পর্ব ১৪+শেষ
নেশা Returns
Ayusha Akter Usha
“”14″”
সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে আছে।কুয়াশা নেশাকে খাইয়ে দিচ্ছে।আর নেশা চুপচাপ খাচ্ছে।তার গলা দিয়ে খাবার নামছে না।বাইরে সাফার না খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক পলক তাঁকে দেখার জন্য আর সে এখানে বসে বসে গিলছে।কিছু বলতেও পারছে না তার বাবার জন্য।সে জানে এখন যদি সে না খায় তো তার বাবাও খাবে না আর তার বাবা না খেলে তার মা ও খাবে না।তাই চুপচাপ গিলতে হচ্ছে তাকে।কোনো রকম একটু খানি খেয়েই নেশা বলল
-হয়েছে আর খাবো না।
-হয়েছে মানে কিছুই তো খেলি না।
-আমার পেট ভরে গেছে মা আর খেতে পারবো না।
বলেই আর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে করে গেল।সম্রাট কুয়াশা তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।মেয়ে টা দুদিনে কেমন চুপসে গেছে।অন্যদিন হলে এতক্ষণে কথা বলে তাঁদের কান পাকিয়ে দিত।একাই পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখত।কিন্তু আজ একটা কথাও মুখ ফুটে বলল।আজ মেয়ে টা বাড়িতে থেকেও কেমন যেন বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।সম্রাট হাত ধুয়ে উঠে গেল।
-কোথায় যাচ্ছেন।
-নিজের মেয়ের ভবিষ্যত ঠিক করতে।
বলেই বাড়ির বাইরে চলে গেল।কুয়াশা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।সম্রাট এসে সাফারের সামনে দাড়ালো।সম্রাটকে দেখেও না দেখার ভান করে বসে রইল সাফার।
-কেন চলে যাচ্ছো না এখান থেকে।
-বলেছি তো নেশাকে ছাড়া আমি কোথাও যাবো না।
-কেন এমন করছ।
-ভালোবাসি তাই।
-তুমি যে নেশা কে ভালোবাসো তা আমি কি করে বিশ্বাস করব।তুমি তো সবসময় আমার ওপর প্রতিশোধ নিতেই মেতে আছো কে বলতে পারে এটাও তোমার একটা চাল নয়।
-আপনার বিশ্বাস করা আর না করাতে আমার কোনো যায় আসে না।
-প্রমান করতে পারবে তুমি আমার মেয়ে কে সত্যি ই ভালোবাসো।
– প্রয়োজন বোধ করি না।
-তাহলে নেশাকে ভুলে যাও।
-ইমপোসিবল।
-চেষ্টা করলে সবই পসিবল।
-আমি সেই চেষ্টা টা করতে চাই না।
-আমার মেয়ের জন্য তুমি তোমার কালো দুনিয়ার ক্ষমতা ছাড়তে পারবে।
সম্রাটের কথা শুনে সাফার একবার তার দিকে তাকিয়ে আবার অন্যদিকে তাকালো।সম্রাট নিজের পকেট থেকে একটা কার্ড বের করে সাফারের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল
-সময় হলে আমার অফিসে চলে এসো।
-তার প্রয়োজন হলে না।
-তাহলে নেশাকে ভোলার প্রয়োজন পরতে পারে।
বলেই বাইকের ওপর কার্ডটা রেখে চলে আসার জন্য পেছনে ঘুরতেই সাফার বলে ওঠে
-বারবার নেশা কে ভোলার ভয় দেখাচ্ছেন আমাকে?
সম্রাট ওইভাবে দাঁড়িয়ে ই বাঁকা হেসে বলল
-প্রয়োজন পরে তাই।
বলেই হেলতে দুলতে ওখান থেকে চলে গেল।সাফার সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করে নেশা কে কল করল।নেশা পরার টেবিলে বসে ছিল।তবে পরছিল না সাফারের কথাই ভাবছিল।কিছুক্ষণ আগেই বারান্দায় গিয়েছিল।কিন্তু সম্রাট কে দেখে চলে এসেছে।ফোন বাজতেই নেশা ফোন হাতে দেখে সাফার ফোন দিয়েছে।তুলবে কি তুলবে না করতে করতে তুলেই ফেলল
-এই মেয়ে আজ কি বারান্দায় না আসার পন করে রেখেছ নাকি।
-যাবোনা আমি বারান্দায়।
-কেন।
-কারন আপনি বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।
-আমি আছি তো কি হয়েছে।
-আমি আর কখন ও আপনার সামনে যাবো না।
-কেন।তোমার জন্য আমি এত কষ্ট করে এইসব নরমাল ড্রেস পরে কার ছেড়ে বাইক নিয়ে এতক্ষন ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি আর তুমি বলছ তুমি আমার সামনে আসবে না।
-হুম আসল নাই তো।যে কেউ আমার স্বপ্নের রাজকুমার সেজে এলেই আর সে আমার স্বপ্নের রাজকুমার হয়ে যাবে না।
-তোমার রাজকুমার হওয়ার ইচ্ছে ও আমার নেই।আমি সাফার সাফার ই ওকে।আর তোমার জন্য বাইক নিয়ে শুধু এই সাফার ই আসবে অন্যকেউ আসার আগেই আমি তাকে শেষ করে ফেলব।আর তুমিও অন্য কাউকে এসপেক্ট ও করনা।এখন চুপচাপ বারান্দায় এসো।
-যাবো না।
-তুমি আসবে নাকি আমি যাবো।
-কোথায়
-তোমার রুমে
-কিভাবে আসিবেন।
-তুমি খুব ভালো করেই জানো এই সাফার কি করতে পারে।তুমি বাইরে আসবে নাকি আমি ভেতরে যাবো।
-তার কোনো প্রয়োজন হবে না আমি আসছি।
নেশা বাধ্য মেয়ের মতো বারান্দায় এসে দাড়ালো।এই লোকের কোনো গ্যারান্টি নেই।বলার সাথে সাথে রুমে চলে আসতে পারে।কিন্তু নেশা একদম ই এই রিস্ক নিতে চায় এই মূহুর্তে।
-নেশা
-হুম
-তোমার আজ খুব সুন্দর লাগছে।
কথাটা শোনার সাথে সাথে নেশার বুক ধক করে উঠল।সাফার একদৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।নেশা কোনোরকম কাপা গলায় বলল
-চলে যান প্লিজ।
-এই দূরত্ব টা সহ্য হচ্ছে না নেশা।তোমার অভ্যাস হয়ে গেছে আমার।
নেশা চুপ করে সাফারের কথা শুনছে।
-খুব তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি তোমায় নিজের করে আনবো।আই প্রমিস ইউ।
বলেই ফোন রেখে দিল সাফার।নেশা আর থাকতে না পেরে রুমে চলে গেল।তার খুব কান্না পাচ্ছে।সাফারের প্রত্যেক টা কথায় মায়া জড়ানো আছে যা তাঁকে সাফারের কাছে ভীষণ ভাবে টানছে।সাফার ও চুপচাপ বাইক স্টার্ট দিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।
কিছুদিন পর সাফার সম্রাটের অফিসে এসে হাজির হলো।রিসেপসনে গিয়ে সম্রাটের কেবিন নম্বর নিয়ে সেদিকে গেল।সম্রাট নিজের কেবিনে বসে ছিল।সিটি ফুটেজে সাফারকে আসতে দেখে বাঁকা হেসে বলল
-আমি জানতাম তুমি আসবে সাফার।এবার দেখ এই সম্রাট এখন কি করে।
সাফার সম্রাটের কেবিন খুজে ভেতরে ঢুকে পরে।
-কারো কেবিনে আসতে হলে নক করে আসতে আর যাঁরা এটা জানে না তাঁদের ম্যানারলেস বলা হয়।সাফার সম্রাটের কথা শুনে নিজের রাগ দমন করে আবার দরজার কাছে গিয়ে বলে
-মে আই কাম ইন।
-কথা টা কেমন জানি ফিল হলো না আমার।
সাফার দাঁতে দাঁত চেপে চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ গিলে বলল
-মে আই কাম ইন স্যার।
-ইয়েস কাম।
সাফার কেবিনে ঢুকে বসতে যাবে তখনি সম্রাট বলে উঠল
-আমি বসার অনুমতি দেয়নি।
সাফার এবার না বসে দাঁড়িয়ে রইল।
-আপনি আমাকে আসতে বলেছিলেন আমি এসেছি।
-হুম তোমার কাগজ পত্র
-কিসের
-তোমার শিক্ষা গত যোগ্যতা কি সেটা তো আমাকে জানতে হবে নাহলে আমি তোমাকে কিভাবে কাজে রাখি বলো।
-কোনো কাগজ পত্রের প্রয়োজন নেই।ইচ্ছে মতো একটা কাজ দিলেই হবে তবে সেটা আমার লেভেলের হওয়া চাই।
-আর ইউ সিওর।
সাফার কিছু বলল না।
-ওকে আমি দেখছি তোমাকে কি কাজ দেওয়া যায়।
সম্রাট নিজের টেবিলে থাকা ঘন্টা টা বাজালো।কিছুক্ষণ এর মধ্যেই একজন পিওন এসে বলল
-আসতে পারি সার
-ইয়েস কাম ইন।
-জি সার ডেকেছিলেন।
-হুম।একে নিজের সাথে নিয়ে যাও।ও এখন থেকে তোমাদের ওয়ার্ডে কাজ করবে।আর হ্যা ওকে একটা ড্রেস ও দিয়ে দিও।
-হোয়াট কি বলছেন এসব।আমি ওদের ওয়ার্ডে কাজ করব মানে।
-হ্যা আমার মতে তোমার শিক্ষা গত যোগ্যতা অনুযায়ী তোমাকে কাজ দিচ্ছি।এন্ড একদম তোমার লেভেলের।
সাফার রেগে দু হাত টেবিলে রেখে বলল
-হোয়াট ডু ইউ মিন মি সম্রাট।
-আই মিন টু সে…আজ থেকে তুমি একজন পিওন……..।।।।।
“”15″”(Last Part)
অনেক দিন ধরেই সাফার সম্রাটের অফিসে পিওন এর কাজ করে।এক ই তো সে এসব কাজে অভ্যস্ত নয় তার ওপর আবার তার নিজের রাগের ওপর কোন্ট্রল নেই।তাই যখন তার কিছু কাজে ভুল আর কেউ তাঁকে সেটার জন্য কথা শোনার সেদিন সেই লোকের দিন খুব খারাপ হয়।কারন সাফার হয় তার নাক ফাটায় না হয় তার মাথা ফাটায়।কি আর করা একজন মাফিয়া যখন ভালো মানুষের জগৎ এ তখন এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক।সম্রাট সাফারের এসব ব্যবহারে তার সামনে স্ট্রিক্ট থাকলে ও নিজের কেবিনে এসে একা ঠিক ই হেসে কুপোকাত হয়।কারন একটা সময় ছিল যখন সে নিজেও বারবার এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে।আর আজ সে আর এক জন কে দেখছে।ঠিক তার ই মতো।
হঠাৎ একদিন সম্রাট সাফার কে নিজের কেবিনে ডেকে পাঠায়।সাফার এলে তার সামনে টেবিলে একটা কার্ড ছুড়ে মারে।সাফার কার্ডটা হাতে নিয়ে বলে
-হোয়াট ইজ দিজ।
-বিয়ের কার্ড।
-বিয়ের কার্ড ….কার??
-নেশার
-হোয়াট????কি বলছেন কি আপনি।নেশার বিয়ে মানে।
-নেশার বিয়ে মানে নেশার বিয়ে।এতে না বোঝার মতো কি আছে।আর ছেলে আমার ভীষন পছন্দের তাই দেরী না করে বিয়ের ডেট ফিক্স করে দিয়েছে।বিয়ের দিন চলে চলে এসো।আপনি মজা করছেন আমার সাথে।আমি নেশার জন্য এখানে পরে আছি আর আপনি বলছেন নেশার বিয়ে।আবার সেই বিয়েতে আমাকে ইনভাইট ও করছেন।
-কেন ইনভাইট করাটা উচিৎ হয়নি বুঝি।তবে আমার তো মনে সেই বিয়েতে তোমার থাকাটা খুব দরকার।ইনফেক্ট চিপ গেস্ট হয়ে থাকা দরকার তোমার।
-বন্ধ করুন আপনার এসব মজা।আমি এত দিন এত সব কিছু সহ্য করছি শুধু মাত্র নেশাকে পাওয়ার জন্….
-ওয়েট ওয়েট ওয়েট কি বললে তুমি।তুমি আর সহ্য করছ।একটা কথা তোমাকে ক্লিয়ার করে দেই তুমি কিছু সহ্য করনি বরং আমি তোমাকে সহ্য করেছি ওকে।আর এখন আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।সো আমি তোমার ওপর কিছুতেই ডিপেন্ড করতে পারি না।তাই তুমি এখন থেকে অফিসে না আসলেই খুশি হবো।আর হ্যা বিয়েতে অবশ্যই মনে করে চলে আসবে।বেস্ট অফ লাক।
বলেই সম্রাট বেরিয়ে যেতে লাগল।আর সাফার পেছন থেকে চেঁচিয়ে বলল
-আপনি যাই করুন না কেন নেশা শুধু আমার।আর আমি তাকে অন্য কারো হতে দেব না।এর জন্যে আমার করা উচিৎ আমি তাই করব।আর পছন্দ করা ছেলে কেও আমি শেষ করে দেব।কেউ নেশার দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস ও পাবে।সি ইজ অনলি মাইন।গট ইট।
সম্রাট সাফারের কথা শুনে একটু থেমে বাকা হেসে ওখান থেকে চলে গেল।সাফারের রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে।সবকিছু শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে।হাতে থাকা কার্ডটা ছেঁড়ার প্রস্তুতি নিতেই মনে হলো আগে দেখে তো নিক যে কোন ইডিয়ট তার কাছ তার নেশা কে কাড়তে চাইছে।সাফার খাম থেকে কার্ড বের করেই মাথা ঘুরতে লাগল।সে স্বপ্ন দেখছে না তো।এ তো নেশার পাশে তার ই ছবি।তার ই নাম।তার মানে সম্রাট তার সাথে নেশার বিয়ে…..সাফার বাম হাতে মাথার পেছনে চুলকাতে চুলকাতে ভাবছে এই শশুর নামক প্যারাটা তো তাঁকে নাকানি চুবানি খাইয়েই ছাড়ল।।
💖💖
আজ সাফার আর নেশার বিয়ে সম্পন্ন হলো।বিদায়ের সময় নেশা তার মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেদেছে।কুয়াশা তার চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বাইরে নিয়ে এলো।কুয়াশা নিজেই ভেতর থেকে ভেঙে পরে কিন্তু মেয়ের সেটা সে প্রকাশ করতে চায় না।নেশা গিয়ে তার বাবা কে জড়িয়ে ধরল।সম্রাট এক হাতে তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে সাফারকে উদ্দেশ্য করে বলল
-মনে করো না আমাদের লড়াই এখানেই শেষ।এখন তো শুধু শুরু।এই লড়াই সারাজীবন চলবে আমাদের মাঝে।
তার কথা শুনে কুয়াশা নেশা দুজনেই অবাক হয়ে তাঁদের দিকে তাকালো।সাফার শান্ত দৃষ্টিতে সম্রাটের দিকে তাকিয়ে রইল।সে জানে সম্রাট কোন লড়াইয়ের কথা বলছে।
-যখন আপনার মেয়েকে পাওয়ার লড়াইয়ে আমি জিতেছি তাঁকে ভালোবাসার লড়াইয়ে ও আমিই জিতব।
সম্রাট একটু হেসে বলল
-অল দ্যা বেস্ট মাই সান ইন লো।
-থ্যাংকস।
-এই কথাটা কেমন জানি ফিল হলো না আমার।
সাফার একটু হেসে বলল
-থ্যাংকস বাবা।
সম্রাট সাফারকেও জড়িয়ে ধরল।আজ সম্রাটের চোখের কোনে জল জমেছে। সেটুকু সবার আড়ালে মুছে নিয়ে নেশা কে গাড়িতে উঠিয়ে দিল।সাফার ও উঠে বসল।গাড়ি তার আপন মনে চলতে লাগল।সম্রাট কুয়াশা দাঁড়িয়ে তার মেয়ের যাওয়া দেখতে লাগল।
-আসলেএ কত তাড়াতাড়ি বয় তাই না।আমাদের সেই ছোট্ট নেশাটাকে আজ আমরা বিদায় দিয়ে দিলাম।ও সুখে থাকবে তো।
বলেই কুয়াশা নিজের চোখের জল মুছল।সম্রাট এক হাতে কুয়াশা কে জড়িয়ে ধরে বলল
-আমি সাফারের চোখে সেই ভালোবাসা টা যা একসময় তোমার জন্য আমার মনে ছিল।আমি আমার মেয়ের জন্য কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।আমি নিশ্চিত সাফার তাঁকে নিশ্চয়ই সুখে রাখবে।হয়তো আমাদের থেকেও বেশি।
সাফার নেশাকে কোলে নিয়ে রুমে ঢুকল।গাড়িতে কাঁদতে কাঁদতে প্রায় ক্লান্ত হয়ে গেছে মেয়ে টা।নেশাকে বেডের ওপর শুইয়ে তার ওপর একটু ঝুঁকে বসল।
-আজ আমার অপেক্ষার শেষ হলো নেশা।আজ আমি তোমার একদম নিজের করে পেলাম।তবে জানো তো আমি তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য কখনো বিয়ের কথা ভাবিনি।যদি এই জিনিস আগে আমার মাথায় আসতো তবে অনেক আগেই তোমাকে বিয়ে করে ফেলতাম তখন দেখার এই প্যারা…..মানে বাবা আমাকে কি করে না মেনে থাকতো।
নেশার দিকে তাকিয়েই সাফার উঠে গেল।তার বাবাকে প্যারা বলার কারনে যে নেশা রেগে গেছে তা খুব ভালো করে এ বুঝতে পেরেছে সাফার।তাই প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য বলল
-নেশা তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও।এই ভারী সাজে আর কতক্ষণ থাকবে।
নেশা শোয়া থেকে উঠে বসে বলল
-কেন আমাকে এই সাজে ভালো লাগছে না বুঝি।
নেশার কথা শুনে সাফার নেশার একদম কাছে গিয়ে বলল
-তুমি যদি পেত্নি সাজেও থাকো তাহলেও আমি তোমার নেশাতে ডুবে থাকবো।যেমনটা এখন আছি।
নেশা সাফারের কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ থেকে রেগে সাফারের বুকে মারতে মারতে বলল
-ইউউ….আপনি আমাকে পেত্নি বললেন।
সাফার হাসতে হাসতে নেশার হাত দুটো টেনে বেডে শুইয়ে দিয়ে তার ওপর আধশোয়া হয়ে বলল
-তুমি পেত্নি হলেও শুধুই আমার বুঝেছো।
বলেই নেশার নাকে নাক ঘষল সাফার।তার কথা শুনে নেশা লজ্জায় যায় যায় অবস্থা।নেশার লজ্জা মাখা মুখ দেখে সাফার এর সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল।তার আর কোনো দিকে খেয়াল নেই।সে শুধু এখন নেশাতেই ডুব দেওয়ার নেশায় মেতে আছে।ওরা ভালোবাসার নেশায় মেতে থাকুক আর আপনার বলুন তাদের #নেশা আপনাদের কেমন লাগল
THE END…….