তোকে_দিয়েছি_মন❤
৩৯.৪০
পর্ব – ৩৯
Writer: Sidratul muntaz
🍂
সত্যিই ইচ্ছে করছে এক বালতি পানি ঢেলে উনার ঘুমের বারোটা বাজাতে। কিন্তু সেটা করতে গেলে আবার আমারই না বারোটা বাজে। বিশাল বালতি একা হাতে বয়ে আনতে গেলে তো সেইরকম খাটুনি যাবে। তার থেকে ভালো আমি উনাকে সুরসুরি দেই। দেখি কতক্ষণ সহ্য করতে পারেন সুরসুরির টর্চার। ফিক করে হেসে দিয়ে আমি এবার আরাম করে বিছানার উপর উঠে বসলাম। ঠিক উনার মাথা বরাবর। কিউট মুখটা এক হাতে মুরিয়ে ধরলাম। আমার চুলের কিছু অংশ গোছা বানিয়ে উনার মুখে মালিশ করছি। আর উনি ঘুমের মধ্যেই কপাল কুচকাচ্ছেন। উফফ কি মজার একটা দৃশ্য! বেশ কিছু সময় এইভাবে জ্বালানোর পর হঠাৎ ঈশান ঘুমের মধ্যেই আমার হাত চেপে ধরলেন। আর আমি? ভয়ের চোটে কোন দিক দিয়ে পালাবো তার দিশা খুজে বেড়াতে লাগলাম। কিন্তু পালানোর সুযোগ তো হলই না….. বরং নড়াচড়া করার আগেই ঈশান আমায় হেচকা টানে শুয়িয়ে দিলেন উনার পাশে। যে হাতটায় চুলের গোছা ছিল সেই হাত শক্ত করে চেপে ধরলেন। শোয়া থেকে খপ করে আমার উপর চড়ে বসলেন। শকের ঠেলায় আমি চিৎকার করতে যাবো তার আগেই আমার মুখ চেপে ধরলেন। হায় কি যন্ত্রণা! যন্ত্রণায় ছটফট করছি। আর উনি ঘুমো ঘুমো চোখে বিরক্তি প্লাস দুষ্টমী দুটো একসাথে নিয়ে বলে উঠলেন—
কেমন লাগে এবার?? ঘুমাতে দিচ্ছিলে না কেনো? রাতেও তোমার জ্বালায় ঘুমানো যায় না আর ভোরে তো আরও না। এই তুমি কি চড়ুই পাখি? এতো সকালে ঘুম ভাঙে কেনো তোমার?
আমি উনাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে উচ্চারণ করলাম–
আপনি আমাকে কেনো বলেন নি আজকে আন্টি আঙ্কেল আসবে? আর আমাদের রিসিপশন নিয়ে এতো এতো প্ল্যানিং হচ্ছে এসব কিছু জানান নি কেনো হ্যা? সকালের হট্টগোলের শব্দেই তো ঘুমটা গেল আমার। আগে থেকে জানা থাকলে তো আর আরামের ঘুম হারাম করে নিচে গিয়ে দেখে আসতে হতো না।
ও আচ্ছা এই ব্যাপার? কিন্তু মা বাবা তো আজ আসছে না! ওরা কাল আসবে। আর রিসিপশনও কালই।
কাল? তাহলে আজকে কিসের প্ল্যানিং হচ্ছে এসব?
আরে আগে থেকে প্রিপারেশন চলছে যেনো পরে ঝামেলা না হয়। আমিই বলেছি আজকে থেকেই ডেকোরেশনের কাজ শুরু করতে। ফুল হাউস ডেকোরেশন। তোমার কাছে কয়েকটা লিস্ট আসবে। তুমি ডিজাইন দেখে বলে দিও বার্ড সাইট টা কিভাবে সাজানো যায়।
আমি খুশিতে গদগদ হয়ে বললাম–
বার্ড সাইটও সাজানো হবে? ইয়ে…. আচ্ছা শুনেন না!! পাখিগুলোর জন্য আমি অর্কিডের মালা বানাবো। সব পাখির গলায় একটা একটা করে মালা পরিয়ে দিবো। কেমন হবে?
উনি মুখ গম্ভীর করে অনেকটা ধমকের সাথে বললেন—
একদম ভালো না। বেড আইডিয়া। পাখিরা তোমার কাছে ধরা দিবে?? ওদের ধরতে গেলে ছুটে পালাবে। তারপর দেখা যাবে আর এদিকে আসবেও না।
আমি বিস্ফোরিত চোখে মুখ হা করে বললাম–
কি? তার মানে আপনি বলতে চান আমাকে দেখলে পাখিরা ভয় পাবে? এতো বাজে দেখতে আমি? ভয়ংকর দেখতে?
ও আল্লাহ…. আমি এই কথা কখন বললাম?? বেশি বুঝো না? ( আমার নাক টিপে ধরে) সব ব্যাপারেই এক লাইন বেশি বুঝতে হবে।
আমি কুকিয়ে উঠলাম– উহহ! ব্যথা!
উনি ফিক করে হেসে উঠে বসলেন এবার। চোখমুখ কচলে বললেন—
আচ্ছা শোনো তারা! ভালোই হয়েছে সকালে ঘুম ভেঙেছে। কাজ আছে প্রচুর। সবার আগে শপিং এ যেতে হবে। অনেক কিছু কেনাকাটা বাকি। তুমি যাবে আমার সাথে।
আমি অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে বললাম– ন না।
কেনো? ( অবাক হয়ে)
ভালো লাগছে না….. আমার ঘুম আসছে অনেক। আমি ঘুমাই…. আপনি যান। ( হাই তুলে)
উনি ভ্রু কুচকে ঠোট নাড়িয়ে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন–
শরীর খারাপ?
আমি জোর করে হাসি দিয়ে বললাম– না তো? শরীর খারাপ হলে কি এভাবে ঘুরে বেড়াতে পারতাম?? মোটেও শরীর খারাপ না আমার।
আচ্ছা ঠিকাছে তুমি থাকো। কিছু দরকার লাগলে আমাকে ফোন করবে। আর আমিও ভিডিও কল দিবো। ফোন সাথে রাখবে। আর সাইলেন্ট যেন না থাকে।
বলতে বলতে আমার ফোনটা হাতে নিলেন উনি। সাইলেন্ট মোড অফ করে ভাইব্রেট প্লাস হাই রিংটোন বেজে উঠবে এমন ব্যবস্থা করলেন। ফোনটা টেবিলের উপর রেখে এবার তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন উনি। আর আমি লুটিয়ে পড়লাম বিছানায়। ভীষণরকম পেটে ব্যাথা করছে। ক্যালেন্ডারের তারিখ দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম আরামের দিন শেষ হয়ে প্যারার দিন শুরু হতে চলেছে। কিন্তু এই সময়ই হতে হল এটা? খুব বিরক্ত লাগছে। বিরক্তিতে কাদতে ইচ্ছে করছে। কাউকে বলতেও পারছি না। নিজের বাসায় থাকলে এতোক্ষনে চেচিয়ে ঘরবাড়ি মাথায় তুলে ফেলতাম। কেদে কেটে অস্থির হয়ে যেতাম। মা কে জ্বালিয়ে মারতাম। কিন্তু এখন কাউকেই কিছু বলতে পারছি না। বরং মিথ্যে হাসির আড়ালে এই অসহ্য যন্ত্রণাটা লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে। তার উপর কাল আবার বাড়িতে এতোবড় অনুষ্ঠান। সবার সামনে হাটাচলা করবো কিভাবে আমি? যেখানে সেখানে বসবো কিভাবে। মাও নেই যে আমায় সামলাবে। আচ্ছা রিসিপশনে কি মা আর ভাইয়া আসবে না? জিজ্ঞেস করতে হয় একবার ঈশানকে। পেটে হাত রেখেই উঠে বসলাম আমি। ঈশান কখন বের হবে তার ওয়েট করছি। ঠিকমতো এক জায়গায় বসে থাকতে পারছি না। ইচ্ছে করছে দৌড়াতে নাহলে এমন কিছু একটা করতে যেন ব্যথাটা ভুলে থাকা যায়। প্রায় বিশ মিনিটের মতো অপেক্ষা করার পর ঈশান বের হলেন ওয়াশরুম থেকে। তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুল মুছতে মুছতে আমার দিকে তাকালেন। হঠাৎ আমার সামনে এসে দাড়ালেন। সন্দেহ দৃষ্টি নিয়ে বললেন–
তারা তোমার কি হয়েছে বলোতো? ছটফট করছো কেনো এমন।
আমি হাসিমুখ করে সোজা হয়ে বসলাম— কই কিছুনা তো।
উনি ভ্রু কুচকে বললেন– তোমার বিশ্বাস নেই। একা বাসায় রেখে গেলে আবার পালিয়ে যাবে না তো? তার থেকে ভালো আমার সাথে শপিং এই চলো।
না না!! কোনো দরকার নেই। এই অবস্থায় আমি কিছুতেই বাহিরে যাবো না।
কি অবস্থায়?
কি অবস্থায় আবার….. ঘুম ঘুম অবস্থায়….. আমার চোখে রাজ্যের ঘুম। অনেক ঘুম পাচ্ছে আপনি বুঝবেন না। পরে দেখবেন রাস্তার মাঝখানেই ঘুমিয়ে যাবো।
আচ্ছা সেটা দেখা যাবে তুমি আগে চলো।
প্লিজ ঈশান বললাম না আমি যাবো না?
তোমাকে যেতে হবে। না হলে তুলে নিয়ে যাবো। চলো এখনি রেডি হও ফাস্ট। নো এক্সকিউজ।
উনার কথায় মেজাজ আমার চরমে উঠে গেলো। বিছানার পাশে কাচের গ্লাসটা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেললাম.। চিৎকার করে বললাম–
যাবো না যাবো না যাবো না!! এক কথা কয়বার বলতে হয় আপনাকে??
ঈশান হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। আমি যে এমন কিছু করবো এটা উনি একদম এক্সপেক্ট করেন নি। দরজা ধাক্কানোর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। ডাইনা বা রাক্ষসী কেউ মনে হয় ছুটে এসেছে ভাঙাভাঙির শব্দে। আমি মাথা নিচু করে বসে রইলাম।
🍂
তোকে_দিয়েছি_মন❤
পর্ব – ৪০
Writer: Sidratul muntaz
🍂
বিশাল বিছানার ছোট্ট কোণ জুড়ে বসে আছি আমি। পেট আকড়ে ধরে বসে আছি। ঈশান কিছুক্ষণ আগে বেরিয়েছেন। আমার সাথে একটা কথাও বলেন নি। যাওয়ার আগে বাই পর্যন্ত বলেন নি। অভিমানে কান্না আসছে এবার। কেনো যে তখন গ্লাসটা ভাঙতে গেলাম! আফসোস হচ্ছে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা কবে শিখবো আমি? সুন্দর গ্লাসটা ভেঙে এখন নিজেরই রাগ হচ্ছে। পছন্দের গ্লাস ছিল ওটা। আচ্ছা ঈশানকে ফোন করে ঠিক সেইম একটা গ্লাস আনতে বললে কেমন হয়? না থাক বাবা,,, পরে ঝারি টারি দিলে আরো মনখারাপ লাগবে। এমনিতেই পেটের ব্যাথা সহ্য হচ্ছে না তার উপর যদি উনি ধমকায়…. তাহলে তো কেদেই দিবো। আমার ভাবনার মাঝপথেই দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকল ডায়না। হাতে বড়সড় একটা ডিশ। ডিশে অনেক খাবার। যেগুলোর গন্ধ শুনলেও আমার বমি আসছে। ডায়না খাবার গুলো টেবিলে রাখতে রাখতে বলল–
আর কিছু লাগবে ম্যাম?
আমি আড়চোখে ডায়নার দিকে তাকিয়ে বললাম–
এগুলো কে আনতে বলেছে?
ম্যাম আপনার ব্রেকফাস্ট…..
আমি কি ব্রেকফাস্ট চেয়েছি?
না তা চান নি। কিন্তু ম্যাম টাইম তো হয়ে গেছে। আর স্যার ফোন করে বলেছেন আপনার ব্রেকফাস্ট উপরে পৌছে দিতে। আপনি নাকি নিচে নামতে পারবেন না। তাই আমি এভাবে নিয়ে আসলাম।
ডায়নার কথা শুনে অবাক হলাম আমি। উনি আমার সাথে কথা বলেন না অথচ ডাইনিকে ফোন করে বলে আমার কাছে ব্রেকফাস্ট পাঠাতে? করবো না ব্রেকফাস্ট। কিছু খাবো না। একটা দানা পানিও না। দাত কিড়মিড়িয়ে বলে উঠলাম—
নিয়ে যাও এসব। কিচ্ছু খাবো না।
ডায়না করুন দৃষ্টিতে বলল– ম্যাম প্লিজ! স্যার খুব রেগে যাবে।
স্যারকে বলবে আমাকে যেন ফোন দেয়। এবার তুমি যাও।
ডায়না ছোট্ট একটা হতাশার নিঃশ্বাস টেনে টেবিল থেকে খাবারগুলো তুলে নিল। মাথা নিচু করে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। আমি আগের মতোই বসে রইলাম। ইচ্ছে করছে শুধু শুধু চিৎকার করতে। নিজের চিৎকারের প্রতিধ্বনি নিজেই শুনতে। উফফ!! অসহ্যকর। এক টানে মাথায় আটকানো পাঞ্চ ক্লিপটা খুলে ফেললাম আমি। ছুড়ে দিলাম ফ্লোরে। মুহুর্তেই আলমারির নিচে ঢুকে গেল পাঞ্চ ক্লিপ টা। আর আমি পেট খামচে বসে রইলাম। চোখ দিয়ে বৃষ্টি নামছে। আর মনের ভিতর চলছে রাগের বন্যা। তীক্ষ্ণ শব্দ করে ফোনটা বেজে উঠল হঠাৎ। মেজাজটা আরো বিগড়ে গেল। বিরক্তি দমিয়ে হাত তুলে নিলাম ফোন। ঈশানের ছবিটা দেখে শান্ত হওয়ার চেষ্টা চালালাম। লম্বা কয়েকটা শ্বাস টেনে কল রিসিভ করলাম —হ্যালো।
ব্রেকফাস্ট করবে না?
ইচ্ছে করছে না।
আচ্ছা কি ইচ্ছে করছে বলো?
আমি কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে হুট করে বলে উঠলাম — আচ্ছা রিসিপশনে কি মা- ভাইয়া আসবে না?
হ্যা আসবে।
তাহলে কখন? কবে আসবে? রিসিপশন তো কালই।
তাহলে আজই আসবে।
মানে?
মানে…. দে আর অন দ্যা ওয়ে।
সত্যি বলছেন?
হুম। তারিফের সাথে মাত্র কথা হলো। ওরা এখন কুমিল্লা ক্রস করছে।
সিরিয়াসলি?? সবাই আসছে? বুড়িটাও আসছে?
হ্যা আসছে। সবাই আসছে।
আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। আপনাকে অনেক অনেক থ্যাঙ্কস! আই লভ ইউ!! কিন্তু আগে কেনো বলেন নি?
এখন বলার জন্য আগে বলিনি!
উনার কথায় হাসলাম আমি। উনিও হালকা হাসলেন। আমি ব্যস্ত সুরে বললাম–
আচ্ছা তাহলে এখন আমি এবার ব্রেকফাস্ট করতে যাই।
আ. ওয়েট ওয়েট। তার আগে একটা কথা বলোতো?
কি কথা?
কিটক্যাট নাকি ক্যাটবেরি? কোনটা বেশি ফেভারিট তোমার?
আমি আরেকবার হেসে উৎসাহ নিয়ে বললাম– ক্যাটবেরি!
ওকে। রাখছি তাহলে। ড্রাইভিং এ আছি তো। বাই।
আচ্ছা বাই।
আমি ফোনটা কেটে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম। এবার ইচ্ছে করছে ধুম ধারাক্কা ডান্স দিতে। কিন্তু সেটা হয়ে উঠল না। তার আগেই আরেকবার দরজায় ঠকঠক শব্দ করে ভেতরে ঢুকল ডায়না। এই মেয়ের কি সমস্যা বুঝিনা৷ এবার এসেছে হাতে ল্যাপটপ নিয়ে।
— ম্যাম,, সরি ফর ডিস্টার্ব। বাট একটা জরুরি বিষয় জানার ছিল।
কি বিষয়??
ডায়না ল্যাপটপ টা আমার কাছে এনে বলল–
ম্যাম টেক আ লুক। আপনি কি উনাকে চিনেন? মেয়েটা অনেক ক্ষন ধরে নিচে দাড়িয়ে আছে। বারবার শুধু আপনার কথা বলছে। আপনার সাথে নাকি দেখা করতে চায়।
আমি ল্যাপটপ টা হাতে তুলে নিলাম– কে দেখি!
সিসিটিভি তে জায়মার চেহারাটা সরাসরি দেখা যাচ্ছে। কাধে বাদামী রঙের একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে বড় গাছটার নিচে দাড়িয়ে আছে জায়মা। পরনে সাদামাটা সেলোয়ার কামিজ। নীল ওরনার আচল দিয়ে ক্রমাগত গলার ঘাম মুছে যাচ্ছে সে। এদিক ওদিক চোখ বুলাচ্ছে বারবার। আমি নির্বাক চোখে তাকিয়ে আছি। এই মেয়ে এইখানে কিভাবে আসল ভেবে পাচ্ছি না। থাঞ্চুকে খুজতে চলে আসলো না তো আবার? যদি থাঞ্চুর বিষয়ে জানতে চায়? জায়মাকে বাসায় ঢোকানো কি ঠিক হবে? ডায়নার ডাকে চমকে উঠলাম আমি–
ম্যাম আপনি কি চেনেন মেয়েটাকে? ভেতরে আসতে দিবো নাকি চলে যেতে বলবো?
আমি উত্তর খুজে পাচ্ছি না। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে আমার। শুকনো গলায় ঢোক গিলে বললাম–
আচ্ছা মেয়েটা আমার সাথে কেনো দেখা করতে চায়? কোনো কারণ বলেছে?
না ম্যাম কারণ বলছে না। শুধু বলছে খুব জরুরি দরকার।
আমি সাহস যুগিয়ে বললাম– আচ্ছা পাঠিয়ে দাও।
ম্যাম আপনি সিউর?
হ্যা! পাঠাও। তবে তুমি দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকবে।
ওকে ম্যাম।
ডায়না ল্যাপটপ হাতে বেরিয়ে গেল। আর আমি নিজেকে শক্ত করার প্রচেষ্টা চালাতে লাগলাম। জায়মার প্রতি দুর্বল হওয়া চলবে না। আগের মতোই স্ট্রিক্ট থাকতে হবে আমায়।
🍂
চলবেন