকার??
।
আমি মাথা ঝাকিয়ে না বুঝালাম…
।
আমি তোমাকে কবে থেকে চিনি জানো??
।
আবার না বুঝিয়ে মাথা ঝাঁকালাম…
।
উনি এবার পা মেলে আমার সামনে বসে পরে।তার হাতে কিছু কৃষ্ণচূড়া ফুল দোল গাচ্ছে।আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি….সারা জায়গায় ফেইড়ি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে।একটা ছোটো টেবিলও রাখা হয়েছে।তাতে কিছু ফুল আছে।উনি এবার আমার দিকে কৃষ্ণচূড়া ফুল এগিয়ে দিয়ে বলে উঠে….
।
ঘুমের মাঝে এক সুন্দর স্বপ্ন দেখে ছিলাম।একটা মেয়ে সাদা জামা পরে আমার সামনে কোমড়ে হাত দিয়ে দুলে দুলে অঙ্গুল নাচাতে শুরু করে।হঠাৎ বাবাই আমাকে ডেকে তুলে স্বপ্ন সেখানেই শেষ কিন্তু কিছু জিনিসস শেষ হয়েও শুরু হয়।আমার জিবনেও তাই হয়েছে।বাবাই আমি আর মাম্মাম হাসপাতালে এসেছিলাম।আঙ্কেল আন্টির নতুন বেবী হয়েছে দেখার জন্যে।আমরা যেতেই শুনতে পাই আন্টির মেয়ে বেবি হয়েছে।আমি সবার আগে অতি আগ্রহ নিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম বেবিকে আর সবার আগেই কোলে নিয়েছিলাম।ছোট্ট লাল টুকটুকে তোয়ালে পেছানো পরীকে।ঠিক তখন থেকে আমার ভালোবাসা শুরু…. আমি তখনই তোমার মায়ায় আটকা পরেছি।আমি তোমার জন্যেই তোমাদের বাসায় থাকতাম।তোমার সাথে খেলতাম।আরো কত কি।কিন্তু একদিন পাশের বাসার রাসেল নামের এক ছেলে তোমাকে কোলে নিয়েছে।তখন তোমার বয়স দুই বছর..সেটা আমার মোটেও পছন্দ হল না।সবাইকে বলে দিয়েছি ও আমার বউ কেউ যেন না ছোঁয় ওকে।বাবাই বলে উঠে….
।
তোমার বউ কিভাবে হল তুমি ত ওকে বিয়েই করলে না।
।
বউ বানাতে বুঝি বিয়ে করতে হয়??
।
হুুম
।
ব্যাসস আর কি লাগে আমি তখন থেকেই সবার মাথা নষ্ট করে দিয়েছি তোমাকে বিয়ে করবো।কিন্তু কেউ রাজি হচ্ছিলনা আসলে ছোটো ত তাই।আমি তাই সুইসাইডের হুমকি দি।আমার বয়স মাএ আট।আর এই বয়সেই এমন কাজ মাথায় এল কি ভাবে বুঝে উঠতে পারছি না।তবে তখন মনে হয়েছে তোমাকে চাই আমার এটাই শেষ কথা।আমার জীদের কাছে হার মেনে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।দুজন একসাথে বড় হই। আমি সবসময় তোমাকে শাসনে রাখতাম যাতে তুমি আমার প্রতি অবেগ দিয়ে দুর্বল না হও।আমি তো চাই তুমি আমাকে ভালোবাস।তাই সব সয়ম একটা দূরত্ব বজায় রাখতাম।কিন্তু তুমি যত বড় হচ্ছিলে আমার তোমাকে ততত নিজের কাছে রাখার ইচ্ছে জাগে।কিন্তু নিজেকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা আমার ছিল।কিন্তু সেদিন যখন তোমাকে স্নিগ্ধ আলোতে ভিজাঁ চুলে দেখে ছিলাম।তখন তোমাকে ছুয়ে দেখার প্রবল আগ্রহ জাগে যা উচিত নয়।তুমি তখনো ছোট্ট ছিলে। তাই তোমার থেকে দূরে যাওয়াই ঠিক মনে হয়েছে।তোমার থেকে দূরে ত ছিলাম।কিন্তু তোমাকে একা রাখিনি।জীবনে অনেক মেয়েই আমার মনে জায়গা করতে চেয়েছে।কিন্তু তুমি তো আমার প্রথম দেখার স্নিগ্ধ পরী যাকে আমি স্বপ্নের দুনিয়া থেকে বাস্তবে পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্য কেউ আমার জীবেন কেন আসবে বল??আমারত শুধু..#তুমি~হলেই~চলবে…. নিজের জীবনে যেমন কাউকে আসতে দিনি।ঠিক একুই ভাবে তোমার জীবনেও আমি কারো জায়গা করতে দিনি।দূরে থেকেই সবাইকে সরিয়েছি।সরি জান ওই দিন তোমার হাতটা কামড়ে দিয়েছিলাম।মাথা গরম ছিল।তোমাকে কত দিন পরে এত কাছে দেখলাম তাও ওই ছেলের ফুল ছোঁয়া আবস্থায় তাই আমি কন্ট্রোল করতে পারিনি।সরি…তুমি কেন বলনি মালিহা তোমাকে ওই কথাগুলো বলেছে..নিলয় না বলেত যানতেই পারতাম না শুধু শুধু তোমার উপড় রাগ করেছিলাম।কিন্তু এখন সঠিক সময় এসে গেছে আমি তোমাকে নিজের মনের কথা বলতে পারি…..
আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি পিচ্ছি বউ..তুমি যানো আজ আমাদের ১৭তম বিবাহ বার্ষিকী… জানো না।তুমি কিছুই জানো না।আচ্ছা জানো না বুঝলাম কিন্তু বুঝনা কেন আমি তোমাকে কত করে চাই কত ভালোবাসি।এতটা বোকা কেন তুমি….
।
।
আমি এখনো স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি উনার দিকে। এতটা ভালোবাসেন উনি আমাকে আর আমি বোকা তাকে ভাইয়া বানাবো বলে ঠিক করেছি।ইসসস কি কান্ড ছিই..তার উপড় উনি আমার নিজের জামাই…ভাবতেই অবাক লাগে সংসার না করতেই আমার ১৭তম বিবাহিত জীবন পার হয়েগেছে। উনি আবার বলে উঠে……
।
তুমি কি তোমার বাকি জীবন আমার সাথে পারি দিতে চাও??
।
আমি এবারও জবাব দিলাম না। আমি এতটাই শক্ট যে কি বলবো বুঝতে পারছি না।উনি এবার আমার দিকে কৃষ্ণচূড়াগুলো এগিয়ে বলে উঠে……
।
হে প্রিয় আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।একদম কৃষ্ণচূড়ার মত। কৃষ্ণচূড়া যেমন তার রংকে ভালোবাসে আমি ঠিক একুই ভাবে তোমাকে ভালোবাসি।আমি তোমাতে রঙিন হতে চাই। ধরবে আমার হাত আমার জীবন রাঙাতে পা রাখবে আমার এমন রং বিহিন দুনিয়াতে…
।
আমি কাদঁতে মোটেও চাচ্ছি না। কিন্তু চোখের পানি আপনা আপনি বেয়ে বেয়ে পড়ছে।এটা কষ্টের না সুখের অশ্রু।আমি ভাবতেও পারি নি উনি আমাকে এতটা ভালোবাসে।তার ভালোবাসা সত্যেই কৃষ্ণচূড়ার মত।সত্যেই সে তার রং পাল্টেনি।ছোটো বয়সের ভালোবাসার কোন পরিবর্তই হল না।এটাই ভালোবাসা। যা কখনো রং পাল্টায় না।উনি এবার বিরক্তি ভঙ্গিতে বলে উঠে…….
।
তুমি কাদঁছ কেন আয়ু??তোমার কি আমাকে পছন্দ না??পছন্দ না হলে সমস্যা নেই।তুমিও সিঙ্গেল থাকবে আমিও।সারা জীবন এভাবেই থাকতে হবে।বুঝলে কত কষ্ট।তোমার জন্যে সব কষ্ট নিতে রাজি।কিন্তু হ্যাঁ তুমি ভেবনা আমাকে পছন্দ না বলে অন্য কাউকে জীবনে এন্ট্রি দিতে পারবে।তোমার সব জুড়ে শুধু আমি..এবার ভাব এভাবেই জীবন কাটাবে নাকি আমার সাথে থাকবে…চয়েজ ইজ ইউর…
।
না না আমি আপনার সাথেই থাকবো।
।
সত্যি…
।
হুমমম
।
উনি এবার হু হা করে হেসে আমাকে জড়িয়ে নেয় নিজের বাহুতে।আমি কচ্ছপের মত মাথা বের করে বলে উঠি…
।
মালিহা আপু আপনাকে অনেক ভালোবাসে..
।
সবাই আমাকে ভালোবাসলে তো আমি সবাইকে বাসতে পারবো না।আর এই জীবনে আমি শুধু একজনকেই ভালোবেসেছি।সে হল তোয়ালে পরী…আমার তো এই তোয়ালে পরা পরী..হলেই চলবে…..
।
আমি আবেশে তার বাহুতে মাথা রেখে আছি…কৃষ্ণচূড়া গুলো আমার হাতে..ভালোবাসা সত্যিই এক অদ্ভুত জিনিস।তা না হলে ত উনি এতগুলো বছর আমার জন্যে অপেক্ষা করত না।আসলেই ভালোবাসার মানুষের জন্যে অপেক্ষা করতেও হয়ত আনন্দ আছে।আমারো শুধু এমন একজন ভালোবাসার মানুষ হলেই হবে…শুধু আপনি হলেই চলবে…..মি.আযমান ভাইয়া…..
#চলবে…..
ভুলগুলো আল্লাহর দেওয়া মহান গুন ক্ষমার চোখে দেখবেন……….