ভালোবাসার_নীল_জোছনা পর্ব ১০
#আরিয়ান_অরণ্য
দিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলল- তুমি এমন করলে কেন আমার সাথে। কেন আমায় মায়ায় জড়িয়ে ধোঁকা দিলে এতোবড়।
রাহুল- দেখ দিয়া, তুমি কি জন্য আমায় ছেড়ে চলে গেছিলে জানিনা আমি। কিন্তু তোমাকে ধোঁকা দিয়েছি এই অপবাদ তুমি দিতে পারো না আমাকে।
দিয়া- আমাকে ধোঁকা দাওনি বলতে চাও? তুমি কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট করনি বলতে চাও।
রাহুল- আমি জীবনে একটা মেয়েকেই ভালোবেসেছিলাম, সে ছিলে তুমি।
দিয়া- তুমি বলতে চাও ঝর্ণাকে তুমি চেনো না?
রাহুল- (অবাক হয়ে) না তো। ঝর্ণা কে? এই নাম প্রথম তোমার কাছেই শুনলাম।
দিয়া কি বলবে বুঝতে পারছিলো না। তার মনে হচ্ছিলো রাহুল সত্যি বলছে। কিন্তু তা কি করে হয়, ছবিটাতো আর মিথ্যা হতে পারে না।
রাহুল- তুমি কি হয়েছিল প্লিজ খুলে বলোতো সব। আমার মনে হচ্ছে কোথাও একটা ঝামেলা হচ্ছে।
দিয়া এরপর সব কিছু বললো রাহুলকে। টিনা যে দিয়াকে এসব বলেছিলো একথা শুনে গম্ভীর হয়ে গেল রাহুল। পুরো কাহিনী শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে রইল সে, এরপর বললো- দিয়া তুমি যদি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাও আমি বাঁধা দিবো না তোমায়। কিন্তু তুমি আমাকে একটা দিন সময় দাও, আমি যে নির্দোষ তা প্রমাণ করে দেবো।
দিয়া ঘাড় নেড়ে বলল, ঠিক আছে। এরপর সে রাতে আর কোনো কথা হলো না ওদের। রাহুল গেমস খেলতে খেলতে সোফায় ঘুমিয়ে পড়লো। দিয়াও একটু পর চোখের পাতা দুটো খুলে রাখতে পারলো না।
পরদিন একটু দেরিতে ঘুম ভাঙলো দিয়ার, উঠে দেখলো রাহুল নেই। সে নাকি আরো সকালেই উঠে কি একটা কাজে বেরিয়েছে। সারা সকাল পার হলো, বেলা বারোটায় রাহুল ফোন করলো দিয়াকে। তাকে ওদের বাসার কাছে ক্যাফে ব্লু মুনে আসতে বললো।
ব্লু মুনে এসে দিয়া দেখলো রাহুল বসে আছে, আর তারপাশে ঝর্ণা। দিয়াকে দেখতে পেয়ে রাহুল ঝর্ণাকে বললো- ঐ যে উনি এসে গেছেন, এবার উনাকে সব সত্য বলুন। কিছুই লুকোবেন না।
ঝর্ণা দিয়ার হাত চেপে ধরে বলল- প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন।
দিয়া- (অবাক হয়ে) কি ব্যাপার আপনাকে ক্ষমা করবো কেন?
ঝর্ণা- আপনাকে শুরু থেকেই বলি সবটা। আমি একটা স্পা অ্যান্ড মাসাজ পার্লারে চাকরি করি, রাহুল স্যার ওখানে আসতেন প্রতি সপ্তাহে হারবাল বাথ নিতে। এই হারবাল বাথে একজন একঘন্টা হারবাল মানে ঔষধি মেশানো পানিতে শরীর ডুবিয়ে রাখেন। টিনা ম্যাডামও আসতেন আমাদের পার্লারে, তিনি রাহুল সাহেবের বাথ নেয়ার কথা জানতেন। আমাকে তিনি টাকা দিয়ে রাজি করান কাজটা করার জন্য। (চলবে)