#শূন্য_থেকে_আসে_প্রেম
#পর্ব – ৩৩ [ শেষ পর্ব ]
#আভা_ইসলাম_রাত্রি
স্থান রাঙামাটি আশ্রম। চারিদিকে বড় ছোট সব ছেলেমেয়েদের কোলাহল সেই সাথে হৈ হুল্লোড় যেনো মাতিয়ে রেখেছে চারপাশ। সকলেই অপেক্ষা করেছে প্রধান অতিথির জন্যে। সবার হাতে হরেক রঙের হাতছানি। সুযোগ পেলেই একে অপরের গায়ে রং ছিটিয়ে দিতে একটুও কার্পণ্য করে না তারা। কেউ এতে রাগে রক্তিম হলেও পরক্ষণে নিজের হাতে অপরকে রঙে রাঙিয়ে দিয়ে শোধ তুলে। আর এসব খুব মুগ্ধতা নিয়ে দেখে চলেছি আমি। ভালোই লাগছে এসব ছোট খাটো মুগ্ধকর আচরণ।
হটাৎ মৌমিতা এসে আমার পাশে বসে বিরক্তির নিশ্বাস ফেলে বলে,
” দেখতো কি অবস্থা। এখনও আসছে না কেনো ?? সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছি। ধুর ভালো লাগে না আর। ”
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বলি,
” এত অধের্য হচ্ছিস কেন ?? তোর সে মানে ক্রাশ এই আসলো বলে। ”
” ধুর। তাই বলে এত দেরি। সেই কখনো থেকে সেজে গুঁজে বসে আছি। ঘামে আমার সাজ আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ”
” এত না সাজলেও তো চলে। তুইতো এমনিতেই সুন্দর। এত সাজার কি আছে ?? ”
” তুই বুঝবি না তো নিরামিষ কোথাকার। ”
আমি আর কোনো কথা বললাম না। একটু পর ও নিজেই বলে উঠে,
” ওই আমার ক্রাশের পিক দেখবি ?? দেখলে তুইও এক দফা ক্রাশ খাবি। দেখ তাহলে দুজনের ক্রাশ সেম সেম হয়ে যাবে। অনেক মজা হবে , না ? দেখবি ? ”
আমি তারাতারি করে বলি,
” উহু।আমার দেখা লাগবে না। তুইও ক্রাশ খা বইন। ”
এভাবে কিছুসময় কথা বলার পর আমি হটাৎ বলে উঠি,
” ওই তুই অতিথি আসলে ওর খেয়াল রাখিস। আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি। ওকে ? ”
” হুমম। যা। ”
আমি চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে ওয়াশরুমে ছিল গেলাম। আওয়াজ আসছে বাইরে থেকে যে অতিথি এসে গেছেন। আমার শাড়ি একটু এলোমেলো হয়ে গেছে। তাই ওটা ভালো করে ঠিক করার জন্যে ওয়াশরুমে এলাম। কিন্তু এখানে আরেক বিপদ হয়ে গেছে। শাড়ির কুচির সেফটিপিন ভেংগে গেছে। আর আমার কাছে এক্সট্রা সেফটিপিন নেই। কি আর করার। শাড়ির কিছুটা এক হাত দিয়ে ধরে ওয়াশরুমে থেকে বেরিয়ে এলাম। বাইরে বেরিয়ে দেখি মৌমিতা একটা ছেলের সাথে কথা বলেছে। কিন্তু ছেলেটার মুখ অপরদিকে ঘুরানো। তাই ছেলের মুখ আমি দেখতে পায়নি। আমি শাড়ির কুচিটা আগলে মৌমিতার সামনে গিয়ে বলি,
” ওই একটা সেফটি.. ”
তখনই ওই ছেলের দিকে আমার নজর যায়। A আমার নজর সেখানেই থমকে যায়। হাত পা রীতিমতো কাপছে আমার। আর হৃদস্পন্দন তো বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছেলেটা আর কেউ নয়। সৌরভ ছিল।
আর এদিকে সৌরভ এর চোখ ইপ্সিতার মুখের মধ্যেই থমকে গেছে। এটা কি বাস্তব না কল্পনার প্রতিচ্ছবি ?? সৌরভের বিশ্বাস হচ্ছে না। কেমন যেনো তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো ঈপ্সিতা কে দেখে যাচ্ছে সে। এই তিন বছর মেয়েটা অনেক অনেক বদলে গেছে। কেমন যেনো ধরা ছুয়ার বাহিরে। সৌরভ কাপাকাপা হাত বাড়িয়ে ঈপ্সিতার গালে আলতো হাত ছুঁয়ে অবিশ্বাস্য গলায় বলে,
” তু.তুমি ক. কি ব.বাস্তব ?? না ব.বরাবরের মতো আমার ক.কল্পনা ?? ”
আমি ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। আগের সেই মাধুর্যতা আর নেই। কেমন যেনো শুকিয়ে গেছেন। খাওয়া দাওয়া কি করেন না ঠিকমতো ?? চাপ দাড়ি টাও অনেকটাই বত হয়ে গেছে আগের চেয়ে। হটাত আমি তাকিয়ে দেখি উনি চোখ মুখ শক্ত করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। মাথার রগ ফাইল উঠে নীলচে রং ধারণ করেছে। নিজের ডান হাতের আঙ্গুল দিয়ে কপাল ঘষতে থাকেন। আমি এবার ভয়ে সেটিয়ে আছি। না জানি কোনো কাজ করে বসেন উনি। আমি যা করেছি এরপর তো উনি আরো হিংস্রহয়ে উঠছেন। হঠাৎ উনি আমার হাত টা শক্ত করে চেপে ধরে রাগে রীতিমত কাপতে কাপতে বলেন,
” চলো আমার সাথে। ”
আমি চমকে আমার ঘোর থেকে বেরিয়ে এসে মিহি গলায় বলি,
” কে.কেনো ? ”
” আজ তোমার কি হাল করবো তুমি ভাবতেও পারবে না। কোনো কথা না। চলো আমার সাথে। ”
বলেই আমার কোনো উত্তর না শুনে আমাকে টানতে টানতে আশ্রমের বাইরে নিয়ে গেলেন। এদিকে সবাই কেমন করে যেনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মৌমিতা তো হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমার লজ্জাও লাগছে আবার ভয়ও লাগছে অনেক। না জানি উনি কি করে বসেন। আমাকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে অত্যন্ত জোরে গাড়ি চালাতে লাগেন। মাঝেমধ্যে এমন জোড়ে ব্রেক কষেন যে আমার ভয়ে আত্তা কেপে উঠে। আমি কোনোমতে কাপা কাপা গলায় বলি,
” আম..আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ?? আম.আমি যাব.যাবো না। গা. গাড়ি থা.থামান বলছি। ”
হটাৎ উনি আমার দিকে চোখ রক্তিম চোঁখে তাকালে আমার কথা আটকে যায়। আমি মাথা নিচু করে আল্লাহ আল্লাহ জপছি।
উনি কাউকে ফোন দিয়ে বলেন,
” এক্ষুনি ঈপ্সিতার বাসার সবাইকে আমাদের বাসায় আসতে বলো। আমি আসছি। সেই সাথে মহারানী কেউ নিয়ে আসছি। ”
“……….. ”
” যা বলছি তাই কর। এক্সট্রা কোনো কথা বলবে না। ”
বলেই ফোন রেখে দিলেন উনি। আর আমি এবার রীতিমত কাপছি উনার ভয়ে।
আমার শশুর বাড়ির সামনে এস গাড়ি থামান। তারপরও আমাকে জোড় করে গাড়ি থেকে বের করে আনেন। এতদিন পর নিজের বাড়ি দেখতে পেরে আমার চোখ থেকে অটোমেটিক পানি পড়তে লাগলো। কেমন যেনো ঘোরে চলে যাচ্ছি আমি। উনি আমার হাত টা শক্ত করে চেপে ধরে বাড়ির ভিতর নিয়ে যান।
বাড়ি ভিতরে ঢুকে দেখি সবাই ড্রইং রুমে বসে আছে। এতবছর পর নিজের বাড়ির মানুষ দের দেখে আমার চোখে পানি ঝরতে লাগলো। কিন্তু ওদের গিয়ে জড়িয়ে ধরার সাহস আমার নেই। আমি মাথা নিচু করে ওদের সামনে দাড়িয়ে আছি। আমার বাবা আমার সামনে এসে ঠাস করে গালে থাপ্পর দিতে গেলে সৌরভ ভাইয়া বাবার হাত ধরে বলেন,
” আঙ্কেল , প্লিজ হাত তুলবেন না। নরমালি কথা বলেন। ”
আমি মাথা নিচু করে জল ফেলছি। বাবা নিজের হাত নামিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,
” তুমি আমার মেয়ে হয়ে এমন কাজ করতে পারো তা আমি ভাবতেও পারছিনা। কিভাবে পারলে এত বড় সাহস দেখাতে ?? বলো। ”
মা এসে আমার সামনে দাড়িয়ে বলেন,
” আজ তোমার জন্যে সৌরভ বাইক অক্সিডেন্ট করে তিন তিনটা বছর হসপিটালের বেডে শুয়ে ছিল। তোমার কোনো ধারণা আছে এই ব্যাপারে ?? ”
“”উনি হসপিটালে ছিলেন এত বছর “” শুনেই আমি চমকে উনার দিকে তাকালাম। আমার চোখে জল এবার এর কোনো বাধা মানতে নারাজ। এখন আমার নিজেকে অনেক,অনেক অপরাধী মনে হচ্ছে। এতটা স্বার্থপর কিভাবে হলাম আমি। নিজের স্বামীকে মৃত্যুর মুখে ছেড়ে চলে গেছিলাম আমি। একবারও খোঁজ নেয়নি মানুষটা ভালো আছে কিনা ? উনি আমার চাহনি দেখে আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তাকালেন।
আন্টি বলেন,
” জানো তোমার জন্যে সৌরভ তিন বছর পারালাইজড হয়ে হসপিটালে শুয়ে ছিল। হ্যা সৌরভ ভুল করছে কিন্তু তুমিও তো ওকে এই অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে একই ভুল করেছো। তাহলে তোমার আর সৌরভের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?? ”
আমি এবার শকের উপর শক খাচ্ছি। উনি প্যারালাইজড ছিলেন !! আমি ছলছল চোখে উনার দিকে তাকিয়ে কাপা কাপা গলায় বলি,
” আ..আপনি প.পারালাইজড ছিলেন ?? ”
উনি কোনো কথা বললেন না। এতটা অভিমান ? কিন্তু এটাইকি স্বাভাবিক নয় ? আঙ্কেল বলে উঠেন,
” আচ্ছা বাদ দেও। যা হবার হয়ে গেছে। এখন যেহেতু ও ফিরে এসেছে তাই নতুন ভাবে সব শুরু করাই ভালো। সুরভি ঈপ্সিতা কে ভিতরে নিয়ে যাও। আর ঈপ্সিতা তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। অনেক দখল গেছে তোমার উপর। ”
আমি একবার উনার দিকে করুন চোখে তাকালাম। কিন্তু উনি তো ফিরেও তাকালেন না আমার দিকে। শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে সুরভির সাথে আমাদের রুম গেলাম। এতদিন পর আমার আর সৌরভ ভাইয়ার রূমে এসে আমার খুব করে কান্না পাচ্ছে। আমি হাত দিয়ে সবকিছু ছুঁয়ে দিচ্ছি। কেমন যেনো আপন আপন মনে হচ্ছে সবকিছু। অনেক হয়েছে শাস্তি। আর না। উনার থেকে আলাদা হওয়াতে আজ দুজনেই একই কষ্ট পেয়েছি। উনি এই তিন তিনটা বছর আমার জন্যে হসপিটালের বেডে শুয়ে ছিলেন। আর কত। আমি এতটাও খারাপ না যে উনার করা ভুলের জন্যে আরো শাস্তি দিবো। ক্ষমা তো আমি উনাকে আরো আগেই করে দিয়েছি। উনার থেকে দূরে থেকে বুঝেছি উনি ছাড়া আমি কতোটা নিঃস্ব।এখন শুধু আমাদের এক হওয়ার পালা। আমার তো এটা ভেবেই খুশি লাগছে যে উনি দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। কিছুসময় পর আমি ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখি সৌরভ ভাইয়া রুমে কারো সাথে ফোনে কথা বলছেন।
আমি লজ্জার মাথা খেয়ে দৌড়ে গিয়ে উনাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরি। কান্না করতে করতে বলি,
” I’m sorry। প্লিজ আপনি এভাবে আমার থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকবেন না। কথা দিচ্ছি আমি আর কখনো আপনার থেকে দূরে সরে থাকবো না। প্রমিজ। ”
এই প্রথম ঈপ্সিতা নিজে থেকে সৌরভ কে জড়িয়ে ধরেছে। এটা দেখে সৌরভের এর মনে একঝাঁক খুশি ডানা মেললো।
উনি আমার হাত টা নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিয়েই ঘুরে তাকান। আমার গাল টা দু হাত দিয়ে আলতো করে ধরে চোঁখের জল গুলা মুছে দিয়ে বলেন,
” পাক্কা প্রমিজ ?? ”
আমি কান্নাভেজা চোখে বলি,
” হুমম। একদম সেই লেভেলের পাক্কা প্রমিজ। ”
উনি আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। আলতো হাতে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। আমিও গুটিশুটি মেরে উনার বুকে লেপ্টে থেকে বললাম,
“আচ্ছা আপনার রাগ হচ্ছে না আমার উপর ?? ”
উনি চোখ বুজে জবাব দিলেন,
” একবার রাগ আর জিদের জন্যে তোমাকে তিন বছরের জন্যে হারিয়েছিলাম। আর না। এবার তোমাকে হারিয়ে ফেললে আমি জাস্ট নিঃশেষ হয়ে যাবো। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না ইপশিপাখী। আমি কথা দিচ্ছি দুনিয়ার সকল সুখ তোমার পায়ের কাছে বিছিয়ে দিবো। আর কখনো কোনো খারাপ ছায়া তোমাকে ছুঁতে পারবে না। এমনকি আমার জিদের ছায়াও না। পাক্কা প্রমিজ। ”
আমি বিস্তর হেসে উনাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।। এতদিন পর আমার সুখের দেখা পেয়েছি আমি। এবার আর এত সহজে এই সুখ আমি হারবো না। কিছুতেই না।
🌹🌹🌹🌹
২ দিন পর ,,,
রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে আমি সবকিছু গুছিয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালাম। এখন সব স্বাভাবিক আছে এটা ভেবেই আমার মনে প্রশান্তি হাওয়া বয়ে গেলো। আমি রুমে এসে দেখি চারিদিক অন্ধকার। আমি খানিকটা ভয়ে পেয়ে জোড়ে জোরে উনাকে ডাকতে থাকি। কিন্তু না উনার কোনো সাড়া শব্দ নেই। হটাৎ দরজা লাগানোর শব্দে আমি পিছন ফিরে তাকাই। কিন্তু কারো দেখা পাইনা। আমি আরো ভয় পেয়ে শব্দ করে ডাকতে থাকি উনাকে।
হটাৎ কেউ আমার কনের কাছে ফিসফিস করে বলে উঠেন,,
“Happy anniversary my dear ইপশিপাখি। ”
সৌরভ ভাইয়ার কণ্ঠ শুনে আমি সস্থির নিশ্বাস ফেলি আমি। আনন্দের চোটে কিছু বলতে যাবো তার আগেই চারিদিক আলো জ্বলে উঠলো। আমার সামনে অনেকগুলো মোমবাতি দিয়ে লেখা “” I LOVE YOU “”
আমি সারপ্রাইজড হয়ে উনার দিকে তাকালে উনি মুচকি হাসেন। এই হাসির মধ্যেই তো আমার সমস্ত মুগ্ধতা বিরাজ করে। উনি আমার সামনে একটা কাছের বোতল ধরিয়ে দিয়ে বলেন ,
” ওপেন ইট। ”
আমি আগ্রহ নিয়ে কাছের বোতলে টা খুলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে অজস্র জোনাকি পোকা। আমি তো রীতিমত শকড। এত এত জোনাকি পোকা দেখে আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম। সেই সাথে ওদের ছড়ানো আলো চারিদিকে উপচে পড়ছে। সব মিলিয়ে খুব,, খুব মায়াময় পরিবেশ। আমি অত্যাধিক খুশিতে উনার গালে চুমু দিয়ে বলি,
” থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। থ্যাঙ্ক ইউ। থ্যাঙ্ক ইউ। ”
উনি আমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলেন,
” শুধু কি শুকনো ধন্যবাদ দিলে হবে। আমার তো আরো কিছু চাই। ”
আমি মুখ ফিরিয়ে উনার দিকে তাকিয়ে বলি,
” আর কি চাই আপনার ? ”
এবার উনি আমার কানের লতিতে হালকা করে চুমু দেন। আমি কেপে উঠি তাতে। উনি কানের কাছে ফিসফিস করে বলেন,
” আমাদের ভালোবাসার প্রতীক। একটা ছোট্ট মামনি। দিবে আমায় একটা ছোট্ট পুতুল এনে ?? ”
আমি লজ্জা পেয়ে উনার বুকে মুখ লুকালাম। উনার শার্টের ২ টা বুতাম খুলে উদোম বুকে চুমু দিয়ে লজ্জা মিশ্রিত গলায় বললাম,
” হুমম। ”
উনি হালকা হাসলেন। চট করে আমাকে কুলে তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে বেডের নিয়ে যান। আস্তে করে আমাকে বেডের উপর রেখে মিহি গলায় বলেন,
” জানো আমাদের এই প্রেম কোথা থেকে এসেছে ? ”
আমি ধরা গলায় বলি,
” উহু। ”
উনি আমার নাকে চুমু দিয়ে বলেন,
” শূন্য থেকে। ”
আমি হাসলাম। উনি আমার দিকে কেমন যেনো নেশা চোখে তাকিয়ে হুট করে আমার ঠোটে নিজের ঠোট চেপে ধরেন। আমি একটু অবাক হলেও ধীরেধিরে তাল মেলাতে লাগলাম উনার সাথে। তারপর হারিয়ে গেলাম আমরা এক অজানা রাজ্যে। যেখান আছে আমি , উনি আমাদের শূন্য থেকে আসে অসীম প্রেম।
সমাপ্ত….
[ শেষ পর্যন্ত সমাপ্ত হলো এই গল্প। এই গল্প যেমন ভালোবাসা পেয়েছে ঠিক সেই সাথে ঘৃণাও পেয়েছে। যারা যারা এই গল্পে আমাকে সাপোর্ট করেছেন তাদের কে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ অন্তত এই গল্প সম্পর্কে গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি। ]