হলুদ খাম, পর্ব:৪

0
408

#হলুদ_খাম
লেখিকাঃ #তানজীমা_ইসলাম_রিয়া

___________________[৪]___________________

আজ সন্ধ্যায় স্নেহার সঙ্গীত অনুষ্ঠান, বাড়িভর্তি মেহমানে পা ফেলার জায়গা পাচ্ছেনা তনু।
মেহেন্দির ডালা হাতে নিয়ে দোতলা থেকে সিড়ি বেয়ে নেমে এলো সে।

নিচতলায় ড্রয়িং রুমের মাঝখানে মখমলি চাদর আর কুশন বালিশ দিয়ে আসর সাজানো হয়েছে।
মেহেন্দির ডালাটা স্নেহার সামনে রেখে তনু তার পাশে বসে পড়ল। বসতে না বসতেই সায়ন বলে উঠল,

” ওখানে বসে কি করছিস তনু!? চল আমার সাথে”!!

” কোথায় যাবো ভাইয়া”!?

” আমি যেখানে যাবো সেখানে।

গাঢ় সবুজ রঙের পাঞ্জাবির হাতা গোটাতে গোটাতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল সায়ন।
তনুও আর দেরি না করে উঠে তার পিছুপিছু ছুটল। পরনের কলাপাতা রঙের শাড়িটার কুচি ধরে তনু খুব সন্তর্পনে ছুটে চলেছে।

একঘন্টা ধরে শাড়ির সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে বিজয়ী হয়েছে সে। বিয়ে বাড়িতে যে যার সাজ নিয়ে ব্যস্ত, তাই তাকেও একা একাই সাজতে হল।
মুখে হালকা প্রসাধনী মেখে হালকা ঢেউ খেলানো চুল গুলো পিঠের ওপর ছেড়ে রেখেছে তনু।

স্নেহার সাথে বসে যে একটু ছবি তুলবে, তার আগেই সায়ন তাকে নিয়ে এলো।
এই প্রোগ্রাম ফেলে না জানি রাজ্যের কোন কাজ করতে যাচ্ছে মহাশয়।
কিন্ত কথা সেটা না, কথা হল সায়ন যাচ্ছে যাক কিন্ত তনুকে কেন নিয়ে যাচ্ছে!!

বাড়ির মেইন গেইট খুলে বেরিয়ে তনু দেখল গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে ড্রাইভার ইকবাল।
সায়ন তার কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে গাড়িতে উঠতে উঠতে তনুর উদ্দেশ্যে বলল,

” ওঠ।

তনু বেশ অবাক হয়ে বলল, ” উঠবো মানে কি!? আপনি এখন কোথায় নিয়ে যাবেন আমাকে!?

সায়ন থমথমে গলায় বলল, ” তোকে মেরে গুম করে দিতে নিয়ে যাচ্ছি। এখন চুপচাপ উঠে বস নাহলে তোকে এখান থেকেই ভ্যানিশ করে দেবো।

তনু একটা নিঃশ্বাস ফেলে গাড়িতে উঠে সায়নের পাশে বসল। সায়ন কখনই তার প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দেয়না। এখনও যে দেবে না তা ভালই বুঝতে পেরেছে তনু।

সন্ধ্যা নেমেছে অনেকক্ষণ, সায়ন যেমন তাড়াহুড়ো দেখিয়ে তনুকে তখন নিয়ে এলো এখন তার বিন্দুমাত্র ব্যস্ততা সায়নের মাঝে দেখা যাচ্ছে না। সে বেশ হালকা হাতেই ড্রাইভ করছে।

এদিকে তনু স্থির হয়ে বসতে পারছেনা, এতক্ষণে নিশ্চয়ই প্রোগ্রামে নাচগান শুরু হয়ে গেছে, পার্লার থেকে আসা মেয়ে গুলোও হয়তো সবাইকে মেহেদী দেওয়া শুরু করে দিয়েছে!

তনু আর নিজের অস্থিরতা ধরে রাখতে পারলো না, বিরক্তি মাখা চোখে তাকিয়ে বলল,

” ভাইয়া! আপনার যেখানে যেতে মন চায় আপনি যান না। আমাকে বাসায় দিয়ে আসুন, ওখানে নিশ্চয়ই এতক্ষণে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে! আর আমি এখানে বসে আছি!!

সায়ন সেদিকে না তাকিয়েই বলল, ” অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য! নাকি অনুষ্ঠানে আসা ছেলে গুলোকে দেখার জন্য অস্থির হচ্ছিস রে!!?

সায়নের কথা শুনে তনুর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল, কি বলছে সায়ন ভাইয়া!? সে ছেলেদের দেখার জন্য অস্থির হয়ে উঠছে!! তনু কটমট করে তাকিয়ে বলল,

” ঠিকাছে বাসায় যাবো না আমি, আপনি যেখানে খুশি আমাকে নিয়ে চলুন।

বলেই মুখ ঝামটা দিয়ে গ্লাসের বাইরে তাকালো তনু, সায়ন হেসে বলল, ” তুই না চাইলেও আমি নিয়ে যাবো।

তনু আর কিছু বলল না, ভীষণ রাগ হচ্ছে তার। সে তো সবার সাথে এনজয় করবে বলে যেতে চাচ্ছিলো, এছাড়াও সবাই আজ পার্লারের মেয়েদের কাছ থেকে সুন্দর করে মেহেন্দি মাখবে। তার আর মেহেন্দি মাখা হবে না!

থাক! মেহেন্দি মাখবে না সে। অনুষ্ঠানেও ফিরে যাবে না। দেখা যাক সায়ন তাকে কোন মুল্লুকে নিয়ে যায়!! তারপর সেখানে গিয়ে সায়নকেই গুম করে দেবে তনু।

____________________________________
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বেশ কিছুক্ষন পর একটা ফুলের দোকানের সামনে এসে গাড়ি থামালো সায়ন। তনুকে নামতে বলে গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো সে।

তনু মুখ ভেংচি কেটে অন্যদিকে তাকালো যার মানে “সে নামবে না”। সায়নও তাকে আর জোর না করে দোকানের ভেতরে ঢুকে দোকানীর সাথে কথা বলতে লাগল।

তনু এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল কয়েকটা ছেলে পাশ দিয়ে যাচ্ছে আর তাকে দেখে অশ্লীল শব্দোচ্চারণ করছে। ব্যাপারটা খুবই বিরক্তিকর, তনু গ্লাস উঠিয়ে ডোর লক করে দিলো।

কিছুক্ষণ পর ছেলেগুলো আস্তেধীরে গাড়ির দিকেই এগিয়ে আসছে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেল তনু। এদিকে সায়নেরও আসার কোনো নামগন্ধ নেই। সাতপাঁচ না ভেবে গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পায়ে দোকানের ভেতরে এসে দাড়ালো সে।

তনুকে নেমে আসতে দেখে সায়ন বাকা হেসে বলল, ” কিরে! আসবিনা বলছিলি যে!!

তনু একবার আড়চোখে ছেলে গুলোকে দেখে ফুল দেখতে দেখতে বলল, ” ফুল গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে, তাই একটু দেখতে এসেছি।

সায়নের কিছুটা খটকা লাগলো, আশেপাশে তাকিয়ে দেখল কয়েকটা বখাটে ছেলে দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে নিজেদের মধ্যে কিসব বলছে আর হাসছে। সায়ন তাদের দিকে তাকিয়ে একটা রাগ মিশ্রিত নিঃশ্বাস ফেলল।

হুট করে সামনে থাকা ফুলের ঝুড়ি থেকে বেলি ফুলের মালা নিয়ে তনুর ডান হাতে পরিয়ে দিল সে। দূর থেকে ছেলে গুলো এই দৃশ্য দেখে অন্যদিকে চলে গেলো।

সায়ন হটাৎ ফুল পরিয়ে দেওয়ায় তনু অবাক হয়ে তাকালো তার দিকে। ফুলের দাম মিটিয়ে সায়ন দোকানীকে বলল,

” তাহলে কাল দুপুরের আগেই ফুল গুলো বাসায় পাঠিয়ে দেবেন।

দোকানি মাথা দুলিয়ে সায় দিল, সায়ন তনুর বেলি ফুল জড়ানো হাতটা ধরে বেরিয়ে এলো দোকান থেকে। তনু এখনও বিস্ময় মাখা চোখে তাকিয়ে আছে সায়নের দিকে। সায়ন হটাৎ তাকে বেলি ফুল পরিয়ে দিল কেন!?

তনুকে গাড়িতে বসিয়ে সায়ন নিজে উঠতে উঠতে বলল, ” এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই, গায়ে তো পারফিউম টারফিউম কিছুই মাখিস না। তাই বেলি ফুল পরিয়ে দিলাম, এবার দেখবি তোর শরীর থেকে শুধু বেলি ফুলের সুগন্ধি ভেসে আসছে।

সায়নের কথার উত্তরে তনু একটা ভয়ংকর গালি দিতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিল।
কিন্ত মনেমনে সায়নের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করল সে। পরক্ষণেই তার মনে পড়ল তার মাও তো সায়নের গুষ্টির মধ্যেই পড়ে! উফফ!!

____________________________________
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত নয়টা বেজে গেছে, সায়ন যে স্পিডে ড্রাইভ করেছে তাতে যে রাত এগারোটা বাজেনি এটাই তনুকে অবাক করেছে বেশি।

তনু চরম বিরক্তি নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দাড়াতেই সায়ন দ্রুত পায়ে তার সামনে এসে দাড়ালো। তনুর দিকে সুন্দর করে র‍্যাপিংয়ে মোড়ানো একটা মাঝারি সাইজের বক্স এগিয়ে দিয়ে বলল, ”

“এটা তোর কাছে রাখ তো, বিয়ে বাড়িতে আমি কোথায় না কোথায় রাখবো শেষে আর খুজে পাবো না!

” আমাকে যে দিচ্ছেন! আমিও যদি হারিয়ে ফেলি তখন কি করবেন!?

” নিজে হারালে তো নিজেকে শাস্তি দিতে পারবো না, কিন্ত তুই হারালে তোকে শাস্তি দেবো। সো খুব যত্নে রাখবি বুঝলি!!

বলেই দ্রুত পায়ে গেইটের দিকে এগিয়ে গেলো, তনু দাতে দাত পিষে কিছু বলার আগেই সায়ন আবার ফিরে এসে বলল, ” আর হ্যাঁ, আমি না চাওয়া পর্যন্ত জিনিসটা কখনও বের করবি না।

বলেই দ্রুত পায়ে গেইটের ভেতর চলে গেলো সায়ন, তনু একটা বিরক্তির নিঃশ্বাস ফেলে গেটের ভেতর ঢুকে পড়ল।
বাসায় ঢুকে দেখল আসর একেবারে জমে উঠেছে, ছোট মামা মামি তো সেইরকম নাচ নাচছে!

ছোট বড় কেউ বাদ নেই, তনুর মা আর ভাইও থেমে নেই!! ছোট মামার মেয়ে রাইসা আর রুশাও নেচে-গেয়ে মেতে উঠেছে!!! তনু মনেমনে খুশি হয়ে বলল,

” যাক, নাচগান দেখাটা তোর মিস যায়নি তনু!

কিন্ত পার্লারের মেয়েরা সবার হাত সাজিয়ে চলে গেছে শুনে মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেলো তার। নাচগান শেষে রাতের খাবার খেয়ে একে একে সবাই শুতে চলে গেলো।

নিচতলায় গেস্টরুম আর সায়নের বাবা-মায়ের রুমে মুরুব্বিদের শোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রয়িংরুমে এক লাইন দিয়ে সব ছেলেরা শুয়েছে।

দোতলায় স্নেহার রুমে মেয়েরা ঘুমাবে, তনুর আবার হট্টগোলের মাঝে ঘুম হয়না, মাথাব্যথা করে। স্নেহারও একটু বিশ্রামের দরকার, তাই স্নেহার সাথে সে সায়নের রুমে ঘুমাবে।

__________________________________

র‍্যাপিংয়ে মোড়ানো বক্সটা কোথায় রাখবে ঠিক করতে পারছেনা তনু। একবার ভাবলো স্নেহা আপুকে দিয়ে দেবে কি না। ভাইয়ের মূল্যবান জিনিস সেই রাখুক!

কিন্ত কি মনে করে স্নেহাকে দিলো না সে, একবার ভাবলো সায়ন ভাইয়ার ঘরেই কোথাও রেখে দিলে হয়। পরে খুজলে বলে দেবো কোথায় আছে।

কিন্ত বক্সটা রাখার জন্য মনমতো জায়গা পেলোনা সে, বেডে বসে ভাবতে লাগল, বক্সটাতে কি এমন আছে! আর এতো সুন্দর করে র‍্যাপিংও করা!! নিশ্চয়ই কাউকে গিফট করবে ভাইয়া!!! কিন্ত কাকে!?

হটাৎ মনে হল, ভাইয়া কি এটা তার গার্লফ্রেন্ডকে দেবে!? দিতেও পারে!! সায়নের গার্লফ্রেন্ড আছে ভাবতেই মনটা খারাপ হয়ে গেছে তনুর!!!

তনু বক্সটা খুলবে কি খুলবেনা ভাবতে ভাবতে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে এলো স্নেহা। তাকে দেখে তনু তৎক্ষনাত বক্সটা নিজের লাগেজের চেইন খুলে ঢুকিয়ে ফেললো।

শোয়ার আগে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল, ফুলটা এখনও তার হাতে বাধা। তনু হাত থেকে বেলি ফুলটা খুলতে গিয়েও খুলল না, সায়ন ভাইয়া নিজে ফুলটা তার হাতে বেধে দিয়েছে! ভাবতেই অজানা শিহরণে কেপে উঠল সে!!

পরক্ষণেই ফুলটা হাত থেকে খুলে বালিশের পাশে রেখে দিলো তনু। সায়নকে মনেমনে গালাগাল করতে করতে বালিশে মাথা রেখে শুয়ে পড়ল।

__________________________________

ভোররাতের দিকে হাতের তালুতে শিরশিরে অনুভূতি পেয়ে তনুর ঘুমের গভীরতা হালকা হয়ে গেলো। হাত সরিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল সে।

কিন্ত কিছুক্ষণ না যেতেই আবারও হাত শিরশির করতে লাগল। আস্তে আস্তে চোখ মেলে কিছুই দেখতে পেলো না তনু।

দরজা জানালা বন্ধ করা বদ্ধ ঘরের নিকষ কালো অন্ধকারে নিজের হাতটাও দেখা যাচ্ছে না।
কিন্ত সেখানে অন্যকারো স্পষ্ট উপস্থিতি অনুভব হচ্ছে তার। পরক্ষণেই মনে পড়ল তার পাশেই তো স্নেহা আপু ঘুমাচ্ছে, হয়তো তার হাত নিজের হাতে লেগে শিরশির করছে।

ব্যাপারটাকে পাত্তা না দিয়ে গভীর ঘুমে আবারও তলিয়ে গেলো তনু।
বেশ কিছুক্ষণ পর তার আরেক হাতে শিরশির করতে লাগল। এবার আর চোখ মেললো না সে, সারাদিনের ধকলে ক্লান্ত শরীরটার একটু ঘুম দরকার।

শিরশিরে অনুভূতিটা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠতেই চোখ মেলে তাকালো তনু।
ঘুমজড়ানো অবস্থায় শুধু কানে এলো দ্রুত পায়ে কেউ দরজা খুলে বেরিয়ে গেছে!

প্রায় সাথেসাথেই বেডে উঠে বসল সে, হাতড়েপাতড়ে ফোন খুজতে গিয়ে মনে হল তার হাত বেয়ে ঝুরঝুর করে কিছু পড়ছে!!

ফোন হাতে নিয়ে আগে ফ্ল্যাশলাইট অন করে হাত সামনে নিয়ে দেখল, দু’হাত ভর্তি সুন্দর করে মেহেন্দি দেওয়া!!!
যার অনেকটাই শুকিয়ে এসেছে প্রায়!!! চরম বিস্ময়ে তনুর চোখ জোড়ার সাথেসাথে গালটাও হা হয়ে গেছে!!!!

তার হাতে মেহেন্দি কে দিয়েছে!? সে তো মেহেন্দি মাখেনি তাহলে!! ফ্ল্যাশলাইট ঘুরিয়ে ঘরের চারপাশ দেখে নিল তনু। নাহ ঘরে সে আর স্নেহা ছাড়া কেউ নেই, তাহলে কি!!!

ভূতের কান্ড কি না ভেবে একটা চিৎকার দিতে গিয়েও থেমে গেলো তনু।
পাশে পড়ে থাকা “হলুদ খাম” দেখে চিৎকারটা টুপ করে গিলে ফেলল। দ্রুত খাম খুলে পড়তে লাগল সে,

” কুরচিফুলের মতো নেশা ধরানো মাদকীয় ঘ্রাণ যদি শরীরেই থাকে, তাহলে সেই শরীরে আর্টিফিশিয়াল পারফিউম বা কোনো ফুলের সুগন্ধি ছোয়ানোর প্রয়োজন নেই।
লাইফে প্রথম কোনো মেয়ের হাতে মেহেন্দি ডিজাইন করে দিলাম। কত্ত সুন্দর হয়েছে দেখেছিস! তুই পারিস এমন দিতে!? জানি পারিস না! আস্তো একটা মাকাল ফল!! যা ঘুমা!!!

চিঠিটা পড়ে আরেকদফা চমকে উঠল তনু, সাথেসাথেই বালিশের পাশে অযত্নে পড়ে থাকা বেলি ফুলটার দিকে তাকালো সে।

এখন নিজের ওপরই রাগ হচ্ছে তার, কেনো যে ফুলটা খুলে ফেললো! পরক্ষণেই নিজের মেহেন্দি রাঙা হাত জোড়ায় তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, ” তাহলে আপনি এসেছিলেন ঘরে!
|
|
|
|
|
|
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here