তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ১১

#তুমিই_আমার_প্রিয়_নেশা
#পর্ব:11
#Suraiya_Aayat

ঘুমের মাঝে হঠাৎ দম বন্ধ করা অনুভূতি হতেই নূরের ঘুম ভেঙে গেল, হঠাৎই বিছানা থেকে উঠতে গেলে নিজের ওপর ভার কিছু অনুভূতি হতেই দেখলো আয়াশ ওকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে আছে ৷আয়াশকে দেখে খানিকটা রাগ ও হলো পুরোনো কথা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মনে পড়তেই ৷ আয়াশকে ঠেলে সরাতে গেলেই হঠাৎ আয়াশ জেগে গেল, আয়াশ এতখন ঘুমাইনি জেগেই ছিলো ৷ নূর রেগে ওকে সরাতে গেলেই আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আয়াশ ৷ নূর রেগে বলল
” সমস্যা কি আপনার ? এমন করছেন কেন? তখন পুরোপুরি মারতে পারেননি তাই এখন কি মারার চেষ্টা করছেন?”
আয়াশ নূরের দিকে তাকিয়ে বলল
” রেগে যাচ্ছে কেন আফু সোনা ৷”
নূর এবার ঝটকা মেরে উঠে গেল,আয়াশ হাত ধরতে গেলেই দূরে সরে গিয়ে বলল
” আমি জানি আপনি আমাকে বাঁচতে দেবেন না ৷ তাই তো আমাকে জলের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন তাইনা ?”
আয়াশ মুচকি হেসে বলল
” আচ্ছা আফু সোনা আমি না হয় তোমার ক্ষতি চাই কিন্তু তোমাকে তুলে আনলো কে? কে সেই মহান আর দিলদরদী মানুষ যে আফসান নূরকে এই ডেভিল ভিলার পুল থেকে কোলে করে তুলে আনলো তাও আবার আমার উপস্থিতিতে ৷ নাকি তুমি নিজেই এসেছো কোনটা ?”
নূর আয়শের কথাটা শুধে এটু ঘাবড়ে গেল আর ভাবতে লাগলো সবটা, সত্যিই তো আয়াশ ছাড়া এই বাসাতে কেউ নেই তাহলে একমাত্র আয়শ ই সেই যে ওকে জল থেকে তুলে আনবে ৷ নূর ভাবলো আর ভেবে বুঝলো যে আয়াশ ই ওকে সেখান থেকে তুলেছে আর এখন ওর কথার জালে ফাসাচ্ছে ৷ তাই নূর ভাবলো তবুও আয়াশের কাছে হার মানবে না ও, মুড নিয়েই চলবে ৷ নূর কথা ঘোরানোর জন্য বললো
” আমি এই বাসায় আর এক মুহূর্ত আর থাকবো না, আমি বসায় যাবো ৷” কথাটা বলে বিছানা থেকে নামতে গেলেই আয়াশ ওর হাত ধরে কাছে টেনে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলল
” কোথায় পালাচ্ছ আফু সোনা ? আমি কি তোমাকে যেতে বলেছি ?”
নূর শুকনো ঢোক গিলে বলল
” সরুন আমার কাছ থেকে আমি আর এখানে এক মুহূর্তও থাকবো না ৷”
আয়াশ নূরের হাতের বাধন আলগা করে বলল
” কটা বাজে খেয়াল আছে ? রাত 2.30 টা ৷”
নূর ঘড়ির দিকে তাকালো, হ্যাঁ সত্যিই 2.30 টা বাজে , তাই চাইলেও এত রাতে নিজে যেতে পারবে না ৷”
নূর চুপটি করে রইলো দেখে আয়াশ বলল
” পানিশমেন্টের কথা ভুলে গেলে ?”
কথাটা শুনতেই নূর চমকে উঠলো ৷ পানিশমেন্ট হিসাবে তো আয়াশ ওকে জলে ফেলে দিয়েছিলো, তাহলে কি এখনো আবার তেমন কিছুই কি হতে চলেছে ! কথাটা ভাবতেই নূরের মনে অজানা এ ভয় দোলা দিতে লাগলো ৷ ভয়ে থমথমে গলায় বলল
” কি পানিশমেন্ট ?”

আয়াশ খুব সুরেলা করে বলল
” আমাকে নিজের মতো করে ভালোবাসতে হবে আজ , আর এটাই তোমার পানিশমেন্ট ৷”

কথাটা শুনে নূর অবাক হয়ে বলল
” কিহ !”
.আয়াশ নূরের কোমরে আলতো করে স্লাইড করে বলল
” জ্বি , আর পানিশমেন্টের কোন ছাড় নেই তাই যে করেই হোক পূরন করা চাই ৷”

নূর হালকা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
” কি করতে হবে আমাকে ?”

আয়াশ মুচকি হেসে বলল
” বললাম না কি করতে হবে, যাই হোক তুমি যখন আবারো শুনতে চাইছো তখন বলতে তো হবেই, আমি বললাম যে অন্যদিন আমি নিজে থেকে তোমার কাছে আসি, নিজে থেকে তোমাকে ভালোবাসি তাই আজ তুমি নিজে থেকে আমার কাছে আসবে ৷ এই সহজ কথাটা তোমার মাথায় গেল না আফু সোনা !”

নূর বুঝতে পারলো যে আয়াশ ওকে ঠিক কি বোঝাতে চাইছে, লজ্জায় ওর লুকিয়ে মাটিছে লুটিয়ে পড়তে ইচ্ছা করছে, আর যাক হোক একটা ছেলে যতোটা সহজে একটা মেয়ের কাছে আসতে পারে একটা মেয়ে অতোটা সহজে একটা ছেলের কাছে যেতে পারে না ৷
নূর কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
” দেখুন আপনি অন্যায় আবদার করছেন, আমি এসব পারবো না ৷”
আয়াশ নূরের আরো কাছে এগিয়ে গিয়ে বলল
” কোন পারবে না আফু সোনা ! আমি একজন এমন ডেভিল মানুষ হয়ে যদি তোমার এতো কাছে যেতে পারি তুমি কেন পারবে না ?”

নূর চুপ করে চোখ বন্ধ করে আছে, আয়াশ অবলীলায় এমন এমন কথা বলছে যা নূরের লজ্জার মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্রমশ ৷ আয়াশ নূরের লজ্জা মিশ্রিত মুখ দেখে বলল
“কি এতো ভাবছো আফু সোনা !”
নূর পুনরায় চোখ বন্ধ রেখে বলল
” দেখুন আমি পারবো না ৷ ”
হঠাৎ আয়াশ নূরের কপালে ঠোঁট ছুইয়ে বলল
” নাও তুমি আমাকে আমার কিস রিটার্ন করো ৷”
আয়াশ চোখ বন্ধ করে আছে ৷ নূর জানে যে আয়াশ ওকে বলেছে কাজটা যতখন না করবে ততখন ওর নিস্তার নেই তবুও শেষ বারের মতো আয়াশকে একবার অনুরোধ করলো ৷
” প্লিজ বোঝার চেষ্টা করুন ৷ আমি পারবো না ৷”
আয়াশ এবার খানিকটা ভারী গলায় বলল
” আমার কথা শুনবে কি না, ইয়েস অর নো ৷”
নুর এবার ওর মুখটা আয়াশের কপালের কাছে নিয়ে গিয়েও পিছিয়ে এলো, ভয় পাচ্ছে খুব. ,শরীরের মাঝে অস্থিরতা কাজ করছে, লজ্জা পাচ্ছে দ্বিগুন, ৷ নূর ওর কাঁপা কাঁপা ঠোঁট দুটো আয়াশের কপালে হুঠ করে ছুইয়ে দিয়ে দ্রূত দূরে সরে এলো ৷ নূরের হার্টবিট বাড়ছে ক্রশম , আয়াশের প্রতি এক অজানা অনুভূতিও কাজ করছে তীব্র ৷
আয়াশ চোখ খুলে মুচকি হাসলো,নূরের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে আছে ৷ আয়াশ একটু কেশে বলল
” ওকে , নাইস স্টার্টিং , যাই হোক এবার সেকেন্ড স্টেপ ৷ কথাটা বলে নূরের মুখটা ওর কাছে আনতেই নূরের নিশ্বাস গুলো আরো দীর্ঘ হতে লাগলো, আয়াশ ওর ঠোঁট দিয়ে নূরের ঠোঁট ছোঁয়াতেই নূর হালকা কেঁপে উঠলো ৷ বেশ কিছুখন পর আয়াশ সরে এসে মুখটা মুছে বলল
” নাও ইটস ইউর টার্ন ৷ শুরূ করো ৷”
আয়াশের কথা শুনে নূর পারলে দুই কদম পিছিয়ে যাই, ভয়ে আর উত্তেজনায় ওর শরীর কাঁপছে ৷ আয়াশ নূরের হাত ধরে কাছে টেনে আনতেই নূর আয়াশের গায়ের ওপর গিয়ে পড়লো ৷ নূর কোন কিছু না ভেবে হঠাৎ আয়াশের ঠোঁটে জোরে কামড় বসালো ৷ দ্রুত সরে এলো নূর, এবার আয়াশ হয়তো ওকে রেগে চড় থাপ্পড় না মেরে দেই , কথাটা ভাবতে লাগলো ও ৷ আয়াশ নূরের দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল
” টেস্ট ইজ গুড আফু সোনা ৷”
নূর অবাক হলো অনেক বেশি , মানুষটা ওকে কিছু বললোনা !
আয়াশ বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে বলল
” এখন মনে হচ্ছে রোজ রোজ তোমার এমন ভালোবাসা আমার পাওয়া লাগবে ৷ যাই হোক এখন ঘুমাও ৷”
নূর যেন হাফ ছেড়ে বাচলো ৷ আর একটু হলে ওকে কি না কি করতে হতো কথাটা ভেবে নূর দীর্ঘ শ্বাস নিলো, তবে মনের মাঝে অজানা এক অনুভূতি কাজ করছে আয়াশের প্রতি যার সূত্রপাত আগেই ঘটেছিলো কিন্তু তা এখন ভালোভাবে জানান দিচ্ছে ৷নূর চুপটি রে শুয়ে পড়লো , আয়াশ চোখ বন্ধ করে আছে, আয়াশকে দ্রুত এক পলক দেখে নূর চোখ বন্ধ করে নিলো ৷ বুকের ভিতর কেমন যেন উথাল পাতাল করছে তবুও নিজেকে সামলে নিচ্ছে নূর ৷

#চলবে,,,,

আমার গল্প লেখা থেকে মন উঠে গেছে🙂 এখন আর লিখতে ভালো লাগে না ৷ এই গল্পটা দ্রুত শেষ করে গল্প লেখা বন্ধ করে দিবো ৷🙂 আর প্র্যাকটিক্যাল এক্সাম ছিলো বলে গল্প দিইনি ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here