#তুমি_আছো_মনের_গহীনে
#পর্ব- ৭
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
আরহামের ঘরে বর্তমানে তার স্ত্রীর পরিচয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেহেভীন। যাকে সে এখনো চিনেই না,এখনো পর্যন্ত যাকে নিজ চোক্ষে দেখার সাধ্যি হয়নি। তারই ঘরে,তার বউয়ের পরিচয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা অত্যন্ত অস্বস্হির বিষয় বলে, মনে হচ্ছে মেহেভীনের। মেহেভীন রক্তচক্ষু দিয়ে তাঁকিয়ে আছে আরিয়ানের দিকে। আরিয়ানের তো যায় যায় অবস্হা।
কিছুক্ষন আগে,
মেহেভীন আরহামের ছবিটির দিকে তাঁকিয়ে ছিলো,
তখনি সেখানে আরিয়ানসহ আরিয়ানের মা এবং রিনা উপস্হিত হয়। অপরিচত মেয়েকেই দেখে, আরিয়ানের মা মেহেভীনের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বললেন,
‘মা কে তুমি?’
রাহেলা বেগম এগিয়ে এসে বললেন,
‘খালা এই আফা ডা তো ছোড ভাইজানের লগে আইছে।’
আরিয়ানের মা এইবার আরিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
‘আরিয়ান তোমার সাথে এই মেয়েটা কী?’
আরিয়ান পড়েছে বিপাকে।ঢাকা শহরে মেহেভীনের কেউ নেই। মেহেভীনকে এই অবস্হায় ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। এই বাড়িতেই মেহেভীনকে পারমানেন্ট রাখার জন্যে কিছু একটা বলতে হবে।
আরিয়ানের মাথায় একটা জিনিসই চলছে।মেহেভীন যে করেই হোক এই বাড়িতেই রাখতে হবে।
তাছাড়া একটা পরিচয় না থাকলে, শুধুমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ডের পরিচয়ে তো মেহেভীন এই বাড়ি থাকতে পারবে না। অন্য একটা পরিচয় দিতে হবে মেহেভীনের। ভাবতে ভাবতে আরিয়ানের মাথায় একটা বুদ্ধি চলে এলো। তার ভাই এই মূহুর্তে দেশে নেই। এইটাই সুযোগ। আরিয়ান অনেক্ষন পরে, মুখ খুলে বললো,
‘মা তোমার বাড়ির বউমাকে আমি নিয়ে এসেছি। এখন তুমি যা করার করো। ‘
আরিয়ানের এইরকম বিস্ফরক মন্তব্যে সবাই কিছুক্ষন স্হীর হয়ে যায়। আরিয়ানের মা বলে উঠলেন,
‘বউমা মানে? আরিয়ান তুই এই মেয়েটাকে বিয়ে করেছিস?’
আরিয়ান দ্রুত পায়ে তার মায়ের কাছে এগিয়ে এসে বলে,
‘মা তুমিও না। আমি কেন বিয়ে করতে যাবো? তোমার কি শুধু একটাই ছেলে? তোমার বড় ছেলে মেহেভীন ভাবিকে বিয়ে করে,বিদেশে চলে গেছে।
তাও আবার লুকিয়ে। যদিও আমি হাল্কা জানতাম।
তোমার ছেলে এবং মেহেভীনের তো অনেকদিনের রিলেশন। মেহেভীনকে বিয়ে করে সে লুকিয়ে রাখে বিষয়টা, যাতে আস্তে ধীরে সবাইকে পরে বলতে পারে। কিন্তু তার আগেই তো তুমি রিনার সাথে ভাইয়ার বিয়ে দেওয়ার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছো। তাই তোমার ছেলে প্রযেক্টের বাহানা দিয়েই বিদেশে পালিয়েছে। এইসব প্রযেক্ট শুধু বাহানা। ‘
আরিয়ানের কথা শুনে রিনা সেখানেই বসে কান্না জুড়ে দিলো। তার ভাষ্যমতে, আরহাম তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাকে বিয়ে না করে, অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে।
মেহেভীনের মাথা দিয়ে যেন সব গেলো। মাথাটা আবারো চক্কর দিয়ে উঠছে তার। আরিয়ান বুঝতে পারছে,মেহেভীন কিছু বলার আগেই, তাকে থামাতে হবে। নাহলে তার বলার আগেই মেহেভীন তার মুখ খুলে ফেলবে। আরিয়ান আবারোও বললো,
‘তুমি জানতে পারলে খুশি হবে ভাবি এবং ভাইয়ার জীবনে ছোট্ট একজন সদস্য ও আসছে।’
আরিয়ানের মা বড় বড় চোখ করে বললো,
‘বউমা পর্যন্ত ঠিক ছিলো, আমার ছেলে এতোটা ফাস্ট যে এখন ঘরে নাত্নিও আসবে। কি বলছিস রে আমার মাথা ঘুড়াচ্ছে।’
আরহামের বাচ্ছা হবে শুনে, রিনা আরো জোড়ে ভ্যা ভ্যা করে কান্না করলো।
আরিয়ান আবারো বলে উঠলো,
‘তোমাকে আর কি বলবো মা। ভাবির ঢাকা শহরে তেমন কেউ নেই। ভাবি এখানকার একটা ভার্সিটিত পড়ে এবং সেখারকার একটি হোস্টেলেই থাকে। ভাবি প্রেগ্নেন্ট শুনে, আমি এই বাড়িতে নিয়ে আসি। ভাবি এই অবস্হায় কোথায় যাবে বলো?
তার মধ্যে ভাবির সাথে ভাইয়া কোন কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ‘
আরিয়ানের মা মেহেভীনের কাছে এসে,মেহেভীনের মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,
‘আরিয়ান একদম ঠিক করেছে মা। আমার ছেলেটা এতোটা পাজি আমি জানতাম না। একবার দেশে ফিরুক তারপর দেখাবো মজা। আমাদের ঘরে নাতি নাত্নি আসছে। এখন তো বউমাকে যত্ন করতে হবে তাইনা? আমার ছেলেটাও এমন কান্ড করে বসে আছে। তোমার ঠিক মতো বরন ও করতে পারলাম না। আচ্ছা আপাতত তুমি না হয় আরহামের ঘরে যাও।
আরিয়ান তুই বউমাকে আরহামের ঘরে নিয়ে যা।’
আরিয়ানের মা মিসেস নিশাত বেশ সরল-সোজা মানুষ। তেমন একটা প্যাচ তার মধ্যে নেই। ছেলের বলা ইনিয়ে বিনিয়ে মিথ্যে কথাও তিনি বিশ্বাস করে ফেললেন। তার ভাষ্যমতে তার ছেলে তো অন্তত তাকে মিথ্যে বলবে না।
মেহেভীন কিছু বলবে, তার আগেই আরিয়ান তার হাত ধরে উপরের ঘরের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
রাহেলা বেগম অন্য চিন্তায় মগ্ন হয়। মাইয়াডা বড় ভাইজানের বউ হলে, বড় ভাইজানের ছবি দেইখা চিনতাছিলো না কেন? রাহেলা বেগম তার মনের প্রশ্ন মনেই রেখে দেয়। আজ-কাল বড়লোকদের বিশাল বিশাল কারবার।
বর্তমানে,
আরিয়ান শুকনো ঢুগ গিলে বললো,
‘দেখ বইন এইভাবে তাঁকিয়ে থাকিস না আমার ভয় লাগে। বেশি ভয় লাগলে মুই মইরা যাইতে পারি। তারপর তুই দেবর ছাড়া হয়ে যাবি।’
।মেহেভীন উঠে দাঁড়িয়ে আরিয়ানের পিঠে কিল ঘুষি দিতে থাকে। আরিয়ান ব্যাথায় মৃদ্যু চিৎকার করে বলে,
‘মারছিস কেন? মেরে ফেলবি নাকি?’
‘তোকে মেরে ফেলাই উচিৎ। তুই নীচে এইসব কি বললি? যাকে আমি কখনো দেখিইনি তার বউ আমাকে বানিয়ে ফেললি। তোর কি মাথা আদোও ঠিক আছে? ‘
আরিয়ান মেহেভীনের হাত ধরে খাটে বসিয়ে বলে,
‘আগে তুই শান্ত হও আমার বাপ প্লিয। দেখ ভাইয়া এখন দেশে নেই। ভাই কমপক্ষে এক মাস আগে দেশে ফিরছে না।
তাই ভাইয়ার বউয়ের পরিচয়ে তুই ততদিন এই বাড়িতে থাক।
এই কয়দিনে না হয় তুই ভার্সিটির পাশে একটা ছোট জব ও নিয়ে নিলি। তারপর নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, তুই না হয় চলে যাস। দেখ বইন এখন তোর এই বাড়িতে থাকা অনেকটা জরুরী। তুই এখন একা না। তোর গর্ভে সন্তান ও রয়েছে। তার নিরাপত্তারও তো একটা ব্যাপার আছে তাইনা?’
‘তাই বলে এইভাবে মিথ্যের আশ্রয় নেওয়া টা ঠিক হচ্ছে? তার মধ্যে তুই নীচে বললি আমি নাকি তোর ভাইয়ের সন্তানের মা হতে চলেছি। তোর ভাই জানতে পারলি কি হবে?’
‘কিচ্ছু হবে না। ভাই জানতেও পারবে না। মাকে আমি নীচে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি,যেন ভাই আসার আগে এই বিষয়ে, ভাইকে যেন কিছু না বলে।
ততদিনে তুইও একটা জব পেয়ে সেটেল হয়ে যাবি। সব থেকে বড় কথা এতে ভাইয়ার ও লাভ হবে। রিনা মায়ের বান্ধুবীর মেয়ে।মেয়েটা একদমই ভালো না। মেয়েটার অনেকগুলো ছেলের সাথে রিলেশন।
আমার মা বেশি সরল-সোজা মানুষ, তাই আমার মাকে পটিয়ে রিনার মা আমার ভাইয়ার সাথে,রিয়াকে বিয়ে দিতে চায়। তাইতো ভাইয়া নিউইয়র্কে চলে গেছে প্রযেক্টের নাম করে। আমাদের এই ছোট প্ল্যানের জন্যে, রিনা নামক আপদটাও ভাইয়ার ঘাড় থেকে সরে যাবে। ‘
মেহেভীন আরিয়ানের কথার প্রেক্ষিতে বললো,
‘এইভাবে সরল মানুষটাকে ঠকানো কি ঠিক হবে? দেখ আরিয়ান আমি তো জানি। একটা মানুষের ফিলিংস নিয়ে খেললে, সে কতটা কষ্ট পায়। ‘
আরিয়ান দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
‘দেখ মেহু আমরা কোন অন্যায় করছি না। যার করছি তোর গর্ভে থাকা ছোট্ট শিশুটির জন্যে। যার কোন দোষই নেই। কয়েকটা দিনেরই তো ব্যাপার। আমি মাকে আস্তে ধীরে জানিয়ে দিবো সব।’
অবশেষে অনেকবার বুঝানোর পরে, মেহেভীন থাকতে রাজি হলো। যদিও মেহেভীনের অনেকটাই অপরাধবোধ কাজ করছে,কিন্তু এইটা ছাড়া তো আর কোন উপায়ও নেই।
_________
মায়রা ঘুম থেকে উঠে দেখে, অভ্র আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে রেডি হচ্ছে। আজ অভ্রকে খুব তাড়াতাড়ি বেড়োতে হবে।অফিসে খুব জরুরী মিটিং আছে।
মায়রাকে ঘুম থেকে উঠতে দেখে,অভ্র মিষ্টি হেঁসে বললো,
‘গুড মর্নিং ডার্লিং। ‘
‘গুড মর্নিং।’
‘অনেক তো ঘুমালে, এইবার একটু রান্নাঘরে গিয়ে আমার জন্যে কফি নিয়ে এসো। কফি ছাড়া তো আমি অফিসে যেতেই পারি না। ‘
মায়রা চট করে বলে উঠে,
‘দেখো অভ্র আমি সবেমাত্র ঘুম থেকে উঠলাম। আমি এখন কফি বানাতে পারবো না। আর তুমি আমাকে রান্নাঘরে যেতে বলছো? আমি কখনো রান্নাঘরের আশে-পাশেও যাইনি। তুমি বাড়ির কাজের লোককে বলো, সে তোমাকে কফি করে দিবে। ‘
‘আমি এখন বাড়ির কাজের লোকের হাতে কফি খাবো?’
‘আমি তো অন্তত পারবো না। দরকার পড়লে তোমার মাকে বলো।’
কথাটি বলে মায়রা আবারো ঘুমিয়ে গেলো। অগত্যা অভ্র আর কথা বাড়ালো না। ঘর থেকে বেড়িয়ে
ডাইনিং টেবিলে বসে পড়লো। অতঃপর কাজের লোক এসে, তাকে কফি দিয়ে চলে গেলো। অভ্র কফিটা মুখে দিয়েই রেখে দিলো। এইসব কোন কফি হলো? কফি তো মেহেভীন বানাতে পারতো। আহা একবার খেলে শুধু খেতেই ইচ্ছে করতো। সকাল হলেই, মেয়েটি অভ্রের রুমে গিয়ে,অভ্রকে প্রতিদিন কফি দিয়ে আসতো নিয়ম করে। কফিতে একপ্রকার আলাদা মিষ্টতা ছিলো। হয়তো সেই কফিতে মেহেভীনের ভালোবাসা ছিলো অভ্রের জন্যে। অভ্র যখন কফি খেয়ে, মেহেভীনের প্রশংসা করতো, তখন মেয়েটাও কি লজ্জা পেতো। মেয়েটাকে লজ্জা পেলে বড্ড সুন্দর দেখতো। কিন্তু আজ বাড়ির এক কোনাতেও সেই লজ্জাবতী মেয়েটি নেই। তার হাতের বানানো কফিটাও নেই। অভ্র আর ভাবতে পারছে না কিছু। সে কফিটা রেখে, না রেখেই অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
_______
(লেখিকাঃ জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
নিউইয়র্কের একটি বড় ব্লিডিংয়ে দৌড়ে যাচ্ছে তাহসান। আজকে ক্লাইন্টের সাথে খুবই জরুরী প্রযেক্ট নিয়ে, তাদের কম্পানির মিটিং আছে। মিটিং রুমে পৌঁছে তাহসান শান্তি পেলো। আরহাম মিটিংটা অলরেডি শুরু করে দিয়েছে। আরহাম মিটিং শুরু করেছে মানে, প্রযেক্টটা সে পেয়ে যাবেই। আরহাম বেশ সময়নিষ্ঠ। সময়ের মধ্যেই, সে সব কাজ করতে পছন্দ করে।
আরহাম এসআই কম্পানির একজন আর্কিটেকচার। এসআই কম্পানির মূল শাখা নিউইয়র্কে। আরহাম তাদের দেশের পূরনো সব বাড়ির ডিজাইন নিয়ে, ইন্ডিয়ার ক্লাইন্টের সাথে মিটিং করছে। আরহামের দেওয়া প্রতিটা প্রেজেন্টেশন এবং তার বাচনঙ্গীগুলোও মেয়ে ক্লাইন্টসহ সকলের কাছেই বেশ ভালো লাগে। আরহাম তার বক্তব্য শেষ করলে, সকলে একসাথে হাতে তালি দিয়ে উঠে দাঁড়ায়। আরহামের করা প্রযেক্টটি সাকসেসফুল হয়ছে। তাহসানও হাতে তালি দেয়।
অতঃপর একজন ইন্ডিয়ান বাঙ্গালী ক্লাইন্ট উঠে দাঁড়িয়ে, আরহামের সাথে হাত মিলিয়ে বললেন,
‘আমি আপনার আজকের প্রেজেন্টেশনে যথেষ্ট মুগ্ধ মিঃ আরহাম হাসান তালুকদার। এই ডিলটা আমি আপনাদের কম্পানিকেই দিতে চাই। বলতে হবে এই কম্পানিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে, আপনার অনেক অবদান আছে। ‘
তখনি আরহামের বস এসে বললেন,
‘তা আর বলতে? আরহামের মতো একজন দায়িত্ববান আর্কিটেকচারকে পেয়ে, আমাদের কম্পানি যথেষ্ট গর্বিত। আপনি জানলে,খুশি হবেন
আরহাম আমাদের কম্পানির নেক্সট এমডি হতে চলেছে মিঃ বিশ্বাস।’
মিঃ বিশ্বাস আরহামের দিকে তাকিয়ে বলে,
‘বাহ খুব ভালো খবর। আমার তো মনে হয় আরহাম এই জায়গাটা ডিসার্ভ করে।বলতে গেলে আরহাম তার কাজের দ্বারাই এই পর্যায়ে এসেছে।
আরহাম মিষ্টি হেঁসে বলে,
‘স্যার আমি জাস্ট আমার কর্তব্য করেছি। তেমন কিছুই না । স্যার আপনি একটা কথা বেশ বলেছেন।
ডিসার্ভ জিনিসটা কিছু কিছু সময় কেড়ে নিতে হয় একপ্রকার নিজের কাজের মাধ্যমেই। আমিও এইটাই বিশ্বাস করি কাজ না করলে, লাইফে সাকসেস জিনিস টা আসবে না। আচ্ছা আমি একটু আসছি। ‘
‘ইয়াহ সিউর। ‘
কথাটি বলেই আরহাম তাহসানের কাছে গিয়ে বলে,
‘তোকে যা বলেছিলাম করেছিস?’
‘একদম। কাল তোর বাংলাদেশে যাওয়ার ফ্লাইট বুক করে ফেলেছি। আজকে রাতে তোর ফ্লাইট। আজকে গেলেই, কালের রাতেই পৌঁছে যাবি,কিন্তু আরহাম তুইতো এখানে এক মাসের জন্যে এসেছিলি, কালকে হঠাৎ বাংলাদেশে যাবি কেন? আমার মনে হচ্ছে এর পিছনে তোর কোন উদ্দেশ্য আছে। আফটার অল আরহাম হাসান তালুকদার কোন উদ্দেশ্য ছাড়া কাজ করে না। তুই আমার সেই কলেজের ফ্রেন্ড। তোকে খুব ভালো করে চিনি আমি।
‘উদ্দেশ্য তো আছে। ‘
‘কি? ‘
‘পরশু আমার কম্পানিতে এমডি হিসেবে জয়েন। তাই আমাকে কালকের মধ্যে বিডি তে যেতে হবে বুঝলি? এমনিতেও আমার লেট হয়ে যাচ্ছে। অনেক প্যাকিং বাকি। আই হেভ টু গো নাও।’
আরহাম পকেটে হাত ঢুকিয়ে দ্রুত পায়ে বেড়িয়ে যায়।
তাহসান পড়ে যায় চিন্তায়। আরহামের মাথায় কিছু তো চলছে।
চলবে কি.???
[গল্পটা সম্পূর্ন কাল্পনিক। কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু]