#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন
পর্ব— ১০
সকালের স্নিগ্ধ মিষ্টি আলোয় ঘুম ভাঙ্গল আমার.. কালকে রাতে সবার আগে ঘুমিয়েছি আমি তাই হয়তো অনেকটা ফ্রেস লাগছে আমার.. চোখ খুলে দেখলাম ইফ্ফাত গুনগুনিয়ে গান করছে আর চুল মুছছে..!””পেহেলা নেশা”” গান গাইতে গাইতে তোয়ালেটা বারান্দায় মেলে আমার পাশে বসে পড়লো.. আমি আড়মোড় ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে বললাম— তুই এতো সকালে গোসল করতে গেলি কেন…
ইফ্ফাত — আরে আপু নাস্তা করে বড় ফুফির বাসায় যেতে বলেছে আমাদের.. তাই আর্লি করে ফেলেছি..
আমি মুখ ভেঙ্গিয়ে বললাম— তো.. আমরা তো ওইখানে পুকুরে গোসল করবো। জেরিন আপু তো তাই বলল..
সে মন খারাপ করে বলল– এখন..তো তোমরা আমাকে বলনাই কেন..
আমি মুখ ভেঙ্গিয়ে উঠতে উঠতে বললাম— তো তুই নতুন বৌএর মতো সকাল সকাল গোসল করে বসে আছিস কেন..
বলার সাথে সাথে পিঠে ধুমাধুৃম.. এই পাটকাঠি মেয়ের গায়ে জোরে তো কম না.. আমি পিঠ মালিস করতে করতে বললাম— তো আর কি বলবো তোরে..
ইফ্ফাত — থাক,, এমনিতেও পুকুরে গোসল কষ্টকর..
আমি মুখ ভেঙ্গিয়ে বললাম— হু আঙ্গুর ফল টক।।
সে আমারে আবার দৌড়াতে লাগলো আর আমি ফ্রেস হওয়ার জন্য ওয়াসরুমে. ওয়াসরুম থেকে বেরুতেই সেজ খালামনি আমাকে ধরলো আর বলল– তুই বলে প্রেম করতেছোস?? আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম— কার সাথে.. তখন খালামনি আমাকে অারো অবাক করে দিয়ে বলল– সুনান আর আলভী দুই জনের সাথে নাকি করতেছোস..
আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম.. আরে এরা কি রাতে সস্তা গাজা খাইছিল.. কি বলে এইসব ওল্টাপাল্টা।। আমি ব্রু কুঁচকে বললাম— কে বলল তোমারে এইসব??
সে সাবলীল ভাবে বলল– এইসব কথা বাতাসের আগে ছাড়ায়.. আর কে বলবে..তোর মেঝ মামিতো সবাইকে বলল কাল রাতে..
আমার ইচ্ছে হচ্ছে এই মহিলাকে তেলাপোকার মাজখানে ছেড়ে দিতে.. ঘরের খেয়ে পরের মোষ কেন তাড়ায় সে..শুধু আমার সাথেই এই মহিলা এমন করে কেন আজব.. মেজাজ খারাপ করে যেই বেরুতে যাব মুনিরাদের দেখলাম সবার জন্য চিপস আর কোক আনতে দিয়েছে তারা.. আর আলভী আর আদি কমিশন নিচ্ছে কিনে দেওয়ার.. ওদের সামনে হাত আড়াআড়িভাবে গুঁজে দাঁড়িয়ে বললাম— তোদের লজ্জা সরম কি নেয় একটুও?? নাকি সব বিক্রি করে শামপাপড়ি আর কটকটি খেয়েছিস তোরা… ওরা অবাক হয়ে বলল– কেন কি করলাম আমরা?? আমি হতাশাজনক লুক দিয়ে বললাম— ওরা চিপস কেনার টাকা দিচ্ছে তোদের..কই তোরা ছোটবোনদের কিনে দিবি.. তা না তোরা আরো কিনে দেওয়ার কমিশন নিচ্ছোস.. এই বলে ওদের ছাড়িয়ে বেরিয়ে গেলাম.. এতো জাতের নমুনা সব যেন এইখানেই বসে আছে.. নিচে কিচেন এ গিয়ে দেখলাম রাতের খাবার গুলো গরম করে দিল মামি.. মেরিড আপুরা আর আম্মুদের জন্য একরকম আর বাচ্ছাদের জন্য অন্যরকম.. তবে আমি কোন এন্গেলে বাচ্চাদের ভিতর পড়লাম বোঝা গেল না..কিন্তু কিছু বলতে ইচ্ছেও হলো না কথায় কথা বাড়ে..হঠাৎ সুনান ভাই আর তার সারগেদ আলভি, আদি, সাদাত ওরা প্রবেশ করলো.. সুনান ভাই ধুপ করে আমার পাশে বসতে বসতে বলল– কিরে ঢঙ্গি.. তুই নাকি ওদের লজ্জাহীন বলেছিস??
আমার এমনিতে মেজাজ গরম হয়ে আছে তারওপর আবার এইসব কথা রাগে মনে হচ্ছে পুরো শরীর জ্বলছে.. ইচ্ছে হচ্ছে ওর বড় নাক টা ফাটিয়ে দি.. কিন্তু আবার সবাই আমাকেই ফাটানাকের বোন বলবে তাই মনের ইচ্ছে মনে রেখে দিলাম..তারপর মৃদু হাসি মুখে ঝুলিয়ে বললাম– ভাইয়া সাপ কে লম্বা আর ব্যাঙেকে বেটে বলা যেমন সত্য,, তেমন ওরা লজ্জাহীন সেইটা সত্য এইবলে ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম.. রাস্তায় কাকলি আপু ব্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকালো.. পাত্তা দিলাম না.. হাটতে হাটতে হাসনাত ভাইয়ের রুমের দিকে গেলাম.. রাস্তায় মামির সাথে দেখা হলো আমার.. আমি থমকে দাঁড়ালাম.. আমাতাআমাতা করতেই মামি আমার গালে আলতো করে ছোয়ে দিয়ে বলল– হাসনাত এখনো ঘুমথেকে ওঠে নাই.. চায়লে ডেকে দিতে পারিস এইবলে স্বাভাবিক হেসে তিনি কিচেনের দিকে চলে গেল..
হাসনাত ভাইয়ার আম্মু কতো ভালো.. অবশ্যই আমার বড় মামিও সেইম.. ওনাদের মাইন্ড অনেক ব্রড.. ওনারা ভাইবোন বলতে ভাইবোন ই বোঝে.. কিন্তু মেজমামী!!! ওনার কাজ ই তো সন্দেহ করা আর এর ওর আম্মাকে গিয়ে ওল্টাপাল্টা লাগানো.. আর আমাদের আম্মাগুলো!!! এইগুলো যারতার কথা বিশ্বাস করার রোগ আছে.. এইসব ভাবতে হাসনাত ভাইয়ের রুমে গেলাম..
উপুড় হয়ে ঘোমাচ্ছে সে. এতোক্ষন ধরে কে ঘুমায় আজব… এইসব ভাবতে ভাবতে তার পাশে বসে আনমনে তারদিকে তাকালাম.. সত্যি ঘুমালে তাকে অনেক কিউট লাগে..একপাশে মুখটা দৃষ্যমান!! মনে হচ্ছে হাসছে সে.. পুরোবাচ্চাদের মতো!! তারচুলগুলোই হাত বুলাতে ইচ্ছে হচ্ছে এখন আমার.. এ কেমন অনুভূতি!! আস্তে আস্তে তার চুলে হাত দিলাম আমি.. কতোটা সিল্কি.. একদম মেয়েদের মতো!!!
হঠাৎ সে চোখ খুলতেই আমি তাড়াহুড়া করে দাড়িয়ে গেলাম। সে অবাক হয়ে আমারদিকে তাকিয়ে আছে. আমার হাতপা কাঁপছে. ইয়া আল্লাহ এখনই কেন তার ওঠতে হবে. আর কয়েকমিনিট পরে ওঠলে কি এমন হতো.. আমি বেরিয়ে যেতে নিলেই বলল– কিরে,, আমাকে টাকা দিবি না??
আমি অবাক হয়ে বললাম— কিসের টাকা আবার??
সে মুচকি হেসে বলল– কেন,, এতোখন যে আমার থেকে জিঙ্গেস না করে স্কেন করছিলি আমাকে তার জন্য..
আমার লজ্জায় ইচ্ছে হচ্ছে কপুরের মতো উবে যায়.. আমি লজ্জাভরা কন্ঠে বললাম— মামি আমাকে পাঠিয়েছে তোমাকে ডাকতে.. না হয় আমার এতো সুন্দর পা কোন দিন এখানে আসার কষ্ট করতো না..
সে ডানপাশের ব্রু হালকা উচিয়ে বলল– ওহ তাই নাকি.. তারপর বিরবিরিয়ে — এতোদিনে একটা কাজের কাজ করেছে এই মহিলা..
আমি ব্রু কুঁচকে বললাম—কি বললেন??
হাসনাত — সব কেন তোর শুনতে হবে হাতির মতো কুলো কান নিয়ে দুনিয়ায় আসছিস কেন?? মেয়েমানুষের এতো বড় কান মোটেও সুন্দর লাগে না.. তোর জামাইকে বলবি যাতে সার্জারি করে কেটে ফেলে কিছুটা..
আমি তেড়ে তার পাশে বসে বললাম— কি আমার কান হাতির?? নিজের গায়ের চামড়া দেখেছো?? গন্ডারের মতো দেখায়।।
হাসনাত —- কি?? তোরে তুলি আছাড় দিব আমি এখন ভূলভাল কথা শুধু সব তোর
..হঠাৎ এদিক ওদিক তাকিয়ে আমি তারফোনটা হাতে তুলে বললাম— এইটা আছাড় দিয়ে দিব আমি এখন.. আমাকে তো আর তুমি তুলতে পারবা না.. আমি অনেক ভারী.. এইবলে ফোন নিয়ে দুষ্টমি করতে করতে হঠাৎ ফোনের স্কিন এ হাত পড়তেই ফোন বেজে ওঠলো.. আর তাতে আমার ভয়েজ.. আমি তার সাথে ঝগড়া করছি.. আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম.. সে আমাতাআমাতা করতে লাগলো.. আমি কোমড়ে হাত গুঁজে বললাম— আমার নামে বিচার দিতে প্রমান রাখছো তাই না??
হঠাৎ তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠলো। সে হেসে বলল– যা এইজন্যই রাখছি.এখন যা এখান থেকে কেউ দেখলে এখন তোর সাথে আমাকে…আমার আর বিয়ে ও হবে না..
আমি ব্রু কুঁচকে বললাম— আপনি কতোটা স্বার্থপর!! আমার সমস্যা হতে পারে সেইটা নিয়ে না ভেবে নিজের কথা ভাবছেন…এইবলে রেগে যেই বের হবো সে বলে ওঠলো— সবসময় শাব্দিক অর্থ চিন্তা না করে ভাবগত অর্থও চিন্তা করা খুবই দরকার..
আমি তার কথার আগামাথা কিছুই বোঝলাম না.. এমনিতেও ছেলেটা ইদানীং পাগল হয়ে গিয়েছে.. তাই আর এইসব নিয়ে চিন্তা না করে রেডি হতে গেলাম আমি…
ইফ্ফাত ল্যামন কালারের একটা সিপনের ত্রিপিস পড়েছে. সাথে কাচের চুড়ি!! ওকে সিম্পলেই অনেক অসাধারন লাগে.. হঠাৎ ওড়না ঠিক করতে করতে বলল– ইফতী ভাই অনেক ভালো তাই না আপু!!
আমি তার দিকে তাকিয়ে হালকা মুচকি হেসে ওকে ধাক্কা দিয়ে বললাম— কিরে মনে বেশি ধরেছে??
সে আমাতাআমাতা করে বলল– আরে কি বল.. এমনিতেই বললাম.. এইবলে সে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গেল..আর আমি সেদিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলাম
আমি আকাশিকালার একটা ত্রিপিস পড়লাম সাথে সিম্পল একটা সেট.. হাত গলা কানের..হুয়াট স্টুন.এরপর হালকা সেজে বেরিয়ে আবার হাসনাত ভাইয়ের রুমে গেলাম.. উকিঁ দিয়ে দেখলাম সে পারফির্উমে গোসল করতেছে.. আজব এতোবেশি পারফিউম কেন লাগে তার.. হঠাৎ সে আয়নার দিকে তাকিয়েই বলে ওঠলো— তুই কি ইন্দুর?? ইন্দুরের মতো লুকিয়ে দেখছিস কেন??
এই পোলারে কি করতে মন চায়.. মনে হয় যেন জীবজন্তু সব তার আত্নীয়স্বজন আমাকে একেকসময় একেকটা বানিয়ে দেয় সে.. তোরে হাসনাত একদিন বাগে পায় আমি.. সত্যি সত্যি সুন্দরবনে ছেড়ে আসবো.. তোর গুষ্টির সাথে থাকিস তুই.. এই সভ্যসমাজের জন্য তৈরি হসনি তুই .এইসব বিরবির করতেই হঠাৎ সে বলল– আমি এই সমাজের জন্যই..তবে তুই হয়তো ওদের সমাজের.. ওদের মানে কাদের জানিস তো?? ওইযে রাতে যাদের নাম ধরলে ঘাড় মটকে দেয় তাদের..
আমি চমকে তারদিকে তাকালাম.সে এতোখন তো আয়নার সামনে ছিল হঠাৎ আমার সামনে কিভাবে প্রকট হলো.. আমার তো এই ছেলেকে মানুষই মনে হয় না.আজকাল কি বলে নিজেও জানে না.তারপর ওর এই লুক!! আমাকে কাপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট.. আমি তাড়াতাড়ি বললাম— তাড়াতাড়ি আসেন সবাই রেখে চলে যাবে গা আপনারে.. এইবলে তাড়াতাড়ি ওনার সামনে থেকে চলে এলাম..
নিচে নেমে দেখলাম আপুরা সবাই রেডি.. আমাদের জিনিসপত্র সব কিছু সকালে পাঠিয়ে দিয়েছে. সবার হাতে নিজেদের অনুষ্টানে পড়ার জন্য ড্রেসের একটা একটা ব্যাগ.. মুনিরা আর সানিয়া ওদের জিনিসপত্র আমার ব্যাগে দিয়ে দিয়েছে.. আমার ব্যাগটা ভারী হয়ে গিয়েছে এইকারনে.. মেয়েগুলোকেও দেখা যাচ্ছে না.পেলে মাইর লাগাবো কয়েকটা.. এইসব ভাবতে ভাবতে নিচে নামার সাথে সাথে সুনান ভাই আমার দিকে ব্রু নাচিয়ে তাকালো আমি হালকা ইতস্তত হয়ে তাকাতেই দেখলাম হাসনাত ভাই আমার সামনে দাড়িয়ে সুনান ভাইয়ের দিকে স্হির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে.. সুনান ভাই তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে ফেলল.. হাসনাত ভাই আচমকা আমার হাত ধরে টানতে টানতে ইফতী ভাইয়ের পাশে নিয়ে গিয়ে দাড় করে দিল.. আমি চরম অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম.. সে আমার দিকে তাকিয়ে বলল– ইফতি,, সারাক্ষণ যাকে ভালোবাস তারে পাহাড়া দেওয়ার দরকার নাই.. সাথে সাথে বোনকে ও পাহারা দেওয়া দরকার..
ইফতি ভাই হঠাৎ চরমভাবে বিষম খেল..সে কাশতে শুরু করলো জোরেশোরে..
বেচারাকে এতো জোরে ঝটকা দেওয়ার কি খুব দরকার ছিল..বেচারা তার গাড়িতো ত্রিজি স্পিডে চালাচ্ছিলো.. এই হিটলার তো তার গাড়িকে আরো বাড়িয়ে টেন জি স্পিড দিয়ে দিল.. তার ওপর বেচারী ইফ্ফাত!! রিয়েকশন দেওয়া ভূলে বেকুবের মতো দাড়িয়ে আছে সে..হঠাৎ সে কিচেন থেকে পানি এনে ইফতিভাইয়ের হাতে দিল.. আর সে একচুমুকেই পানি শেষ করে দিল..
ইফ্ফাত পরম মায়া ভরা কন্ঠে আস্তে আস্তে নিজের হাতটা বাড়িয়ে আবার নামিয়ে নিল.. হয়তো ইতস্তত হচ্ছে সে.. হঠাৎ হাসনাত ভাই খপ করে ইফ্ফাতের হাতটা ধরে ফেলল.. ইফতিভাই তাড়াতাড়ি বলল– ভাই আমার জিনিস এইটা..
হাসনাত ভাই সশব্দে হেসে দিল.. আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি.. পাগল এই ছেলে আমাকে রোজ এতো ক্রাশ খাওয়ায় কেন.. এরপর থেকে তো আমার ভাতও খেতে হবে না হয়তো.. সে হাসতে হাসতে ইফ্ফাতের হাতটা ইফতির কাধে দিয়ে বলল– এতো ইতস্তত হওয়ার কিছু নাই তোমার.. এই গাধাটা তোমাকে একবছর ধরে ভালোবাসে.. আমি মাঝখানে কন্ফিউসট ছিলাম আমাকে কাল ইভান বলল..
ইফ্ফাত ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়ে আছে.. বেচারীর জন্য ঝটকার পরিমান হয়তো বেশি হয়ে গিয়েছিল আজকে..সে তাড়াতাড়ি সেইখান থেকে প্রস্হান করলো.. ইফতি ভাই আমাতাআমাতা করতে লাগলো.. তখন হাসনাত ভাই বলে ওঠলো— এই গাধাটাকে সাথে সাথে রাখবি.. আমার কিছু কাজ আছে.. দুইটারে একসাথে নিয়ে যাবি.. আর ও নৌকায় ভয় পাই.. বুঝছোস??
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বলল– এই যে, বেকুবরানী,, সাবধানে যাবি.. চোরের মতো এদিকে ওদিকে তাকাবি না..এইবলে সে চলে গেল.. আর আমি তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম.. এইছেলে এমন কেন? সবার মনের খবর জানে শুধু আমার ছাড়া.. কেন আমারে সে বোঝেনা.. আমি কানে হেডফোন গুঁজে” বুঝেনা সে বুজেনা” শুনতে শুনতে হাটতে লাগলাম…
চলবে