প্রেমময় প্রহর (deewana 2)
Urme prema (sajiana monir)
পর্ব :৩
আরসালের এক হাত সায়রার কমোড়ে অন্য হাত দিয়ে সায়রা দু হাত আটকিয়েছে ।সায়রা একদম দেয়ালের সাথে আটকে আছে নড়চড় করতে পারছেনা ।তার হার্ট বিট খুব দ্রুত চলাচল করছে আরসালের এতটা কাছে আসা আর তার ঘনঘন গরম নিশ্বাস একদম সায়রার মুখের উপর পড়ছে ।সায়রার শরীর কাপঁছে থরথর করে ।তার মধ্যে লজ্জা ভয় অসহ্য অনুভূতি একসাথে কাজ করছে !
সায়রা চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে ।
আরসাল ফু দিয়ে সায়রার কাধঁ থেকে চুল সরিয়ে সেখানে নিজের থুতনী ঠেকিয়ে ফিসফিস আওয়াজ বলল
-“চোখ খুলো আমার দিকে তাকাও !”
সায়রা কথা কানে না নিয়ে আগের মতই চোখ বন্ধ করে আছে ।আরসাল তা দেখে দাতঁ কটকট করে বলে
-“আমার দিকে তাকাতে সমস্যা ?
আর অন্যকারো সাথে হাত মেলাতে সমস্যা হয় না !”
আরসালের এমন কড়া কথায় সায়রা আস্তে আস্তে নিজের চোখ খুলে ছোট ছোট চোখ করে আরসালের দিকে তাকায় ।এর আগেও বহুবার আরসালকে দেখেছে তার চোখের দিকে তাকিয়েছে কিন্তু কখনো আজকের মত এমন অনুভূতি কাজ করেনি !
তার এই অদ্ভুদ সুন্দর এই চোখআর চোখে রাগের সাথে এক অন্যরকম অনুভূতি কি অনুভূতি তা সায়রার ঠি ক জানা নেই । নিচের ঠোটেঁর এই তিলটা অদ্ভুদ সুন্দর !
যে কোন মেয়েই তার মায়ায় পড়বে ।
এই চোখে যে কেউ ডুবতে চাইবে কিন্তু আরসালের এই হিংস্র রূপ আর তার প্রতারনার কথা মনে করে সায়রা আরসাল থেকে দূরে সড়ার জন্য ছটপট করতে লাগে ।আরসালও নাছোড় বান্ধা সে সায়রা কে ছাড়বেই না !
এদিকে সায়রাও তার সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আরসাল থেকে ছাড়া পাবার চেস্টা করছে ।একসময়ে আরসালের শক্তির সাথে না পেরে রেগে বলতে লাগে
-“আমার যার সাথে যা মন চায় তাই করবো তাতে আপনার কি ?
কই আমি তো আপনার জীবনে কোন দখলদারী করি না তাহলে আপনি কেন বার বার আমার জীবনে সবসময় নিজের অধিকার খাটান !
আমাকে ছাড়েন বলছি না হয় “
আরসাল সায়রাকে নিজের আরো কাছে টেনে এনে বলতে লাগে
-“না হয় কি ?
বল না হয় তুমি কি করবে !
তোমাকে কোন ছেলে বাজে ভাবে চেকআউট করবে আর আমি তাকে ছেড়ে দেব ?
নো নেভার তোমার দিকে এভাবে তাকানোর শাস্তিও সে পাবে ।
আর এই শাস্তিটাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হবে !”
সায়রা আগের চেয়ে দ্বিগুন রেগে চিৎকার করে বলতে লাগে
-“এর চেয়ে বেশি আপনি আর কি পাড়েন ?
আপনার মধ্য তো মনুষ্যত্ব বোধ নেই !
অন্য কেউ আমার কাছে আসলে আপনি সয্য করতে পারেনা তাহলে কেন আপনি নিজে অন্য মেয়েদের কাছে যান ?”
-“হোয়ার্ট ?
আমি অন্যকোন মেয়ের কাছে যাই মানে ব্যপারটা ক্লিয়ার কর !”
-“আপনি অবুঝ না যে ক্লিয়ার করতে হবে !
যদি আপনি এমন কিছু করতে পারেন তাহলে আমিও অন্যকারো সাথে সম্পর্কে যেতে পারবো !
আমিও বয়ফ্রেন্ড…..!”
আরসাল সায়রার ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে শিতল কন্ঠে বলে
-“হুসসসসস
যা বলছিলে তা সেখানেই স্টপ কর ।
তোমার দিকে যদি কেউ বাজে নজরে তাকায় তাহলে আমি তার চোখ উঠিয়ে ফেলবো সেখানে বয়ফ্রেন্ড তো অনেক দূরের কথা !
তুমি আমার শুধুই আমার
তোমার শরীর রূহ রূপ সবকিছু আমার জন্য
মাইন্ড ইট !”
বলেই সায়রাকে ছেড়ে দূরে ঠেলে দিয়ে রেগে হনহন করে চলে যায় ।কিন্তু অন্যকোন মেয়ের কাছে যাওয়ার ব্যপারটা তার মাথায় ঘুরঘুর করছে সায়রা কি বলতে চাইছিল তা কিছুতেই বুঝছে না !
এদিকে সায়রা আরসালের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে ।সে যেতেই বড় বড় শ্বাস নিতে লাগে ।আর নিবে নাই বা কেন তার উপর যে বেশ বড়সড় ৬ ফিটের আরসাল নামের ঝড় চলে গেল !
রাতে সায়রা নিজের রুমে বসে উপন্যাস পড়ছিল এমন সময়ই আদি দৌড় দিয়ে এসে সায়রার কোলে মাথা রাখে আদি কে দেখে মনে হচ্ছে তার বেশ মন খারাপ ।সায়রা মুচকি হেসে বইটা পাশে রেখেই আদির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে
-“কি হয়েছে আমার বাবাইয়ের মন খারাপ কেন ?”
আদি মন খারাপ করে আদো আদো স্বরে বলে
-“ম্মামাম আম্মু আমালতে বকা দিয়েছে !”
সায়রা আদিকে নিজের কোলে নিয়ে জরিয়ে ধরে বলতে লাগে
-“কেন দি আমার বাবাই কে বকা দিয়েছে ?
দি আসুক দি কে অনেকককক গুলো বকা দিয়ে দিবো !”
-“আমি শুধু আম্মুকে আমার সাথে একটু ডান্স করতে বলেছি তাই বকেছে !”
-“বাবাই তুমি তো জানো আম্মু অসুস্থ তাই আম্মু এমন করছে !”
-“তাহলে কি তুমি আমার সাথে ডান্স করবে ম্মামাম ?
প্লিজ ম্মামাম না করো না !
প্লিজজজজজজ ।”
সায়রা আদির রিকোয়েস্ট আর ফেলতে পারলোনা ।আদি গান প্লে করে
বেবী সার্ক , ডুহ্ ডুম (৩)
সিস্টার সার্ক ,ডুহ্ ডুম (৩)
ব্রাদার সার্ক ,ডুহ্ ডুম (৩)
মম্মাহ্ সার্ক ,ডুহ্ ডুম (৩)
ড্যাডি সার্ক ,ডুহ্ ডুম (৩)
সার্ক এট্যাক্ট আহহহহহহ !
সুইম এয়ায়ে ফ্রম দ্য সার্ক
দুম দাম …
সায়রা আর আদি বেডে উঠে হাত উচুঁ করে লাফিয়ে লাফিয়ে উরাধুরা নাচচ্ছে ।হঠাৎই কারো হাসির শব্দে সায়রা থেমে যায় ।পিছনে তাকিয়ে দেখে আরসাল বারান্ধার দরজায় দাড়িয়ে কিটকিটিয়ে শব্দ করে হাসছে ।সায়রার তা দেখে কপালে চলে যায়। সায়রা লজ্জায় কি দিয়ে মুখ ডাকবে তা খুজঁছে ।উড়নাটাও কাছে নাই তাই কামিজের গলা নিয়ে টানাটানি শুরু করে ।মূলত তার চেষ্টা কামিজের গলা টেনে মুখ ডাকবে কিন্তু কামিজ মুখ পর্যন্ত পৌছাচ্ছেনা ।আরসাল সায়রার এই বোকামি দেখে দ্বিগুন জোরে শব্দ করে হাসতে লাগে ।এবার সায়রা চোখ মুখ ছোট ছোট করে ফেলে আরসাল তা দেখে নিজের হাসি থামানোর চেস্টা করে কিন্তু কিছুতেই সে তা পারছেনা ।
আদি আরসালের দিকে তাকিয়ে বলে
-“দিলে তো পাপ্পা তুমি সব শেষ করে ।
আমি আর মাম্মাম কত মজা করছিলাম !
তুমি কেন আসলে পাপ্পা ?”
আরসাল আদির কাছে এসে তার সামনে বসে সায়রার দিকে তাকিয়ে বলে
-“তোমার মাম্মাম কে সার্প্রাইজ দিতে এসেছি ?”
আদি খুশি হয়ে বলে
-“সার্প্রাইজ ?
আমিও দেখবো পাপ্পা কি সার্প্রাইজ !”
-“না পাপ্পা এটা শুধু মাম্মামের জন্য তুমি এখন যাও আমার মাম্মামের সাথে কথা বলবো ।”
-“না না পাপ্পা আমি সার্প্রাইজ দেখবো
প্লিজ পাপ্পা !”
-“উমমম যদি তুমি এখন যাও তবে তোমাকে কাল অনেক গুলো চকলেট দিবো !”
আদি খুশি বলে
-“সত্যি পাপ্পা ?”
-“হুম “
আদি খুশিতে নাচতে নাচতে চলে যায় ।সায়রা যেতে নেয় পিছন থেকে আরসাল সায়রার হাত টেনে ধরে বলতে লাগে
-“আমি কি তোমাকে যেতে বলেছি ?”
সায়রা ভয়ে মাথা নিচু করে না বোধক মাথা নাড়ায় ।আরসাল তার দিকে হ্যাচকা টান মেরে বুকের মাঝে নিয়ে ঠোটেঁ চেপে হাসি আটকানোর চেষ্টা করে বলতে লাগে
“-আমি তো একদমই জানতামনা আমার বউয়ের এত টেলেন্ট ও রয়েছে !”
সায়রা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলল
-“দেখেন !”
-“হুম বলো তোমাকেই দেখছি আর তোমার ফর্সা কোমড় ও ।”
সায়রা কামিজ টান দিয়ে ঠি ক করে বলে
-“আপনি একটা অসভ্য !”
-“হুম তুমিই হতে বাদ্ধ করেছ !”
সায়রা কাদোঁ কাদোঁ হয়ে বলে
-“আপনি আমার রুমে কেন এসেছেন বলুন তো ?”
সায়রাকে কাছে আরো কাছে টেনে বলে
-”আমার বাড়ি আমার রুম আমার বউ আমি এখানে থাকবোনা তো কে থাকবে !
ব্যায় দ্য ওয়ে তোমার জন্য সার্প্রাইজ ছিল ।”
সায়রা ভ্রু কুচঁকিয়ে বলে
-“সার্প্রাইজ ?”
-“হুম !”
বলেই আরসাল সায়রার সামনে একটি ভিডিও রেকর্ডিং চালি করে ।সায়রার তা দেখে ভয়ে কাপঁতে লাগে ।
ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে যে সায়রীর ঐ বন্ধুকে মারছে আরসাল সাথে আর একজন লোক ও আছে ।
ছেলেটার চোখ নীলচে হয়ে গেছে ।সায়রার দিকে যে হাত বারিয়েছিল সে হাত ফেটে রক্ত ঝড়ছে ।
সায়রা আর দেখতে না পেরে চোখ বন্ধ করে ফেলে ।
আরসালও ভিডিও অফ করে দেয় ।
সায়রা ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে বলে
-“আপনি কি মানুষ ?
আপনার মাঝে কি মনুষ্যত্ব বোধের ছিটেফুটও নেই !
আপনি এসব দেখিয়ে কি প্রমান করতে চান ?
যে আপনি খুব হিংস্র ?
এসব দেখে আপনার প্রতি আমার ঘৃনা আরো বাড়ে !”
আরসাল সায়রার হাত আরো শক্ত করে চেপে ধরে বলে
-“এসব দেখিয়ে আমি এটাই প্রমান করতে চাই তোমার জন্য আমি কতটা হিংস্র হতে পারবো ।
তোমার দিকে কেউ হাত বাড়ালে তার পরিনতি এমন ভয়ংকরই হবে ।
এতে তুমি আমাকে ভালোবাস আর ঘৃনা করো !”
-“আমার কাছে আপনি কোনদিন ভালোবাসা পাওয়ার আশা রাখিয়েন না !
তা কোনদিন পাবেন না আমি সর্বদাই আপনাকে ঘৃনা করি আর তাই করবো ।”
-“তুমি আমাকে ঘৃনা করো তাতে কিছু যায় আসে না তুমি আমার এটাই যথেস্ট !”
বলেই সায়রাকে ডাক্কা দিয়ে চলে যায় ।সায়রা বেডের সাথে হালকা আঘাত পায় কিন্তু আরসালের জিদের কারনে তা তার চোখে পড়েনা !
সায়রা ব্যথায় কোমড় ধরে দাড়িয়ে থাকে ।
রাতে সায়রা আদিকে বুকে নিয়ে জরিয়ে ঘুমিয়ে আছে ।আজ আদি বায়না করেছে সে তার মাম্মামের সাথেই ঘুমাবে তাই সায়রা ও মানা করেনা কারন আদিকে তার নিজের কাছে রাখতে তার বেশ ভালো লাগে ।পুরো রুম অন্ধকার গড়িতে রাত ১২:৩০ বাজতে চলছে !
বারান্ধার দরজাটা খুলা বারান্ধা থেকে শীতল হাওয়া আসছে ।আকাশ কালো মেঘে ভরা মনে হচ্ছে মুষল ধারে বৃষ্টি হবে !
আরসাল রুমের বারান্ধা দিয়ে সায়রার রুমে প্রবেশ করে ।রুমের ফেইরি লাইট অন করে এর আলোতেই পুরো রুম হালকা আলোকিত হয়ে যায় ।আরসাল আদির পাশে শুয়ে আলতো করে নিজের হাতে মাঝে সায়রার হাত নিয়ে নেয় ।সায়রার হাতের উল্টো পাশে নিজের ঠোঁট ছোয়াঁয় আরসাল !
গভীর ভাবে নিজের রূপমোহিনীকে দেখছে আর বার বার তার মায়ায় আটকে যাচ্ছে ।সে যে বড্ড ভালোবাসে এই মেয়েটাকে ।সে চায় তার রূপমোহিনীকে ভালোবাসতে সে চায় নিজেদের সম্পর্ক স্বাভাবীক করতে ।কিন্তু সায়রার উল্টো পাল্টা কাজ আর নিজের রাগের জন্য সে তা করতে পারেনা !
রাগ এমনই এক জিনিস যা একবার কারো উপর হাবি হলে তার সামনে যতযাই থাকনা কেন কোন কিছুর পরোয়া করেনা ।
আরসালের রাগটাও তাই সে বার বার নিজের রাগের কারনে সায়রাকে আঘাত করে বসে কিন্তু তাই বলে এই না যে সে সায়রাকে ভালোবাসেনা !
সে তার রূপমোহিনী খুব ভালোবাসে ।
খুবই বেশি ভালোবাসে তার ভালোবাসাস না আছে কোন সিমানা না আছে কোন অন্ত !
কিন্তু মাঝে মাঝে সায়রার ব্যবহারে আর কথায় আরসালের রাগ বাড়িয়ে দেয় ।সায়রা খুব বেখেয়ালি ।একটু বেশিই বেখেয়ালি তাই তো নিজের আসে পাশে কোন কিছুই খেয়াল করে না !
আরসাল সায়রার গালে হাত ছুয়িঁয়ে শান্ত স্বরে বলতে লাগে
-“তোমার রাগ অভিমান ঘৃনা সবটা মেনে নিতে পারবো !
শুধু তোমার দূরে যাওয়াটা মানতে পারবো ।
ভালোবাসি খুব বেশিই ভালোবাসি আমার রূপমোহিনী !”
সকালে সবাই ড্রাইনিং টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট করছে সায়রা শাওয়ার নিয়ে রেডি হয়ে তারাতারি করে ব্রেকফাস্ট টেবিলের দিকে আসছে আজ খুব বেশি লেট হয়ে গেছে এতটাই গভীর ঘুমে ছিলো যে এদিকে এতটা বেলা হয়ে গেছে সেদিকে তার খেয়ালই ছিলনা !
সায়রা চেয়ারে বসতে বসতে বলে
-“শুভ সকাল !”
সবাই মুচকি হেসে উত্তর নেয় ।রিদ্ধি সায়রার প্লেটে খাবার তুলে দেয় ।আরসাল কফির কাপে ঠোঁট ছুয়িয়ে সায়রার দিকে তাকায় সায়রা আরসালের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে ব্রেকফাস্টে মন দেয় !
সায়রি মুখে ব্রেড ডুকাতে ডুকাতে বলতে লাগে
-“বালিকা বধূ ভাবী উপসসস সরি ভাবীপু একটু পর রেডি হয়ে নিও সবাই একত্রে শপিং এ যাবো !”
-“না না আমি যেয়ে কি করবো !
আমি না হয় আদিকে নিয়ে বাসায় থাকবো ।”
-“ভাবীপু আদিও তো সাথে যাবে ।
আর তাছাড়া তুমি না গেলে আমিও যাবোনা !”
রিদ্ধি পাশ থেকে বলতে লাগে
-“চল না সায়রু !
এমন করছিস কেন তুই না গেলে সায়রীও যাবেনা ।
প্লিজ চল না !”
সায়রা আর না করতে পারেনা সায়রা বলে
-“অকে অকে দি আমি যাবো !”
সায়রী পাশ থেকে সায়রাকে জরিয়ে ধরে বলে
-“থ্রেংকিউ ভাবীপু !”
সায়রা মুচকি হেসে বলে
-“মোস্ট ওয়েলকাম !”
এই সবকিছু সায়নের মামীর নিলুফা বেগমের যেন ভালো লাগলোনা উনি নাস্তা না করে মুখ কালো করে উঠে যায় সেদিকে কেউ খেয়াল না করলেও সায়রা ঠি কই খেয়াল করে ।
আরসাল কফির কাপে চুমুক দিয়ে সায়রীর উদ্দেশ্য বলে
-“আমিও তোদের সাথে যাবো !”
-“লাইক সিরিয়াসলি দাদাভাই !
তুমি আমাদের সাথে যাবে ?
কিন্তু তুমি তো বলতে তোমার এই শপিং ঘুরাঘুরি একদম পছন্দ !
হঠাৎ আজ কি হল ?”
সায়রি ভ্রু নাচিয়ে বলতে লাগে ।আরসাল নিউজ পেপারে মন দিয়ে বলে
-“তোরো সবাই একা যাচ্ছিস তাই বললাম !”
-“আমাদের জন্য যাচ্ছো নাকি ভাবীপুর জন্য যাচ্ছ আমারা ঠি ক বুঝতে পারছি !”
বলেই রিদ্ধি সায়রী কিটকিটিয়ে হাসা শুরু করে দেয় ।আরসাল টেবিল ছেড়ে উঠে উপরে চলে যায় ।সায়রা কাদোঁ কাদোঁ ফেস নিয়ে মনেমনে বলতে লাগে
-“বাড়িতে কি কম ছিলো এখন শপিং এ ও সাথে যাবে !
আমার তো শান্তি বলতে নেই !
আমার শান্তি এই লোক হারাম করে দিয়েছে ।
হে আল্লাহ্ দড়ি ফেলো আমি উপরে চলে আসি না হয় মাটি ফাকঁ করে দেও আমি ভিতরে ডুকে পড়ি !
না জানি আজ কি কি হবে ।”
চলবে……❤️
Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊