প্রেমের রঙ পর্ব -১৩

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_১৩
#মোহনা_হক

‘পদ্ম বেঘোরে কান্না করছে। ইজহান চেয়েও থামাতে পারছে না। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে ইজহানের বুক ভাসিয়ে দিয়েছে। ইজহান পদ্মের এসব পাগলামোর মানে বুঝছে না। যেনো তার প্রিয় জিনিস হারিয়ে গিয়েছে তাই সেই জন্য সে কান্না করছে। ইজহান পদ্মের মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। আর কতোক্ষণ এভাবে ধরে কাঁদবে। অবশেষে পদ্ম নিজ থেকেই ইজহান কে ছেড়ে দিলো।’

‘ইজহান পদ্মের চুলে হাত দিয়ে বললো-‘
“কেনো কেঁদেছো?”

‘পদ্মের আবার সেসব কথা মনে পড়ে গেলো। আবারও ডুকরে কেঁদে উঠলো।’

‘ইজহান শান্ত কন্ঠে বললো-‘
“আবার কাঁদছো কেনো?”

“কখন বাসায় যাবেন?”

“এখানে থাকলে কি সমস্যা?”

‘পদ্ম অসহায় দৃষ্টিতে ইজহানের দিকে তাকিয়ে বললো-‘
“প্লিজ বাসায় নিয়ে চলুন না।”

‘ইজহান পদ্মের থুতনিতে হাত দিলো, সাথে সাথে পদ্ম ব্যাথায় উফ করে উঠলো।’

“এখানে কি হয়েছে? এমন লাল হয়ে আছে কেনো?”

‘পদ্ম ঘাবড়ে গেলো।’
“কিছু হয়নি আমি ব্যাথা পেয়েছি।”

‘ইজহান বিশ্বাস করলো না।’
“কিভাবে ব্যাথা পেয়েছো?”

‘ইজহানের কথায় পদ্ম আমতা আমতা করে বললো-‘
“এতো কথা জিগ্যেস করছেন কেনো?”

‘ইজহান পদ্মের গালে হাত দিয়ে বললো-‘
“মিথ্যে কথা বলতে পারো না জানি, তাও কেনো বলার চেষ্টা করছো? কি হয়েছে সত্যি করে বলো।”

‘ইজহানের কথা শুনে পদ্মের মনে হলো ইজহান হালকার উপর ঝাপসা হুমকি দিয়েছে।’

“কিছু হয়নি বললাম তো।”

‘ইজহান ইচ্ছে করেই পদ্মের সেই আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ব্যাথা দিলো।’

“বলতে বলেছি বলো নাহলে তুমি আমার সবচেয়ে খারাপ রুপ দেখবে।”

‘পদ্ম ব্যাথায় মুখ খিঁচে রইলো একদম। এই ইজহানের কি মায়া দয়া নেই। চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি পড়ে গেলো।’

“বলছি।”

‘ইজহান বেডে বেশ আরাম আয়েশ করে বসলো।’

“বলো। ”

‘পদ্ম ভয়ে ভয়ে মুখ খুলছে তো আবার খুলছে না। এই অবস্থা। তার ভয় লাগছে যদি ইজহান ওই মেয়ে কে ধরে সে যদি আবারও পদ্মের সাথে এমন করে।’

‘পদ্মকে চুপ থাকতে দেখে ইজহান জোড়েসোড়ে ধমক দিলো।
“অভদ্রতা বেশিই হচ্ছে বোধহয়। ”

‘পদ্মের ইষৎ কেঁপে উঠলো।’

“বলছি বলছি।”

“আমি যদি উঠি তাহলে খারাপ হয়ে যাবে খুব।”

‘পদ্মের মুখ মলিন হয়ে গিয়েছে।’
“ওইদিন আপনার পাশে একটা মেয়ে বসতে চেয়েছিলো না? আরে প্রথম আমি যখন আপনার বাসায় গেলাম তখন একটা মেয়ে এসেছিলো। আমি আসলে নামটা জানি না।”

‘ইজহান বুঝলো পদ্ম শানায়ার কথা বলছে।’

“হ্যাঁ কি হয়েছে? ও কিছু বলেছে তোমাকে?”

‘পদ্মের চোখে আবার পানি চলে আসলো।’
“ওনি আমাকে এমন করেছেন। সকালে নাস্তা করার পর আপনি যখন বাহিরে গিয়েছিলেন তখন আপু টা রুমে আসে। আমি বুঝতে পারি নি। ওনি এসেই আমার মুখ টা চেপে ধরে। দ্রুত ঘটে যাওয়া ঘটনা আমি বুঝতে পারছিলাম না। তারপর আপু টা কাঁচের গ্লাস দিয়ে আমাকে আঘাত করে। আমি তো কিছুই বুঝছিলাম না কেনো ওনি এমন করছেন। তারপর আবার কি কি যেনো বললেন আমার জন্য নাকি আপনি আপুকে পাত্তা দেননি। আবার এটাও বলেছেন আমি যেনো আপনাকে কিছু না বলি। এরপর ওনি চলে যায়। আপনি দয়া করে ওনাকে কিছু বলবেন না। আমাকে আপনি আমাদের গ্রামে দিয়ে আসুন ওখানে আমি খুব ভালো থাকবো।”

‘বলে পদ্ম কাঁদতে শুরু করলো। ইজহানের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো। এই শানায়াকে আজ মেরেই ফেলবে। তার উপর রাগ পদ্মের উপর ঢালবে কেনো। ইজহান নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না। দ্রুত পায়ে রুম ত্যাগ করলো। আসার সময় রুমের দরজা লক করে দিয়েছে যেনো পদ্ম রেরুতে না পারে।’

‘শানায়া হেসে হেসে কথা বলছে কার সাথে জানি হঠাৎ তার ফোন যেনো কেউ নিয়ে গেলো। শানায়া পিছনে ঘুরে দেখে ইজহান দাঁড়িয়ে আছে। ইজহানের চোখে মুখে খুব রাগ সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে। কেনো জানি শানায়ার মনে এক অজানা ভয় হানা দিলো।’

“পদ্মকে কেনো এমন করেছেন! ও আপনার কি ক্ষতি করেছে? আপনি কি আসলেই ডাক্তার! আমি আশ্চর্য একজন ডাক্তার হয়ে আপনি পিচ্চি একটা মেয়ের সাথে এমন করেছেন? বিবেক বুদ্ধি কি লোপ পেয়েছে? আর আমি কাকে বিয়ে করি, ভালোবাসি, আর কাকে পাত্তা দেই সেটা একান্তই আমার ব্যাপার। আপনি জানেন আপনি কতো বড় ভুল করেছেন। একটা অবুঝ মেয়ের আপনার এমন করা উচিৎ হয়নি। কতোটা পাগল হলে আপনি এভাবে পদ্ম কে আঘাত করেছেন। প্র’তি’ব’ন্ধী নাকি আপনি?”

‘শানায়ার রাগে শরীর জ্বলে উঠলো। ইজহানের কলার চেপে বললো-‘

“আমি কি কম সুন্দর নাকি? কেনো তুমি ওই মেয়েকে বিয়ে করেছো। প্রতিনিয়ত তুমি আমাকে অপমান করেছো। আমি কি বেশি কিছু চেয়েছি। আমি তো ওর আগে তোমায় ভালোবাসতাম। এতো অপমানের পর ও তো তোমার কাছে ছুটে গিয়েছি ইজহান। আচ্ছা এমন করলে হয় না, তুমি ওই মেয়েকে ছেড়ে আমাকে বিয়ে করে আমার সাথে সংসার করবে। আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করবো। প্লিজ ইজহান তুমি ওই মেয়েকে ছেড়ে দাও। আমি সত্যিই কষ্ট পাচ্ছি ইজহান।”

‘ইজহান এতোক্ষণ তার রাগটা কন্ট্রোল করেছিলো। আর শানায়া ইজহানের রাগ আবার বিগড়ে দিয়েছে। একে তো কলারে হাত দিয়েছে, আবার এসব বাজে কথা বলছে। ইজহান রাগে চোখ টা বন্ধ করছে আবার খুলছে। একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে একটা ছেলের কলারে হাত দিতে পারে।’

‘ইজহান শানায়াকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে।’
“এতো বড় সাহস আমার কলারে হাত দিয়েছিস। খুব সম্মান দিয়েছিলাম কিন্তু তুই সম্মানের যোগ্য না। আর আমার পদ্মফুলের নামে এসব কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে?”

‘ইজহান চারপাশে তাকিয়ে একটা কাঁচের গ্লাস পেলো। যেভাবে শানায়া পদ্মকে আঘাত করেছে ঠিক সেভাবেই ইজহান শানায়া কে আঘাত করলো একই জায়গায়। শানায়ার যেনো কলিজা ছ্যা’ৎ করে উঠেছে।’

“পদ্মফুল কে কখনো আমি আঘাত করি নি। রাগ হয়েছে তার প্রতি অনেক বার তাও তাকে একটা টোকা পর্যন্ত দিইনি। আর তুই আজ এতো বড় দুঃসাহস দেখিয়েছিস। মেয়েটার তো কোনো দোষ ছিলো না। কেনো ওকে কষ্ট দিয়েছিস। তুই যদি নেক্সট টাইম এসব করেছিস নিজ হাতে তোর কলিজা এনে তোর হাতে দিবো। ইজহান যতোটা ভালো আবার ততবেশিই খারাপ। আর আমার কলারে হাত দেওয়া তাইনা! ইচ্ছে করছে আরও দুটো দেই।”

‘ইজহান বেরিয়ে আসলো শানায়ার রুম থেকে আবার দরজার কাছে এসে থেমে গেলো। চোখ মুখ শক্ত করে বললো-‘

“তোর কিছু বলতে হবে না সিআই কে আমিই বলে দিলো সব। তুই থাকিস ওই হসপিটালে। আমার জন্য আরও ভালো ভালো হসপিটাল বসে আছে অন্তত চাকরির অভাব হবে না আমার। আর লাস্ট কথা আমার আর পদ্মের মাঝে যদি আসিস তাহলে আমি ভুলে যাবো তুই একটা মেয়ে। শুধু তুই মেয়ে দেখেই কিছু করছি না।”

‘বলেই ইজহান রুম থেকে চলে আসলো।’
‘ইজহান তার আর পদ্মের রুমের সামনে আসলো। জোরে জোরে কয়েক বার নিঃশ্বাস নিয়ে রুমে ঢুকলো। রুমে ঢুকা মাএই পদ্ম দৌড়ে আসলো ইজহানের কাছে।’

‘পদ্ম বিচলিত কন্ঠে বললো-‘
“আপনি কোথায় গিয়েছিলেন?”

“পদ্ম রেডি হও তাড়াতাড়ি, আমরা এখনই বাসায় ব্যাক করবো।”

‘পদ্ম অবাক হলো।’
“সত্যিই যাবেন বাসায়।”

“হু।”

‘পদ্ম এতো কষ্টের মাঝেও হেসে দিলো। ইজহান খেয়াল করেছে এটা। পদ্ম ইজহান আর তার সব জামা কাপড়, জিনিসপত্র ট্রলিতে গুছিয়ে রাখছে। সব গোছানো শেষ হয়ে পদ্ম রেডি হয়ে গেলে। ইজহান ও রেডি। ইজহান কাউকে কিছু না বলে পদ্মকে নিয়ে চলে আসলো। তারা একটা বাসে উঠে পড়লো।’

(*)

‘রাত ৯টা।’
‘ইজহান পদ্মকে নিয়ে বাসায় আসলো। আজ আর সেই ফ্ল্যাটে যায়নি তারা একদম সোজা পদ্মের শ্বশুড় বাড়িতে আসলো। ক্রলিং বাজতেই মুনিরা শেখ দরজা খুললেন। ইজহান আর পদ্মকে দেখে তিনি বেশ খুশি হলেন আবার পরক্ষণেই তার মুখটা আবার অন্ধকার হয়ে এলো।’

‘পদ্মকে তড়িঘড়ি করে বাসার ভিতরে আনলেন।’
“একি পদ্ম তোমার এমন হলো কিভাব?”

‘পদ্ম নিশ্চুপ। ইজহান পদ্মের দিকে তাকালো পদ্ম কিছু বলছে না। কোনো উত্তর না পেয়ে মুনিরা শেখ এবার ইজহান কে বললো-‘

“কি রে ইজহান কি হয়েছে ওর ওইখানে? এক মিনিট তুই কিছু করিস নি তো?”

‘ইজহান যেনো হঠাৎ করে আসমান থেকে পড়লো। ও আবার কি করেছে। এই তার মা তাকে কখনো বিশ্বাস করে না। আরও পারে উল্টো পাল্টা দোষ তার ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে।’

“আশ্চর্য মা আমি ওকে কি করবো? ও হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছে পাহাড়ি রাস্তা তো।”

‘ইজহান উপরে চলে গেলো ট্রলি নিয়ে। পদ্মের গালে হাত দিয়ে মুনিরা শেখ বললেন-‘

“দেখেছো কেমন হয়ে গিয়েছে তোমার থুতনি টা। দেখে হাঁটবে না?”

‘হঠাৎ ড্রয়িং রুমে একজন মহিলা এসে বললেন-‘
“মুনিরা কে এসেছে?”

‘পদ্ম ঠিক চিনলো না মহিলা কে। মুনিরা শেখ পদ্মের হাত ধরে টেনে ওই মহিলার সামনে নিয়ে গেলেন.।’

‘মুনিরা শেখ বললেন-‘
“ইজহানের ফুপ্পি ওনি।”

‘পদ্ম মুচকি হেসে ওনাকে সালাম করতে গেলো,কিন্তু ওনি তৎক্ষনাত পদ্মকে জড়িয়ে ধরে বললো-‘

“আরে আরে সালাম করছো কেনো?”

‘মুনিরা শেখ পদ্মের কাঁধে হাত দিয়ে বললো-‘
“ও তোমার ভাইয়ের পুএবধু।”

‘মহিলা পদ্মকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় বললো-‘
“ও আমার ইজহানের বউ?”

‘পদ্ম মাথা তুলে তাকালো ওনার দিকে। মুনিরা শেখ পদ্মের উদ্দেশ্যে বললেন-‘

“ওনার নাম হায়াৎ শেখ। তোমার ও ফুপ্পি হবে বুঝছো।”

‘পদ্ম মাথা নাড়লো। হায়াৎ শেখ ও পদ্মের থুতনি ধরে বললো-‘

“কি গো তোমার এখানে এমন লাল হয়ে আছে কেনো?”

‘পদ্মের খারাপ লাগছে আবার লজ্জা লাগছে আজ যদি এটা না থাকতো তাহলে তো এমন প্রশ্ন কেউ করতো না। পদ্ম মনমরা হয়ে রইলো। মুনিরা শেখ বললেন-‘

“ও ব্যাথা পেয়েছে আপা।”

‘হায়াৎ শেখ বললেন-‘
“দেখছো মনিরা কেমন লাল হয়ে আছে।”

“আচ্ছা আপা ওকে নিয়ে যাই ফ্রেশ হতে হবে তো, তারপর নাহয় কথা বলো।”

“যাও যাও।”

‘পদ্ম মুনিরা শেখের ওয়াশরুমে গেলো কারণ সে জানে ইজহান তার ওয়াশরুমে হয়তো ফ্রেশ হচ্ছে। তাই সে আর রুমে গেলো না, ফ্রেশ হয়ে নিচে আসলো। হায়াৎ শেখ আর মুনিরা শেখ রান্নাঘরে। কারণ তাদের কথা শোনা যাচ্ছে।’
‘পদ্ম তাদের সাথে যোগ হলো। মুনিরা শেখ রান্না করছেন। পদ্ম আর হায়াৎ শেখ কথা বলছে।’

‘ইজহান দেখলো পদ্ম রুমে আসছে না তাই নিচে আসলো। সোজা রান্নাঘরে এসে বললো-‘
“কি ব্যাপার পদ্ম রুমে আসো নি কেনো?”

‘পদ্ম হকচকিয়ে গেলো। ইজহান একেবারে রান্নাঘরের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ইজহান কে হায়াৎ শেখ বলে উঠলেন-‘

“শুধু বউয়ের খবর নিলে হবে? এই যে বুড়ী ফুপ্পিটা দাঁড়িয়ে আছে তার খবর তো একবারও নিলে না। বুঝলে মুনিরা তোমার ছেলে বিয়ের পর পাল্টে গিয়েছে। এখন আর তার একমাত্র ফুপ্পির খবর নেয় না।”

‘ইজহান হায়াৎ শেখকে জড়িয়ে ধরে বললো-‘
“তুমি তো ভালোই আছো দেখছি। কিন্তু আমার বউ তো ভালো নেই দেখছো না ব্যাথা পেয়েছে। একটু ট্রিটমেন্ট করতে নিয়ে যাই?”

‘ইজহানের কথায় মুনিরা শেখ আর হায়াৎ শেখ একসাথে হেসে উঠলো-‘

“যাও বউয়ের সেবা করে আবার নিচে পাঠিয়ে দিও।”

‘ইজহান পদ্মের হাত ধরে টেনে উপরে নিয়ে আসলো। পদ্ম তো লজ্জায় শেষ। ছিহ এই ইজহান ভালোই পারে লজ্জা দিতে।’

‘রুমে আসার সাথে সাথে পদ্ম ইজহানের হাত ছেড়ে দিলো। ইজহান ড্রয়ার থেকে একটা মলম নিলো।’

‘পদ্ম কোমড়ে হাত দিয়ে বললো-‘
“আপনি এতো বাজে কথা বলেন কেনো? মা আর ফুপ্পি কি ভাবছে বলুন তো। নির্লজ্জ কোথাকার।”

‘ইজহান পদ্মের থুতনিতে মলম লাগাতে লাগাতে বললো-‘
“কে কি ভাবছে বা ভাববে সেটা নিয়ে ইজহানের মোটেও আপত্তি নেই। ভাবলে সমস্যা কোথায়। আর আমি তো এখনো কিছুই করিই নি যখন করবো তখন নির্লজ্জ বলবে এর আগে এসব কথা কিন্তু সহ্য করবো না পদ্মফুল।”

#চলবে….

[আসসালামু আলাইকুম। শানায়াকে কিন্তু শাস্তি দিয়েছি আরও বাকি আছে। পর্বটা কেমন হয়েছে জানাবেন। এখন আর দেখি আপনারা কমেন্ট করেন না। আমাকে কি আর আগের মতো ভালোবাসেন না আপনারা🥹? ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শব্দসংখ্যা ১৬০০]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here