#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_8
কপি নিষিদ্ধ ❌
হঠাৎ তিশার ফোন বেজে উঠল,
তিশা : আসসালামু ওয়ালাইকুম ডক্টর সাহেব।
ওসমান : ওয়ালাইকুম আসসালাম,কি করছো?
তিশা : চুল আঁচড়াচ্ছিলাম।
ওসমান : তুমি আর আয়েশা রেডি হয়ে থেকো।আমরা আসছি তোমাদের নিতে।
তিশা : কোথায় যাবো?
ওসমান : সেটাতো এখন বলবোনা,তোমরা রেডি হয়ে থেকো। বায়।
ওসমান কল কেটে দিল।
________________________________________________
তিশা : এটা কি হল কোথায় যাবো তা তো বললো না কলও কেটে দিল।
আয়েশা তিশার রুমে এসে বললো,
আয়েশা : রেডি হ, ওমর কল করে রেডি হতে বলছে, ওরা একটু পরে আসবে আমাদের নিতে।
তিশা : তোকেও বলেছে।
আয়েশা : তার মানে তোকেও কল করে বলছে।
তিশা : হুম মাএ ডক্টর সাহেব কল করে বললো।
আয়েশা : তাহলে যা রেডি হ, আমিও রেডি হয়ে আসছি।
তিশা : হুম।
________________________________________________
তিশা সাদা ও আকাশী রঙের কম্বিনেশনের থ্রী পিস পরেছে, চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া,কানে ছোট সাদা স্টোনের দুল পরেছে,দু হাতে সাদা ও আকাশী রঙের চুড়ি পরেছে,সাজ বলতে চোখে কাজল ও ঠোঁটে হালকা পিঙ্ক কালারের লিপস্টিক দিয়েছে,ব্যাস এতেই ওকে অনেক সুন্দর লাগছে।
আয়েশা কালো রঙের থ্রী পরেছে,কানে কালো ঝুমকো, হাতে ঘড়ি পরেছে, চুল গুলো ছেড়ে দিয়েছে,চোখে আইলাইনার,ঠোঁটে হালকা লাল রঙের লিপস্টিক দিয়েছে, এতেই ওকে সুন্দর লাগছে।
________________________________________________
তিশা : এখনও তো এলো না?
আয়েশা : কল করে দেখ।
তিশা : হুম।
তিশা : হ্যালো, কোথায় আপনারা?
ওসমান : আমরা নিচে আছি, তোমরা নিচে চলে এসো।
তিশা : আসছি।
তিশা কল কেটে দিল।
তিশা : চল আমাদের নিচে যেতে বলেছে।
আয়েশা : হুম।
ওরা লিফটে করে নিচে চলে আসলো।
________________________________________________
বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে দেখলো,
ওসমান ও ওমর দুজন দু রিক্সায় বসে আছে, ওরাও ওদের কাছে গেল।
তিশা বসলো ওসমানের সাথে আর আয়েশা বসলো ওমরের সাথে।
রিক্সা চলতে লাগলো,
________________________________________________
তিশা : তা ডক্টর সাহেব আমরা কোথায় যাচ্ছি?
ওসমান : সুন্দরী তোমাকে কি*ন্যাপ করে অনেক দূরে নিয়ে যাচ্ছি।
তিশা ফিক করে হেসে দিল।
ওসমান : এতো সুন্দর করে হেঁসো না গো হৃদয়হরনী।
তিশা : ওকে তাহলে ডাইনিদের মতো হাসি।
ওসমান : হায়রে।
তিশা : আমরাতো শেইম শেইম।
ওসমান : হুম, আমি তো জানতাম না তুমি সাদা পরবে।
তিশা : কেন জানলে বুঝি সাদা শার্ট পরতেন না।
ওসমান : আমি তো তা বলিনি। শুনোনা।
তিশা : বলেন না।
ওসমান : এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলতো।
তিশা : বেশি কিছু হবে না রিক্সাওয়ালা মামার পা ব্যাথা হয়ে যাবে, আর আমাদের ধাক্কা দিয়ে রিক্সা থেকে ফেলে দিবে।
ওসমান তিশার কথা শুনে ফিক করে হেসে দিল। ওসমানের হাসি দেখে তিশাও হাসলো।
________________________________________________
আয়েশা : কপি ক্যাট।
ওমর : কে কপি ক্যাট?
আয়েশা : কে আবার তুমি।
ওমর : আমি! আমি আবার কি কপি করলাম?
আয়েশা : আমাকে কপি করছো, আমি কালো পরেছি দেখে তুমিও কালো শার্ট পরছো।
ওমর : আমি তো জানতামই না তুমি কালো থ্রী পিস পরবে,আমরা তো নামাজ পড়ে সোজা তোমাদের বাসায় গেলাম,বাই দ্যা ওয়ে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
আয়েশা : হয়েছে কপি ক্যাট পাম দিতে হবে না।
ওমর : হায়রে।
পকেট থেকে চকলেট বের করে আয়েশাকে দিল।
আয়েশা : থ্যাঙ্ক ইউ মি: কপি ক্যাট।
ওমর : আবারও সেই কপি ক্যাট।
আয়েশা : হা হা, ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান কার তোমার নাকি ওসমান ভাইয়ার?
ওমর : ভাইয়ার প্ল্যান।
আয়েশা : ও,নেও চকলেট।
ওমর : আমি খাবো না তুমি খাও।
আয়েশা : খাও তো।
আয়েশা ওমরকে চকলেট খাইয়ে দিল।
________________________________________________
ওরা লেকের সামনে আসলো,রিক্সার ভাড়া মিটিয়ে সামনের দিকে হাটা শুরু করলো।
তিশা : কেমন আছেন ভাইয়া?
ওমর : আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনাকে তো অনেক সুন্দর লাগছে আপু।
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ।[মুচকি হেসে]
আয়েশা : ভাইয়া এখানে আসার প্ল্যান নাকি আপনার ছিল?
ওসমান : ঠিক প্ল্যান না,অনেকদিন কাজের প্রেশারে কোথাও যাওয়া হয়না, আজকে ফ্রি ছিলাম তাই ভাবলাম সবাই ঘুরতে আসলে ভালো লাগবে।
আয়েশা : আমি জানতাম এই আইডিয়া আপনারই হবে। অন্য কারো মাথায় তো আর এরকম বুদ্ধি আসবে না।
ওমর : দেখেলেন আপু ও আমাকে ইন্ডাইরেক্টলি অপমান করলো।
তিশা : ও তো এমনই।
ওমর : আপু একটা জিনিস নিয়ে এসেছি।
তিশা : বাহ ক্যামেরা নিয়ে চলে এসেছেন।
ওমর : আপনি না কি ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাই তো নিয়ে আসলাম।
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ।
ওমর : চলো তোমাদের ছবি তুলে দেই।
ওমর ওদের তিনজনের ছবি তুলতে লাগলো। ওসমান আবার ওমরের ছবি তুলে দিল।
________________________________________________
ওরা কিছুক্ষন হাটলো, হেটে কিছুটা সামনে যেতেই,তিশা বলে উঠে,
তিশা : ওয়াও ফুচকা, আপনি না সেদিন চ্যালেন্জ করে ফুচকা খাওয়ার কথা বলেছিলেন। চলেন আজকে তা করি।
ওসমান : আচ্ছা, তোরাও করবি?
ওমর ও আয়েশা : আবার জিগায়।
ওরা ফুচকাওয়ালার কাছে গেল,
তিশা : মামা আমাদের আনলিমিটেড ফুচকা দিবেন, চ্যালেন্জ করবো তো তাই।
ফুচকাওয়ালা : আচ্ছা।
তিশা : শুনো তোমরা, যে বেশি খেতে পারবে সে জিতবে। আর যে হারবে সে সবাইকে আইসক্রিম ট্রিট দিবে,আমরাতো চার জন তাই যে সবচেয়ে লাস্টে থাকবে সে ট্রিট দিবে,ওকে?
ওসমান,ওমর,আয়েশা : ওকে।
শুরু হলো চ্যালেন্জ,
তিশা ফার্স্ট হয়েছে , সেকেন্ড হয়েছে ওসমান,থার্ড আয়েশা, আর লাস্টে ছিল ওমর।
ওমর ফুচকা পছন্দ করেনা তাই বেশি খেতে পারেনি।
________________________________________________
তিশা : হেরে গেলেন ভাইয়া,এবার কিন্তু ট্রিট দিতে হবে।
ওমর : হেরেছি যখন দিতে তো হবেই।
ওসমান ওমরকে ইশারায় কিছু বোঝাতেই, ওমর বলে উঠল,
ওমর : তোমরা থাকো আমরা একটু ঐদিকটাই যাই।
বলে ওমর আয়েশাকে নিয়ে চলে গেল।
________________________________________________
ওসমান : আমরা এখানে দাঁড়িয়ে কি করবো চলো ঐদিকটাই যাই।
তিশা : চলুন।
ওরা হেটে কিছুটা সামনে যেতেই তিশা কিছু একটা দেখে দাঁড়িয়ে পরলো।
তিশা সামনে তাকিয়ে দেখলো,
এক দম্পতি বসে আছে, লোকটা তার স্ত্রীর চুলে গাজরা লাগিয়ে দিচ্ছে, আর হাতে চুড়ি পরিয়ে দিচ্ছে।
তিশা এটা দেখেই সামনের দিকে হাটতে শুরু করলো।
ওসমান দেখেছিল তিশাকে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে। কিছু একটা ভেবে তিশাকে বললো
ওসমান : আসো একটু ঐদিকে যাই।
তিশা : হুম।
________________________________________________
ওরা কিছুটা দুরে একটা ফুলের দোকানে গেল।
তিশা : এখানে কেনো আসলাম?
ওসমান : ভাইয়া হাতে পরার দুটো গাজরা দেন।আর তিনটে গোলাপ দেন।
দোকানদার ফুল গুলো দিল।
ওসমান : দেখি হাত দাও।
তিশা হাত বারিয়ে দিল, ওসমান তিশার হাতে গাজরা দুটো পরিয়ে দিল।
ওসমান : ক্লিপ আছে?
তিশা : হুম।
তিশা ক্লিপ দিল, ওসমান খুব সুন্দর ভাবে ফুল তিনটি তিশার চুলে কানের সাইটে লাগিয়ে দিল।
ওসমান : ওই আয়নায় তাকাও।
তিশা তাকাল।ওসমান তিশার পিছনে দাঁড়াল।
ওসমান : পছন্দ হয়েছে?
তিশা : ভীষণ, থ্যাঙ্ক ইউ।
ওসমান উওরের মুচকি হাসলো।
তিশা : [মনে মনে] : আপনি যে কিভাবে আমার মন খারাপের কারণ গুলো বুঝে ফেলেন,আর ওমনি চট করে মন ভালো করে দেন।
ওসমান : [মনে মনে] : তুমি কোনো কিছু চাওয়ার আগেই তা তোমার সামনে হাজির করবো,পৃথিবীর সমস্ত সুখ তোমাকে দেওয়ার চেষ্টা করবো জানপাখি।
________________________________________________
ওমর : ওই দিকে তাকাও।
আয়েশা তাকাল, ওমর ছবি তুললো।
ওমর : তুমি একটু দাঁড়াও, আমি আসছি।
আয়েশা : কোথায় যাবে?
ওমর : এইতো যাবো আর আসবো।
আয়েশা : আরে, যা বাবা চলে গেল।
ওমর একটু পর এসে দেখে আয়েশা উল্টোদিকে ঘুরে আছে,ওমর আয়েশার মাথায় ফুলের মুকুট পরিয়ে দিল।
আয়েশা : ওয়াও।
ওমর : পছন্দ হয়েছে।
আয়েশা : অনেক পছন্দ হয়েছে।
ওমর : হাওয়াই মিঠাই খাবে?
আয়েশা : হুম খাওয়া যায়।
দু’জন দু’জনকে হাওয়াই মিঠাই খাইয়ে দিল।
________________________________________________
ওমর : এবার ভাইয়াদের কাছে যাওয়া যাক।
আয়েশা : হুম, আমি তিশাকে কল করে দেখি ওরা কোথায়।
আয়েশা : হ্যালো, কোথায় তোরা?
তিশা : আমরা আইসক্রিমের স্টলের সামনে।
আয়েশা : আচ্ছা দাঁড়া আমরা আসছি।
তিশা : আচ্ছা।
ওমর ও আয়েশা তিশাদের কাছে গেল, ওরা আইসক্রিম খেল, অনেকক্ষন ঘুরলো,সূর্য অস্ত দেখলো,এরপর একটা রেস্টুরেন্টে আসলো।
________________________________________________
ওরা রেস্টুরেন্টের রুফটপে গিয়ে বসলো,
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ,আজকের দিনটা উপহার দেওয়ার জন্য।
ওসমান : উহুম, থ্যাঙ্ক ইউ আমার সাথে আসার জন্য।
তিশা মুচকি হাসলো।
ওমর : আপু আপনি নাকি গান গাইতে পারেন?
তিশা : গানের গলা অতোটা সুন্দর না।
আয়েশা : কি সুন্দর না, ওমর ওর গানের গলা অনেক সুন্দর, আমিই তো ওর গানের ওপর ফিদা।
ওমর : তাহলে তো শুনতেই হয়,আপু একটা গান গেয়ে শুনান।
তিশা : আব,
ওসমান : শুনাও না।
তিশা : আচ্ছা।
তিশা “Tumse mohabbat Hai ” গানটা গেয়ে শুনাল।
ওমর : ওয়াও অনেক সুন্দর হয়েছে, আমিতো আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম।
তিশা : সিলিং ফ্যান নাকি টেবিল ফ্যান।
তিশার কথা শুনে ওসমান ও আয়েশা হেসে দিল।
আয়েশা : তিশার গানতো শুনলাম, ভাইয়া এবার আপনার পালা।
তিশা : হুম আমি গেয়েছি, এবার আপনাকেও গাইতে হবে।
ওসমান : আচ্ছা গান গেয়ে শুনাবো কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে।
তিশা, ওমর, আয়েশা : কি শর্ত?
ওসমান : তোমাকেও আমার সাথে গাইতে হবে।
তিশা : আচ্ছা।
________________________________________________
ওসমান : Tuhi yeh mujhko bata de
Chahoon mein ya na
Apne tu dil ka pata de
Chahoon mein ya na.
তিশা : Tuhi yeh mujhko bata de
Chahoon mein ya na
Apne tu dil ka pata de
Chahoon mein ya na.
ওসমান : Itna bata doon tujhko
Chahat pe apni
Mujhko
Yun to nahi ikhtiyaar.
Phir bhi ye socha dil ne
Ab jo laga hoon milne
Poochhoon tujhe ek
baar o….
তিশা ও ওসমান : Tuhi yeh mujhko bata de
Chahoon mein ya na
Hmm..Apne tu dil ka pata de
Chahoon mein ya na.
ওসমান : Aisi kabhi pehle
Hui na thi
Khwaahishein
O..kisi se bhi milne ki
Na ki thi koshishein.
Uljhan meri shuljha de
Chahoon mein ya na
Aankhoon aankhoon mein
Jataa de
Chahoon mein ya na.
তিশা : Mere chhote chhote
Khwaab hein
Khwaabon mein geet hain
Geeton mein zindagi hai
Chaahat hai,preet hai.
Abhi mein na dekhoon
Khwaab woo
Jin mein ne tu mile
Le khole honth maine
Ab tak the jo sile.
Mujhko na jitna mujh pe
Utna iss dil ko tujh pe
Hone lage aitbaar.
Tanha lamhon mein
Apne
Bunti hoon tere sapne
Tujhse hua mujhko
Pyar o o…..
Poochungi tujhko kabhi na
Chahoon mein ya na
Tere khaboon mein ab
Jeena…
Chahoon mein kyun naa….
ওসমান :Tuhi yeh mujhko bata de
Chahoon mein ya na
Apne tu dil ka pata de
Chahoon mein ya na.
________________________________________________
ওমর ও হাত তালি দিল,আশেপাশের লোকজনও ওদের গান মুগ্ধ হয়ে শুনছিলো, তারাও জোরে হাত তালি দিল।
ওমর : বাহ অনেক সুন্দর হয়েছে।
আয়েশা : অসাধারণ।
তিশা ও ওসমান উত্তরে মুচকি হাসলো।
ওরা ডিনার করে, আবারও রিক্সায় চড়ে বাসার দিকে যেতে লাগল।
________________________________________________
রিক্সায়,
তিশা : আমি কিন্তু আপনার গানের ফ্যান হয়ে গেছি।
ওসমান : টেবিল ফ্যান নাকি সিলিং ফ্যান।
তিশা : সিলিং ফ্যান।
দু’জন হাসে দিল।
তিশার চোখের দিকে তাকিয়ে ওসমান গেয়ে উঠলো,
ওসমান : “মায়াবি চোখে কি মায়া
যেন গোধূলি আবির মাখা
কি নেশা ছড়ালে
কি মায়ায় জড়ালে
কি নেশা ছড়ালে
কি মায়ায় জড়ালে”
তিশা ওসমানের দিকে একমনে তাকিয়ে আছে,তিশাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে
ওসমান বললো,
গানটা খুব সুন্দর তাই গাইলাম।গানটা সুন্দর না?
তিশা : হুম সুন্দর।
________________________________________________
রিক্সা জ্যামে আটকে পরলো।
তিশা : রাস্তায় বের হলেই জ্যামে পরতে হয়।
ওসমান : হুম বিরক্তিকর ব্যাপার।
হঠাৎ পেছন থেকে একটা সিএনজির জোরে ধাক্কা লাগায় তিশা পরে যেতে নিলেই ওসমান ডান হাত দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে। ধাক্কা লাগায় তিশা ভয় পেয়েছিল।
ওসমান : আর ইউ ওকে?
তিশা : হুম।
ওসমান সিএনজি ড্রাইভারকে কিছু বলতে নিবে,
তিশা : থাক কিছু বলতে হবেনা।
ওসমান : কিছু বলবো না মানে কি আরেকটু হলেই তো তুমি পরে যেতে।
তিশা : আচ্ছা, আপনি মাথা গরম করেননা।
তিশা অনেক বুঝানোর পর ওসমানের রাগ কিছুটা কমে।
রিক্সা আবারও চলতে লাগলো।
তিশা ও আয়েশাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে ওমর, ওসমানও চলে গেল।
________________________________________________
তিশার রুমে,
তিশা : [মনে মনে] : কি রাগ রে বাবা,আরেকটু হলেই তো উনি মারামারি শুরু করে দিতেন। যাই বলিনা কেন উনি আমার অনেক খেয়াল রাখে। গানটা তখন কেন গাইলো শুধু সুন্দর বলে গেয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণ আছে?
তিশা ওসমানের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরলো।
________________________________________________
এভাবে আরো কিছু দিন কেটে গেল।
রাত ১ টা,
তিশা ঘুমিয়ে ছিল, হঠাৎ তিশার ফোন বেজে উঠল,
তিশা ঘুম ঘুম চোখে স্কিনের দিকে তাকিয়ে কল রিসিভ করলো,ঘুম জড়ানো কন্ঠে,
তিশা : হ্যালো,
#উপন্যাসের_শেষ_পাতায়_তুমি
#Writer_Tanisha_Akter_Tisha
#Part_9
কপি নিষিদ্ধ ❌
ঘুম জড়ানো কন্ঠে,
তিশা : হ্যালো,
ওসমান : ঘুমাচ্ছিলে?
তিশা : হুম।
ওসমান : অনেক ঘুমিয়েছো, এখন উঠে নিচে আসো।
তিশা : নিচে যেয়ে কি করবো।
ওসমান : আমি নিচে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
ওসমানের কথা শুনে তিশার ঘুম পাখি উরাল দিল।
তিশা : কি!
ওসমান : জ্বি। চোখে মুখে পানি দিয়ে দ্রুত নিচে আসো।
বলেই কল কেটে দিল।
তিশা : আরে, হ্যালো, যাহ কল কেটে দিল,এতো রাতে নিচে আসলো কেন?
তিশা ফ্রেস হলো, আয়েশা ঘুমিয়ে থাকায় বাহির থেকে দরজা লক করে নিচে চলে গেল।
________________________________________________
নিচে এসে দেখে ওসমান বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তিশা : এতো রাতে এসেছেন কেন?
ওসমান : তোমাকে রাতের ঢাকা দেখাতে নিয়ে যাবো তাই। [মুচকি হাসি দিয়ে বললো]
তিশা : আপনি কি পাগল, ঘুম নষ্ট করে ঘুরতে যেতে চাচ্ছেন।
ওসমান : ওহ হো চলো তো, এতো ঘুমিয়ে কি হবে,বাইকে উঠো জলদি।
তিশা : এ কোন পাগলের পাল্লায় পরলামরে বাবা।
ওসমান : ওসমান পাগলের পাল্লায় পরেছো।
তিশা বাইকে উঠে বসলো,ওসমানও বাইক স্টার্ট দিল।
ওসমান : ধরে বসো।
তিশা ওসমানের কাধেঁ হাত রাখলো।
ওরা অনেকক্ষন বাইকে ঘুরলো।
________________________________________________
ওসমান : কেমন লাগলো রাতের ঢাকা?
তিশা : অনেক ভালো, দিনের বেলায় তো জ্যাম আর জ্যাম শান্তিতে নিশ্বাসও নেওয়া যায় না।
ওসমান : হুম।
তিশা : থ্যাঙ্ক ইউ,আমার রাতের ঢাকা দেখার অনেক ইচ্ছা ছিল।
ওসমান : ওয়েলকাম ম্যাম।
ওসমান : নেও চিপস।
তিশা : চিপসও নিয়ে এসেছেন।
ওসমান : হুম আরও কিছু খাবার এনেছি।রাতে তো সব দোকান বন্ধ থাকবে তাই নিয়ে এসেছি।
তিশা চিপস খেতে খেতে বললো,
তিশা : আপনার বাবা মা কেমন আছে?
ওসমানও চিপস খেতে খেতে বললো।
ওসমান : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে।
তিশা : মা বাবারা বুঝি খুব আদর করে।
ওসমান : হুম মামনি বাবা আমাদের অনেক ভালোবাসে।
তিশা : যাদের বাবা মা থাকে তারা কতো লাকি তাই না।
তিশার মুখটা মলিন হয়ে গেল।
ওসমান : সরি।
তিশা : সরি কেন?
ওসমান : আমি তোমার মন খারাপ করতে চাইনি।
তিশা : কে বলেছে আমার মন খারাপ হয়েছে,চলুন বাসায় যাওয়া যাক।
ওসমান : হুম, চলো।
ওসমান : [মনে মনে] : সরি জানপাখি, আমি বুঝতে পারিনি তুমি আমার কথা শুনে কষ্ট পাবে।এনেছিলাম তোমার মন ভালো করতে কিন্তু আমার কথায় তোমার মন খারাপ হয়ে গেল।
তিশা : কি হল চলুন।
ওসমান : হুম।
________________________________________________
ওরা কিছুটা সামনে এগোতেই,তিশা বলে উঠে,
তিশা : থামুন থামুন।
ওসমান : কি হলো?
তিশা : ঐ দেখুন ঐখানে একটা বাচ্চা বসে আছে।
ওসমান বাইক সাইড করে রাখলো, ওরা খাবার নিয়ে বাচ্চাটার কাছে গেল।
তিশা : তোমার নাম কি বাবু?
আমার নাম পিন্টু।
তিশা : তুমি একা বসে আছো কেন, তোমার বাবা মা কোথায়?
পিন্টু : আমার কেউ নাই আফা।
পিন্টুর কথা শুনে তিশার খুব কষ্ট হল।
ওসমান : তোমার কি ক্ষুদা লেগেছে?
পিন্টু : হ ভাই আমি সারাদিন কিছু খাই নাই।
তিশা : এই নাও তোমার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি।
তিশা খাবারগুলো পিন্টুর হাতে দিল, খাবার পেয়ে পিন্টু অনেক খুশি হল।
পিন্টু : ঠাংকু আফা অনেক অনেক ঠাংকু।
তিশা : ওয়েলকাম, তুমি খাও।
পিন্টু খাবারগুলো খেতে লাগলো, তিশা, ওসমানও বাইক চড়ে বসলো,
তিশা : আমরা কতোশত খাবার অপচয় করি আর ওরা দু মুঠো খাবারের জন্য কতো হাহাকার করে।
ওসমান : হুম,সবার উচিত ওদের মতো পথশিশুদের সাহায্য করা।
তিশা : হুম।
ওসমান তিশাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিল,
তিশা : সাবধানে যাবেন, বায়।
ওসমান : বায়।
ওসমান চলে গেল, তিশাও রুমে এসে শুয়ে পরলো।
________________________________________________
পরদিন সকালে,
In Office,
অফিসের সব কর্মচারীরা মিটিংরুমে বসে আছে।
ম্যানেজার : আপনাদের জন্য একটা গুড নিউজ আছে।
আমরা সবাই কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম,তাই বস আমাদের জন্য কক্সবাজারে ৩ দিন ৪ রাতের ভ্রমণের ব্যবস্থা করছেন। থাকা, খাওয়া সম্পূর্ণ খরচ কোম্পানির।সবাই ৮ তারিখ অফিসে চলে আসবেন, অফিস থেকে দুটো বাসে করে আমরা যাবো।
আরো কিছু কথা বলে মিটিং শেষ হল।
________________________________________________
তিশার কেবিনে,
আহনাফ,মেঘা,তামিম,হৃদিকা,রিক,আরিশ,
রাইসা,আয়েশা ও তিশা একসাথে কথা বলছে,
আহনাফ : অবশেষে সবাই মিলে একটা ট্রুরে যেতে পারছি।
আরিশ : কাজ করতে করতে একদম হাঁপিয়ে গিয়েছিলাম।
তামিম : ৪ দিন প্যারা মুক্ত থাকব।
মেঘা : এই ৪ দিন জাস্ট চিল আর চিল হবে।
আয়েশা : আবার জিগায়।
রিক : মিস তিশা তো আমাদের সাথে কোথাও ঘুরতেও বের হয় না, এই বার সবাই একসাথে হতে পারবো,ট্রুরটা হয়ে ভালোই হয়েছে। ঠিক বলেছিনা মিস তিশা।
তিশা জোরপূর্বক মুচকি হাসলো।
রিক:[মনে মনে]: ঐখানে যেয়েই তোমাকে প্রোপোশ করবো।
তিশা : [মনে মনে]: উফফ যাও একটু খুশি ছিলাম ট্রুরে যাওয়ার জন্য, কিন্তু এই আপদটার জন্য খুশির ১৩ টা বেজে গেল ,অফিসে তো এর জন্য শান্তি পাই না,এখন ট্রুরে যেয়েও শান্তি পাব না, আল্লাহ এরে উঠায়ে নাও।
আয়েশা : এই ট্রুরে বেশি লাভ হয়েছে আমাদের দুই লাভ বার্ডদের। মেঘা,রাইসা ঠিক বলেছিনা।
মেঘা : ঠিক বলেছো, আহনাফ যেই কিপটে কক্সবাজারে নিজের টাকায় তো আমাকে জীবনেও নিয়ে যেত না।
রাইসা : আরিশ কি কম নাকি ও ও আমাকে নিয়ে যেত না, ও শুধু মুখে মুখেই ভালোবাসে,এখনও অব্দি দুরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায়নি।
আহনাফ ও আরিশ : ইজ্জতের ফালুদা করে দিলোরে।
ওদের কথা শুনে বাকিরা হেসে দিল।
________________________________________________
In Wahid Hospital,
ওসমানের কেবিনে,
ওসমান বসে রিপোর্ট দেখছিল তখনই দরজায় কেউ নক করে।
ওসমান : কাম ইন।
সাজ্জাত : কেমন আছিস ব্রো।
ওসমান : এই তো ভালো, কতদিন পরে তোকে দেখলাম।
সাজ্জাত : লন্ডন যেয়ে তো ভুলেই গিয়েছিলি।
ওসমান : সরি ইয়ার,শুনালাম তুই নাকি বিয়ে করছিস।
সাজ্জাত : বিয়ে তো আরও আগে হয়ে যেতো, আংকেল ঢাকার বাহিরে পাঠালো তাইতো বিয়ে দু মাস পেছানো হয়েছে।
ওসমান : বাবার মনে হয় তোর সুখ সহ্য হয় নি তাই তোকে ঢাকার বাহিরে পাঠিয়েছিল।
সাজ্জাত : কি যে বলিস,ওমর কোথায়?
ওসমান : ওটি তে আছে।
সাজ্জাত : চল একটা ট্রুর দিয়ে আসি।কাজ করতে করতে নিজেকে রোবট মনে হচ্ছে।
ওসমান : এই মাসে তো সম্ভব না সামনে মাসে যেতে হবে।
সাজ্জাত : সামনে মাসেই যাবো।
ওসমান : আমি ওমরকে বলে দেখি, আর কে কে যাবে?
সাজ্জাত : ইয়াসিনকে বললে তো প্রিয়াও যাবে।
ওসমান : এই দুই লাভ বার্ড কি কখনো আলাদা হয়েছে নাকি, যে এখন হবে।তুই সবাইকে বলিস আমরা সামনে মাসে যেকোনো একটা তারিখে কক্সবাজার যাবো।
সাজ্জাত : ওকে বলে দিব নে।
________________________________________________
সন্ধ্যায় কাজ শেষে তিশা আয়েশা বের হল অফিস থেকে।
তিশা ওসমানকে অনেক কল করেছে কিন্তু প্রতিবারই ওপর পাশ থেকে ভেসে আসছে “আপনি যেই নাম্বারে কল করেছেন তা এই মুহূর্তে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা”।
তিশার এবার ভীষণ টেনশন হচ্ছে।
আয়েশা : এতো টেনশন করিস না হয়তো ফোনে চার্জ নেই।
তিশা : তুই বাসায় চলে যা।
আয়েশা : তুই কি এখন হসপিটালে যাবি?
তিশা : হুম।
আয়েশা : আচ্ছা চল আমিও যাবো।
তিশা : না, তুই বাসায় চলে যা।
বলেই ও সামনের দিকে হাটতে শুরু করলো।
আয়েশাও বাসায় চলে গেল।
________________________________________________
In Wahid Hospital,
তিশা দ্রুত পায়ে ওসমানের কেবিনে যেতে লাগল,
কেবিনে প্রবেশ করে দেখে ওসমান কপালে দু আঙ্গুল ঠেকিয়ে চেয়ারে বসে আছে। ওসমানের ফোনটা ভাঙা অবস্থায় নিচে পরে আছে।
তিশা দ্রুত ওসমানের কাছে গেল,
তিশা : কি হয়েছে আপনার?
ওসমান : তুমি এখানে!
তিশা : এটা আমার প্রশ্নের উত্তর নয়।
ওসমান : কিছু হয়নি।
তিশা : ফোন ভেঙেছে কিভাবে?
ওসমান : আমি আছাড় দিয়েছি।
তিশা : কেন?
ওসমান : সবকিছুর কৈফিয়ৎ কি তোমাকে দিতে হবে।
ওসমানের কথা শুনে তিশা ভীষণ কষ্ট পেল,ওর ফোন বন্ধ পেয়েইতো তিশার টেনশন হচ্ছিল, তাইতো হসপিটালে চলে এসেছে,কিন্তু ওসমান যে ওকে এভাবে হার্ট করবে তা তিশা বুঝতে পারেনি।
তিশা চলে যেতে নিলেই ওসমান তিশার হাত ধরে,
ওসমান : সরি তিশা আমি ঐভাবে বলতে চাইনি,আই অ্যাম রিয়েলি ভেরি সরি।
তিশা : আমি আপনার কেউ না তাই সরি বলতে হবেনা,আমার এখানে আসাই উচিত হয়নি, ভুল তো আমারই কেন যে নিজেকে এতো ইমপোর্টেন্ট মনে করি।হাত ছারুন।
ওসমান : তিশা সরি তিশা।
তিশা : হাত ছারতে বলছি।
ওসমান : সরি।
তিশা : ছারুন হাত। [ঝাড়া দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিল।]
ওসমান : আমি বুঝতে পারিনি তুমি এখন আসবে, আসলে আমি খুব টেনশনে আছি,বুঝতে পারিনি তোমাকে এভাবে হার্ট করে ফেলবো, আসলে মাথা ঠিক ছিল না,অ্যাম সো সরি।
তিশা : কেন চিন্তিত ছিলেন?
ওসমান : তুমি আগে বসো।
তিশা চেয়ারে বসলো।
তিশা : হুম বলুন।
ওসমান : একজন পেশেন্টের অবস্থা খুবই খারাপ কোনো ভাবেই রিকোভার হচ্ছে না,বুঝতে পারছিনা কি করবো,নিজের উপরই রাগ হচ্ছে, কেন কোনো সোলিউশন বের করতে পারছিনা,তাই
তিশা : তাই রাগ জিদ বেচারা ফোনটার উপর ঝেরেছেন কি তাই তো।
ওসমান : হুম।কি করবো বুঝতে পারছি না।
তিশা : শুনেন ঠান্ডা মাথায় পেশেন্ট টার রিপোর্ট আবার মন দিয়ে চেক করুন, প্রয়োজন পরলে আবারও টেস্ট করুন,দেখবেন সোলিউশন বের হবে।
মনে রাখবেন সব কিছু ঠান্ডা মাথায় করবেন, হাইপার হলে কিন্তু সব গুলিয়ে ফেলবেন।
ওসমান তিশার কথা গুলো মন দিয়ে শুনছিল।
ওসমান : তোমার কথা মতন কাজ করে দেখি কোনো সোলিউশন বের হয় কি না।
তিশা : হুম।
ওসমান : এত রাতে এখানে কেন আসলে?
তিশা : আপনাকে ৩০ টা কল করেছি প্রতিবারই বন্ধ বলছিল তাই তো টেনশন হয়েছিল,তাই সাত পাঁচ না ভেবে দ্রুত হসপিটালে চলে আসলাম।
ওসমান : ৩০ টা কল!
তিশা : জ্বি।
ওসমান : এত গুলো কল করেছো,কিছু কি হয়েছে?
তিশা : না কিছু হয়নি, শুধু একটা কথা বলার জন্য কল করে ছিলাম।
ওসমান : হুম বলো।
তিশা : আমাদের অফিসে ৩ দিন ৪ রাতের কক্সবাজারে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেটাই বলতে কল করে ছিলাম।
ওসমান : কত তারিখে যাবে?
তিশা : ৮ তারিখ যাবো।
ওসমান : ওহ ১১ দিন পর।
তিশা : হুম,আচ্ছা আজ আসি।
ওসমান : আমি তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি।
তিশা : তার প্রয়োজন নেই, এমনিতেই আপনি টেনশনে আছেন,শুধু শুধু আমাকে দিয়ে আসতে হবেনা।
ওসমান : আমি পাগল নাকি তোমাকে এত রাতে একা ছারবো, চুপচাপ আমার সাথে চলো।
তিশা : [মনে মনে]: হায়রে এ কেমন পাবলিক একটু আগেই রাগ দেখালো,এখন আবার কেয়ার দেখাচ্ছে।
ওসমান তিশাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে নিজেও বাসায় চলে আসলো।
________________________________________________
ওমরের রুমে,
ওসমান : আসবো?
ওমর : হ্যাঁ ভাইয়া আসো।
ওসমান : কি করছিলি?
ওমর : এইতো আয়েশার সাথে কথা বলছিলাম।
ওসমান : ওহ,আজকে সাজ্জাত এসেছিল হসপিটালে।
ওমর : কই আমার সাথে তো দেখা হয়নি।
ওসমান : তুই তখন ওটিতে ছিলি।
ওমর : ও আচ্ছা।
ওসমান : সাজ্জাত ট্রুরে যেতে চাচ্ছে।
ওমর : বাহ ভালোতো কবে যাবে কোথায় যাবে,আর কে কে যাবে?
ওসমান : আগামী মাসের ৮ তারিখ যাবো কক্সবাজার আর আমরা ৬/৭ জন যাবো।
ওমর : ৮ তারিখ তো আয়েশারাও যাবে।
ওসমান : তার জন্যই তো আমরাও ৮ তারিখ যাবো।
ওমর : আচ্ছা আমি আয়েশাকে কল করে জানিয়ে দেই।
ওসমান : উহুম,এখন জানাতে হবে না, আমরা ঐখানে যেয়ে ওদের চমকে দিবো।
ওমর : আচ্ছা ঠিক আছে।
ওসমান : হুম,আচ্ছা আমি যাই।
ওমর : আচ্ছা।
ওসমান ওর রুমে চলে গেল।
________________________________________________
তিশার রুমে,
আয়েশা : কি হয়েছিল ওসমান ভাইয়ার?
তিশা আয়েশাকে সব বলল।
আয়েশা : তোর জায়গায় আমি থাকলে তখনই কান্না করে দিতাম।
তিশা : তুই তো ছিচকাদুনে।
আয়েশা : হুহ বলেছে ছিচকাদুনে থাক তুই আমি গেলাম।
তিশা : হুম।
________________________________________________
পরদিন সকালে,
তিশার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করায় আজ অফিসে যায়নি,আয়েশা আরো আগে চলে গেছে।
ঘরে বসে বসে বোরিং লাগছিল তাই তিশা হাটতে বের হয়েছে।
হাটতে হাটতে কিছুটা সামনে এসে দেখলো,
চলবে কি?
[