#পুতুল_বউ
#Afxana_Junayed
#পর্ব_২১
মারজিয়া ভাবে গিফটটা পুতুল তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ও গুলো দিয়েছে,কিন্তু সে শিউর না।এখন কি করবে ভেবে পায়না সে,আবার বলল ‘চকলেট খাও আমার প্রেমে গলে যাও’ এইসব কি?আর বার্ডের কথা তো পুতুল ছাড়া কারো জানার কথা না। যদি অন্য কেউ দিয়েও থাকে তাহলে আমার বাড়ির এড্রেস জানলো কীভাবে,এর মধ্যে যদি ওই পুতুলের হাত থেকে থাকে ওকে তো আজকে আমি খেয়েই ফেলবো।
বলে তরিঘড়ি করে কোনো মতে মাথায় হিজাব বেধে প্যাকেটটা নিয়ে পুতুলদের বাসার উদ্দেশ্য রওনা দেয়।জলদি করে রিকশা নিয়ে পুতুলদের বাড়ির সামনে এসে দৌড়ে গেট দিয়ে ভেতরে চলে যায়।দারোয়ান মারজিয়াকে চিনে বিধায় বাধা দেয় না তবে অবাক হয়ে চেয়ে থাকে এতো তাড়াহুড়ো দেখে।
মারজিয়া ধুপধাপ করে পা ফেলে ড্রয়িং রুমে গিয়ে পৌছাতেই দেখতে পায় পুতুল হাতে একটা আপেল নিয়ে কামরাতে কামরাতে উপরে উঠছিলো মারজিয়াকে এমন করে আসতে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।আরেকবার আপেলে কামড় দিয়ে ভ্রু নাচাতে নাচাতে মারজিয়ার সামনে এসে বলে,
-কিরে তুই না তখন ছ্যাত করে উঠে আমাকে একা ফেলে চলে আসলি।কি ভেবেছিস আমি একা আসতে পারবোনা হা দেখ জলজ্যান্ত পুতুল তোর সামনে দাঁড়িয়ে আছে,যাই হোক ওইসব কথায় না আসি এই তোর হাতে কিরে?
বলে মারজিয়ার হাতের প্যাকেটটা ধরে টানাটানি শুরু করে দেয়।মারজিয়া চারো দিকে তাকিয়ে দেখে ড্রয়িং রুমের সব কাজের লোক পুতুলের আম্মু সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে,মারজিয়া পুতুলের হাত শক্ত করে ধরে থামিয়ে দিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে জোর পূর্বক একটা হাসি দিয়ে পুতুলকে টানতে টানতে উপরে নিয়ে যায়।পুতুলের ঘরে এসে দরজা আটকে দিয়ে, পুতুল খপ করে মারজিয়ার হাত থেকে প্যাকেট নিয়ে বলে,
-আমার রাগ ভাঙানোর জন্য গিফট নিয়ে এসেছিস?উম সেটা আগে বললেই হতো এরকম টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসার মানে কি।
মারজিয়া পুতুলের কথায় ফুসতে ফুসতে পুতুলের হাত থেকে টান দিয়ে নিয়ে বলে,
-এটা কি?
-আজব তুই এনেছিস তুই জানিস এটা কি!
-এটা তুই দিস নি?
-আজব আমি কেন দিবো আমি আরো ভাবলাম তুই আমার জন্য এনেছিস।
-তার মানে কালকের ব্যপারে তুই কিছু জানিস না?
-আরে আজব কি বলছিস এইসব?মাথা খারাপ করার ধান্দা না?কিন্তু আমি এইসব পাত্তা দিবোনা,যেই দিয়ে থাকুকনা কেনো দেখি এর ভেতর কি আছে।
মারজিয়া চুপ হয়ে যায় কালকে তার জন্মদিন সেটা পুতুল ভুলে গেছে তাহলে তো আদারস কারো জানার কোথাই না কে দিলো!
সেদিন কোনো মতে পুতুলকে পার্সেল এর কথা বলে শাড়ীটা দেখিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলো।রাতে সে নির্ঘুমে রাত কাটাচ্ছে,ঘরের দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে বারোটা তিন বাজে,তার কোনো পারসোনাল ফোন নেই যা দরকার হয় মার ফোন দিয়ে করে,পুতুলের সাথে টুকটাক মেসেজ করে সিম নাম্বারে এতটুকুই।শোয়ার এক মিনিট আগে পুতুলের একটা মেসেজ পায় যেখানে লেখাছিলো “কালকে স্কুলে যাবো না একটু ঘুরতে যাবো তোর যাওয়ার দরকার নেই।” মারজিয়া আর কোনো রিপ্লে করে না,কালকে তারও যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই।এইযে তার নিজের বেস্টফ্রেন্ড যে এমন একটা দিনের কথা ভুলে গেছে তাতে তার কোনো আফসোস নেই।সে চাইলে জানাতে পারতো তাকে,এবং অবশ্যই তাকে কিছুনা কিছু নতুনত্ব দিতো কিন্তু তাতে তার বিন্দু মাত্র লোভ নেই।তার জীবনে এমন কয়জন মানুষ এসেছে তাতেই সে নিজেকে ভাগ্যবান থেকে কম মনে করে না।
সকালে মারজিয়াদের বাড়ির উঠোনে দুটো চেয়ার পেতে বসে আছে মারজিয়া আর তার মা।মারজিয়ার মা বাটিতে করে পায়েশ এনে চামচ দিয়ে তাকে খাইয়ে দিচ্ছে,যেটা প্রতিবারি করে।
মারজিয়া আনমনে খেয়ে যাচ্ছে হঠাৎ তার মাথায় আসলো ‘তার মা দিলোনা তো গিফটা’ মারজিয়া একবার তার মা এর দিকে তাকালো পরক্ষণেই মাথা ঝাকা দিয়ে বলল ‘ধুর আমার মা কি এইসব বুঝে নাকি’ বলে আবার গালে হাত দিয়ে বসে রইলো।
মারজিয়ার মা শেষের পায়েস টুকু মারজিয়ার মুখে তুলে বাটিটা সাইডে রেখে মারজিয়ার গালে হালকা করে একটা চড় মারে।মারজিয়ার ঘোর কেটে যায় এতো ভাবনার মধ্যে হঠাৎ মায়ের চড় খেয়ে যেনো আরো অবাক হয়ে যায়।হা করে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে,মারজিয়ার মা কিছুটা উচ্চ স্বরে ক্ষোপ নিয়ে বলে,
-তোকে কতবার বলেছি এভাবে গালে হাত দিয়ে থাকবি না।গালে হাত দেওয়া অলক্ষুণে লক্ষ্মণ!
-ওহ মা তুমিও না ভয় পায়িয়ে দিয়েছিলে।
-হুম আর কখনো যেনো এভাবে গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে না দেখি।
মারজিয়া খানিকটা বিরক্তি নিয়ে ভেতরে চলে গেলো।মারজিয়ার মা পেছন থেকে তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলো ‘এই মেয়ের এই রাগ কবে যে কি পরিনতি করে আল্লায় জানে’ বলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চলে যায়।
মারজিয়ার বিছানায় এসে নানা রকমের চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যায়,,তার ঘুম ভাঙে মায়ের ফোনের রিংটোনে,যেটা তার বালিশের নিচেই ছিলো।ঘুম ঘুম চোখে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে ‘শ্রেয়াপু’ নামে সেভ করা।এই সময় আবার ভাবিপু কেনো ফোন দিলো।মারজিয়া উঠে বসে ফোনটা রিসিভ করা মাত্রই ওপাশ থেকে শ্রেয়া বলে উঠে,
-হ্যা হ্যালো মারজিয়া।
-জ্বী আসসালামু আলাইকুম ভাবি
-হ্যা ওয়ালাইকুম সালাম।
-মারজিয়া এখন কি তুমি ফ্রি আছো?
-কেনো ভাবিপু কোনো দরকার?
-আসলে তুমি তো জানোই পুতুলের জীদ এর কথা একবার যা বলবে তাই করতে হবে,আর এয়ো হয়তো জানো আজকে তার আমার আর প্রণয় এর সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো,কিন্তু আকস্মিক তোমার ভাইয়াত জরুরি কাজ থাকায় যেতে পারছে না আমারো কিছু কাজ আছে,এখন নাকি তার যেতে হবেই সেই কখন থেকে ঘর বন্ধ করে বসে আছে।এখন তো একা ওকে ছাড়া যায়না বলছিলাম কি মারজিয়া তুমি কি একটু পুতুলের সাথে যাবে?
মারজিয়া কিছু সেকেন্ড ভাবে,তারো একটু ঘুরতে যেতে মন চাচ্ছিলো এতে করে মনটা একটু ফ্রেশ লাগবে।তাই মারজিয়া ‘হ্যা’ করে দেয়।
শ্রেয়া কল কেটে দেয়।পেছন থেকে পুতুল পিলপিল করে বেড় হয়ে ভাবির দিকে শয়তানি হাসি দিয়ে বলে,
-ডান??
শ্রেয়া একটা মুচকি হেসে বলে,”ডান!” পুতুল ভীষণ এক্সাইটেড হয়ে যায়।টুকুস করে চুমু খেয়ে বলে ‘এক ঢিলে দুই পাখ’ প্রবাদটা আজকে সত্যি হয়েই গেলো।শ্রেয়া ভ্রু কুঁচকে পুতুলের দিকে তাকিয়ে বলে,
-তুই আবার কি বুদ্ধি করছিস হ্যা?
-কিছুনা ভাবিপু তুমি তোমার কাজ করতে থাকো।
বলে আরেকটা চুমু দিয়ে দৌড় দেয়।
মারজিয়া রেডি হয়ে বেড় হতে যাবে তখন ফোনে পুতুলের নাম্বার থেকে মেসেজ আছে ‘তোর শাড়ীটা নিয়ে আসিস আমি পড়বো’
মারজিয়া আর বেশি কিছু না ভেবে শাড়ির প্যাকেটটা নিয়ে পুতুলদের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দেয়।এমনিতেও সে যেহেতু জানেনা কে দিয়েছে তাই ভেবেছে পুতুলকে দিয়ে দিবে।
পুতুল দরজা দিয়ে শুধু উকি দিচ্ছে মারজিয়া আসছে নাকি।আর বার বার ফোন চেক করছে,বেশি সময় নেই একটু পর সন্ধ্যা নেমে পড়বে আবার তাদের বাড়ি ফিরতে হবে।তার ভীষণ খুশি খুশি লাগছে,মারজিয়াকে এতো গুলা থ্যাংস দিতে মন চাচ্ছে আসলে অনেকগুলা চুমু দিবে।
প্রণয় সেদিন দিয়েই যাচ্ছিলো পেছন থেকে পুতুলকে এমন উঁকিঝুঁকি করতে দেখে সে আস্তে আস্তে যেয়ে পুতুলের পেছনে গিয়ে দাঁড়ায়।কিন্তু পুতুলের ওদিকে হুশ নেই,সে এক পা উচু করে বাহিরের দিকে মাথা বের করে রাখছে।প্রণয় পেছন থেকে পুতুলের মাথায় বাড়ি দেয়,হঠাং এমন হওয়ায় পুতুল তাল সামলাতে না পেরে পড়তে পড়তে বেচে যায়।সামনের দেয়াল আকরে ধরে কোনো মতো দাঁড়ায় বুকে হাত দিয়ে একটা বড় শ্বাস নিয়ে সামনে তাকায় কে তা দেখার জন্য।দেখে তার গুনোধর ভাই দুই হাত ভাজ করে তার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁত কপাটি বের করে হেসে যাচ্ছে।
পুতুল চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলে,
-তুই আমাকে ধাক্কা দিলি কেন কু’ত্তা যদি পড়ে যেতাম!
-গেলে যেতি!এখানে দাঁড়িয়ে এরকম উঁকিঝুঁকি দিয়ে কি দেখছিলি দেখি।
বলে এক হাত দিয়ে পুতুলের মাথা সরিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে সামনে তেমন কেউ নেই শুধু একটা মধ্যে বয়সি লোক যে এই গ্রামে ধান চাষ করে,তাদের বাড়িতে ধান দিতে এসেছে।প্রণয় হালকা হেসে মজা নেওয়ার জন্য পুতুলের দিকে তাকিয়ে মুখের নাজেহাল অবস্থা করে বলল,
-ছি কাঠপুতল এই বয়সে শেষে কিনা রাসেল (ধান চাষক লোকটা) এর দিকে লুকিয়ে লুকিয়ে তাকিয়ে আছিস?তুই কি আমাদের সম্মান রাখবিনা?অবশ্য ভালোই হলো সারাবছর ফ্রিতে ধান পাবো।
বলে আবার হাসতে লাগলো।পুতুল রাগে গজগজ করতে করতে একটা জোরে চিৎকার দিয়ে প্রণয়ের চুল টেনে ধরে,
-দেখ ভাইয়া তোর মজা বন্ধ কর এখানে আমি মারজিয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম।
মারজিয়ার কথা শুনে প্রণয়ের পুতুলের কাছ থেকে নিজের চুল রক্ষা করে,শার্টের কলার ঠিক করে বলল,
-ওহহ মারজিয়া তো কই তোর বান্ধুবি দেখিনা তো।
বলে মাথা উঁচু করে আবার উকি দিতে থাকে প্রণয়।পুতুল প্রণয়কে একটা ধাক্কা দিয়ে বলে,
-চরিত্রহীন।
প্রণয় পুতুলের কথায় পাত্তা না দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে যেতে বলে,
-আমার বউ আছে,,
পুতুল একটা ভেংচি কাটে,আবার একি ভাবে উকি দিয়ে মারজিয়ার অপেক্ষা করতে থাকে।
চলবে..!#পুতুল_বউ
#Afxana_Junayed
#পর্ব_২২
মাঝারি সাইজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আধ ভাজ হওয়া চকলেট কালারের শাড়ি গায়ে পেচিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে নিজেকে দেখছে পুতুল।প্রায় আধ ঘন্টা হতে চলল এই শাড়িটা নিয়ে এমন লাগায় দিছে,একবার গায়ে জড়াচ্ছে তো একবার শরীর থেকে শাড়িটা ফেলে বলতেছে না পড়বোনা।তার পাশের চৌকির পায়ায় মাথা ঠেকিয়ে বসে বসে এর নাটক দেখছে মারজিয়া।সেই কখন থেকে বসে বসে এর নীর্তকালাম দেখে যাচ্ছে সন্ধ্যা প্রায় নেমে এসেছে,
এভাবে আরো কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর পুতুল শাড়িটা মারজিয়ার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে,
-ধুর থাক আমার এইসব শাড়ি ফাড়ি পড়া লাগবেনা ভাই।আমি আমার এইসব ড্রেসেই ঠিক আছি।একটা কাজ কর শাড়িটা তুই পড়ে নে তোকে সুন্দর লাগবে,এমনিতেও শাড়িটা তো তোরই।
ধুক করে উঠে মারজিয়া, ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে পুতুলের দিকে তাকায়।এক ভ্রু উঁচু করে চোখ ছোট ছোট করে বলল,
-আমি রাস্তা দিয়ে এতো কষ্ট করে শাড়িটা টেনে আনলাম এখন তুই বলছিস পড়বি না?
-হুম তাই তো বললাম তুই পরে নে।এমনিতেও তো তুই শাড়ী পড়তে পছন্দ করিস।
-কেন আমি কেন পড়বো আমার বিয়ে লাগছে নাকি,আর যানি না চিনিনা কে দিয়েছে সেটারও কোনো আন্দাজ নেই তাহলে পড়বো কেনো।
পুতুল এইবার পড়ে যায় বেফাদে আর কি বলবে মুখে আসছে না।আবার একটা কিছু মাথায় আসতেই চট করে বলে ফেলে।
-চিনি না জানিনা মানে,এমনো তো হতে পারে তোর মা তোকে সারপ্রাইজটা দিয়েছে কিন্তু এখনো বলে নাই।
-আমার আম্মু কেন আমাকে সারপ্রাইজ দিবে আজকে কি বিশেষ দিন নাকি।তা ছাড়া আমার আম্মু ওসব অর্ডার ফর্ডার কিছু বুঝেনা।
-উফফ মারজিয়া কথার এতো প্যাচ ধরিস কেন।মনে কর এটা তোর কাছের কেউ দিয়েছে এইবার পড়ে নে প্লিজ বোন আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।
-কখনোই না,
-তোর এই জেদ এর জন্যই আর ভালোলাগেনা।প্লিজ একটু পর অন্ধকার নেমে আসবে তখন আর বেশিক্ষণ বাহিরে থাকতে পারবোনা।
এভাবে কিছুক্ষণ অনুনয় করার পর।অবশেষে মারজিয়া কিছু একটা ভেবে শাড়িটা পরে নেয়।পুতুল তো খুশিতে একটা লাফ দেয় মারজিয়ার সন্দেহ লাগে এইসব দেখে।সামনে এসে যখনি পুতুলকে জিজ্ঞেস করতে যাবে তার আগেই পেছন থেকে স্নিগ্ধা এসে লাফাতে লাফাতে বলে,
-ফুপি ফুপি তোমরা কই যাও আমিও যাবো আমিও যাবো ফুপি।
এই সময়ে স্নিগ্ধাকে দেখে পুতুলের কপালে অটোমেটিক হাত চলে যায়।এইবার কি হবে?এখন যদি এই মেয়ে তাদের সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে তাহলে তো সব ভেস্তে যাবে হায় আল্লাহ।
ভাবনার মাঝেই পুতুল দেখে মারজিয়া স্নিগ্ধাকে কোলে নিয়ে বলছে
-হ্যা যাবে তো আমাদের সাথে আমি নিয়ে যাবো তোমায়।
চোখ বড় বড় করে ফেলে পুতুল।
-মানে কি আমরা ওকে নিবো কেন?এ্যাইই না স্নিগ্ধা জিদ ধরবে না বলে দিলাম
-আরেহহ তুই চুপ থাক ও আমাদের সাথে গেলে কি হবে?যাও স্নিগ্ধা তুমি রেডি হয়ে আসো,আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।
বলে স্নিগ্ধাকে কোল থেকে নামিয়ে দেয় মারজিয়া।স্নিগ্ধা নেমেই পুতুলের দিকে তাকিয়ে খিল খিল করে হেসে দৌড় দিয়ে চলে যায় রেডি হতে।পুতুল রাগি লুক নিয়ে মারজিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
-তোরে পাকনামি করতে বলছে কে?
-তো ও বাচ্চা মানুষ যেতে চায়ছে যাক না।
-ওরে নিলে কি আর তোরে লাগতো?
-মানে?আর এই ওয়েট তুই তো আর তোর বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যাবি না যে ওকে নিলে প্রবলেম হবে।
-ধ্যাৎ ত্যাড়ি।
হঠাৎ মারজিয়া ভ্রু কুঁচকায় ভালো করে পুতুলকে লক্ষ্য করে দেখে,সবসময় সে লম্বা স্কার্ট পড়ে থাকে কিন্তু আজকে তার পড়নে লাল রঙের হাফ ফ্লাওয়ার হাতার একটা নরমাল কামিজ কালো পায়জামা আর সাদা জর্জেটের ওড়না।অবাক হয়ে বলে,
-তুই থ্রি পিস পড়েছিস?
পুতুল নিজের দিকে তাকিয়ে খানিকটা লজ্জা পেলো বধোয়।
-হুম সুন্দর লাগছেনা?
-হুম তা তো বটেই কিন্তু কামিজ এক কালার পায়জামা এক কালার আবার ওড়না?
-তুই চুপ থাক দিয়েছিস তো একটা ভেঝালে ফেলে এখন এটাই করতে হবে,
-কি??
-বেশি কথা বলবিনা একদক চুপ থাকবি,আমার সাথে চল।
বলে পুতুল মারজিয়ার হাত ধরে চুপি চুপি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়।বাড়ির বাহিরে আসতেই তারা শুনতে পায় স্নিগ্ধা ফুপি ফুপি করে চিল্লাচ্ছে,পুতুল আর উপায় না পেয়ে মারজিয়াকে বলে,
-জুতা খুল?
-কেনো
-শাড়ি পড়ে রেস করতে পারবিনা জুতা খুল
-রেস করবো মানে কি?
-বেশি কথা বলছিস!
মারজিয়া ঠোঁট উলটে পা থেকে জুতা খুলে নেয়।পুতুল মারজিয়ার হাত শক্ত করে ধরে দৌড় দেয়।শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দৌড়ে কাচা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়ে দুজন হাপাতে থাকে,মারজিয়া পুতুলের গায়ে হালকা চাপড় দিয়ে বলে,
-মেয়েটাকে আনলে কি হতো?
-সব যেতো
-মানে?
-এতো প্রশ্ন করস কেন বোইন আয় আমার সাথে,
তারপর তাড়া আবার হাঠতে থাকে,মারজিয়া শাড়ীর কুচি ধরে হাঠছে,পুতুল এদিক ওদিক তাকিয়ে হাঠছে।বার বার হাতের ফোন চেক করছে,এই প্রথম এরকম একটা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে উপরে একদম নরমাল থাকলেও ভেতরে যে ঠিক কত নাম্বার যুদ্ধ চলছে সেটা সে নিজেও জানেনা।আচ্ছা এটা কি সে নিজের সার্থের জন্য করছে নাকি কারো খুশির জন্য?এই কয়দিনে কি ভালো করে ভেবে দেখেছে জিনিসটা?এখন মাথায় যেনো সব গোলগোল্লা খেলছে।
সন্ধ্যা প্রায় নেমে এসেছে,সাদা কালো আকাশটা হালকা লাল হলুদে আবদ্ধ হচ্ছে,হালকা হালকা বাতাসো বইছে।ব্রিজের একদম কোনা দিয়ে এই প্রাকৃতীক দৃশ্যটা অনূভুব করতে করতে আপন মনে হেটে যাচ্ছে পুতুল আর মারজিয়া।মারজিয়ার কিয়ৎক্ষণের জন্য মনে হলো মাথার হিজাব খুলে চুল গুলো খুলে হালকা বাতাসের সাথে দোল খেলাতে,যেটা সামনের পুতুল মেয়েটার চুলে দৃশ্যমান তার একটু সামনেই পুতুল ব্রিজের রেলিং ধরে নদী দিকে তাকিয়ে হাঠছে,ফ্রেন্ডশিপের এই প্রথম তাকে কোনো থ্রী পিস পড়তে দেখলো মারজিয়া।ফ্লাওয়ার হাতার কামিজ আর তিন রঙের এই উদ্ভদ ধরণের জামা পড়েও পুতুলটাকে অদ্ভুত ধরণের সুন্দর লাগছে,সাইজে তার থেকে একটু ছোট হলেও পেছনের চুলের গোছা তার থেকেও লম্বা,কেউ এক পলক দেখে ঠিক মতো বলতেই পারবে না এটা কি মানুষ নাকি এনিমির কোনো এক পুতুল।গুলুমুলু গালটায় একটি চাপ দিতেও যেনো হাত ডেবে যায়।
খানিকটা হাসলো মারজিয়া।আবার তাকালো সেই হলদে নীলাভ আকাশের পানে,বুক চীরে দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো কেনো এলো সে নিজেও হয়তো জানেনা।আবার একবার চোখ ঘুরিয়ে ব্রিজের অন্য সাইডে তাকালো যেখানে রাস্তার স্টিট ফুডের দোকান গুলো সবে চালু করা হয়েছে,এখনি প্রত্যেকটা দোকানে মানুষের লাইন লেগে আছে,যেটা সবসময় হয়ে থকে।সে জানে পুতুল এখানে হাঠতে এসেছে,কিন্তু রাস্তার পারে এতোগুলো খাবার দেখেও পুতুলের কোনো সংকেত না পেয়ে বেশ অবাক সে।তবুও কিছু বলল না।
হাঠতে হাঠতে তারা ব্রিজের শেষ প্রান্তে এসে পড়েছে।তবুও পুতুল সামনের দিকে হেটেই চলেছে।আস্তে আস্তে পুতুল ব্রিজের নিচের মাঠের ঢাল দিয়ে নেমে যেতে থাকে।একেবারে নিচে নেমে উপরে তাকিয়ে দেখে মারজিয়া এখনো সেখানে দাঁড়িয়ে আছে,পুতুল হাত দিয়ে ইশারা করে বলে,
-আয়।
মারজিয়া অবাকের চরম পর্যায়ে চলে যায়।ব্রিজ পর্যন্ত ঠিক ছিলো কিন্তু এই ভড় সন্ধ্যা বেলা মাঠে নামার ব্যপারটা ঠিক মানতে পারলোনা।
-আরেহহ পাগল নাকি,এই ভর সন্ধ্যা বেলা তুই এখানে নামছিস কেনো।এই যায়গাটা ভালো না উঠে আয়।ব্রিজেই ঠিক ছিলো।
পুতুল মারজিয়ার কথা শুনতে নারাজ সে জেদ ধরে মারজিয়াকে বাধ্য করে নিচে নামতে।মারজিয়া নামতেই পুতুল একটা কিউট হাসি দিয়ে তার হাতটা ধরে সামনে এগোতে থাকে,মারজিয়া অনেক বাধা দেয় কিন্তু পুতুল শুনে না মারজিয়াকে টেনে নিয়ে যায়।আস্তে আস্তে তাড়া মাঠের আরো গভীরে যেতে থাকে,এই সাইডটাতে তাও দু একজন মানুষ ছিলো কিন্তু এখানে কাকের ডাক ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছেনা।কিছুটা দূরে দুটো লম্বা তাল গাছ আছে যেটাকে সবাই জোরা গাছ বলে চিনে,আপাতত গাছ দুটি মারজিয়ার কাছে অস্পষ্ট কিন্তু সেখানে কিছু ছায়ামানব আছে সেটা স্পষ্ট। মারজিয়া শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে আছে,হঠাৎ করে কানের সামনে পুতুল চিল্লিয়ে বলে উঠে,
Happy Birthday…!!
মুহূর্তেই সামনের সেই ছোট্ট যায়গাটা সোনালি রঙের বাতিতে আবদ্ধ হয়ে যায়।চারোদিক ঝলকাতে থাকে,তার সাথে দেখতে পায় দুজন চেনা মুখমণ্ডল ওয়ালা মানুষ। মারজিয়া চোখ বড় বড় করে তাকায়।চট করে মাথা ঘুড়িয়ে পুতুলের দিকে তাকায়।দেখে পুতুল খুশিতে লাফাচ্ছে,কিছুক্ষণ আগেও কিছুমূহুর্তের জন্য আন্দাজ করলেও এমন সারপ্রাইজড হবে ভাবতে পারলো না মারজিয়া।সে শুধু তার চোখ গুলো বড় বড় করে সামনের দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে,
হ্যা সামনে আর কেউনা শয়ং সামির আর সিজান দাঁড়িয়ে আছে,উপস্থিত সবার ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে মারজিয়ার এমন রিয়াকশন হবে তারা আগে থেকেই জানতো।তাই সামির নিজের মুখের হাসিটা আরো একটু প্রসারিত করে হালকা একটু সামনে এসে বলে,
-Happy Birthday Sister
পেছন থেকে পুতুল চনচল হয়ে বলে,
-হুম হুম বার্থডে বার্থডে সামির ভাইয়ের বোনের বান্ধুপির বার্থডে।
পেছন থেকে সিজান হেসে উঠে,এতক্ষণ খানিকটা অন্ধকার থাকলেও ছোট ছোট মরিচ বাতির আলোয় এই যায়গাটা আলোয় পরিপূর্ণ থাকায় সামনের সবকিছু স্পষ্ট!হাসির মাঝেই তার চোখ আটকে যায় শাড়ি সাথে হিজাব পরিহিত এক মেয়ের দিকে।সবসময় এর মতো নাকে বিন্দু ঘাম,যা তার গরমে লালচে হওয়া মুখ আরো উজ্জ্বল করে তুলেছে।তার অবাক হওয়া মুখের পানে অবাক হয়ে চেয়ে রইলো সিজান,
এদিকে পুতুলের ঘুড়িয়ে পেচিয়ে আবার ভাইয়া বলায় সামির নিজের কপালে কিছু ভাঝ টেনে এক পলক পুতুলের দিকে তাকায়।গত একদিন ধরে এই মেয়ে কত জ্বালিয়েছে শুধু মাত্র এই তিনটা ওয়ার্ড বলে,সেটা হয়তো নিজেও জানেনা।
মারজিয়া পুতুলকে টানদিয়ে নিজের কাছে এনে ফিসফিসিয়ে বলে,
-এইসব কি হচ্ছে পুতুল,এনারা এখানে কেনো?
পুতুল দাঁত বের করে হাসি দিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগেই সিজান উলটো ঘুরে টেবিল ঠিক করছে এমন ভাব করে বলতে থাকে,
-আজকে আমার আর সামিরের এখানে ছোট খাটো একটা পার্টি করার কথা ছিলো।তাই আমরা এসেছিলাম এখানে যায়গা সিলেক্ট করতে তখন পুতুলের সাথে দেখা হয়ে যায়।সে খুব চিন্তিত ছিলো তার ফ্রেন্ডের বার্থডেতে কীভাবে সারপ্রাইজ দিবে,তখন সামির তাকে আমাদের সাথে বার্থডে সেলিব্রেট করার জন্য ইনভাইট করে।কিন্তু সেই বার্থডে গার্ল যে আপনি মিস ‘লাল টোম্যাটো ঝগড়ুয়ালি’ সেটা আমরা বিশেষ করে আমি জানতাম না।
মারজিয়ার রাগ হচ্ছে ভীষণ বড়সড় ধরণের রাগ হচ্ছে,সেটা যে এই জায়গায় আসার জন্য তা না এরকম ভাবে সেলিব্রেট করার জন্য তাও না এইযে সিজান যে তাকে ‘লাল টোম্যাটো ঝগড়ুয়ালি’ হিসেবে সমন্বয় করলো সেটার জন্যও না ওর রাগ লাগছে টানা একটা দিন পুতুলের সেকেন্ডের পর সেকেন্ড মিথ্যা বলার জন্য।কি বোকা মেয়ে হ্যা সামির ভাইয়ের কথা নাহয় মানা যায় কিন্তু জানা নেই কওয়া নেই একটা লুচু ছেলেকে তার ফ্রেন্ড বানালো সেটা তার সমস্যা না সমস্যা হচ্ছে যাকে সে দু চোখে দেখতে পারে না পুতুল তার কাছেই কেনো এইরকম এর্যাঞ্জ করলো।
মারজিয়া শুধু ফুসছে,আর ওই ফুসাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে পুতুল সিজানের কাছে গিয়ে টেবিল সাজাতে থাকে,মারজিয়া শুধু অবাক হয়ে দেখছে পুতুলের কান্ড।সামির একবার পুতুল সিজান আরেকবার মারজিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,
-আসুন প্ল্যান অনুযায়ী যখন সবকিছু হয়েই গিয়েছে তাহলে আর এতটুকু বাকি রাখবেন কেনো।
বলে মারজিয়াকে হাত দিয়ে সামনে যেতে ইশারা করে সামির।মারজিয়ার এইবার কেনো যেনো খানিকটা স্বস্তি পায়,পুতুল হয়তো তাকে খুশি করার জন্যই এদের সাথে জইন হয়েছে,এখন আর রাগ করে থাকতে পারলোনা।মারজিয়া সামনে যেতেই সিজান সোজা হয়ে দাঁড়ায়।হালকা কেশে মারজিয়ার চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-সেদিনের এ’ক্সি’ডে’ন্টে’র জন্য আমি মোটেও সরি নই।কারণ আমি বলবোনা,আজকে যেহেতু কোনো আমাদের উছিলায় দেখা হয়েই গিয়েছে তাও এই বিশেষ দিনে,তাই আপনার সাথে আর কোনোরকম ঝগড়া করতে চাচ্ছিনা মিস! অন্য একদিন করবো ইনশাআল্লাহ।আর হ্যা আজকে কিন্তু আমারো শুভ দিন মানে জন্মদিন।
এতক্ষণ সিজানের মতো সেও কেনো জানি তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনছিলো।এরমধ্যে কয়েকবার ঠোঁট চেপে হেসেছেও।শেষের কথাটা শুনে সে অবাক হয়।দুজনের জন্মদিন একি দিনে?খানিকটা ইতস্তবোধ নিয়ে বলে,
-হে হেপি বার্থডে।
সিজান আবারো তার সেই ঠোঁট বাকানো হাসি দেয়,যা অন্য সময় মারজিয়ার কাছে লুচু লুচু মনে হলেও আজকে খারাপ লাগছে না।সিজান নিচের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়িয়ে তার চুল কিছুটা ঝাড়া দিয়ে বলে,
-সেমটু ইউ।
-ধন্যবাদ!
এবার দুজন চুপ হয়ে যায়।কিন্তু সামির এদের দিকে খেয়াল না করে গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোন চালাচ্ছে,পেছন থেকে পুতুল খানিকটা বোরিং স্বর টেনে বলে,
-এইবার তো কেকটা কাটো ক্ষুদা লাগছে।
মারজিয়া নিজের অজান্তেই নিচের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে লাজুক হাসে।
তারপর তারা কেক কাটে,প্রথমে চাকুটা মারজিয়ার হাতে ধরিয়ে দিলেও পরে পুতুলে বলে,
-আরে আজকে তো সিজান আপুরও বার্থডে ওনাকেও চাকুটা ধরতে দে,আর কেক তো একটায়।
তখন মারজিয়া খেয়াল করে টেবিলে রাখা ছোট মোট একটা কেক যার পুরোটা মনে হচ্ছে চকলেট দিয়ে ভরে রেখেছে,তার উপরে লেখা,
“Happy Birthday to you”
“Marziya❤️Sizan”
সিজান আলতো করে মারজিয়ার হাত ছোয় এভাবেই তাদের কেক কাটা খাওয়া শেষ হয়।চারটা বেতের চেয়ারে চারজন বসে।মারজিয়া পুতুলের হাত ধরেই আছে,সামির তখনো ফোনের মাঝে মুখ ডুবে আছে,সিজান হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে,
-এখনো কিছুক্ষণ সময় আছে ততক্ষণ একটু আড্ডা দেওয়া যাক?
পুতুল মাথা দুলায় যার অর্থ “হ্যা” মারজিয়া নিশ্চুপ।কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হতেই কানে গিটারের টুং টাং আওয়াজ শুনতে পায় তারা।মারজিয়া মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে সিজান বাজাচ্ছে,মারজিয়াকে তাকাতে দেখে তার চোখের দিকে তাকিয়ে আবারো মুচকি হাসি দিয়ে গান শুরু করে।সামিরও তার পকেটে ফোনটা রেখে গান অনুভব করতে থাকে।
এভাবেই সিজানের গলার গানের সুরে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো যায়গায়টা।মারজিয়া খুব মনযোগ সহকারে শুনছিলো।এইবার পুতুলকে এতো এতো থ্যাংকিউ দিতে মন চাচ্ছে কি সুন্দর সন্ধ্যা বিলাস ছিলো। মনে হচ্ছে এই সমসয়টা থমকে যাক আবার কি কখনো এরকম ভাবে দেখা হবে আড্ডা হবে?কে জানে চাইলেই হতে পারে।
চলবে..!