#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#Writer_Sarjin_Islam [ সারজীন ]
#Part: 1
রেস্টুরেন্টে এর সামনে গাড়িতে হেলান দিয়ে বিরক্তিকর ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মিহান। প্রায় আধা ঘন্টা হতে চললো দাঁড়িয়ে আছে। মেঘ করেছে আকাশে, হালকা হালকা বাতাস বইছে। মিহানের চুলগুলো বাতাসে এলোমেলো হয়ে কপালের সাথে লেপ্টে আছে। দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে রেস্টুরেন্টের দিকে এগোয়। রেস্টুরেন্টে ঢোকার আগে কিছু শুনে দাঁড়িয়ে যায় মিহান, তাকিয়ে দেখতে পায়, এক ছেলে আর একটা মেয়ে ঝগড়া করতে। ছেলেটা ভয়ে গুটিয়ে আছে, মেয়েটা ছেলেটাকে বকেই যাচ্ছে, ছেলেটা কিছু বলছে না দেখে মেয়েটা ছেলেটার গালে থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়। ছেলেটা গালে হাত দিয়ে বলে।
—” সরি।”
—” তোকে আমি বলেছি না আমি ছাড়া অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবি না! তারপরও তুই কথা বললি কেনো?”
—” আমি কথা বলতে চাইনি। মেয়েটাই তো আগে এসে কথা বলেছে।”
—” তুই জানিস না তোকে আমি অন্য মেয়ের পাশে সহ্য করতে পারিনা।”
—” এবারের মত মাফ করে দাও আর কখনো এমন হবে না।”
—” সত্যি তো?
—” একদম সত্যি।
মিহান এদের খুনসুটিময় ভালোবাসা দেখে ঠোঁটের কোণে হাঁসি ফুটে ওঠে। কাঁধে কারো স্পর্শ অনুভব করে পিছনে তাকায়। মুহুর্তেই গম্ভীর হয়ে বলে,
—” আধা ঘন্টা ধরে আমি তোর জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, তোর কোনো কমনসেন্স নেই। হসপিটাল থেকে সোজা এখানে এসেছি। ডাফার কোথাকার। আমার বোন হয়ে এতো ক্যাবলা কী করে হতে পারিস অনু?”
অনু ওর ভাইয়ের কথা কানে না দিয়ে ভেঙ্গেই ভেঙ্গেই বলে,
—” আমার বোন হয়ে এতো ক্যাবলা কী করে হতে পারিস অনু? এই শোন আমি এতক্ষন বার্ডে পার্টিতে ছিলাম বুঝলি? এসব জায়গায় একটু দেরি হয় সেটা তোর মত বোরিং ডাক্তার বোঝবে না।”
মিহান চোখ ছোট ছোট করে কোমরে দুই হাত রেখে বলে,
—” আমি বোরিং?”
—” তুই শুধু বোরিং না, তুই মহা বোরিং একটা লোক।”
মিহানে আর কথা না বাড়িয়ে একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” গাড়িতে উঠ দেরি হয়ে যাচ্ছে।”
মিহান তাড়াতাড়ি গাড়ি ড্রাইভ করছে আকাশের অবস্থা ভালো না যে কোনো সময় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। অনু মিহানের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” আচ্ছা ভাইয়া তুই তখন রেস্টুরেন্টের সামনে ঐ ভাইয়া আর আপুটাকে দেখে হাসছিল কেনো?”
মিহান ঠোঁটের কোণে হাঁসি রেখে বলে,
—” মিরার কথা মনে পড়ছিলো।”
অনু খুব উৎসুক হয়ে বলে,
—” আমার না মিরা আপুকে দেখার খুব ইচ্ছে আছে। তোর মত বোরিং,ক্যাবলাকান্তকে গরু থেকে এতো হ্যান্ডসাম করলো ভাবা যায়।”
মিহান অনুর কথা শুনে হেসে দেয়। আকাশ চৌধুরী আর মায়া চৌধুরীর বড় সন্তান মিহান চৌধুরী।মিহানের ছোট বোন আরিশা চৌধুরী সবাই সংক্ষেপে অনু বলে ডাকে। অনু সবে কলেজে উঠেছে। মিহান কে দেখতে কোনো নায়কের চেয়ে কম নয়। মিহান পেশায় একজন নামকরা ডাক্তার। ডিনার করে চৌধুরী বাড়ির সবাই হল রুমে আড্ডা দিতে বসে। আকাশ চৌধুরী অনু কে জিজ্ঞাসা করে,
—” তা অনু মামনি তোমার ফ্রেন্ডের বার্ডে পার্ট কেমন ইনজয় করলে?”
অনু বিরক্তিকর ভাব নিয়ে বলে,
—” তোমার ছেলের জন্য কোনো কিছুর যো আছে?”
অনুর কথা শুনে মায়া চৌধুরী বলে,
—” মিহান তুই আবার অনু কে কিছু বলেছিস তাই না?”
মিহান অনুর দিকে তাকিয়ে দাঁত দাঁত চেপে বলে,
—” নো মম আমি কিছু বলিনি। তোমার মেয়েই তো সব সময় আমার পিছনে লেগে থাকে কী করে আমাকে হারাস করা যায়। আর তোমার ডাফার মেয়েকে কিছু বলা যায় তাহলে তো আরো চারটে কথা আমাকে শুনিয়ে দিবে।”
মিহানের কথা শুনে অনু রেগে ফুঁসতে থাকে। আকাশ মজার ছলে বলে,
—” তোমার যত কথা আমাদের সামনে মিরার সামনে তো দাঁড়ানোর সাহস নেই। ও এখন কোথায় আছে জানিস কিছু?”
—” ওর সাথে আমার দশ বছরের বেশি সময় ধরে যোগাযোগ নেই, কিন্তু আমি ওকে ভালোবাসি। ছোটবেলায় আমাকে যেভাবে কথায় কথায় থাপ্পড় লাগিয়ে দিতে না জানি এখন কত বড় গুন্ডি হয়েছে। তাই তো ওকে আমি খুব ভয় পাই। আর এখন কোথায় আছে তা জানি না কিন্তু মিরা বলেছিলো ওর লেখাপড়া শেষ হলে দেশ এসে আমার সাথে দেখা করবে।”
—” আহা! আমার গুন্ডি ভাবী।”
অনুর কথা শুনে সবাই ফিক করে হেসে দেয়। মায়া সবার দিকে তাকিয়ে বলে,
—” অনেক আড্ডা হয়েছে, এবার যাও সবাই ঘুমিতে।”
মিহানের মমের কথায় ঘুমতে চলে যায় সবাই।
__________________________________________
লন্ডনে একজন নামকরা বিজনেস ম্যান নিলয় খান। নিলয় খানের স্ত্রী নিতু খান কিচেনে রান্না করছে নিজের হাসব্যান্ড আর মেয়ের জন্য। রান্না মাঝে নিতু খানের ফোন বেজে ওঠে স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ডেনির নাম। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলতে শুরু করে।
—” মেম মিরা মেম আজ আবার মারামারি করেছে।”
—” আমি আর এই মেয়েটাকে নিয়ে পারিনা। এখন কোথায় মহারানী?”
—” স্যারের সাথে আছে।”
—” এই বাপ মেয়ের জ্বালায় আমি পাগল হয়ে যাবো। আজ আবার কেনো মারামারি করেছে?”
—” আজ তো মিরা মেমের মিটিং ছিলো, মিটিং শেষ করে ভার্সিটি গেছিল গেট দিয়ে ঢোকার সময় কোথা থেকে একটা ছেলে এসে মেমকে প্রপোজ করে তারপর যা হবার তাই হইছে।”
—” ছেলেটা কেমন আছে এখন?”
—” আমি হসপিটালে এডমিট করে দিয়েছি।”
—” আজ আসুক বাড়িতে বাপ মেয়ে।”
নিলয় খান আর নিতু খানের একমাত্র মেয়ে মিরা খান। মিরা পড়াশোনার পাশাপাশি ওর পাপার বিজনেস সামলায়, রাগটা বরাবরি একটু বেশি, মারামারি না করলে ওর দিন যায় না। মিরার পাপা মিরাকে সব বিষয়ে সাপোর্ট করে। মিরার মাম্মা রেগে হল রুমে বসে আছে, দুই তিন জন সার্ভেন্ট পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এরমধ্যে মিরা আর ওর পাপা বাড়িতে ঢুকছে। মিরার মাম্মা ভালো করে তাকিয়ে দেখে মিরার শার্ট কোমরে বাঁধে রেখেছে এক হাত দিয়ে ওর পাপার হাত ধরে আছে অন্য হাত দিয়ে আইসক্রিম খেতে খেতে হেঁটে আসছে।
—” আসুন মহারাজ! আসুন রাজকন্যা! বলুন আমি আপনাদের জন্য কী সেবা করতে পারি।”
মিরার পাপা আর মিরা দুজন দুজনের দিকে তাকিয় তারপর মিরা বলে,
—” না মহারানী আমার কিছু চাই না। আপনি চাইলে আপনার মহারাজের জন্য কিছু করতে পারেন।”
মিরার কথা শুনে মিরার পাপা আর সার্ভেন্টরা মুখ টিপে হাসতে শুরু করে। মিরার মাম্মা রেগে বলে,
—” ঐ আমি কী তোর সাথে মজা করছি?”
—” কই না তো?”
—” তুই আজ আবার মারামারি করেছিস?”
মিরা ওর পাপাকে ফিসফিস করে বলে,
—” পাপা তোমার বউ তো রেগে বোম হয়ে আছে। এখন কী করবে, আর ঐ ডেনির বাচ্চা আবার মাম্মাকে সব বলে দিয়েছে।”
—” দাঁড় আমি দেখি।”
—” তোমরা দুইজন ফিসফিস করে কী বলছো?”
—” তেমন কিছু না মিরাকে বলছিলাম ও ঠিক ওর মাম্মার মত হয়েছে।”
—” আমার মেয়ে আমার মত হবে না তো কার মত হবে?”
—” না মাম্মা তা বলেনি, বলেছে আমি না কি তোমার মত গুন্ডি হয়েছি।”
—” কী?”
—” এই না আমি একথা বলিনি, মিরা তুই আমাকে ফাঁসাছিস কেনো?”
—” তুমি কী বলতে পারো তা আমি ভালো করেই জানি। আজ তুমি আমার সাথে ঘুমতে পারবে না। আজ আমি মিরার সাথে ঘুমাবো।”
একথা বলে মিরার মাম্মা ওখান থেকে চলে যায়। মিরার পাপা মন খারাপ করে বলে,
— তুই এইভাবে আমাকে ফাঁসালি! তুই জানিস না আমি তোর মাম্মাকে ছাড়া ঘুমতে পারিনা।
—” ও পাপা তুমি চিন্তা করো না। আমি জানি একটু পর মাম্মার রাগ কমে যাবে। তুমি মাম্মার জন্য এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে যাও তাহলেই হবে। আর আমি খুব ভালো করেই জানি তোমরা দুজন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারো না।”
মিরার কথা শুনে ওর পাপার ঠোঁটের কোণে হাঁসি ফুটিয়ে তুলে গাল টিপে দিয়ে বলে।
—” পাকা বুড়ি আমার।”
মিরা ওর পাপার কথায় ফিক করে হেসে দেয়।
চলবে..🍁
#না_চাইলেও_তুই_আমার_02
#Writer_Sarjin_Islam [ সারজীন ]
#Part:2
ভোরের পরিবেশ টা বেশ শীতলময়। কাল রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। গাছপালা, রাস্তাঘাট এখনো ভেজা আছে। রাস্তায় তেমন একটা মানুষ নেই বলেই চলে, যারা আছে তারা সকালে হাঁটতে বের হয়েছে। ঠিক তেমনি মিহান বের হয়েছে প্রকৃতির সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে। মিহান প্রায়াই বেরিয়ে পরে সকাল বেলার পরিবেশ উপভোগ করতে। বেশ কিছুক্ষণ হেঁটে আবার বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করে মিহান। বাড়ি আসতে না আসতে মিহানের ফোন আসে। স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে হসপিটালে থেকে ফোন এসেছে।
—” হ্যালো।”
—” মিহান স্যার একটা সুইসাইড পেশেন্ট এসেছে, রাজিব স্যার পেশেন্ট দেখতেছে, তিনি আপনাকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে আসতে বলেছেন।”
—” ঠিক আছে আমি আসছি।”
মিহান ফোন রেখে রুমে ঢুকতে ঢুকতে বিরবির করে বলে,
—” কেনো যে এরা সুইসাইড করে কে জানে?
মিহান তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নিচে নেমে মমকে বলে,
—” মম একটা এমার্জেন্সি পরে গেছে, আমি হসপিটালে খেয়ে নেবো তুমি চিন্তা করো না। আসি আমি।”
—” সাবধানে যাস।”
মিহান বেরিয়ে গেলে মম কিছুক্ষণ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে মনে মনে বলে,
—” সেই ছোট বেলায় স্কুলে বসে খেলার ছলে মিরা একদিন বলেছিল ও বিয়ে করলে কোনো ডাক্তারকে বিয়ে করবে, সেটা শুনে মিহান বাড়ি এসে আমাকে বলেছিলো ও বড় হয়ে ডাক্তার হবে। কী অদ্ভুত ভালোবাসা ওদের।”
অনু এসে ওর মমকে হাসতে দেখে ভ্রু কুঁচকে মমের সামনে এসে হাত ধরে ঝাঁকুনী দিয়ে বলে,
—” কী হলো মম একা একা হাসছো কেনো?”
—” মিরা আর তোর ভাইয়ের জন্য।”
অনু কৌতুহল নিয়ে বলে,
—” কেনো? কেনো?”
মম অনুর গালে হাত দিয়ে হাঁসি মুখে বলে,
—” পরে একসময় বলবো।”
অনু বিরক্ত হয়ে বলে,
—” ধুর! তুমি সবসময় আমার সাথে এমন করো।”
মম হালকা হেসে বলে,
—” অনেক কথা হয়েছে রেডি হয়ে নে, কলেজে যেতে হবে না!”
অনু মুখ গোমড়া করে বলে,
—” হুম।”
অনু চলে গেলে মমও চলে যায় তার কাজে।
__________________________________________
মিরা গাড়ির উপর বসে আছে, মিরার সাথে আছে ওর দুই বেস্টফ্রেন্ড প্রেম আর প্রিয়া। ডেনিকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। ডেনি কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে,
—” মেম সরি মাফ করেদিন।”
—” ডেনি ভাই আমার! তোকে মাফ করা যাবে না, তুই আমার সবথেকে বড় শত্রু। আমি কখন কি করি সব কথা মমের কানে তুলিস।”
প্রিয়া মিরার কথা কানে না দিয়ে ডেনিকে বলে,
—” ভাইয়া আপনি কান ছাড়ুন তো। জানেই তো আমাদের মিরা কেমন? আর মিরা ডেনি ভাইয়া তো সব তোর ভালোর জন্যই করে।”
মিরা চোখ গুলো বেশ ছোট ছোট করে বলে,
—” ওকে! আমিও তোদের একটা ভালো করি? তোরা দুজনে যে প্রেম করছিস তা তোদের মাম্মা আর পাপাদের বলে দেই।”
মিরা কথা শুনে প্রেম ভয় পেয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বলে,
—” বোন আমার তোর পায়ে পড়ি তাও এই উপকার করিস না।”
প্রেমের কথা শুনে প্রিয়া রেগে বলে,
—” ঐ তুই মেয়েদের মত করছিস কেনো? ভালো যখন ভেসেছি তাহলে এত ভয় পাচ্ছিস কেনো?”
মিরা ওদের কথা শুনে হাসতে হাসতে বলে,
—” প্রিয়া তুই জানিস না আমাদের প্রেম তার পাপা কে ভিশন ভয় পায়।”
মিরার কথা শুনে প্রিয়াও হেসে দেয়। আর প্রেম মুখ গোমড়া করে বসে থাকে।
মিরা মাম্মা দুপুরের পর থেকে মন খারাপ করে বসে আছে। সন্ধ্যা হতে চললো কিন্তু সেদিন তার খেয়াল নেই। মিরার পাপা অফিস থেকে এসে দেখে মিরার মাম্মা উদাসিনী হয়ে আছে। তিনি নিতু কে কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
—” কী হয়েছে আজ হঠাৎ এতো চুপচাপ?”
—” মা ফোন করেছিলো, নীলা সুইসাইড করার চেষ্টা করছে?”
নিলয় অবাক হয়ে বলে,
—” কী?”
—” হুম।”
—” কিন্তু কেনো? আর এখন কেমন আছে?”
—” মার থেকে যতটুকু জেনেছি, নীলা কাউকে ভালোবেসে কিন্তু তার বিয়ে তার ফ্যামিলি অন্য কোথাও ঠিক করে তাই নীলা এমন করেছে। ঠিক সময় হসপিটালে নিয়ে যাওয়া তেমন কিছু হয়নি।”
—” এই আজ কালদের ছেলে মেয়ে কিছু হলেই সুইসাইড। একবারো বাবা মায়ের কথা ভেবে দেখে না।”
—” ছাড়ো এখন এসব কথা। তুমি নীলিমা আর তাওহীদের সাথে ফোনে কথা বলে ভালো ভাবে সবকিছু জানো।”
—” ঠিক বলেছো। আমি এখনি কথা বলছি।”
নিলয় খানের বাবা আজিজ খান এবং মা নিরুপায় খান। তাদের দুই সন্তান, বড় ছেলে নিলয় খান, মেয়ে নীলিমা খান, নীলিমা খানের স্বামী তাওহীদ হোসেন, বড় নীলা হোসেন, ছোট মেয়ে নিঝুম হোসেন। মিরা বাড়ি ফিরে দেখে মাম্মা পাপা মন খারাপ করে বসে আছে। মিরা ওদের দিকে তাকিয়ে বলে,
—” পাপা মাম্মা তোমরা দুইজনে আপসেট হয়ে বসে আছো কেনো? কিছু হয়েছে?”
নিলয় ছোট নিঃশ্বাস ফেলে বলে,
—” তোমার নীলা আপু সুইসাইড করার চেষ্টা করছে।”
মিরা অবাক হয়ে বলে,
—” কী কেনো?”
তারপর নিলয় আর নিতু মিরাকে সব কিছু খুলে বলে। সব শুনে মিরা কিছুক্ষণ ভেবে বলে,
—” পাপা আমি কাল বাংলাদেশ যাবো। তুমি সব ব্যবস্থা করে ফেলো।”
মিরার মাম্মা বলে,
—” কেনো তুই গিয়ে কী করবি?”
—” কিছু করবো না। পাপা তুমি সব ব্যবস্থা করে ফেলো।”
এই বলে মিরা ওখান থেকে চলে যায়। একথা শুনে মিরার মাম্মা আর পাপা দুজন দুজনের দিকে অবাক হয়ে তাকায়।
চলবে…🍁