প্রমত্ত অঙ্গনা পর্ব -১৮

#প্রমত্ত_অঙ্গনা
#লেখিকা_আরোহী_নুর
(১৮)

রাত ১ টা,আদৃতের ঘুম আসছে না,বার বার আঁখির স্মৃতি মনে ভাসছে,সারাদিন আঁখির সংস্পর্শে কাটিয়ে এসেও যে মনটা ভরে উঠে নি তার।আঁখির সাথে কথা বলতে বড্ড ইচ্ছে করছে। আঁখির কথা ভাবতে ভাবতে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকল,সুখপাখি নামের নিচে অনলাইন লেখা দেখে মুখে এক চিলতে হাসি ফুটল তার,আজ ছয় বছর পর সেই নাম্বারে আবার মেসেজ পাঠানোর জন্য প্রস্তুত হলো আদৃত,আসসালামু আলাইকুম লিখে সেন্ড করবে এর আগেই ওপর পাশ থেকে মেসেজ আসলো।

আসসালামু আলাইকুম ডা.সাহেব।

আঁখির তরফ থেকে মেসেজ পেয়ে আশ্চর্য হলো আদৃত।তাড়াতাড়ি জবাব দিলো।

″ওয়ালাইকুম আসসালাম।কি করছ হিটলার?″

″আপনার কথা মনে করছি।″ল

আদৃত কথাটার জবাবে অবাকত্বের ইমোজি দিলে আঁখি তার বদলে হাসির ইমোজি দিলো।আদৃত ভালোয় জানে আঁখি এসব মজা করছে।আদৃত আবার জিজ্ঞেস করল।

″তা ঘুম রেখে এতো রাতে অনলাইনে কি করা হচ্ছে?জানতে পারি?″

″ঘুম না আসলে যা হয় আরকি,টাইম পাস।তা আপনি কি করছেন? আমার কথা মনে করছেন না তো?″
রসিকতার ছলে বলল আঁখি কথাটা।উত্তর দিলো আদৃত।

″হতেও পারে।″

″কখনও সম্ভব না।″

″কেনো?″

″সাত বছর আগে যা হয় নি তা সাত বছর পরে হবে উক্ত আশা রাখাটা বোকামি হবে না?″

″এমনটাও তো হতে পারে আশাটা না করা বোকামি হবে।″

″ভালোবাসার মানুষ চিনতে তো আঁখি সারাজীবন বোকামি করে আসছে আগামীতে আর করবে না নির্ধিদায় থাকতে পারেন।ভালো থাকেন,শুভ রাত্রী।

অতঃপর আর দেরি না করে আঁখি অফলাইন চলে গেল।পুরনো সে ক্ষতগুলো মুহুর্তেই জাগ্রত হয়ে গেল তার।ফোন রেখে দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করে ঘুমানোর চেষ্টাতে মন দিল।

আদ্রিশ ক্ষিপ্ত হলো নিজের উপর।

ধূর, কই আঁখি নিজে থেকে কথা বলছিল আর আমি ওকে মানসিক একটু প্রশান্তি দেওয়ার বদলে উল্টো ওর মন খা*রা*প করে দিলাম।
আঁখি ঠিকই বলত আমি নিরামিষ,মেয়ে পটানোর নামে আসত ঢেঁড়স,তখন ওর এসব কথায় বিরক্ত হলেও এখন দেখছি এটাই সত্যি,যে বয়সে লোক ২ টা সন্তানের বাবা হয়ে যায় সে বয়সে আমি এখনও একজনের মনে রাজত্ব করে ওঠতে পারি নি,বিয়ে তো দূরেই থাক।ধূর, কি যে করি…
বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দিল আদৃত।

″কি হয়েছে আদ্রিশ?কিছু তো বলবে?তোমার গালের দাগগুলো কিসের ছিল?তোমার মন খারাপ কেন?″

″আঁখির জন্য।আঁখিকে আনতে গিয়েছিলাম তখন ও আমার সাথে কু*কু*রে*র মতো আচরণ করে।আমি ওকে সত্য ভালোবাসি রিদিকা কিন্তু ও আমার ভালোবাসার মর্ম দিল না।″

″কি!ও তোমায় মেরেছে!কী করে করতে পারে ও তা!সব আমার জন্য হয়েছে,আমি তোমাদের জীবনে না আসলে এমনটা হতোই না,আমি চলে যাব তোমাদের জীবন থেকে,দেখবে আঁখি ঠিকই ফিরে আসবে তোমার কাছে,আমার আর কি কপালপোড়া যেভাবেই পারি বাকি জীবন কাটিয়ে নিব।আমি কাল সকালে নিজে যাব আঁখিকে আনতে।″

রিদিকা কেঁদে কেঁদে কথাগুলো বললে আদ্রিশ তাকে বুকে টেনে নিল,তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল।

″না রিদিকা,অনেক হয়েছে আর না।তুমি কেন নিজের সুখ ত্যাগ করবে ওর জন্য যেখানে ও তোমার কথা ভাবতেও চায় না,ও আমাকে ছাড়া ভালো থাকতে চাইছে ওকে থাকতে দাও,আমিও বেশি মর্ম দিয়ে গেছি ওকে,ও ডিভোর্স দিবে তাই না?ঠিক আছে আমিও সাইন করব সে কাগজে,যখন উপলব্ধি করবে সত্যিই আমাকে হারিয়ে যাচ্ছে তখন কেঁদে কেঁদে ফিরে আসবে আমার কাছে।″

″আর যদি ফিরে না আসে।″

″ও আসবে,আমি জানি ওর মনে আমার জন্য সীমাহীন ভালোবাসা বিদ্যমান,যে আমার জন্য সব ছাড়তে পারে সে আমাকে কখনও ছাড়তে পারে না,কোনো কিছুর বিনিময়েও না।″

″হুম,আচ্ছা ঠিক আছে,এখন তুমি শুয়ে পরো,আমি দোয়া করব আঁখি যাতে ফিরে আসে।আমি এখন চলি।″

চলি বলে রিদিকা যেতে নিলে আদ্রিশ তার হাত ধরে নিল।

″কোথায় যাচ্ছো?″

″আমার রুমে।″

″তোমাকে যেতে হবে না,আঁখি নিজেই নিজের অধিকার হারিয়েছে,ফিরে আসলে ওর কক্ষ নিয়ে দেখা যাবে,বর্তমানে তুমি এখানে আমার সাথে থাকবে।″

কথাটা শুনে রিদিকার চেহারাতে খুশির উজ্জ্বলতা ফুটে উঠল,ঝাপটে ধরল আদ্রিশকে,তার বুকে মাথা গুঁজল।

চারিদিকেই আঁখির নাম শোনা যাচ্ছে, প্রথমত রিপোর্টার লিজানকে পাবলিক প্লেসে থাপ্পড় মারার ভিডিও কেউ ভাইরাল করে দিয়েছে সামাজিক গণমাধ্যমে, হিটলার আঁখি নামে পরিচিতি পেয়েছে আঁখি,যাতে তরুণ তরুণীরা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছে,অপরদিকে সেই লিজানের অপ্রত্যাশিত মৃ*ত্যু আঁখির উপর পুলিশকে আঙুল তুলতে বাধ্য করেছে।টেলিভিশন খুললে খবরে আর ফোন হাতে নিলে সামাজিক গণমাধ্যম সব জায়গাতেই আঁখির বিচরণ,এসব বহুল চাপে আঁখির নিশ্বাস নিতেও যেন দূরুহ লাগছে,সত্যিই আজ দূরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করছে আঁখির।ঘর থেকেও বেরুনোর কোনো মানসিকতা নেই বর্তমানে আঁখির,তবুও মন মানিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরুল,আজকে বেশ সকাল বেড়িয়েছে,আদ্রিশের ফ্রেন্ড রিয়াদ ওকে কিছু আর্জেন্ট প্রয়োজন বলে কফিশপে ডাকাল,আঁখি যদিও বলেছিল তার বাড়িতে চলে আসতে তবে রিয়াদ তাকে কফিশপেই আসার জন্য অনুরোধ করল,আঁখি বলল হাসপাতালে যাওয়ার আগে ৫-১০ মিনিটের সময় ও রিয়াদকে দিতে পারবে তাতেই রিয়াদ রাজি হয়ে গেল।আঁখি আসার আগেই রিয়াদ এসে সেখানে তার অপেক্ষা করছিল।আঁখি এসে তার দু’জন গার্ড সহিত রিয়াদের বিপরীত দিকে গিয়ে বসল।রিয়াদ এবার বেশ অস্বাভাবিকতা নিয়ে বলল।

আসলে আমি তোমার সাথে প্রাইবেট কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম।

আঁখি রিয়াদের মনোভাব বুঝতে পেরে তার গার্ডদের একটু দূর হয়ে দাঁড়াবার ইশারা করল,কথামতো গার্ডগুলো একটু দূর হয়ে দাঁড়ালো। এবার আঁখি বলল।

″আশা করি যা বলার তাড়াতাড়ি বলবে রিয়াদ,আমি কিন্তু তোমাকে সময় বেশি দিতে পারব না,তোমার ভালোয় জানা আছে।″

″হুম,তোমাকে তো পাওয়াই যায় না,এখন যখন হাতের নাগালে পেয়েছি তবে যা বলার পরিষ্কার বলে দিব। ″

″বলো কি বলবে?″

″ওই বলছিলাম যে তোমার সাথে আদ্রিশ এমনটা করবে কখনও ভাবি নি আমি,ওকে আমি বেস্ট ফ্রেন্ড মনে করতাম ভালো মানুষ মনে করতাম,কিন্তু ও কি করল,তোমার মতো পেয়েকে হাতছাড়া করল সামান্য ওই রিদিকার জন্য।কতো বড় বোকা ও,ছিঃ…ওর জায়গায় আমি হলে কখনও এমনটা করতাম না,তুমি এডাল্ট,আত্ননির্ভরশীল,সাহসি,তার উপর সুন্দরী এমনটা করার কথা হয়ত কখনও কোনো পুরুষই ভাবত না যেমনটা আদ্রিশ করেছে।ওকে বন্ধু বলতেও লজ্জা হচ্ছে আমার।″

″তুমি কি বলতে চাও রিয়াদ?পরিষ্কার করে বলো।″

″দেখো আঁখি অনেকদিন ধরেই তোমার সাথে আমার চ্যাটে কথা হয়,হয়ত তুমি ভালোয় বুঝে গেছো আমার মনোভাব,এখন আর ঘুরিয়ে কিছু বলতে চাই না তোমায় আমি।আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি আঁখি,সত্যি বলছি আদ্রিশের মতো কখনও তোমাকে ঠকাব না।″

″হুম বুঝলাম,তা তোমার আগের স্ত্রী আর দুটো সন্তানকে কি করবে ভেবেছো?″

″আরে ওদের নিয়ে তুমি চিন্তা করো না তো,মাসুমা কে তো এমনিতেই ছাড়ছি আমি,ওর সাথে ভালো যাচ্ছে না আর আমার,আর যেখানে প্রশ্ন আমার বাচ্চাদের ওরা মাসুমার কাছেই থাকবে ওদের ভরণ পোষণ আমি দিব,আমিও তো একজন উকিল টাকার কমতি হবে না তুমি জানোই,ডিভোর্সের ব্যপারটাও দেখে নিব।″

সহসা আঁখি রিয়াদের এক হাত অতি স্বাভাবিক
ভাবে খামছে দাঁত কটমট করে বলতে শুরু করল।

পাবলিক প্লেস তাই সিন ক্রিয়েট করতে চাইছি না,এমনিতেই অনেক প্যারায় আছি,নইলে এখনই তোর এমন জায়গায় এমনভাবে মা*র*তা*ম যে আবারও বাচ্চা জন্মদানের যোগ্য থাকতি না,শা**লা লু**ই**চ্ছা,কতো ভালো ভাবতাম তোকে,কিন্তু কয়েকদিনে তোর সাথে চ্যাটে কিছু কথা বলে বুঝতে পারলাম তুই কেমন।আমি তো এমনিই তোর কথার উত্তর দিতাম আদ্রিশের বন্ধু ভেবে কিন্তু তোর মনোভাব বুঝতে পারার পর তোকে এরিয়ে চলি অবশেষে তুই দেখিয়ে দিলি তোর আসল রুপ,আদ্রিশের ফ্রেন্ড তুই তোর কাছ থেকে আশাও আর কি করা যেতে পারে।জানিস আমার মতে তোদের মতো পুরুষের উপর কোনো কেস না করে তোদের একদম প্রাণে মে*রে ফেলা উচিৎ। নোং*রা কোথাকার। আর যেনো তোকে আমার সামনে না দেখি,নইলে আঁখি কি জিনিস দেখিয়ে দিব।

কথাগুলো বলে আঁখি উঠে চলে গেল,হাতে যন্ত্রণা হলেও রিয়াদ এতসময় দাঁত চেপে তা সহ্য করছিলে,আঁখি চলে গেলে হাতের দিকে তাকালো,আঁখির নখগুলো বেশ ক্ষত করেছে তার হাতে,র**ক্ত বেড়িয়ে গেছে এতসময়ে।

আদ্রিশ ডিভোর্স পেপারে সাইন করার জন্য হাতে কলম নিয়েছে।সাইন করার জায়গায় গিয়ে যেন আর শক্তি জুটিয়ে উঠতে পারছে না সে জায়গায় কলম বসানোর,কতো কিছুর পর যে আঁখিকে সে নিজের করে পেয়েছিল তাকে এতো সহজে কেমনে হারিয়ে দেবে!না আঁখি তো তার জন্য অসাধ্য এক সাধনা ছিল।যাকে সে তার বুকের চূড়ায় জায়গা দিয়েছে,তার সর্বাঙ্গে তো আঁখির বাস।হাজার ছেলের প্রেমিক হৃদয়ে ছু*রি চালিয়ে জয় করেছিল সে আঁখিকে,তার আঁখির জোরি দেওয়ার মতো নারী আর একটাও আদ্রিশ কখনও দেখে নি,এমন এক রমণীকে হাতছাড়া সে কিভাবে করবে!না ভাবতেই তো ধম বন্ধ লাগছে আদ্রিশের,কি করবে সে?

আদৃত ফোন করল আঁখিকে,আঁখি গাড়িতে বসে আছে বেশ বিরক্তি নিয়ে।আদৃতের ফোন আসলে সে বিরক্তি কিছুটা হলেও দূর হলো,আদৃতই যে প্রথম এবং শেষ ব্যক্তি যার কোনো কাজেই কখনও আঁখির বিরক্তি আসে নি।ফোন ধরল আঁখি।

″হ্যাঁ ডা.সাহেব,বলুন?″

″আসছো হাসপাতালে?″

″হুম, এখন তো সার্জনের সাথে প্রফেসরও,ক্লাস ও জয়েন করতে হবে না আসলে পারি?তা আপনি আসছেন?″

″ভুলে যাবেন না,প্রফেসর শুধু তুমি একা নও।″

″হুম,তবে চলে আসুন প্রফেসর সাহেব।″

″আসছি প্রফেসর সাহেবা,তা রাখি হাসপাতালে দেখা হচ্ছে ″

″হুম।″

ফোন কেটে দিয়ে বেশ খুশি মনে কক্ষের বাইরে বেড়িয়ে আসল আদৃত,আস্তে আস্তে তার আর আঁখির সম্পর্কের তিক্ততা দূর হচ্ছে তার আর কি চাই।আঁখিকে ফিরে পাওয়ার কোনো পথ বাদ রাখবে না আদৃত এবার।

ড্রয়িংরুমের সোফায় মিডি ড্রেস পরে বসে আছে রিংকি,ইশিকা তাকে নানান রকম জেরা করছে।

″তুমি কি অস্ট্রেলিয়া থেকে এখানে এসেছ শুধু ভাইয়ার সাথে দেখা করবে বলে?″

″হ্যাঁ,ও এতদিন থেকে এসেছে যাওয়ার নাম নিচ্ছে না,তাই ভাবলাম এসে ওর খোঁজ নেই,এমনি তো ফোনও ধরে না,তাছাড়া বাংলাদেশে কখনও আসা হয় নি এক সুযোগে বাংলাদেশ দেখাও হয়ে যাবে সেই ভাবনায় চলে আসলাম।″

″আমার ছেলে আর যাবে না।আমি ওকে বিয়ে করাব।তুমি যখন এসছো দু’দিন ঘুরে চলে যেতে পারো।″

″মা,কি বলছ এসব?…বাবা তুমি মাকে একটু বোঝাও আমি ভাইয়াকে ডেকে আনি।″

শায়েলা আর আরিয়ান মির্জা একপাশে দাঁড়িয়ে আছেন।রিংকিকে প্রথম দেখায়ই পছন্দ হয় নি শায়েলা মির্জার।
আরিয়ান মির্জা উনার স্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন।

″শায়েলা তুমি তো মেহমানদের সাথে কখনও এমনটা করো না,তবে ওর সাথে এমনটা করছ কেনো?″

″আরে দেখছ না,শেউলা গাছের পে*ত্নি আসছে আমার ছেলের ঘাড়ে চড়বে বলে।কাপড় দেখো ওর।″

″কি শায়েলা শিক্ষিত হয়ে এমনটা করছ!এটা আজকালকার ফ্যাশন।তাছাড়া ও আমেরিকায় বড় হয়েছে″

″গো*ল্লা মারো তোমার ফ্যাশন,শিক্ষিত হলেই যে হাঁটুর উপর কাপড় পরতে হবে এটা কোন বইয়ে লিখা আছে।আমার মেয়েও তো শিক্ষিত কই কখনও এমন কিছু পরতে দেখি নি তো,আঁখিও তো ধনী বাপের একমাত্র মেয়ে ছিল,কখনও তাকে তো এমন কাপড় পরতে দেখি নি,ফ্যাশন করবে ঠিক আছে সীমানার ভিতরে করলেই তো হয়।শরীর দেখিয়ে আবার কেমন ফ্যাশন?″

″ইশ তোমাকে বোঝানোর ক্ষমতা আমার দাদারও নেই হয়ত।মা ছেলের মনের দড়ি ঘুরে ফিরে আঁখিতেই সীমাবদ্ধ ″

″আর ওখানে থাকবেও সীমাবদ্ধ,কারণ আঁখির জায়গা নেওয়া ক্ষমতা যার তার নেই।লাখে একটা মেয়ে আঁখি।″

তাদের কথার ফাঁকে আদৃত চলে আসলো সেখানে।রিংকিকে দেখে অবাকত্বের সাথে বিরক্তি ভাব নিয়ে বলল।

″তুমি এখানে কি করছ?″

″তোমার খোঁজে এসেছি, তুমি তো ফোনই ধরো না,দেশে কবে ফিরছ?″

″আমি আমেরিকা আর যাব না,তোমার এখানে এভাবে আসা ঠিক হয় নি,এসেছ ভালো কথা,এখানে থাকো কয়েকদিন বেড়িয়ে যাবে,ইশিকা ওর জন্য যেকোনো একটা গেস্ট রুম রেডি করাও।″

কথাটা বলে চলে গেল আদৃত,শায়েলা মির্জা মনে মনে অনেক খুশি হলেন।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here