###__ঝরে_যাওয়া_বেলীফুল__###
#পর্ব_৩০
লেখিকা : আফরোজা আক্তার
দুই দিন পর ,
সকাল বেলা বেলী আর মিনু রান্নাঘরে কাজ করছে । ইরফান অফিসে যাবে । নাস্তা গুলো তাড়াতাড়ি টেবিলে দিতে হবে । তাই যত দ্রুত সম্ভব হাত চালায় বেলী । এরই মাঝে মিনু বলতে শুরু করে ,
– ভাবী,,,,,,?
– হু ,
– আমারে একখান কতা কন দেহি ?
– হু বলো ,
– আইচ্ছা ভাবী , শয়তানি ডা ,,,,,,,
– আহহহহহ মিনু , ওনার নাম আছে । নাম ধরে বলো ।
– আইচ্ছা আইচ্ছা , রুবি আফাই কই এহন তো আর হেতি আমাগো ভাইয়ের কেউ লাগে না । ভাবী আন্নের কি মনে অয় , হেতি এত তাত্তাড়ি ডিফোস কিসের জন্যে দিবার চায় ।
– ওইটা ডিফোস না , তুমি বাংলাতেই বলো তালাক আর কি ।
– ওই তো অইলো একডা তালাক আর তুলাক । তা হের মাতায় কোন ভূত সোয়ার অইছে আল্লাহ মালুম ।
– তোমার ভাই অনেক চিন্তিত , জানি না কি হতে চলেছে । রুবি আপু কেন যে এইসব করতে গেলো ।
– ভাইয়ে চিন্তিত নাকি আপনে চিন্তিত আপনের সতীন বিদায়ের দুঃখে ।
– কাজ করো তো ,
– মায়া দয়া মাইনষের লাই রাখিয়েন বুজ্জেন নি শয়তানের লাই মায়া দয়া রাখি লাভ নাই । আস্তারা অসিভ্য আছিল ।
– আহহহহ মিনু ,
– আহহহহ উহহহহ কইরেন না তো ভাবী , আমি তো ভাবছিলাম বড় মজ্জিদে ১০০ টাহা দিমু । আপদ বিদায় হইতাছে ।
– এইসব বলো না মিনু , আল্লাহ পাকের লীলাখেলা আমরা কেউই বুঝি না । তিনি কার ভাগ্যে কি রেখেছেন তাও আমাদের প্রত্যেকের কাছে অজানা । এইসব আমরা কেউই জানি না , কেউই বুঝি না ।
– জানতাম চাইও না , বুঝবারও চাই না । আমি খালি বুঝি আপদ বিদায় হইতাছে , এডাই শান্তি আমার ।
মিনুকে দেখে বেশ খুশিই লাগছিল । মনে হচ্ছিল মিনু যেনো এমন একটা দিনের জন্যে অপেক্ষা করছিল । মিনু এই বাড়িতে আসে রুবি আসার ঠিক এক মাস পর । ইরফানের একটা কাজের বুয়ার প্রয়োজন ছিল যদিও তখন বেলীই ছিল তার চোখে বুয়া । তবুও রুবির কথায় আরও একটা বুয়ার প্রয়োজন আছে তাই ইরফান কার সাথে যেন যোগাযোগ করে মিনুকে নিয়ে আসে । কিন্তু মিনু সেই প্রথম থেকেই কেন জানি রুবিকে পছন্দ করতো না । তার কেন জানি বেলীকেই ভালো লাগতো । আর সব থেকে খারাপ লাগা যদি তার থেকে থাকে তা ছিল ইরফানের বেলীকে মারধর করা । বেলীকে এক রক সময় দেখে মিনুও কাঁদতো ।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে মিনু আবারও বলতে থাকে ,
– শয়তান এইডা ঘরে আছিল ঘরে হারাদিন ঝগড়া লাইগা থাকতো , শয়তান এইডা এক ওয়াক্ত নামাজ তো পড়েই না , তার উফ্রে ভাইয়েরে এইডা সেইডা কইয়া আপনেরে ফিডা খাওয়াইতো । এহহহ খবিশ মাতারি , যহন দেখছে ভাইয়ে আমার বেলী ভাবীরে ভালাবাসে থহনই হের জ্বলন শুরু । দেখছেন নি ভাবী আমি কইছিলাম না , ভাবী আল্লাহ আছে একজন । শয়তানের বিচার এমনেই করে আল্লাহ । শয়তান এমনেই মরে । ওহন মরুক নাইলে জাহান্নামে যাউক , আমাগো কি ।
– মিনু বাদ দাও , তোমার ভাই শুনলে কি ভাববে ।
– কচুর ছড়া ডা আছে না ? হেই কচুর ছড়াডা ভাববো । এক্কেবারে ভালা হইছে ভাইয়েও মুক্তি পাইবো এই ডাইনীর হাত থিকা ।
মিনুর বক বক নন-স্টপ চলতেই আছে । বেলী আর কথা বাড়ায় নি । সমস্ত নাস্তা এনে টেবিলে সাজিয়ে দেয় । সাড়ে ৮ টা বেজে গেছে । ইরফান এলো বলে ।
তার পর পরই ইরফান চলে আসে । বেলী সব সাজিয়ে আগেই রেখে দিয়েছে । ইরফান শুধু বসবে আর খাওয়া শুরু করবে । বেলী এমনি , সব কিছু ইরফানের হাতের কাছে এনে রাখবে । যাতে ইরফানের কিছু নেক্সট টাইম চাইতে না হয় । এই জন্যই হয়তো খাওয়ার সময় ইরফানের বেলীকেই লাগে ।
– বেলী ,
– জ্বি ,
– তুমিও বসে যাও ,
– নাহ আপনি খেয়ে নেন ।
– নাহ সমস্যা নাই , এক সাথে বসেই খাই ।
– আচ্ছা ।
ইরফানের কথা গুলো খুব সহজেই মেনে নেয় বেলী । কেন জানি হাজারো চেষ্টা করলেও বেলী ইরফানের দিক থেকে মুখ ফেরাতে পারে না । ইরফান ওই রকমই মানুষ , যার কথা বলা , যার চাল চলনে পাগল বেলী যদিও সে মুখ কিছুই স্বীকার করে না । বেলী যে ইরফানকে চোখে হারায় আর সে যে ইরফান বলতে অজ্ঞান এটা ইরফানও বেশ ভালো বুঝতে পারে তাই নিজেও তেমন কিছু বলে না । তবে সে রাতে রুবির সাথে জিদ করে বেলীকে বকে দিয়েছে ইরফান । সে নিজের বলা কথার জন্যে খুব লজ্জিত । তার উপর কিছু শব্দ ব্যবহার করেছিল বেলীর সামনে । তার মুখ থেকে সব থেকে বাজে শব্দটাই বেলীর জন্য ছিল যা হলো লাথাতে লাথাতে নিচে ফেলে দিবে । কিন্তু সে কি করতো , তার মাথা কাজ করছিল না তখন । তার উপর বেলীর এমন মানবদরদী কথা যা তার একদম পছন্দ হয় নি । যার জন্যই মুখ থেকে বেরিয়ে গেছিলো । এখন খুব খারাপ লাগছে ইরফানের । তাই নিজ থেকেই সে রাতের টপিকটা তুলে ইরফান ,
– বেলী ,
– হু ,
– রাগ করে আছো ?
– নাহ , একদম নাহ ।
– সে রাতের জন্যে দুঃখিত বেলী ।
– বাদ দিন , আসলে আমি,,,,,,,
– আপনি খুব চিন্তায় ছিলেন আর আমিই বোকার মত আবল তাবল বলে যাচ্ছিলাম , আপনার জায়গায় আমি থাকলেও এমনটাই হতো ।
– ক্ষমা করে দাও , প্লিজ ।
– ছিহ , কি সব বলেন । এইসব বলবেন নাহ ।
ইরফান আর বেলী নাস্তা খাওয়ার সময় ইরফানের মোবাইলে ফোন আসে । অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসায় একটু দ্রুতই ফোনটা রিসিভ করে নেয় ইরফান ।
– হ্যালো ,
– হ্যালো , ইরফান মাহমুদ ?
– জ্বি ইরফান মাহমুদ , কে বলছিলেন ?
– আমি এডভোকেট রাশেদ বলছিলাম ।
– জ্বি বলুন ,
– মিসেস রুবি মাহমুদ ডির্ভোস ফাইল করেছিলেন , আপনি কি আমার চেম্বারে আসবেন নাকি আমি আপনার বাসায় পেপার পাঠাবো ?
বাসায় এই পেপার আসলে বেলী আবার ডিপ্রেশনে পড়ে যাবে । এইসব ঝামেলা সে বেলীর আশেপাশেও দেখতে চায় না আর । অন্যদিকে বেলী সামনে থাকায় ক্লিয়ারলি কথাও বলতে পারছে না । তাই বুদ্ধি করে ঘুরিয়ে কথা বলে দেয় ।
– নাহ নাহ , আমিই আসবো আপনার চেম্বারে ।
– আর ইউ সিউর মিষ্টার মাহমুদ ?
– ইয়ায়ায়া আই এম সিউর ,
– ওকে , থ্যাংকস ।
– কখন আসতে হবে ?
– বিকেল ৪ টায় ।
– আচ্ছা , ধন্যবাদ ।
চেম্বারের কথা শুনে চোখ তুলে ইরফানের দিকে তাকায় বেলী ।
– আপনি কি অসুস্থ ?
– কই না তো ,
– তাহলে যে বললেন চেম্বারে যাবেন ।
– হা হা , বোকা মেয়েকে নিয়ে কোথাও যাবো আমি । এই বোকা চেম্বার কি শুধুই ডক্টরের হয় । আমরা যারা বড় বড় পজিশনে থাকি তাদের যেই কেবিন থাকে তাকেও চেম্বার বলে ।
– ওহ ,
– বুঝলা এখন ?
– হু ,
– এক স্যার ফোন করেছিলেন , বিকেলে ওনার চেম্বারে যেতে হবে ।
– ওহ ,
এইসব বলে কথা কাটিয়ে দেয় ইরফান । রুবি তাহলে তার কথাই রেখেছে । সে তার মতই করেছে । যা বলেছিল ঠিক তাই করেছে সে । অবশেষে ডির্ভোস ফাইল করেই দিয়েছে ।
– ভালোই হলো , আবেগ দিয়ে আর কত দিন আটকে রাখতাম । এর থেকে ভালো বিবেক খাটিয়ে সবটা মিটিয়ে নিবো ।
মনে মনে চিন্তা করতে থাকা ইরফানের গলা দিয়ে নাস্তা নামছে না ।
বেলীর নজর ইরফানের দিকে । কি যেন ভাবছিল ইরফান , তবে সাহস হয় নি কিছু জিজ্ঞেস করার । ইরফান আর তেমন বেশি কিছু বলে নি । ফোন রাখার কিছুক্ষণ পরই ইরফান বেরিয়ে যায় । বেলী আবার একা বাসায় । ইদানীং মন তার বড্ড বেশি ইরফান ইরফান করে । ইরফান চলে যাওয়ার পর বেলী চুপ করে সেখানেই বসে থাকে । হঠাৎ করেই ফোন বেজে ওঠে তার । ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে ইরফানের নাম্বার ।
– কি হলো , এই মাত্রই তো বের হলো , কিছু ভুলে গেছে নাকি ?
ভাবতে ভাবতে ফোন টা রিসিভ করে কানের কাছে নেয় বেলী ।
– হ্যালো বেলী ,
– হু ,
– তোমার রুমে যাও , গিয়ে জানালার পাশে দাড়াও ,
– আচ্ছা ।
বেলী দৌড়ে নিজের রুমে যায় আর রুমের জানালার পাশে দাঁড়ায় । নিচে তাকিয়ে দেখে ইরফান মোবাইল কানে দিয়ে উপরে তাকিয়ে আছে ।
– আমার দিকে তাকাও একবার ,
ইরফানের কথায় জানালা দিয়েই সে ইরফানের চোখের দিকে তাকায় ।
– বলেন ,
– কেন ফোন দিছি জানো ?
– উহু ,
– বলি ?
– হু ,
– ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি অনেকটা বেশিই ভালোবাসি ।
ইরফানের বলা কথাটুকু বেলীর শরীরে কেমন যেনো এক দোলা দিয়ে গেল । পুরো শরীর যেন মুহুর্তের মাঝেই ঠান্ডা হয়ে গেলো বেলীর । ঠোঁটের কোণে না চাইতেও মিষ্টি হাসি এসে গেছে তার ।
– কি হলো , কিছু বলো ?
– কি বলবো ,
– আমি যা বলেছি তার পরিপ্রেক্ষিতে যা বলার তাই বলো ।
– আমি বলবো না ভালোবাসি , শুধু বলবো হারাতে চাই না । আমি বলবো না ভালোবাসি , শুধু বলবো মন পাগলের মত আপনাকে চায় । আমি বলবো না ভালোবাসি , শুধু বলবো আমি আপনার জন্যে মরিয়া হয়ে যাই । আমি বলবো না ভালোবাসি , শুধু বলবো আমি আপনার মাঝে বসত করতে চাই । এইসব যদি ভালোবাসা হয় , তাহলে বলবো হ্যাঁ , আমি ভালোবাসি , আমি আপনাকে ভালোবাসি ।
বেলী লাইন কেটে জানালার পাশ থেকে সরে যায় । বেলীর কথাগুলো ইরফানের বুকের ঠিক মাঝ বরাবরটায় গিয়ে লাগে । এমন ভাবেই লাগে যে তার ঘরে থাকা জলজ্যান্ত বেলীফুলের ঘ্রাণটা তার নাক অবদি এসে গেছে । মুচকি হেসে গন্তব্যস্থলে রওনা দেয় ইরফান ।
– ইয়া রাব্বুল আলামীন আমি কি আসলেই মানুষ ? নাকি এখন মানুষ হয়েছি নাকি তখন অমানুষ ছিলাম ? যেই মেয়েটার সরল মনটা আজও আমাকেই চায় কোন শর্ত ছাড়াই তাকেই কিনা আমি ,,,,,,,,,,,, আল্লাহ পাক আমার সকল অপরাধ ক্ষমা করুন ।
নিজের দোষ গুলো মনে করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় ইরফান । হয়তো আল্লাহ পাকেরও একই ইচ্ছা এইবার অন্তত সব কিছু ঠিক হোক । রুবি নিজ থেকেই সরে যাচ্ছে , এটাই খটকা লাগছিল ইরফানের কাছে । তার ভাবনা অনুযায়ী রুবি এত সহজে জায়গা ছাড়ার পাত্রী নয় । কিন্তু এত সহজেই সব ছেড়ে দিলো এটাই ভাবাচ্ছে ইরফানকে । রুবি অন্য প্ল্যান করে নি তো ? তবে আজ বাকিটা এডভোকেটের চেম্বারে গেলে বুঝতে পারবে সে ।
বিকালের দিকে মিনু অনেক জোর করছিল বেকীকে নিয়ে বের হতে । মিনু বেলীরে নিয়ে এক জায়গায় যেতে চায় । আর তা এখনি । আর তাছাড়া ইরফানও বাসায় নি । এই সুযোগেই সে বেলীকে নিহে বের হতে চায় । কিন্তু বেলী তো বের হবে না আর ইরফানকে না জানিয়ে কখনোই না । আর তাছাড়া বেলী বাহিরে বের হওয়া পছন্দ করে না । কিন্তু মিনুও জোর করছে ,
– ভাবী আইয়েন না গো পিলিজ
– হা হা , পিলিজ কি ওটা প্লিজ
– ওই একই যেইহানে ১১ হেইহানেই ১২ , হউক পিলিজ আর হউক পুলিজ , লন
– দেখো মিনু আমার ভালো লাগে না ।
– আরে আইয়েন , আপনেরে আইজ্জা ঝালমুড়ি খাওয়ামু আমি ,
– বাহ বাহ
– সইত্য খাওয়ামু , লন ।
মিনু অনেক ভালোবেসে বলছিল , তাই বেলীও আর না করতে পারে নি । তবে বেলী ইরফানকে ফোন দিয়ে দেয় । তখন ঘড়িতে ৪ টা বেজে ২০ মিনিট । ইরফান তখন এডভোকেট রাশেদের চেম্বারে কথা বলছিল । এমন সময়তেই বেলীর ফোন যায় ইরফানের ফোনে ।
– এক্সকিউজ মি ,
– ইয়ায়ায়া সিউর ,
ইরফান সাইডে বেলীর ফোন রিসিভ করে ।
– হ্যাঁ বেলী বলো ,
– আপনি কি ব্যস্ত ? আমি কি বিরক্ত করলাম ?
– নাহ বলো , কিছু বলবা ?
– শুনুন না , মিনু অনেক জোর করছে বের হওয়ার জন্যে ।
– কোথায় যাবে সে আবার ?
– জানি না , বলে এইদিকে নাকি একটা পার্ক আছে আবার বলে ঝালমুড়িও খাওয়াবে ।
– হা হা , ওর কাছে টাকা আছে ?
– কি জানি ?
– হ্যাঁ , পাশেই একটা পার্ক আছে , মিনু ওইটার কথাই বলতেছে । তা যাও না ওর সাথে ঘুরে আসো ।
– যাবো ?
– হ্যাঁ যাও বেশি দূরে না পাশেই । আর বিকেল টাইম ঘরে বসে কি করবা , যাও ঘুরে আসো ।
– আচ্ছা , তাহলে রাখি ।
– আচ্ছা আমার আজকে দেরি হবে । ৯/১০ টা বেজে যাবে , টেনশন নিও না , কেমন ?
– হু ।
ইরফান ফোন রেখে দিলে বেলী রাডি হয়ে মিনুর সাথে বের হয় । মিনু খুব খুশি আজকে , সে তার বেলী ভাবীর সাথে বের হয়েছে আজকে । এটাই তার কাছে আনন্দের ছিল । হাটতে হাটতে তারা পার্কে চলে আসে । এখানে ছোট ছোট বাচ্চারা খেলা করে , আবার প্রেমিক প্রেমিকারাও আসে । বসে বসে গল্প করে তারা । প্রায় অনেক্ষন মিনু আর বেলী একটা বেঞ্চের উপর বসে বসে গল্প করছিল । এক সময় মিনু বলে উঠে ,
– ভাবী ওই দেহেন ঝালমুড়ি , খাইবেন নি ?
– ধরো টাকা নিয়ে যাও ,
– এহহহহহ কিল্লিগা , আমার দারে আছে ।
– এটা নেও ,
– বা গো ভাবী আপনে আমারে বইন মানেন না ?
– মানি তো ,
– তাইলে আমিই আইজ্জা আপনারে খাওয়ামু ,
– আচ্ছা , যাও নিয়ে আসো ।
বেলীর কথায় মিনু দৌড়ে ঝালমুড়ি আনতে যায় । বেলী তখন খানিকটা একা হয়ে যায় । সামনে বাচ্চারা খেলাধুলা করছিল আর বেলীও তা দেখছিল । হঠাৎ করে কে যেন পিছন থেকে ডাক দেয় বেলীলে ।
– বেলীফুল ,,,,,,,,,,,,,,?
সেই চিরচেনা কন্ঠস্বর শুনে বিচলিত হয়ে বেলী পিছনে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে যায় । আর ঠিক তখনই বেলীর পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায় । অবাক নয়নে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকে দেখতে থাকে বেলী ।
– রাজু ভাই,,,,,,,,,,,,,??
.
.
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,