#প্রতারক
#লেখিকাঃফারহানা_ইসলাম
#পর্বঃ০৫
———কী বললি তুই।তুই সীমা ছাড়িয়ে গেছিস।অনেক হয়েছে আর না।এই বলে নিরব আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।আমি তো চিৎকার দিয়ে বেঁহুশ॥হঠাৎ কেউ দরজায় জোরে জোরে কড়া নাড়তে শুরু করলো।।
———–নিরব চিৎকার দিয়ে আহঃ এই সময় আবার কে আসলো??অসহ্য!!এই মেয়েটাকে তো উচিত শিক্ষাটা ও দিতে পারছি না।।
———-নিরব যখন দরজা খুললো তখন দেখলো দরজায় নীল স্যার আর তিনজন পুলিশ অফিসার দাঁড়িয়ে আছে।নীল স্যার প্রচন্ড জোরে নিরবকে একটা চড় মারলেন আর বললেন অসভ্য!!বদমাস!!তুই এতো টা নোংরা!!
——–নীল স্যার পুলিশ অফিসারদের বললো স্যার এই বদমাসটা কে নিয়ে যান।আর এমন শিক্ষা দিন যাতে কোনোদিন আর মেয়েদের সাথে অসভ্যতা করার কথা জীবনে না ভাবতে পারে।।
———নিরবকে পুলিশরা নিয়ে গেলো।তারপর নীল স্যার আমার কাছে আসলো।আমার হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দিলো।।
———-আর্নিয়া তুমি ঠিক আছো তো??
———হ্যাঁ স্যার!!কিন্তু আপনি যদি ঠিক সময়মতো না আসতেন জানি না আমার কী হতো!!আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার!!(কাঁদতে কাঁদতে)
———–ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই আর্নিয়া!!আমি তোমার পাশের ফ্লাটে ই থাকি।।তুমি যখন হাঁটতে যাচ্ছিলে আমি তোমার পেছন পেছন গিয়েছিলাম।কিন্তু তখন আমার মা কল করেছিলো।তাই আমি একটু অন্যদিকে ফিরছিলাম।আর এই বদমাস নিরব সেই সুযোগটা ই নিয়েছে।।
———-আচ্ছা স্যার এইবার চলুন।আমার মা আর ভাইয়া নিশ্চয়ই এখন অনেক চিন্তা করছে!!
——–আচ্ছা চলো তাহলে।।
———-স্যার বাইক নিয়ে এসেছিলো।।স্যার আমাকে বললো আর্নিয়া তুমি আমার বাইকের পেছনে বসো!!
———-কী আর বলবো প্রথমবার বাইকে উঠছি খুব ভয় ভয় লাগছে!!
———-আর্নিয়া তুমি ঠিক করে বসো আর আমার কাঁধে তোমার একটা হাত রাখো।
কথাটা বলে স্যার আমার ডান হাতটা ধরে নিজের কাঁধের ওপর রাখলো।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ লজ্জায় আমার চোখ-মুখ লাল হয়ে গেছে।।
——–যখন স্যারের বাইকে চড়ে যাচ্ছিলাম তখন কেমন জানি লাগলো।।কিছু দূর যাওয়ার পর দেখলাম আহির রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে।।সাথে আরও দুটো ছেলে।।আমি আহিরকে দেখে স্যারের কাঁধের ওপর আরও রোমাঞ্চকরভাবে হাত রাখলাম।।যাতে ওর মনে হয় আমি স্যারের সাথে ঘুরতে এসেছি।।তাছাড়া আমার পরনে ছিলো টি-শার্ট প্লাজো আর ওড়না।।হঠাৎ কেউ দেখলে মনে হবে আমরা বয়ফ্রেন্ড আর গার্লফ্রেন্ড।
———— আহির স্যার আর আমাকে দেখে বেশ চমকে গেলো।।একদম বড় বড় চোখ করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।।
———-আমিও আহিরের দিকে তাকিয়ে দাঁত কেলিয়ে কেলিয়ে হাসছি।আমাকে তুই অনেক কাঁদাইছিস।এইবার দেখ তোর সাথে আমি কী করি।।
———-একটুপর বাসার গেইটের সামনে এসে পৌঁছালাম।
————আর্নিয়া এইবার সাবধানে নামো।।
————হ্যাঁ স্যার।।আচ্ছা স্যার আমি চলি।।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।
———-আচ্ছা!!বাসায় গিয়ে রেস্ট নাও।আর একদম চিন্তা করবে না।সব দুঃস্বপ্ন মনে করো।।
———–আচ্ছা স্যার।।আল্লাহ হাফেজ।।
———-স্যারের সাথে কথা বলে বাসায় ফেরা পর মা বললো আর্নিয়া তুই কোথায় ছিলি।সন্ধ্যা হয়ে গেছে।আসিফ তোকে খুঁজতে বাহির হইছে।
———-মা আমি তোমাকে পরে সব বলছি আগে ভাইয়াকে বাসায় আসতে বলো।।
——–মা কল করে ভাইয়াকে বললো আর্নিয়া বাসায় চলে এসেছে।।আর ভাইয়াকেও বললো বাসায় চলে আসতে।।
———একটুপর ভাইয়াও বাসায় চলে আসলো।।ভাইয়া এসে তো রেগে আগুন।।তারপর আমি ভাইয়াকে সবকথা খুলে বললাম।সব শোনে ভাইয়া আর মা তো অবাক।
———–আর্নিয়া বোন তুই সাবধানে থাক।দেখ আমাদের ওপর থেকে কিন্তু এখনো বিপদ শেষ হয় নি।।
———-রাতের বেলা যখন ঘুমুতে গেলাম।তখন কেনো জানি আমার ঘুম আসছিলো না।শুধু বার বার,,,,,,,,,,,,,
চলবে………..