#প্রাণ_ভোমরা
#রোকসানা_রাহমান
#অন্তিম_পর্ব
ভ্রমরের বিয়ের আয়োজন করা হয়ে হয়েছে বাসার ছাদে। এ নিয়ে খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মীর খন্দকার। তার পরিকল্পনা ছিল অন্য কিছু। বড়-সড়, জাঁকজমকপূর্ণ বিরাট অনুষ্ঠানের! কিন্তু স্ত্রীর জন্য পারলেন না। খুব একটা জোরও দেখাতে পারলেন না। সকাল থেকেই তার চেহারার মধ্যে উদ্ধত ভাব। চালচলনে দু্র্বিনীত ভঙ্গি! তাই স্ত্রীকে সমীহ করেই বিয়ের কার্যাদি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ছাদ পরিদর্শন করে ফোন কানে নিয়ে নিচে নামছিলেন। হঠাৎ বললেন,
” তুমি? ”
হৃদ্য ছিটকে উঠল। ঘাবড়ে যায়। কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে সিঁড়ির এক কোণে দাঁড়িয়ে পড়ে। ভাবখানা এমন যেন সে নিষিদ্ধ কিছু করতে গিয়ে ধরা পড়েছে! আচ্ছা, ভ্রমরকে দেখতে আসা কি নিষিদ্ধ পর্যায়ের কিছু? আসবে না আসবে না করেও কখন যে চলে এলো! নিজেও টের পায়নি। এখন পাচ্ছে।
মীর খন্দকার সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে নেমে এলেন। হৃদ্যের সামনে দাঁড়িয়ে রসশূন্য কণ্ঠে বললেন,
” তোমার এখানে কী কাজ? মত পালটে ফেলেছ নাকি? ”
হৃদ্য অসহায় চোখে তাকায়। সেই অসহায়ত্ব মীর খন্দকারকে ছুঁতে পারল না। রুষ্ট স্বরে বললেন,
” চুপ করে আছো কেন? উত্তর দেও। ”
হৃদ্য মুখে কিছু বলল না। কিছুক্ষণ নীরব থেকে অকস্মাৎ মীর খন্দকারকে জড়িয়ে ধরল। বুকের সাথে বুক মিলিয়ে বলল,
” ধন্যবাদ। ”
মীর খন্দকার ভারি আশ্চর্য হলেন। পর মুহূর্তে বিরক্ত হয়ে হৃদ্যকে সরিয়ে বললেন,
” কিসের ধন্যবাদ? ”
” আপনার মেয়েটাকে আমি কতটা ভালোবাসি তা অনুভব করানোর জন্য। ”
” মানে? ”
হৃদ্য হাসল। সেই হাসির ছটা অশ্রুসজল চোখেও স্পষ্ট হলো। মনে মনে বলল, ‘ বিচ্ছেদ শুধু যন্ত্রণাই দেয় না ভালোবাসার গভীরতাও অনুভব করায়। যেমনটা আমি পাচ্ছি। ‘ সামনা-সামনি বলল,
” আপনি বুঝবেন না। ”
কথাটা বলেই ফিরে আসছিল হৃদ্য। দুই সিঁড়ি কাটতে মা-বাবার মুখে পড়ে। আজিজুল হক মায়া চোখে তাকালেন। অনুরোধের সুরে বললেন,
” একটাবার ভ্রমরের বাবার সাথে কথা বলতে দে। আমি উনাকে বুঝিয়ে বলব। ”
হৃদ্য পেছনে তাকাল। মীর খন্দকারের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,
” যে নিজের মেয়েকে বুঝে না। সে তোমাদের কী বুঝবে , আব্বু। আমি চাই না আমার জন্য তোমরা অপমানিত হও। ” হৃদ্য বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে এলো।
________________
নিস্তব্ধ বিকেল। পশ্চিমে গমনরত সূর্যের গায়ে লালচে আলো। সেখান থেকে এক টুকরো নরম আলো হৃদ্যের গাল ছুঁয়ে আছে। কাঁধটাও। দূর থেকে বয়ে আসা মৃদু বাতাসে শরীর জমে শক্ত হয়ে আছে। চোখের পাতা স্থির সামনের শূন্য বারান্দায়। একভাবে তাকিয়ে থাকায় চোখে জ্বালা শুরু হয়েছে। জলে চকচক করছে মনিদুটো। তবুও পলক ফেলার কোনো ইচ্ছে প্রকাশ পাচ্ছে না। সেভাবেই তাকিয়ে থাকল আরও কতক্ষণ। আচমকা চোখের পাতা বুজল। শ্বাস টেনে বলল,
” কিছুই করা হলো না, পাশাপাশি বসে হাত ধরা হলো না। অন্ধকারে আকাশ দেখা হলো না। জোসনা বরণ হলো না। বৃষ্টিস্নাত! সে তো কল্পনাতীত হয়ে পড়ল রে ভ্রমর। ”
হৃদ্য থেমে গেল। রেলিংটা শক্ত ভাবে চেপে ধরল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে ব্যাকুল কণ্ঠে বলল,
” কিছু লাগবে না আমার। শুধু আগের মতো বারান্দায় আসিস। গল্প করিস। আহ্লাদে গলে পড়িস তাহলেই হবে। ভ্রমর আসবি তো? ”
হৃদ্যের প্রশ্ন শূন্যে মিলিয়ে যায়। কোনো প্রত্যুত্তর আসে না। সামনের বারান্দায় দিকে নিবিড় দৃষ্টি রেখে বলল,
” বউ সাজে আমাকে দেখা দিবি না? অপেক্ষায় আছি যে। ”
হৃদ্য নীঃশব্দে রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকল। চোখজোড়ায় তৃষ্ণা! এক পলক ভ্রমরকে দেখার তীব্র তৃষ্ণা!
_________________
ভ্রমর কাবিননামায় সই শেষ করতে মীর খন্দকার বিজয়ী হাসলেন। দাম্ভিকতার ঠাট বজায় রেখে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বললেন,
” মেহমান বিদায় করো জলদি। সন্ধ্যা হয়ে এলো। এখন রওনা না দিলে রাতটুকু রাস্তায় শেষ হয়ে যাবে। আম্মাও কল দিচ্ছেন বার বার। ”
স্বামীর তাগাদা শুনে শরীফা খন্দকারের টনক নড়ল। মনে পড়ল, তারা যে এ বাড়ি ছেড়ে একেবারে চলে যাচ্ছে এ কথাটা হৃদ্যকে জানানো হয়নি। বড্ড অন্যায় হয়েছে। একবার কি জানিয়ে আসবে?
ব্যস্ততা ঠেলে হৃদ্যের নাম্বারে দু’বার কল দিয়েছিলেন তিনি। কেউ ধরেনি। রিং হতে হতে কেটে গেছে প্রতিবার। ভাবলেন, পরে সুযোগ বুঝে জানিয়ে দিবেন।
গাড়িতে উঠার আগে একবারটি উপরে তাকাল ভ্রমর। না, এখান থেকে হৃদ্যদের বারান্দা তো দূর বিল্ডিংটাও দেখা যায় না। তবুও কেন জানি সেখানটায় গভীর চোখে তাকিয়ে থাকল সে। বুক ফেটে যাচ্ছে তার। কান্নার ঢল শুরু হওয়ার পূর্বে উচ্চারণ করল,
” মি.প্রতিবেশি, এবার বিশ্বাস হলো তো আমি আর পুচকি নেই? ”
ভ্রমর ভেতরে বসল। পাশে নীরবকে দেখে আঁতকে উঠল। সামনে ড্রাইভারের পাশের সিট ফাঁকা দেখে চিৎকার করল,
” আমার আম্মু কোথায়? ”
নীরব কিছু বলার আগেই দরজা খুলে ফেলল ভ্রমর। বাইরে বের হওয়ার জন্য তোরজোর শুরু করলে মীর খন্দকার এগিয়ে আসলেন। মিষ্টি হেসে কোমল সুরে বললেন,
” তোমার মা আমার সাথে বসবেন, মামনি। ”
ভ্রমর বাবার দিকে নির্লেপ দৃষ্টি রাখলে উনি নিজ থেকে দরজা আটকিয়ে দিলেন। ড্রাইভারকে গাড়ি ছাড়ার হুকুম দিয়ে পেছনের গাড়ির দিকে চলে গেলেন।
________________
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও যখন ভ্রমরের মায়া বদনখানির দেখা পেল না তখন বারান্দা থেকে রুমে চলে গেল হৃদ্য। টেবিলের একপাশে জমিয়ে রাখা নুড়িপাথরের স্তুপ থেকে কয়েকটা পাথর তুলে নিল। ভ্রমরের বারান্দাতে ঢিল মারল। কয়েক বার চিৎকার করে ডাকল। সাড়া না পেয়ে আবারও রুমে ছুটে যায়। সযত্নে তুলে রাখা গিটার নিয়ে বারান্দায় উপস্থিত হয়। বেশ কয়েক বার চেষ্টা করেও সুর তুলতে ব্যর্থ হয়। যে ব্যর্থতা মানতে পারে না সে। রাগে, দুঃখে গিটার মাথায় তুলে আছাড় মারে। উড়ে গিয়ে ভূমিতে পড়ার আগে একটি তারে বাড়ি খায়। যেটি হৃদ্য নিজ হাতে টেনে নিয়ে একটি বাল্ব ঝুলিয়েছিল। বারান্দায় গড়ে তোলা বাগানের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে বারান্দা অন্ধকার হয়ে যায়। সেই অন্ধকারে এক মোহনীয় সুর ভেসে ওঠে। যা হৃদ্য ঠোঁটদ্বয়ের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে। এরপরও কি ভ্রমর তাকে দেখা দেবে না?
সন্ধ্যার ঝাপসা অন্ধকার যখন গভীর হলো তখন হৃদ্যের দরজায় কড়া নড়ল। রিধি অনবরত বলে চলেছে,
” ভ্রমর চলে যাচ্ছে, ভাই। একটা বার দেখা করবি না? ”
হৃদ্য থমকে গেল। জিজ্ঞেস করতে চাইল ভ্রমর কোথায় যাচ্ছে। করা হলো না। ঠোঁটের কোনায় হাসি ফুটল। বীভৎস হাসি! সে হাসি সঙ্গে করে বারান্দার এক প্রান্তে গিয়ে দাঁড়ায়। আচমকা ফুলের টব উঁচিয়ে বাইরে ফেলতে থাকে। প্রায় সব ফেলে দিয়েছিল। তন্মধ্যে একটি ফুলের টবে পা লেগে পড়ে যেতে নেয়। টাল সামলাতে না পেরে অন্ধকারে ছেঁড়া তার টেনে ধরে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ ছুটে চলে শরীরের অভ্যন্তরে! তীব্র কম্পনে দূরে ছিটকে ফেলে। রেলিংয়ের সাথে ধাক্কা খায়। পেট ছোঁয়া দেয়ালখানি হৃদ্যের শরীর ধরে রাখতে পারে না। গড়িয়ে পড়ে একদম নিচে!
________________
ভ্রমরদের গাড়ি যখন ছোট রাস্তা থেকে বড় রাস্তায় উঠল ঠিক তখনই ভ্রমরের ভেতরটা অস্থির হয়ে উঠল। অস্থিরতা দমাতে না পেরে জানালা গলিয়ে মুখ বের করে। চোখের দৃষ্টি পেছনে ফেলতে নীরব সতর্ক করল,
” মাথা বের করো না। ”
ভ্রমর নীরবের দিকে তাকাল। হঠাৎ চিৎকার করে বলল,
” আমি চকলেট নেব। আমার চকলেটই চাই। ”
নীরব থতমত খেয়ে বলল,
” চকলেট? এখন চকলেট কোথায় পাব? ”
ভ্রমর দ্রুত মাথা নাড়ল। সামনে ঝুকে বলল,
” গাড়ি থামান। আমি নামব। কী হলো গাড়ি থামান। ”
ড্রাইভার গাড়ি থামালে ভ্রমর দরজা খুলে বের হয়। পেছনের গাড়িতে থাকা শরীফা খন্দকারও বেরিয়ে আসলেন। ভ্রমর মায়ের কাছে ছুটে যায়। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,
” আমি হৃদ্য ভাইয়ার কাছে যাব,আম্মু। কোন দিকে গেলে তাকে পাব? আম্মু, আমি তো রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি! ”
ভ্রমর কেঁদে ফেললে শরীফা খন্দকার মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন। ততক্ষণে মীর খন্দকার আর নীরবও কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের দিকে না তাকিয়েই একটি সিএনজি থামালেন। মেয়েকে নিয়ে উঠে বসলে মীর খন্দকার স্ত্রীর হাত চেপে ধরেন। শাসিয়ে কিছু বলতে চাইলেন। পারলেন না। এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে সিএনজি নিয়ে ফেলে আসা পথ ধরলেন।
_________________
হৃদ্যদের বাড়িতে এসে এক নিষ্ঠুর দুর্ঘটনার কথা শুনতেই ভ্রমরের পাগলপ্রায় অবস্থা। কান্নারচোটে গলা ছিঁড়ে যাবে বুঝি! মেয়েকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন শরীফা খন্দকার। কোনো মতে হাসপাতালের ঠিকানা উদ্ধার করলেন।
ভ্রমররা যখন হাসপাতালে পৌঁছাল তখন হৃদ্য ওটিতে। ভ্রমরকে দেখে প্রায় দৌড়ে আসে রিধি। চোখ ভরা অশ্রু নিয়ে বলল,
” আমার ভাই প্রমাণ করে দিল তুই তার প্রাণ! প্রাণ ছাড়া শরীরটা বাঁচে কী করে বল? ”
ভ্রমর কিছু বলতে পারল না। রিধিকে জড়িয়ে ধরলে রিধি বলল,
” আমার ভাইকে ছেড়ে কোথাও যাস না। ”
দীর্ঘ চিকিৎসার পর ওটির লাল বাতি নিভে গেল। ডাক্তার বেরিয়ে আসলে সকলে তার কাছে ভিড় করে। তিনি সামান্য হেসে বললেন,
” রোগি বিপদমুক্ত কিন্তু..”
ডাক্তারের কথার মাঝেই শায়লা হক জিজ্ঞেস করলেন,
” কিন্তু? ”
” মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়াই রক্তক্ষরণ হয়েছে। ফলে পেশেন্ট অনিশ্চিত সময়ের জন্য কোমায় চলে গেছেন। ”
হাসপাতালের করিডরে আরও একবার কান্নার রোল পড়ল। তার মধ্যেই ভ্রমর শান্ত স্বরে বলল,
” আমি হৃদ্য ভাইয়ার কাছে যাব। ”
ডাক্তার আপত্তি করলেন। সে সময় কাঁধে কারও হাতের ছোঁয়া পড়ল। ভ্রমর পেছন ঘুরল। বাবার দিকে করুণ স্বরে বলল,
” বাজান, তুমি একটু বলো না আমাকে ভেতরে যেতে দিতে। ”
মীর খন্দকার ডাক্তারের দিকে তাকালেন। পরক্ষণে চোখ ফিরিয়ে আনলেন মেয়ের দিকে। বললেন,
” আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে, মামনি। পরে এক সময় আমি নিয়ে আসব। দেখা করে নিও। ”
ভ্রমর বাবার দিকে তাকিয়ে থাকল কতক্ষণ। তারপর বলল,
” তুমি যাও। আমি কোথাও যাব না। আমি তো হৃদ্য ভাইয়ার কাছে থাকব। ”
কথাটা বলেই হৃদ্যের কেবিনের দিকে ছুটে দৌড় দিল। ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় কারও বাধা মানল না। এক প্রকার যুদ্ধ করেই হৃদ্যের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। হৃদ্য কি বুঝতে পারল তার ভ্রমর দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করা শুরু করেছে?
মেয়ের পাগলামি দেখে শরীফা খন্দকার বিড়বিড় করলেন, ‘ এই কথাটা বুঝতে এত দেরি করলি কেন, খুকিসোনা?’
__________
এক মাস পর,
গরম পানিতে এক চিমটি চা-পাতা দিয়ে সিদ্ধ আলুর খোসা ছাড়ানোতে মনোযোগি হলো ভ্রমর। চায়ের গন্ধ নাকে এসে লাগতে কাপে ঢেলে নিল। চিনি মিশিয়ে আলাদা পিরিচে খোসা ছাড়ানো আস্ত আলু নিল কয়েকটা। সাবধানে হৃদ্যের রুমে ঢুকে। মাথার পাশের ছোট্ট টেবিলে চা রেখে হৃদ্যের দিকে তাকিয়ে বলল,
” তোমার আলু-চা। ”
হৃদ্য নড়ল না। চায়ের কাপ তুলে নিয়ে ঠোঁট ছুঁয়াল না। ভ্রমর কতক্ষণ অপেক্ষা করল। চোখ ভিজে উঠল। এক হাতে চোখের পানি মুছে হৃদ্যের শিয়রে বসে। হৃদ্যের ডান হাতটা তুলে নেয় ভ্রমর। আঙুলের সাহায্যে একটা আলু তুলে নিয়ে চায়ের কাপে ছেড়ে দিল। তারপর হাতটা আগের জায়গায় রেখে দেয়। চামচের সাহায্যে চা ছুঁয়ায় হৃদ্যের ঠোঁটে। ভীষণ আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
” মি. প্রতিবেশি, চা কেমন হয়েছে? ”
প্রশ্নটা করেই ভ্রমর চোখের জল ছেড়ে দিল। হৃদ্যের বুকে ঝাপিয়ে পড়ে বলল,
” ভ্রমর, হৃদ্যকে জড়িয়ে ধরেছে। এবার বিয়েও করবে। ”
ভ্রমর চোখ মুছতে মুছতে বসার রুমে ছুটে গেল। উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলল,
” টিপসই দিয়ে বিয়ে হয় না? ”
সমাপ্তি
[