পর্ব ২+৩
নেশা Returns💞
Ayusha Akter Usha
“”2″”
-মাম্মাআআ পাপাআআআ মাম্মামমমম।।।।।।
নেশার ডাক শুনে কুয়াশা তাড়াতাড়ি করে নিজের রুম থেকে বের হলো।কুয়াশা কে দেখেই নেশা দৌড়ে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরল।।
-মাম্মাআআ।ওহ মাই গোড কতদিন পর তোমাকে দেখছি।এতদিন তোমাকে খুব মিস করেছি মাম্মা।।
কুয়াশা ও মেয়েকে জড়িয়ে ধরল।তার চোখ ছলছল করছে।
-মিস করলে এই ভাবে না বলে চলে যেতি না।জানিস কতটা ভয় পেয়ে গেছিলাম আমি।
-ওহহ মাম্মা তোমার কি মনে হয় আমি যদি পাপা কে বলে যেতাম তাহলে কি সে আমাকে একা একা ছাড়ত ঠিক তার ওই গার্ডসগুলোকে আমার পিছু পিছু পাঠাতে।তাই না বলেই যেতে হয়েছে।
-তাই বলে এইভাবে।
-তো??তোমার কি মনে পাপা জানেনা আমি কোথায় গিয়েছি?দেখ ঠিক সে আমাকে খুজে বের করেছিল।।
-হ্যা তা তো আমি করেছিলাম ই।
সম্রাটের গলা শুনে তারা সামনে তাকিয়ে দেখে সম্রাট দাঁড়িয়ে।নেশা মাকে ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে সম্রাট কে জড়িয়ে ধরল।
-কিন্তু তবুও আমি তোকে একা ছেড়েছি।কারন তুই স্বাধীনতা চেয়েছিস।আমি দিয়েছি তবে এটাই ফার্স্ট এন্ড লাস্ট টাইম ওকে।আর কখনও যেন এরকম টা না হয়।
-ওকে ওকে পাপা।
-তা এইকয়দিন কেমন কাটালি সিলেটে।
-সত্যিই পাপা ফ্রিডম যে এতটা সুন্দর হয় সেটা আমি এই প্রথম বুজলাম।কিন্তু তার মধ্যে ও তোমাদের আমি খুব মিস করেছি জানো তো।আর কক্ষনো তোমাদের ছেড়ে কোথাও যাবো না প্রোমিস।
-ওকে মাই লিটল প্রিন্সেস।আমি ও তোকে আর কখনো একা ছাড়ছিনা।
-হলো তোমাদের দুই বাবা মেয়ের ভালোবাসা।এখন যা গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।জলদি যা।
-উফফ পাপা বলোতো সবসময় পাপা মেয়ের ভালোবাসার মধ্যে মাম্মারা ভিলেন হয়ে কেন ঢুকে পরে।
কুয়াশা নেশা নাক টেনে দিয়ে বলল
-তোমাদের দুই পাপা মেয়েকে সোজা করতে মাম্মামকে তো ভিলেন হতেই হবে।এইবার যা তাড়াতাড়ি।
-ওকে যাচ্ছি।।
মন খারাপ করে নেশা উপরে নিজের রুমে চলে গেল।সম্রাট পকেটে হাত রেখে মেয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।মেয়েটা বড় হয়ে গেছে একা একা স্বাধীনতার খোঁজে বেরিয়ে পরেছে।।।
নেশা রাস্তার পাশ দিয়ে হাটছে।তার পেছনে চারটা হনুমান মার্কা বডিগার্ড ও।নেশা তাঁদের দেখে রাগ মাথায় চড়ছে।ইচ্ছে হচ্ছে এখান থেকে দৌড়ে পালাতে।কিন্তু দৌড়েও কোনো লাভ নেই।এই হনুমান রাও তার পেছন পেছন দৌড় লাগাবে।উফফ অস্হ্য।আরে আইডিয়া।।ইয়েস ।।।এখন যদি নেশা দৌড়োয় তার পিছু পিছু এরাও দৌড়বে।আর এই দৃশ্য পাবলিক দেখলে ভাববে দিন দাহারে এরা মেয়েদের পেছনে লেগেছে।তখন একেকটা পাবলিকের একেক টা কেলানিতে হনুমান থেকে বাদর হতে জাস্ট টু মিনিট লাগবে।এই হনুমানদের একটা শিক্ষা হয়ে যাবে।ওয়াহ নেশা ওয়াহ ইউ আর দ্যা গ্রেট।কে বলে তুই ইডিয়ট।কত বুদ্ধি তোর মাথায়।নেশা নিজেই নিজেকে বাহবা দিল এই প্লেনের জন্য।সে একবার এদিক ওদিক দেখেই দিল এক দৌড়।
-আরে ম্যাডাম কই যান।দাড়ান।কোথায় যাচ্ছেন ম্যাডাম।
বলেই তার বডিগার্ড রাও তার পেছন পেছন দৌড়।নেশা দৌড়াতে দৌড়াতেই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তায় পরে যায়।
-ওহ মাই গোড আমার কোমর।কোন দানবের বাচ্চা এইভাবে ধাক্…….
বলতে গিয়েই চোখ তুলে তাকিয়েই নেশা মুখ এক হাত হা হয়ে যায় এ তো সাফার।ওহ মাই গোড।হোয়াট আ হ্যান্ডসাম লুক।নীল শার্টের ওপর কালো ব্লেজার চোখে কালো সানগ্লাস।কানে ইয়ারফোন।ড্যাসিং হেয়ার।পকেটে হাত দিয়ে সেই এটিটিউড নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে।কিন্তু নেশা বেশিক্ষণ আর সাফার কে দেখতে পারলো না কারন তার আগেই সাফারের বডিগার্ড রা নেশার দিকে বন্দুক তাক করেছে আর নেশার গার্ডরা তাঁদের দিকে।এদের পজিশন দেখে মনে হচ্ছে এই মূহুর্তে তৃতীয় শুরু করার জন্য তারা প্রস্তুত।নেশা তাঁদের দেখে তাড়াতাড়ি উঠেই তার গার্ডসদের গান নামাতে বলল।সাফার ও হাতের ইশারায় তার গার্ডসদের সরে যেতে বলল।গার্ডসরা গান নামীয়ে সাফারের পেছনে গিয়ে দাড়ালো।নেশা সাফারকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সাফার নেশাকে না চেনার ভান করে পাশে থাকা অফিসের দিকে যেতে লাগল।নেশা হা করে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।তাঁকে ইগনোর করল ও।নেশা খান কে ইগনোর করল।এতো বড় অপমান।ইচ্ছে হচ্ছে এখুনি গলা টা টিপে দেয়।হাত গলা টেপার মতো করে বাড়িয়ে আবার নিচে নামিয়ে নিল।ধুর এত বড় একটা দানবের গলা ও কি করে টিববে।ওতো কত ছোট একটা লিটল প্রিন্সেস।এসব ই ভাবছিল কি তখনি নেশার মনে পরে সেদিন রাতে সাফার তার জন্য অনেক গুলো খরচ করেছিল আর সেগুলো সব শোধ করে দিতে চেয়েছিল নেশা।নেশা আবার দৌড়ে সাফারের দিকে যেতে লাগল
-এই যে শুনছেন হ্যালো।এই মি শূনছেন।
কিন্তু সাফার নেশার ডাক না শুনেই অফিসের ভেতর ঢুকে গেল।আর সাফারের গার্ডস রা নেশা ওখানেই আটকে রাখল।রাগে দুখে নেশা আবার পিছিয়ে এলো।এতো তাড়াতাড়ি একটা মানুষ কি করে একটা মানুষকে ভুলে যেতে।তার ওপর এইভাবে ইগনোর ও করল।সেদিন খুব বলেছিল আমার নেশার দিকে তে চোখ তুলে তাকাবে তাদের সবার একই অবস্থা হবে।আর আজকেই ভুলে গেল।নেশার চোখে জল চলে।সে চোখের জল টা মুছে হাটতে লাগল।হাঁটতে হাঁটতেই আবার থেমে গেল।আচ্ছা সে হাটছে কেন।পেছনে ফিরে গার্ডসদের দিকে রাগী লুক নিক্ষেপ করে বলল
-আমরা হাটছি কেন??
-জি ম্যাডাম ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায় আর আপনি ও জেদ ধরেন হেটে হেটে বাড়ি ফেরার জন্য।
-তো আমি যা বলব তোমরা কি তাই করবে।আমার কথা শোনার জন্য পাপা তোমাদের কাজে রেখেছে।সবসময় শুধু পিছু পিছু ঘুরে বেড়াও।মেয়েদের পিছু পিছু ঘুরতে খুব ভালো লাগে তাই না।
-জি মানে না ম্যাডাম।
-সাট আপ।এখুনি ড্রাইভার কে ফোন করো আর গাড়ি নিয়ে আসতে বলো।হারি আপ।
-ওকে ম্যাডাম।
নেশা বুকে হাত ভাজ করে অন্যদিকে তাকিয়ে মুখ চিপে হাসছে।।আজ সে খুব করে এই হনুমানদের জব্দ করতে পেরেছে।তার তো লাফানোর ইচ্ছে।হচ্ছে হিহি।।।।
to be continue….
“”3″”
লিফ্ট খুলতেই সাফার ওখান থেকে বেরিয়ে সামনের একশো চার নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে পরে।আর তার গার্ডরা তার পিছু পিছু এসে দরজার সামনে দু দিকে দাঁড়িয়ে পরে।রুমের মধ্যে বড় টেবিলের দুই পাশে বেশ কয়েকজন নাম করা বিজনেসম্যান বসে আছে।সাফার সোজা টেবিলের মাথায় গিয়ে দু হাত টেবিলে দিয়ে একটু ঝুঁকে দাড়ায়।এদের সবাইকে সাফারের লোক ভয় দেখিয়ে এখানে এনেছে।বিজনেসম্যান দের মধ্যে একজন বলে উঠল
-আমরা সবাই আপনার ডিল এক্সেপ্ট করলাম শুধু আমাদের ফ্যামিলির যেনো কিছু না হয়।
সাফার বাঁকা হেসে বলল
-obviously….আমি আপনাদের ওপর সন্তুষ্ট থাকলে আপনারাও আপনাদের ফ্যামিলি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন।শুধু সম্রাট খান কে টপ বিজনেসম্যান থেকে পথের ভিখিরি বানাতে হবে।মার্কেটে উনার ছোট বড় যত শেয়ার আছে সবগুলোকে ফার্স্ট আউট করতে হবে।সবগুলোর সেল ডাউন করতে হবে।আর এই জন্য আপনারা যা করার তাই করুন।আর আপনাদের প্রয়োজনীয়তা মিটিয়ে দেবার দায়িত্ব আমার।
সাফার টেবিল থেকে হাত উঠিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ব্লেজার ঠিক করতে করতে বলে
-এনিথিং এল্স।
-আপনি এত বড় একজন মাফিয়া হয়ে বিজনেসম্যান সম্রাট খানের ক্ষতি কেন চান।উনার সাথে আপনার কি শত্রুতা।
একজন খুব উৎসাহ নিয়ে জানতে চাইল।সাফার আবার খুব জোরে টেবিলে দুই হাত রেখে দাঁতে দাঁত চেপে বলল
-যা করতে বলা হয়েছে আপনি শুধু সেটুকুতেই মন দিন।বেশি এক্সাইটমেন্ট আপনার জন্য খুব খারাপ হতে পারে।
সাফারের ভয়ংকর রূপ দেখে সবাই দমে গেল।সাফার একবার সবার দিকে চোখ বুলিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের ব্লেজার ঠিক করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।সাফার অফিস থেকে বেরোতেই তাড়াতাড়ি গার্ডস এসে গাড়ির দরজা খুলে দিল।সাফার গাড়িতে বসতে ই গার্ডস কার স্টার্ট দিল।গাড়ি চলতে চলতেই হঠাৎ মাঝরাস্তায় থেমে যায়।সামনে কতগুলো সাদা গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে।গাড়ি গুলো দেখেই সাফারের ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটে উঠল।গার্ড এসে গাড়ির দরজা খুলে দিতেই সাফার গাড়ি থেকে নেমে সামনে যায়।সম্রাট পকেটে হাত রেখে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সাফার সম্রাটের সামনে যেতেই সম্রাট বলে উঠে
-খুব ভালোই চাল চেলেছো।কিন্তু একটা কথা কান খুলে শূনে রাখ এই সম্রাট এমনি এমনি এতদূর আসেনি।নিজের বিজনেস কিভাবে হাতে রাখতে হয় তা আমি খুব ভালো করেই জানি।
সাফার বাঁকা হেসে বলল
-হুম ট্রাই করতেই পারেন।কিন্তু সাফার চৌধুরির হাত থেকে আপনার মুক্তি নেই।তিলে শেষ করব আপনাকে।আমার বাবার খুনের প্রতিশোধ খুব নিখুঁত ভাবেই নেব আমি।
-গম্বজ ভুল করেছিল।আমি তার শাস্তি দিয়েছি শুধু।
-আর সেই শাস্তির পরিনাম টা এখন আপনাকে ভুগতে হবে।
-ভুলে যেওনা আমিও একসময় এই কালো দুনিয়ার কিং ছিলাম।ওই কালো দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসেছি বলে যে সবকিছু ভুলে গেছি তেমনটা একদম ভেবোনা।
-ছিলেন হয়তো আপনি কিং।কিন্তু এখন এই দুনিয়ার কিং আমি।আর এই কিং কি করে নিজের প্রতিশোধ নেয়ে সেটা এখন দেখবেন আপনি।জাস্ট ওয়াট এন্ড ওয়াচ।
বলেই সাফার দু হাত দুলাতে দুলাতে ওখান থেকে চলে এলো।সম্রাট সাফার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল।একসময় সে কুয়াশাকে কথা দিয়েছিল যে এই দুনিয়া য় সে আর ফিরবেনা।কিন্তু তার অতীত তাঁকে আবার ওই দুনিয়ায় টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
।
কুয়াশা নেশা খাইয়ে দিচ্ছে আর নেশা বকবক করছে।
-জানো মাম্মা আজ না ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় ওই লোকটার সাথে দেখা হয়েছিল।
-কোন লোকটা।
-আরে বলেছিলাম না যে সেদিন রাতে আমায় লিফ্ট দিয়েছিলেন উনি।
কুয়াশার মুখ অন্ধকার হয়ে যায়।
-তুই তো বলেছিলি ও একটা মাফিয়া।
-হ্যা তাই তো।কিভাবে আমার সামনেই ঠাকাঠাক ওই বাজে লোক দুটোর বুক গুলি মেরে ফুটো করে দিয়েছিল।বেশ করেছে।কি রকম আমার দিকে বাজে নজরে তাকাচ্ছিল পারলে আমার উপর উঠে যেত ইচ্ছে করছিল ওখানে মাথায় গুলি মেরে খুলি উড়িয়ে দেই।তবে আমার কাজটা উনি করে দিয়েছেন ভালোই হলো তাই না।
-মনুষ খুন করা ভালো কি করে হলো।আর দেখা হলো কি বললেন উনি।
-ধুর এটাই সমস্যা কিছুই তো বললেন না উনি।ফুল ইগনোর করে চলে গেলেন।
-হয়তো মনে নেই তোর কথা।
-মনে নেই মানে।মনে থাকবে না কেন।এই আমি যদি একঘন্টা একজনের সাথে থাকি তবে তার কাছে আমি অমর বকবকানি নামে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকি।আর সেখানে তো আভি উনার সাথে পুরো এক রাত বকবক করেছি।তাহলে এতো তাড়াতাড়ি উনি কি করে আমায় ভুললেন।
-আচ্ছা ভুলে ছে তো ভুলেছে এতে কি ই বা আসে যায়।
-আসে যায় অনেক কিছুই আসে যায়।
-মানে
-মানে আমি কিছু জানি না তবে উনার ইগনোর কেন জানি আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
কথাটা শোনার সাথে সাথে কুয়াশার বুক ধক করে ওঠে।কি বলছে নেশা।তাহলে নেশা শেষে একজন মাফিয়ার…..আর কিছু ভাবার আগেই কোথা থেকে সম্রাট এসে ডাইনিং টেবিলে নেশার পাশে এসে বসে।
-কি কথা হচ্ছিল শুনি।
-কিছুনা পাপা।তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে।
-এই তো এখানেই।সো মিসেস খান শুধু কি মেয়েকেই খাওয়াবেন নাকি আমাকে একটু ভাগ দেবে।
-কেন হবে না।এই তো দিচ্ছি।
বলেই সম্রাটের জন্য খাবার খুলতে যাবে তখনি সম্রাট বলে উঠে
-আরে একি করছ।আমি নিজে খাচ্ছি না।আমাকেও খাইয়ে দাও।
-কিহ আপনি কি ছোট বাচ্চা যে আপনাকে খাইয়ে দিতে হবে
-বারে ছোট বাচ্চা নই তো কি হয়েছে তোমার স্বমি তো
– মেয়ের সামনে কি শুরু করলেন বলুন তো।
-ওমা পিন্সেস আছে তো কি হয়েছে এতো আভার প্রতি তোমার ভালোবাসা।
নেশা খিটখিটিয়ে হাসতে লাগল।
-আপনি চুপ করবেন।
-ওকে লিটল পিন্সেস ক্লোজ ইউর আইস।তোমার মাম্মাস লজ্জা পাচ্ছে।
-ওকে।।।
নেশা জলদি নিজের চোখ কটকট করে বন্ধ করে নিল।
-এবার তো কোনো প্রবলেম নেই।এবার দাও তো খুব খিদে পেয়েছে।
-উফফ এরা বাবা মেয়ে দুই ই এক।
কুয়াশা এক গন্ডি রাগ নিয়ে সম্রাট কে খাইয়ে দিল।আর সম্রাট কুয়াশার রাগী লুক দেখে একটু হেসে চোখ টিপ দিল ।।।
to be continue….