তোমাতে আমি মুগ্ধ পর্ব -১২

#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (১২)
#ফারহানা_জান্নাত

–রুমাইশা মুখটা ছোট করে নেয়, তবে কিছু বলে না। আহনাফ চলে যায় সেখান থেকে। বাসায় গিয়ে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিয়ে ভাবে বিয়ের এক’দিন পড়ের কথা।

[ফ্লাসব্যাক]

“আহনাফ তোরে একটা কথা বলবো রাখবি?”

“হ্যা বল”

“রুমাইশা’কে স্ত্রী হিসাবে মেনে নি প্লিজ, ও অনেক ছোট। এখন যদি ডিভোর্স এতো বড় একটা ধোকা খায় তাহলে জীবনে এগিয়ে যেতে পিছুপা হবে।”

“আমি তো ডিভোর্স দিতে চাই নি, তাহলে হঠাৎ এসব বলছিস কেনো!”

“তুই আর রুমাইশা সম্পর্ক ঠিক করিস নাই, আমি এতোটুকু বুঝতে পারছি। তুই তো মুন্নি’কে ভালোবাসিস। কিন্তু প্লিজ, তুই রুমাইশার সাথে হাসবেন্ড এর মতো ব্যাবহার কর।”

“কি বুঝাতে চাচ্ছিস সঠিক ভাবে বল, এমন কঠিন কথা আমি বুঝতে পারছি না।”

“দেখ তুই সব বুঝিস আর কি বুঝিয়ে বলবো? ওকে কাছে না টান, কিন্তু ধর ওর ছোট ছোট আবদার গুলো পুরোন করিস।”

“তোর বোন যদি বলে, আমাকে একটা কিস কর তো তাই করবো নাকি?”

“শুধু তাই না, ও না তাইতে ও তুই ওকে ভালোবেসে কাছে টানবি। হুটহাট জড়িয়ে ধরবি, কিস করবি..”

“এ ভাই থাম, তোর লজ্জা করছে না এসব বলতে! আমাকে বলছিস সমস্যা নাই, কিন্তু আমার বউ তোর বোন ভুলে যাস না।”

“তো, ওর ভাবি আছে নাকি যে তোকে বুঝিয়ে দিবে! সে জন্য আমি নিজেই বলছি। আশা করি তুই আমার কথা রাখবি।”

“দেখ আমি ওকে আমার রুমে জায়গা দিসি এটাই অনেক। আমি আর কিছু পারবো না ভাই, তোর বোন বাচ্চা ও কখন কি চাইবে ঠিক নাই।”

“আমাকে বেস্টফেন্ড মানলে আমার কথা রাখবি, আমি আমার বোনের সংসার ভাঙ্গা দেখতে পারবো না। তুই রাগের বসে বিয়ে না করলে এসব হতো না।”

“রাহুল, আমার আর মুন্নির রিলেশন ৩ বছরের, তুই ওকে ভুলে যেতে বলছিস?”

“হ্যা বলছি, বিয়ের পর যদি অবৈধ সম্পর্ক রাখিস তাহলে তুই কাপুরুষ। ভালো ছেলেরা কখনো দুই’টা সম্পর্ক রাখে না।”

“রাহুল”

–রাহুল আর কিছু বলে না, একদিকে ছোট বেলার ফেন্ড, অন্য দিকে ভালোবাসা। সব মিলিয়ে আহনাফ পাগল প্রায় হয়ে যায়। তবে এটুকু ঠিক করে নেয়, রুমাইশার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। আর সে জন্য রুমাইশার কথা রাখতে কিস করছে। আর একটা কথা সে ভাবে, রুমাইশা কল্পনা করছে আহনাফ’কে কাছে পাওয়া কিস করা এসব। রুমাইশা মাঝে মাঝে ভাবে আহনাফ হয়তো ওর ঘুমের মাঝে এসব করছে। কিন্তু আসলে সবটাই রুমাইশার ভ্রম ছিলো। তবে যাস্ট আহনাফ ভুল বসতো রুমাইশার কমড়ে একটা চিমটি কাটছিলো ব্যাস।

[বর্তমান]

“মাঝে মাঝে নিজেকে গিরগিটি মনে হয় আমার। আমার নিজের উপর রাগ উঠে, মুন্নির সাথে রিলেশন থাকা কালিন, রুমাইশা’কে কিস করছি। এখন এটা ভাবলে গাঁ গুলিয়ে আসে। এসব কেউ জানলে আমাকে বলবে, ” আহনাফ তোর চরিত্র খারাপ।” কিন্তু আমি তো বাদ্ধ ছিলাম। অবশ্য এখানে আমার দোষ, আমি চাইলে রুমাইশা’কে কিস না করে ভালো ব্যাবহার দেখিয়ে বুঝাতে পারতাম, আমি ওকে স্ত্রী হিসাবে মানি। আসলে আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, হুটহাট ভুল কাজ করি। আর এর জন্য নিজের চরিত্র নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। আমি কি ভালো পুরুষ? নাকি চরিত্র হীন”

–আহনাফ কথা গুলো বলে ঘুমানোর চেষ্টা করে। তার ভাবতে ও খারাপ লাগে, সে রুমাইশা’র প্রতি অন্য রকম আচরণ করছিলো। এতে যে কেউ ভাববে তার চরিত্রের সমস্যা। ভোর ৫টা, অনবরত ফোনের রিংটোনে রাকিবার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ফোন রিসিভ করে কথা বলে লাফিয়ে উঠে। রাহুল ভাইয়া আসছে, নিজেকে পরিপাটি করে নিয়ে দরজা খুলে দেয়।

“এতো সময় লাগে দরজা খুলতে! আর ফোন দিয়ে পাওয়া যায়না তোমাকে। মরার মতো কিভাবে ঘুমাও! রুমাইশা অসুস্থ সে জন্য ওকে ফোন না দিয়ে তোমাকে দেওয়া।”

–রাকিবা মাথা নিচু করে নেয়, বেশি রাত করে ঘুমানোর জন্য এমন হয়ছে। ঘুমাইছে তো ২টার পর, এখন আবার ঘুম থেকে উঠা। রাহুল রুমাইশার রুমের দরজা ফাঁক করে দেখে, রুমাইশা ঠিক ভাবে শুয়ে আছে দেখে ভিতরে যায়। ঘুমিয়ে আছে দেখে আর ডাক দেয় না, রাকিবা’কে ঘুমাতে বলে সোফায় গাঁ এলিয়ে দেয় সে।

“ভাইয়া কখন আসলো! যাই হোক ঘুমিয়ে গেছে না ডাকা ভালো, আমি বরং বাবাই’য়ের ডাইরি’টা আজ আর একবার পড়ি।”

–রুমাইশা’র বাবা যেদিন মারা যায়, সেদিন রুমাইশা বাবাই’য়ের রুম খুঁজে একটা ডাইরি পায়। আর সে স”যত্নে ডাইরি’টা নিয়ে আসে। আর ডাইরি পরেই জানতে পারে, কেনো একজন মা হয়ে এমন অভিশাপ দেয়। আহনাফে’র মায়ের অভিশাপের ব্যাপারটা উল্লেখ করা আছে এই ডাইরি তে। রুমাইশা ডাইরির প্রথম পৃষ্ঠা বের করে, তাতে ছোট্ট করে লেখা আছে।

“তোমাতে আমি মুগ্ধ রাজকন্যার আম্মু, আমার মুগ্ধ ছড়িয়ে পরুক তোমার উপর। তবুও তুমি বেঁচে ফিরো প্লিজ। আমার রাজকন্যা আজ মাতৃস্নেহ ছাড়া বড় হচ্ছে।”

–রুমাইশা লেখাটায় হাত বুলিয়ে নেয়, তার বাবাই কতো সুন্দর করে তার মাম্মাম’কে সম্মোধন করছে৷ ভালো বেসে বিয়ে ছিলো তাদের সে জন্য হয়তো। কয়েক পেইজ পর আর একটা লেখা ঝকঝকে করে উঠে। তাতে লেখা আছে,

“আমি যখন ভার্সিটিতে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছিলাম, তখন এক রমনি আমার জিবনে কাল ঝরের মতো উদয় হয়। নাম ছিলো তার মালিহা, বয়স তার কতোই ছিলো! ১৭ কি ১৮, পড়তো ইন্টার ২য় বর্ষে। টিউশনির সুত্রে তার সাথে আমার পরিচয়। একটা সময় বুঝতে পারলাম মেয়ে’টা আমার প্রতি বড্ড দূর্বল। তাকে টিউশনি থেকে বের করে দিলাম। কারণ আমার অজান্তেই আমি তো অন্য কাউকে ভালোবাসি। সে মেয়ে’টা ও যে আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে।”

“বাবাই ভুল তোমার ছিলো না, কিন্তু মালিহা আন্টি সেই ছোট বেলার আবেগ নিয়ে এখনো পড়ে আছে। উনি ভাবেন ভুল’টা তোমার ছিলো। আমি উনার ভুল একদিন ভাঙ্গিয়ে দিবো বাবাই, প্রমিজ করলাম।”

–রুমাইশা কথাটা বলে আবারো ডাইরি পড়তে থাকে। কয়েক পৃষ্ঠা পড় আর একটা লেখা বের হয়। তাতে ও মালিহা নাম দিয়ে নিচে লেখা আছে,

“তারিখ ছিলো ২০, আর আমার প্রিয়শীর ছিলো ২০ তম জন্মদিন। দু’জন খুব আনন্দে পার্কে ঘুরছিলাম। জানি না, কোথা থেকে মালিহা আর ৪জন ফেন্ড সহ আমার সামনে চলে আসলো। এসেই কোনো কথা ছাড়া বলে,”

“রায়হান ভাইয়া আমি আপনাকে একটা কথা বলতে চাই। আমি এতো ঘুরিয়ে বলতে পারবো না। আমি আপনাকে ভালোবাসি।”

“মালিহা বাচ্চা” মি বন্ধ করো, আমার পাশে যাকে দেখছো, সে আমার স্ত্রী। আমি তাকে ভালোবাসি, অন্য কাউকে ভালোবাসা সম্ভব না আমার।”

“তাহলে আমাকে একবার ও বলো নাই কেনো, যে তুমি বিবাহিত। তুমি একজনের অনুভূতি নিয়ে ছিনিমিনি করতে পারো না। আমি এতো কিছু জানি না, তুমি এই মেয়ে’টাকে ছেড়ে দেও। আর আমাকে বিয়ে করো।”

“আমার সামনে থেকে দূর হও। লজ্জা করলো না এমন কথা বলতে? আমি কেনো বলবো আমি বিবাহিত, তুমি কি কখনো শুনতে চাইছিলা! তাই এখন বাড়াবাড়ি না করে এখান থেকে যেতে পারো।”

–মালিহা তখন রেগে যায়, রাগের বসে রায়হানের প্রেয়সীর গায়ে হাত তোলে। আর সেটা রায়হান সহ্য করতে না পেরে দুইটা চড় বসিয়ে দেয় মালিহার গালে। মালিহা অপমানিত হয়ে বলে,

“তুমি আমাকে ঠকিয়েছো, আমার অনুভূতি নিয়ে খেলছো। কখনো সুখি হতে পারবা না, আমার মতো কষ্ট তোমার সন্তান পেলে তুমি বুঝবে, ভালোবাসা কি।”

“অভিশাপ দিলেই হয় না, তুমি বেমানান কথা বলছো। আমি যাকে ভালোবাসি তাকে ছেড়ে তোমার হাত কিভাবে ধরবো!?”

“তাহলে আমাকে আগে বলো নাই কেনো?”

“আমি আগে বুঝি নাই তুমি এমন তার ছেড়া পাগল, তাহলে কখনো প্রাইভেট পড়াতাম না। তোমার মুখ আমি কখনো দেখতে চাইনা”

–রুমাইশা এই লেখাটায় একটা চুমু খায়। তার বাবাই তার মাম্মাম কে খুব ভালোবাসতো। ভালোবাসা কাকে বলে তার বাবাই’য়ের ডাইরি পড়লে বুঝা যায়। কয়েক পেইজ পড় আবার লেখা আছে।

“এর পর বুঝতে পারলাম মালিহা আমাকে ঘৃণা করে। আমাকে দেখলে অপমান করতো সব সময়। আমি বড়লোকের সন্তান ছিলাম, সে জন্য নাকি ওকে পছন্দ করি না। অনেক কথা সে সবাই’কে বলতো। একবার তো বলছিলো, আমি তাকে এক রাতের জন্য ১ লক্ষ টাকা দিতে চাইছি। আর সেটা সহ্য করতে না পেরে আমার দাদু মারা যায়। দাদু ছিলো প্রাণ খোলা মানুষ, উনি আমাকে খুব ভালোবাসতো। আর এই নিউজ খুব দ্রুত ভাইরাল হয়। আমি রাগের বসে প্রায় হাজার মানুষের সামনে মালিহা’র গালে জুতা দিয়ে বাড়ি মারি। আর সেটাই ছিলো আমার ভুল, এর পড় থেকে মেয়েটা সব সময় অভিশাপ দিতো। সে জন্য হয়তো অকালে আমার ভালোবাসা হারিয়ে ফেললাম।”

–রুমাইশা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডাইরি’টা লুকিয়ে রাখে। ডাইরিতে আরো গোপন তথ্য দেওয়া আছে। আর এই ডাইরির দ্বারা তো সে তার সৎ মাকে শাস্তি দিতে পারছে। খুনের দায়ে জেলা দেওয়া হয়ছে, তার বাবাই’কে সম্পূর্ণ ভাবে প্লেন করে খুন করা হয়ছে। এক্সিডেন উনি নিজে করিয়েছে। রুমাইশা ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য নামতে গেলে মেঝেতে পড়ে যায়। সকাল ৭টা, কিছু পড়ার শব্দ রাকিবা দৌড়ে রুমে আসে। এর মধ্যে রাহুলের ঘুম কেটে যায়। লাফিয়ে উঠে রুমাইশা’কে ধরে উঠায়। হালকা ঝারি দিয়ে বলে,

“শরীর দূর্বল আমি তো এখানেই ছিলাম, আমাকে কি একটা বার ডাকা যেতো না?”

“সরি, আমি বুঝতে পারি নাই। পা আচমকাই সরে যাওয়ার জন্য পড়ে গেছি। তুমি কখন আসছো ভাইয়া?”

“আমি ভোরে আসছি, দেখি জ্বর কমছে নাকি। হ্যা একটু তো কমছে, বৃষ্টি’তে ভিজতে গিছিস কেনো? আগে থেকে অসুস্থ আর এসব করিস!”

“এখন তো ঠিক আছি, তোমাকে এসব কে বললো বলতো। আমি তো এসব বলি নাই, আর ভাবি, পারভেজ কেউ আসে নাই?”

“না, পারভেজ ট্যুরে গেছে। আর তোর ভাবি’র স্কুলে আজ অনুষ্ঠান।”

“ও”

–রুমাইশা ফ্রেশ হয়ে এসে, রাহুলের কোলে মাথা দেয়। তার এখনো ঘুম পাচ্ছে, কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। রাহুল জ্বর পরিক্ষা করার জন্য আহনাফ’কে ফোন দিয়ে আসতে বলে। আহনাফের ইচ্ছে করছে না আসতে, কিন্তু কিছু করার নাই। বন্ধু আসতে বলছে, না এসে কি থাকা যায়!? আহনাফ এসে দেখে জ্বর কমে গেছে। ঔষধ নিয়ম মতো খাওয়ানোর কথা বলে চলে যায়। ৭:৪০শে রাহুল রুমাইশা’কে ডেকে দেয়। ৮টা থেকে ক্লাস আছে।

“রুমাইশা ক্লাসে যাবি না?”

“হ্যা ভাইয়া যাবো, কিন্তু ঘুম কাটে না আমার। হুর কেনো যে মেডিকেলে পড়তে চাইলাম। প্যারা এতো পড়াশোনা করে কি হবে! সেই তো জামাইয়ের সংসার করতে হবে।”

“গালে দিবো দুইটা, চুপচাপ গিয়ে রেডি হ। এ্যা ১ দিনে প্যারা হয়ে উঠছে তাই না? তো ভার্সিটিতে পড়বি নাকি বল।”

“আরে না না, ভার্সিটিতে পড়লে আমার জামাইয়ের উপর নজর রাখবো কিভাবে! এ যে মহা পাপ, আমার জামাইয়ের দিকে কেউ নজর যেনো না দেয়।”

“মানে!”

“ভাইয়া বিয়ে দেও তো আমাকে, বিয়ে করবো। আমার কি বয়েস কম! বিয়ে দিচ্ছো না কেনো? অন্য পরিবার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে।”

–রাহুল কপালে ভাজ ফেলে, তার ছোট বোন এসব কি বলছে!? বিয়ে করার জন্য তো মরিয়া হয়ে উঠছে। রুমাইশা’কে ঝাড়ি মেরে ক্লাসে যেতে বলে। রুমাইশা তাড়াতাড়ি খেয়ে রাকিবার সাথে ক্লাসে যায়।

“হেই চার’ চোখ আজও গায়ে ওড়না নাই যে! ওড়না ছাড়া চলতে খুব ভালো লাগে বুঝি?”

–সময় এখন দুপুর ৩টা, ক্লাস শেষ করে রাকিবা আর রুমাইশা কেন্টিনে যায়। তখন পাশের টেবিল থেকে সেদিনের ছেলেটা রুমাইশার উদ্দেশ্য বলে। রুমাইশা ভ্রু কুঁচকে নিজের দিকে তাকায়। ওড়না থাকবে না কেনো? এপ্রনে তো লুকিয়ে গেছে। কিন্তু সিনিয়র ছেলে দেখে কিছু বললো না। বিজয় সেই বেঞ্চ থেকে উঠে রুমাইশার সামনের চেয়ারে বসে।

“ইগ্নোর করছো! হাউ সুইট”

“খেয়ে দেখছেন?”

“ওমমম, হেই আমি বিজয়, ৩র্থ ইয়ার, আর তুমি?”

“আমি বিজয়ী”নি ১ম বর্ষ।”

“আহ হা, আমার বিজয়ীনি নামটা কতো মিল দেখছো? চলো না আমরা আকাশে উড়ি।”

“আপনার বা’পের প্লেন আছে? থাকলে নিয়ে আসেন। উড়বো সমস্যা নাই, আমার অভ্যেস আছে। কিন্তু আপনার অভ্যেস আছে তো! আমি ছেলেদের নাটা ধরে আকাশে উঠাতে পারি।”

–কিছু’টা দূরে আহনাফ আর রাহুল বসে ছিলো। রাহুল আহনাফে’র সাথে জরুরি কথা বলার জন্য আসছে। এসে রুমাইশা’কে এখানে দেখে কিছু বলে না। কিন্তু কথা গুলো শোনার চেষ্টা করে। এমন কথা শুনে ওদের মুখ থেকে কফি পড়ে যায়। রাহুল মাথায় হাত দিয়ে থাবড়া দেয়, কাশি শুনে রুমাইশা পিছু ফিরে চায়। আহনাফ আর রাহুল ভাইয়াকে দেখে অবাক হয়। বিজয় কিছুটা ইনোসেন্ট মুখ বানিয়ে বলে,

চলবে?…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here