#শহরজুড়ে_বিষন্নতা |২২|
সাদিয়া মেহরুজ
” মাশঊদ নাইম ”
নেমপ্লেটে যেন জ্বলজ্বল করছে নামটা। সারতাজ দৃষ্টি ফেরাল। কদম ফেলে ভেতরে ঢুকে গেল। চেম্বার তখন বিরান। মাশঊদ অপারেশন থিয়েটারে। চেয়ার টেনে পিঠ এলিয়ে বসে সে। ক্লান্ত লাগছে! চট্টগ্রাম হতে তেজী ঘোড়ার মতো বাইক নিয়ে ছুটে এসেছে। মাঝে একটুও বিশ্রাম নেয়নি। অবিরত বৃষ্টির মধ্যে ছুটে আসার কারণে এখন ক্লান্ত, বিষাদে একাকার দেহ ও মন। ফোন বের করে সময় দেখল ও, রাত ন’টা দশ বাজে। মাশঊদ তাকে ফোন দিয়েছিল বেশ আগেই। সকালের দিকে। সালমার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক মাশঊদ। সালমার যাবতীয় চিকিৎসাদী মাশঊদ’ই করে থাকে যেদিন থেকে সালমা কোমায় ছিলেন। কারো পদচারণের শব্দে ব্যাস্ত হয়ে উঠল করিডর। সারতাজ ভাবল, মাশঊদ আসছে হয়ত! তার ধারণাকে সত্যে রূপান্তর করে মিনিটখানেক বাদে চেম্বারে প্রবেশ করল মাশঊদ। সারতাজকে দেখে নম্র গলায় শুধাল,
-” এসেছ তবে? তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম আমি। ”
সারতাজ ব্যাস্ত হয়ে উঠে দাঁড়াল। সালাম দিল তাকে ইতস্তত গলায়। কন্ঠে জড়তা তার। খানিকটা চিন্তিত কন্ঠে প্রশ্ন করল,
-” মায়ের কি অবস্থা ডাক্তার? ”
অপারেশন থিয়েটারে পরিধান করা পোশাক থেকে শুরু করে হ্যান্ড গ্লাভ’স, মাস্ক খুলে রাখছে মাশঊদ। সারতাজের আচানক করা প্রশ্ন তার মুখাবয়ব রেখা পরিবর্তন হলো। দু’হাত স্যানিটাইজ করে সে এসে বসল নিজের চেয়ারে। কন্ঠে গাম্ভীর্যতা টেনে বলল,
-” তোমাকে আগে থেকেই বলছিলাম ম্যামের অবস্থা তেমন ভালো নয়। এমনকি কোমা থেকে ফিরে এলেও তার রেসপন্স তেমন ভালো না। তিনি কেবল তাকাতে এবং নিজে নিজে খেতে পারছেন। ব্যাস আর কোনো কিছুই তার দ্বারা করা সম্ভব হচ্ছে না। তার হেল্থ কন্ডিশনও ভালো হবেনা। ডক্টর হিসেবে নয় আমি তোমার একজন কাছের মানুষ হিসেবেই পরামর্শ দিচ্ছি ম্যামকে তুমি দেশের বাহিরে নিয়ে যাও। তোমার নিজেরও তো নিউইয়র্ক যেতে হবে। ওখানেই ম্যামকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাও বরং। পিএইচডি করতে নিউইয়র্ক যাওয়া হয়েছিল আমার তখন অনেক ডাক্তারদের সাথেই পরিচয় হয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে সবকিছু ম্যানেজ করে রাখতে চাইছি যদি তুমি চাও। ”
নত মস্তকে বসেছিল সারতাজ। মাশঊদের কথায় নড়েচড়ে উঠল। সালমা কোমা থেকে ফিরেছে বেশি নয় মাত্র একমাস হলো। কিন্তু তার হেল্থ কন্ডিশন মোটেও ভালো নয় তা সারতাজ নিজেই বুঝতে পারছিল। সালমা তার পানে তাকায় না, কথা বলা তো দূরের বিষয়। মাশঊদ আগে থেকেই তাকে বলে রেখেছিল বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারটা। তাইতো সে ভিসা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট যাবতীয় সবকিছু গুছিয়ে রেখেছে। তাছাড়া তারও তো যেতে হবে! এ দেশে থাকাটা আপাতত আর সম্ভব নয়। এখানে থেকে নিজের চাহিদা মতো কোনো কাজ করতে পারছে না। দেশ এখন রসাতলে।
-” ব্যাবস্থা করুন। আমি টিকিট কাটছি শীগ্রই। ” নিম্ন গলায় শুধাল সারতাজ।
মাশঊদ তপ্তশ্বাস ফেলল, ” ওকে ডান! এটা বলার জন্যই তোমাকে ডাকা। এখন তাহলে যেতে পারো তুমি। ”
সালাম দিয়ে বেড়িয়ে এলো সারতাজ। পকেট থেকে আরো একবার সেলফোনটা বের করে চক্ষু সম্মুখে আনল। নাহ্! তার প্রত্যাশিত ব্যাক্তিটার কোনো কল বা ম্যাসেজ নেই। নেই কোনো ক্ষুদ্র বার্তা। বুক চিঁড়ে তার হতাশা বেড়িয়ে এলো। সর্বত্রে কেমন খা খা শূনতার বিরাজ। মেহতিশা, মেয়েটা তাকে ভালো – মন্দ কিছুই বলল না। সারতাজও পেলো না জোর করার সময়টুকু। মাশঊদের ঠান্ডা গলায় বলা কথা গুলো শুনেই সে ছুটে এলো রাজধানী।
_
রাত বারোটা বেজে বিশ মিনিট। ঘড়িতে সময় পরখ করে ব্যাস্ত পায়ে কোয়ার্টারে প্রবেশ করে শাকিব। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ একটু বেশিই দেরী হয়ে গিয়েছে তার। প্রান্তিকা, মেয়েটা আজ রাগ করে বসে আছে কি? অবশ্য প্রান্তিকা রাগ করলেও বা কি? সে কি আর পূর্বের মতো প্রান্তিকাতে ধ্যান দেয়? নাতো! মেয়েটাকে একটুও সময় দিচ্ছে না আজকাল। শায়লা চলে যাওয়ার পর হতে তার পুরো জীবনটা কেমন যেন থমকে গেছে! অচল হয়ে গেছে সে। ফেলে আসা চারমাসের ঘটনা বিশ্লেষণ করতে করতে বাসায় পৌঁছাল শাকিব। কলিংবেল দিল কয়েকবার। প্রতিক্রিয়াহীন দেখে শাকিব হাঁক ছাড়ল,
-” প্রান্তিকা, প্রান্তিকা! ”
সাড়াশব্দহীন আশপাশ। চারিদিকে পালিত হচ্ছে নিষ্ঠুর নীরবতা। চিন্তা হলো শাকিবের। মেয়েটা ঠিক আছে তো? সকালেও তো অসুস্থ মনে হয়েছে ওকে। শাকিব পাত্তা দেয়নি। এখন নিজেকে চড় লাগাতে ইচ্ছে করছে তার।
খটখট কান এঁটো করা শব্দ হলো! দরজা খুলেছে প্রান্তিকা। শাকিব ব্যাস্ত পায়ে ভেতরে ঢুকল। দেখল তার প্রাণনাশিনীকে। পরপর বলে উঠলো,
-” এতো লেট কেন হলো দরজা খুলতে? ”
শাড়ীতে আঙুল পেঁচাতে পেঁচাতে প্রান্তিকা ভারী গলায় জবাব দিল,
-” শাড়ী পড়ছিলাম। ”
বিরক্ত হলো শাকিব! তিক্ত গলায় শুধাল,
-” শাড়ী পড়ছিলে বুঝলাম। এটলিষ্ট রেসপন্স তো করা যায় নাকি? আমি যে তোমাকে ডাকছিলাম তা শুনতে পাওনি? ”
শব্দ করে দরজা লাগিয়ে সামনে এগোল প্রান্তিকা। এগোনোর পূর্বে বেখেয়ালি কন্ঠে বলল,
-” রেসপন্স করতে ইচ্ছে করেনি তাই করিনি। ”
প্রান্তিকার বেখেয়াল আচরণ গায়ে লাগল শাকিবের বেশ। তাকে উপেক্ষা করে খামখেয়ালি উত্তরটা তার মোটেও পছন্দ হলো না। তবুও নিজেকে দমাল সে। এগোল শয়নকক্ষে। দেহে লেপ্টে থাকা ঘামে সিক্ত কালো পোশাক খুলে ছুঁড়ে ফেলে বিছানায়। কৃত্রিম এক পশলা শীতল হাওয়া তৎক্ষনাৎ তার উদম দেহে দোলা দিয়ে যায়। চোখ মুদে নেয় ও। হটাৎ পেছন হতে একজোড়া হাত তাকে আষ্টেপৃষ্টে ঝাপটে ধরে। হতবিহ্বল শাকিব নেত্রযুগল উন্মুক্ত করে অবাক হয়ে প্রশ্ন ছুড়েঁ,
-” কি করছো প্রান্তিকা? ঘেমে আছি তো। ”
আঠাশ বছর বয়সী প্রান্তিকা আচানক কেমন শিশুর মতো হয়ে গেল। শাকিবের উদোম পিঠে কামড় বসিয়ে জেদ ধরে বলল,
-” ঘেমে আছো তো কি হয়েছে? আমার জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয়েছে ধরব। তোমাকে জড়িয়ে ধরা আমার স্ত্রী’গত অধিকার। ”
শাকিব ঠোঁট বাঁকায়।মেয়েটা অবিকল তার মতো করে কথা বলছে না?
-” আমার তোমাকে কিছু বলার আছে বেয়াদব ছেলে! ” ক্ষীন ধমকের সুরে শুধায় প্রান্তিকা।
শাকিব নিরুত্তর। চিন্তিত ও। প্রান্তিকা কেমন অদ্ভুত আচরণ করছে। এখনকার প্রান্তিকা আর তার এতো বছরের চেনা প্রান্তিকার মাঝে আকাশ – পাতাল তফাৎ! শাকিবের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করল না প্রান্তিকা। নিজে থেকে টেপ রেকর্ডারের মতো বলা শুরু করল,
-” আই হেইট ইউ বদমাশ ছেলে! হোয়াই ইউ আর ইগনোর মি? আমি কষ্ট পাচ্ছি বুঝতে পারছো না? আমরা কষ্ট পাচ্ছি তো! তুমি বদলে গেছ শাকিব, অনেকটা। তোমার এই পরিবর্তন মেনে নিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে তো। কেন বুঝছোনা? আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। অথচ এই টাইমটা আমাকে চিন্তা মুক্ত, সুস্থ থাকা উচিত। ”
শাকিব চটজলদি প্রান্তিকাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে পিছু ঘুরল। বিচলিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
-” এই টাইম বলতে? কি হয়েছে তোমার? আর কথার মাঝে বারবার ” আমাদের ” মেনশন করছো কেন? এই আরেক ব্যাক্তিটা কে? সারতাজ? ”
প্রান্তিকা ঠোঁট উল্টাল, ” সে তো আছেই। সাথে আরেকজন। আমাদের বাবুও! তারও তার বাবার জন্য টেনশন হচ্ছে শাকিব। আ’ম প্রেগন্যান্ট। ”
শাকিব থমকাল, চমকাল! উত্তেজনায় স্তব্ধ হলো ও। কাঁপা পায়ে হাটুগেড়ে বসে মাথা ঠেকাল প্রান্তিকার পেটে। তার অধর জোড়া কাঁপছে, অবিরত। গলা শুকিয়ে কাঠ! কাঁপা কন্ঠে শুধাল,
-” আমার বাবু? আমাদের বাবু প্রান্তিকা! আমি বাবা হবো। আমরা বাবা মা হবো। ”
হু হু করে কেঁদে দিল শাকিব। প্রান্তিকা মুগ্ধ দৃষ্টিতে চেয়ে পরখ করছে তাকে। মনে মনে প্রার্থনা করছে অদ্ভুত সুন্দর সময়টা এখানেই থেমে যাক!
_
এয়ারপোর্টে আধাঘন্টা যাবৎ দাঁড়িয়ে রয়েছে মেহতিশা। সারতাজের জন্য অপেক্ষা করছে সে। ১ মাস ধরে ছেলেটাকে উপেক্ষা করে চলেছে ও। আজ নিউইয়র্ক চলে যাবে সারতাজ। মেহতিশা ভেবেছিল এবার বুঝি স্বস্তি পাবে ও! তবে কিসের কি? এইযে সারতাজ চলে যাচ্ছে, এ কথাটা যতবার আওড়েছে মনে ততবার তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো। সারতাজ উত্তরের আশায় ছ্যাচড়ার মতো ঘুরেছে তার পিছু পিছু। পাষাণ মেহতিশা সারতাজকে কড়া কথা শুনিয়ে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। ইনিয়ে বিনিয়ে বুঝাতে চাচ্ছিল উত্তরটা কিন্তু জেদি ছেলেটা বুঝলে তো! মেহতিশার পক্ষে যে সারতাজ কে মেনে নেওয়া দুষ্কর। সে কোথায় আর কোথায় বা সারতাজ। সারতাজ তো তার চেয়ে হাজার গুনে ভালো মেয়ে ডিজার্ভ করে তাই না? এমন চিন্তাই মেহতিশার সারতাজের হতে দূরে থাকার একমাত্র কারণ।
-” আপনি এখানে যে? ” সারতাজের ভরাট কন্ঠ!
পিছু তাকায় মেহতিশা। ঠোঁট কাপেঁ উত্তেজনায়, ভয়ে, নানাবিধ চিন্তায়! সম্মুখে এগোয় সারতাজ। পুনরায় প্রশ্ন করে,
-” কেন এসেছেন এখানে? ”
মেহতিশা নিশ্চুপ। সারতাজ তার কাছাকাছি আসল খানিকটা। গলার স্বর খাদে নামিয়ে বলল,
-” আয়েশা আমাকে বলল আপনি আমাকে মেনে নিতে চাচ্ছেন না জাস্ট ফর আওয়ার ‘ লেভেল ‘! এটা কি সত্যি? ”
যন্ত্রের মতো মাথা নাড়াল মেহতিশা। মুখাবয়ব রেখা পাল্টায় সারতাজের। রাগের প্রকোপে কাঁপতে থাকে ও। বলে,
-” এটলিষ্ট আপনার কাছ থেকে এমন থার্ডক্লাস মেন্টালিটির চিন্তা ভাবনা আশা করিনি আমি। আমি আপনাকে আলাদা মনে করতাম। আপনি আমায় ভুল প্রমাণিত করলেন। বাট মনে রাখবেন আপনার রিজেক্টে আমার কিচ্ছু যায় আসে না। আমি ফিরে আসব। অবশ্যই ফিরে আসব আপনাকে আমার করে নিতে। ”
মেহতিশা মৃদু হাসল, ” ফিরে আসুন আপনি। আমি অপেক্ষায় থাকব। আপনি ফিরে এসে দেখবেন এক অন্য আমিকে।ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়া আমি নিজেকে পরিপাটি করে গড়ে তুলব। আপনার মতো করে, নিজের মনের মতো করে। ”
সারতাজ চমকাল! মেহতিশা তবে কি তাকে মেনেই নিল? বিচলিত হয়ে ভুলবশত মেহতিশাকে আঁকড়ে ধরল সারতাজ। শুধাল,
-” যেহেতু আমার সাহায্য নিচ্ছেন না। ইট’স ওকে! নিজেকে গড়ে তুলুন শেহজাদি। আপনার শেহজাদা সঠিক সময়ে এসে তার রাজ্যে আপনাকে রানী করে নিয়ে যাবে। ”
অমোঘ নীরবতা! এনাউন্সমেন্টের শব্দে একে অপরের হতে ছিটকে দূরে সরে গেল। পকেট হাতড়ে একটা রিং বের করে সারতাজ। মেহতিশার হাত টেনে ধরে কনিষ্ঠ আঙুলে পড়িয়ে দিয়ে হাত ছেড়ে দেয়।
-” আপনাকে পবিত্রভাবে স্পর্শ করব ভেবেছিলাম। কিন্তু ভুলবশত জড়িয়ে ধরে ফেললাম। দুঃখিত! ভালো থাকবেন। মেহজা, নিলি সাথে নিজেরও খেয়াল রাখবেন। ”
সারতাজ ব্যাস্ত পায়ে ছুটল সম্মুখে। টলমলে নয়নে সেদিকে তাকিয়ে মেহতিশা। পথিমধ্যে থেমে হাত নাড়ল সারতাজ। অতঃপর ভেতরে চলে গেল। লহমায় অদৃশ্য সে। মেহতিশা চোখ মুদে নিল। সে দেখল একটা সুন্দর পরিপাটি সংসার। তার আর সারতাজের ছোট্ট সংসার। সেখানে নেই কোনো বিষন্নতা আছে কেবল সুখ আর সুখানুভূতি। চোখ খুলে এয়ারপোর্টের বাহিরে পা বাড়ায় সে। এক মুঠো রোদ তাকে ছুঁইয়ে দিল আলত করে। দৃষ্টি সামনে নিক্ষেপ করে ও। দেখে নানান বর্ণের মানুষকে। কিছুদিন আগে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা লোকটা পিঠে বোঝা টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তার এলাকার সবথেকে হতদরিদ্র লোকটা বহু কষ্টে রিকশায় মানুষ টেনে নিয়ে যাচ্ছে সামনে। এইযে মানুষগুলো! এদের সবার মনেই বিষন্নতা। তবুও বাঁচতে হবে, সুন্দর একটা দিন তাদেরও জীবনে আসবে এ তাড়নায় তারা পরিশ্রম করে যাচ্ছে। দুঃখ কিংবা বিষন্নতা সবার জীবনেই তো থাকে! পরিপূর্ণ সুখী কে বা হয়? শহরজুড়ে বিষন্নতা তো সর্বদাই রয়। তবুও সকলে উঠে দাঁড়ায়। এগিয়ে যায় সামনে সুখের তাড়নায়। মেহতিশা পা ফেলে। তার ঠোঁটের কোণে তখনও হাসির বিরাজ। সে স্বপ্ন দেখে! সুখী হওয়ার স্বপ্ন, তার আর সারতাজের ছোট্ট একটা সংসারের স্বপ্ন। এই স্বপ্নের তাড়নায় এগিয়ে যায়। মনে তার ভারী আত্মবিশ্বাস! সে নিজেকে পরিপাটি করে গড়ে তুলবে। তার জীবনেও বিষন্নতা ছাপিয়ে সুখ আসবে। আসবেই!
সমাপ্ত।
| গল্পটা লেখার সময় বড্ড অনিয়মিত ছিলাম তাই না? এক্সট্রিমলি সরি! অবশেষে আপনাদের লম্বা অপেক্ষার সমাপ্তি। ভালো কিংবা মন্তব্য আজ দুই ধরনের মন্তব্যই সকলের নিকট হতে চাচ্ছি। আজ বরং একটু গঠনমূলক মন্তব্য করুন নাহয় কষ্ট করে? ভালোবাসা রইল। |