তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ২০+২১

#তুমিই_আমার_প্রিয়_নেশা
#পর্ব:20+21
#Suraiya_Aayat

” বেরিয়ে যাও এই ঘর থেকে, সামনে আসবেনা আমার ৷” ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলল নূর ৷
নূরের কথা শুনে আরফাত সাহেব এগিয়ে এসে বললেন
” এমন বলছিস কেন মা, কি করেছি বল !”

রেদোয়ান ও খানিকটা অবাক হয়ে বলল
” কিরে তোর হঠাৎ কি হলো বলবি তো আর তাছাড়া না বললে বুঝবো কি করে ৷”

নূর এবার অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে ওর ভাইয়া আর ওর বাবার দিকে তাকালো তারপর গলা ছেড়ে বলল
” তোমরা সত্যিই জানো না কি করেছো নাকি না চেনার ভান করছো কোনটা ? আমি তো বলেছিলাম আমি এ বাসায় আসবো না তারপর ও কেন আনলে জোর করে এ বাসায় ?”
রেদোয়ান অবাক চাহনিতে তাকিয়ে বলল
” আরে তোর বুঝতে কোথাও ভুল হচ্ছে, বিশ্বাস কর আমি বা বাবা কেউ ই তোকে এখানে আনার জন্য জোর করিনি , আয়াশ তো নিজেই,,,,!”

কথাটুকু বলে রেদোয়ান কিছু বলতে যাবে তার আগেই নূর হাত উচিয়ে বলল
” ব্যাস ভাইয়া অনেক কিছু বলে ফেলেছো তুমি আর বাবা , আর কিছু শোনার ইচ্ছে নেই আমার ৷ নিজেদের দোষটা ওনার ঘাড়ে চাপাচ্ছো লজ্জা করে না ?”

আরাফাত সাহেব এবার খানিকটা গম্ভীর স্বরে বললেন
” তুমি কিন্তু না জেনে শুনে আমাদের ওপর দোষারোপ করছো নূর, তোমার ভাইয়া বলল তো যে আমরা জোর করে তোমাকে এখানে আনিনি কারন তুমি আমাদের সাথে আসতে চাওনি আর আয়াশ নিজের ইচ্ছাতেই তোমাকে এখানে পাঠিয়েছে আমি বা রেদোয়ান তাকে কিছু বলিনি ৷ তোমার স্বামী তোমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে আমি বা আমরা না ৷”

নূর জোরে চেঁচিয়ে বলল
“এনাফ ইজ এনাফ , বলেছি তো বেরিয়ে যেতে ,যাও এখান থেকে , নো মোর ওয়ার্ডস , আমার যা জানানোর আর য বোঝার আমার তা বোঝা হয়ে গেছে ৷ তোমরা কেউ আমাকে ভালোবাসোনা কেউ না ৷”
কথাটা বলে নূর ফুঁপিয়ে উঠলো ৷ রেদোয়ানের গলা ধরে এলো , ওর ব্যাবহারেয় হয়তো ওর বোন আজ ওর কথা বিশ্বাস করছে না তবে নূরের কথাগুলো আরাফাত সাহেবের মনে আয়াশের প্রতি রাগটাকে আরো তীব্রতর করে তুলেছে ৷ রেদোয়ান কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরফাত সাহেব ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল
” রেদোয়ান তোমার বোন আর তোমার নেই তার মাথাটা খুব ভালো ভাবেই বিগড়ানো হয়েছে ৷ এখন একা থাকতে দাও পরে এসব পাগলামো ঠিক হয়ে যাবে ৷”
নূর দাঁতে দাঁত চেপে রইলো , মুখ বুজে সহ্য করছে ওর বাবার কথাগুলো ৷ রেদোয়ান ওর চোখটা মুছে বেরিয়ে গেল সাথে আরাফাত সাহেব ও ৷
নূর চোখটা মুছে শুয়ে পড়লো , আয়াশের বলা সকালের কথাগুলো মনে পড়ছে
” খুব সিম্পল, ওরা আসলেও তুমি যাবেনা ৷”

কথাটা ভেবে নূর চোখ মুছলো ৷ নূরের মনে এই বিশ্বাসটা দৃঢ় ভাবে গেঁথে গেছে যে ওর বাবা আর ওর ভাইয়া ওকে জোর করে এনেছে ৷
নূর চোখ বন্ধ করলো,আয়াশকে মনে পড়ছে বারবার , ভেবেছিলো আয়াশের ওপর কতো রাগ কতো অভিমান দেখাবে কিন্তু তার কিছুই হলো না উল্টে আয়াশের থেকে দূরে সরে গেল ৷ কিছুখন পর চোখটা খুলে ফোনটা হাতে নিলো নূর , আয়াশকে ফোন করবে কি ভাবছে, তারপর আবার ভাবলো যে নাহ ও আয়াশকে কল করবে না কারন আয়াশকে ও নিজে অনেকবার বলেছিলো যে ও যেতে চাইনা তবুও আয়াশ ওকে জোর করে গাড়িতে তুলে দিয়েছে তাই এই মুহূর্তে আয়াশকে সবচেয়ে বেশি দোষী হিসাবে দেখছে নুর ৷ রাগ করে ফোনটা দুরে ছুঁড়ে মারলো নূর ৷ একদিনের নতুন ফোনটা ভেঙে গুঁড়ো গুড়ো হয়ে গেল ৷ ফোনটা অনেক দামী ছিলো তা নূর জানে তবুও রাগের মাথায় আর আয়াশ দিয়েছে দেখে ছুড়ে ফেলে দিলো , ও জানে যে এবার আর আয়াশ ওকে ফোন কিনে দেবে না তবুও মনের শান্তি বড়ো শান্তি ৷

নূর চোখটা বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলো, যদিও জানে যে ঘুম আসবে না তবুও চেষ্টা করতে দোষ কি ?

____

“ধন্যবাদ খালামনি আজ তোমার জন্য আমি নূরকে পেয়েছি ৷ ”
নূরের মা আফিফা বেগমের হাতে চুমু দিয়ে কথাগুলো বলল আয়াশ ৷
উনি আয়াশের কপালে চুমু দিয়ে বললেন যে
” আমি তো বরাবরই চাইতাম যে নূর শুধু তোর হোক নাহলে যে আমার মনে শান্তি আসতো না ৷”
মুখে একগাল হাসি নিয়ে বলল আফিফা বেগম ৷

আয়াশ মুচকি হেসে বলল
” থ্যাঙ্কস নেবে নাকি ধন্যবাদ কোনটা ?”

উনি আয়াশের গালটা টেনে দিয়ে বললেন
” পাগল ছেলে একটা ৷”

আয়াশ গালে হাসি রেখে বলল
” তোমার জন্যই তো পাগলটা হয়েছি ৷ ”

উনি একটু ভ্রূ কুঁচকালেন যার অর্থ আয়াশের কথাটা উনি বোঝেননি ৷ জিজ্ঞাসু কন্ঠে বলল উঠলো
” কি বললি আয়াশ এটা , আমি তোকে কি করে পাগল বানালাম আবার ?”

আয়াশ ওনার হাতে হাত রেখে বলল
” এই যে তুমি তোমার মেয়ে মানে আমার ওয়াইফ ওরফে আমার আফু সোনার কথা যদি আমাকে না বলতে তাহলে আমি কি করে জানতাম বলোতো ?”

উনি এবার হো হো করে হেসে বললেন
” আচ্ছা তাই বল ৷”

আয়াশ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সম্মতি জানালো ৷ উনি জিজ্ঞাসু কন্ঠে বলে উঠলো
” তা তুই আজকে নূরের সাথে যাবি তো ঘুরতে কোথাও? যতোই হোক আজকের দিনেই তো তুই নূরকে প্রথম দেখেছিলিস তাইনা !”

আয়াশ মাথা নাড়িয়ে বলল
” হমম, আর আম্মু নিঁখোজ হলো প্রায় ৮ বছর হতে চলল তাইনা ?”

উনি মুখে একরাশ বিষন্নতার ছাপ ফেলে বললেন
” আপু নিঁখোজ হয়েছে দেখতে দেখতে কতো গুলো দিন পার হয়ে গেল, আজও তার খোঁজ পাওয়া গেল না ! আপুর সাথে আজ দীর্ঘ ৮ বছর আমিও নিজেকে আত্মগোপন করেছি ৷ একটা কথা বলবো আয়াশ ?”

আয়াশ নরম কন্ঠে বলল
” হমম বলো ৷”

উনি একটু ঘাবড়ে বললেন
” আমি জানি না কথাটা বলা আমার ঠিক হবে নাকি ভুল তবুও পারছি না কথাগুলো নিজের মাঝে চেপে রাখতে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি ৷”

আয়াশ ওনার হাতে হাত রেখে ওনাকে সাহস দিয়ে বলল
” হমম বলো ৷”

উনি একটু দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে বললেন
” দেখ আপু যে মরেনি সেটা আমরা কয়েক জানতাম কিন্তু কখনো কাউকে জানতে দিইনি কিন্তু দেখ একটা জিনিস ভেবে যে আপুকে নিঁখোজ করার চেষ্টা করেছে তার নিশ্চয়ই কোন না কোন উদ্দেশ্যে কাজটা করেছে নাহলে এমনি এমনি তো আর কাউকে আটকে রাখবে না , তো আমি বলতে চাইছি এত বছরে নিশ্চয়ই তার কাজটা হাসিল করে ফেলেছে তাইনা তাই সে নিশ্চয়ই এতোদিন আর আপুকে বাঁচিয়ে রাখবে না ৷”

কথাটা শুনে আয়াশ বোকার মতো মাথা নাড়িয়ে বলল
“হমম তা তুমি ঠিক বলেছো এটা তো আমি ভেবে দেখিনি আগে ৷”

উনি আয়াশের কথাতে সম্মতি প্রকাশ করে বললেন
” একদম আমার কথাটা বুঝেছিস তুই,,তাই আমি বলি কি তুই আরো ভালো করে খোঁজ খবর নে আর সিওর হ, নাহলে এভাবে আর কতদিন আপুকে খুঁজে নিজের সময় ব্যায় করবি বলতো তাছাড়া তেহেরাত ভাইজানের ও বয়স বাড়ছে তাই তার ও এতোটা চিন্তা নেওয়াটা উচতি হবে না , আর তোর নিজের কাজ আর সংসার তো আছেই ৷”

আয়াশ ওনার দিকে সন্দীহান চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো
” আর ভাইয়া ? ভাইয়ার কথা বললেনা যে !”

উনি ঝপাঝপ উত্তর দিলেন
” আহানকে নিয়ে আর কি বলি বল সে তো নিজের মতো চলে সংসার কর্মে তার মন নেই, ভবঘুরে ধরনের , ওকে দিয়ে কখনো সবকিছু পরিচর্যা হবে বলে আমার মনে হবে না ৷”

আয়াশ একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল
” যাই হোক , আফু সোনার কাছে যাবো কিন্তু তোমার ছেলে রেদোয়ানের থেকে এখনো তো কোন কল এলো না,কল তো আসা উচিত তাইনা ? তুমি কি মনে করো?”

উনি বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন
” আর বলিস না রেদোয়ানের কথা , চিরকাল উদাসীন ওকে নিয়ে যে আমার ভাবনা হয়, মায়ার মতো একটা বিচক্ষন মেয়ে পেয়েছে এটা ওর কপাল , আর তুই এখনও রেদোয়ানের কলের অপেক্ষায় আছিস ? তুই যা নূরের কাছে না জানি মেয়েটা কেঁদে কেটে একাকার করে ৷ ”

আয়াশ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ সম্মতি জানিয়ে বলল
” আচ্ছা তাহলে আমি এখন আসি বেশ অনেক তো রাত হলো ৷”

উনি আয়াশকে থামিয়ে বললেন
” খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু ঠিকঠাক কর বাবা আমার যে এই বদ্ধ ঘরে একা একা থাকতে ভালো লাগে না !”

” বদ্ধ কোথায় ? রুমের মাঝে এসি আছে , টিভি আছে, সব আছে, আর বড়ো জানালা আছে যেখান থেকে সব দেখা যায় তাছাড়া তিনবেলা তো খালামনি তোমার খাবার দিয়ে যাই , কথা বলে যাই ! যাই হোক আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে আসছি ‌৷”

উনি একটু ধীমে কন্ঠে বললেন
” আচ্ছা ‌৷”

____

ফোনটা হাতে ধরে আছে রেদোয়ান , হাতটা কাঁপছে,নিজের কাছে নিজেকেই অত্যন্ত নীচু মনের মানুষ বলে মনে হচ্ছে ওর নিজেকে ৷ মনে সাহস নিয়ে কলটা ধারালো আয়াশের কাছে ৷ রকিং চেয়ারে বসে দুলছে আয়াশ , হাতের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে ডেভিল স্মাইল দিয়ে বলল
” ইউ হ্যাভ ওনলি 3 মিনিটস, যদি এর মাঝে তোমার কল না এসেছে তো ইউ আর গন মিস্টার রেদোয়ান ৷”

কথাটা বলে চোখ বন্ধ করতেই আয়াশের পাশে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো ৷ আয়াশ বাকা হাসি দিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে কানে ধরতেই ওপাশ থেকে বেশ কাঁপাকাঁপা কন্ঠ ভেসে আসলো
” আই এম সরি আয়াশ, আসলে তোমার প্রতি আমি অনেক খারাপ ব্যাবহার করেছি কিন্তু তোমার কোন দোষ ছিলো না, ভুলটা আমারই ৷ আমি ভেবেছিলাম যদি বলি তা ভুল হবে আর যদি বলি আমি ভাবতে বাধ্য হয়েছিলাম কারন তোমাদেরকে দেখে মনে হয় না যে তোমাদের মাঝের সম্পর্কটা ঠিকঠাক,তাছাড়া বিয়েটাও স্বামাবিক নয় , তাই ভেবেছি যে নূরকে তোমার থেকে আলাদা রাখলে তোমাদের মাঝের সম্পর্কটা আমি বুঝতে পারবো তাতে নূরের বাকি জীবনটা নিয়ে ভাবা যাবে তাই আরকি ৷ যাই হোক নূর সেই সকাল থেকে কিছু খাইনি আমি যতদূর জানি, আমি খাওয়ার কথা বলেছিলাম কিন্তু ও আমাকে আর বাবাকে ভুল বুঝেছে তাই আমি চাই তুমি আসো আর ওকে বোঝাও আর ও যদি যেতে চাই তো ওকে নিয়ে যেও কারন গুমসে গুমসে থাকার চেয়ে ওকে প্রানচ্ছল হয়ে থাকতে দেখলে তার চেয়ে আনন্দের আর কিছু হবে না আমার কাছে ৷ তুমি কি আমাকে ক্ষমা করেছো মন থেকে ?”

আয়াশ বেশ দৃঢ় কন্ঠে বলল
” কিন্তু আমি তো ভেবেছিলাম যে নূরকে আমি আর ফেরাবো না নিজের কাছে তাহলে এখন কি হবে ?”
রেদোয়ান যেন এই কথাতে ভীষনরকম ভয় পেয়ে গেল, ভয়ার্ত কন্ঠে বলল
” একদম একথা ভেবো না তাহলে নূরের আর বাঁচার ইচ্ছা থাকবে না , ও তোমাকে অনেক ভালোবাসে প্লিজ ওর ভালোবাসাটাকে বোঝো ৷”

আয়াশ ওর মাথার চুলগুলো নাড়িয়ে বলল
” আচ্ছা ভাইয়া আমি ভেবে দেখবো ৷”

রেদোয়ান আকুতির সুরে বলল
” প্লিজ আয়াশ এমনটা ভেবো না , আমার রিকুয়েষ্ট দরকার হলে তোমার সামনে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইবো তবুও প্লিজ ৷”

আয়াশ বাকা হেসে বলল
“আচ্ছা ভাইয়া আপনি এতো করে যখন বলছেন তখন না হয়,,,”

রেদোয়ান আনন্দে আয়াশকে থামিয়ে বলল
” অসংখ্য ধন্যবাদ ৷ আমি আর কিছু শুনতে চাইনা, তোমার মুখ থেকে এটুকু শুনেই খুশি ৷ আচ্ছা আমি রাখি ?”

আয়াশ একটা ডেভিল স্মাইল দিয়ে নিজেই কলটা কেটে দিলো রেদোয়ানের কাটার আগে , খানিকটা উচ্চস্বরে হেসে বলল
” আমাকে অপমান করেছিলে সকালে প্রতিশোধটা চাইলে কঠিন ভাবে নিতে পারতাম কিন্তু তুমি নূরের ভাইয়া তাই সহজ ভাবেই নিলাম, আর বাকি রইলো তোমার বাবা, ইশ পারলে ওনার মুখটা একেবারেই বন্ধ করেভদিতাম কিন্তু যতোই হোক আমার শ্বশুর বলে কথা ৷”

কথাটা বলে আয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে গেল ৷

___

” কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে ? ছাড়ুন আমাকে, আর তাছাড়া আমাকে স্পর্শ করার অধিকার আপনি হারিয়েছেন তাই বারবার আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না ৷ নামান আমাকে আমি রুমে যাবো ৷”

আয়াশ ততক্ষনে নূরকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে লক করে দিলো তারপর নিজেই ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি সার্ট দিতে নিলেই শরীরে তীব্র ঝাকুনি অনুভব করলো ,নূর ওর শার্ট ধরে টানছে আর গাড়ির দরজা খোলার কথা বলছে ৷ আয়াশ নুরের দিকে তাকিয়ে বলল
” এমন করছো কেন আফু সোনা শার্টটা অনেক স্পেশাল উপলক্ষে পরেছি আর তুমি টেনে টেনে এভাবে ছিঁড়ে দেবে বলো ৷ ”
নূর রেগে গিয়ে বলল
” বলেছি না আমাকে নামিয়ে দিন, আর শার্টটা স্পেশাল মানে নিশ্চয়ই কোন প্রমিকা গিফট করেছে ? সুন্দর ছেলেদের তো আর প্রমিকার অভাব হয় না হুহ!”
আয়াশ নুরের দিকে তাকিয়ে অবাক কন্ঠে বলল
” ওয়েট ওয়েট ওয়েট তার মানে আমি সুদর্শন পুরুষ তাইতো আর তুমি আমার ওপর নজর দাও রোজ, তাই বলি আমি এমন কেন হয়ে যাচ্ছি দিন দিন ৷”

নুর বুঝলো যে রাগের মাথায় মনে থাকা কথাটা প্রকাশ করে ফেলেছে ও তবুও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বলল
” আপনি যা খুশি করে নিন তবে আমাকে গাড়ি থেকে নামান , আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না কারন আমি আপনাকে বলেছিলাম যে আমাকে ফিরিয়ে দিলে আপনি আর আমাকে পাবেন না ৷”
নূরের কথার পরিবর্তে আয়াশ বলল
” আমিও. এটা বলেছিলাম আফুসোনা যে তুমি যা চাইবে তাও সবসময় হবে না , আর আমি যা খুশি করবো বলেই তো তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি ৷”

নুর রেগে গিয়ে বিড়বিড় করছে কিছু কথা জোরেও উচ্চারন হচ্ছে দেখে আয়াশ বলল
” বুঝেছি তুমি সহজ কথার মানুষ না, তোমাকে আমার স্টাইলে থামাতে হবে ৷”
কথাটা বলে নূরের মুখটা কাছে টেনে এনে নূরের ঠোঁট জোঁড়া দখল করে নিলো ৷ নূর কথা বলতে পারছে না কেবল উমম উমম করছে ৷ কিছুখন পর আয়াশ ছেড়ে দিতেই নূর বলল
” ইয়াক ছিহ ! কি করলেন এটা ?”
আয়াশ বলে উঠলো
” এমন ভাব করছো যেন আগে কখনো করিনি😒৷”

নূর রাগী চোখে তাকাতে নিলেই আয়াশ মুচকি হেসে গাড়ি স্টার্ট দিলো ৷ রাত 11 টা বাজে ৷ নূর বিরক্ত আর রেখে বলল
” কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন সেটা তো বলবেন?”

আয়াশ নূরের দিকে চোখ মেরে বলল
” টপ সিকরেট ৷”

#চলবে,,,

আসলেই কি আয়াশ বোকার মতো নাড়ানোর মানুষ? আজকে অনেক কিছু জানালাম ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here