বিষাক্ত প্রেম পর্ব ৫+৬

পর্ব ৫+৬
#বিষাক্ত প্রেম ২

Urme prema (sajiana monir)

পার্ট:৫

জানালা বেদ করে সূর্যমামার মিষ্টি আলো সেহেরের মুখে পড়ছে তার উষ্ণতার ছোয়াঁয় বার বার সেহেরকে ছুয়েঁ দিচ্ছে ।সেহের ছোট ছোট চোখ করে আসে পাশে দেখছে ,
না রুমে কেউ নেই !
তবে সে যে আরহাম খানঁ কে দেখেছিলো তার হাত ধরে বসে আছে তাহলে কি ঐটা তার স্বপ্ন ছিলো ? নাকি সত্যি আরহাম এসেছিলো ।
এমন হাজার প্রশ্ন মনে ঘুরপাক খাচ্ছে পরক্ষনেই তার মনে পড়লো যে সে তো নিজের বাড়িতে এখানে আরহাম কি করে আসবে হয়তো সে কোন স্বপ্নই দেখেছে !
হাত নাড়াতেই ব্যথায় কুকড়িয়ে উঠে আস্তে আস্তে এক পা পা পা করে রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমের দিকে আগায় ।রুমের সামনে দাড়াতেই ভয়ে তার আত্না কেপেঁ উঠে ।কাল রাতের সেই লোকটি কে ছিলো ?
কেনই বা তাকে ঐ লোক মারতে চায় !
সে কার কি এমন ক্ষতি করেছে যে তারা তাকে মারার জন্য এভাবে উঠে পড়ে লেগেছে ।
এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠে তাকিয়ে দেখে আননোন নাম্বার থেকে ফোন ।
সেহেরের হাত পা কাপাঁকাপিঁ করছে ।কয়েকবার ফোন বেজে একাই কেটে যায় ।
আবার ফোন বাজতেই কাপাঁকাপাঁ হাতে ফোন রিসিভ করে সেহের কানে ফোন ধরতেই অপর পাশ থেকে হাউমাউ করে একটা মেয়ের কান্নার আওয়াজ আসছে ।
সেহেরের আর বুঝতে বাকি রইলো না অপর পাশে কে সেহের কাপাঁকাপাঁ গলায় বলল
-“কনক !
তোর কি হয়েছে ,এভাবে কেন কান্না করছিস !”
অপর পাশ থেকে কনকের কান্না জরীত কন্ঠ
-“সেহের আমার সব শেষ !
আমার সবশেষ হয়ে গেছে সেহের ।”
বলেই আবার জোরে জোরে শব্দ করে কনক কান্না শুরু করে দেয় ।
সেহের নিজেকে সামলিয়ে বলতে লাগে
-“প্লিজ কনক কান্না করিস না ।
কি হয়েছে আমাকে বল !”
কনক কান্না করতে করতে বলে
-“সবটা ফোনে বলা যাবে না আমি তোর বাসায় আসছি ।”
সেহের শান্ত স্বরে বলল
-“আচ্ছা ঠি ক আছে তুই বাড়িতে আস ।”

সেহের ফ্রেশ হয়ে বের হতেই দেখে তার মা বেডে খাবার নিয়ে বসে আছে ।সেহের তার মা কে দেখে মুখে মুচকি হাসি টেনে বলতে লাগে
-“আরে আম্মু তুমি কেন কষ্ট করে নিয়ে আসলে আমি এখনই নিচে যেতাম । “
আম্মু খাবারের প্লেটটা পাশে টেবিলে রেখে আমার কাছে এসে আমাকে বেডে বসিয়ে আমার ভেজা চুল গুলো মুছে দিতে দিতে বলে
-“কিসের কষ্ট ? আমার তো নিজের মেয়ের খেয়াল রাখতে ভালো লাগে ।এই পাচঁটা বছর তোমাকে খুব মিস করেছি ।”
-“আমিও মা তোমাকে খুব বেশি মিস করেছি ।”
মা সেহেরের চুল মুছে দিয়ে সেহেরের সামনে এসে বসে সেহেরের হাতের বাজুতে কাটা জায়গায় ঔষধ দিয়ে দিতে দিতে বলতে লাগে
-“সেহের তোমাকে কিছু বলার আছে ।”
-“হুম মা বলো এতে পার্মিশনের কি আছে ?”
-“সেহের আমি এখন যা বলবো প্রতিটা কথা খুব মন দিয়ে শুনবে আমার এই কথা গুলো তোমার ভবিষ্যতে তোমাকে শক্তি দিবে ।
মা মানুষের জীবন কখন সহজ -সরল পথে চলে না জীবনে অনেক পরিস্থিতী আসবে তোমাকে ভেঙ্গে পড়লে চলবেনা তোমাকে সবসময় শক্ত থেকে সেই পরিস্থীতির সাথে লড়াই করে যেতে হবে ।
তোমার অতীতের অনেক সত্য তোমার সামনে আসবে তুমি সেই সত্য জেনে ভেঙ্গে পড়ো না মনে রেখ প্রতিটা ঘটনার পিছনে কোন না কোন উদ্দেশ্য থাকে তাই কখনো ভেঙ্গে পড়োনা সব সময় মনে রাখবে তোমার পরিবার তোমার সাথে সব সময় ছিলো আছে আর সারাজীবন থাকবে !”
সেহের তার মায়ের প্রত্যেকটা কথা বেশ মন দিয়ে শুনে ।সেহের তার মায়ের হাতে হাত রেখে বলে
-“মা তুমি চিন্তা করোনা তোমার মেয়ে কখনো ভেঙ্গে পড়বেনা যেকোন পরিস্থিতী হোন না কেন সব সময় সাহস দিয়ে লড়াই করে যাবে ।”
সেহেরের মা তার মাথায় হাত রেখে বলে
-“আমি জানি আমার মেয়ে খুব স্ট্রং !”

বিকেলে সেহেরের রুমে সেহের আফিয়া নিলাদ্রি কনককে ঘিরে বসে আছে ।কনক বাড়ি আসার পর থেকে শুধু কান্নাই করে যাচ্ছে কোন কিছু বলেই তার কান্না থামানো যাচ্ছেনা ।
সেহের এবার বেশ বিরক্ত নিয়ে কনকে ধমকের স্বরে বলতে লাগে
-“কিছু তো বল !
আসার পর থেকে কান্না করছিস এত বার জিগাসা করছি কি হয়েছে কি হয়েছে কোন জবাব না দিয়ে শুধু কান্না করে যাচ্ছিস ।
তুই যদি আমাদের কিছু না বলিস তাহলে আমরা বুঝবো কি করে যে কি হয়েছে ?”
পাশ থেকে নিলাদ্রি ও চেচিয়েঁ বলে
-“কনক এবার তো বল ইয়ার !
খুব বেশি টেনশন হচ্ছে আমার ।”
কনক কান্না করতে করতে বলতে শুরু করে
-“তোরা তো জানিস আমার রামিনের সাথে রিলেশন আছে ।”
আফিয়া পাশ থেকে চিন্তিত হয়ে বলে
-“তো কি হয়েছে ?”
কনক কান্না জড়িত কন্ঠে বলে
-“রামিন আমাকে ধোকা দিয়েছে আমার সাথে ব্রেকআপ করার পর এখন আমাকে ব্লাকমেইল করছে !”
সেহেরের যেন সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে ।সেহের চিন্তিত হয়ে বলে
-“ওয়েট ওয়েট !!!
কি হচ্ছে সবটা আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে ।এই রামিন কে ? প্লিজ সবটা ক্লিয়ার করে বল কনক !”
কনক দির্ঘ্যনিশ্বাস নিয়ে বলতে শুরু করে
-“আমার ইন্টার এক্সামের পর হঠাৎ করেই আমার রামিনের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় ।প্রথমে সম্পর্ক হায় ,হ্যালো পর্যন্ত সিমাবদ্ধ থাকলেও এক সময় বন্ধুত্ব্রের সম্পর্কে সিমাবদ্ধ হয় তার পর তা প্রেমে সম্পর্কে রুপান্তরীত হয় ।কয়েক মাস সম্পর্ক বেশ ভালোভাবে চলছিলো আমিও রামিনের প্রতি আস্তে আস্তে বেশ দূর্বল হয়ে পড়ছিলাম ।
তার ভালো মানুষিকতা তার ভদ্রতা আমাকে বেশ দূর্বল করে দিয়েছিলো আমি আমার সম্পর্কের কথা আফিয়া নিলাদ্রিকে সবটা জানাই তাদের সাথে রামিনের দেখা ও করাই সব কিছুই ঠি ক ছিলো ।
কিন্তু কে জানতো যে রামিনের এই ভালো মানুষীটা শুধুই একটা মুখেশ ছিলো তার আসল চেহারা টা ছিলো জানোয়ারের ।
রিলেশনের যখন ছয় মাস চলছিল তখন হঠাৎ একদিন রামিন আমাকে রুম ডেটের জন্য অফার করে আমি রেগে তাকে সরাসরি না করে দেই ।তখন সে আমাকে বলে যে আমি তার গার্লফ্রেন্ড না তার বউ এমন রিলেশনে জড়ালে ক্ষতি কি সে তো আমাকেই বিয়ে করবে আরো অনেক ভাবে আমাকে দূর্বল করার চেষ্টা করে কিন্তু আমাকে কোন ভাবেই দূর্বল করতে পারেনা ।
তারপর আস্তে আস্তে কিছুদিন পর থেকে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে শুরু করে ।আমি বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে তা ঠি ক করতাম কখনো গিফ্ট দিয়ে আবার কখনো সার্প্রাইজ দিয়ে কারন রামিন তখন আমার সবটা জুড়ে ছিল ।কিন্তু আমার এইসবই আমার কাল হয়ে গিয়েছিলো তখন সম্পর্কটা ভেঙ্গে গেলেই হয়তো ভালো হতো !
সবকিছু আগের মত চলছিল হঠাৎ একদিন রামিন তার বন্ধুর বার্থডে পার্টিতে ইনভাইট করে প্রথমে না করতে চাইলেও রামিনের মন রাখার জন্য পরে হ্যা করি ।
সেই হ্যা টাই আমার সব শেষ করে দিয়েছিলো !
সেদিন সন্ধ্যায় রেডি হয়ে পার্টিতে যাই কিন্তু সেখানে রামিন ছাড়া অন্য কেউই ছিলোনা মিথ্যা বলে আমাকে আনার কারনে রাগ করে ফিরে আসতে নিলে সে থাকার জন্য রিকোয়েস্ট করে আমি যেন থাকি এই সাজসজ্জা সব সে আমার জন্য করেছে আমাকে সার্প্রাইজ দেওয়ার জন্য তাই আমিও আর মানা করতে পারিনা সেই পর্যন্ত সব কিছু ঠি ক ছিল ডিংক্স খেতেই হঠাৎ মাথা ঘুরাতে লাগে ।চোখ গুলা ঘোলাটে হতে শুরু করে ।
চোখ বন্ধ হবার আগে দেখতে পাই রামিনের ঠোঁটের কোনে লালসার হাসি আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না এটা রামিনের কাজ ।আমার ভিতর তাকে কিছু বলার মত শক্তি ছিলোনা ।
তারপর কি হয়েছে আমার মনে নেই পরের দিন সকালে যখন জ্ঞান ফিরে সে সময় দেখি আমি বেডে এলোমেলো ভাবে শুয়ে আছি সামনেই রামিন আমি রেগে কান্না করতে করতে তার কলার চেপে ধরে তাকে আমার সাথে এমন করার কারন জিগাসা করি সে উত্তরে বলে সে আমার সাথে যা করেছে সব টাকার জন্য করেছে ।আমি তাকে পুলিশের ধমকি দিতেই সে আমাকে বলে যদি আমি কাউকে কিছু বলি তাহলে সে সব ভাইরাল করে দিবে ।
আমাদের মধ্যে সে রাতে কিছু না হলেও একসাথে বেশ কিছু ছবি আছে যা দেখলে মনে হবে যে দুজন হয়তো কোন গভীর সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম ।
সেদিন ঐ জানোয়ারের সাথে ব্রেকআপ করি ।
এর পর থেকে শুরু হয় ঐ জানোয়ারের ব্লাকমেইল প্রথমে তার টাকার এমাউন্ট কম হলেও এখন তা আস্তে আস্তে বাড়ছে ।
প্রথমে বাবা মায়ের কাছ থেকে চুরি করে দিয়েছি নিজের একাউন্ট থেকে দিয়েছি কিন্তু এবার সে ৩ লক্ষ টাকা চেয়েছে !
আমি এতটাকা কোথা থেকে দিবো ?
আমার মরন ছাড়া কোন উপায় নেই এবার “

বলেই কনক কান্না করে শুরু করে দেয় ।সেহের কনকে জরিয়ে ধরে তাকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে ।
সেহেরের মনে বার বার প্রশ্ন উঠছে মানুষ এতটা জানোয়ার কি করে হয় ?
কি ভাবে পারে এসব !
নিলাদ্রি রেগে বলতে লাগে
-“ঐ কু** সাহস কি করে হলো এসব করার আমি ওকে মেরেই ফেলবো !”
পাশ থেকে আফিয়া চিন্তিত হয়ে ধমকের স্বরে বলে
-“চুপ কর নিলাদ্রি ঐ জানোয়ারকে মেরে ফেললেই সব ঠি ক হবেনা !
আমাদের আগে কনকের সেই ছবি গুলো নিতে হবে না হয় কনক ফেসে যাবে ।”
সেহের কিছু একটা ভাবতে ভাবতে বলে
-“হুম আফিয়া ঠি ক বলছে ।
আমাদের আগে কনকের ছবি নিতে হবে তার পর ওকে যা করার করা যাবে ।
আগে কনকের সম্মান তারপর ওর সাথে যা করার করবো ওকে ভয়ংকর শাস্তি দিবো পুলিশে দিবো !”
নিলাদ্রি চিন্তিত হয়ে বলে
-“রামিন থেকে ছবি নিবো কি করে ?
ও তো চাইলেই দিবেনা ।”
সেহের শান্ত স্বরে বলে
-“চাইলে দিবেনা !
ছল করে তো আনা যাবে তাইনা ?”
আফিয়া চিন্তিত স্বরে বলে
-“কে তার সাথে ছল করবে ও তো আমাদের চিনে ধরে ফেলবে ।”
সেহের বাকাঁ হেসে বলে
-“সে তোদের চিনে আমাকে তো না তাই না ?
যা করার আমি করবো ওকে এমন ভাবে ফাসাবে ওর সাত পুরুষ মনে রাখবে ।”
কনক কান্না জরিত কন্ঠে বলে
-“আমি তোকে কোন ভাবেই এই বিপদে পা দিতে দিবোনা !”
সেহের শান্ত স্বরে বলে
-“রিলেক্স কনক আমার কিছু হবেনা ,আমি সব ঠি ক করে দিবো !”
-“কিন্তু !”
-“কোন কিন্তু না তুই শুধু ৩ দিন কোন বাহানায় বাহানায় রামিনকে ঘুরা বাকিটা আমি দেখবো !
তোর কোন ক্ষতি হতে দিবোনা এটা তোর বেস্টির ওয়াদা ।”

সেহের সন্ধায় বারান্ধায় পাইচারি করছিলো চারদিকে আবছা আলো তেমন স্পষ্ট দেখা না গেলেও হালকা দেখা যাচ্ছে বারান্ধার লাইট টাও অফ ।হঠাৎ মনে হলো কেউ তার রুমে ডুকেছে সাথে সাথে সেহের ভয়ে কেপেঁ উঠে গত রাতের কথা মনে পড়ে যায় আবার তাকে মারতে আসে নি তো ?
সে কাপাঁকাপাঁ পায়ে রুমের দিকে অগ্রসর হয় ।রুমে ডুকতেই কেউ হঠাৎ করে সেহের হাত আলতো করে টান দিয়ে তাকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে ফেলে সেহের ভয়ে সাথে সাথে চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নেয় ।
চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় সে অনুভব করে কারো ঘনঘন নিশ্বাস তার মুখের উপর পড়ছে ।
সেহের চোখ মুখ আরো শক্ত করে বন্ধ করে নেয় ।
সামনের ব্যক্তির ঘনঘন গরম নিশ্বাস ক্রমশ বাড়ছে আর এদিকে সেহেরের হাত পা কাপাঁকাপিঁ ও তার সাথে পাল্লা ধরে বাড়ছে ।
সেই ব্যক্তি সেহেরের অবস্থা বুঝতে পেরে হালকা আওয়াজে তার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে
-“ভয় নেই আমি তোমার কোন ক্ষতি করবোনা ।”
সেহের তা শুনে কিছুটা সস্থির নিশ্বাস নেয় কিন্তু লোকটিকে বিশ্বাস করতে পারছেনা ।
তার চোখের পাতা গুলো তখনো তিরতির করে কাপছেঁ আর বুকের ধুকধুকানি তো ক্রোমশ বাড়ছে ।
লোকটি সেহেরের বাজুর কাটা স্থানে নিজের ঠোঁট ছুয়িয়ে দিতেই সেহের বরফের মত শক্ত হয়ে যায় ।আস্তে আস্তে লোকটি তার হাতের তালুতে নিজের ঠোঁট বোলায় ।
সেহের যেন ভয় আর অনুভূতির সংমিশ্রনে চোখ বুঝে আছে ।আনমনেই সেহেরের মুখ থেকে ফিসফিস আওয়াজে বেরিয়ে আসে
-“আরহামমমম !”
লোকটি সাথে সাথে থেমে গেল ।এই সে কি শুনছে সেহের তার নাম নিচ্ছে ?
তবে কি সেহের তার মনের হারানো স্মৃতি অনুভূতি বুঝতে পেরেছে ।তার সেহের কি তাকে চিনতে পারছে ?
নাকি এটা শুধুই ভুল !

পার্ট:৬

সেহের চোখ বন্ধ করে বেশ কিছুসময় ধরে কিন্তু সামনের ব্যক্তির কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে না আস্তে আস্তে ছোট ছোট চোখ করে তাকায় সে ।আবছা আলোতে মনে হচ্ছে সামনের ব্যক্তিটি তার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যেন কোন ভাবনায় ডুবে আছে ।
সেহের লোকটিকে চুপ থাকতে দেখে কিছুটা সাহস পেল সে আলতো আওয়াজে বলতে শুরু করে
-“আ…আপনি ক…কে ?
আম…আমাকে কেন মারতে চান !
আমি আপনার কি করেছি কেন আমার ক্ষতি করতে চান ।”
সামনের লোকটি যেন সেহেরের আওয়াজে ধ্যান ফিরে আসে কিন্তু সেহেরের নেশা যেন তার কাটেনি ।সে আলতো হাতে সেহেরের মুখের উপর পরা চুল গুলো সরিয়ে তার কানের পিছনে গুজেঁ দেয় ।সেহের লোকটির এমন কাজে বেশ অবাক হয় ভয়ে বড় একটি ঢোক গিলে ।
লোকটি সেহেরের বেশ কাছে এসে তার গালের সাথে নিজের গাল স্পর্শ করে ফিসফিস করে মাতাল কন্ঠে বলে
-“তোমার আমার স্পর্শ আমার কাছে আসাতে সত্যি কি মনে হয় আমি তোমার কোন ক্ষতি করতে চাই ?
তুমি কি এখনও আমার সেই আগের অবুঝ সেহের রয়ে গেছ ?
আবার অনুভূতিগুলো এখনো কি বুঝতে পারো না !”
সেহের যেন প্রতিটা কথা অনুভব করছে প্রতিটা কথা যেন তার বুকের মাঝে উঠাল- পাঠাল ঢেউ তুলে দিচ্ছে অদ্ভুদ কোন অনুভূতি তার মনের মাঝে কাজ করছে ।কি এই অনুভূতি সে তা বুঝতে পারছে না ।
কিন্তু এই অনুভূতিটা এর আগেও কয়েকবার অনুভব করছে ।যখন যখন সে আরহামের সামনে গিয়েছে যতবার আরহামের আসে পাশে ছিলো প্রত্যেকবার এই অনুভূতি কাজ করেছে ।
খুব বেশি ভালোলাগার এই অনুভূতি !
তবে কি এই লোকটি আরহাম ?
কিন্তু তা কি করে হবে ? আরহাম এখানে এই সময়ে কেন আসবে ।
তারপর ও যেন সেহেরের মন মানতে চাইছেনা মন বলছে এক বার আরহাম বলে ডেকে দেখতে হতে ও তো পারে এটা আরহাম !
বেশ সাহস সংযোগ করে কাপাঁকাপাঁ স্বরে সেহের বলল
-“আপ …আপ.আপনি কি আ…আরহাম খাঁন ?”
লোকটি যেন সেহেরের কথায় বেশ মজা পায় ।মজা করে লোকটি বলে
-“না তো !
আমি তো ভূত ।”
সেহের এবার চোখ ছোটছোট করে তাকিয়ে বলে
-“তাই বুঝি ?”
লোকটি আর কোন কথার উত্তর না দিয়ে সেহেরের কপালে নিজের ঠোঁট ছোয়াঁয় সেহের আবেশে নিজের চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেলে ।
তারপর হঠাৎ সেহেরের কানে আবার সেই ফিসফিসে আওয়াজ
-“একদম অনিয়ম করবেনা ।মেডিসিন নিবে আর নিজের খেয়াল রাখবে ভয় পেও না কেউ তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা ।
আর হ্যা আমি আবার আসবো ।”
বলেই আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে লাগে সেই লোকটি ।সেহের চোখ খুলতেই দেখে কেউ নেই তার আসে পাশে সে চারদিকে খোঁজাখুজিঁ করতে লাগে বারান্ধায় যায় সেখানে ও কাউকে পায় না সে ।
সেহের এবার বেশ চিন্তিত হয়ে পরে তবে কি এত সময় যা হয়েছে পুরোটা তার কল্পনা ছিলো ?
তার হ্যালুসুলেশন ছিলো !

ড্রইং রুমে সেহেরের বাবা আশিস আহমেদ বসে আছে পাশেই তার মা মিহি আহমেদ বসে চা খাচ্ছে ।এমন সময়ই মিহি আহমেদ সিড়ি দিয়ে আরহামকে নামতে দেখে তার হাত থেকে চায়ের কাপটা পড়ে যায় ।
হঠাৎ সেহেরের মায়ের এমন কাজে সেহেরের বাবা পাশ ফিরে তাকায় মিহি আহমেদ চোখ দিয়ে ইশারা করে আরহামের দিকে তাকানোর জন্য ।আশিস আহমেদ তাকিয়ে দেখে আরহাম খুব ইজিলি সিড়ি দিয়ে নামছে যেন এটা তার বাড়ি !
মিহি আহমেদ ফিসফিস করে আশিস আহমেদের কাছে যেয়ে বলতে লাগে
-“আরহাম খান এখানে কি করে ?
আর দেখে মনে হচ্ছে সেহেরের রুমের দিক থেকে আসছে !”
আশিস আহমেদ স্ত্রীকে ইশারা করে বোঝায় তিনি ব্যপার টা দেখছে ।
আশিস আহমেদ আরহামের কাছে যেয়ে বলে
-“বাবা তুমি এই সময় এখানে !
কোন কাজ ছিল ?”
আরহামের এক হাত পকেটে অন্য হাতে ফোন টি-পতে ব্যস্থ ,আরহাম ফোনের দিকে ধ্যান দিয়ে বলল
-“ সেহেরকে দেখতে এসেছিলাম যেঠি ক আছে কিনা !
আশা করি আপনারা তার ঠি ক মত খেয়াল রাখবেন ।”
আরহাম ফোনের থেকে চোখ উঠিয়ে আশিস আহমেদের দিকে তাকিয়ে ছোট ছোট চোখ করে বাকাঁ হেসে বলে
-“যদি এবার কোন চালাকি করার চেষ্টা করেন বা আমার সেহেরকে আমার থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করেন তাহলে আমার থেকে খারাপ কিছু হবেনা !
মাইন্ড ইট !
আল্লাহ হাফেজ ।”
বলেই আরহাম সানগ্লাস টা পরে বাহিরে চলে যায় ।গাড়ির সামনে যেতেই তার বডি গার্ড তার গাড়ির দরজা খুলে দেয় ।
এদিকে মিহি আহমেদ রাগে ফুসছে তার স্বামী আশিস আহমেদের দিকে তাকিয়ে চেচিঁয়ে বলতে লাগে
-“এই ছেলে কি মনে করে ?
আমরা কি আমাদের মেয়ের শত্রু যে তার কোন খারাপ চাইবো !
এখন তো দেখছি নিজের মেয়ের উপর আমাদের কোন অধিকার ও নেই ।”
আশিস আহমেদ স্ত্রীকে শান্ত করার চেষ্টা করে বলতে লাগে
-“শান্ত হও মিহি ।
আরহাম তো আর আমাদের মেয়ের খারাপের জন্য কিছু করছে নাম !”
মিহি আহমেদ রেগে উত্তর দেয়
-“ভালোর কি করেছে ?
যখন থেকে আমার মেয়ের জীবনে এসেছে সব খারাপই হয়েছে আমি আমার এক সন্তান হারিয়েছি আমি কি করে এই লোক কে সয্য করবো এই খুনিকে সয্য করবো বলতে পারো ?
যতবার দেখি এই লোককে আমার সন্তানের মৃত চেহারা ভেসে উঠে আমার চোখে ।
শুধু সেহেরের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি চুপ আছি নয় তো খুব খারাপ কিছু হতো ।”
মিহি আহমেদ কথা শেষ করেই দ্রুত পায়ে সেখান থেকে চলে যায় ।আশিস আহমেদ স্ত্রীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দির্ঘ্যনিশ্বাস ছাড়ে ।

আজ পুরো তিনদিন হয়ে গেছে এই তিন দিনে রামিন সেহেরের বিছানো জালে ঠি ক ফেসে গেছে ।সেহের যেমনটা চেয়েছে সবকিছু তেমন করেই হচ্ছে ।আজ রামিন সেহেরের সাথে দেখা করতে চাইছে আর সেহের ও তাকে হ্যা বলে দিয়েছে ।
সেহের আয়নার সামনে দাড়িয়ে রেডি হচ্ছে কিছুসময় পরই রামিনের সাথে দেখা করবে ।মনে বেশ ভয় কাজ করছে কি ভাবে কি করবে ।সব ঠি ক মত হবে কিনা !
পিছন থেকে আফিয়া বলে উঠে
-“রামিন তোকে কোথায় দেখা করতে বলেছে ?”
সেহের ভয়ে ভয়ে উত্তর দেয়
-“হোটেল রুমে !”
তা শুনে বেড থেকে কনক চমকিয়ে চেচিয়েঁ বলে
-“আর ইউ লস্ট ইউর মাইন্ড সেহের ?
তুই হোটেল রুমের কথা শুনার পর ও কি করে যাওয়ার কথা ভাবছিস ?
ঐ জানোয়ার খুব বেশি ডেন্জারাস তোর যদি কোন ক্ষতি করে ?
ঐ জানোয়ার আরো অনেক মেয়ের ক্ষতি করেছে তাদের সম্মান কেড়ে নিয়েছে যদি তোর সাথে এমন কিছু করে ।
না না আমার কোন ন্যায় বিচারের দরকার নেই ,এসব বন্ধ কর তুই কোথাও যাবিনা ।
আমি চাইনা আমার জন্য তুই কোন বিপদে পড় ।”
সেহের কনকের পাশে এসে বসে কনকের হাতের উপর হাত রেখে শান্ত কন্ঠে বলে
-“আমরা যা চেয়েছি সবটা তেমনই হচ্ছে এখন অন্তিম সময় এসে কি করে পিছুপা হই বল ?
আমি তোকে প্রমিস করেছি তোর সাথে কোন অন্যায় আমি হতে দিবোনা তোর সম্মান নষ্ট হতে দিবোনা ।
তুই চিন্তা করিস না আমি সবটা সামলিয়ে নিবো !”
নিলাদ্রি চিন্তিত হয়ে বলে
-“কিন্তু হোটেল রুম খুব বেশি রিস্ক হয়ে যায় ।”
সেহের নিলাদ্রির দিকে তাকিয়ে বলে
-“হুম হোটেল রুমে এতেই সুবিধা হয়েছে ও আমার সাথে খারাপ কিছু করতে চাইবে আর অবশ্যই তা রেকর্ট করা চেষ্টা করবে যেমনটা কনকের সাথে করেছে ।
আর ঐ ডিভাইসটা রুমের কোথাও লুকিয়ে রাখবে আর আমি যদি সেই রেকর্টার ডিভাইস খুজেঁ বের করতে পারি তাহলে সেখানে কনকের ভিডিও পেয়ে যাবো তাহলে আমাদের কোন দূর্বলতা থাকবে না ।
তার পর ঐ জানোয়ারটাকে শাস্তি দিতে পারবো !”
কনক ভয়ে ভয়ে বললো
-“কিন্তু সেহের এতে তো অনেক রিস্ক তুই কি করে পারবি !”
সেহের বড় একটা শ্বাস নিয়ে কনকের দিকে তাকিয়ে বলে
-“আমাকে পারতেই হবে !
তা ছাড়া তোরা তো আছিস আমি ফোন দিলে তোরা বুঝে নিবি যে আমি কোন বিপদে আছি !”
তিন জন হ্যা বোধক মাথা নাড়ালো ।
সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে শপিং আর আউটিং এর বাহানা করে বেরিয়ে পরে ।
সেহের বেশ ভালোভাবে পরিপাটি হয়ে নিয়েছে যাতে রামিন পুরোপুরি ভাবে ফেসে যায় আর সেহের নিজের উদ্দেশ্যে সফল হয় ।
গাড়ি এসে হোটেলের সামনে থামতেই সেহের ভয়ে ঢোক গিলে তারপর কনকদের দিকে তাকিয়ে বলে
-“তোরা দূরে থাকিস না হয় তোদের দেখলে সন্দেহ করবে !”
কনক চিন্তিত হয়ে বলে
-“তুই ও নিজের খেয়াল রাখিস আর কোন সমস্যা মনে হলেই সাথে সাথে আমাদের কল করবি ।”
সেহের মাথা ঝুকিয়ে জানায় “ঠি ক আছে ”
আস্তে আস্তে সেহের ভিতরের দিকে প্রবেশ করে ।ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখে কয়েকটা মেয়ে বেশ সেজেগুজে অদ্ভুদ ভঙ্গিমা করে দাড়িয়ে পান চিবাচ্ছে ।পাশেই এক নেশাখোর লোক ডলতে ডলতে ভিতরে ডুকছে তারপর সেখান থেকে একটা মেয়ে নিয়ে রুমে ডুকে পরে ।সেহেরের তা দেখেই গা ঘিনঘিন করে উঠে ।চিৎকার করে কান্না আসছে তার বেশ ভয় লাগছে কিন্তু তার ভয় পেলে চলবেনা কনকের জন্য তার এটা করতেই হবে চূড়ান্ত পর্যায় এসে সে হার মানতে পারেনা ।
তাই বড় একটা নিশ্বাস নিজের ভিতরে টেনে নিয়ে রামিনের পাঠানো এড্রেসে পৌছানোর জন্য বড় বড় পা ফেলে ।

রুমের সামনে দাড়াতেই সাথে সাথে ভিতর থেকে দরজা খুলে দেয় ।দরজা খুলতেই সেহের দেখে সামনে এক ছেলে দাড়ানো চোখে মুখে লালসার হাসি ,সেহেরের আর বুঝতে বাকি রইলো না এটাই রামিন ।
সেহের নিজের জিদ চেপে ধরে মুখে নকল হাসির রেখা টেনে বলে
-“আর ইউ রামিন ?”
ছেলেটি সেহেরের হাত ধরে বলে
-“ইয়েস বেবী কাম ইন !”
সেহের আস্তে আস্তে ভিতরে প্রবেশ করে ।ভিতরে প্রবেশ করেই চারদিকে চোখ বুলিয়ে নেয় ।রামিন সেহেরের দিকে তাকিয়ে বাকাঁ হেসে বলে
-“ইউ আর সো হট !”
সেহেরের কথাটা শুনেই বেশ রাগ হলো ইচ্ছে করছে দুটা চড় তার গালের ভিতর দিতে কিন্তু নিজের জিদ টা চেপে ধরে ।দাতেঁ দাতঁ চেপে মুখে নকল হাসি ফুটিয়ে উত্তর দেয়
-“থ্রেংক্স !”
রামিন বিভিন্ন ভাবে সেহেরের কাছে আসার চেষ্টা করছে কিন্তু সেহের কোন না কোন ভাবে তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে ।এক সময় রামিন আর অন্য কোন রাস্তা না পেয়ে সেহেরের আড়ালে সেহেরের স্ফট ডিংক্সে নেশার ঔষধ মিলিয়ে দেয় ।সেহেরের দিকে ড্রিংক্স এগিয়ে দিয়ে সেহেরকে তা খেতে বলে ।সেহের গ্লাসটা হাতে নিতেই রামিনের ঠোঁটে রহস্যর হাসি ফুটে উঠে যা সেহেরের চোখ ফাকি দেয়না ।
সেহের বেশ বুঝতে পারছে এটাতে কোন গোলমাল আছে ।তাই সে গ্লাসটা হাতে নিয়ে এক চুমুক খেয়েই বাকিটা ইচ্ছে করে রামিনের শার্টে ফেলে দেয় রামিন বেশ রেগে উঠে সেহেরের উপর চেচিঁয়ে উঠে ।সেহের রামিনকে সরি বলে ।
রামিন শার্ট পরিষ্কার করতে ওয়াশরুমে যেতেই সেহের পুরো ঘরে খোজাঁখুজিঁ শুরু করে দেয় ।
কোথাও কোন ক্যামেরা বা রেকর্টার ডিভাইস পায় না বেশ হতাশ হয়ে পরে ।তবে কি তার সব কষ্ট বৃথা যাবে ?
এমন হাজারো প্রশ্ন তার মনে জাগছে মন খারাপ হয়ে যায় ।
এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎই তার চোখ যায় ফুলদানীতে ছিদ্রের দিকে সে তারাতারি তার কাছে যায় ফুল গুলো বের করে দেখে ভিতরে মোবাইল যার ক্যামেরা ছিদ্রের বরাবর ছিলো ফোন হাতে নিয়ে ঘাটাঘাটি করতেই দেখে সেখানে বেশ কিছু মেয়ের বস্ত্রহীন ছবি কনকের ও ছবি এর মধ্যে আছে ।সেহেরের সবটা দেখে গা ঘিনঘিন করে উঠে ইচ্ছে করছে রামিনের গলা কেটে ফেলতে চোখ উঠিয়ে ফেলতে কিন্তু এই মুহূর্তে এসব কিছু করা সম্ভব না তাকে আগে এখান থেকে পালাতে হবে তার পর এই রামিনকে দেখা যাবে তাকে ভয়ংকর শাস্তি দেওয়া যাবে ।
যেই সেহের তার সাইড ব্যাগে ডুকাতে নেয় এমন সময় রামিন ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে তা দেখে ফেলে ।
সেহের দৌড় দিয়ে পালাতে নেয় তার আগেই রামিন তার হাত মোচড় দিয়ে ধরে বলতে লাগে
-“শা** কে তুই ?
কি ভেবেছিস আমার সব কষ্টের উপর পানি ফেলবি ?
তা আমি হতে দিবোনা ।
আগে তোর সাথে জোরজবরদস্তি করবো তারপর তোকে খুন করবো !
দেখ এখন তোর সাথে কি হয় ।”
বলেই সেহেরের চুল টেনে ধরে ।সেহের রামিনের পায়ে জোরে পাড়া মারে ফলে রামিন ব্যথায় সেহের হাত ছেড়ে দেয় এই সুযোগে সেহের পালাতে নেয় তার মাথা জিম জিম করতে লাগে নেশার ঔষধ কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে হঠাৎ তার মাথা ঘুরিয়ে নিচে পরে যায় ।
চোখ জোড়া বন্ধ হয়ে আসছে ।তার কানে ভেসে আসছে রামিনের হিংস্র হাসি রামিন উচ্চস্বরে হেসে হেসে বলছে
-“এবার কোথায় পালাবি তুই ।
এবার তোকে ভোগ করবো !”
বলেই আবার জোরে জোরে হাসতে লাগে ।

চলবে…..❤️

Plz সবাই সবার মতামত জানাবেন 😊😊😊

ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন ❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here