#ডেন্জারাস_ভিলেন_হাজবেন্ড
#লেখিকা_তামান্না
#পর্ব_০২
—“মেহরান আসো ওয়েট করতেছি। উহ ঠেকা লাগছে তোর জন্যে ওয়েট করবো। শেষের কথাটা চোখ ঘুরিয়ে কিছুটা ধীর গলায় বলল।
কিন্তু মিস মেহরান এর কোনো খবর নেই তিনি তো খাবার ঠুসার মধ্যে ব্যস্ত।
দুইটা আলুর পরোটা খাওয়ার পর আরেকটা পরোটা উঠাতে গেলে মিসেস রাহেলা তার হাত থেকে পরোটা নিয়ে রেখে দে। মেহরান রাগী ফেস করে বলে।
—“মাম্মা নিয়ে নিছো কেনো? আমি খাবো।
নায়েমান এর সামনে তিনি মুখে হাসির রেখা টেনে মেহরানের কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলে।
—“হুম খাবা কিন্তু এসে খাইস জারাকে দেখছিস! আগে থেকে গাড়ির কাছে গিয়ে অপেক্ষা করতেছে।
—“তাতে কি গোলামদের কাম ত এটাই ! মালিক সাহেবার জন্যে অপেক্ষা করা। বলেই মেহরান পরোটা নিয়ে খেতে লাগে।
—“উফফ এই মেয়ে অবুঝ থেকে গেল। কবে যে বুঝবে? আরে তোর বাবার সামনে ভালো সাজতেছে যাতে ঘরের সব ধন-সম্পওি ঐ মাইয়ারে দিয়ে দিক। বুঝছিস এবার যাহ তাড়াতাড়ি।
—“ওহহ আচ্ছা। মেহরান থেকে পরোটা নিয়ে প্লেটে রেখে দিল।
—“চলো। মেহরান সানগ্লাস পড়ে ভাব মারতে থাকে।
জারা কিছু না বলে পিছের সেটের দরজা খুলতে গেলে সেই দরজায় পা এগিয়ে দে মেহরান। জারা ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকিয়ে বলে।
—“কি সমস্যা? পা দিলে কেন?
—“বেবি তুমি হতো ভুলে গেছো! গোলামরা পিছে না ড্রাইভিং সিটে বসে মালিকদের পাহারা দিতে। সো বেবি তুমিও তোমার জায়গায় গিয়ে বস।
জারা বুঝতে পারছে মেহরানের ভাব নেয়া। কিন্তু জারাও কম না। সে মেহরানের দিকে তাকিয়ে বাচ্চাদের মত ফেস করে বলে।
—“ওহ সরি আমি না আসলে ভুলে পিছে বসতে চেয়েছিলাম। তোমাকে হেল্প করতে!
—“কিই? আমাকে হেল্প কিভাবে?
—“মানে থাক বাদ দাও পিছের সিটে গিয়ে বসো এমনেই চারপোকা কোণায় কোণায় বাসা বেঁধে আছে।
মেহরান শুনে চোখজোড়া গোল করে বলে—“চা…..চার…চারপোকা (আমতা আমতা করে)
—“হ্যা চারপোকা যেগুলো একবার কোনো মাইনষের শরীরের সুবাস পেলে তার শরীরে আক্রমণ করে সব রক্ত খেয়ে কঙ্কাল বানিয়ে ফেলে (মেহরান কে হাত দিয়ে নাড়া দিয়ে বলে) তাই ভেবেছিলাম তোমার পাশে বসলে তোমাকে সেভ করতে পারব। কিন্তু এখন তুমিই গিয়ে বসো চারপোকার দলের উপর।
—“নাআআআআ এই শুনো তুমি পাশেই বসো আমার। নয়তো চারপোকা নাকি ডিসগাস্টিং এনিমাল আমার সুন্দর শরীর খেয়ে দিবে।
—“বাহ রে শাকচুন্নী লাইনে আইছে! বুদ্ধি ত মাথায় নেই আগে থেকেই জানতাম। গাড়িতে চারপোকা থাকে এটা তোরে না বললে নিজেই জানতাম না (মনে মনে কথাটা বলে মুচকি হাসল ) ওকে তাহলে একসাথে বসি।
ড্রাইভার গাড়ির দরজা খুলে দিলে মেহরান ভেতরে বসে পড়ে। জারা ভেতরে পা রেখে ড্রাইভারের দিকে তাকায়। ড্রাইভার মুচকি হেসে ডান হাতের তিন আঙুল এক করে দুই আঙুল বন্ধ করে দেখায়। কেননা জারা আর মেহরানের সব কথা ড্রাইভার শুনে মুখ টিপে হাসছিল। জারা উনাকে দেখে চোখ টিপ মেরে মুচকি হেসে বসে পড়ল।
ভার্সিটি ক্যানভাস…….
।
।
।
।
গাড়ি ঠিক টাইমে পৌঁছে গেল ভার্সিটিতে। তাদের গাড়ি আসতেই অনেক ছেলে এসে ভীড় জমায় গাড়ির সামনে। কারণ মেহরান পুরো ভার্সিটির মধ্যে একজন হর্ট গার্ল। তাকে ফাস্ট ভার্সিটিতে দেখতেই পুরো ছেলের দল তার পিছে পড়া শুরু করে দে। এমন কি অনেক ছেলেরা নিজের গফের সাথে ব্রেকআপ করতেও দ্বিধাবোধ করে না এই মেহরান নামক মেয়েটার জন্যে।
এক ছেলে এসে মেহরান এর সিটের দরজা খুলে দে। মেহরান বের হয়ে সেই ছেলের গালে নিজের হাত লাগিয়ে বলে।
—“নাইচ বাবু।
জারা স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে প্রবেশ করে। সে মেহরানকে ডাক দিয়ে বলে।
—“মেহরান তুমি ক্লাসে….
—“আ….আ….না না ! আপনি করে বলো ওকে?
—“মন ত চাচ্ছে গালের মধ্যে ঠাঁঠাইয়া চড় লাগাই! ফিসফিসিয়ে বলে।
—“কিছু বলছো?
—“হুম না আপনি ক্লাসে যান আমি ফ্রেশ হয়ে লাইব্রেরিতে যাব। আপনি আবার হারিয়ে যাইয়েন না! বাঁকা হাসল।
—“লিভ ওকে হাহ !
মেহরান নিজের সানগ্লাস খুলে ভাব নিয়ে ক্লাস রুমে চলে গেল।
জারা চোখ ঘুরিয়ে লাইব্রেরির দিকে আসে। সে লাইব্রেরির দরজা খুলার সাথে সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়।
জারা নিজের ব্যাকসাইড চেপে ধরে মুখ খুলে কিছু বলবে কিন্তু তার আগেই সামনের জন্যেই চিৎকার দেয়া শুরু করে দে।
—“ওমা গো পাছা ভেঙ্গে গেছে এবার আমাকে পাছা কে দিবে? সারাজীবন পাছা ছাড়া বাঁচমু। আল্লাহ গো দড়ি ফেলাইয়া দাও পাছা ছাড়া বাঁচুম না।
মেয়েটার কথা শুনে জারার ব্যথা উড়ানছু হয়ে গেল। সে মুখ টিপে হেসে দে।
মেয়েটা জারাকে হাসতে দেখে বলে—“বদলনী আমাকে উঠা হুদ্দায় না হাইসা।
—“হুমম। জারা হাসা থামিয়ে মেয়েটাকে উঠায়।
—“বদলনী এখনোও হাসিস কেন?
—“ইটস বদলনী না বলদনী যাহা আপনাকে বুঝায় মিস প্রিয়া।
জারা আবার হাসতে লাগে। প্রিয়া দেখে সেও মুচকি হেসে দে।
–“এভাবেই হাসবি। কিন্তু তুই এদিক কই যাস? আমাগো ত ঐদিক যাওয়ার কথা!
আঙুল দিয়ে ইশারা করে ফুসকার দোকান দেখায়।
জারা প্রিয়ার কাঁধে হাত রেখে উদাসী ফেস করে বলে
—“তুই না আমার ভালো দোস্ত আমাকে ছাড়া ফুসকা কখনোও তোর পেটে ডুকবে না। এমন কি হজম ত না উল্টা বদহজম হবে। ত আমি কি বলছিলাম?
—“হয়ছে ড্রামা কুইন চলো পড়তে বসি। খুব ভালোই জানি নিজেও খাবি না আমাকেও খেতে দিবি না।
—” হিহিহি।
দুইজন লাইব্রেরিতে এসে বুক সেল্ফ থেকে নিজেদের বই নিয়ে বাকি বইগুলি বুকসেল্ফে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে থাকে। প্রিয়া বেচারি একটা ঝাড়ু নিয়ে বুকসেল্ফের কোণা ঝাড়ু দিচ্ছে এতেই তার কাশিও হচ্ছে বিপুল পরিমাণে।
জারা তার দিকে তাকিয়ে বলে—“হয়ছে তুই রাখ এখন!
—“নাহ ব্যস আর কিছু হাচ্চি হাচ্চি করছে ত করছে।
—“আচ্ছা তোর উলুঙ্গার ঢংগোনী কই👽?
—“মানে?
—“মিস ঢংগোনী ডাইনি।
—“কই আর হবে ক্লাসে পড়তেছে হয়ত।
—“ওমা গো পড়া আর ঢংগোনী! দুইটার মধ্যে পার্থক্য আছে রে। কোথায় পড়া আর কোথায় ঢংগোনী এদের মধ্যে মিল নেই বললেই চলে। তুই না জানলেও আমি ঠিকিই জানি হাচ্চি হাচ্চি (নাক কুঁচলিয়ে কেশে) ক্লাসে ঐ গুড লুকিং টপার পোলার লগে লাইন মারতেছে।
—“কোন পোলা?
—“জুবাইর আর কে?
—“কি সে আর গুড লুকিং? লাইক সিরিয়াসলি প্রিয়া? বিলিভ কর যদি বলদ গরুর এওয়ার্ড কাকে দেয়া যায় এমন কোনো নিউজ চ্যানেলে ছাড়ত? তাহলে নিশ্চিত 100% জুবাইর এর নাম লিস্টের মধ্যে ফাস্ট দিতাম।
—“হুমম তাও ঠিক কিন্তু যতই হোক সে ত মেহরান না তোকে চাই। দুষ্টুমি ফেস করে মুচকি হেসে।
জারার হাত থেমে গেল। সে কথাটা শুনে কিছুটা অস্বস্তিকর ভাব করে অন্যদিকে তাকিয়ে বলে—“আমি এসবে নেই।
—“কেন বে?
জারা প্রিয়ার বাহুডোরা ধরে বলে—“মন,,বিশ্বাস,,সততা
এ তিনটার কোনটায় আমি আজ পর্যন্ত জুবাইর এর মধ্যে দেখি নি। হ্যাঁ সে হয়ত ভালোবাসে। কিন্তু আমি যাকে চাই সে সব থেকে আলাদা হবে।
জারা বেখায়ালী ভাবে চোখজোড়া বন্ধ করে শেষের কথাটা বলে।
—“আচ্ছা তাহলে আপনার স্বপ্নের রাজা কেমনডা হবে ক তো?
—“Just different. মুচকি হেসে।
—“হুম ডিফারেন্ট জিজার জন্যে অগ্রীম উৎসাহ নিয়ে ওয়েট করুম। চল এখন ক্লাসে যায়।
দুইজন ক্লাসে চলে আসে।
ক্লাস টিচার সবার হাজিরা নিয়ে বলে—“স্টুডেন্টস নতুন বর্ষের শুরুতে সবাইকে অগ্রীমভাবে শুভেচ্ছা। গতবছরের সব গ্লানি মুছে আজ আমরা এই নতুন বছরে এসেছি। তোমাদের বর্ষ সমাপনী এক্সামও খুব কাছে আর একটা ব্যাড নিউজ আমি তোমাদের ক্লাস নিতে পারব না।
কথাটা শুনে অনেকে উদাস হয়ে যায়।
তাদের ক্লাস টিচার স্টুডেন্টস এর ফেস দেখে আবার বলে—“আরে সবাই চিন্তিত হও না। কারণ আমি রির্জাইন লেইট দিচ্ছি। ব্যক্তিগত সমস্যার জন্যে ভার্সিটি থেকে লিভ নিচ্ছি তবে আমার পরিবর্তে নতুন ক্লাস টিচার হবে মিস্টার আবরার হোসেন । উনার পরিচয় আমি দেবো না বরং উনি নিজে উনার পরিচয় দিবে বলে দাবি করেছেন। তাই কালকে আমাদের ভার্সিটি ক্যানভাসে উনার আগমন হবে। সো গাইস হেভ ইন্জয় দ্যা নিউ ইয়ার। আল্লাহ হাফেজ।
ক্লাস টিচার কথা শেষ করে চলে যায়। আজ সবাই ভার্সিটি ক্যানভাসে ঘুরাঘুরি করার সুযোগ পেয়েছে।নতুন বছর উপলক্ষে।
মেহরান তার দুইবন্ধু সাহেল,আয়শা ওদের সাথে ফাস্ট বেঞ্চে বসে ছিল।
—“মেহরান তোর বোনটা ভারি মালবহন রে! সাহেল জারার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বলে।
—“ওয়াট?
—“নাহ মানে দেখতে ছোট ঘরের মেয়ে থার্ড ক্লাস মেয়ে লাগে। তোর মত না তুই ত ফাস্ট গার্ল ভার্সিটির ক্রাশ গার্ল।
সাহেল মেহরানকে কথার চালে ফাঁসিয়ে জারার কথা জানার চেষ্টা করে।
—“উফ এই মেয়েটা কে আমার অসহ্য লাগে রে দোস্ত। তুই চাইলে মালটা টেস্ট করে দেখিস!
মেহরান দাঁত কেলিয়ে সাহেল কে বলে। মেহরান সাহেল এর কথা ফাস্টেই বুঝে গিয়েছিল তাই শেষ কথাটা সাহেলকে জারার প্রতি আর্কষণ করার জন্যে বলে।
সাহেল বাঁকা হেসে জারার দিকে বাজে নজর দেয়া শুরু করে। প্রিয়া জারার সাথে কথা বলছে সে চোখ ঘুরাতেই সাহেলকে দেখে জারার দিকে তাকাতে।
প্রিয়া জারার হাত ধরে বলে।
—“চল ত এখানে অনেক গরম লাগতেছে।
—“সিরিয়াসলি নোট ফানি? শীতের মধ্যে তোর গরম লাগতেছে!
—“হুর তোরে এত কথা জিগাইতে বলছি চল ত?
তারা উঠে চলে গেল।
________________
ভার্সিটির প্রিন্সিপাল নিজের রুমে সব টিচারদের নিয়ে মিটিং করছে। নতুন বছর যখন সবকিছু নতুনভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্যে সবাই কথাবার্তা বলছে। মিটিং শেষে তিনি ফাইল চেক করেন।
হঠাৎ উনার কল বেজে উঠে। উনি ফোন ওপেন করে দেখে সিস্ক্রে “আননোন সার্ভিস” লেখা ভেসে উঠছে।
তিনি কানে কল ধরে। হ্যালো কে বলছেন?
—“নতুন আগমনকারী।
—“ওহ স্যার আপনি ! কেমন আছেন স্যার?
—” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি?
—“এতো ভালো আছি । আ….আপনি কিছু বলতে চেয়েছিলেন?
—“হুম নাহ আপনার খুঁজ করছিলাম!
—“ওহ্ তাহলে ভালো থাকেন।
—“হুমম। টুট টুট টুট।
কল কেটে দিল অপর পাশের লোকটা। সে রকিং চেয়ারে বসে ভাবছে আজ আগমন হবে! কাল খেলা শুরু হবে।
—“হুমম কালকে দাবা খেলার আসল খেলোয়াড় চলে আসতেছে। যেই খেলায় গত একবছর ধরে আমি ব্যর্থ হয়ে আসছিলাম। সেই খেলা পুনরায় শুরু করতে চলে আসতেছি হাহাহা। শয়তানের মতো হাসতে থাকে সে।
সেই অচেনা দাবার খেলার মধ্যে বিপরীত দলের ঘোড়ার গুটিকে খেয়ে দিল।
—“যাস্ট লাইক দিস এক এক গুটির চাল চালাব😈।
_________________
জারা প্রিয়ার সাথে ঘুরাঘুরি শেষ করে আগেই বাসায় চলে আসে। কারণ তার চাচির আদেশ তার মহা রাজকন্যা আসার আগেই যেনো বাসায় এসে খাবার রেডি করে।
জারা বাসায় এসে ডোরবেল বাজায়।
—“আরে দাঁড়া না ভাই এতো জোরে বেল বাজাছিস কেন?
মিসেস রাহেলা ফিসফিস করে দরজা খুলে জারাকে দেখল।
—” আসসালামুয়ালাইকুম চাচি।
—“উহ টাকা থাকলে বের করে দে এখনই!
চাচির এমন কথায় জারা কিছুটা হকচকিয়ে যায়।
—“বুঝলাম না চাচি?
—“অবুঝ দেখাস? এই এই ঘরের বেল টা তোর চাচার টাকা দিয়ে চলে। আর তুই ঢোল বাজিয়ে সব টাকা উড়াইতাছিস?
—“চাচি আমি ত…..
—“চুপ যাহ খাবার রেডি কর যদি আমার মেয়ে খাবার ঠিক মত না পাইছে তাহলে তোকে আমি আকাশের তারা গুনাব। মনে রাখিস!
মিসেস রাহেলা কথা শুনিয়ে চলে গেল নিজের রুমে।
জারা এসে ব্যাগ নিজের রুমে রেখে মিসেস রাহেলার মত রাগী লুক করে বলে।
—“আমাকে তারা গুনাবেন মিসেস চাচিজান আমি আপনাকে ধানের বীজ গুনাব। আপনার পাকা ধানে যদি মুই না দিসি আমার নাম জারা নাহ😏! ঠোঁট উল্টিয়ে ব্রাশমার্কা স্মাইল দিল।
—“মাম্মা আমি চলে আসছি। আজকে খুব ক্লান্ত পড়তে পড়তে তাড়াতাড়ি খাবার দাও।
মেহরান নিজের রুমে এসে চিল্লিয়ে বলল।
—“গালুনি আসলো ত শুকনের ন্যাকামো আসলো। মাম্মা খুব ক্লান্ত লাগছে। উহহ ন্যাকানির ন্যাকা।
জারা ফ্রেশ হয়ে খাবার রেডি করে ফেলে। সবাই খেয়ে দেয়ে হালকা রেস্ট নে।
In Dhaka……..
……………চলবে………….
[বিঃদ্র—“থাক শেষে ঢাকা দিয়ে কি বুঝায়ছি কমু না😁। সবাই এক্সসাইটমেন্ট নিয়া বইসা থাকেন। খেলার খেলা কাল থেকে শুরু হবে। কিন্তু খেলার ধামাকা কারে দিয়ে শুরু হবে তা ভাববার বিষয়! আমি ত বলব না! সাড়া পেলে বলব আরকি😜। উকে গাইস হেপ্পি রিডিং]