গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ১৯+২০
লেখাঃ #Mst_Liza
মায়া ফোনটা চার্জে লাগিয়ে অন করে ওয়াশরুমে যায়।এর মধ্যে রুসার অনেক গুলো মিসড কল।মায়া ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে রুসাকে ফোন করলে রুসা মায়াকে পার্টিতে যাওয়ার কথা বলে।মায়া প্রথমে না করে দেয়।কিন্তু পরে কিছু একটা ভেবে রাজি হয়ে যায়।এরপর শ্বাশুড়ি মায়ের অনুমতি নিয়ে চলে যায় মির্জা প্যালেসে।
,
মির্জা প্যালেস,
রুসাঃ চলো না মামা সবাই তোমার জন্য ওয়েট করছে
সোহাগ মির্জাঃ তুই কি পাগল হয়েগেলি মা, এই বয়সে জন্মদিনের কেক কাটবো?
রুসাঃ তুমি যাবে কিনা তাই বল?
সোহাগ মির্জাঃ তোরা তোরা যা করবি কর আমাকে প্লিজ ডাকিস না।
রুসাঃ দেখো তোমার জন্যই এই পার্টির আয়োজন করেছি এখন তুমি না করলে হবে না
সোহাগ মির্জাঃ রাইসূল বোঝাও তোমার মেয়েকে!
রাইসূল সিকদারঃ কি বুঝাবো ভাইয়া? আপনাদের ব্যাপার আপনারাই বুঝে নিন এর মধ্য আমাকে কেন টানছেন?
রুসাঃ প্লিজ, মামা! তুমি সারাদিন মামির ছবি নিয়ে এভাবে পরে আছো এখন তো একটু বাইরে চলো।
সোহাগ মির্জাঃ আজ আমাকে একটু একা থাকতে দে মা
রুসাঃ তাহলে তুমি যাবে নাতো?
সোহাগ মির্জাঃ নাহ।
রুসাঃ ঠিক আছে, আমার কথা তুমি শুনলে নাতো!আমি কালই হোস্টেলে চলে যাব।থেকো তুমি একা।
সোহাগ মির্জাঃ তোকে নিয়ে আর পারি না।চল তবে আমি বেশীক্ষণ থাকতে পারব না
রুসাঃ আগে চলো তো সেটা পরে দেখা যাবে
পার্টির এক কোণে বসে আছে মায়া।এদিকে সবাই পার্টিতে মেতে আছে।চারিদিকে হৌ হুল্লোড় কেমন যেন একটা অন্যরকম পরিবেশ।এতোটা গান-বাজনা আর ঝাঁক ঝমক পরিবেশের মধ্য মায়া আগে কখনও আসে নি।কেমন যানি একটা অস্বস্তি বোধ হচ্ছে।আবার ভালোও লাগছে।
মায়াঃ আচ্ছা এই বাড়িটা তো সোহাগ মির্জার।এই শহরের অনেক বড় বিসনেজম্যান সে।মা তো তার নাম শুনতেই ফ্যান।ইসস রে! আজ যদি মা থাকতো! যাই হোক, যেই জন্য আশা, সোহাগ মির্জার সাথে কয়েকটি ছবি তুলে বড় করে বাঁধিয়ে মাকে পাঠিয়ে দেব।মা যা খুশী হবে নাহ।উফফ আমার তো তরই সইছে না।ইচ্ছা করছে এখনই মায়ের সেই খুশী হওয়া মুখটা দেখি।
হঠাৎ পার্টির সবগুলো লাইট অফ হয়ে যায়।সবাই সামনে তাকায়। একটি আলো এসে সোহাগের উপরে পরেছে।পুরো অনুষ্ঠানের সবার নজর সোহাগের দিকে।সোহাগ সিঁড়ি থেকে নামছে আর সবাই হাত তালি দিচ্ছে।মায়াও সবার দেখাদেখি জোড়ে জোড়ে হাততালি দিতে থাকে।সোহাগ নিচে নেমে আসলে সবাই হাততালি বাজানো বন্ধ করে দেয়।আর মায়ার হাত এখনও তালি বাজিয়ে যাচ্ছে।সোহাগ আস্তে করে হেটে মায়ার কাছে এসে দাড়ায়।আলোটা গিয়ে সোহাগ আর মায়ার উপরে পরে।সবার দৃষ্টি এবার সোহাগ আর মায়ার দিকে।সোহাগের কেমন যানি মায়াকে খুব চেনাচেনা লাগছে।মনে হচ্ছে খুব কাছের আপন কোনো এক স্বত্ত্বা।মায়ার মুখটাও যেন খুবই পরিচিত।একদম মিরার মতো তাকানোর অঙ্গভঙ্গি।আর চোখটা হুবোহু মিরার।
সোহাগ মির্জাঃ কে তুমি?
সাথে সাথেই পার্টির সবগুলো লাইট জ্বলে ওঠে। রুসা এসে মামার হাত ধরে বলে,
রুসাঃ আরে মামা এ আমার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড মায়া।এবার আসো তো কেক কাটবে।সবাই সেই কখন থেকে ওয়েট করছে
রুসা সোহাগকে টেনে নিয়ে যায় কেকের কাছে।মায়াকেও ডাকে।
রুসাঃ কি হলো মায়া ওখানে দাড়িয়ে আছিস কেন এদিকে আয়।
মায়া এদিকে ওদিকে তাকিয়ে মাহিরকে কোথাও খুঁজে পাই না।তারপর এসে সোহাগের পাশে দাড়ায়।সোহাগ কেক কেটে অচেতন ভাবে মায়ার মুখের কাছে ধরে।মায়া হা করে যেই কেকের টুকরাটা মুখে দিতে যাবে ওপাশ থেকে,
রুসাঃ একি মামা আমি তো এপাশে!
সোহাগ মির্জাঃ ওহহ সরি, ভুল হয়ে গেছে।
সোহাগ রুসার মুখে কেকের টুকরোটা দিলে মায়ার মনটা খারাপ হয়ে যায়।মনে মনে ভাবে, রুসা কত ভাগ্যবতী যে কিনা বাবার সাথে মামার ভালোবাসাটাও পেয়েছে। কত হাসি, খুশি, ভালোবাসা আর কেয়ারিং এ ভরপুর এই পরিবারটা।যেখানে সব আছে।ইসস! এরকম একটা পরিবার যদি আমারও থাকতো! তাহলে হয়তো আজ সমাজের মানুষের এতো অবহেলা সহ্য করতে হতো না।
এমন সময় রুসা এসে মায়ার মুখে মধ্যে কেকের একটা টুকরো ঢুকিয়ে দেয়।
রুসাঃ কি রে মুখপুড়ি! ওভাবে মুখ পুড়িয়ে থেকে কি ভাবছিস?
মায়াঃ কিছু না! ভাবছিলাম তোর মামার সাথে কয়েকটি ছবি তুলবো
রুসাঃ তোল তোকে কে বারন করেছে?
মায়াঃ না কেউ বারন করে নি কিন্তু তোর মামা যদি না বলে দেয়? তুই যা গল্প শুনিয়েছিলি আমার তো দেখেই ভয় লাগছে যদি চর, থাপ্পড় কিছু একটা বসিয়ে দেয়
সোহাগ মির্জাঃ কে কাকে মারবে?
মিরা তাকিয়ে দেখে সোহাগ সামনে দাড়ানো
মায়াঃ আপনি মারবেন
সোহাগ মির্জাঃ মানে?
মায়াঃ হ্যাঁ।আমি রুসার কাছে শুনেছি খুব মারতেন আপনি আপনার স্ত্রীকে।
মায়ার এমন কথা শুনে সোহাগের মাথাটা নিচু হয়ে যায়।মায়া আবার বলে,
মায়াঃ কিন্তু খুব ভালোবাসেন।একদম সিনেমার হিরোদের মতো
সোহাগ মায়ার এই কথাটা শুনে হেসে দেয়।
সোহাগ মির্জাঃ তাই বুঝি! তুমি কিভাবে যানলে আমি আমার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসি?
মায়াঃ কেন আঙ্কেল আমি কি মিথ্যা বলেছি? আপনি ভালোবাসেন না আপনার স্ত্রীকে।
সোহাগ মির্জাঃ হুমম।বাসি তো।
এভাবে মায়া আর সোহাগের ভেতর কথা শুরু হয়।অনেক কথা হয় দুজনের মধ্যে কিন্তু কেউ যানে না দুজনের মাঝে থাকা রক্তের সম্পর্কের কথা।কথা বলতে বলতে মায়া কয়েকটা ছবিও তুলে নেয় সোহাগের সাথে, মাকে পাঠাবে বলে।অতঃপর মায়া পুরো পার্টিতে মাহিরকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোথাও না আছে মাহির আর না আছে স্নিগ্ধা।
চলবে……
গল্পঃ #প্রতিশোধ
পর্বঃ ২০
লেখাঃ #Mst_Liza
রাত দুইটা বাজে, মায়ার চোখে এখনও ঘুম নেই।মাহিরটাও বাড়িতে ফেরেনি।বিছানায় শুয়ে মায়ার মনে মাহিরকে নিয়ে চিন্তা আসে, আচ্ছা উনি তো আমার আগেই বের হয়েছিল তাহলে পার্টিতেও গেলো না, বাসায়ও ফিরলো না, মানুষটা গেল কোথায়? তবে কি উনি আজ রাতে ফিরবেন না? স্নিগ্ধা ম্যামের সাথেই রাতটা থাকবে? নাহ এ আমি কি ভাবছি! উনি ঠিক চলে আসবে।মুখে যায় বলুক উনি শুধু আমাকে ভালোবাসে।শুধুই আমাকে।আমি ছাড়া উনি আর কারও না।আমি উনাকে বিশ্বাস করব।যেই বিশ্বাস উনাকে একদিন আমার কাছে ঠিক ফিরিয়ে আনবে।উনি আমার! শুধুই আমার।আমি উনাকে এতোটা ভালোবাসা দেব যতোটা ভালোবাসা কেউ কাউকে কোনোদিনও দিতে পারে না।সেই ভালোবাসার জোরেই উনাকে আমার কাছে ফিরে আসতে হবে।
চিন্তায় ঘুম আসে না মায়ার। তাই বিছানা থেকে উঠে দরজার কাছে গিয়ে দাড়ায়।এক ঘন্টা মায়া এভাবে দাড়িয়ে আছে।এখন ঘড়ির কাটায় বাজে তিনটা।এমন সময় হঠাৎ দরজায় টোকা পরে।মায়া শব্দ শুনে দরজাটা খুলে দিতেই মাহির এসে মায়ার উপর ঢুলে পরতে যায়।মায়া মাহিরকে শক্ত করে ধরে।
মায়াঃ কি হয়েছে আপনার? এই রকম কেন করছেন?
মাহির বিরবির করে বলতে থাকে,
মাহিরঃ ও নস্টা মেয়ে না। ও নস্টা মেয়ে না।
মায়া কিছু বুঝে উঠতে পারে না।মাহিরকে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।মাহিরের পায়ের জুতো খুলে শার্ট খুলতে যায় তখন শার্টের পকেটে অনেকগুলো ছবি দেখতে পায়।ছবি গুলো আবির আর মায়ার আজকে বিকালে হাদিচ পার্কে দেখা করতে গেলেই কেউ হয়তো লুকিয়ে তুলেছে।মায়া মাহিরের গায়ে কোম্বলটা টেনে দিয়ে আবিরকে ফোন দেয়।
আবিরঃ হ্যালো মায়া।কেমন আছো?
মায়াঃ আপনাকে বলেছিলাম না আমার সাথে ২য় বার যোগাযোগ রাখার চেস্টা করবেন না? তারপরও কেন এমন করেছেন?
আবিরঃ কি করেছি আমি?
মায়াঃ কি করেছেন সেটা বুঝতে পারছেন না?
আবিরঃ না
মায়াঃ আজ বিকালে আপনার সাথে আমি যখন দেখা করেছিলাম সেই সময়ে কাউকে দিয়ে আমার আর আপনার কথা বলার কিছু ছবি তুলিয়েছেন।আমার চরিত্র খারাপ প্রমাণ করতে চান?
আবিরঃ কি বলছো এসব!
মায়াঃ ঠিকই বলছি।এতো নিচে নেমে গেছেন আপনি?
আবিরঃ তোমার কোথাও বুঝতে একটু ভুল হচ্ছে মায়া।আমি এমন কিছুই করি নি।
মায়াঃ মিথ্যা বলবেন না।আপনার সব চালাকিই আমার যানা আছে।এসব করলে কখনও আপনার জীবনে আমি ফিরে যাবো না শুনে রাখুন।
বলেই ফোনটা কেটে দেয় মায়া।
টুট টুট টুট
আবিরঃ হ্যালো মায়া মায়…
তুমি আমাকে ভুল বুঝলে মায়া।আমি এমন কিছুই করি নি যাতে তোমার অসম্মাণ হয়।আমি যানিও না কে এটা করেছে! তবে আমার মন বলছে সে ঠিকই করেছে।তোমার মতো একটা মেয়েকে কখনোই ডা.মাহির খান ডিজার্ভ করে না।
আবিরের সাথে কথা বলার পর মায়া পিছনে ঘুরে দেখে মাহির বসে আছে।নেশাগ্রস্ত অবস্থা ঝিমাচ্ছে আর মিটমিট করে চেয়ে মায়াকে হাতের ইশারায় কাছে ডাকছে।মায়া কাছে গিয়ে দাড়ালে মাহির এক টানে মায়ার হাত ধরে টেনে নিজের কোলের উপর বসায়।তারপর থুতনিটা মায়ার ঘারে রেখে বলে।
মাহিরঃ ওই আবির চৌধুরী…. তোমার প্রেমিক তাই না? ওর সাথেই তোমার.. বিয়ে হওয়ার…কথা.. ছিল! তুমি এখনও ওকেই ভালোবাসো।
মায়াঃ এসব কি বলছেন আপনি?
মাহিরঃ আচ্ছা আবির চৌধুরী তোমার… কোথা…য় কোথায় ছুয়েছে?
মায়া ভালো করে যানে মায়াকে কেউ ছুলে মাহির তা সহ্য করতে পারে না।কেউ যদি মায়ার হাত একবার ধরে তাহলে মাহির নানান বাহানা খুঁজে মায়ার হাত দশবার ধরবে।কাল ডা.নাহিদ কোলে তুলতে চেয়েছিল বলে বাড়ি এসে বসে ছিল মায়াকে কোলে তুলবে বলে।মায়ার মনে এখন দুষ্টু বুদ্ধি খেলা করছে।
মাহিরঃ কি হলো বল..লো.. কো..থায় কোথা..য় ছু..য়েছে আ..বির চৌধুরী তোমা..কে?
মায়া মাহিরের হাতটি নিয়ে নিজের কপালে, গলায়, বুকে আর ঠোঁটে মাহিরের হাতের আঙুল ছোয়ায়।
মায়াঃ এখানে, এখানে, এখানে আর এখানেও ছুয়েছে
মাহিরঃ আমিও ছো…বো
মাহির হাত দিয়ে মায়ার কপালে, গলায়, বুকে আর ঠোঁটে আলতো ভাবে ছুইয়ে দিতে থাকে।
মায়াঃ এভাবে ছুঁই নি
মাহিরঃ তা.. কিভাবে?
মায়াঃ ঠোঁট দিয়ে
মাহির ঠোঁট দিয়ে মায়ার কপালে, গলায়, বুকে আর ঠোঁটে গভীর পরস এঁকে দেয়।
মাহিরঃ আর কো..থায়?
মায়াঃ আর কোথাও না।আপনি ঘুমান এখন কাল সকালে হসপিটালে যেতে হবে না?
মাহিরঃ হুমম।তাহ..লে ঘু..মাই।
মাহির শুয়ে পরলে মায়া কম্বলটা টেনে দিয়ে মাহিরের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।তারপর যখন মাহির ঘুমিয়ে যায় তখন বালিশটা নিয়ে সোফায় গিয়ে নিজেও ঘুমিয়ে পরে।
সকালে,,,
মাহিরের ঘুম ভাঙলে খেয়াল করে মাথাটা প্রচন্ড আকারে ব্যাথায় চিরে নিয়ে যাচ্ছে।দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরে মাহির আস্তেধীরে উঠে বসে।তাকিয়ে দেখে মায়া লেমন সরবত নিয়ে সামনে দাড়ানো।সরবতটা মাহিরের দিকে এগিয়ে দিয়ে মায়া মাহিরকে বলে,
মায়াঃ এই সরবতটা খেয়ে নিন ভালো লাগবে!
মাহির মায়ার হাত থেকে সরবতটা নিয়ে মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দেয়।
মাহিরঃ সমস্যাটা কি তোমার? আর কতদিন বলবো? সাত সকালে তোমার ওই মুখটা আমার দেখতে ভালো লাগে না!
মায়াঃ আমি তো
মাহিরঃ তুমি কি? যাও আমার সামনের থেকে।
মাহিরের মা কিচেনে রান্না করছিল।মাহির ওভাবে সরবতের গ্লাস ছুড়ে ফেলে দেওয়ায় মাহিরের মা মুফতি খান কাচ ভাঙার শব্দ শুনে ছুটে আসে।
মুফতি খানঃ কি হলো বৌমা কিছু কি ভাঙলো?
মায়া গিয়ে তার শ্বাশুড়ি মাকে জড়িয়ে ধরে।আর কাঁদতে থাকে।
মায়াঃ আপনার ছেলেটা খুব পঁচা মা।উনাকে বলুন না আমার সাথে যেন এমন না করে।সবসময় উনি শুধু আমাকে অপমান করার বাহানা খোঁজে।
মাহিরঃ মা ও…
মাহিরের মা মাহিরকে হাত উঁচু করে থামিয়ে দেয়।তারপর মাহিরকে জিজ্ঞাসা করে,
মুফতি খানঃ আমি জানতে চাই বৌমা যা বলছে তাকি সত্যি নাকি মিথ্যা? তুই আমার বৌমাকে কস্ট দিস?
মাহিরের মুখে কোনো কথা নেই।মাহিরের মা আবার বলা শুরু করে।
মুফতি খানঃ তোকে কি আমরা এই শিক্ষা দিয়েছি? যে বউয়ের সাথে একটু নম্রস্বরে কথা বলতে পারিস না? তুই তো আগে এমন ছিলি না মাহির। এখন কি তুই তোর শিক্ষা, দিক্ষা সব কিছু ভুলে যাচ্ছিস?
মায়াকে বলে, পরের বার তোমার সাথে মাহির খারাপ ব্যাবহার করলে এভাবে কাদঁবে না মা।আমাকে এসে নালিস করবে।ঠিক আছে?
মায়া মাথা কাত করে হ্যাঁ বলে।
তারপর মাহিরের মা মাহিরকে ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতে বলে চলে যায়।মাহির অগ্নি দৃস্টিতে মায়ার দিকে তাকিয়ে থেকে ওয়াশরুমে ঢোকে।কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে এসে মায়ের সামনে মায়ার সাথে ব্রেকফাস্ট করে মায়াকে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।তারপর মাঝপথে গিয়ে মাহির তার গাড়ীটা থামিয়ে দিলে মায়া গাড়ী থেকে নেমে ইজিবাইকে উঠে হসপিটালে যায়।আর মাহির যায় স্নিগ্ধার বাসায় স্নিগ্ধাকে নিয়ে হসপিটালে যাবে বলে।যা মাহির প্রতিদিন করে।
চলবে….