প্রেম সায়রের ছন্দপাত পর্ব ১৩

#প্রেম_সায়রের_ছন্দপাত

#সাদিয়া_নওরিন

পর্ব—- ১৩

পূলকিত দৃষ্টিতে ইরশাদের বাজার করা দেখছে আরশী! ইরশাদের সাথে কাটানো এই মূহুর্তটা তার কাছে বিশেষ, খুব বিশেষ! সে আজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে ইরশাদকে! আর এই দেখার মাঝেই যেন সে অনাবিল আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে!
হুট করেই আরশীর মনের কোনে এক অদ্ভুত সুপ্ত বাসনা জন্ম নিল ! তার হঠাৎ মনে হলো,
” ইশ! অনন্তকাল ধরে যদি আমি ইরশাদের পাশে দাঁড়িয়ে এভাবেই শপিং করতে পারতাম!”
নিজের জন্য যে অনেককিছুর দরকার তার, তা কিন্তু নয়। কেবল ইরশাদ পাশে থাকাবে সে এইটায় যেন তার কাছে সবচেয়ে বিশেষ।

হঠাৎ আরশী খেয়াল করলো, ইরশাদ কেবল কলা আর প্যাকেট কেকের বক্সই কিনেছে। সে পরম অবাক হলো।আর সাথে সাথেই প্রশ্ন ছুড়লো সে,
—– শুধু এগুলো! টাকা তো আরো অনেক আছে এগুলোতে তো পেট ভরবে না কারোর!
—– বাসে পাউরুটি, ডিম আর একটি মিষ্টি নিয়ে একসাথে একটি প্যাকেট দিবে।আর তাছাড়া রাতের খাবার খেয়ে গাড়িতে উঠবো আমরা। তো এতটুকু ই তো ঠিক আছে। কারণ এর চেয়ে বেশী খেলে, শরীর খারাপ করবে সবার।
আরশী আলতোভাবে সম্মতিসূচক মাথা ঝাঁকালো।আর তারপর ইরশাদের পাশাপাশি হাটতে শুরু করলো।
বহমান শিতল বাতাস আলতো ছুইঁয়ে দিচ্ছে দু’জনকে। পাশাপাশি শব্দবিহীনভাবে হাটছে দুটি প্রাণ! নিরবতা যেন গ্রাস করেছে তাঁদের! যেন তারা একে অন্যের শ্বাস-প্রশ্বাসই গুনছে এখন!

আচমকা পাশের দোকানের দিকে দৌড় দিল আরশী! তার এমন কাজে পরম অবাক হয়ে ইরশাদও ছুটলো তার পিছু পিছু!আর সেখানে পৌঁছে অবাক দৃষ্টিতে আরশীর চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো ইরশাদ কিছুক্ষণ!
গুনে গুনে তিরিশটি আচার নিল আরশী। সব বড়াই এর আচার। যার মধ্যে বিশটায় ( পাঁচশো পঞ্চান্ন) ট্যাগ লিখা আচার।আর বাকিগুলো অন্যান্য। ইরশাদের বিষ্মিত চেহারার কুঁচকে উঠা ব্রু র দিকে তাকিয়ে, আলতো মুচকি হেঁসে বলতে লাগলো আরশী,
—– জানেন, আমি যখন স্কুলে পড়তাম, রোজ এই আচারগুলো খেতাম।আর আমার ডেস্কতো সবসময় ই এই আচারের বিচিতে ভরে থাকতো।এমনকি দাঁত দিয়ে চেপে বিচিটি ভেঙ্গে ভেতরের নরম অংশটুকুও খেয়ে নিতাম তখন আমি। কারণ কি জানেন? ভেতরের তৈলাক্ত জিনিসগুলোই সবচেয়ে বেশী মজা, এমনকি বড়ই এর চেয়ে বেশী!
তাছাড়া রসুনকে থেতলে দিয়ে অথবা সরিষার তেল দিয়ে মিক্স করে ও খেতাম আমরা এই আচার। যেদিন কিছু না পেতাম, সেদিন পানি দিয়েই খেয়ে নিতাম।
মুখে প্রফুল্ল হাসি ঝুলিয়ে বলতে থাকে আরশী। দু-হাত নাড়িয়ে আলোচনার ভঙ্গিতে বাচ্চাদের মতো হাসতে হাসতে বলছে সে কথাগুলো। আর তার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইরশাদ! আরশীকে এখন সেই স্কুলের আরশীর মতোই মনে হচ্ছে তার কাছে! পুরো দিন কি কি ঘটলো তার লম্বা বর্ননা দেওয়া যার কাজ ছিল, এ যেন সেই আরশী! পুলকিত ভাবে আরশীর মুখ পানে তাকিয়ে, তার চেহারার নানা ভঙ্গিমা দেখতে ব্যাস্ত হয় পড়লো ইরশাদ!

কথার ফাঁকে আঁড়চোখে ইরশাদের মুখপানে তাকিয়ে মিইয়ে গেল আরশী! লজ্জা আর সংকোচে মাথা নুইঁয়ে এলো যেন তার!ইরশাদ সেদিকে তাকিয়ে আনমনে ভাবলো,
” স্কুলের যে আরো অনেক স্মৃতি আছে আরশী!”
কিন্তু মুখে তার কিছুই বলল না সে। বরং সামনের ব্যাস্ত সড়কের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,
—–এইসব খেলে রাস্তায় পেট খারাপ হবে আপনার। এমন ও হতে পারে শরীর খারাপ করে বমি এলো।
—– মোটেও না।আচার তো আরো বমি ভাব কাঁটায়৷
—– কই আমি তো জানি বমিকে আমন্ত্রণ পত্র দেয় এটি আরো।
আরশী জেদ করে মাথা দুলিয়ে কিছু বলার আগেই, ফোঁস করে নিশ্বাস ফেললো ইরশাদ।তারপর হতাশ স্বরে সামনে এগুতে বলল তাকে। আরশীর জেদ সম্পর্কে খুব ধারণা আছে ইরশাদের! মেয়েটি শান্ত হলেও যে মারাত্মক জেদি, সেই বিষয়টি খুবই করে জানা ছিল তার। তবে এখনের সাথে তা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত সেই বিষয়ে তার যেন একদমই ধারনা নেই ।

হোটেলের নিচে পৌঁছাতেই থমকে দাঁড়ালো ইরশাদ।আরশী অবাক জিঙ্গাসু দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে। ইরশাদ সেদিকে তাকিয়ে একহাত পকেটে পুরে বলল,
—– তুমি না কিছু কেনার জন্য এসেছিলে? কিছুই তো নিলে না।
আমতাআমতা করতে লাগলো আরশী। ইরশাদ কি আদো বুঝতে পারছে না কেন সে গিয়েছিল তার পিছুপিছু! আনমনে ভাবলো সে।তারপর মিহিস্বরে মিনমিনিয়ে বলল,
—- আসলে আমি এমনিতেই গিয়েছিলাম।
—- কিহ্!
অবাক হয়ে আরশীর দিকে তাকাতেই টুপ করে মাথা নুইয়ে ফেলল সে! লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো তার গালদুটিও।ইরশাদ সেদিকে তাকিয়ে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করলো৷ হঠাৎ কিছু মনে পড়তেই গভীর দৃষ্টিতে তাকালো সে আরশীর দিকে! আর ঠিক তখনই লজ্জায় মাথা নুইয়েই বলে উঠলো আরশী,
—– তেমন কিছুই না।আসলে আমার এমনিতেই হাঁটতে বের হতে ইচ্ছে হয়েছিল।
ইরশাদ আলতো মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতিসূচক মাথা নাড়লো।তারপর গম্ভীর স্বরে বলল,
—- যেহেতু বের হয়েছেন কিছু কিনে নিন যাতে ভেতরে গিয়ে বলতে পারেন।

আরশী দাঁত দিয়ে নখ কাটায় ব্যাস্ত আপতত! আসলেই কি কিনবে সে যেন বোধগম্য হচ্ছে না তার। আনমনে কিছু ভেবে পাশে ফিরতেই দেখলো ইরশাদটাও হাওয়া হয়ে গিয়েছে। ঠিক তখনি পাশের দোকানটায় ইরশাদের কন্ঠস্বর শুনলো সে। কিছু ঔষধ কিনছে সে সেথায়৷ ইরশাদকে ওখানে দেখেই চট করে মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল আরশীর। সেও দোকানটিতে প্রবেশ করলো। আর একটি প্যাডের প্যাকেট তুলে নিল৷ ইরশাদ আঁড়চোখে সেদিকে তাকিয়ে, নিজের জিনিসপত্রের বিল মিটিয়ে দিল। আর তারপর পরই বের হয়ে গেল সে দোকান ছেড়ে।

হালকা কেনাকাটা করার পর ব্যাগে হাত দিতেই মাথায় হাত পড়লো আরশীর! তার তখনই মনে পড়লো, খরচের সবটাকাগুলো সব বড় ব্যাগে রেখেছিল সে। আর রাস্তার টুকিটাকি খরচেরজন্য অল্প টাকা রেখেছিল সে পার্টস এ। এখন তার কাছে বাকি যেটুকু টাকা আছে তা দিয়ে বিল মেটানো ও কোনভাবেই সম্ভব নয়!
বিরস মুখ নিয়ে প্যাকেটটি ফেরত দিতে সামনের দিকে হাত বাড়াতেই, একদম তার পেছন থেকে দোকানদারের দিকে টাকা বাড়িয়ে দিল আরেকটি হাঁত! হাঁতটি দেখে পরম বিষ্মিত হয়ে পেছনে ঘুরতেই, পেছনের ব্যাক্তিটির বুকের সাথে বাড়ি খেল আরশী!
চোখ বুজে পরিচিত গন্ধটি নিজের ফুসফুসে ধারণ করলো আরশী!মাতাল করা এই স্মেল, আর ফর্সা হাতটির মালিকটি যে আরশীর বড্ড চেনা! এ যে ইরশাদ!
ইরশাদ টাকাটা বাড়িয়ে দিতেই দোকানদার মুখে দেঁতো হাসি ফুটিয়ে, তাকে লক্ষ্য করেই বলে উঠলো,
—- ভাইজান, কে হয় ইনি আপনের?
—– বৌ হয় ভাই।
সাবলীলভাবে খুচরা বাকি টাকাগুলো মানিব্যাগে ডুকাতে ডুকাতে উত্তর দিয়ে উঠলো ইরশাদ!

বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে ইরশাদের পানে তাকিয়ে আছে আরশী। চোঁখগুলো যেন তার কোঠরের বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে! কিছু সময় আগে ঘটা কাহিনীটা যেন একদম মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে তার! তার বিষ্মিত দৃষ্টি কে সম্পূর্ণ অগ্রায্য করেই হোটেলের দিকে হেঁটে চলল ইরশাদ! আর তার পিছুপিছু ধিমি পায়ে তাকে অনুসরণ করতে লাগলো আরশী।
মনের ভেতরটা আপাতত ফুরফুরে লাগছে এখন তার! মনে হচ্ছে তার পেটের ভেতরও অনেকগুলো প্রজাপ্রতি একসাথে উড়ছে ! যা তাকে সুরসুরি দিচ্ছে প্রতিটি লোমকূপে! চোখ বুঝে বাক্যটি আরেকটি বার অনুভব করলো আরশী! “আমার বৌ” শব্দটি আরেকবার মনে করেই লজ্জায় আবার লাল হয়ে উঠলো সে!

রাত ১০ টায় কলাবাগানে শ্যামলী কাউন্টারে এসে পৌঁছালো সবাই। ওরা শ্যামলীর সৌহার্দ্য বাসের টিকেট কেটেছে। এই বাসটি ঢাকা টু কলকাতার ডাইরেক্ট বাস। এই বাস ছাড়া অন্য বাসেও যাওয়া যায় তবে সমস্যা একটাই৷ অন্যবাসে গেলে বেনাপোলে নেমে কাস্টমসের সব কাজগুলো শেষ করে ইন্ডিয়ার সাইডে গিয়ে অন্যবাসে উঠতে হয়। এতে কষ্ট বাড়ে।কিন্তু এই বাসটি কাস্টমস ক্লিয়ারের সময় পর্যন্ত অন্য সাইডে গিয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করে। আর এটা যেহেতু বাসটি এসি বাস তাই তারা ১৯০০ টাকা করে বাসের টিকেট কিনলো।
বাসে উঠেই তিতাস আর তিশা পাশাপাশি সিটে বসে পড়লো। আরশীর অনেক সংকোচ নিয়ে ইরহামের পাশেই বসলো।যদিও সে বন্যার পাশেই বসতে চেয়েছিল কিন্তু ইরহামের মুখের ওপর না বলাটাও বড্ড বেমানান মনে হলো তার কাছে! অন্যদিকে বন্যাকে একা পেয়ে তার পাশের সিটটি জুড়ে বসে পড়লো সাগর। চোখে মুখে প্রশান্তি খেলা করছে তার এখন!
আর যথারীতি ইরশাদ একা একটি তরুনীর পাশে নিজের সিটে বসে পড়লো।

বাস চলতে শুরু করেছে আপন গতিতে। আরশী আঁড়চোখে ইরশাদের সিটের দিকে তাকাচ্ছে! ইরহামটা জানালার পাশেই বসলো। যদিও আরশী নিজে জানালার পাশে বসতে চেয়েছিল কিন্তু ইরহাম খুবই অনুনয়ের স্বরে জানালো তার অপারগতার কথা!
কানে হেডফোন গুঁজে বাসের পেছনদিকটাই মাথা এলিয়ে দিয়েছে ইরশাদ।আচমকা আরশীর দৃষ্টি খেয়াল করলো সে! আর সাথে সাথেই তার মাথায় হুট করেই দুষ্টুবুদ্ধি খেলে গেল! সে চোখের কোনায় আরশীর দিকে তাকিয়ে, পাশের সিটের মেয়েটির সাথে ভাব জমাতে শুরু করলো! তার সাথে কথাও বলতে শুরু করে দিল। মুখে তার সেই অমায়িক হাসি ঝুলছে!

দাঁতে দাঁত পিষে সেদিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল আরশী, তারপর বিরবিরিয়ে বকতে লাগলো সে,
—– শালার আমার সাথে কথা বলার সময় তো মুখে এট্যাম বোমা নিয়ে রাখিস যেন মুখ খুললেই ফাঁটবে। আর এখন! যেন কথার ফুলঝুরি সাজিয়ে রেখেছে সে!
নাক ফুলিয়ে ইরশাদকে বকতে বকতে আচার খাওয়ায় মন দিল আরশী। আর দাঁত দিয়ে কটমটিয়ে ভাঙ্গতে লাগলো একেকটা বিচি। যেন বিচি না ইরশাদকেই দুদাতের মাঝে পিষছে সে!

তিতাসের বুকের কাছে মাথা রেখে চোখ বুঝে আছে তিশা। নিজেকে আজ বড্ড পূর্ণ মনে হচ্ছে তার। শ্যামবর্ণ গায়ের রঙে কারণে মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হতো তার। কিন্তু আজকাল এমনটা মোটেও মনে হয় না তার।
তার খুব করে মনে আছে, বান্ধবীরা কোন কাল বস্তুর তুলনা করতে গেলে প্রথমে তার নামটিই উদাহারন হিসেবে দিত।
বিষয়টা এমন, কেউ বলল,
” আজ একটা ছেলে দেখলাম ইয়ার। লাইট ব্লাক কালারের টিশার্ট পরিহিত! মনে হচ্ছিল যেন একটা মিনি ডার্ক চকলেট, জাস্ট কামড়িয়ে খেয়ে নি তাকে”
ঠিক তখনি আরেক বান্ধবী ফুড়ন কাটলো,
—– তাই নাকি। কেমন ডার্ক আমাদের তিশার মতো?
অথবা এমন একটা বিষয় হলো কেউ বলল,
—- জানিস মেয়েটার চুলগুলো কতোটা চিকচিকে কালো! ইশ্ আমার চুলগুলো যদি এমন হতো!
তখনই আরেকজন বলে উঠবে,
—- ভালো হলো রে তিশা তোর নেই। তখন আর চুল আর তোকে আলাদা করা যেত না।
বিষয়টি হয়তো তাদের জন্য অনেকটা মজার। কিন্তু তিশার জন্য! কতোরাত এইসব ভেবে ফুফিয়ে কেঁদেছে সে, এই যেনত কোন হিসেব নেই!

আর একদিন হুট করেই তার জিবনে তিতাসের আগমন ঘটে। যা ছিল যেন একদম ম্যাজিকের মতো! একদম ফর্সা না হলেও তিতাসের গায়ের রঙটা ফর্সারই কাছাকাছি। হাইটাও এভারেজ। তিশার আজো মনে পড়ে সেদিনটির কথা, যেদিন তিতাস তার কাছে এসে প্রপোজ করেছিল তাকে!
তিশা চোখ বুঝে অনুভব করে আজো সেই সময়! আজো সময়টি মনে পড়লে, বুকের ভেতরটা টিপটিপ করে তার৷ যেন হাতুড়ি দিয়ে কেউ খুব জোরে বাড়ি দিচ্ছে! সে চোখ বুঝে তিতাসের মিস্টি স্মেলটা গায়ে মাখায়। আর তারপর চোখ বুঝে। আর তিতাস, সে যেন পরম নিশ্চিন্তেই ঘুমুচ্ছে। আর ঘুমুবেই না বা কেন, তার মেঘপরী যে এখন তার বুকজুড়ে আছে!

কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে ব্যাস্ত বন্যা। আপাতত চারপাশে সাইক্লোন বয়ে গেলেও যে তার কোন খবর হবে না তা খুব ভালো ভাবেই জানে সাগর। আর তাই সে মোটেও জ্বালালো না বন্যাকে।বরং তৃষ্ণার্থ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতে লাগলো তার স্বপ্ন রুপী বাস্তবতাকে. আজ তার মন বারবার চায়ছে,
—- ইশ, আর একটু কাছে আসুক সে! একটু মাথা রাখুক আমার এই কাঁধে! ”

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here