ভালোবাসার রংধনু পর্ব -০২

#গল্পঃভালোবাসার_রংধনু
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০২

অনেকক্ষণ যাবত শোভা বসে বসে নখ কামড়ে চলেছে।আজকে নিহাদের বাসায় ওর বাবা-মা গিয়েছে।এখন যদি এসে বলে সব পছন্দ হয়েছে তাহলে শোভার আর রক্ষে নেই।
প্রভাও তাদের সাথে গিয়েছে।আজ আর স্কুলে যায়নি।
কলিংবেলের আওয়াজ আসতেই শোভা দৌঁড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিলো।ওর বাবা ধীরে সুস্থে সোফায় বসে বললেন,এক গ্লাস পানি দে।শোভা ডাইনিং থেকে পানি নিয়ে জহিরুল ইসলামের দিকে এগিয়ে দেয়।বুকে দুরুদুরু আওয়াজ হচ্ছে।মনে মনে প্রার্থনা করছে বাবার যেনো কিছুই পছন্দ না হয়।এদিকে তিনি কিছু বলছেন ও না।মা বা প্রভাকে কিছু জিজ্ঞেস করে লাভ নেই আগে বাবার মতিগতি বুঝতে হবে।বাবা কিছু বলছেনা নিজ থেকে কিছু জিজ্ঞেস করতেও লজ্জা লাগছে তাই শোভা টেনশন কমাতে রান্নাঘরে গেলো এককাপ কফি বানানোর উদ্দেশ্যে।কফি বানিয়ে নিজের ঘরে এলো।কফিতে চুমুক দিয়েই চোখমুখ কুঁচকে ফেলে।এত্ত তিতা লাগে কেনো?মনে হয় দুধের গুড়ির জায়গায় শুধু কফি পাউডারই দিয়েছে।কফিটা রান্নাঘরে এনে ফেলে দিয়ে প্রভার ঘরে গেলো।প্রভা জামাকাপড় না পাল্টে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে।
শোভা প্রভাকে আস্তে একটা থাপ্পড় মেরে বলল,কিরে এভাবে শুয়ে আছিস কেনো?জামাকাপড় চেঞ্জ করবি না?প্রভা আড়মোড় ভেঙে বলে করবো।আমি ভাবছি এবার কি কি জামা কেনা যায়।

শোভা কপালে ভাঁজ ফেলার চেষ্টা করে বলল,এখন আবার কিসের শপিং?
প্রভা লাফ দিয়ে উঠে বলল,মা তোমাকে বলেনি?আজ ও বাড়িতে বসেই বাবা তোমার বিয়ের পাকা কথা বলে এসেছে।
শোভা চমকে উঠে বলল,কিহ?
প্রভা বলল,আরে হ্যাঁ,ভাইয়া নাকি তোকে দেখে ফিদা হয়ে গেছে তাই দুদিন পরই বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।উনারা চাইছিলেন কালই বিয়ে হয়ে যেতে।পরে বাবা আরো একদিন সময় চেয়েছিলেন।
শোভা চোখ বড় করে তাকিয়ে বলল,কি বলছিস তুই এসব?আর ভাইয়া কে?
প্রভা দাঁত কেলিয়ে বলল,যার সাথে তোমার বিয়ে হবে সে।শোভা ঠাস করে প্রভার গালে একটা চড় বসিয়ে বলল,এখনো বিয়ে হয়েছে যে তুই ভাইয়া ডাকা শুরু করেছিস।প্রভার চোখ ছলছল করছে।ও ভুল কিছু বলেছে নাকি?মাঝে মাঝে প্রভা ভাবে ও যদি বড়বোন হতো তাহলে শোভাকে ইচ্ছেমতো কেলাতো।

শোভা নিজের ঘরে আসার সময় শুনলো বাবা ফোনে কাউকে দাওয়াত দিচ্ছেন।ইচ্ছে করছে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি করতে।আর ছেলেটা এমনভাবে কাহিনী সাজালো যেনো সে সত্যি সত্যি শোভার জন্য পাগল।অনেক ভেবে চিন্তে শোভা ঠিক করলো আর আপসেট হয়ে থাকবেনা।ওই নিহাদ যদি ওকে বাঁশ দিতে আসে সে কি বসে থাকবে নাকি?সেও নিহাদকে বাশের বাগান দিয়ে দিবে হুহ।এখন সে হ্যাপি হয়ে ঘুরছে।প্রভা শোভাকে দেখে অবাক।একটু আগে কেমন রাগ দেখিয়ে আমাকে চড় মেরে এলো যেনো বিয়ে নয় কেউ ওকে ফাঁসি দিচ্ছে।এখন মনে হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস ও পেয়ে গেছে কি হাসিখুশি লাফালাফি করছে।আমি বুঝতে পারিনা আমার বাবা-মায়ের ঘরে এটা কি তৈরি হলো?এটা আদৌও আমার বোন?
সামনের বছর প্রভা এসএসসি পরীক্ষা দিবে তাই মাথা না ঘামিয়ে পড়তে চলে গেলো।

রাতের খাওয়া শেষ করে নিহাদ ওর মায়ের ঘরের দিকে গেলো।মিসেস সেলিনা মুচকি হেসে বললেন,কিরে বাবা দরজায় দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?ভেতরে আয়।নিহাদ ঘরে ঢুকে কোনো ভনিতা ছাড়াই বলল,আচ্চা মা তোমাকে একটা প্রশ্ন করার ছিলো?
মিসেস সেলিনা বললেন,কি প্রশ্ন তাড়াতাড়ি বলে ফেল।
নিহাদ ভাবুক হয়ে বলল,আমি কি সত্যিই তোমাদের ছেলে?না মানে আমার চৌদ্দ গোষ্ঠীতে কেউ কালো নাই আমি এমন কাইল্লা কেনো?
মিসেস সেলিনা নিহাদের বাহুতে চাপড় মেরে বলল,সেকি কথা?কে বলল তুই কালো?তোর গায়ের রং শ্যামলা।কত সুন্দর আমার ছেলে।
নিহাদ ভোতা মুখ করে বলল,তবুও তোমাদের সাথে হাটলে মনে হয় আমি তোমাদের কাজের বেটা আর তোমরা মালিক।গায়ের রঙের কোনো মিল নেই।
মিসেস সেলিনা নিহাদের থুতনি ধরে আদুরে কন্ঠে বলল,আমার ছেলের জন্য পরীর মতো বউ নিয়ে আসতেছি আর কি লাগে?
নিহাদ মনে মনে বলছে,”একবার খালি পরীকে আমার ঘাড়ে চাপতে দাও কিভাবে ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে নামাতে হয় সেটা আমি খুব ভালো জানি।প্রথম দিন বাসায় এনেই ঝাড়ু দিয়ে দুইটা বাড়ি মারবো।
মিসেস সেলিনা বললেন,কিরে কোথায় হারিয়ে গেলি?মিলি দরজায় দাঁড়িয়ে হেসে বলল,শোভার কাছে হারিয়ে গেছে মা।
নিহাদ ধূর বলে নিজের রুমে চলে আসলো।সে এমন ভাব করছে যেন সে বিয়ের কথা শুনেই লজ্জা পাচ্ছে।আসলে তার এতসব বাহানা হলো সোভাকে এই বাড়ির বউ করে এনে ঝাড়ু দিয়ে দিনরাত পিটানো।

মিলিকে মিসেস সেলিনা বললেন,বাড়িতে প্রচুর কাজ আছে কাল থেকে।আজ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাও।কাল আবার শোভার জন্য শপিং করতে হবে।সেখানে তোমাকেই যেতে হবে।
ঠিক আছে মা বলে মিলি ঘরে এসে বিছানা ঝেড়ে নেয়।আহাদ অলরেডি শুয়ে পড়েছে খেয়ে এসে।মিলি দেখলো মগে পানি অল্প একটু আছে রাতে প্রয়োজন পড়তে পারে।তাই মগ হাতে নিয়ে নিচে নামলো।
এদিকে নিহাদ সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে ভেবে তন্ন তন্ন করে ঝাড়ু খুঁজে চলেছে।নিজের ঘরে একটা ঝাড়ু সংরক্ষণ করে রাখবে।বিয়ের দিন আর খুঁজতে হবেনা।মেয়েটাকে অপমান করেই ছাড়বে।
মিলি পানি নিতে এসে রান্নাঘরে নিহাদকে দেখে বলল,একি নিহাদ তুমি এখানে কি করছো?
নিহাদ চমকে ওঠে মিলিকে দেখে।হে হে হে করে হেসে উঠে বলল,পানি নিতে এসেছি কিন্তু জগ কোথায় রেখেছি খুঁজে পাচ্ছিনা।মিলি সরু চোখে নিহাদকে একবার দেখে বলল,মা রাতের খাবারের আগেই তোমার রুমে জগ ভর্তি পানি দিয়ে এসেছে।নিহাদ আমতা আমতা করে খুঁজছে কি বলবে?
মিলি পানি নিয়ে বলল,কিচ্ছু বানোয়াট বলা লাগবেনা।তারপর চলে যায়।নিহাদ হাঁপ ছেড়ে বাঁচে।সব বাদ দিয়ে ঘুমাতে চলে গেলো।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিহাদ দেখলো বাড়ি সাজানো শুরু হয়ে গেছে।আত্মীয়- স্বজনরা ও অনেকে আসা শুরু করেছে।বেলা কম হয়নি।
নাস্তার টেবিলে গিয়ে বসলো।মিলি এসে নাস্তা সামনে দিয়ে বলল,আজ নিজেই নিয়ে খাও।প্রচুর কাজ পড়ে আছে।নিহাদের কাছে চরম বিরক্ত লাগছে।তার বিরক্তির মধ্যে একটা হলো খাবার বেড়ে খাওয়া।খাবার খেয়ে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে।বন্ধু বান্ধব সবাইকে দাওয়াত দেওয়া শেষ।

শোভা ফজরের সময় উঠেই নামায পড়ে মায়ের সাথে রান্নাঘরে ঢুকেছে।মায়ের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে মনে মনে বলছে,আমি নতুন বউ।আমাকে নাস্তা না দিয়ে নাস্তা বানানোর কাজে এনে হাজির করেছে।
দুই বাড়িতেই আস্তে আস্তে আত্মীয় স্বজন চলে এসেছে।রাতে হলুদের জন্য নিহাদের বাড়ি থেকে শোভার জন্য লেহেঙ্গা,সাজের সব কিছু পাঠিয়ে দিয়েছে।শোভার বাবা ও নিহাদের জন্য পাঞ্জাবি,পাজামা কিনে পাঠিয়েছেন।নিহাদের মা বলে দিয়েছে হলুদে যাতে তাদের বাড়ি থেকে দেওয়া লেহেঙ্গা শোভাকে পড়ানো হয়।শোভার বাবা বললেন,কাল থেকেতো আপনাদের দেওয়া গুলোই পড়বে।আজ আমার মেয়ে আমার কিনে দেওয়া শাড়িটাই পড়ুক।এতে নিহাদের বাবা মা কেউই দ্বিমত করেন নি।

শোভাকে হলুদ শাড়ী পড়িয়ে ওর বান্ধবীরা স্টেজে নিয়ে বসায়।একের পর এক হলুদ দিয়ে যাচ্ছে।তারপর নাচগান হলো।বসে থাকতে থাকতে কোমর ব্যথা হয়ে গেছে শোভার।কিন্তু টু শব্দটুকু করছে না।প্রভা শোভাকে কোমর ধরে চোখমুখ কুঁচকাতে দেখে ওর মাকে বলে শোভাকে ঘরে নিয়ে যায়।শোভা কেনোরকম হাতমুখ ধুয়ে শাড়ি না পাল্টে ঘুমিয়ে গেলো।একটু সময়ের ব্যবধানে সবাই ঘুমাতে চলে গেলো।শোভার রুমে ওর বান্ধবীরা ছিলো।তাই ঘুমাতে কষ্ট হলোো শোভার।
নিহাদের ও খুব সুন্দরভাবে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো।

সকাল থেকেই সবাই কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে।শোভা সেই কখন বলেছে ওর ক্ষিধে পেয়েছে কিন্তু খাবারের কোনো হদিস নেই।সব মেহমান কি সুন্দর করে খাচ্ছে অথচ নতুন বউ পেটে হাত দিয়ে বসে আছে।কেউ যখন খাবার দিলোনা তখন শোভা নিজেই রান্নাঘরে গেলো।প্লেট একটা নিয়ে তাতে খিচুড়ি বেড়ে ওখানে দাঁড়িয়ে খেতে লাগলো।শোভার ফুফু চোখ বড় বড় করে বললেন,ওমাগো আমার ভাই এটা কি পালতাছে।আজ মাইয়ার বিয়া অথচ মাইয়া রান্নাঘরে খাবার বাইড়া খাইতাছে।কিরে তোর কি লজ্জা শরম নাই?

শোভা মুখ ঝামটা মেরে বলল,খাবার দিয়েছো তোমরা আমাকে?এতক্ষণ বিখারীর মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবার খাওয়া দেখছিলাম।সহ্য করতে না পেরে নিজেই বেড়ে খেয়ে নিলাম।
শোভার ফুফু শোভার কথা শুনে ওকে রান্নাঘর থেকে বের করে দিয়ে বললেন,নিজের ঘরে গিয়া খা।মাইনষে দেখলে পরে শশুর বাড়িত তোর বদনাম করবো।যা বাবা যা।
শোভা ভ্রু কুচকে চেয়ে আছে।ওর ফুফু কিরকম জানি।সব সময় আতঙ্কে থাকেন সবাই কি ভাববে? সবাই কি বলবে এসব নিয়ে।

প্রভা খুব ভালো মেহেদী পড়াতে জানে।সে শোভার হাতে সুন্দর করে মেহেদী পড়িয়ে দিচ্ছে।আর শোভার বান্ধবীরা পাশে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
মিসেস অনামিকা এসে বললেন,মেহেদী শুকালেই ডাক দিস।তোকে গোসল করাতে হবে।

শোভাকে সাজিয়ে দিয়ে সবাই বর এসেছে বলে চলে গেলো।শোভা নিজেকে খুঁটিয়ে দেখছে কেমন লাগে।নাহ সুন্দরইতো লাগে আমাকে।নিহাদের মনে আজ আনন্দের শেষ নেই।আজ তার মনের আশা পূরণ করেই ছাড়বে।
আগে বিয়ে পড়ানোর কাজ সমপন্ন করে পরে সবাইকে খাবার দেওয়া হবে।
বিয়েতে নিহাদ তিনবার আলহামদুলিল্লাহ কবুল বলে দিয়েছে।শোভা কবুল বলার সময় ওর চোখে পানি জমেছিলো।বাবা মা,আদরের বোনকে ছেড়ে এখন থেকে থাকতে হবে।বিয়ে পড়ানোর পর সবাইকে খেতে বসিয়ে দেওয়া হলো।শোভার বান্ধবী আর কাজিনরা নিহাদের পাশেই শোভাকে বসিয়ে দিলো।জড়তা আর অস্বস্তির কারনে শোভা খেতেও পারছেনা।এদিকে নিহাদ পা দিয়ে শোভার পায়ে বারবার লাথি মারছে।সেদিন ডানপায়ে ব্যথা পেয়েছিলো দরজায় লাথি মারতে গিয়ে।এখন নিহাদ ডান পায়ে লাথি মারছে।পাটা টনটন করে উঠতেই শোভা চোখমুখ কুঁচকে ফেললো।এত লাথি দেওয়ার পরও যখন শোভার দিক থেকে কোনো প্রতিক্রয়া এলোনা তখন নিহাদ নিজেই থেমে গেলো।মনে মনে খুশি হলো মেয়েটা বুঝি ওকে ভয় পেতে শুরু করেছে।

বিদায় পাঠ চুকিয়ে শোভাকে নিয়ে আসা হলো নিহাদের বাসায়।আজ থেকে এটাই তার ঠিকানা।সব নিয়ম নীতি শেষ করে মিলি সহ আরো কয়েকজন শোভাকে ফুলে সজ্জিত একটি ঘরে বসিয়ে দিয়ে গেলো।সাথে নানারকম কথা শিখিয়ে দিয়ে গেলো।শোভা লজ্জায় মাথা নুইয়ে রেখেছিলো।সবাই চলে যেতেই নিহাদ দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো।রীতি অনুযায়ী শোভা নিহাদকে পা ছুঁয়ে সালাম করে।নিহাদ শোভার মাথায় হাত দিয়ে বলল,বেঁচে থাকো বৎস।আজ থেকে তোমার যন্ত্রনাময় জীবন শুরু।শোভা নিচ থেকে উঠে ক্ষীণ হেসে বলল,মনে করুন সাথে আপনার ও শুরু।নিহাদ শোভার মুখে হাসি দেখে ওর হাত পেছনে মুড়িয়ে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,আচ্ছা?তাহলে চলো খেলা হব্বে।দেখি কে জিতে?শোভা নিহাদকে একহাতে ধাক্কা দিয়ে সরাতে পারলোনা।নিহাদ ব্যঙ্গ হেসে বলল,এখনো খেলা শুরুই হয়নি অথচ মাঠে নামার আগেই হেরে যাচ্ছো?
শোভা রাগি গলায় বলল,ঝাড়ুর বাড়ির কথা কি ভুলে গেছেন?নিহাদ ঝাড়ুর কথা শুনে শোভার হাত ছেড়ে নিজের রুমে লুকিয়ে রাখা ঝাড়ু বের করে এক বাড়ি লাগিয়ে দিলো।দেখো কেমন মজা লাগে।
এই কান্ডে শোভা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেললো।তার ঘোর কাটতেই নিহাদের হাত থেকে ঝাড়ু ছিনিয়ে নিয়ে নিহাদকে দুই বাড়ি লাগিয়ে দিলো।নিহাদ রেগে বোম হয়ে গেছে।বেয়াদব মেয়ে বলে তেড়ে আসলো শোভাকে চড় মারতে।শোভা সরে গিয়ে বলল,আমি কিন্তু এখন চিৎকার করে সবাইকে ডেকে বলবো আপনি আমার গায়ে হাত তুলেছেন।নিহাদ দমে গিয়ে বলল,তোমাকে আমি দেখে নেবো।ঝাড়ুর বাড়ি লেগেছে গোসল করা দরকার তাই নিহাদ বাথরুমে ঢুকে গেলো।এদিকে শোভা গয়নাগুলো খুঁলে রেখে বিছানার ফুল ঝেড়ে শুয়ে পড়লো।নিহাদ বেরিয়ে এসে শোভাকে শুয়ে থাকতে দেখে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলল,এই মেয়ে গোসল করা ছাড়া আমার বিছানায় উঠলে কেনো?

শোভা ভ্রু কুচকে বলল,কে এখন গোসল করবে?
নিহাদ দাঁত কিড়মিড় করে বলল,তুমি।ঝাড়ুর বাড়ি খেলে গোসল করতে হয় জানোনা?
শোভা ভাবলেশহীন ভাবে বলল,পারবোনা এই শীতে এখন গোসল করতে।কাল করে নেবো।নিহাদ কিছুক্ষণ কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে হুট করে শোভাকে কোলে তুলে নিয়ে চোখের পলকে বাথরুমে নিয়ে ধপ করে নিচে ফেলে দিয়ে কল ছেড়ে দিলো।
শোভা ও আম্মা গো বলে এক চিৎকার দিলো।
নিহাদ দরজা আটকে দিয়ে খাটে এসে গড়াগড়ি দিয়ে হাসছে।বেশ মজা নিচ্ছে।একটু তো প্রতিশোধ নেওয়া গেলো।এবার বুঝো মাইয়া তুমি কার গুহায় পা দিয়েছো?
শোভা এমনিতেই শীত কালে দুদিন পরপর গোসল করে আজ একসাথে দুবার।ঠান্ডায় ঠকঠক করে কেঁপে উঠলো শরীর।
#চলবে…….

(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।হ্যাপি রিডিং।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here