প্রেমের রঙ পর্ব -১৬

#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_১৬
#মোহনা_হক

‘বেশ কিছু সময় বাদে ইজহান পদ্ম কে ছেড়ে দিলো। ইজহান বরাবরের মতোই স্বাভাবিক আছে। কিন্তু পদ্ম সে তো পারছে না। নিজেকে শত শত গা’লি দিয়ে ফেললো আর কখনো কারও সাথে মজা করলেও ইজহানের সাথে ভুলেও মজা করবে না। লোকটা খুব বেশিই ভয়ংকর। প্রতিবার কিছু না কিছু করে তাকে লজ্জা দিবে। এই লজ্জার জন্যই বোধহয় সে একদিন শেষ হয়ে যাবে।’

‘ইজহান দুষ্টুমি করে বললো-‘
“আর মজা করবে আমার সাথে?”

‘পদ্ম থতমত খেয়ে গেলো। মাথা নাড়িয়ে বললো-‘
“কখনো করবো না আমার শিক্ষা হয়ে গিয়েছে।”

‘ইজহান পদ্মের গাল স্পর্শ করে করলো। বৃদ্ধ আঙুল দিয়ে পদ্মের গালে ছুঁয়ে বললো-‘

“এখন তো মজা করেছো তাই শাস্তি দিয়েছি। কিছুদিন পর মজা না করলেও এমন শাস্তি ফ্রি পাবে।”

‘পদ্ম চোখগুলো ছোট ছোট করে বললো-‘
“উহুম আমার চাই না।”

‘ইজহান মুচকি হাসলো।’
“তুমি অনিচ্ছুক হলেও দিবো।”

‘পদ্ম সরে আসলো ইজহানের থেকে। অনেকটাই দূরে চলে এসেছে একদম দরজার কাছে।’

“মুচকি হাসেন কেনো? আপনার সেই সুন্দর দাঁতটা দেখিয়ে হাসবেন। সে হাসিটা আমার ভিষণ পছন্দের ডাক্তার সাহেব।”

‘কথাটি বলেই পদ্ম ভোঁ করে দৌড় দিয়ে চলে গিয়েছে। ইজহান হাসছে। এখন সেই সুন্দর দাঁতটা দেখা যাচ্ছে। তবে হাসিটা না দেখেই পদ্ম চলে গিয়েছে। কি প্রানবন্ত মেয়ে। আর কি চমৎকার কথাবার্তা। কাছে এসে কথাগুলো বলতে পারে না, দূরে গিয়ে বলে। ইশ এক কিশোরী মেয়ের প্রেমের বাক্য কি শুদ্ধ।’

‘সন্ধ্যায় ইজহান সোফায় বসে খবর দেখছে। একা একা ভালো লাগছিলো না দেখে ইজহান মুনিরা শেখের রুমে গিয়েছে।’

‘পদ্ম তার ওড়না নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। তার শ্বাশুড়িকে একটা কথা বলবে। কিন্তু কেনো জানি তার সংকোচ বোধ হচ্ছে।’

“মা আমার পি’রি’য়’ড হয়েছে।”

‘বেশ কিছুক্ষণ পর পদ্ম কথাটি বলতে সফল হলো। মুনিরা শেখ হেসে বললো-‘

“কথাটি বলতে এতক্ষণ লেগেছে তোমার?”

‘পদ্ম মিনমিন করে বললো-‘
“মা আমার লজ্জা লাগে এগুলো নিয়ে কথা বলতে। আমি সরাসরি কারও কাছে বলতে পারি না কথাগুলো।”

‘মুনিরা শেখ পদ্মকে সবকিছু দিলো।’
“আমাকে এগুলো বলতে কখনো লজ্জা পাবে না। আমি তো তোমার আরেক মা।”

‘পদ্ম হেসে দিলো। ভাগ্য করে মুনিরা শেখের মতো একজন শ্বাশুড়ি পেয়েছে। তিনি খুবই ভালো। পদ্ম হাজার কথা বললেও তিনি বিরক্ত হোননা। এজন্যই পদ্ম মুনিরা শেখকে বেশ পছন্দ করে।’
‘ইজহান আর রুমে ঢুকলো না এতোক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পদ্ম আর তার মায়ের কথা শুনছিলো। এখন যদি রুমে ঢুকে সবচেয়ে লজ্জা পাবে পদ্ম। তাই সে চলে গেলো তার রুমে।’

‘পদ্ম আজ রুমেই যাচ্ছে না। এই সময়টাতে তার একা থাকতে ভালো লাগে। পদ্মের মনেহয় কিছু কিছু সময় একা থাকা ভালো। জানে রুমে গেলে ইজহান কিছু না কিছু করবে। এমনিতে আছে এক জ্বালায় তারউপর মন একেবারে বিষিয়ে গিয়েছে।একা একা সন্ধ্যা বেলা ছাদে কাঁটাচ্ছে। চারদিকে মৃদু বাতাস বইছে। পদ্মের চুলগুলো উড়ছে। পাশের বাসাগুলো থেকে ছাদে আলো আসছে। এই নিয়ে মাএ ২বার ছাদে উঠেছে পদ্ম। প্রথম বার ইজনিয়ার সাথে উঠেছিলো। আর এখন একা উঠেছে। শরীরটা ঠিক থাকলে আরও ভালো করে এই স্নিগ্ধ সন্ধ্যাবেলা উপভোগ করতে পারতো। কিন্তু এখন তো তার মনে শান্তি নেই। প্রতিবার এই সময়টাতে পদ্মের মনটা অটোমেটিকলি খারাপ হয়ে থাকে। আজও একই অবস্থা। একটুও ভালো লাগছে না তার। একদম খিঁচে বসে রইলো পদ্ম।’

‘ইজহান বেডে শুয়ে শুয়ে ফোন দেখছে। পদ্ম যে রুমে আসে নি আজ সেটা ইজহান খেয়াল করেছে। জোর করতে চাচ্ছে না পদ্মকে। নিজের ইচ্ছে হলে ঠিকই আসবে। হয়তো এখন লজ্জায় আসতে চাইছে না।’

‘রুবিনা খাতুন ইজহান কে কল করেছে। ইজহান ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। বেশ কিছু সময়ের পর রিসিভ করলো।’

‘ইজহান সুন্দর করে প্রথমেই সালাম দিলো।’
“আসসালামু আলাইকুম মা। ভালো আছেন?”

“জ্বী বাবা ভালো আছি। তুমি আর দু’জনেইপদ্ম কেমন আছে বাবা।”

‘ইজহান শান্ত কন্ঠে বললো-‘
“এইতো ভালোই আছি।”

“বাবা একটা জরুরী দরকারে কল দিয়েছিলাম।”

“জ্বী মা বলুন।”

“বাবা পদ্মের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে ৪ দিন পর। ও কি পরীক্ষা দিবে?”

‘ইজহান পদ্মের পড়াশোনার ব্যাপারে একদম ভুলেই গিয়েছে। এই গেট টুয়েদারের জন্য। নিজে নিজে আফসোস করতে লাগলো। কতো বড় ভুল হয়ে গেলো তার।’

“জ্বী মা অবশ্যই দিবে।”

‘রুবিনা খাতুন বললো-‘
“তাহলে বাবা ওকে কবে গ্রামে নিয়ে আসবে?”

‘ইজহান সাথে সাথে বললো-‘
“কালই নিয়ে আসবো।”

“আচ্ছা বাবা। তুমি কি কাল আসবে ওর সাথে?”

“জ্বী আসবো।”

‘তারপর আরও কিছু কথা বলে রুবিনা খাতুন কল টা রাখলো। ইজহান রুম থেকে বের হয়ে পদ্মকে খুঁজছে, কিন্তু কোথাও মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। এক সময়ে ইজহানের মাথাটা ভিষণ গরম হয়ে গেলো। এক জায়গায় স্থির হয়েও বসে থাকতে পারে না। ইজহানের এবার টেনশনে ধরলো। পদ্ম আসলে কোথায়? মুনিরা শেখের কাছে জিগ্যেস করলো পদ্ম কোথায় কিন্তু তিনিও জানেন না। রুমে আসার সময় ইজহান দেখলো ছাদের দরজা খোলা। মন বলছে পদ্ম ওখানে নেই তাও গেলো ছাদে। ঠিকই মহারানী ছাদে বসে আছেন। আগে ছাদে এসে খুঁজলে এতো বেশি হয়রানি হতো না। কি সুন্দর বসে বসে পা দুলাচ্ছে। আর এতক্ষণ সে অযথা কষ্ট করেছে।’

‘ইজহান দ্রুত পায়ে পদ্মের কাছে গেলো। পদ্ম চোখ বন্ধ করে বসে আছে৷ ইজহানের উপস্থিতি টের পেলো না। ইজহান পদ্মের হাত ধরে টান দিয়ে দাঁড়া করালো।’
‘পদ্ম আচমকা এমন হওয়াতে ভয় পেয়েছে। আর ইজহানের এমন ব্যবহারে সে খুব অভিমান করেছে আর পেটেও ব্যাথা পেয়েছে।’

‘পদ্মের চোখে পানি চলে আসলো।’

“তোমাকে কতো খুঁজেছি আমি জানো? সন্ধ্যা বেলা এখানে বসে আছো কেনো? কাউকে কিছু না বলেও একা একা চলে এসেছো। আমি সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি আর ম্যাডাম এখানে বসে বসে সন্ধ্যা বিলাস করছে।”

‘পদ্মের কেঁদে দিয়েছে। ইজহান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।’

“পদ্ম কাঁদছো কেনো?”

‘পদ্ম কোনো উত্তর দিলো না। মুখে হাত দিয়ে কান্না শুরু করে দিয়েছে। ইজহানের খুব খারাপ লাগলো। একটু বুঝে শুনে কথা বলা উচিৎ ছিলো। মুখটা ছোট করে পদ্মকে টেনে একহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছে।”

“পদ্মফুল কাঁদছে কেনো? সে কি জানে না কাঁদলে তার ডাক্তার সাহেবের খুব কষ্ট হয়।”

‘পদ্ম কান্নারত অবস্থায় বললো-‘
“আপনি আমাকে এভাবে টান দিয়েছেন কেনো আমি কি ব্যাথা পাই না? প্রত্যেক বার আপনি এমন করেন। কথা বলবো না আমি। ছাড়ুন আমাকে।”

‘পদ্ম ইজহানের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু ইজহান আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। তাড়াহুড়োতে ভুলেই গিয়েছে পদ্মের যে পি’রি’য়’ড হয়েছে।’

“সরি সরি আমি ভুলেই গিয়েছিলাম তোমার পি’রি’য়’ড চলছে। আর কখনো এমনটা করবো না। আমার টেনশন হচ্ছিলো তো পদ্মফুল।”

‘পদ্ম অবাক হয়ে গিয়েছে ইজহান কিভাবে কথাটা জানে? সাথে একরাশি লজ্জা এসে হানা দিলো তার কাছে।’

“আপনি কিভাবে জানেন?”

‘ইজহান একদম স্বাভাবিক হয়ে বললো-‘
“তখন যে তুমি মায়ের কাছে বলেছো আমি শুনেছি। কিন্তু পদ্ম খবরদার লজ্জা পাবে না। এটার লজ্জার বিষয়ও না। আমরা ডক্টররা অনেক কিছুই জানি। তোমার কাছে হয়তো কথাটা লজ্জার বিষয় হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে এগুলো একদম স্বাভাবিক। যেহেতু তোমার ডাক্তার সাহেব একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সো তার এগুলো অনেক মেয়ে মানুষের থেকে শোনা লাগে। আমাদের ডক্টরদের জন্য এগুলো নরমাল। আর এটার মানে হচ্ছে তুমি একদম সুস্থ আছো। বোকা মেয়ে। আর ভাবতে হবে না এটা নিয়ে।”

‘পদ্ম একটু নরমাল হলো। ইজহান তো ঠিকই বলেছে। পদ্ম আর লজ্জা পেলো না। জড়িয়ে ধরা অবস্থায় মাথা তুলে ইজহানের দিকে তাকালো।’

“কেনো খুঁজেছিলেন আমায়?”

‘পদ্মের চোখের কোণায় পানি আটকে ছিলো। ইজহান তার দু’টো হাত দিয়ে পদ্মের চোখের পানি গুলো মুছে দিলো।’

“তোমার মা কল দিয়েছিলো। ৪ দিন পর এক্সাম শুরু। কাল তোমাকে গ্রামে যেতে হবে।”

‘পদ্মের বুকটা ধক করে উঠলো। কাল আবার ইজহান হসপিটালে যাবে আর কালই তাকে গ্রামে ফিরতে হবে। মনটা মানতে রাজি হচ্ছে না। আর বিয়ের পর এই প্রথম ইজহানকে ছাড়া থাকবে। বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে না। এখন তো আরও কান্না পাচ্ছে।’

‘পদ্ম পর পর ঢোক গিললো কান্না যেনো না আসে সেজন্য।’
“কালই কেনো যাবো? পরশদিন ও তো যেতে পারি।”

‘ইজহান পদ্মের দিকে তাকালো।’
“পরশুদিন গেলে এক্সামের সময় আরও ঘনিয়ে আসবে। আর কাল গেলে মোটামুটি কিছু পড়তে পারবে। এখানে তো আর পড়াও হয় না আবার তোমার বইগুলোও নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাল গ্রামে যাবে তুমি।”

“আসলে কাল তো আপনি হসপিটালে যাবেন। পরশুদিন গেলে হয় না?”

“না ম্যাডাম কালই যেতে হবে।”

“প্লিইইইজ।”

‘ইজহান পদ্মকে থামিয়ে দিলো।’
“কোনো রকম এক্সকিউজ শুনতে চাচ্ছি না আমি। কাল মানে কাল।”

‘পদ্ম ইজহানকে খুব শক্ত করে ধরে কেঁদে দিলো। ইজহান বুঝলো না কেনো কাঁদছে?”

‘ইজহান নরম কন্ঠে বললো-‘
“কি হয়েছে তোমার? বেশি ব্যাথা পেয়েছিলে যখন টান দিয়েছিলাম?”

‘পদ্ম মাথা নাড়ালো। তার মানে সে কাঁদছে অন্য কারণে।’

‘ইজহান আবারও বললো-‘
“তাহলে কেনো কাঁদছো? তুমি কি এক্সাম কে ভয় পাও।”

‘পদ্ম কোনো উত্তর দিলো না। যতোবারই মনে পড়ে ইজহানকে ছেড়ে তাকে গ্রামে যেতে হবে ততবারই চোখ ভরে পানি উপচে পড়ে। ভালো লাগে না তো তাকে ছাড়া। এ কথা কিভাবে বোঝাবে তার ডাক্তার সাহেব কে। আচ্ছা পদ্ম তো হাসলে তিনি বুঝে যান তাহলে এই কথা বুঝছে না কেনো। নাকি বুঝেও না বোঝার মতো রয়েছে।’

‘ইজহান এখন বিরক্ত হলো। অকারণে কান্না করার কোনো মানেই হয় না।’

“হয়েছে অনেক কেঁদে ফেলেছো। যতোবারই কাঁদো আমার জামা-কাপড় একদম ভিজিয়ে ফেলো। কোনো কারণ ছাড়া আমাকে জড়িয়ে ধরে আমাকে বুকে এসে কান্না করা যাবে না।”

“আপনিই তো প্রথমে আপনার কাছে টেনে নিয়েছেন। এখন এমনটা বলছেন কেনো। আর একটু কাঁদি?”

‘ইজহান খেয়াল করেছে পদ্ম নাক টানছে আর চোখ দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়ছে। মেয়েটা যে কেঁদে একেবারে লাল হয়ে গেলো। সেটা কি মনে আছে তার? টমেটোর মতো লাগছে একদম।’

“না আর একটুও কাঁদা যাবে না। কাঁদলে অন্য কোথাও কাঁদো। আমার কাছে এসব চলবে না।”

‘পদ্মের আরও ঠেলে কান্না আসলো। মানুষটা ভিষণ স্বার্থপর। তার মনের কষ্টগুলো এখন অনুভব করতে পারছে না কেনো। খুব তো তখন পটু পটু কথা বলতে পারে। আবার তার বুকে কান্নাও করা যাবে না।’

‘পদ্ম ইজহানকে আবারও জড়িয়ে ধরলো।’

“আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না ডাক্তার সাহেব। আমার মন বসবে না ওখানে। বিয়ের পর একদিনও থাকিনি। কাল থেকে থাকবো কিভাবে? আপনি নাকি আমার হাসি অন্ধকারেও অনুভব করতে পারেন। আজ যে আমার কষ্ট হচ্ছে সেটা কেনো পারছেন না অনুভব করতে? ভালো লাগবে না তো আপনাকে ছাড়া থাকতে। আপনি ছাড়া আপনার পদ্মফুল শূন্য একেবারে।আর আমি একশোবার আপনাকে জড়িয়ে ধরে আপনার বুকে কাঁদবো। কারণ আপনি একান্তই আমার ব্যাক্তিগত মানুষ।”

‘ইজহান বিস্মিত হয়ে আছে। এসব কথা কি পদ্ম বলছে? মেয়েটা যে অজান্তেই তাকে ভালোবেসে ফেলেছে এটা কি সে জানে। ইশ আগে এমনটা হবে জানলে এই ট্রিকস আরও আগে কাজে লাগাতো। ইজহান ঠোঁট কামড়ে হাসছে পদ্মের কাহিনী দেখে।’

#চলবে…

[আসসালামু আলাইকুম। লাস্টের কথাগুলো হয়তো বা পদ্মের বয়সের তুলনায় বেশি হয়ে গিয়েছে জানি। কিন্তু কেনো জানি মনে হলো পদ্মকে একটু বড় করা দরকার, যেহেতু ইজহান কে ছাড়া অনেকদিন তাকে একা থাকতে হবে। আশাকরি বুঝবেন। আর খুব শিগগিরই একটা সু-সংবাদ আসতে চলেছে। ভুলত্রুটি বরাবরের মতো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শব্দেসংখা ১৫৮০]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here