প্রেমময় প্রহর (deewana 2)
Urme prema (sajiana monir)
পর্ব :১
ক্লাস রুম থেকে বের হতেই কেউ টেনে হিচড়ে সায়রা কে নিয়ে যেতে লাগে ।হঠাৎ এমন হওয়ায় সায়রা বেশ চমকিয়ে যায় ।হাত শক্ত করে ধরায় হাতের কাচেঁর চুড়ি গুলো ভেঙ্গে হাতে ডুকে রক্ত পড়ছে ।কিন্তু সামনের ব্যক্তির সেদিকে খেয়াল নেই সে নিজের পুরো রাগ আর জিদ নিয়ে সায়রাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ।
সায়রা কান্না করতে করতে বলল
-“প্লিজ আমাকে ছাড়ুন আরসাল !
আমার খুব লাগছে ।”
কিন্তু আরসাল সায়রার কোন কথা নিজের কানে নিচ্ছেনা ।সায়রাকে আগের মতই টানতে টানতে উপরের দিকে নিয়ে যেতে লাগে ।
দোতলার অন্ধকার খালি রুমে এ নিয়ে যেয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় ।সায়রা বেশ ঘাবড়িয়ে যায় দোতলার রুম গুলো খালি ২য় বর্ষের আজ কোন ক্লাস নেই তাই তার উপর বাহিরে মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে ।অন্ধকারে আস্তে আস্তে আরসাল সায়রার দিকে এগিয়ে আসছে আর সায়রা ভয়ে এক পা এক পা করে পিছাচ্ছে ।এমনিতেই বৃষ্টির কারনে শরীর ভিজে আছে তার উপর আরসালের হঠাৎ এমন ব্যবহারে ভয়ে সায়রার শরীরের লোম গুলো দাড়িয়ে গেছে ।আরসালকে নিজের কাছে আসতে দেখে সায়রা কান্না করতে করতে বলতে লাগে
-“কেন এমন করছেন ?
আমাকে যেতে দিন প্লিজ !”
আরসাল কোন কথা বলছে না আগের মতই এক পা এক পা করে সায়রার কাছে আসছে তাকে রাগ আর জিদ এতটাই কাবু করে রেখেছে যে সে না দেখছে সায়রার কষ্ট না শুনছে সায়রার কান্না !
আরসালের পুরো শরীর ও বৃষ্টিতে ভিজে গেছে সামনের চুলগুলো থেকে টপটপ করে পানি ঝড়ছে চোখে মুখে ভয়ংকর রাগ যেন এখনই সব ভেঙ্গে তছনছ করে দিবে ।সায়রাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে কাটা হাতে শক্ত করে ধরে মোচড় দিয়ে বলতে লাগে
-“কিসের এত অহংকার তোমার !
এই রূপের ?
শুনে রাখো মেয়ে তোমার রূপ শরীর আত্না সব কিছুর উপর শুধুই আফরাজ খানঁ আরসালের অধিকার !
সায়রা চোখ খিচে বন্ধ করে আছে চোখের কোন বেয়ে টপটপ কর পানি পড়ছে ।সায়রা চোখ বন্ধ করে তাচ্ছিল্যর হাসি দিয়ে বলতে লাগে
-“কোন অধিকারের কথা বলছেন আপনি ?
জোর করে কারো উপর অধিকার খাটালেই হয় না !
আমার উপর আপনার কোন কালেই কোন অধিকার ছিল না ।
আমি শুধুই আপনাকে ঘৃনা করি আর সব সময়ই তা করবো !”
কথাটা যেন আরসালের রাগ আর জিদ শতগুন বেড়ে যায় ।সায়রাকে নিজের আরো কাছে এনে ভয়ংকর ভাবে রেগে বলতে লাগে
-“ভুলে যেও না আমি তোমার কি হই ,আমাদের সম্পর্ক কি ?
আমি তোমার স্বামী হই আর তুমি আমার স্ত্রী হও তোমার উপর কেবল মাত্র আমারই অধিকার আছে আর সারাজিবন থাকবে !”
-“কোন সম্পর্কের কথা বলছেন আপনি ?
জোর করে কখনো কোন সম্পর্ক হয়না
এই সম্পর্ক না আমি কখনো মেনেছি না কখনো মানবো !
আপনি আমার কাছে শুধু মাত্র আমার বোনের স্বামীর বড় ভাই !
এর চেয়ে বেশি কিছুনা !”
বলেই আরসাল কে ধাক্কা দেয় কিন্তু আরসালকে নিজের কাছ থেকে এক ইন্চি দূরে সরাতে পারেনা ।বরং আরসাল আরো শক্ত করে নিজের সাথে জরিয়ে ধরে ।
আরসাল আগের মতই ভয়ংকর ভাবে রেগে বলতে লাগে
-“তুমি মানো আর না মানো তাতে সত্য বদলাবে না ।
তুমি আমার স্ত্রী এটাই সত্যি !
সময় দিয়েছি মন দিয়ে পড়া লেখা করো আমাকে রাগিও না এর ফল তোমার জন্য ভালো হবেনা ।
তোমার ত্রি-সিমানায় যে আসবে তাকে শেষ হতে হবে
যে ভাবে কালকের ঐ ছেলেকে শেষ করেছি
কি যেন নাম টা (মাথা চুলকাতে চুলকাতে )?
ও হ্যা রি..ফান !”
কথাটা শুনতেই সায়রা ঘাবড়িয়ে যায় জোরে চিৎকার করে বলতে লাগে
-“কি করছেন আপনি রিফানের সাথে ?
(আরসালের কলার চেপে ধরে বলতে লাগে ) বলছেন না কেন কি করেছেন তার সাথে আপনি ?
চুপ করে আছেন কেন বলুন !”
আরসাল সায়রা থেকে দ্বিগুন জোরে রেগে চিৎকার করে বলে
-“দেখতে চাও কি করেছি
অকে তোমার এই ইচ্ছাটাও পূর্ন করে দেই !”
বলেই টানতে টানতে ভার্সিটির পিছনের গেটের দিকে নিয়ে যায় ।নিজের গাড়ির ডিকি খুলে দিয়ে বলে
-“এই দেখ !”
সায়রা সামনে তাকাতেই দেখে রিফানের হাত পা বাধাঁ শরীর রক্তাক্ত অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে ।সায়রা দৌড় দিয়ে তার কাছে যেতে নেয় কিন্তু তার আগেই আরসাল তার হাত ধরে আটকিয়ে ধরে আরসাল আর সায়রার চোখে চোখ রেখে বলতে লাগে
-“ওর কাছে যাওয়ার ও সাহস কর না সায়রা !
এখন বেচেঁ আছে তুমি ওর কাছে গেলে ওকে মেরে ফেলবো ।”
কথাটা শুনেই সায়রা থেমে যায় আরসালের দিকে তাকিয়ে রেগে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বলতে লাগে
-“আপনি একটা জানোয়ার অমানুষ আপনার মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই ।
আপনি কি করে পারলেন এভাবে রাফিনকে আঘাত করতে ?
তার কি এমন অপরাধ ছিল !
আপনি হিংস্র আর এর জন্যই আপনাকে এত বেশি ঘৃনা করি !”
আরসাল সায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে হাতের বাহুতে জোরে চাপ দিয়ে রেগে বলে
-“ওর অপরাধ কি ছিল ?
ওর সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিলো ও তোমার দিকে নজর দিয়েছে আরসালের কলিজায় হাত দিয়েছে ।
আর তার শাস্তি তো সে পাবেই !
হ্যা আমি জানোয়ার আমি অমানুষ আর হাজার বার হবো শুধুই তোমার জন্য ।
তাতে তুমি আমাকে ঘৃনা করো আমার কিছু যায় আসেনা !
আমার থেকে যতই দূরে যাবে আমি ততই তোমার কাছে আসবো তোমার জন্য এটাই লাস্ট ওয়ার্নিং শুধরে যাও ।”
সায়রা আরসাল নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে
-“আমি আপনার কখনোই হব না আই জাস্ট হেইট ইউ “
বলেই দৌড় দিয়ে তারাতারি রিকশায় উঠে পড়ে ।আরসাল নিজের রাগটা চেপে বাকাঁ হেসে বলে
-“তুমি তো আমারই শুধুই আমার !”
রিকশা বাড়ির সামনে থামতেই সায়রা তারাতারি করে ভাড়া মিটিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আরসালের আজকের ব্যবহার আর কান্ডে তার হাত পা কাপঁছে কোন ভাবেই নিজের চোখ থেকে জল পড়া থামাতে পারছেনা ।আরসাল যেন তার জীবনের অভিশাপ ।
এসব ভাবতে ভাবতেই সায়রা ফ্ল্যাটের সামনে এসে ডোর বেলে চাপ দেয় সাথে সাথে তার মা দরজা খুলে ।দরজা খুলে মেয়েকে এমন ভিজা কাপড়ে দেখে সাবিহা বেগম বেশ চিৎকার করতে লাগে ।সায়রা সেদিকে ধ্যান না দিয়ে সরাসরি রুমে গিয়ে নিজের দরজা আটকিয়ে দরজার সাথে হেলান দিয়ে মুখ চেপে জোরে জোরে কান্না করতে লাগে ।
বার বার তার মনে শুধু একটাই প্রশ্ন জাগছে যে আরসাল কি চায় ?
আরসাল সত্যি কি তাকে ভালোবাসে !
যদি ভালোই বাসে তাহলে অন্য মেয়েদের সাথে কি এমন গভীর সম্পর্ক তার ।
সায়রা সত্যি আরসালের ভালোবাসা নাকি শুধুই জেদ !
এসব ভাবতে ভাবতেই তার মাথা ধরে আসছে সে আর নিতে পারছেনা তারাতারি করে ওয়াশরুমে ডুকে পড়ে ১ ঘন্টা শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে ।বালিশে শুয়ে মাথা রেখে আরসালের সেই ভয়ংকর রূপের কথা ভাবতে লাগে ।এই প্রথম আরসাল তার সাথে এমন করেনি এর আগেও বহু বার এসব করেছে ।
প্রতিবারই সায়রার এসব পাগলামো প্রশ্ন হয়ে রয়ে যায় যার উত্তর সে খুঁজেও পায়না ।সত্যি কি আরসাল সব কিছু এই পাগলামো তার ভালোবাসার জন্য করে ?
যদি তাই হয় তাহলে কেন অন্য মেয়েদের সাথে তার এমন ক্লোজ সম্পর্ক ?
যদি এতই ভালোবাসে তাহলে কেন আরসালের জীবনে তারা কি চায় আরসাল !
আরসালকে সে অন্য কারো সাথে সয্য করতে পারেনা সে কেন জানো বুকে বেশ জ্বালা পোড়া করে অসয্য যন্ত্রনা অনুভব হয় তার ।
মাঝে মাঝে তো ইচ্ছে করে নিজেকে শেষ করে দিতে কিন্তু নিজের পরিবারের মানসম্মানের কথা ভেবে তাও সে করতে পারেনা !
এসব ভাবতে ভাবতেই তার চোখে ঘুম নেমে আসে ।
আরসাল যেই নামটাকে সায়রা জমের মত ভয় পায় ।২ বছর আগে আরসালের সাথে সায়রার বিয়ে হয় সে সময় মাত্র এসএসসি এক্সাম দিয়েছে অনেকটা জোর করেই তাকে আরসালের সাথে বিয়ে দেওয়া হয় ।
আরসালের দাদা আর সায়রার দাদা দুজন বাল্যকালের বন্ধু ।আরসালের দাদা সায়রাকে ছোট থেকে বেশ পছন্দ করতো নিজের নাতি বউ করার তার বেশ ইচ্ছে ছিলো ।
সে সব সময়ই আরসালের বউ করতে চেয়েছে সায়রাকে !
আর ২ বছর আগে একদিন আরসাল বাসায় এসে জিদ ধরে বসে তার সায়রাকে লাগবেই লাগবে যে কোন ভাবেই হোক ।প্রথমে সায়রার বয়সের কথা চিন্তা করে সবাই আরসালকে বোঝানোর চেস্টা করে কিন্তু আরসাল জিদ ধরে বসে থাকে যদি সায়রাকে সে না পায় তাহলে নিজের কোন ক্ষতি করে দিবে আর এই থ্রেডেই পুরো বাড়ির সবাই ঘাবড়িয়ে যায় ।তারপর দিনই সায়রার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়!
যদিও সায়রার সে সময় ১৬ বছর চলায় তার মা বিয়ের জন্য অমত করে কিন্তু আরসালের রাগ জেদ আর সায়রার দাদার সিদ্ধান্তেই বিয়েটা হয় ।বিয়ের পর কোন মতেই সায়রা আরসাল কে মেনে নিতে পারেনি সব সময় তাকে ভয় আর ঘৃনা করে গেছে যদিও এর পেছনে যথেস্ট কারন রয়েছে !
অতি সাধারন মেয়ে সায়রা ।সবে ইন্টার শেষ করে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে সায়রা আহমেদ ।বাবা মাহির আহমেদ আর সাবিহা আহমেদের বড় মেয়ে সায়রা ।ছোট ভাই বোন আর বাবা মাকে নিয়েই তার দুনিয়া ।
যথেস্ট সুন্দরী সে ।যেই কাউ কে মুগ্ধ করার মত সুন্দরর্য তার মধ্যে রয়েছে ।
সাভারে ছোট এক গ্রামে তার বাড়ি গ্রাম বললে ভুল হবে অনেকটা উপশহর না গ্রাম না শহর ।
দাদার বানানো বাড়িতেই তিন চাচা চাচী আর দাদা দাদী কে নিয়ে থাকে ।
সন্ধ্যার আযানে তার ঘুম ভাঙ্গে ।ঘুম থেকে উঠে চুলগুলো হাত খোপা করতে করতেই চায়ের জন্য রুম থেকে বের হয় সায়রা ।ড্রইং রুমে আসতেই ডোর বেল বেজে উঠে দরজা খুলতেই দেখে তার বড় চাচার মেয়ে রিদ্ধি দাড়িয়ে আছে মুখে ইয়ে বড় হাসি !
সায়রা রিদ্ধিকে দেখতেই জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
-“কেমন আছো দি ?”
-“এই তো ভালো !
তুই কেমন আছিস বালিকা বধূ ?”
-“ভালো দি !
আদি সায়ন ভাইয়া আসেনি দি ?”
-“আদিকে সায়নের সাথে বাসায় রেখে এসেছি !”
পিছন থেকে সায়রার মা বলতে লাগে
-“মেয়েটাকে কি তুই দরজায় দাড় করিয়ে রাখবি !”
সায়রা মুচকি হেসে বলে
-“হুম আম্মু এটাই রিদ্ধিদির শাস্তি কতদিন পর আসলো বলো তো !”
সায়রার মা নাস্তা রেডি করতে চলে যায় ।
রিদ্ধি ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বলে
-“জানিসই তো সামনে সায়রীর (রিদ্ধির ননদ )বিয়ে কত কাজ ।এই সব কাজের ঝামেলায় আসতে পারিনি তার উপর তোর দুস্টু ভাগনে আদি তো আছেই সবকিছু সামলাতে সামলাতে আর সময় হয়ে উঠেনা !
তাই তো তোকে নিতে এসেছি সামনে বাড়িতে বিয়ে আর তুই ও তো ঐ বাড়ির বড় বউ !”
কথাটা শুনতেই সায়রার মুখে হাসি গায়েব হয়ে যায় ।সায়রা কাপাঁ কন্ঠে বলতে লাগে
-“আ..আমি যাবোনা দি !”
-“কেন সায়রা আর কতদিন তুই তোর জেদ নিয়ে বসে থাকবি ?
একদিন না একদিন তো এই সম্পর্কটাকে তোকে মানতেই হবে !”
-“আমি কোনদিন পারবোনা দি এই সম্পর্ক মানতে !
তোমার কাছে সব কিছু সহজ মনে হচ্ছে কিন্তু তুমি যতটা সহজ মনে করছো ততটাই কঠিন !
যদি আরসাল সায়ন ভাইয়ার মত হতো তাহলে আমার মানতে কোন সমস্যা ছিল না ।
কিন্তু সে হিংস্র তার মধ্যে কোন মনুষত্ব নেই ।
সায়ন ভাইয়া আর আরসাল দুজন চাচাতো ভাই হলেও তাদের চরিত্র একদম বিপরীত ।
সরি দি আমাকে এই সম্পর্কের জন্য কোন রিকোয়েস্ট করনা আমি পারবোনা তাকে মেনে নিতে !”
-“সায়রা সবার ভালোবাসা এক হয়না !
আর সবার ভালোবাসার প্রকাশ করার ধরনও এক হয়না ।”
সায়রা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে
-“ভালোবাসা দি !
তার মানে সে বুঝে তো ?
যদি সে আমাকে ভালোই বাসতো তাহলে তার সেই সো কল্ড গার্লফ্রেন্ড আমাকে থ্রেড করার সাহস পেত না ।
আমি শুধু তার কাছে পুতুল তার জেদ যা সে যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করে !
আমি চাইলেও তাকে মেনে নিতে পারবোনা দি !”
-“অকে অকে সেই বাড়ির বউ হয়ে না আমার বোন হয়ে তো যেতে পারিস তুই ।
তুই তো জানিস আদি কতটা দুস্টু কারো কাছে থাকে না ।তাছাড়া বিয়ে বাড়িতে শত কাজ থাকে আমার ও প্রেগনেন্সির ২ মাস রানিং সব কিছু সামলাতে অনেকটা হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি !
যদি তুই থাকিস তাহলে কিছুটা হেল্প হতো ।”
পিছন থেকে সায়রা মা সবটা শুনে বলতে লাগে
-“সায়রা যা না মা মেয়েটা এ অবস্থায় একা সবটা কি করে সামলাবে !”
সায়রা কিছু একটা ভেবে বলে
-“অ…অ..কে আমি যাবো !”
রিদ্ধি সায়রাকে জরিয়ে ধরে বলে
-“থ্রেংকিউউ বালিকা বধূ !”
-“প্লিজজজজ দি আমাকে এই নামে ডাকবেনা !”
-“এখন তুই যা তোকে তো তা বলেই ডাকবো তাই না ?
তুই তো আমাদের বালিকা বধূ !”
বলেই রিদ্ধি হাসা শুরু করে এর মাঝেই সায়রার আর অন্যান্য কাজিন মুন দিয়া আসে তারপর সবাই বেশ আড্ডা দেয় ।
সন্ধ্যার পর রিদ্ধি রুমে এসেই কাউকে ফোন দিয়ে বলে
-“ভাইয়া কাজ হয়ে গেছে সায়রা আসতে রাজি হয়ে গেছে !”
একথাটা শুনতেই অপর পাশ থেকে আরসালের মুখে হাসি ফুটে উঠে ।আরসাল শীতল কন্ঠে বলে
-“আমি জানতাম ও অবশ্যই রাজি হবে !
আমি কাল সকালে আসছি তোমাদের নিতে ।”
বলেই আরসাল ফোন কেটে দেয় ।তারপর সায়রার বড় ছবিটায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগে
-“আমি বলেছিলাম তুমি আমার তো তুমি শুধু আমারই থাকবে !
আমার থেকে যতবার তুমি দূরে যাওয়ার চেস্টা করবে ততই তোমার কাছে আসবো !
তুমি আমার ভালোবাসা ,জিদ ,নেশা , পাগলামো ।আমার সবটা জুড়ে শুধুই তুমি তোমাকে যে করেই হোক না কেন নিজের করেই ছাড়বো !
গেট রেডি ফর মাই লাভ টর্চার মিসেস সায়রা আরসাল খাঁন !”
বলেই তার ঠোটেঁ কোনে এক রহস্যময় হাসি ফুটে উঠে ।
চলবে………..❤️
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃস্টিতে দেখবেন ❤️