কলঙ্কের ফুল পর্ব ২৫

#কলঙ্কের_ফুল
#পর্ব_২৫
#Saji_Afroz
.
.
.
রাজীবের মুখে এবরোশনের কথা শুনে থমকে যায় মেহেরীকা।
.
স্তব্ধভাবে মেহেরীকাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রাজীব বললো-
দেখো মেহের তোমার সাথে সাথে আমার জন্মদাত্রী মায়ের কথাও আমাকে ভাবতে হবে আমার। এই বাচ্চা তিনি মেনে নিবেন না কিছুতেই।
বাচ্চার কথা শুনলে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বেন তিনি। আর যদি আমি জোর দিয়েও বলি আমার বাচ্চা আমার ব্যাপার। তবুও তিনি কষ্ট পাবেন। এতোবড় ভুল আমি করেছি বিয়ের আগে এটাও তিনি মানতে পারবেন না। তাই সব দিক থেকে এবরোশন করানো আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। শুধু তোমার জন্য আমি লড়তে পারবো। এই বাচ্চার দায়িত্ব আমি নিতে পারবোনা মেহের। আমায় ক্ষমা করো।
.
.
.
-আমার আজ হাসপাতালে যাওয়া উচিত ছিলো। অনেক পুরোনো কর্মচারী তিনি, শরীরটা ভালো লাগছিলোনা বলে যেতে পারলাম না।
.
আমজাদ চৌধুরীর কথা শুনে সালেহা চৌধুরী বললেন-
আজ তোমার দুই ছেলে ওখানে ছিলো, কাল যাবে আর কি তুমি!
-হুম।
-দেখি উঠো। তৈরী হয়ে নাও।
-কেনো?
-আরে আজ তোমার মেয়েকে দেখতে আসবে। ভূলে গিয়েছো?
-দেখতে দেখতে আমাদের দিবা অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কতো বড় হয়ে গিয়েছে তাইনা সে?
-হুম।
-কিন্তু সত্যি বলতে তাকে এখন বিয়ে দেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই আমার।
-ভালো ছেলেই পছন্দ করেছে সে। একদিনতো বিয়ে করতেই হবে।
-তাতো হবেই। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি! অন্তত আরো ২-৩বছর পর….
-তোমার ইচ্ছে না হলে আকদ সেরে রেখে পরে তুলে দিও মেয়ে।
-হুম সেই ভালো হবে। কথা বলে দেখবো ছেলের পরিবারের সাথে।
.
.
.
রাজীবের মুখে এবরোশনের কথা শুনে কি বলা উচিত মেহেরীকা বুঝে উঠতে পারছেনা।
পেটের উপর হাত দিয়ে নিজে নিজে বিড়বিড় করে বললো-
সত্যি আছিস কেউ?
তার মনে হচ্ছে কেউ খুব আদরী স্বরে বলছে,
“আম্মু আমি আছি। আমাকে মেরোনা আম্মু।”
.
চোখ জোড়া বন্ধ করে লম্বা একটা দম ফেললো মেহেরীকা।
রাজীবের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো-
আমি এটা পারবোনা। যে আসতে চলেছে সে আমার অংশ। আমাকে তুমি ভালোবাসো তাইনা রাজীব? তাহলে আমার অংশ মেনে তাকেও মেনে নাওনা প্লিজ?
-এটা শুধু আমার জন্য নয় মেহের। আমার মায়ের অবস্থা তুমি দেখছোনা? তাছাড়া সমাজ বলতেও কিছু একটা আছে। সবাই বলবে আমার মা বাবা আমাকে শিক্ষাই দিতে পারেনি।
-আমরা দূরে কোথাও চলে
যাই? অন্তত এক বছরের জন্য? পরে কেউ কিছু বলবেনা।
-আমার পরিবারের আমিই একমাত্র ছেলে মেহের!
.
.
.
বাসায় প্রবেশ করে নিজের রুমে দ্রুতবেগে এগিয়ে যায় আদি।
রুমে এসে ফাঁকা রুমটা দেখে তার বুকটাও ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।
.
সত্যিই তুমি চলে গিয়েছো মেহের? শেষ বারের মতো আমার সাথে দেখাটাও করলেনা তুমি! হয়তো আমি আসতে পারিনি কিন্তু তুমি কি পারতেনা অপেক্ষা করতে? এতোদিনে তোমার মনে একটুখানি জায়গাও কি আমি করতে পারিনি!
.
আপনমনে কথা বলে পকেট থেকে ফোন বের করে ডায়াল করে মেহেরীকার নাম্বারে।
নাহ, ফোন এখনো বন্ধ।
আদি আরেকটা মেসেজ লিখে সেন্ড করে মেহেরীকার ফোন নাম্বারে-
Mobile on korlei amake ekta khobor dio plz tomar. Shudu thik acho kina ta janale colbe Meher.
.
-তার মানে তুমি বাচ্চাটার দায়িত্ব নিতে পারবেনা?
.
মেহেরীকার কথা শুনে ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে রাজীব বললো-
না।
-ঠিক আছে। তবে একটা কথা রাখবে আমার?
-কি?
-সুপ্তি আপুকে বিয়ে করে নিও তুমি। আমি আসি তাহলে।
-তুমি কোথায় যাবে?
-জানিনা।
.
মেহেরীকা এক পা বাড়াতেই রাজীবের ডাকে থেমে যায়। রাজীব কি তাকে মেনে নিবে বলেই ডেকেছে?
.
পেছনে তাকিয়ে ছলছল চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলো-
কি?
.
পকেট থেকে ফোন বের করে রাজীব তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো-
তোমার ফোন।
.
রাজীবের হাত থেকে ফোনটি নিয়ে তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে মেহেরীকা বললো-
ধন্যবাদ।
-আদিয়াত চৌধুরীর কাছে ফিরে যাও মেহের।
-কোন মুখে?
-তোমাদের ডিল হয়েছিলো।
-এতক্ষণ তা মনে ছিলোনা?
-এই সময়ে কোথায় যাবে তুমি!
-তোমার ভাবতে হবেনা। অনেক করেছো আমার জন্য তুমি।
আসি এখন।
.
কয়েক কদম এগিয়ে যেতেই মেহেরীকা দেখা পায় সুপ্তির।
তার দিকে তাকিয়ে মেহেরীকা বললো-
তোমার ভালোবাসা হয়তো আমার ভালোবাসার চেয়ে গভীর ছিলো। তাই আজ রাজীব তোমার হতে চলেছে।
ভালো থেকো তোমরা।
.
কথাটি বলেই মেহেরীকা সামনের দিকে এগুতে থাকে।
তার চলে যাওয়া দেখে রাজীবের চোখ ছলছল করে উঠে।
আজ বুঝি সত্যিই সে তার মেহেরকে হারিয়ে ফেললো!
.
মেহেরীকার কথার মানে বুঝতে না পেরে রাজীবের কাছে এগিয়ে এসে সুপ্তি বললো-
কি বলে গেলো মেহেরীকা?
আর সে চলে যাচ্ছে কেনো?
-সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায়না সুপ্তি। কিন্তু আমার সাথেই এটা কেনো হলো বলতে পারিস!
.
.
.
-ভাইয়া?
.
দিবার ডাকে ভাবনার জগৎ থেকে বের হয় আদি।
মেহেরীকার কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখ বেয়ে পানি পড়ছিলো বুঝতেই পারেনি সে।
হাত জোড়া দিয়ে দুচোখ মুছে মেহেরীকার উদ্দেশ্যে সে বললো-
আরে দিবা! সবুজ শাড়িতে আমার বোনটাকে সেই মানিয়েছে!
.
ভেতরে এসে আদির পাশে বসে দিবা বললো-
কি হয়েছে ভাই তোর?
-কিছুনাতো।
-ছোট ভাবী কোথায়?
-আছে, চলে আসবে।
-গিয়েছে কোথায়?
-ওসব বাদ দে। তোর বফ এর পরিবার কখন আসবে?
-৬টা বাজতে চললো। এতোক্ষণে আসার কথা।
.
-আসার কথা না, চলে এসেছে।
.
মিলির কথা শুনে বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে দিবা বললো-
কখন?
-একটু আগেই। তোমাকে খুঁজতে গিয়েছিলাম তোমার রুমে।
-আমি ছোট ভাবী ফিরলো কিনা দেখতে আসলাম।
-ফিরেনি?
-না ফিরেনি।
-আচ্ছা তুমি আসো। তোমার খোঁজ করবে একটু পরে তারা।
-চলো।
.
আদির দিকে তাকিয়ে মিলি বললো-
এই যে? তুমি সোজা ড্রয়িং রুমে চলে যাও। কথা বলো তাদের সাথে, ভাই বলে কথা।
-হুম ভাবী।
-শুধু কথা না, জেরাও করবে বুঝছো।
.
মিলির কথা শুনে ভ্রুজোড়া কুচকে দিবা বলে উঠলো-
ভাবী!
.
.
.
এখন নিজের জীবনটার প্রতি বিতৃষ্ণা জমে গিয়েছে।
মনে হচ্ছে এই পৃথিবীতে আমিই আমার অভিশাপ।
জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আমি প্রায় হেরেই গিয়েছি।
আমার জীবনে হয়তো ভালো কিছু আর ঘটবে না।
আমার ভাগ্যে হয়তো ভালো কিছু লেখাই হয়নি।
স্বপ্ন দেখা হয়তো খুব সহজ! কিন্তু তা পূরণ হওয়া খুব কঠিন। তাই হয়তো আমি স্বপ্ন শুধু দেখেই যাচ্ছি কিন্তু তা কখনোই ধরা দিচ্ছেনা আমাকে।
.
আপনমনে কথাগুলো বলে রাস্তার ধারে হেটে চলেছে মেহেরীকা।
কোথায় যাবে? বাবার বাড়ি?
সেখানে তা সৎ মা জানলেই বাচ্চাটাকে মেরে ফেলবে।
এই অবস্থায় আর কোথায় যেতে পারে সে?
.
ফোনটা অন করে মেহেরীকা।
সাথে সাথে চোখে পড়ে আদির দেওয়া মেসেজগুলো।
এসব দেখে তার চোখ ছলছল করে উঠলো।
এতো ভালো কেনো এই আদিয়াত নামক মানুষটা!
একটা খবর পেতে এতো মরিয়া হয়ে আছে সে!
আচ্ছা আদিয়াততো বলেছিলো যত যাই হোক তার কাছে ফিরে গেলে মেনে নিবে তাকে।
কিন্তু বাচ্চাটার কথা জানতে পারলে সেও কি রাজীবের মতো পরিবার আর সমাজের ভয় করবে? নাকি সব কিছু পেছনে ফেলে নিজের করে নিবে তাকে?
নাহ, কি ভাবছে সে!
এতোটা স্বার্থপর সে হতে পারেনা। এই অভিশপ্ত জীবনের সাথে আদিয়াত এর জীবন জড়িয়ে নষ্ট করার কোনো মানে হয়না।
.
নিজের মনে এসব ভেবে মেহেরীকা ডায়াল করে আনিকার নাম্বারে।
.
.
.
-আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে এই কথায় থাক। বিয়েটা ২বছর পর হবে, আপাতত আকদ টা সেরে রাখি।
.
আমজাদ চৌধুরীর কথা শুনে দিবার বফ এর বাবা বলেন-
ঠিক আছে ভাইসাহেব। তাহলে আগামী সপ্তাহেই আকদটা সেরে ফেলা যাক?
-আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
-ঠিক আছে। আজ আমরা আসি?
.
সালেহা চৌধুরী বলে উঠেন
-তা হচ্ছেনা। ভাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
-আরে প্রথম দিনে এসেই ভাত খাবো!
-তাতে কি হয়েছে। ভালোইতো লাগছে গল্প করতে। আপনার লাগছেনা?
-হুম তা লাগছে।
.
দুই পরিবারের কথপোকথন শুনে আদি নিজের রুমের দিকে এগিয়ে যায়।
এতোক্ষণেও মেহেরীকার খবর পাওয়া যাচ্ছেনা, এভাবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয়না।
কিন্তু কি করা যায়!
.
হঠাৎ আদির মনে পড়ে আনিকার কথা।
তার কাছে যায়নিতো মেহের?
কিন্তু এখন কোথায় পাবে সে আনিকার ফোন নাম্বার?
.
.
.
-তুই পাগল হয়ে গিয়েছিস মেহেরীকা! এখুনি চলে যা তুই আদিয়াত ভাইয়ার কাছে।
-আমি যাবোনা আনিকা। কয়েকটা দিন আমাকে থাকতে দে এখানে, তারপর একটা ব্যবস্থা করে নিবো।
-তুই থাকলে আমার
কোনো অসুবিধে হবেনারে পাগলি।
-তাহলে আমাকে যেতে বলিস না।
-ঠিক আছে বলবোনা।
-তুই বাসায় একা কেনো?
রায়হান ভাইয়া আর তার পরিবার কোথায়?
-রায়হানের পরিবার তার খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছে। আর রায়হানতো রাত করেই প্রতিদিন বাসায় ফিরে কাজ শেষে।
-তুই ভাগ্যবতীরে। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়েছিস।
-তুইও ভাগ্যবতী। আদিয়াত চৌধুরীর মতো একজন স্বামী পেয়েছিস। কিন্তু কি এমন হলো যে তুই ওই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিস বুঝলাম না।
-বুঝতে হবেনা, আমার ঘুম পাচ্ছে। রুম দেখিয়ে কোথায় শোবো।
.
মেহেরীকার কথায় হেসে আনিকা বললো-
আয়, দেখিয়ে দিচ্ছি। তবে ঘুমাবিনা। খেয়েই ঘুমাবি।
.
কেনো যেনো আনিকাকে আজ সত্যিটা বলতে ইচ্ছে করছেনা মেহেরীকার। তবে একদিন না একদিনতো বলতেই হবে।
.
.
.
সকাল ৭টা….
চোখ জোড়া মিটিমিটি করে খুলে উঠে বসে মেহেরীকা।
কিন্তু তার পাশে আদিয়াতকে বসে থাকতে দেখে চমকে যায় সে।
চোখ জোড়া কচলাতে কচলাতে বললো-
এটা স্বপ্ন নাকি সত্যি!
.
মুচকি হেসে আদি বললো-
সত্যিই ম্যাম।
-কিন্তু তুমি এখানে কি করে? নিশ্চয় আনিকা বলেছে তোমাকে ফোন করেছিলো?
-একদমই না।
-তাহলে!
-তাহলে আবার কি! আনিকার বিয়ের কার্ড থেকে ওর নাম্বার জোগাড় করলাম।
-কিভাবে!
-কার্ডে যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আনিকার ভাই অনিলের ফোন নাম্বার দেওয়া ছিলো। তাকে ফোন করে আনিকার নাম্বারটা নিলাম। আর আনিকার কাছেই জানতে পারলাম তুমি এখানে।
-আনিকা আমায় বললোনা!
-আরে তখন রাত ১টা।
মাথায় তখনি এসেছিলো কার্ড এর কথা।
আর আমিই তাকে বলতে নিষেধ করেছি, তোমায় না জানানোর জন্য।
.
ভেতরে এসে আনিকা হাসতে হাসতে বললো-
এতো বুদ্ধি ভাইয়া আপনার মাথায়! কিভাবে আমার নাম্বারটা জোগাড় করে ফেললেন আপনি!
জবাব নেই আপনার।
-ধন্যবাদ।
-এবার আপনার বউ এর রাগ ভাঙ্গিয়ে নিয়ে যান তাকে।
-তাতো নিয়ে যাবোই।
.
-না আমি যাবোনা।
.
মেহেরীকার কথা শুনে আদি দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে বললো-
ভালোই ভালোই যাবে নাকি
তুলে নিয়ে যাবো?
.
.
.
আনিকার বাসায় সকালের নাস্তা সেরে আদি বললো-
তাহলে আমরা উঠি এখন?
-ঠিক আছে।
.
মেহেরীকা আনিকার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো-
তোর হাসবেন্ড কই?
-সেতো কাল তুই বাসায় এসেছিস শুনে এলোনা। বললো তোর সাথে থাকতে সে রাতে ফিরবেনা। বন্ধুর বাসায় ছিলো। তুই ঘুমিয়েছিলি বলে ডাকিনি তোকে আর।
.
তাদের কথা শুনে আদি বলে উঠলো-
বিয়ের দিন আমি আনিকার বরকেই দেখিনি।
বর দেখা ছাড়াই খেয়েদেয়ে চলে এসেছি।
.
আনিকা মৃদু হেসে বললো-
কিভাবে দেখবেন! আপনিতো ছেলেদের ওখানে ছিলেন না। মেহেরীকার পেছনেই ছিলেন।
-তা অবশ্য ঠিক।
-আরেকদিন নিশ্চয় দেখা করাবো আপনার সাথে। সময় করে একদিন আসতে হবে কিন্তু।
-নিশ্চয় আসবো।
.
.
.
গাড়িতে গম্ভীর মুখে বসে আছে মেহেরীকা।
তার দিকে তাকিয়ে হাকলা কেশে আদি বললো-
ভালোবাসার মানুষের কাছে না গিয়ে বান্ধবীর বাসায় কেনো গিয়েছো?
-আমার ব্যাপার সেটা।
-তোমার ব্যাপার নয়। ডিল হয়েছিলো আমাদের। সানিয়ার বিয়ে না হওয়া অবধি তুমি কোথাও যেতে পারবেনা, বুঝেছো?
-হু।
-কাল বাসার সবাই কতো চিন্তা করেছে তোমার জন্য জানো?
-দিবাকে দেখতে এসেছিলো?
-হুম।
-কেমন দেখতে ছেলে?
-স্মার্ট। আমারতো ভালোই লেগেছে। ওহ আমার মোবাইলে ছবি আছে। দেখবে?
-হু।
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here