ভালোবাসার রংধনু পর্ব -০৮

#গল্পঃভালোবাসার_রংধনু
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৮

সকাল সকাল দাদি শাশুড়ীকে চা দিতে তার ঘরে গেলো শোভা।মিলি চা বানিয়ে শোভাকেই পাঠালো।মিলির ইচ্ছে করছেনা এখন আলেয়া ভানুর ঘরে গিয়ে তার খোঁচানো কথায় সকাল সকাল মনটা খারাপ করতে।শোভা চা দিতে গিয়ে দেখলো আলেয়া ভানু তসবি জপছেন বসে বসে।শোভা নিচু স্বরে বলল,দাদি আপনার চা।আলেয়া ভানু তসবি জপা বাদ দিয়ে বললেন,টেবিলের উপর থাইকা কৌটাটা দেও।শোভা মাথা নেড়ে কৌটা হাতে নিয়ে আলেয়া ভানুর দিকে এগিয়ে দিতেই উনি বললেন,খুইলা দেহো সুপারি কতখানি আছে?
শোভা কৌটা খুলতেই কিরকম একটা উটকো গন্ধ নাকে লাগলো।নাক কুচকে কৌটা বন্ধ করে দিলো।
এই সুপারি গুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল আগে।এরপর কাটা হয়েছে তাই এরকম গন্ধ লাগছে।আলেয়া বেগম তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে বললেন,এই মাইয়া তুমি কি অন্তঃসত্ত্বা?
শোভা চমকে উঠে উনার কথায়।বিয়ে হলো এক সপ্তাহ পূর্ণ হয়নি আর উনি বলছেন অন্তঃসত্ত্বা?
শোভা দ্রুত মাথা নেড়ে না জানায়।আলেয়া বেগম বাজখাঁই গলায় বললেন,তাইলে এরম করো ক্যা?যাগো পোলামাইয়া হইবো তারা এরম করবো।সব কিছুতেই তাগো বমি হইবো,গন্ধ লাগবো।নাকি আমারে দেখতে পারোনা হেল্লিগা এরম করো।
শোভা তড়িৎগতিতে বলল,না না দাদি সেরকম কিছু নয়।এমনিতেই আমার কিরকম লেগে উঠেছে বুঝতে পারিনি।আপনি চা খান আমি নাস্তা বানাতে যাই।কথাটি বলেই শোভা কেটে পড়ে।

দুই জা মিলে সবার জন্য নাস্তা বানানো শেষ করে সব টেবিলে এনে রেখেছে।মিলি বলল,এখানে আর কাজ নেই এখন সবাই খেতে বসবে তুমি গিয়ে নিহাদকে ডেকে তোলো।শোভা নিহাদকে ডাকতে ঘরে এলো।নামায পড়ে প্রতিদিনের ন্যায় আজও ঘুমাচ্ছে।নিহাদ একপাশে কাত হয়ে শুয়ে আছে।শোভা অনেকক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করলো,”এই যে শুনছেন?”উঠুন।সবাই নাস্তা করবে একসাথে।উঠুন!শুনছেন?
নিহাদ নড়েচড়ে আবার ঘুমিয়েছে।এত ডাকাডাকির পরও নিহাদ উঠলোনা।শোভা আরো কয়েকবার ডেকে নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই মনে শয়তানি বুদ্ধি আসে।আবার আগের জায়গায় গিয়ে গ্লাস থেকে অল্প একটু পানি হাতে নিয়ে নিহাদের ঠোঁটে ঢেলে দেয়।একপাশে কাত হয়ে শোয়াতে পানি গড়িয়ে নিহাদের গাল বেয়ে পড়ে।শোভা চেঁচিয়ে উঠে বলে,ছিঃ!আপনার মুখ দিয়ে লালা পড়ে?ইয়াক।
নিহাদ লাফ দিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসে।দুই হাত দিয়ে ভালো করে মুখ মুছে নিয়ে রেগে গিয়ে বলল,বেয়াদব!এটা কোন ধরনের ফাজলামি?আমার মুখ দিয়ে লালা পড়ে?নাকি তুমি পানি ঢেলেছো?

শোভা হেসে কুটিকুটি।নিহাদ রেগে হাত উঁচিয়ে ওর চুল ধরতে আসলেই শোভা দৌঁড়ে নিচে চলে আসে।আসতে আসতে বলে নেয় তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসুন।
সবাই নাস্তা করতে বসেছে।মিলি আর শোভা সবাইকে বেড়ে দিচ্ছে।মিসেস সেলেনা শোভা আর মিলিকে উদ্দেশ্য করে বললেন,সবাইকে বেড়ে দিয়ে তোমরা ও খেতে বসে যাও।অনেক বেলা হয়ে যাচ্ছে।
আলেয়া ভানু ফোঁড়ন কেটে বললেন,ছিঃ!ছিঃ!নিজে যেরুম বাড়ির বউরেও হেরুম শিক্ষা দেয়।আগে সোয়ামি খাইবো,মুরুব্বিরা খাইবো।বাড়ির বউরা তাগো ফাইফরমাশ খাটবো।একলগে কিসের খাওন বাড়ির বউগো?
শোভা আর মিসেস সেলিনা একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।মিলি সোজা উপরে চলে যায়।আহাদের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।সে মুখ খোলার আগেই তার বাবা বিরক্তি সূচক শব্দ করে বললেন,আহ্!আম্মা কি বলছেন এসব?আপনাদের আগের যুগে এসব নিয়ম মানা হলেও এখন এসব মানা হয়না।বাড়ির বউরা সারাদিন কাজ করবে,স্বামীর,মুরুব্বিদের ফাইফরমাশ খাটবে এটা কেমন কথা?তারা ও তো এখানে এসেছে সংসার করতে,পরিবারের সবার থেকে ভালোবাসা পেতে।আপনি খাবার খেয়ে রেষ্ট নিন উপরে গিয়ে।বাকিটা আহাদের মা সামলে নিবে।
আলেয়া ভানু তেজ দেখিয়ে বললেন,আমি কিছু কইলেই তোগো সমিস্যা হয়ে যায়।হারাদিন বউয়ের আঁচল ধইরা থাক।পোলাগোরেও তোর মতো বানা।যাতে কইরা পোলারাও বউয়ের আঁচল ধইরা থায়ে।নিহাদের বাবা চুপচাপ খেয়ে উঠে গেলেন,উনাকে বুঝিয়ে লাভ নেই।এত বছরে বুঝাতে পারেনি আর এখন কিভাবে বুঝবে?তারচেয়ে বরং যে কয়টা দিন বাঁচে নিজের ভাবনা নিয়ে নিজের মতো করে বেঁচে থাকুক।এখন কিছু বললেই কষ্ট পাবে।

নিহাদ শোভাকে বলল,তুমি খাবার নিয়ে গিয়ে ভাবির সাথে খেয়ে নাও।আহাদ খাবার শেষ করে বলল,শোভা মিলির খাবারটা আমার কাছে দাও আর তুমিও খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি।সবাই জানে আহাদ রেগে আছে।ওর রাগটা একটু বেশিই।মিসেস সেলিনা শোভাকে ইশারা করতেই সে মিলির খাবার বেড়ে দিলো।আলেয়া ভানু রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমার কথারতো দাম নাই।দাম থাকবো কিল্লিগা?আমার দোষ,আমার পেটের দোষ এরম ছেলে জনম দিছি।বউয়ের আঁচল ধইরা হারাজীবন বইয়া থাকতো এহন পোলা বানাইছে কতগুলা নিজের মতো।আহাদ আলেয়া ভানুর কথার উত্তর না দিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়।নিহাদ দাদিকে অনেক শ্রদ্ধা করে।কিন্তু উনার খোঁচানো কথা বলা শুনলেই বিরক্ত লাগে।সারাজীবন দেখে এসেছে দাদি এখানে আসলেই মাকে খোঁচাতেন।কাজ না থাকলেও সারাদিন এটা ওটা করতে বলতেন।দু’সেকেন্ড জিরিয়ে নেওয়ার সময় দিতোনা।
শোভা নাস্তা করে রান্নাঘরের সব গুছিয়ে নেয়।
নিহাদ রেডি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।যাওয়ার সময় শোভাকে ডেকে বলল,আমি বাইরে যাচ্ছি।দুপুরে সময়মতো খেয়ে নিয়ো।
শোভা হাত ঝেড়ে বলল,কোথায় যাচ্ছেন আপনি?
নিহাদ বলল,বন্ধুদের সাথে দেখা করবো।অফিস শুরু হলেতো আর কারো সাথে দেখা করার সময় পাইনা।একা একা লাগলে মা আছে ভাবি আছে তাদের সাথে গল্প করবে।আর বেশি খারাপ লাগলে আমাকে কল দিও।
শোভা মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানাতেই নিহাদ বেরিয়ে গেলো।

মাঝে দুদিন কেটে গেলো।আগামীকাল থেকে নিহাদকে অফিসে জয়েন্ট করতে হবে।রাতে খাবার টেবিলে আলেয়া ভানু আবার আরেক ঝামেলা বাধালেন।শোভাকে বললেন,তাড়াতাড়ি পোলা জনম দেও।আবার বড়ডির মতো হইওনা।বিয়া হইছে এতগুলা বছর গেলোগা।এহনো একটা পোলাতো দূরে থাক মাইয়াও জনম দিতে পারলোনা।এই নাতিডারে কত কইরা কইলাম আরেকটা বিয়া করতে।পোলামাইয়ার মুখ অন্তত দেখতে পারবো।কথায় হুনেনা।হুনবো ক্যা?বাপের মতো হইছেনা?এহন তাড়াতাড়ি কইরা একখান পোলা জনম দেও নয়তো ছোড নাতিরে আরেকটা বিয়া করাইয়াম কইলাম।
নিহাদের বিয়ের কথা শুনে শোভার বুকের ভেতর ছলাৎ করে ওঠে।কোন মেয়ে তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে সহ্য করার ক্ষমতা রাখে?নিহাদ চাপা রাগ নিয়ে বলল,দাদি এসব কি ধরনের কথা? আল্লাহ যখন যা চাইবে তখন তাই হবে।এখানে কারো কোনো হাত নেই।

মিলির চোখে পানি টলমল করছে।সব সময় আলেয়া ভানু ওকে কথা শোনায়।বিয়ের পাঁচ বছর হয়েছে।এর মাঝে দুবার মিসক্যারেজ হয়েছে।মিসক্যারেজ হওয়ার সময়গুলোতে মিলি প্রচন্ড ভেঙে পড়তো।ওকে সামলাতে আহাদের প্রচন্ড কষ্ট হতো।দ্বিতীয়বার মিসক্যারেজ হওয়ার পর মিলি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে।তখন আহাদ ওকে সামলিয়েছে।অনেক বুঝিয়েছে।পরিবারের সবাই মিলিকে সাহস দিয়েছে।বুঝিয়েছে আল্লাহ চাইলে একদিন না একদিন মিলি নিশ্চয়ই মা ডাক শুনবে।শুধু আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে।মিলি সব কিছু মানিয়ে গুছিয়ে নিজেকে শক্ত করে চলার চেষ্টা করছে।কিন্তু মাঝখান থেকে এসব কটুক্তি খুব কষ্ট দেয়।মা হতে না পারার যন্ত্রনা একটা মেয়ের কাছে কতটা কষ্টের সেটা একমাত্র যার সাথে এরকম হয় সে ভালো বুঝে।তারউপর টিটকারি করে খোঁচানো কথা বললে বাঁচতেও মন চায়না।

আহাদ খাবার খাওয়া থামিয়ে দিয়ে পা দিয়ে চেয়ারে লাথে মেরে তেজি গলায় বলল,আমি প্রাপ্ত বয়স্ক।আমার জীবনে কি হবে না হবে সব আমার ব্যাপার।আপনি আমাদের দাদি বয়স্ক মানুষ।সুন্দর ভাবে বাকি জীবনটা পার করুন।সারাজীবন আমার মাকে জ্বালিয়ে এসেছেন এখন তার ছেলের বউদের জ্বালিয়ে মারতে বসে আছেন?মিলি ঘরে চলো।
মিসেস সেলিনা আহাদকে ধমক দিয়ে বললেন,আহাদ!দাদির সাথে কেউ এরকম ব্যবহার করে?কি বলছিস তুই এসব?
আহাদ মিলির হাত চেপে ধরে ঘরে নিয়ে গেলো।
আলেয়া ভানু চোখের পানি মুছে বললেন,আমি কাইলই গেরামে ফিরা যামু।আর এইহানে থাকন লাগবোনা।কাইল ভোর হইলেই যামুগা।

নিহাদের বাবা-মা শোভা মিলে কিছুতেই আলেয়া ভানুকে বোঝাতে পারছেন না।উনিও একরোখা মানুষ কালই ফিরে যাবেন বলে পণ করেছেন।সবাইকে সরিয়ে একা একাই লাঠিতে ভর করে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গেলো।শোভা ধরতে গেলেই ওকে ঝাড়া মেরে সরিয়ে দিলো।নিহাদের বাবা শোভাকে বলল,এখন আম্মাকে একা থাকতে দাও।এখন সামনে যেওনা রাগ কমতে দাও।শোভা সব কাজ গুছিয়ে ঘরে চলে গেলো ঘুমাতে।

মিসেস সেলিনা মুখটা পানশে করে বললেন,শুধু শুধু এখান একটা ঝামেলা হলো।ছেলেটাও হয়েছে বদরাগি।রাগ সামলে রাখতে পারেনা।আহাদের বাবা বলল,আম্মা আগেরকার মানুষতো তাই হয়তো উনার চিন্তাভাবনা আগের মতো।আমরা কোনদিকে যাবো?যাকেই বুঝাতে যাবো সেই উল্টো বুঝে বসে থাকে।

নিহাদ শুয়ে শুয়ে দেখছে শোভা চুলে বেনুনি পাকাচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে।মুখ দেখে মনে হচ্ছে কিছু একটা নিয়ে আপসেট।কম্বল সরিয়ে নিহাদের পাশে শুয়ে পড়তেই নিহাদ নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,মন খারাপ কেনো?দাদির বলা কথাগুলো ভাবছো?এসব ভেবে কষ্ট পাবেনা।দাদি গ্রামের মানুষ,বুড়ো হয়েছেন কি বলতে কি বলছেন হুশ নেই।শোভা মাথা নেড়ে বলল,নাহ আমি সেসব ভাবছিনা।
নিহাদ দুহাতে আঁজলা ভরে শোভার মুখ ধরে বলল,দেখো দাদি যে মাকে পছন্দ করতোনা তাই বলে কি বাবা আরেকটা বিয়ে করেছে?ভাইয়াকে দেখো?বারবার ভাবির মিসক্যারেজ হয়েছে,এখনো সন্তানের মুখ দেখেনি বলেকি সে আরেকটা বিয়ে করেছে?করেনি।একটা কথা মনে রাখবে,যার সাথে তুমি সারাজীবন কাটাবে সে তোমাকে পছন্দ করলেই সব ঠিক।মনের মাঝে কোনো আজেবাজে চিন্তা আনবেনা।
শোভা ভ্রু উঁচিয়ে বলল,তারমানে আপনি আমাকে পছন্দ করেন?
নিহাদ তাকিয়ে রইলো শোভার চোখের দিকে।শোভার চোখে উৎফুল্লতা।হঠাৎ নিহাদের গা গুলিয়ে আসলো।শোভাকে সরিয়ে দিয়ে তাড়িঘড়ি করে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করে দিলো।আজকের তরকারিতে ঝাল কম হয়েছে।নিহাদের কাছে মনে হয়েছে একটু মিষ্টি মিষ্টি।এরকম হলে নিহাদের গা গুলিয়ে আসে।কিন্তু রান্নার কথা কিছুই বললোনা।মেয়েরা অনেক কষ্ট করে রান্না করে।একটা কঠিন কথা বললে তরকারির স্বাদ দ্বিগুন হয়ে যাবেনা।কথাটা বললেও কি না বললেও কি।তাই একটা কঠিন কথা বলে অন্যের মন খারাপ করে দেওয়ার কোনো মানেই হয়না।অনেকক্ষণ ধরেই খারাপ লাগছিলো এখন বমি এসে গেলো।

নিহাদকে বমি করতে দেখে শোভা ওর কপাল চেপে ধরলো।বমি থামতেই শোভা জিজ্ঞেস করলো?
আপনি কি প্রেগন্যান্ট?
এই মাইয়া আবল তাবোল কথা বলবানা।
শোভা ভ্রু নাচিয়ে বলল,তাহলে বমি করেন কেনো?
নিহাদ বিরক্ত হয়ে বলল,তুমি একটা গবেট।বমি করলেই কেউ প্রগন্যান্ট হয়ে যায়না।আর আমিতো পুরুষ মানুষ।
শোভা বলল,এই কথা কেনো মেয়েদের ক্ষেত্রে খাটেনা?কোনো মেয়ের বমি হলেই সে প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়?আর অবিবাহিত মেয়ে বমি করলেতো,”ওমাগো কার বাচ্চা পেটে ধরে আছে এই মেয়ে।ঠিক বয়সে বিয়ে না দিলে এসবই হবে।মেয়েদের বেলায় এরকম ধারণা কেনো?

নিহাদ বলল,যারা এসব বুঝেনা তাদেরকে না বুঝিয়ে তুমি আমাকে বুঝাচ্ছো?প্রেগন্যান্ট হবা তুমি।আমি হবো বাবা।তারপর তোমাকে আমি করিম,রহিম,আবুল,বাবুলের আম্মা বলে ডাকবো।শোভা নিহাদের পিঠে কিল বসিয়ে দিলো।এসব কি নাম বলেন আপনি?
নিহাদ হাসতে হাসতে বলল,নামগুলোতো সুন্দরই আছে।আর তুমি অসুস্থ জামাইকে মারধর করো?এত জুলুমি তোমার দিলে?
শোভা মুখ ভেংচি কেটে এসে শুয়ে পড়ে।
পেছন পেছন নিহাদ ও এসে শোভাকে একহাতে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে।শোভা একবার নিহাদের দিকে তাকালো কিন্তু কিছু বললোনা।
#চলবে………

(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।হ্যাপি রিডিং।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here