#তোমাতেই পূর্ণ আমি
#পর্ব -৯
#লেখিকাঃআসরিফা সুলতানা জেবা
বাসে বসে আছি এক বেয়াদব ছেলের সাথে।একটু ও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছি না।যতক্ষণে গন্তব্যে পৌছাবো ততক্ষণে হয়তো আমার ছোট্ট প্রাণ পাখিটাই উড়ে যাবে বুকের ধুকপুকানি ও পাশে বসা বেয়াদব ছেলেটার রাগের তেজে।
প্রবলেম কি তোমার?নিজের ওড়না ঠিক করে রাখতে পারো না?ওড়না কি ছেলেদের মুখে ওড়ানোর জন্য গায়ে দাও?পারলে গায়ে ওড়না ঠিকভাবে দাও নয়তো ফেলে দাও।—-রাগী কন্ঠে কথাটা বললেন তূর্য ভাইয়া।
এমন অপমান জনক কথায় ওড়না টা টেনে ভালো করে মাথায় পেচিয়ে নিলাম আমি।কোনো জবাব না দিয়ে তাকিয়ে রইলাম বাহিরের দিকে।বাতাসের তেজে একটু উড়ে গিয়ে ওনার মুখের ওপর পড়েছে তাতেই এতো খারাপ আচরণ করলেন তিনি।একসময় কেয়ার করেন তো একসময় অপমান করেন বিনা দোষে।শুধু প্রিয়ুর জন্য ওনার সাথে বসতে হয়েছে আমার।নয়তো আমি যদি পারি তো ওনার থেকে দশ হাত দূরে থাকি।কিন্তু তা আর হয় না।ঘুরে ফিরে ওনার সামনেই পড়তে হয় আমার।আড়চোখে অপর পাশে তাকিয়ে দেখলাম প্রিয়ু জমিয়ে আড্ডা মারছে আয়ুশ ভাইয়ার সাথে।বাহ! আমাকে এই বেয়াদব ছেলের সাথে বসিয়ে কতো মধুর হাসাহাসি চলছে ম্যাডামের।
এই প্রথম দেখলাম কোনো ছেলেকে জানালার পাশে বসার জন্য এতো রাগ দেখাতে।শুধু একবার মুখ খুলে বলেছিলাম যে ভাইয়া জানালার পাশে বসা যাবে।কথাটা বলা মাত্রই তিনি কঠোর গলায় বলে উঠলেন,,,
—বেয়াদব মেয়ে। সিনিয়র বসে আছে সিটে তুমি কোন সাহসে এমন বলো?শাস্তি পাওয়ার ইচ্ছে হয়েছে আবার?এই সিট টা আমার।তুমি অন্য কোথাও গিয়ে বসতে পারো।(দাতে দাঁত চেপে)
ওনার এমন কথায় আর কোনো কিছু না বলে বসে পড়লাম ওনার পাশের সিটে। কারণ এছাড়া কোনো রাস্তাই খোলা রাখে নি প্রিয়ু।
।
।
ভার্সিটি থেকে ট্যুরে নেওয়া হচ্ছে কক্সবাজার। ট্যুরে যাওয়ার মতো টাকা আমার নেই তাই নিষেধ করে দিলাম।আমার জন্য প্রিয়ু বেচারি ও মন খারাপ করে রইল।পরের দিন ইউনিভার্সিটি তে গিয়ে জানতে পারি ট্যুরের জন্য কাউকেই কোনো টাকা দিতে হবে না।এই ট্যুর টা নাকি সম্পূর্ণ ফ্রি।তবুও আপত্তি জানালাম আমি।একাই বেশ ভালো আছি।কোনো সুখ,, আনন্দ আমার জন্য নয় বলে নিষেধ করে দিলাম প্রিয়ু কে।পুরোদিন কেঁদে কেটে ভাসিয়েছে মেয়েটা।আমি না গেলে সেও যাবে না তার একটাই কথা।অথচ কলেজ লাইফ থেকেই খুব এক্সাইটেড ছিল প্রিয়ু ভার্সিটির ট্যুর গুলোর জন্য। শেষমেশ বাধ্য হয়ে রাজি হলাম।নিজেকে মানিয়ে নিলাম এতে আর কি হবে দুদিনের তো ব্যাপার।বরং আমারও সুযোগ হবে নিজেকে প্রকৃতির মাঝে মেলে ধরার।কখনও তো কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় নি।হাসি মুখে আসলেও বিপত্তি ঘটল বাসে উঠে। সকালের টিউশন টা করিয়ে বেরিয়েছি বিধায় পৌঁছাতে একটু দেরি হয়ে গেছে আমাদের। তখনও আমি জানতাম না ট্যুরে পুরো ভার্সিটির স্টুডেন্টরা যাবে।সব বাস ফিল আপ হয়ে যাওয়ায় একদম শেষের বাসে উঠলাম দুজন।উঠেই আমার চোখ ছানাবড়া। মাত্র দুটো সিট খালি আছে মাঝ বরাবর ।তাও আয়ুশ ভাইয়ার পাশে একটা আর তূর্য ভাইয়ার পাশে একটা।দুজন দু প্রান্তে কেন বসেছে কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না আমার। আয়ুশ ভাইয়া কে বলতে যাব যে আপনি তূর্য ভাইয়ার সাথে বসে যান তখনি প্রিয়ু আমার হাত টা ধরে কানে কানে বলল,,,,
—দোস্ত এই সুবর্ণ সুযোগ টা নষ্ট করতে চাই না। এতো লং জার্নি আর পাশে তোর ভালোবাসার মানুষ বলতো কেমন ফিলিং?
প্রিয়ুর কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকালাম আমি।যা বুঝার বুঝে গেছি।আয়ুশ ভাইয়ার সাথে বসার জন্য আমায় পাম দেওয়া আরকি!!!আমি একটু হাসতেই অনুমতি পেয়ে প্রিয়ু এক প্রকার লাফিয়ে বসে পড়ল আয়ুশ ভাইয়ার সাথে।আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে আয়ুশ ভাইয়া প্রিয়ুর সাথে কথায় মেতে উঠল। আমি আর কোনো উপায় না পেয়ে ধমক অপমান সব সহ্য করে বসে পড়লাম তূর্য ভাইয়ার সাথে।মানুষ টা কে বুঝার সাধ্য আমার নেই। কিন্তু সেদিন ওনার গাড়িতে করা কেয়ার আমার খারাপ লাগে নি।মনে হয়েছে উপর দিয়ে যতই কঠোর হোক মানুষ টা ভালো।কিন্তু নিমিষেই ভুল প্রমাণিত করল আমায়।
———————–
হঠাৎ বাসের ঝাঁকিতে পড়ে যেতে নিলে আমার কোমড়ের এক পাশে আকড়ে ধরে নিজের একদম কাছে টেনে নিলেন তূর্য ভাইয়া।ওনার ছোঁয়াতে বজ্রপাতের ন্যায় ছলকে উঠল আমার সারা শরীর।নিজের এক হাত দিয়ে খামচে ধরলাম ওনার জ্যাকেটের গলার কাছের অংশ।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ওনি আমার দিকে।আমিও ওনার চোখের দিকে তাকিয়ে কেমন ঘোরে চলে যেতে লাগলাম। সরে আসতে নিলে শক্ত করে কোমর জরিয়ে ধরলেন তিনি।আমতা আমতা করে বললাম,,,
–ভাইইয়া,,,,,
কিছু বলার পূর্বেই তাচ্ছিল্য স্বরে বলে উঠলেন তিনি,,,
—ভুল কিছু ধারণা করবে না শ্রেয়সী।যাকে তাকে তূর্য চৌধুরী স্পর্শ করে না। সো একদম ভুল ধারণা পুষবে না। এখন পড়ে গেলে কোমর ভেঙে আমাদের সবার ট্যুরে যাওয়ায় মাটি করে দিতে তুমি।বাচিয়েছি বলে ভাববে না তূর্য তোমায় লাইক করে বা অন্যকিছু।তোমার মতো হাজার মেয়ে আমার কাছে আসতে চায়।তো তুমি লাকি যে আমার ছোঁয়া বিনা চাওয়ায় পেয়ে গেছ।
কথাটা বলেই আমায় ছেড়ে দিলেন তিনি।আমি কিছু না বলতেই ওনার যা ইচ্ছে হয় বলে গেছেন।তাই রাগী কন্ঠে বললাম,,,,,
—আমি তো একবারও আপনাকে বলে নি আমায় স্পর্শ করুন। নিজেকে খুব বড় মনে করেন তাই না?আপনার এসব তেজ আপনার কাছেই রাখুন। তূর্য চৌধুরী কেন কোনো ছেলের ছোঁয়ায় আমার চায় না।
সাথে সাথেই চোখ কটমট করে আমার দিকে তাকালেন তিনি।ওনার অগ্নি দৃষ্টি দেখে ঢুক গিললাম ।একটু বেশিই হয়তো বলে ফেলেছি।কিন্তু ওনি তো আমার পুরো কথা না শুনেই নিজের বড়াই করতে লাগলেন।আমি তো উল্টো ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছিলাম ওনাকে।আমার দিকে কিছুটা ঝুঁকে আসতে নিলেই আয়ুশ ভাইয়ার ডাকে খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম আমি।মুখে হাসি টেনে আয়ুশ ভাইয়ার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম।
—-আর ইউ ওকে শ্রেয়া?
—জ্বি ভাইয়া।
–কেন আমি থাকতে কি তোর কোনো ডাউট আছে?
তূর্য ভাইয়ার কথায় হালকা হাসলেন আয়ুশ ভাইয়া।
—ভার্সিটির সবার প্রিয় তূর্য ভাইয়া থাকতে কারো আবার কিছু হতে পারে নাকি!!(হেসে)
—হুম এটাই।
কথাটা বলে অন্যদিকে তাকিয়ে রইলেন তূর্য।আমিও চুপচাপ সিটে মাথা এলিয়ে দিলাম।ছোট থেকেই জার্নিতে ঘুমানোর অভ্যেস আছে আমার।সেই শেষ লং জার্নি করেছিলাম ক্লাস ফাইভে থাকতে বাবা -মায়ের সাথে।বান্দরবানে গিয়েছিলাম ঘুরতে।আম্মু মারা যাওয়ার পর পাল্টে গেল সবকিছু। এতো বছর পর আবারও লং জার্নি করছি।সিটে মাথা এলিয়ে দিতেই রাজ্যর ঘুম এসে ভর করল চোখ।ঘুমের মাঝেই মনে হলো কেউ আমার হাত ধরেছে আলতো করে।কিন্তু ঘুমের জন্য চোখ দুটো মেলতে পারছি না আমি।একটু নড়ে মাথাটা কাত করে আবারও পাড়ি জমালাম ঘুমের রাজ্যে।
।
।
মিট মিট করে চোখ মেলে নিজেকে জানালার পাশের সিটে আবিষ্কার করলাম।চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখলাম বাসে কেউ নেই। ভয়ে আঁতকে উঠলাম আমি।কোথায় গেল সবাই?আর আমি এই সিটেই বা আসলাম কিভাবে?তূর্য ভাইয়া কোথায়?ভয়ে কেঁদে দিব এমন সময় বাসে উপস্থিত হলেন তূর্য ভাইয়া। তাকে দেখেই কিছুটা ভয় কমে এলো আমার।আমার কাছে এসে দাঁড়ালেন ওনি।হেসে বললেন,,,
—কী সুযোগ পেয়ে লুটে নিলে আমার সিট টা?
ওনার কথায় ভ্যাবা চ্যাকা খেয়ে গেলাম আমি।আমি ভয়ে শেষ আর ওনি আছেন ওনার সিট নিয়ে।রাগে জিদে প্রিয়ুর সিটে গিয়ে বসে পড়লাম আমি।আমাকে এই সিটে দেখে প্রিয়ু বলে উঠল,,,
—কি হয়েছে শ্রেয়া?তুই কি ভয় পেয়েছিস?ঘুমিয়েছিলি তাই আর জাগানো হয় নি তোকে।খাবার আমি নিয়ে এসেছি তোর জন্য।
—খাবো না আমি।আর হে আমি এই সিটে বসেই যাবো।আশা করি তোর কোনো সমস্যা নেই। (রাগী কন্ঠে বললাম)
—সমস্যা নেই শ্রেয়া।আর দু ঘন্টার ই তো ব্যাপার। আমি বরং তূর্য ভাইয়ার সাথেই বসব।
আমার দিকে চোখ রাঙিয়ে প্রিয়ু কে জানালার পাশে বসতে বললেন ওনি।চোখ দুটো বড় বড় হয়ে এল আমার।আমাকে জানালার পাশে বসতে না দিয়ে উল্টো অপমান করল আর এখন প্রিয়ুকে বসতে দিচ্ছে। করবেই তো এমন আমি তো ওনার শত্রু।আয়ুশ ভাইয়া মুচকি হেসে বসে পড়লেন আমার সাথে।ওনি বসতেই আবারো চোখ রাঙালেন তূর্য ভাইয়া। ওনার আবার কি হলো?এতোক্ষণ তো অনেক ধমকালেন এখন আবার চোখ রাঙাচ্ছেন কেন?আয়ুশ ভাইয়ার সাথে কথা বলতে বলতে কেটে গেল পুরো সময়।দীর্ঘ জার্নি শেষে আমরা এসে পৌছালাম কক্সবাজার। অন্ধকার ছেয়ে গেছে চারদিকে।আজ হোটেলেই অবস্থান করবে সবাই।কাল সকালে বেড়োবে ঘুরতে।রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম আমি।এক রুমে চারজন করে থাকতে দেওয়া হয়েছে। ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে নিচে যেতে লাগলাম আমরা।আগে আগে চলে যাচ্ছে প্রিয়ু ও বাকিরা। আরিয়ানা আপু ফোন দেওয়ায় কথা বলতে বলতে এগিয়ে গেলাম কিছুটা দূরে থাকা বারান্দার দিকে।এদিকটায় তেমন আলো নেই। সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত ঢেউ দেখা যাচ্ছে। বাতাস এসে শিহরণ দিয়ে যাচ্ছে সারা শরীরে।ঠান্ডা লাগছে মৃদু মৃদু।রাতের সমুদ্রের সৌন্দর্য এতো বিমোহিত হয়তো আজ না দেখলে কখনও এমন এক সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে পারতাম না আমি।এ মুহূর্তে খাবারের চেয়ে বেশি আমার প্রয়োজন এই সমুদ্রের তীরের নির্মল বাতাস টা।কতো বছর পর একটা স্বস্তির সন্ধান পেলাম আমি।
পিছন থেকে কোমরে কারো স্পর্শ পেয়ে আঁতকে উঠলাম আমি।দুহাতে আমার কোমর জরিয়ে ধরে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিল।আমার পিঠ গিয়ে ঠেকল তার বুকে।জমে গেছি একদম বরফের মতো।স্পর্শ টা পরিচিত।পেটে চাপ দিয়ে ধরল মানুষ টা।কিছু টা ব্যাথা অনুভব করলেও অসার হয়ে এসেছে পুরো শরীর।ঘাড়ে সেই মানুষ টার ঠোঁটের আলতো ছোঁয়াতেই কেঁপে উঠল সারা শরীর।খামচে ধরলাম পেটের উপর রাখা ওনার দু হাত।গলা দিয়ে কথা আসছে না আমার।ছাড়াতে চেষ্টা করলে আরো গভীর ভাবে জরিয়ে নিলেন।কানের পাতায় আলতো এক স্পর্শ দিয়ে রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠলেন,,,,
—আমায় রাগিয়ে কী তৃপ্তি পাও তুমি শুভ্রপরী?আমার রাগ তোমার জন্য খুবই ভয়ংকর।আমি চাই না আমার সেই ভয়ংকর রুপ টা তোমায় দেখায়।সেদিন ওয়ার্নিং দেওয়া সত্ত্বেও আমার কথার অমান্য করছো তুমি!ঠিক আছে তোমায় নয় আঘাত করব তোমার কাছে আসা প্রত্যেক টা ছেলেকে।তুমি আমার শুভ্রপরী।যেই কাজটা মাস খানেক আগে করার কথা ছিল সেটা খুব শীগ্রই করবো আমি।বন্দি করে নিব তোমায় আমার খাঁচায়।
—আআআআআমি বিধবা।আপপনি প্লিজ চলে যান।আমমি আর আপনাকে চাই না।—অনেক সাহস করে কথাগুলো বললাম।বলার সময় মনে হচ্ছিল আমার কলিজা টা ছিড়ে যাচ্ছে। ভালোবাসার মানুষ টা কে পেয়েও ফিরিয়ে দিতে কতটা দম বন্ধ কষ্টদায়ক সেটা আজ অনুভব করতে পারছি।
—-তুই ভাবলি কি করে আমি তোকে ছেড়ে দিব?তুই আমার।শুরু থেকেই তুই শুধু আমার।আমার শুভ্রপরী।আজ যদি তোকে পাগলের মতো না চাইতাম তবে আমাকে এসব বলার সাহসে তোকে এই সমুদ্রে ডুবিয়ে মেরে ফেলতাম।মরার খুব শখ হয়েছে তোর তাই না?তার জন্যই তো এমন কথা বলছিস।আমাকে দূরে সরানোর জন্য তোকে তিলে তিলে মারব আমি।অন্যের হওয়ার জন্য তোকে শাস্তি দিব প্রতি মুহূর্তে। প্রস্তুত থাকিস সবকিছুর জন্য। কান খুলে শুনে রাখ পরিশেষে তুই আমার।
চোখ দুটো বন্ধ করে রইলাম আমি। দহন হচ্ছে আমার পুরো মনে।ঘাড়ে খুব জোরে কামড় পড়তেই মৃদু আওয়াজ করলাম আমি।কানের কাছে ওনি স্লো ভয়েসে বলে উঠলেন,,,
–আমার মনে প্রলয় ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণের জন্য আমার দেওয়া দ্বিতীয় উপহার আমার শুভ্রপরী।সেই প্রথম দিনের মতোই হৃদয়ে সজীব তুৃমি।
ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে গেল সবকিছু। পিছন ফিরে কাউকেই দেখতে না পেয়ে দৌড়ে চলে এলাম সেখান থেকে।টলটল পায়ে যেতে লাগলাম নিচে।ওনি আমায় ছাড়বেন না।কেন জীবনে অতীত গুলো আবার বর্তমান হয়? সেই মানুষ টা কি অতীত বর্তমান সবটা জুড়ে থাকতে পারত না?এমন না হয়ে কি অন্যরকম হতে পারত না জীবনটা?কেন আআপনি ফিরে এলেন তূর্য!!!!! আমমমি জানি আপনিই আমার চিরকুট লেখক।খুব কি মন্দ হতো সেদিন আপনি আসলে!!!! শেষ পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিল আপনার শুভ্রপরী আপনার জন্য।
চলবে,,,,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর প্লিজ সবাই গঠনমূলক কমেন্ট করবেন।)