#পরানের দুলাভাই”
#সেলিনা আক্তার শাহারা”
পর্ব-৯…
——-
এটাতো মিতু, মিতুকে দেখে নিতু নিচে বসে মুগ্ধর দিকে এক পানে চেয়ে আছে, মুগ্ধ শুধু চোখ লোকাচ্ছে নিতুর কাছ থেকে।
কিছুক্ষন আগে——
নিতুকে কলেজ এ দিয়ে মুগ্ধ অফিস এ চলে আসে, এর কিছুক্ষন পরই বাড়ি থেকে কল আসে,মুগ্ধ জেনো তারাতারি বাড়ি আসে,
মুগ্ধ ও জলদি বাড়ি আসে কি হল তা জানতে হবে।
বাড়ি এসে দেখে মিতু বসে আছে চেয়ার এ সাথে বাড়ির সবাই,
জাইন ও আছে দেখা যায়, মুগ্ধ কিছু বলবে তার আগেই মিতু সবার সামনে মুগ্ধ কে তার শার্ট এর কলার চেপে ধরে আর বলে ” তুমি আমায় ঠকিয়েছো তুমি কেমন করে আমারই বোন কে বিয়ে করে নিলে বলো কেমন করে ”
বলেই কান্না করতে থাকে,
আবার মুগ্ধকে জরিয়ে ধরে সাথে সাথে বলে মুগ্ধ আমি না হয় একটা ভুল করেছি তাই বলে তুমি এত বড় শাস্তি আমায় দিতে পারোনা না না কখনই না,
আমি আমার সপ্ন পূরনের জন্য তেমার থেকে দূরে গিয়েছিলাম, কিন্তু তুমিই আমার বড় সপ্ন ছিলো তা দূরে গিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম।
তাই তোমার কাছে ছুটে আসি,
বাড়ি এসে দেখি মা বাবা বাড়িতে নেই ওনারা ফুপিদের বাড়ি গেছে তাই জাইন দের বাসায় গিয়ে সব শুনেই এখানে এসেছি,
প্লিজ মুগ্ধ আমায় ফিরিয়ে দিও না তুমায় ছারা আমি বাচবনা, বলেই মিতু মুগ্ধের পা ধরে বিনতি করতে থাকে।
মুগ্ধের মুখ থেকে কোন কথা বের হচ্ছে না, কারন এত দিন পর তার ভালোবাসার মানুষ টা কাছে এসে এমন বিনতী করছে তাকে কি করে সে ফিরাবে।
আর নিতুকেই বা কি বলবে সে,
আমিতো নিতুকে ভালোবেসে ফেলেছি আর অনেক এগিয়েও গেছি বিবাহিক জীবন এ এখান থেকে নিতুকে রেখে ফিরে আসা অসম্ভব,
মনে মনে নিজের সাথে নিজেই যুদ্ধ করছে সে,
কি করবে এখন মুগ্ধ, প্রথম ভালোবাসা নাকি বৌ এর ভালোবাসা মায়া মমতা।
নিরবতা ভেংগে,
মুগ্ধ মিতু কে টেনে দার করিয়ে বলে, আমিতো তোমায় ছেরে জায়নি মিতু তুমি চলে গিয়েছিলে,
একবারও আমার কথা ভাবলেনা যে তুমি বিহিন আমার কি হবে,বিয়ের পর জদি তোমার সপ্ন পূরন করতে চাইতে তাহলে তো আমি বাধা দিতাম না,
এতটা কি পর ছিলাম যে আমার কাছে বলতেও পারলেনা, এক টুকরো কাগজ লিখে, কত গুলো মন ভেংগেছো তা তুমি জানোনা মিতু।
সে দিন আমার মন রাখতে আমার পরিবার তুমায় মেনে নিয়েছিলো,
তার পর তুমার কান্ডের পর আমি তাদের কথাই রেখেছি নিতুকে বিয়ে করে।
এত ক্ষন শুধু পরিবার এর সবাই সব শুনছিলো, কেউ তাদের মাঝে কথা বলেনি,
কনিকা এদিকে মিতুর বাবা মা কে সব জানায়, আর তারা আসছে বলে কল কেটে দেয়।
ভালোবাসার কাছে সব তূচ্ছ মুগ্ধ আমি ফিরে এসেছি আমার মুগ্ধর কাছে আর কোথাও জাবোনা কোথাও না বলে আবার জরিয়ে ধরে, ( মিতু)
মুগ্ধ মিতুকে কে ছারাতে চাইলেও ছারাতে পারছেনা,
মুগ্ধ এবার জুরে ধাক্কাদিয়ে মিতুকে ছারিয়ে বলে সরি আপনার মুগ্ধ এখানে থাকে না,
এই মুগ্ধটা এখন নিতুকে আকরে বেঁচে আছে,
না হলে আপনার একম কান্ডের পর আমি বেঁচে মনে হয় থাকতে পারতাম না,
আমি এখন বিবাহিত আমার বৌ আছে সংসার আছে, ভালোবাসা মানুষ এখন নিতু আপনি নন,
আপনি আমার অতিত, আর বর্তমান এ আমি আপনার ছোট বোন এর স্বামি, তাই একম কিছু করবেন না অন্তত যাতে এই সম্পর্ক কলংকিত হয়।
বলেই মুগ্ধ তার রুম এ চলে গেলো,
মিতু এবার চিৎকার করে বললো আজ তোমার কাছে ভালবাসার চেয়ে বৌ বড় হয়ে গেলো এই তোমার ভালোবাসা,,
অনিকা এবার পিছন থেকে এসে বলে,
হ্যা বৌ ই বড় তুমি কখনও আমার ভাইটাকে ভালো বাসনি যদি বাসতে তাহলে এভাবে ছেরে চলে জেতে না,
★★ বৌ এর কাছে সব প্রেমিকাই মূলহীন/ বৌ এর কাছ থেকে স্বামির ভালোবাসাই প্রথম আর শেষ হয়।
আর যারা বৌ এর কাছ থেকে ভালোবাসার দোহাই দিয়ে কোন প্রেমিকা যদি অন্যের স্বামিকে কেড়ে নিয়ে জায়, তাহলে ঐ প্রেমিকা কখন ও ভালোই বাসেনি, ★★
বলেই অনিকা শোফায় গিয়ে বসে,
এবার
মিতু টেবিল থেকে চাকু নিয়ে আসে, এবং তার হাত কেটে ফেলে,
মুগ্ধ তোমায় জদি না পাই তাহলে এ জীবন আর রাখব না বলেই নিতু আরেকটা হাত ও কেটে ফেলে।
জাইন পাশ থেকে এসে মিতু বলে চিৎকার করে উঠে রক্তে ফ্লোর ভরে জাচ্ছে,
বাড়ির সবাই অবাক মিতুর কান্ডে,মুগ্ধও দৌরে রুম থেকে বের হয়ে মিতুর হাত চেপে ধরে,
আর ডাক্তার কে খবর দেয়।
এসব কান্ডে নিতুর কথা প্রায় ভুলেই গেছে মুগ্ধ,
মিতুকে ব্যান্ডেজ করে কিছু ঔষধ লিখে ডাক্তার চলে গেলো,
মিতুকে মুগ্ধর রুমেই শুইয়ে ছিলো কোলে করে নিয়ে মুগ্ধ,
মিতু ঘুমাচ্ছে, আর মুগ্ধ পাশে বসা ছিলো।
মিতু এমন কান্ড করবে তা ভাবতে পারেনি মুগ্ধ,
কি করবে মুগ্ধ নিতুকে ছারতে পারবে না নাহ কোন মূল্যেই নয়,
নিতুকে বরো ভালোবেসে ফেলেছে মুগ্ধ, নিতুর এমন বাচ্চামু মাখা কথা তার ভালোবাসা তার জীবনের বর অংশ আজ নিতু, সে খানে মিতুর জায়গাটা নেই, নিতু কে সে বলেছিলো মনে একটু জায়গা করে নিতে, কিন্তু নিতু একটু নয় পুরো রিদয় জুরে জায়গা করে বসে আছে, সে খানে আর কারো অস্তিত্ব নেই।
কিন্তু মিতু এমন পাগলামো করলে তাও তো মানতে পারছেনা,
মিতুর ঘুম ভাংলো একটু পর,
মুগ্ধ মিতুর দিকে তাকিয়ে বললো, হুম কেমন লাগছে( মুগ্ধ)
হুম ভালো ( মিতু)
ওকে তাহলে জাইনকে নিয়ে তোমার বাড়ি চলে জাও, আমি চাইনা নিতু এসব এর কিছু জেনে কষ্ট পাক,
আর যাই করো আমি নিতুকে ছারতে পারব না কোন কিছুর মূল্যেই না, পুরেটা মন জুরে নিতুর বাশ সেখানে একচুল জায়গা নেই কারো জন্য,
কথাট বলেই মুগ্ধ রুম থেকে চলে জেতে লাগলো,
মিতু উঠে পিছন থেকে এসে মুগ্ধকে জরিয়ে দরলো,
মিতুকে ছারিয়ে সামনা সামনি করে মিতুকে ধমক বললো প্লিজ এগুলা করবেন না দয়া করে আমি আপনার ছোট বোন স্বামী,
কথা বলা শেষ হতেই আবার মিতু মুগ্ধকে জরিয়ে ধরে , আর এমন সময়ই নিতুর আগমন।।।
বর্তমানে
নিতু এক মনে মুগ্ধর দিকে চেয়ে আছে,
বাড়ির সবাই এরই মধ্যে এসে হাজির হয়েছে।
মিতু মুগ্ধর কাছে থেকে ছুটে এসে নিতুকে ঠাশ করে এক চর মেরে দেয়,
মুগ্ধ সহ বাড়ির সবাই অবাক মিতুর কান্ডে, নিতুর এত কোন প্রতিক্রিয়া নেই সে শুধু মুগ্ধর দিকেই তাকিয়ে আছে,
নিতুকে টেনে তুলে মিতু দুই হাত চেপে ধরে বলে, কি করলিতুই এমন সর্বনাশ বোন হয়ে তুই করতে পারলি বল কিভাবে পারলি,
তুই ছোট থেকেই আমার সব জিনিস কেরে নিয়েছিস আর আজ মুগ্ধকে কেড়ে নিয়েছিস বলেই আবার চড় মারতে গেলে মুগ্ধ হাত চেপে ধরে বলে,
বাস বহুত হয়েছে আপনার নাটক আপনি আমার বৌ এর বড় বোন তাই সন্মান দিচ্ছি তবে আর নয় আমার সামনে এসে আমার বৌ এর শরিলে হাত তুলবেন, সাহস হয় কি করে,
চিৎকার করে মুগ্ধ বললো।
নিতু অবাক হয়ে মুগ্ধর দিকে চেয়ে কাদঁছে—
চলবে।।
এবার পাঠক এরা বলুন কি মনে হয়??
নিতু কে মারায় মুগ্ধ রাগ করেছে, তাই বলে কি মিতুকে ছেরে দিবে??
আর নিতুকে আপন করে নেবে???
নাকি নিতুর জীবনে এক ঝর আসতে চলছে।