স্বামীর অত্যাচার পর্ব ৮

স্বামীর_অত্যাচার !!
Part_8

ছলছল চোখে অবুঝের মত নিলয়ের দিকে চেয়ে আছে……..কি বলবে বুঝতে পারছেনা……বলবে বা কি?যে কথাগুলোর মানে নিজেই বুঝল না…..
অবুঝ দৃষ্টিতে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে…

-কি বলছেন এসব?

নিলয় রেগে পাশে থাকা ফুলদানিটা ছুড়ে ফেলে…
-এমন ইনোসেন্ট ভাব নিয়ে আছিস যেন কিছুই জানিস না…….

আসলে এতে তোর কোনো দোষ নেই তোর শরীলে যে এমন মুখোশধারী মানুষের রক্ত মিশে আছে…..যে ইনোসেন্ট চেহারাটা দিয়ে মানুষকে ঘায়েল করে ফেলে……ঠিক যেমন আমার বাবার সাথে করেছিল তোর বাবা…….উপরে বন্ধু সেজে থাকতো আর পিছনে বার করেছিল শত্রুর মত……

-ও লোকটা কি করছে আমি জানিনা…জানতে ও চাই না… কিন্তু লোকটার শাস্তি কেন আমায় দিচ্ছেন আমি শুধু এইটায় জানতে চাই .?আমি তো কিছু করেনি……

নিলয় অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে..
-রিয়েলি……
তুই কিছু করিসনি……?
তাহলে নিবির কিভাবে মারা গেল……?কেন মেরেছিলি তুই আর তোর বাবা মিলে ওকে…কি অপরাধ ছিল ওর…….?যার জন্য নির্মম ভাবে হত্যা করা করিছিস…?কাউকে পছন্দ করা কি খুব বড় অপরাধ?যার জন্য এভাবে মরতে হল ওদের….শুধু নিবির না….নিবিরের মতো তো আরো অনেকজনকে তো মেরেছিস….?এখন বল এসব কিছুই জানিস না…..মানছি কাউকে অযতা ডিস্টার্ব করা ভাল না….কিন্তু তার শাস্তিটা কেন মৃত্যু ছিল..?কেন তোর বাবাকে ওদের মারার জন্য বলতি?

চমকে উঠল তাহিন…….চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পরছে….নিবিরের মৃত্যুর কথা শুনে কলিজাটা মোচড় দিয়ে উঠল….ওর পিছনে যে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছে তা অজানা তাহিনের……কোনভাবে বিশ্বাস করতে পারছে না….. করবে বা কি করে নিবির ভালো একজন ছেলে ছিল….তাহলে ওকে কেন কেউ মারতে যাবে….তাহিন ছেলেদের সাথে খুব একটা মিশত না….কিন্তু মাঝে মধ্যে নিবিরের সাথে দেখা হলে টুকটাক কথা বলত…আর একদিন হঠাৎ প্রোপজ করে বসে….তাহিন সেটা নাকোজ করে দেই…..এরপর থেকে আর কথা হয়নি…তারপর ছেলেটা ও কোথায় লাপাত্তা হয়ে যায়….সেটা তাহিন জানে না….হয়ত খোঁজ রাখার প্রয়োজন মনে করেনি?….
তাহলে নিলয় কি করে এসব অজানা কথা বলছে…?

-কি বলছেন এসব……?আমার কি মাথা খারাফ… সামান্য একটা ব্যাপারে ওকে মেরে ফেলতে বলল…ওতো কখনো আমাকে ডিস্টার্ব করেনি…..তাহলে কেন লোকটাকে এসব বলতে যাব?এতে আমার লাভটা কি….তাছাড়া লোকটার সাথে তো আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই….তাহলে এসব মনগড়া কাহিনী কোথেকে বলতেছেন….?তা আবার এমন কাহিনী যা আমি জানি না অথচ আপনি জানেন…..?আর লোকটারই বা কি ফায়দা ওদেরকে মেরে……..?

নিলয় তাহিনের হাত চেপে ধরে…..
-না জানার নাটক একদম করবি না…..এসব মনগড়া কাহিনী না….কারন নিবির আমার খুব কাছের একজন….খুব কাছ থেকে ওকে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট করতে দেখেছি…..মৃত্যু শয্যায় বারবার তোর আর তোর বাবার নাম বলেছিল……এবার ফায়দা কি সেটায় তোরায় ভালো জানিস…..

তাহিন বুঝতে পারছেনা নিবির কেন এসব বলতে যাবে….নিশ্চয় নিলয়ের কোথা ও ভুল হচ্ছে …..কিন্তু ভুলই বা কি করে হবে ও তো নিবিরকে চিনে….তাহলে..?কিছুই বুঝতে পারছে না তাহিন…….তৌহিদ আহমেদকে ও বিশ্বাস করা বড্ড দায়……..সম্পর্ক ছিন্ন হলে ও লোকটা সব সময় নজর নজরে রাখত……তাই বলে ওদের কেন মারতে যাবে…..?আর তৌহিদ আহমেদ বা কলেজের ভিতরের খবর কি করে জানবে…….

-তোর সম্পর্ক জানা আমার খুব প্রয়োজন ছিল……তোর সম্পর্ক ঘাটতে গিয়ে এসব জেনেছি……যে মেয়ের জন্য তৌহিদ আহমেদ কাউকে খুন করতে পারে… এবার তার মেয়েকে কি পরিমাণ ভালবাসে সেটা ভাবার বিষয়..তাই তুকে আমার প্রয়োজন হয়েছে….আমার মাকে বাচাঁনোর জন্য……হুম নীলিমা চৌধুরী বেঁচে আছে….যাকে পাগলের মত খুঁজতেছে তোর বাবা……এক্সিডেন্ট মূলত তোর বাবার একটা চক্রান্ত….আর এই চক্রান্ত থেকে আমার বাবা বাঁচতে পারে নি….কারণ তোর বাবা বাঁচতে দেইনি….শুধুমাত্র আমার মাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল তার স্বার্থে……স্বার্থ হাছিল হয়ে গেছে কিন্তু তোর বাবার পথে বড় শত্রু হিসেবে দাঁড়িয়েছে……আর এখন
তার আদরের কন্য যতদিন আমার হাতে ততদিন তৌহিদ আহমেদ ভুলে ও নীলিমা চৌধুরীকে মারার সাহস করবে না…….

বড় জোর গলায় যে বলছিস লোকটার সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই… কোনো সম্পর্ক যদি না বা থাকে তাহলে তোই যে কষ্টের মধ্যে সেটা কি করে জানে……কেন তুকে নেওয়ার জন্য প্রতিদিন হামলা করে….?

স্তব্ধ তাহিন মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্চে না….এখন সব কিছু যেন আরো আরো রহস্যের মত লাগছে…..তৌহিদ আহমেদ কেনো কেন করছে এসব…তৌহিদ আহমেদ এতই যদি ভালবাসত তাহলে কেন ছেড়ে চলে গে্ল..আর এখন কেন তুলে নিয়ে যেতে চাইছে…..কেন বা নিলয়ের পরিবারকে হত্যা করতো চাই…?স্বার্থটা কি….?প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেন ও আরো প্রশ্নে এসে জমা হয়েছে……

-আমি এসব কিছু জানি না…লোকটা কেন এমন করছে…..?ও লোকটা আমার বাবা না…..ঘৃণা করে ও লোকটাকে….যেদিন থেকে আমি জানতে পারল ওই লোকটা অন্য মহিলার জন্য আমাদের কে ছেড়ে দিয়েছে…যেদিন থেকে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে…..

নিলয় তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে…..
-কি করে বিশ্বাস করব ও লোকটার সাথে তোর কোনো সম্পর্ক নেই…..দুদিন আগে ও তো ওই লোকটার সাথে তোর যোগাযোগ ছিল…..

-সেটা আজ থেকে প্রায় এক বছর আগে শেষ হয়ে গেছে….যেদিন আমি জানলাম ও লোকটা অন্য একটা মহিলার জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছে…তার আগে যোগাযোগ ছিল
কারণ আমি জানতাম আমার মা নিজেই আলাদা হয়ে গেছে ও লোকটা থেকে….যখন সত্যিটা জানতে পারলাম আর কোনো যোগাযোগ রাখিনি….তবু ও কেন আমার পিছু ছাড়ছে না ওই লোকটা আমি জানিনা না……

কথাগুলো কেন এতদিন আমায় বলেন নি….?কেন ওই লোকটার শাস্তি কেন আমায় দিয়ে এসেছেন….?

-বললে তুই পালানোর জন্য…….
এত সহজে তুকে ছাড়ছি না…যতদিন না ওই লোকটাকে শাস্তি দিতে পারছি…..ততদিন তুই এখানেই থাকবি..তুই কষ্ট ফেলে যে লোকটা একটু একটু করে শাস্তি পাবে…..

নিলয় দরজায় এখটা জোরে একটা লাত্তি দিয়ে…..
না পারবে তোর বাবা এখান থেকে নিয়ে যেতে আর না পারবি তুই পালাতে…….মাইন্ড ইট…….

তাহিনকে ধাক্কা দিয়ে হনহন করে চলে গেল……..তাহিন টাল সামলাতে না পেরে পরে যায়…..ফ্লোরে বসে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে নিলয়কে কিছুতেই বুঝাতে পারল না…..তৌহিদ আহমেদর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই……কিন্তু এখন তৌহিদ আহমেদ কেন এমন করেছে সেটা জানার বিষয়…..?

সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেল…. এখনো মেঝেতে হাটুগেরে বসে আছে তাহিন….চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে গেছে……কিন্তু কিছুতেই তৌহিদ আহমেদের হিসাবটা মেলাতে পারল না…….ভেবেছিল যে করে হোক আজ চলে যাবে…..প্রয়োজনে নিলয়ের সাথে যুদ্ধকরে….কিন্তু এখন সেই রাস্তাটা যেন ও বন্ধ হয়ে গেলে……. নিলয় যে ওকে কোথায় নিয়ে এসেছে সেটা জানা নেই…..অন্ধকারে রাস্তাঘাটটা ও ঠিক মত খেয়াল করতে পারেনি………..

মনে হচ্ছে আকাশের ভারটা নিজের মাথার উপর নিয়ে বসে আছে…এতটায় ভর ভর লাগছে…….. এত বেলা হয়ে গেল সেদিকে ও কোনো খেয়াল নেই…হঠাৎ দূর আযানের ধ্বনি শুনতে পেয়ে তড়িগড়ি করে উঠে দাঁড়াল নিজের ভাবনার জগত ছেড়ে…….
নিলয় ও সে যে কবে হনহন করে রুমে ঢুকল আর বের হয়নি…..রুমের জিনিসপত্র অাধা ভাংচুর করে শাওয়ার নিয়ে শুয়ে আছে……এটা যেন নিলয়ের রাগ কমানোর একটা পদ্ধতি…….

তাহিন ওয়াশরুমে দিকে যেতে মনে হল জামাকাপড় সাথে কিছু নেই…….তাহলে শাওয়ার নিয়ে কি পরবে?শাওয়ার না নিয়ে তো থাকতে পারবেনা…….?বুঝতে পারছেনা নিলয় ওর জামাকাপড় নিয়ে এসেছে কিনা……একবার কি নিলয়ের রুমে গিয়ে চেক করে আসবে….কিন্তু মনটা কিছুতেই সায় দিচ্ছে না নিলয়ের সামনে দাঁড়াতে….কি করবে বুঝতে পারছেনা……?তার দেওয়া জামাকাপড় পড়ার কোনো ইচ্ছে জাগছে না….কিন্তু এছাড়া তো আর কোনো উপায় ও নেই…….হাত মুখে ভালকরে পানি মেরে……

ধীর গতিতে নিলয়ের রুমের দিকে পা বাঁড়াল….ভিতরে ঢুকতে মেজাজটা বিগড়ে গেল রুমের করুন দশা দেখে….ভাংচুর ছাড়া সে যেন আর কিছুই পারে না….নিলয় অন্যপাশ হয়ে শুয়ে আছে…তাহিন রুমে এসেছে সেটা খেয়াল করেনি…….তাহিন ধপ করে ওভারড্রপ খুলতে নিলয় চোখ মেলে তাকায়…….চেক করে কিছুই পেলো না তাহিন……..নিলয় দেখে ও না দেখার ভান করে আছে…. তাহিন নিলয়কে জাগানোর জন্য টকটক পায়ের শব্দ করে রুমে মধ্য পায়চারি করতে লাগল…..নিলয় বিরক্ত হয়ে………
-কি হল এভাবে ঘুরতেছ কেন…….?
তাহিন দাঁতে দাঁত চেপে……
-কাউকে কোথায় নিয়ে আসলে তার জামাকাপড় ও নিয়ে আসা উচিত ছিল..
নিলয়ের ও একথা মনে নেই…..নিজের জামাকাপড় এখানে আছে…….বিধায় আর নেই নি…আর তাড়াহুরা করে বের হতে গিয়ে তাহিনের জামাকাপড় কথা মাথায় ছিল না…….

-তুমি তো আর খালি গায়ে নেই….জামাকাপড় সব তো পড়েই আছ…….

কথাটা শুনে লজ্জার চেয়ে রাগ হচ্ছে বেশি………
-আসলে আমারিই ভুল…..কিছু মূহুর্তের জন্য ভুলেই গেছিলাম আমি যে একটা জঙ্গলে আছি সেটা….যেখানে একটা পোশাক পরে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে হবে………….বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেল……….

নিলয় রাগে ফাঁটছে কিন্তু কিছুই বলতে পারল না……………..

রাগে গজগজ করতে একজন গার্ডকে ফোন করে কিছু জামাকাপড় আর খাবার নিয়ে আসতে বলল……..তাহিন রুম থেকে বের হয়ে সোজা ছাদের দিকে চলে গেল……ভর দুপুরে ছাদটায় অনেক ভাল….বারান্দা দাঁড়ালে ও হয়ত চারপাশটা ভাল করে দেখা যাবে না…. এই বন্দি পরিবেশ থেকে মনটা অশান্ত হয়ে উঠেছে…..তার এখন স্বস্তির নিশ্বাস প্রয়োজন…….চারপাশটা দেখে বুকের ভিতর হাহাকার করে উঠল….আশেপাশে তেমন ঘরবাড়ী নেই…….

জনমানব শূন্য পরিবেশ…..হতাশ হয়ে ছাদের রেলিং ধরে তাকিয়ে আছে আকাশে পানে….আকাশটা হালকা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে….মেঘের আড়ালে সূর্যটা উকি মেরে লুকোচুরি খেলে যাচ্ছে……..জীবনটা ঠিক এমন মনে হচ্ছে তাহিনের…..হঠাৎ করে পিছন থেকে কারো কন্ঠ শুনে তড়গড়ি করে ঘুরে তাকাল…..অবশ্য কন্ঠটা তার অচেন নই গম্ভীর সেই গলা….

-হাজার চেষ্টা করে ও এখান থেকে পালাতে পারবে না যতই চারিদিক দেখে নাওনা কেন……..

কথাটা শুনে তাহিনের হাসতে মন চাচ্ছে….কিন্তু এখন হাসিটা ও যে তার কাছে বেমানান মনে হচ্ছে…..

-পালতে না পারি তার জন্য এত ব্যবস্থা করেছেন তাহলে যাই বা কি করে….?আর মনটা ও আপনার মত এত নিষ্টুর না…কাউকে বিপদে রেখে চলে যাব…..আমার জন্য যদি নীলিমা আন্টি ভাল থাকে তাহলে আমি এখানেই থাকব……..সত্যিটা কি আমি নিজে ও জানিনা…..মুখে বলা কথা আপনার বিশ্বাস হচ্চে না…. বিশ্বাস কেন বা করবেন……?বিশ্বাস তাকে করা যায় যাকে মানুষ ভালবাসে …..তাই নিজেকে নিদোর্ষ ও প্রমাণ করতে চাচ্ছি না…..

কথাটা শেষ করার মাত্র দৌড়ে নিচে চলে গেল………বলতেই কষ্ট হচ্ছিল খুব…..নিজে ও জানে না কি করে এতটা দিন এখানে থাকবে…..তবু সিধান্ত নিল সেই থাকবে…..শুধুমাত্র নীলিমার জন্য….রুমে যেতে বিছানার উপর কয়েকটা প্যাকেট দেখতে পেল…..বুঝতে আর বাকি রইল না কি আছে এতে…..আপাতত একটা শাড়ী নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল…..শাওয়ারের ঝর্ণার নিচে বসে চোখের জল ফেলছে…….মনের কষ্টটা হালকা করে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে না খেয়ে শুয়ে পরল……..খাবারটা এই মুহূর্তে গলা দিয়ে নামবে না……..

তাহিন কপালের উপর একটা হাত রেখে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে……হঠাৎ করে রুমের মধ্যে কারো পায়ের আওয়াজ শুনে চোখ মেলে তাকায়…..
নিলয় একটা প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে….একটু চমকে উঠল না বরং অন্যপাশ হয়ে গেল…..হয়ত কিছু একটা মিশেয়ে নিয়ে এসেছে……..

নিলয় তাহিনের এমন আচরণ দেখে গম্ভীর গলায় বলল………

-কি ভেবেছ তুমি আমি কিছু বুঝিনা….?
সারাদিন না খেয়ে থাকবে তারপর কিছু একটা হলে হসপিটালে দৌঁড়াদৌড়ি করার জন্য….আর সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার ধান্ধা…….

তাহিন রেসপন্স করছে না দেখে নিলয় প্লেটটা টেবিলের উপর রেখে এক ঝটকায় তাহিনকে টান দিয়ে বসিয়ে দিল..তাহিন হতম্ভব হয়ে গেল……

-তুমি না খেলে আমার কিছু যায় আসে না……..তবে না খেলে লসটায় বেশি আমারিই হবে…….

তাহিন এক দৃষ্টিতে নিলয়ের তাকিয়ে থেকে….

-একদিন না খেলে মানুষ মরে যায় না….তাছাড়া আগে তো অনেক সময় না খেয়েই ছিলাম তখন তো হসপিটালে নিয়ে যেতে হয়নি….তাহলে আজ কেন এটা মনে হল…..আগে তো এত দরদ ছিল না?

নিলয় দাঁতে দাঁতে চেপে….
-আমাকে কিন্তু একদম রাগাবি না বলে দিচ্ছি….রাগ যদি আমার মাথার উপর উঠে যায়….তাহলে এক ফোঁটা পানি ও তোর পেটে যাবে সব তোর মাথার উপর যাবে….ভালই ভালই বলছি চুপচাপ খেয়ে নে……

-আপনার ঘর আপনার বাড়ী যা ইচ্ছা করতে পারেন……এই আর নতুন কী….

নিলয় রাগে ফেটে যাচ্ছে রাগি চোখে তাহিনের দিকে তাকাতে….

তাহিন ইচ্ছে না থাকার স্বত্বে প্লেটটা হাতে নিয়ে চুপচাপ কয়েকগ্রাস খেয়ে রেখে দিল…..আজ খাবারটা ভালই ছিল…..শুধু ভাল না খুব ভাল ছিল…তবু গলা দিয়ে নামছিল না তাহিনের….নিলয় দরজা বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনআলাপে ব্যস্ত….তাহিন প্লেটটা টেবিলের উপর রেখে শুয়ে পরল……

চলবে…..

<ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন>

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here