প্রেম সায়রের ছন্দপাত পর্ব ২৪

#প্রেম_সায়রের_ছন্দপাত

#সাদিয়া_নওরিন

পর্ব—- ২৪

——- ভালোবাসা হয়তো একেই বলে! পুরো বাইশ বছর সময় নিয়ে স্ত্রীর স্মৃতি স্বরণে এতো সুন্দর একটি সৌধ নির্মান করেছেন তিনি! ইশ! সম্রাট শাহজাহান মমতাজকে কতোটাই না ভালোবাসতেন!
চোখে মুগ্ধতা ঢেলে বলে উঠলো আরশী! কন্ঠে তার ঈষৎ আক্ষেপ। হয়তো এই আক্ষেপ যেকোন সুখী নারীর সুখময় জিবন পরিদর্শনের পর অন্য নারীর বুক চিঁড়ে বেরিয়ে আশা হতাশার রুপ! বিষয়টি চিরন্তন, যে কোন নারীর ক্ষেত্রে ঘটমান এটি!

আরশীর কথায় মুচকি হাসলো ইরশাদ। তারপর যমুনা নদীর কাছে তাজমহলের বেদীটির পাশে দাড়িয়ে নদীর দিকে স্হিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো সে। টলমল পানির স্বচ্ছ ছবির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো সে,
—- যা দৃশ্যমান তা সবসময় সত্যি নয়। কিছু সত্যি মাঝে মাঝে অত্যন্ত নির্মম ও হয়।
—- কি বলতে চায়ছো তুমি? তোমার মতে সম্রাট তার বেগমকে ভালোবাসতো না?
—- আরশী তুমি কি জানো,রানী মমতাজ সম্রাটের কতোতম বৌ?
—– হয়তো দ্বিতীয়?
—- নাহ চতুর্থ।
প্রতিবাদের সাথে বলল বন্যা। কিন্তু তার কথায় আরশীও পিছপা হলো না। সে নাক ফুলিয়ে বলল,
—- তো তাতে কি হয়েছে? ইসলামে চারটা বিয়ে করা জায়েজ আছে।

এবার আলতোভাবে ব্রু বাঁকিয়ে আরশীর দিকে তাকালো ইরশাদ। চোখে মুখে দুষ্টুমির ছাপ স্পষ্ট। সে দু’লাফে আরশীর একদম মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়ে, গভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তার মুখপানে! তারপর ফিসফাসনো স্বরে বলে,
—– তাহলে তো ভালো। তোমার স্বামীও তোমাকে বিয়ে করার পর আরো কয়েকটা বিয়ে করে নিতে পারবে। যা হোক, তোমার প্রতি ভালোবাসা না কমলেই তো হলো তাই না?

আরশী হা হয়ে তাকিয়ে আছে ইরশাদের পানে। ছেলেটির হুটহাট প্রশ্ন একদমই বাকরূদ্ধ করে দেয় তাকে।কিন্তু নিজের বিষ্ময়ভাবটা নিজের মাঝেই চেপে গেল আরশী৷ আর ঠিক তখনি তাকে আরো অবাক করে দিলো ইরশাদ। সে কিছুসময় পলকহীন দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থেকে হুট করে চোখ টিপ দিয়ে দিন তাকে! এবার থতমত খেয়ে গেল আরশী৷ আলতোভাবে চোখ ঘুরিয়ে আশেপাশে দেখলো সে। আর তারপর নাক ফুলিয়ে ইরশাদের বুকের ওপর হাত রেখে জোরে ধাক্কা দিল তাকে। ইরশাদ আলতো পিছিয়ে গেল এতে! কিন্তু মুখ লেপ্টে থাকা হাসিটি একইভাবে বজায় রাখলো সে।

আর একটু পর মুখে হাসি টেনে বলল,
——তা নয়তো আর কি। শাহজাহান মমতাজকে বাজারে দেখে প্রথম দেখায় পছন্দ করে ফেলেছিল। আর তাই সে মমতাজের স্বামীকে হত্যা করে মমতাজ করে বিয়ে করে নেয়। মমতাজের সাথে উনিশ বছর সংসার জিবনে চৌদ্দটা বাচ্চা নেন তিনি। আর তার সেই চৌদ্দতম কন্যা সন্তানকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান রানী মমতাজ।আর ইতিহাস তো এইটাও বলে, সম্রাট শাহজাহান মমতাজের মৃত্যুর পর তার ছোট বোনকে বিয়ে করেছিলেন! আমারও মমতাজের জন্য শুধু মায়া হয়। ইশ! এতো বাচ্চা! মেয়েটার কতো কষ্ট হয়েছিল।
ঠিক তখনি ইরশাদ পাশ থেকে বলে উঠলো সাগর,
—- ভাইরে, ছুন্দর হইলেও দোষ ভাই, ছুন্দর হইলেও দোষ। জামাইগো কলিজায় কি একডু মায়া হইতো না?
ফিক করে হেসে দেয় বাকি দুজন ও।কিন্তু ইরশাদ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরশীর অস্হিরতা ভরা চোখগুলোর দিকে!
সে আরশীর দিকে চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে, আলতোভাবে নিজের নিচের ঠোঁটটি কামড়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে আবারও,
—- তো আরশী, তোমার কি এমন ভালোবাসা চায়? বাচ্চাময় ভালোবাসা?

আরশীর পুরো শরীর যেন মৃদু ঝংকার দিয়ে উঠলো। সে পরপর ঢোক গিলে দাঁতে দাঁত চেপে তাকালো ইরশাদের দিকে।তারপর কিছু না বলেই মুখ গোমড়া করে হনহনিয়ে ঐ জায়গা ছেড়ে প্রস্হান করলো। আর সেদিকে তাকিয়ে এবার খিলখিলিয়ে হেঁসে দিল সাগর৷ আর সাথে যোগ দিল তামিমও। তারপর একে অন্যের কাঁধে হাত রেখে হাসতে হাসতে বলে,
——- ঐ সময় পিলের অভাব কতো ভোগান্তিতে ফেলতো মাইয়া গো ভাই৷ ভেবে দেখ।
ইরহামও হেঁসে ফেললো এবার তাদের কথায়। আর অন্যদিকে বন্যা আর তিশা একে অন্যের দিকে আড়ঁচোখে তাকিয়ে, আঙুলে আঙুল গুঁজে কেটে পড়ে সেখান থেকে।
ছেলেগুলোর আসলেই কোন চক্ষু লজ্জা নেই।বিরবিরিয়ে বলে উঠলো বন্যা।

তাজমহল মূলত কয়েকটি ভবনের সমষ্টি। এর কমপ্লেক্সে রয়েছে একটি মসজিদ, একটি অতিথি শালা, একটি বিশাল প্রবেশদ্বার, চারটি মিনার এবং মমতাজ ও শাহজাহানের সমাধি। তাজমহলের চারকোনে চারটি মিনার ও ২২টি গম্বুজ রয়েছে। তাজমহলের অভ্যন্তরে দুটি সমাধি। আরশী গুটিগুটি পায়ে মমতাজের সমাধির সামনে এসে দাঁড়ালো। অপূর্ব কাজের ছিমছাম এই সৌন্দর্য যেন বর্ননা অতিত। এই সৌন্দর্য যেন মনের প্রশান্তির সৃষ্টি করে আর তাই হয়তো এটিকে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি ধরা হয়! সে অবাক হয়ে দেখতে লাগলো সমাধিটি!

আচমকা ইরশাদ মুষ্টিবদ্ধ করলো আরশীর কোমল হাত দুটি! আর তারপর আরশীর পেছনে দাঁড়িয়ে আরশীর ঘাড়ের কাছে থুতনি রাখলো! আরশী শিহরিতভাবে কেঁপে উঠলো সাথে সাথে। বুকের ভেতরটা ধুকপুক করে উঠলো তার। ইরশাদের গরম নিশ্বাস যেন আবেশিত করছে তাকে গভীরভাবে। সে সেই উষ্ণতায় চোখ বুঝলো। ইরশাদ আলতোভাবে নিশ্বাস ফেললো আরশীর ঘাড়ে। আর তারপর ফিসফিসিয়ে বলে চলল ,
—- আরশী! আমার ফ্যামিলি মেম্বার ছাড়া আমার জিবনে আশা প্রথম নারী তুমি। যাকে আমি মনের অন্তস্থল থেকে ভালোবেসেছি৷ যাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনেছি প্রতিনিয়ত। আর এতো বছর বিরহের পর যার মাঝে আমার হৃদয়টি আঁটকে আছে সেই কন্যা কেবল তুমি! আমি তোমার জন্য এমন সৌধ কখনোই নির্মাণ করবো না আরশী। কারণ আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলবো এমনটা মনকে আর বোঝাতে পারবো না।
আমি তোমার সাথে তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চায় আরশী। নিজেকে কেবল তোমার মাঝে হারাতে চায়। তুমি কি দিবে আমায় এমন অধিকার?

প্রশান্তির হাওয়া বইছে আরশীর হৃদয়ে। চোখ বুঝে অনুভব করছে সে এই সময়। তার কাছে প্রতিটি কথা স্বপ্নের মতো ঠেকছে আজ! আর তাই নড়তেও যেন ভয় পাচ্ছে সে। সে এই মধুর স্বপ্নটি ভাঙ্গতে চায় না। সে চায় আজিবন এমন স্বপ্নে বাঁচতে। এভাবেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকতে ইরশাদের।
হঠাৎ আশেপাশের খিলখিল ধ্বনিতে তাড়াতাড়ি চোখ খুলে নিজেকে ইরশাদ থেকে ছাড়িয়ে নিল আরশী। লজ্জায় আরক্ত হয়ে গেল সাথে সাথে তার মুখমণ্ডল। মাথা নুইয়ে মাটির দিকেই দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রইলো সে।আর ঠিক তখনি তিশা আর বন্যা আরশীর দুপাশে দাঁড়িয়ে ফিসফিসানো স্বরে বলে উঠলো,
—- কংগ্রাচুলেশন ইয়ার!
আরশী আঁড়চোখে বন্যার দিকে তাকালো কিন্তু বন্যা স্বাভাবিক ভাবেই হেঁসে বলে উঠলো,
—- আই এম হ্যাপি ফর ইউ। এড অলসো ইউ বোথ আর মেইড ফর ইচ আদার।
আরশী যেন এবার সস্হির নিশ্বাস ফেলল। বুকের ভেতর চেপে রাখা উদ্বেগের বোঝাটা যেন মুহূর্তেই হালকা হয়ে গেল তার।

অন্যদিকে সাগর আর তিতাস ইরশাদকে খোঁচাতে ব্যাস্ত। সাগর রশিকতার সুরে টেনে টেনে বলে উঠলো,
—- আহা! তাজমহলের বাতাসে প্রেম প্রেম পেল নাকি রে তোর? আহা মধু মধু
ইরশাদ লাজুক হাসি মুখে ঝুলিয়ে কেটে পড়লো ঐ স্হান ছেড়ে।আর ইরহাম একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আরশীর দিকে! আরশীর লজ্জা মাখা মুখটির দিকে তাকিয়ে ভূলে গেল সে সকল অভিযোগ। মনটা অতিরিক্ত খারাপ লাগছে না তার আজ।হয়তো হৃদয়ও সয়ে গেছে বিষয়টি।

তাজমহল থেকে আগ্রাফোর্টের দূরত্ব কেবল আড়াই কিলোমিটার। ওরা জনপ্রতি পঞ্চাশ টাকা ভাড়ায় অটোতে চড়ে আগ্রাফোর্টে পৌঁছালো৷ রাস্তায় তাজমহলের টিকেটগুলো ফেলতে মানা করে দিল ইরশাদ৷ এতে অবাক হলো সবাই। তিশা তো রসিকতার স্বরে প্রশ্নও ছুড়ে বসলো,
—— এগুলো দিয়ে করবি টা কি? এই কাগজের বদলে কি কেউ ধনরত্ন দিবে বললো তোকে?
—– মনে কর তা ই!
তিশা বিষ্মিতভাবে তাকালো ইরশাদের দিকে।মাঝে মাঝে ছেলেটার রসিকতাগুলোও বড্ড সিরিয়াস মনে হয় তার কাছে৷ ইরশাদকে একদমই বুঝতে পারে না তিশা।আদো ইরশাদ রশিকতা করছে নাকি সত্যি বলছে তা কখনোই ঠাহর করতে পারে না সে।
তবে ইরশাদের কথার উত্তর সে আগ্রো ফোর্টের কাছে এসেই পেয়ে গেল। এখানের নরমাল এন্ট্রি মূল্য ৮০ রুপি। কিন্তু যাদের তাজমহলের টিকেট আছে তাদের জন্য ৪০ রুপি। আর ইরশাদের বিচক্ষণতার জন্য ২৮০ রুপি কম খরচে ভেতরে ঢুকে পড়লো তারা।

আগ্রা ফোর্ট অনেকটা দেখতে বাংলাদেশের লালবাগের কেল্লার মতো৷ আর তাছাড়া মূগল আমলের সৃষ্ট প্রতিটি স্তম্ভই যেন দৃষ্টিনন্দন। ইরহাম পলকহীন দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়েই বলে উঠলো,
——- এই আগ্রাফোর্টের এক বেদনা গাঁথা ইতিহাস আছে।এখানেই শাহজানকে দীর্ঘ আটটি বছর আটকে রেখেছিলেন তার পুত্র আওরঙ্গজেব। বন্ধী থেকেও শুধু প্রিয়তমার কবরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কেঁদেছিলেন শাহজাহান। আর এখানেই মৃত্যুর সাধ নিয়েছেন প্রিয়তমার দিকে তাকিয়েই!
আরশীর বুকের ফেতরটা যেন হু হু করে কেঁদে উঠলো মুহূর্তেই। অদ্ভুত শূন্যতা অনুভব করলো সে স্তম্ভটির দিকে তাকিয়ে। তার কেন যেন সেই অশ্রুসিক্ত সম্রাটের চেহারা স্মৃতিপটে ভেসে উঠলো!

সূর্যটি মাথার উপর অস্তগত। গোধূলির আলোয় রক্তিম হয়ে আছে আকাশটি। মৃদু ঝিরিঝিরি পবন বইছে দিগন্তে। যার সাথে ভেসে আসে কারো হৃদয়বিদারক স্মৃতির সেই অম্লান অনুভূতি!

এবার পালা ফেরার । সেখান থেকে তারা আবার ফিরে এলো গাড়ির কাছে। রাত দশটার ট্রেন তাদের আর তাই আর বিলম্ব না করে মাইক্রোতে উঠে বসলো তারা। হঠাৎ একটি কান্ড করে বসে বন্যা! সে আরশীর পাশ ছেড়ে সাগরের পাশে গিয়ে বসে পড়ে! আর এতে মুচকি হেঁসে আরশীর পাশের সিটে উঠে বসলো ইরশাদ।
সাগরের মনের ভেতরটা খুব জোরে ধুকপুক করছে। এ যে মেঘ না চায়তেই জল তার জিবনে।কিন্তু প্রচন্ড বজ্রপাতের আশঙ্কায় মুখে কুলুপ এঁটে গাড়ির সাথে চেপে বসে রয়লো সে!

তিশা গাড়িতে উঠেই বিরবিরিয়ে বলতে থাকে,
—- দেখেছো প্রতিটি জিনিস কতো নিখুঁত ছিল!
—–আগে আরো সুন্দর ছিল যখন এটি তৈরি করেছিল! ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ব্রিটিশ শাসন- সব আমলেই তাজমহলের বিভিন্ন সম্পদ লুণ্ঠন করা হয়েছে। শুরুতে তাজমহলের দরজা ছিল রুপার, ছিল সোনার তৈরি রেলিং, রত্নখচিত ঝাড়বাতি ও মহামূল্যবান কার্পেট, মমতাজের করবের উপরে ছিল মনিমুক্তা খচিত গিলাফ। সবই গেছে ভিনদেশি শাসকদের হাতে।
এক জরিপে দেখা যায় ২.৭ শতাংশ মহামূল্যবান ধনরত্ন অবশিষ্ট আছে, বাকি ৯৭.৩ শতাংশ ধনরত্ন লুণ্ঠিত বা খোয়া গিয়েছে। আগের মতো চাকচিক্যটাও নেই এখন।আগে তো আরো বেশী শুভ্র ছিল!
—– আসলেই বিট্রিশগুলো বড্ড পাজি ছিঁল।
বলতে বলতে ঘুমে নেতিয়ে পড়ে তিশা। আর তাকে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই তিতাস।

শো শো ধ্বনিতে বাতাস প্রবেশ করছে মাইক্রোতে। জানালাগুলো খুলে রেখেছে মেয়েরা। তাদের বমি ভাব পাচ্ছিল এমনটাই বলেছে তারা। কিন্তু আপাতত বেশির ভাগই ঘুমিয়ে কাঁদা হয়ে আছে। ইরশাদ মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে আরশীর মুখপানে। কপালের ছোট ছোট চুলগুলো বারবার আছড়ে পড়ছে আরশীর মুখে। মায়াবী স্নিগ্ধ লাগছে তাকে এতে। ইরশাদ আলতোভাবে জড়িয়ে ধরলো তাকে। আরশীও ইরশাদের বুকে মাথা গুঁজে যেন নিশ্চিতে ঘুমুতে লাগলো।
হঠাৎ ইরশাদের চোখ পড়লো আরশীর হালকা গোলাপি ঠোঁট দুটির দিকে! সেদিকে তাকাতেই অদ্ভুত নেশা লেগে উঠলো ইরশাদের চোখে! আর সাথে শিহরণ ও খেলে গেল তার লোমকূপে। আরশীর মিষ্টি ঠোঁটের ছোঁয়া পেতে যেন আনচান করতে লাগলো তার মন!

তাড়াতাড়ি চোখ বুঝে আরশীকে পাশের সিটে মাথা হেলান দিয়ে দিল ইরশাদ। আর তারপর ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলল সে। আর তার একটু পর নিজের মাইন্ড ডাইভার্ট করতে ফোনে গেইম খেলায় মন দিল সে।

বুকের ওপর আছড়ে পড়া বন্যার মাথাটি আলতোভাবে নিজের ঘাড়ে তুলে দিল সাগর। বন্যার উপস্থিতি রীতিমতো ঘামিয়ে তুলেছে তাকে! হাত পা এ ও যেন কম্পনের সৃষ্টি হয়েছে তার! সে আঁড়চোখে বন্যার দিকে তাকালো। কেমন দুঃখী মনে হলো বন্যার মুখটি। বড্ড মায়া হলো তার বন্যার জন্য৷ মাঝে মাঝে সাগরের মনে হয় যদি সে জাদু জানতো! বন্যার চেহারায় মন খারাপের দাগ লাগতে দিতো না সে মোটেও! কিন্তু আদো কি তা সম্ভব! হতাশায় মন ভার হয়ে এলো সাগরের।আর এতে ফোঁস করে বেরিয়ে এলো বুক চিঁড়ে হতাশার দীর্ঘশ্বাস

চলবে

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here