#প্রতারক
#লেখিকাঃফারহানা_ইসলাম
#পর্বঃ০৮
রাত আনুমানিকবারোটা ছুঁই ছুঁই।আমি বাসার সব কাজকর্ম সেরে ঘুমাতে আমার রুমে আসলাম।হঠাৎ করে ভাইয়ার রুম থেকে ফিসফিসিয়ে কথা বলার আওয়াজ পেলাম।এতোরাতে ভাইয়া আবার কার সাথে কথা বলছে।আমার জানা মতে ভাইয়ার তো কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই।অবশ্যই আগে ছিলো ঐ হারামজাদীটার বিয়ে হয়ে গেলো।আমার ভাই তো ছ্যাঁকা খেয়ে ব্যাঁকা হয়ে গেছে।কী আর করবো ভাইকে স্বান্ত্বনা দেওয়ার জন্যে যত রকমের বাক্য আছে সব শোনালাম।মোটামোটি কাজ হয়েছে।কিন্তু এই নতুন হারামজাদীটা আবার কে??
,
,
———নীল স্যারের সামনে নীল শাড়ি পড়ে গিয়েছি।আর স্যার ও একটা নীল পান্জাবী পড়েছে।স্যার কে কী যে সুন্দর লাগছে।স্যার আমাকে কাছে ডেকে বললেন আর্নিয়া আজ তোমাকে পরীর মতো লাগছে।কী আর বলবো লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে গেছে।আমি বললাম স্যার এইসব কী বলছেন??
তারপর স্যার আমার হাত দুটো ধরে বললো আর্নিয়া তুমি অনেক কিউট।আর তোমার মনটাও অনেক সুন্দর।আমার লাইফে তোমার মতো একজন মেয়ে প্রয়োজন।যে আমাকে আর আমার ফ্যামিলিকে ভালো রাখতে পারবে!!
———আই লাভ ইউ আর্নিয়া!!
———-আই লাভ ইউ টু স্যার!!
———-স্যার নয় আর্নিয়া;;;আজ থেকে তুমি আমাকে নীল বলে ই ডাকবে!!
————সত্যি স্যার!!
———-হ্যাঁ সত্যি আর্নিয়া!!
———স্যার দু হাত দিয়ে আমাকে কাছে টেনে নিলো।আর আমিও পাগলের মতো স্যারকে জড়িয়ে ধরলাম।।যেনো আমি এক নতুন জীবন খুঁজে পেলাম।।
———হঠাৎ করেঘোর কেটে গেলো।চোখ মেলে আমি দেখলাম আমি কোলবালিশকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি।
দূর।।কত সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম তাও এই অবস্থায়।
আমার মনে হয় আমি স্যারের প্রতি একটু বেশি ই আসক্ত হয়ে গেছি।মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখলাম রাত সাড়ে তিনটা বাজে।অনেকে বলে ভোর বেলার স্বপ্ন নাকি সত্যি হয়।জানি না কাল কী হবে!!
,
,
———-সকালবেলা মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।মায়ের রাগন্বিত সুর দেখে নাস্তা করতে বাধ্য হলাম।
তারপর হঠাৎ মনে হলো আজ তো কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
আর তাছাড়া নীল স্যার আমাকে বলেছিলো আজ শাড়ি পড়ে যেতে।অবশ্যই নীল স্যার না বললেও আমি শাড়ি পড়ে যেতাম।
আমার নীল শাড়িটা আলমারি থেকে বের করে পড়ে নিলাম।খোঁপায় বেলী ফুল লাগালাম।
এদিকে কলেজ থেকে তিথি শুধু কল করছে।সবাই নাকি কলেজে পৌঁছে গেছে।শুধু আমি মিসিং।
———তিথির কথা শোনে আমি তাড়াহুড়ো করে কলেজে চলে গেলাম।।
কলেজে গিয়ে দেখলাম সত্যিই সবাই কলেজে এসে হাজির।শুধু আমি বাদে।
আমাকে দেখে তিথি,রিয়া,রানা,রাজু সবাই এগিয়ে আসলো।।
তিথিঃ কী রে আর্নিয়া এতো দেরী করলি কেনো??
আমিঃ আর বলিস না।ঘুম থেকে উঠতে উঠতে লেট হয়ে গেছে!!
তিথিঃহয়েছে এইবার চল!!
আমিঃচল।।
———-আমরা সবাই কলেজের ভেতরে গেলাম।বাহঃ আজ কলেজটা কে যেনো নতুন সাজে সাজানো হয়েছে।।খুব ভালো লাগতেছে দেখে।।
———-হঠাৎ চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম তিথি,রিয়া,রানা,রাজু কেউ নেই।আমি স্টেজের থেকে অনেকটা দূরে ই দাঁড়িয়ে আছি।
———-হঠাৎ পেছন থেকে কেউ শক্ত করে আমার মুখ চেপে ধরেছে॥আমি খুব জোর করছি ছাড়ানোর জন্যে কিন্তু পারছি না।তারপর কী হয়েছে আর কিছু মনে নেই।।
———-কিছুক্ষণ পর আমি দেখলাম আমি একটা রুমের মধ্যে আছি।রুমটা খুব সুন্দরভাবে সাজানো।ওমাগো কী হতে চলেছে।
——–একটুপর দেখলাম কেউ একজন নীল পান্জাবী পরে হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে এসেছে।ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম মানুষটা আর কেউ নয় নীল স্যার।।
———আই লাভ ইউ আর্নিয়া!!
———-আমি চুপ!!
——–এই আর্নিয়া তুমি চুপ করে আছো যে???
——–স্যার কী বলবো বুঝতে পারছি না!!
———আর্নিয়া তুমি বোকার মতো কথা বলো কেনো??
———আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি??
———আই লাভ ইউ আর্নিয়া!!ডু ইউ লাভ মি??ইয়েস অর নো??
———-আই লাভ ইউ টু স্যার!!
———স্যার নয় নীল!!
——–হাঃ হাঃ হাঃ স্যার কী যে বলেন!!
———-আবার স্যার।।
———সরি নীল!!
———-তারপর স্যার আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আর আমিও স্যারকে জড়িয়ে ধরলাম।ঠিক কাল রাতের স্বপ্নের মতো।।অবশেষে আমার স্বপ্নটা সত্যি হলো!!কী যে আনন্দ লাগছে।।
———-হঠাৎ জোরে জোরে হাত তালির আওয়াজ শুনতে পেলাম।আমি আর নীল খুব ভয় পেয়ে যাই।তারপর পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখি,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে
নেট প্রবলেমের কারনে আজ দুদিন গল্প দিতে পারছি না।ইনশআল্লাহ আগামী দিন আগামী পর্বে শেষ করে দিবো।।ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।